Tag: করোনা

  • পটিয়ার করোনা আক্রান্ত প্রতিবন্ধি শিশুটি মারা গেছে, চট্টগ্রামে মৃতের সংখ্যা ২

    পটিয়ার করোনা আক্রান্ত প্রতিবন্ধি শিশুটি মারা গেছে, চট্টগ্রামে মৃতের সংখ্যা ২

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। পটিয়া প্রতিনিধি || চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় করোনা আক্রান্ত প্রথম রোগী ৬ বছরের প্রতিবন্ধি শিশুটি আর বেঁচে নেই।

    রবিবার দিবাগত রাত আড়াইটান সময় চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয়।

    নিহত আশরাফুল ইসলাম (৬) পটিয়া উপজেলার হাঈদগাঁও ইউনিয়ন ১ নং ওয়ার্ড ওসমান পাড়ার বাসিন্দা খলিলুর রহমান প্রকাশ সজলের ছেলে।

    নিহতের পারিবারিক সুত্র তথ্যটি নিশ্চিত করার পর চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বির কাছে জানতে চাইলে তিনিও মৃত্যুর তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

    শিশুটির মৃত্যুতে চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২ জনে দাড়িয়েছে।

    সিভিল সার্জন বলেন, গতকাল রাত ২টা ১০ মিনিটে তাকে পটিয়া থেকে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়। রাত আড়াইটায় তার মৃত্যু হয়েছে। এখন নিয়ম অনুযায়ী দাফনের ব্যবস্থা চলছে বলেন বলে জানান তিনি।

    এর আগে রবিবার রাত ১০ টার দিকে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জনের ব্রিফিংএ পটিয়া উপজেলায় প্রথম করোনা আক্রান্তের খবরটি জানা যায়। এরপর থেকে পুরো পটিয়াবাসীর মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। উৎকন্ঠায় থাকে নিজ এলাকাবাসীও।

    রাত সোয়া ১২টার দিকে উপজেলা প্রশাসন ও পটিয়া থানা পুলিশের একটি টিম হাঈদগাঁও ইউনিয়নের আক্রান্ত এলাকার অর্ধশত পরিবারকে লকডাউন ঘোষণা করেন।

    করোনা আক্রান্ত প্রতিবন্ধি শিশুটির বাবা রাতে ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজকে জানিয়েছেন, গত ২ মাস আগে ওমান থেকে দেশে ফিরেছেন তার শালারা। কয়েকদিন আগে থেকর তার ছেলের বেশি অসুখ দেখা দিলে গত শনিবার দুপুর বারোটার সময় পটিয়া হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নেওয়া হয়।

    কর্তব্যরত চিকিৎসক করোনা অনুমান করে শিশুটির থেকে স্যাম্পল সংগ্রহ করে। রোববার সন্ধ্যার পরে চট্টগ্রাম স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক করোনা পজেটিভ নিশ্চিত করেন এবং রাতে জেলা সিভিল সার্জনও তার নিয়মিত প্রেস ব্রিফে তা নিশ্চিত করে।

    পটিয়া উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, পটিয়া উপজেলায় করোনা আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হওয়ার পর চট্টগ্রাম থেকে রোববার রাত ১২টার সময় জরুরি ভিত্তিতে ১টি অ্যমবুলেন্স পাঠানো হয়।

    পটিয়া সহকারী কমিশনার ভুমি ইনামুল হক এর উপস্থিতিতে থানান এস আই নুরুল আমিনন, আক্কাস উদ্দিনসহ একদল পুলিশের সহায়তায় আক্রান্ত শিশুটিকে চট্টগ্রামে নিদ্দিষ্ট হাসপাতালে প্রেরন করা হয়।

    চট্টগ্রামে গতকাল ১২ এপ্রিল রবিবার পর্যন্ত মোট ১৪ জন করোনায় আক্রান্ত রোগীর খবর নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক। এরমধ্যে শিশুটিসহ দুজনের মৃত্যু হয়।

    ২৪ঘণ্টা/সঞ্জয় সেন/আর এস পি

  • পটিয়ায় করোনা, আক্রান্ত রোগীটি প্রতিবন্ধি শিশু| লকডাউন অর্ধশত পরিবার

    পটিয়ায় করোনা, আক্রান্ত রোগীটি প্রতিবন্ধি শিশু| লকডাউন অর্ধশত পরিবার

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। পটিয়া প্রতিনিধি || দক্ষিণ চট্টগ্রামের বৃহত্তর উপজেলা পটিয়াতে প্রথম করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছে। সনাক্ত হওয়া রোগীটি ৬ বছরের প্রতিবন্দি শিশু বলে জানা গেছে।

    উপজেলার হাইদগাঁও ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড ওসমান পাড়ার এক প্রবাসীর বাড়িতে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মেলে।

    রবিবার রাত ১০ টার দিকে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জনের ব্রিফিংএ পটিয়া উপজেলায় প্রথম কোবিড-১৯ করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের খবরটি জানার পর থেকে পুরো পটিয়াবাসীর মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। রোগীর নিজ এলাকাবাসীও উৎকন্ঠায় রয়েছেন।

    অবশেষে রাত সোয়া ১২টার দিকে উপজেলা প্রশাসন ও পটিয়া থানা পুলিশের একটি টিম হাঈদগাঁও ইউনিয়নে আক্রান্ত রোগীর বাড়ি ও তার আশে পাশের অর্ধশত পরিবারকে লকডাউন ঘোষণা করেন।পটিয়ায় করোনা

    করোনা আক্রান্ত প্রতিবন্ধি শিশুটির বাবা ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজকে বলেন, গত ২ মাস আগে ওমান থেকে দেশে ফিরেছেন তার শালারা। কয়েকদিন আগে থেকর তার ছেলের বেশি অসুখ দেখা দিলে গত শনিবার দুপুর বারোটার সময় পটিয়া হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নেওয়া হয়।

    কর্তব্যরত চিকিৎসক করোনা অনুমান করে শিশুটির থেকে স্যাম্পল সংগ্রহ করে। রোববার সন্ধ্যার পরে চট্টগ্রাম স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক করোনা পজেটিভ নিশ্চিত করেন এবং রাতে জেলা সিভিল সার্জনও তার নিয়মিত প্রেস ব্রিফে তা নিশ্চিত করে।

    পটিয়া উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, পটিয়া উপজেলায় করোনা আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হওয়ার পর চট্টগ্রাম থেকে রোববার রাত ১২টার সময় জরুরি ভিত্তিতে ১টি অ্যমবুলেন্স পাঠানো হয়।পটিয়া হাঈদগাঁও লকডাউন

    পটিয়া সহকারী কমিশনার ভুমি ইনামুল হক এর উপস্থিতিতে থানান এস আই নুরুল আমিনন, আক্কাস উদ্দিনসহ একদল পুলিশের সহায়তায় আক্রান্ত শিশুটিকে চট্টগ্রামে নিদ্দিষ্ট হাসপাতালে প্রেরন করা হয়।

    রোগীর দাদী প্রতিবেদককে জানান রোববার বিকেল থেকে তাদের নাতীর অবস্থা ভালো ছিলো না।

    পটিয়া সহকারী কমিশনার ভুমি ইনামুল হক জানান, থানা পুলিশের সহায়তায় উপজেলা প্রশাসন উপজেলার হাঈদগাঁও ইউনিয়ন করোনা আক্রান্ত এলাকার অর্ধশত পরিবারকে লকডাউন ঘোষণা করেন।

    এসময় প্রসাশনের পাশাপাশি উপজেলা আ,লীগ নেতা বিএম জসীম এবং উপজেলা যুবলীগ নেতা আবুল হাসনাত ফয়সাল, দঃ জেলা ছাত্রলীগ নেতা মোরশেদুল আলম অভি উপস্থিত ছিলেন।

    চট্টগ্রামে গতকাল ১২ এপ্রিল রবিবার পর্যন্ত মোট ১৪ জন করোনায় আক্রান্ত রোগীর খবর নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক। এরমধ্যে একজনের মৃত্যু হয়।

    ২৪ঘণ্টা/সঞ্জয় সেন/আর এস পি

  • করোনা মহামারী’তে গণমাধ্যম কর্মীদের হাহাকার

    করোনা মহামারী’তে গণমাধ্যম কর্মীদের হাহাকার

    ২৪ ঘণ্টা গণমাধ্যম ডেস্ক। মহসীন কাজী, অতিথি প্রতিবেদক|| করোনা মহামারী’র এই ক্রান্তিকালে সবচে’ কষ্টে আছেন বেশির ভাগ সাংবাদিকসহ গণমাধ্যম কর্মী।

    তাদের অবস্থা এমন তারা নিচেও যেমন নামতে পারছেন না, উপরে উঠার রাস্তাই নেই তাদের। মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণির এই পেশাজীবীদের সিংহভাগই নিজের প্রতিষ্ঠান দ্বারা নিষ্পেষিত।

    অনেক গণমাধ্যমেই টানা বেতন-ভাতা বকেয়া। চলমান মহামারীতেও মালিকপক্ষের মন গলেনি।

    খোঁজখরও নিচ্ছে না। বকেয়া বেতন-ভাতায় কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীদের খবর কেউ নিচ্ছে না। তাদের মধ্যে চলছে চরম হাহাকার।

    এখনই অনেকের পরিবার নিয়ে চলা দায় হয়ে পড়েছে। তাদের নিয়ে ভাবারও কেউ নেই মনে হয়।

    কেউ দাবি নিয়ে আওয়াজ তুললে দায়িত্বশীলরা দাবি বা আহবান জানিয়েই যেন দায়িত্ব শেষ করছেন। যা আইওয়াশ বলেই মনে হয়।

    তাই আসুন আওয়াজ তুলি। তাদের বাধ্য করি, বকেয়া পরিশোধে। নইলে অনাহারির কাতারে যাবেন ভুক্তভোগী গণমাধ্যম কর্মীরা।

    এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নভেল করোনাভাইরাসে সংক্রমিত বলে শনাক্ত হয়েছেন দেশের পাঁচ গণমাধ্যমকর্মী।

    মহসীন কাজী,  বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) যুগ্ম-মহাসচিব।

    ২৪ ঘণ্টা/ রাজীব প্রিন্স

  • বিশ্বব্যাপী করোনা তাণ্ডবের মাঝেও অন্য ভাইরাসের হানা, নিহত ১

    বিশ্বব্যাপী করোনা তাণ্ডবের মাঝেও অন্য ভাইরাসের হানা, নিহত ১

    ২৪ ঘণ্টা স্বাস্থ্য ডেস্ক || প্রাণঘাতী করোনা ভইরাসের তান্ডবে পুরো বিশ্ব যখন দিশেহারা। লাশের পর লাশের রেকর্ড গড়ছে ইউরোপের দেশগুলো ঠিক সেই মুহুর্তে আবারো হানা দিয়েছে আরেক ভাইরাস।

    ইবোলা ভাইরাসের আক্রমণে একজনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১০ এপ্রিল) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) এই তথ্য নিশ্চিত করেছে বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।

    হু জানিয়েছে, কঙ্গোতে নতুন করে ইবোলা হানা দিয়েছে এবং এতে একজন মারা গেছেন। মৃত ব্যক্তি কয়েকটি উপসর্গ নিয়ে সম্প্রতি দেশটির বেনি শহরের একটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।

    বৃহস্পতিবার সকালে ২৬ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি মারা যান।

    প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে ইবোলা প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকে কঙ্গোতেই এতে প্রাণ হারিয়েছেন ২ হাজার ২০০ জন। তবে গেল ৫২ দিন এ ভাইরাসের কোনো সংক্রমণের তথ্য পাওয়া যায়নি।

    ২৪ ঘণ্টা/ আর এস পি

  • নোয়াখালীতে ইতালি ফেরত ব্যক্তির মৃত্যুর ৩দিন পর জানা গেল তিনি করোনা আক্রান্ত

    নোয়াখালীতে ইতালি ফেরত ব্যক্তির মৃত্যুর ৩দিন পর জানা গেল তিনি করোনা আক্রান্ত

    ২৪ ঘণ্টা জেলা সংবাদ || জ্বর শ্বাসকষ্ট নিয়ে ইতালি ফেরত এক প্রবাসীর মৃত্যুর তিনদিন পর তার শরীরে করোনার অস্তিত্ব সনাক্ত হওয়ার খবর জানা গেছে।

    গত বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) ভোরে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রাম থেকে ঢাকায় নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

    ঢাকার কুর্মিটলা জেনারেল হাসপাতালে তার মরদেহ রাখা হয়, পরে সেখান থেকে নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করলে তার শরীরে করোনা পজেটিভ বলে জানা যায়।

    আজ শনিবার (১১ এপ্রিল) সকালে সিভিল সার্জন ডা. মো. মোমিনুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে যারা যারা এসেছে তাদের সনাক্ত করা হচ্ছে। সনাক্ত শেষে প্রত্যেককে কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে। এছাড়া সোনাপুর ইউনিয়নকে লগডাউন করা হয়েছে।

    সিভিল সার্জন কার্যালয় ও নিহতের আত্মীয় স্বজন সূত্রে জানা যায়, ওই ব্যক্তি নভেম্বর মাসে ইতালি থেকে আসেন। মার্চের দিকে তিনি টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় চিকিৎসাধীন ছিলেন।

    সর্বশেষ গত ১০-১২ দিন আগে তার শরীরে পুনরায় জ্বর দেখা দেয় এবং ওই জ্বর তীব্র হয়ে পড়লে পরিবারের লোকজন তাকে পুনরায় ঢাকা পাঠান। তিনি ঢাকা গিয়ে আবার চলে আসেন।

    পরে তাকে গত বুধবার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করলে বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকায় নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।

    পরে তাকে ঢাকার কুর্মিটলা জেনারেল হাসপাতালে রাখা হলে সেখান থেকে তার শরীর থেকে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা নেওয়া হয় এবং শনিবার পরীক্ষার ফলাফলে ওই ব্যক্তির শরীরে করোনা পজেটিভ পাওয়া যায়।

    জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো মোমিনুর রহমান নিহত ওই ব্যক্তির শরীরে করোনা পজেটিভ হওয়ার কথা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, নিহত ব্যক্তি ঢাকায় অনেকের সংস্পর্শে এসেছিল।

    ধারণা করা হচ্ছে ঢাকার কারো দ্বারা তিনি সংক্রমিত হয়েছে। এ ছাড়া তার সংস্পর্শে আসা ডাক্তার, নার্স, স্টাফ ও তার আত্মীয় স্বজনদের সনাক্ত করে তাদের কোয়ারিন্টিনে রাখা হবে এবং নিহত ব্যক্তির মরদেহ ঢাকায় দাফন করা হবে বলেও জানান তিনি।

    ২৪ ঘণ্টা/আর এস পি

  • করোনা’য় সক্রিয় সাইবার অপরাধী, স্মার্টফোন ও কম্পিউটার ব্যবহারে সতর্ক থাকুন

    করোনা’য় সক্রিয় সাইবার অপরাধী, স্মার্টফোন ও কম্পিউটার ব্যবহারে সতর্ক থাকুন

    ২৪ ঘণ্টা প্রযুক্তি ডেস্ক ||  পৃথিবী ব্যাপী মহামারি করোনা ভাইরাসের কবলে অধিকাংশ দেশ এখন লকডাউনে। একই অবস্থা আমাদের বাংলাদেশেও। 

    ফলে গৃহবন্দি মানুষের সময় কাটানোর অন্যতম মাধ্যম স্মার্টফোন ও কম্পিউটার।  তুলনামূলক বেড়েছে ইন্টারনেটের ব্যবহারও।  আর এ সুযোগে সক্রিয় ও ভয়ংকর হয়ে উঠছে সাইবার অপরাধীরা।

    কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম অফ ইন্ডিয়া (CERT-In) এর তরফে বলা হয়েছে, করোনার কারণে এখন সবাই বাড়ি থেকেই কাজ করছে। কিন্তু অফিসের ডিভাইসের তুলনায় বাড়ির ডিভাইসের প্রটেকশন কম থাকে।

    আর সেকারণেই সাইবার অপরাধীরা এই সময়ের ফায়দা নিতে চাইছে। তারা মানুষের স্মার্টফোনে বা কম্পিউটারে ভাইরাস, স্পাইওয়্যার ও রেনসমওয়্যার ঢুকিয়ে দিয়ে ডেটা চুরি, অর্থ চাওয়ার মত কাজ করছে।

    কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম অফ ইন্ডিয়া একারণে সবাই কে সতর্ক থাকতে বলেছে। এছাড়াও কয়েকটি উপদেশ দিয়েছে। আসুন এই উপদেশগুলি জেনে নিই।

    # অ্যাপ ইনস্টল : অফিসিয়াল অ্যাপ স্টোর ছাড়া অন্য কোনো স্টোর থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করবেন না। কারণ বাইরের অ্যাপে সুরক্ষা সংক্রান্ত প্রশ্ন থেকে যায়। কোনো থার্ড পার্টি সোর্স কে আপনার ফোনের কিছুর পারমিশন দেবেন না।

    # ফিসিং স্ক্যাম : এইসময় এই স্ক্যাম খুব বেড়েছে। তাই ফোনে আসা কোনো লিংকে একদম ক্লিক করবেন না। আগে সেই লিংক সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে তবে ক্লিক করুন। নচেৎ এই লিংকের মাধ্যমে আপনার ফোন হ্যাক হতে পারে।

    # পাসওয়ার্ড : কোনো ওয়েবসাইটে পাসওয়ার্ড সেভ রাখবেন না। অনেক ওয়েবসাইট থাকে যারা লগইন এর ঝঞ্ঝাট দূর করতে পাসওয়ার্ড সেভ রাখতে বলে। তবে এটি কোনো সুরক্ষিত পদ্ধতি নয়।

    ২৪ঘণ্টা/ আর এস পি

  • বাতাসে কিভাবে করোনা ভাইরাস ছড়ায়!

    বাতাসে কিভাবে করোনা ভাইরাস ছড়ায়!

    ২৪ ঘণ্টা প্রযুক্তি ডেস্ক || বিশ্বব্যাপী মহামারীতে রুপ নেওয়া নতুন করোনা ভাইরাস কিভাবে বাতাসে ছড়ায়, আদৌ কি তা সম্ভব কিনা তা জানতে বিশ্বব্যাপী গবেষণায় ব্যস্ত একদল গবেষক।

    ২০০২–২০০৩ সালে সংক্রমণ ছড়ানো সার্স–করোনা ভাইরাস মানবদেহের বাইরে যতক্ষণ টিকে থাকতে পারে, নতুন করোনাভাইরাসটিও কি ততক্ষণই টিকে থাকতে পারে কিনা সেটিই দেখছেন গবেষণায় বিজ্ঞানীরা।

    হাঁচি-কাশির মাধ্যমে কীভাবে কোনো ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাসের অঞ্চল ছেড়ে ছোট ছোট ভাইরাল কণা ছড়িয়ে পড়ে, এর মডেল তৈরিতে সুপার কম্পিউটার ব্যবহার করেছে ফিনল্যান্ডের বিজ্ঞানীরা।

    তারা কীভাবে মুদি দোকানের কাঠামোর মতো ইনডোরে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বায়ুবাহিত ভাইরাস কণা ছড়িয়ে পড়ে, এর মডেল তৈরি করেছেন।

    তারা দাবি করেছেন, তাদের তৈরি এ মডেল নতুন করোনাভাইরাস কীভাবে ছড়ায়, আমাদের তা আরও ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করবে। লাইভ সায়েন্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

    গবেষণাটির জন্য ফিনল্যান্ডের আলটো ইউনিভার্সিটি, ফিনিশ মেটেরোলজিক্যাল ইনস্টিটিউট, ভিটিটিস টেকনিক্যাল রিসার্চ সেন্টার ও হেলসিঙ্কি ইউনিভার্সিটির একটি যৌথ গবেষক দল কাজ করেছে।

    গবেষণা কাজে তারা এমন একটি কৃত্রিম দৃশ্য তৈরি করেছে, যেখানে দোকানের দুই তাকের মাঝে কোনো ব্যক্তি হাঁচি-কাশি দিলে সেখানকার বায়ু চলাচলের বিষয়টি হিসাবের মধ্যে আনা যায়।

    ফ্লুইড ডায়নামিকস নিয়ে গবেষণাকারী আলটো ইউনিভার্সিটির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক উইল ভুরিনেন এক বিবৃতিতে বলেন, করোনাভাইরাস ছড়ানোর মডেল নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে তারা দেখেছেন কোনো ব্যক্তির কাশির সময় তার চারপাশে অ্যারোসল ‘মেঘ’ তৈরি হয়ে ছড়িয়ে পড়ে এবং ধীরে ধীরে তা ছড়িয়ে পড়ে ও মিশে যায়।

    তবে এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে কয়েক মিনিট সময় লাগে। এই সময়ের মধ্যে ওই ঘনীভূত মেঘের মতো এলাকা দিয়ে কেউ হেঁটে গেলে তত্ত্ব অনুযায়ী এসব ভাইরাস কণা তার শ্বাসের সঙ্গে ঢুকে পড়ে।

    ভুরিনেন বলেন, করোনাভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত কেউ কাশি দিয়ে চলে যেতে পারে, তবে তবে তিনি করোনা ভাইরাস বহনকারী অত্যন্ত ছোট অ্যারোসোল কণাকে পেছনে রেখে যান।  এসব কণা আশপাশের অন্যদের শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে ঢুকে যেতে পারে।

    গবেষণার ভিত্তিতে ফিনল্যান্ডের গবেষকেরা এখন মানুষজনকে যেসব এলাকায় বেশি জনসমাগম হয় এবং অন্দরের যেসব জায়গায় বেশি লোকজন চলাচল করে, সেগুলো এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন।

    গবেষকেরা ২০ মাইক্রোমিটারের চেয়ে ছোট অ্যারোসোল কণার গতিবিধির মডেল তৈরি করেছেন, যাতে এত ক্ষুদ্র কণাও আছে, যা বাতাসে ভেসে থাকতে পারে এবং কোনো পৃষ্ঠে পড়ার চেয়ে বায়ুপ্রবাহের সঙ্গে চলাচল করে।

    গবেষকেরা বলছেন, তাদের তৈরি মডেলটি আরও উন্নত করতে কাজ করবেন এবং বায়ুতে চলাচলকারী কণার চলাচল আরও ভালোভাবে বুঝতে ভিজুয়ালাইজেশন প্রক্রিয়াও উন্নত করবেন।

    ২৪ঘণ্টা/ সুত্র সময় টিভি

  • করোনায় মিরসরাইয়ের একব্যক্তির মৃত্যু

    করোনায় মিরসরাইয়ের একব্যক্তির মৃত্যু

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। মিরসরাই প্রতিনিধি: করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাজ্যে মিরসরাইয়ের একজন প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে( ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নাইলাইহি রাজিউন)। নিহতের নাম নুর উদ্দিন আহমেদ বাদল (৬০)।

    আজ শুক্রবার (১০ এপ্রিল) বিকালে পারিবারিক ভাবে তার নিহতে খবরটি নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিন আহমদের বড় ভাই। মিরসরাই উপজেলায় প্রথম ব্যাক্তি হিসেবে করোনায় দেশের বাইরে মারা গেলেন।

    নিহত বাদল মিরসরাই থেকে দুইবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন বলে পারিবারিক সুত্র জানায়।

    নুর উদ্দিন আহমদের ছোট ভাই সালাউদ্দিন আহমেদ ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজকে বলেন, আমার বড় ভাই দীর্ঘদিন ধরে পরিবার নিয়ে যুক্তরাজ্যে বসবাস করেন। সেখানে তিনি ব্যবসা বানিজ্য করতেন।

    আজ শুক্রবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যাওয়ার খবর আসে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ২ ছেলে ১ মেয়ে রেখে গেছেন।

    নুর উদ্দিন বাদল মিরসরাই উপজেলার ১২ নং খৈয়াছড়া ইউনিয়নের মসজিদিয়া ছরারকুল এলাকার সাবেক বন কর্মকর্তা মরহুম মুনছুর আহমেদ ফরেস্টারের দ্বিতীয় পুত্র।

    ২৪ঘণ্টা/আশরাফ উদ্দিন

  • করোনা মোকাবেলায় যশোরের মথুরাপুর গ্রামে নানা উদ্যোগ গ্রহণ

    করোনা মোকাবেলায় যশোরের মথুরাপুর গ্রামে নানা উদ্যোগ গ্রহণ

    মেহেদী হাসান,চবি প্রতিনিধি,যশোর থেকেঃ সারাবিশ্বে জালের মতো ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাস। করোনাভাইরাসের প্রকোপ থেকে বাচার জন্য নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে যশোর জেলার সদর উপজেলার কচুয়া ইউনিয়নের মথুরাপুর গ্রামবাসী।

    বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল)মথুরাপুর গ্রামের যুব সমাজের উদ্যোগে প্রতিটি বাড়িতে ছিটানো হয় জীবাণুনাশক। সকাল ৯ টা থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়ে শেষ হয় বেলা ১২ টায়।

    এসময় হ্যান্ডমাইক এর মাধ্যমে পুরো গ্রামে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সচেতনতার সৃষ্টি করা হয়। এসময় সকলকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পাশাপাশি বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা, বিনা কারণে বাড়ির বাইরে না যাওয়া ও আত্মীয় স্বজনরা যেন এ সংকটময় সময়ে না আসে সে ব্যাপারে সচেতনতার সৃষ্টি করা হয়।

    গ্রামবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, গ্রামের তিনটা প্রধান সড়কে বাশ দিয়ে ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছে।

    বাইরে থেকে কেউ গ্রামে প্রবেশ করলে তার সারা শরীরে ছিটানো হচ্ছে জীবাণুনাশক একই সময় তাদের সচেতনও করা হচ্ছে এবং গ্রামে বাইরে থেকে আসা কোনো ব্যক্তির অবস্থান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গ্রামের বাসিন্দারাও গ্রামের বাইরে বিনা কারণে যেতে পারবেন না।

    মথুরাপুর গ্রামের বাসিন্দা সোহানুর রহমান শিমু বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবেলার জন্য আমরা সারা গ্রামে জীবাণুনাশক ছিটিয়েছি।

    বাইরে থেকে যেন কেউ এই ভাইরাস নিয়ে প্রবেশ না করতে পারে তার জন্য আমরা তিনটি স্থানে চেক পয়েন্ট বসিয়ে গ্রামে প্রবেশরতদের গায়ে জীবাণুনাশক ছিটাচ্ছি। আশা করছি এইসব পদক্ষেপের মাধ্যমে গ্রামের মানুষকে নিরাপদে রাখতে পারবো। বাংলাদেশের প্রতিটা গ্রামে এমন পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ।

  • খাটিয়াও মেলেনি করোনা উপসর্গে নিহতের! ২ ভাই ও পিতা লাশ কাঁধে নিয়ে করলেন দাফন

    খাটিয়াও মেলেনি করোনা উপসর্গে নিহতের! ২ ভাই ও পিতা লাশ কাঁধে নিয়ে করলেন দাফন

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি ]  সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বক্তারপুর গ্রামে জ্বর, সর্দি, শ্বাসকষ্ট নিয়ে মারা যাওয়া যুবকের মরদেহ দাফনে পাশে ছিলোনা কোন স্বজন কিংবা গ্রামবাসী।

    এমনকি মরদেহ দাফনে ব্যবহার করতে দেয়া হয়নি মসজিদের লাশ বহনের খাটিয়া। তাছাড়া দাফনের আগে মৃতের গোসল করাতেও দেয়া হয়নি।

    ফলে সাদা কাফনের কাপড়ে মোড়ানো সালাম মিয়ার লাশ খাটিয়া ছাড়াই বাবা ও দুই ভাই কাঁঁধে করে কবরস্থানের নিয়ে যায়। সেখানে তারা তিনজনেই কবরস্থ করেছেন। এমন হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ঘটে গতকাল বৃহস্পতিবার।

    ওই দিন রাতে সাদা কাফনের কাপড়ে মোড়ানো লাশ খাটিয়া ছাড়া তিন ব্যক্তি কবরস্থানের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন এমন একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এর পর থেকেই এ ঘটনা নিয়ে দেশব্যাপী তোলপাড় শুরু হয়।

    উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাতে করোনার উপসর্গ নিয়ে বক্তারপুর গ্রামে মো. সালাম (২২) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর মৃত ব্যক্তির বাড়িসহ আশপাশের ১০ বাড়ি লকডাউন করে প্রশাসন।

    মৃতের পরিবারের অভিযোগ, সালামের করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করার পর মরদেহ গোসল না করিয়ে দাফনের ব্যবস্থা করেন স্বাস্থ্য বিভাগসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

    এ সময় মৃত সালামের বাবা-মা ছেলের লাশ গোসল করানোর উদ্যোগ নিলে স্বাস্থ্য বিভাগসহ প্রশাসনের লোকজন তাতে বাধা দেন। তারা মৃতের শরীরে এক ধরনের পাউডার ও কাফনের কাপড় পরিয়ে দিয়ে লাশ প্যাকেটিং করে দেন।

    মৃতের পরিবারের অভিযোগ, লাশ কবরে নেয়ার জন্য গ্রামের মসজিদ থেকে খাটিয়া আনতে গেলে ইউপি মেম্বার শরিফ উল্লাহসহ মসজিদ কর্তৃপক্ষ তাদের খাটিয়া আনতে দেননি।

    এমনকি গ্রাম থেকে অনেক কষ্টে একটি খাটিয়া সংগ্রহ করলেও সে খাটিয়া ব্যবহার করতে দেননি ইউপি মেম্বারসহ স্থানীয় প্রভাবশালীরা।

    পরে উপায়ন্তর না দেখে মৃতের বাবা জবুল মিয়া এবং তার দুই ভাই খালিক মিয়া ও আলীনূর মিয়া নিজেদের কাঁধে লাশ তুলে খাটিয়া ছাড়াই মরদেহ গ্রাম্য কবরস্থানে নিয়ে যান এবং সেখানে তার দাফন সম্পন্ন করেন।

    মৃত সালামের মা সালেমা বেগম বলেন, আমার ছেলে মারা গেল কিন্তু গ্রামের কেউ এগিয়ে আসেনি। আমি পানি এনে দিলেও তারা আমার ছেলের গোসল করাননি। আমার ছেলের মরদেহে কেউ হাত দেননি। সব কিছু তার বাবা ও ভাইয়েরা মিলেই করেছে।

    স্থানীয় মেম্বার আমার ছেলেকে খাটিয়ায় তুলতে দেননি। মসজিদের খাটিয়া ব্যবহার করতে দেয়া হয়নি। রিপোর্টে যদি আমার ছেলের করোনা না হয়, তা হলে আমার দাবি থাকবে– ছেলের মরদেহ আবার উত্তোলন করে যেন শরিয়ত অনুযায়ী দাফন-কাফন করানো হয়।

    এদিকে মৃতের পরিবাবের এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলছে মসজিদ কমিটি, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যরা।

    স্থানীয় ইউপি সদস্য শরিফ উল্লাহ বলেন, যা সিদ্ধান্ত হয়েছে, সবই সরকারি ও পঞ্চায়েতের নির্দেশ অনুযায়ী হয়েছে। পঞ্চায়েতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নিয়ে আসা খাটিয়া ফেরত নেয়া হয়। আমি তাদের সঙ্গে কোনো খারাপ ব্যবহার করিনি।

    দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন সুমন বলেন, করোনা উপসর্গ নিয়ে যাওয়া ব্যক্তির মরদেহ অন্য কেউ হাত দেয়নি। আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজনের তদারকিতে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়।

    দোয়ারাবাজার থানার ওসি আবুল হাশেম বলেন, মরদেহ দাফনের সময় দোয়ারা থানার পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। বর্তমান স্বাস্থ্য বিধি ও শরিয়ত বিধি মেনেই তার লাশ দাফন করা হয়েছে। এখানে তার পরিবারের কেউ লাশে হাত দেননি।

    এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোনিয়া সুলতানা বলেন, আমিও বিষয়টি জেনেছি। ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য আমি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করব। রিপোর্ট হাতে আসার পর সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    এদিকে বৃহস্পতিবার ওই যুবকের করোনা নমুনা সংগ্রহের রিপোর্ট প্রকাশ করেছে সিলেট করোনাভাইরাস ল্যাব কর্তৃপক্ষ। সেখানে তার করোনা নেগেটিভ এসেছে বলে জানা গেছে।

    ২৪ ঘণ্টা/ আর এস পি

  • করোনা: গার্মেন্টস মালিকের মৃত্যু

    করোনা: গার্মেন্টস মালিকের মৃত্যু

    প্রাণঘা‌তী করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণে প্রিন্স গার্মেন্টসের চেয়ারম্যান মো. তাসলিম আক্তার মারা গেছেন।

    বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৩টায় কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে চি‌কিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

    বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি রুবানা হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তাসলিম আক্তারের জানাজা এবং দাফন-কাফন সরকারি নিয়মে করা হবে বলে জানান তিনি।

  • করোনা : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মারা গেছে এক নারীসহ আরও ৮ বাংলাদেশি

    করোনা : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মারা গেছে এক নারীসহ আরও ৮ বাংলাদেশি

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউরোপের পর করোনার মৃত্যুপুরী যুক্তরাষ্ট্রে আবারও বেড়েছে সংক্রমণ ও প্রাণহানির সংখ্যা। দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১ হাজার ২৫৫ জন মারা গেছেন।

    এর মধ্যে এক নারীসহ ৮ জন বাংলাদেশি প্রাণ হারায়েছেন। দেশটিতে এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১১ হাজার ছুঁই ছুঁই। আক্রান্ত সাড়ে ৩ লাখ ছাড়িয়েছে।

    জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন ও বিশ্বখ্যাত ওয়ার্ল্ডোওমিটার জানিয়েছে, দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ হাজার ৩৩১ জন।

    এর মধ্যে করোনার সবচেয়ে ভয়াবহ রূপ দেখছে নিউ ইয়র্ক। যদিও শহরটিতে গত দুই দিনের তুলনায় গত একদিনে সেখানে কম সংখ্যা ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তারপরও নতুন ৩৫০ জনসহ প্রাণহানি বেড়ে হয়েছে ৪ হাজার ৭৫৮ জনে।

    সোমবার ৮ বাংলাদেশির মধ্যে নিউইয়র্কে সাত পুরুষ ও মিশিগানে একজন নারী মারা গেছেন।প্রাণঘাতী করোনায় এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে মোট ৮৬ বাংলাদেশি প্রাণ হারালেন। তাদের মধ্যে নিউইয়র্কে ৮১ জন, নিউজার্সিতে চার ও মিশিগানে একজন।

    জানা গেছে, নর্থ ব্রঙ্কস সেন্টাল হাসপাতালে সোমবার সকালে মারা যান ব্রঙ্কসের বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা ডা. ইফতেখার উদ্দিন কাঞ্চন। ৬৭ বছরের এই চিকিৎসক ছিলেন নিউইয়র্ক সিটি স্বাস্থ্য বিভাগের মহামারী রোগ বিশেষজ্ঞ।

    এদিকে এই মহামারীর সঙ্গে লড়াই করে এদিন ভোরে এলমহাস্ট্র হাসপাতালে মারা যান বাংলাদেশ সোসাইটির কার্যকরী সদস্য ও যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আজাদ বাকের।

    জেএফকে টার্মিনাল ৫-এর এয়ারওয়ে কর্মরত জ্যামাইকার বাসিন্দা মোহাম্মদ আজাদুর রহমান মারা গেছেন জ্যামাইকা হাসপাতালে। আজাদুরের বড় ভাই ম্যানহাটনের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে আইসিইউতে রয়েছেন।

    দুপুরে মারা যান ব্রঙ্কসের বাসিন্দা কুষ্টিয়া জেলা সমিতির উপদেষ্টা আফতাব উদ্দিন (৭১)। ভোরে ওজন পার্কে মারা যান ৭৭ বছর বয়সী বাবুল মিয়া।

    ব্রুকলিনে মারা যান বেগমগঞ্জ ওয়েল অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক। ষাটোর্ধ্ব আবুল ফাররাহও মারা গেছেন ব্রুকলিনে।

    এদিন দুপুরে মিশিগানের হ্যামট্রামিক সিটিতে করোনায় আক্রান্ত এক প্রবীণ বাংলাদেশি নারী (৭৩) মারা যান।

    নিউইয়র্কে করোনায় আক্রান্ত বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি সংকটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন চিকিৎসকও রয়েছেন।

    প্রসঙ্গত করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্র প্রথমে পাত্তা না দিলেও এখন পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে। দিন দিন অবস্থার অবনতি হচ্ছে। ক্রমাগত বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। এখন পর্যন্ত শুধু নিউইয়র্কে মারা গেছে ৪ হাজার ৭৫৮ জন।

    ২৪ ঘণ্টা/ আর এস পি