Tag: করোনা সংক্রমণ

  • সংক্রমণ এভাবে বাড়লে হাসপাতালে জায়গা হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

    সংক্রমণ এভাবে বাড়লে হাসপাতালে জায়গা হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

    স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘করোনার সংক্রমণের হার গত মাসেও যেখানে এক শতাংশের নিচে ছিল, সেটি বর্তমানে দুই শতাংশে উঠে গেছে। সংক্রমণ যদি এভাবে বাড়তে থাকে, আবারও হাসপাতালগুলো রোগীতে পূর্ণ হয় আসবে, জায়গা হবে না।’

    মঙ্গলবার (১৪ জুন) বিকেলে রাজধানীর মহাখালীর আইসিডিডিআর,বি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

    স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিভিন্ন দেশে করোনা বেড়েছে, সেখান থেকে সংক্রমিত হয়ে রোগীরা বাংলাদেশেও ঢুকে পড়ছে। আগে আর্টিফিশিয়াল টেস্টের যে বিষয় ছিল, দেশে আসার ৪৮ ঘণ্টা আগে টেস্ট করে সার্টিফিকেট নিয়ে আসতে হবে। সেটি তো আমরা এখন করছি না। শুধু ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট দেখছি। যদি অন্যান্য দেশে খুব বেশি সংক্রমণ বেড়ে যায় এবং দেশেও বাড়ে, তাহলে আবার আর্টিফিশিয়াল টেস্ট শুরু করবো।’

    জাহিদ মালেক বলেন, ‘করোনার সংক্রমণ আমরা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু দেশে এখন আবার করোনা বাড়ছে। গত একমাস দেশে সংক্রমণের হার ছিল শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ, এখন সেটি ২ শতাংশে উঠেছেছে। প্রতিদিন যেখানে দৈনিক ৩০-৩৫ জন রোগী শনাক্ত হচ্ছিলেন, এখন সেটি বেড়ে ১৩০-১৫০ জনে দাঁড়িয়েছে। আশঙ্কা করছি, যদি এ মুহূর্তে পরীক্ষা বাড়ানো হয়, তাহলে সংক্রমণের সংখ্যা আরও বেড়ে যাবে।’

    তিনি বলেন, ‘আমাদের জন্য একটি ভালো খবর হলো- প্রায় সব হাসপাতালে এখন ২০ জনের বেশি রোগী নেই। কিন্তু আমরা যেভাবে অসতর্ক হয়ে চলাচল করছি, হাসপাতালে রোগী বাড়তেও সময় লাগবে না। আমাদেরকে স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে আরও সতর্ক হতে হবে। আপনারা সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সব কাজকর্ম করবেন, এটি আমরা আশা করবো।’

    স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সংক্রমণ প্রতিরোধে আমরা বুস্টার ডোজের ক্যাম্পেইন করেছি। আমরা এখন পর্যন্ত আড়াই কোটি মানুষকে বুস্টার ডোজ দিয়েছি। এখনো অনেক মানুষ বাকি আছেন। যারা দুটি ডোজ নিয়েছেন কিন্তু বুস্টার ডোজ বাকি আছে, তারা দ্রুতই বুস্টার ডোজ নিয়ে নেবেন। তাহলে সুরক্ষিত থাকবেন।’

    মাঙ্কিপক্স প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘কিছু কিছু দেশে মাঙ্কিপক্স পাওয়া গেছে। আমাদের দেশে এখনো পাওয়া যায়নি। বিমানবন্দরগুলোতে সবাই সতর্ক আছেন। তারা যদি কোনো ধরনের লক্ষণ নিয়ে কেউ এসেছেন, এমন কাউকে দেখেন, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।’

    শিশুদের করোনার টিকা দেওয়ার প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের হাতে এখনো শিশুদের টিকা আসেনি। কবে শিশুদের টিকা দেওয়া হবে, সে সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত এখনো নেওয়া হয়নি।’

    তবে আগামী ২৬ জুন কলেরার টিকা কার্যক্রম উদ্বোধন করা হবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

    জাহিদ মালেক বলেন, ‘স্বাস্থ্যখাতে গবেষণা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। দেশের স্বস্থ্যব্যবস্থাকে আরও এগিয়ে নিতে ও চিকিৎসাব্যবস্থাকে আধুনিকীকরণে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। অনেক পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি এবং বাস্তবায়ন করছি। এটি চলমান প্রক্রিয়া।

    অনুষ্ঠানে মুজিব শতবর্ষে গবেষণার জন্য ১০ নারীকে গবেষণা অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। তাদের প্রত্যেককে ৩৫ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে। এ অ্যাওয়ার্ড প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘নারীরা এগিয়ে যাচ্ছেন। মেডিকেল কলেজগুলোতে শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই নারী। অ্যাওয়ার্ডের জন্য যারা আবেদন করেছেন, তাদের ৭০ শতাংশই নারী।’

    তিনি আরও বলেন, ‘মেয়েরা এখন কোনো ক্ষেত্রেই পিছিয়ে নেই। রাজনীতি, স্বাস্থ্য, খেলাধুলায়ও তারা ভালো করছেন। খেলাধুলায় পুরুষদের চেয়েও তারা অনেক এগিয়েছেন। নারী ক্রিকেট টিম অনেক ভালো করছেন। নারীরা হিমালয় পর্বতেও উঠেছেন। আসা করবো তারা আরও ভালো করবেন।’

    অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, আইসিডিডিআর,বি-এর নির্বাহী পরিচালক ডা. তাহমিদ আহমেদ, বিজ্ঞানী ড. ফেরদৌসী কাদরী প্রমুখ।

  • ঈদ-বন্যায় করোনা সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

    ঈদ-বন্যায় করোনা সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

    পবিত্র ঈদুল আজহা এবং বন্যা পরিস্থিতিকে ঘিরে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

    বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের আওতাধীন দফতর ও সংস্থার মধ্যে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিপত্র (এপিএ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

    স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা সংক্রমণের বিস্তার রোধে বেশকিছু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বলা হয়েছে। কিন্তু আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করে কোরবানির পশুর হাটে ও ঈদযাত্রায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাটা ব্যাহত হতে পারে। এতে করে করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    তিনি আরও বলেন, বন্যার কারণে অনেক এলাকায় একসঙ্গে এক জায়গায় অনেক মানুষকে আশ্রয় নিতে হচ্ছে। এতে করেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাটা ব্যাহত হতে পারে। এই দুই কারণে করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    এসময় করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • আনোয়ারায় বেড়েই চলছে করোনার সংক্রমণ, নতুন শনাক্ত ৯

    আনোয়ারায় বেড়েই চলছে করোনার সংক্রমণ, নতুন শনাক্ত ৯

    মোঃজাবেদুল ইসলাম,আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় বেড়েই চলছে করোনার সংক্রমণ।

    রবিবার (২১ জুন) রাতে জেলা সিভিল সার্জন থেকে পাঠানো তথ্য মতে নতুন করে আনোয়ারায় ৯ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।

    নতুন করে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছে কাফকোর চার কর্মকর্তা। তারা হলেন, সৈয়দ মোহাম্মদ মাশফুর ইসলাম (২৬), মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন (৪৩), মোঃ কামরুজ্জামান (৫২) মোঃ শামসুজ্জুহা (২৬)। সার্কেল অফিসের আহসানুল্লাহ নামের একজন, চাতরী ইউনিয়নের ডুমুরিয়া গ্রামের মোঃ ফারুক (৫৫) , হাইলধর ইউনিয়নের খাসখামা গ্রামের তানি চৌধুরী (১৫), বারশত ইউনিয়নের গোবাদিয়া গ্রামের মোঃ ইসলাম (৩০) এবং দক্ষিণ বন্দরের মোঃ আলী নামের এক বাসিন্দা।

    বর্তমানে এই ৯ করোনা রোগী হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন আছেন বলে নিশ্চিত করেছে আনোয়ারা থানা পুলিশ।

    ইতিমধ্যে কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানী লিমিটেডে (কাফকো) কলোনীতে নতুন চারজনসহ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২০ জনে।

    এ নিয়ে কাফকো সার কারখানা ও হাউজিং কলোনীর বাসিন্দাদের মাঝে করোনা আতঙ্ক বিরাজ করছে।

    আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দুলাল মাহমুদ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আজকে নতুন করে ৯জন সহ উপজেলায় এ পর্যন্ত ৯৬ জন নারী-পুরুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২৯ জন আর মৃত্যু বরণ করেন একজন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • দেশে করোনা সংক্রমণের চূড়ান্ত অবস্থা এখনো আসেনি: চীনা বিশেষজ্ঞ দল

    দেশে করোনা সংক্রমণের চূড়ান্ত অবস্থা এখনো আসেনি: চীনা বিশেষজ্ঞ দল

    বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতিতে হতাশা প্রকাশ করে চীনা বিশেষজ্ঞ দল বলছে, দ্রুত টেস্ট আর দ্রুত পরীক্ষার ফল পাওয়া নিশ্চিত করেই রোধ করতে হবে সংক্রমণের পথ।

    সংক্রমণের চূড়ান্ত অবস্থা এখনো আসেনি সতর্ক করে চীনের দলটি বলছে, আক্রান্তের সংখ্যা কমাতে হলে যেতে হবে বৈজ্ঞানিক উপায়ে লকডাউনে।

    রোববার (২১ জুন) বিকেলে অনলাইন ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন তারা।

    গত ৮ জুন ২ সপ্তাহের জন্য বাংলাদেশে আসে চীনের ১০ সদস্যের বিশেষজ্ঞ দল। নিজেদের অভিজ্ঞতা থেকে বাংলাদেশকে পরামর্শ এবং উত্তরণের উপায় নিয়ে কাজ করে তারা।

    সফরের শেষ দিনে কূটনীতিক বিটের রিপোর্টারদের সাথে অনলাইনে মত বিনিময়কালে জানায় এ দেশে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে তাদের পর্যবেক্ষণ।

    তারা বলেন, বাংলাদেশের এখনো অনেক কিছুতে উন্নতি করতে হবে। সংক্রমণের চূড়ান্ত অবস্থা এখনো আসে নি। এটা রোধ করতে হলে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পথটা আগে কাটতে হবে। সেটা সম্ভব হয় নি। কখন চূড়ান্ত সংক্রমণ হবে, সেটা বলা কঠিন। পরিস্থিতি নিয়ে আরও বিস্তারিত গবেষণা করতে হবে।

    চীন উহান প্রদেশ লক-ডাউন করে পেয়েছে সুফল। বাংলাদেশের জন্য কি পরামর্শ?

    তাদের উত্তর, যদি আমরা উহান লক-ডাউন না করতাম, তবে তা দ্রুত পুরো চীন, এমনকি পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়তো। কিন্তু বাংলাদেশে এটা ভিন্ন। লকডাউন অবশ্যই কার্যকর। এটা না করা গেলে আজকের আক্রান্তের সংখ্যা কাল দ্বিগুণ হবে। তবে বাংলাদেশে এটা করতে হবে বৈজ্ঞানিক উপায়ে।

    তারা বলেন, রেপিড টেস্টের পরিবর্তে পিসির টেস্টের পক্ষে আমরা।

    দ্রুত পরীক্ষা, ফলাফল, আইসোলেশান ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

    উত্তরণের উপায় নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের জন্য নিজেদের সুপারিশসহ একটি রিপোর্ট দূতাবাসে জমা দিয়েছে তারা।

    সোমবার দেশে ফিরে যাবেন বিশেষজ্ঞ দলটি।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • মায়ের দুধে করোনা সংক্রমণ হয় না

    মায়ের দুধে করোনা সংক্রমণ হয় না

    যথাযথভাবে মায়েরা শিশুকে দুধ খাওয়ালে করোনাভাইরস সংক্রমণ হয় না।

    আজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস বিষয়ে নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান।

    তিনি বলেন, ‘যে মায়েরা সন্তানকে দুগ্ধদান করে থাকেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে যে, দুগ্ধদানের মাধ্যমে কোন ভাইরাস ট্রান্সমিট বা ভাইরাসের সংক্রমণ হয় না। কাজেই আপনারা যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে মায়েরা মুখে মাস্ক পরে বুকের দুধ দিতে পারেন। দেয়ার আগে স্তন ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নেবেন। হাত ভালোভাবে ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নেবেন। হাত ও স্তন পরিষ্কারের পরই বাচ্চাকে দুগ্ধ দান করতে পারেন।’

    নাসিমা সুলতানা আরও বলেন, ‘আপনারা সবাই স্বাস্থ্য নিয়মগুলো মেনে চলুন। যারা বয়োজ্যেষ্ঠ আছেন, যাদের অন্যান্য অসুখ আছে যেমন উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হার্টের, ফুসফুসের, কিডনির অসুখ বা অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদি অসুখে যারা ভুগছেন, তারা অত্যন্ত সাবধানে থাকবেন। পরিবারের সদস্যরাও যাদের এই সমস্যাগুলো আছে, তাদের দিকে খেয়াল রাখবেন।’

    সবাইকে মানসিকভাবে উজ্জীবিত থাকার পরামর্শ দিয়ে নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘শিশুরাও যেন এ নিয়মগুলো মেনে চলতে অভ্যন্ত হয়, সে ব্যাপারে খেয়াল রাখবেন।

    সবক্ষেত্রেই মানসিকভাবে উজ্জীবিত থাকলে, আক্রান্ত ব্যক্তি নিজের মনোবল দৃঢ় রাখলে, যিনি আক্রান্ত হননি, তিনিও মানসিকভাবে উজ্জীবিত থাকবেন।

    মানসিক মনোবল দৃঢ় রাখা ও মানসিকভাবে উজ্জীবিত থাকা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে দেয়ার একটি মাপকাঠি।’

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • মনিরামপুরে করোনা সংক্রমণের ভয় উপেক্ষা করে ঈদের বাজারে উঁপচে পড়া ভীড়

    মনিরামপুরে করোনা সংক্রমণের ভয় উপেক্ষা করে ঈদের বাজারে উঁপচে পড়া ভীড়

    নিলয় ধর,যশোর প্রতিনিধি:যশোরের মনিরামপুরে মহামারি করোনাভাইরাস উপেক্ষা করে ঈদবাজার জমজমাট হয়ে উঠেছে। কাকডাকা ভোর থেকে শুরু হয়ে বিকেল পর্যন্ত পৌরশহরসহ উপজেলার বিভিন্ন বাজারের বিপনী বিতানগুলোতে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভীড় লেগেই চলেছে। এক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না কোন প্রকার সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব।

    অন্যদিকে পৌরশহর ও বাজারসমূহে যাত্রীবাহী ভ্যান,ইজিবাইক,পণ্যবাহী ও ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল বৃদ্ধির কারণে সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ যানজটের। তবে সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বেশ তৎপরতা রয়েছে।

    তারপরও মানুষের মধ্যে বিন্দুমাত্র সচেতনতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না এখানে। ফলে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে।ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে পৌরশহর এবং উপজেলার রাজগঞ্জ, খেদাপাড়া, চিনাটোলা,নেহালপুর,ঢাকুরিয়া, কুয়াদাসহ, মনিরামপুর, নওয়াপাড়া বিভিন্ন বাজারের বিপনী বিতানগুলোতে বেচাকেনা জমে উঠেছে। ক্রেতাদের ভিড়ে দোকানগুলো এখন সরগরম। ঈদ যতই এগিয়ে আসছে, ততই ভিড় বাড়ছে।

    মহামারি করোনাভাইরাসকে তুচ্ছ মনে করে ক্রেতাদের পদচারণায় কাকডাকা ভোর থেকে শুরু করে বিকেল পর্যন্ত চলছে ধুমছে বেচাকেনা। তার ওপর কোন প্রকার সামাজিক বা শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার তোয়াক্কা করছে না ত্রেতারা। গাদাগাদি হুড়োহুড়ি করে তারা পছন্দের পণ্যটি কেনার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ছে তারা। কিছু বিপনী বিতানে হ্যান্ডস্যানিটাইজার থাকলেও কাউকে ব্যবহার করতে দেখা যায়নি।

    মনিরামপুর পৌরশহরের খান গার্মেন্টস, আল-আমীন বস্ত্রালয়, দোলা গার্মেন্টস, চঞ্চল গার্মেন্টস, রিবাত গার্মেন্টস, ভাই ভাই গার্মেন্টস, নিউ শাড়ি প্যালেস, জননী বস্ত্রালয়, শাহআলম বস্ত্রালয়, প্রিয়া গার্মেন্টস, রবি ফ্যাশন, এমএম কথ, শরিফ কথ স্টোরসহ বিভিন্ন বিপনী বিতানেও শনিবার ছিল উপচে পড়া ভিড়। বিশেষ করে শিশু ও নারী ক্রেতাদের ভিড় সামলাতে দোকানদারদের রীতিমত হিমশিম খেতে হয়।

    তৈরি পোশাক,শাড়ি,লুঙ্গি,পাঞ্জাবী,জুতা, প্রসাধনীর পাশাপাশি নিত্যপণ্যের দোকানেও ছিল ভিড়।

    গৃহবধূ রাশিদা খাতুন বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে একনাগাড়ে ঘরে বন্দি জীবন আর ভাল লাগে না। তাই সরকারের বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে সন্তানদের নিয়ে কেনাকাটা করতে এসেছি।

    নাসরিন সুলতানা বলেন, এত নিয়মকানুন মেনে কেনাকাটা করা সম্ভব নয়।

    খান গার্মেন্টস’র মালিক মহিউদ্দিন খান জানান, দোকানে হ্যান্ডস্যানিটাইজার থাকলেও ক্রেতারা তা ব্যবহার করতে অনীহা প্রকাশ করছে।এছাড়াও অনেক ক্রেতা মুখে মাস্ক ব্যবহার করছে না।

    রবি ফ্যাশানের মালিক রবিউল ইসলাম বলেন, চেষ্টা করছি ক্রেতাদের শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে।

    মনি ফ্যাশানের মালিক ইকবাল হোসেন বলেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের সক্রিয়তায় কোন ধনের অপ্রীতিকর ঘটনা এই পর্যন্ত ঘটেনি। জুতার দোকানের মধ্যে লিবার্টি,সম্রাট,প্রাইম,নাজ,বাটা, পাদুকাভবনে বেচাকেনা চোখে পড়ার মত। তবে অধিকাংশ দোকানে ক্রেতারা সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব মানছেন না।

    তার ওপর পৌরশহরে যাত্রীবাহী ভ্যান, ইজিবাইক, পণ্যবাহী ও ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল বৃদ্ধির কারণে শনিবার সকাল থেকেই সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজটের।

    ফলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহসান উল্লাহ শরিফীর নেতৃত্বে সেনাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পৌরশহরে ঝটিকা অভিযানে নামেন। এসময় সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব না মানায় বেশ কয়েকজন দোকানিকে ভৎর্সনা করা হয়। তবে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা একটু দূরে সরে গেলে আবারও সেখানে ভিড় শুরু হয়।

    এই ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (আহসান উল্লাহ শরিফী) জানিয়েছেন, সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে জনসচেতনতা বৃদ্ধি না পেলে করোনা মোকাবেলায় সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বাস্তবায়ন করা দুরহ।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর