Tag: কর্ণফুলী

  • কর্ণফুলীর তীরে তৈরি হবে খেলার মাঠ ও বিনোদন স্পট

    কর্ণফুলী নদীর তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে নগরবাসীর জন্য নতুন করে তৈরি করা হবে বিনোদন স্পট-পার্ক। কর্ণফুলী নদীর তীরবর্তী খাস জমিতে গড়ে তোলা হবে খেলার মাঠ।

    চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তীরবর্তী উন্মুক্ত সরকারি খাস জমিতে অপদখল ও নদী দূষণ প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুশাসন বাস্তবায়নে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এবং জেলা প্রশাসনের এর যৌথ উদ্যোগে পার্ক ও খেলার মাঠ নির্মাণ হবে।

    বুধবার (১২ জুলাই) সকাল ১১ টায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, ফিরিঙ্গিবাজার এলাকায় জেলা প্রশাসন কর্তৃক প্রস্তাবিত স্থান পরিদর্শন করেন।কর্ণফুলী,খেলার মাঠ,বিনোদন স্পট

    জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান এ সময় চসিক মেয়রকে কর্ণফুলী নদীর তীরবর্তী খাস জমিতে সবুজ বিস্তীর্ণ পার্ক ও খেলার মাঠ নির্মাণের ক্ষেত্রে সহযোগিতার আহ্বান জানান।

    এসময় মেয়রের কাছে স্থানীয় কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিগণ এ এলাকার জনগণের দীর্ঘদিনের দাবি হিসেবে খেলার মাঠ ও পার্ক গড়ে তোলার কার্যক্রমকে সাধুবাদ জানান।

    দ্রুত সময়ে এ কার্যক্রমের বাস্তবায়ন যেনো চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন করে, এজন্য মেয়র মহোদয়কে উপস্থিত এলাকাবাসী দাবি জানান।

    চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, জেলা প্রশাসনের খাস জমিতে কর্ণফুলী নদী সুরক্ষিত রেখে নদীর সৌন্দর্য উপভোগের জন্য এবং শিশু-কিশোরদের খেলাধুলার সুযোগ করে দিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিস্তীর্ণ সবুজ পার্ক ও খেলার মাঠ গড়ে তোলা হবে। এখানে পার্ক, বিনোদনের যাবতীয় উপকরণ ও ওয়াকওয়ে করতে যত অর্থায়ন লাগুক, তা সিটি করপোরেশন করবে।

    জেলা প্রশাসক চট্টগ্রাম আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, আর.এস জরীপ থেকে শুরু করে হাল বিএস জরীপে কর্ণফুলী নদী তীরবর্তী খাস জমিতে অবৈধ দখল প্রতিরোধে নদী তীরবর্তী উন্মুক্ত জমিতে পার্ক ও খেলার মাঠ গড়ে তোলা হবে। উন্মুক্ত গ্রীণ জোন ও পার্কটি নগরবাসীর চিত্ত বিনোদনের জন্য একটা বিশেষ আকর্ষণ হবে।

    জেলা প্রশাসনের রেকর্ডীয় সরকারি খাস জমিতে নগরবাসীর চিত্ত বিনোদনের চাহিদা পূরণ করতে; কর্ণফুলী নদীর অপার সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগ করে দিতে এবং শিশু-কিশোরদের খেলাধুলার সুযোগ সৃষ্টিতে এ উদ্যোগ নিয়েছি।এতে করে নদী তীরবর্তী উন্মুক্ত এই জায়গাটি অপদখলের হাত থেকে রক্ষা পাবে।

  • কর্ণফুলীতে জমি নিয়ে বিরোধে প্রতিপক্ষের হামলায় মা-ছেলে নিহত

    কর্ণফুলীতে জমি নিয়ে বিরোধে প্রতিপক্ষের হামলায় মা-ছেলে নিহত

    চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে জমি নিয়ে বিরোধে মা-ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে উপজেলার শিকলবাহা ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইসমত হাজীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

    নিহতরা হলেন – ওই এলাকার মো. তৈয়বের স্ত্রী হোসনেরা বেগম (৫৫) ও তার ছেলে পারভেজ (২৩)। বিষয়টি নিশ্চিত করছেন চট্টগ্রাম মেডিকেলের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরুল আলম আশেক।

    স্থানীয়রা জানান, মো. তৈয়ব ও মো. আলীর পরিবারের মধ্যে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছিলো। আজ সন্ধ্যা ৬টার দিকে এ নিয়ে আবারও তাদের সঙ্গে তর্কে লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে আলীর পরিবার ধারালো অস্ত্র নিয়ে তৈয়বের পরিবারের সদস্যদের ওপর আক্রমণ করে। এলোপাতাড়ি আঘাতে তৈয়বের স্ত্রী হোসনেরা বেগম ও তার সন্তান মো. পারভেজ গুরুতর আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মিতা ঘোষনা করেন।

    শিকলবাহা দুই নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মো. আজাদ বলেন, দীর্ঘদিন জমি নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ চলছিল সেটা বেশ কয়েকবার আমরা সমাধানের চেষ্টা করেছি এখন শুনলাম মা ছেলে খুন হয়েছে। আমি মেডিকেলে যাচ্ছি বিস্তারিত ওখান থেকে এসে জানাব।

    শিকলবাহা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মোবারক হোসেন বলেন, এর আগে একটা মারামারির মামলা ছিল ওই মামলায় তিনজনের মধ্যে একজন পলাতক ছিল আমাদের কাছে খবর ছিল সে বাসায় আসছে তখন আমরা বাড়িতে গেয়ে তল্লাশি করলেও তাঁকে পায়নি তবে আমরা চলে আসার পর শুনলাম মারামারি লাগছে।

    কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ বলেন, মারামারির ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছে এখন আমরা ঘটনাস্থলে আছি।

  • কর্ণফুলীতে ৯৩ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ, আটক ১

    কর্ণফুলীতে ৯৩ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ, আটক ১

    চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানা এলাকা থেকে ৯৩ হাজার ৪০০টি ইয়াবাসহ মো. আব্দুর রহিম (৩০) নামে এক যুবককে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। জব্দকৃত ইয়াবার মূল্য দুই কোটি ৮০ লাখ টাকা। আজ মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবছার।

    এর আগে গতকাল সোমবার বেলা ২টার দিকে কর্ণফুলী থানার বৈরাগ এলাকা থেকে রহিমকে আটক করা হয়। তিনি একই উপজেলার বদলপুরা এলাকার মো. ইলিয়াসের ছেলে।

    র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবছার জানান, বৈরাগ এলাকায় একটি বাসায় ইয়াবা মজুদের খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে রহিমকে আটক করা হয়। পরে তার খাটের নিচে দুটি বস্তায় বিশেষ কৌশলে লুকানো ৯৩ হাজার ৪০০ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়।

    তিনি আরও জানান, আব্দুর রহিম দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজার থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে নগরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাচার করতেন। আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

  • কর্ণফুলীতে পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন

    কর্ণফুলীতে পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন

    চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় চাঁদা না পেয়ে দুগ্ধ খামার ব্যবসায়ীর উপর হামলার ঘটনায় আদালতে ৫ জনের নামোল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরো বেশ কয়েক জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন হামলার শিকার ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান। গত ২৫ সেপ্টেম্বর শহরে যাওয়ার পথে প্রকাশ্যে দিবালোকে জুলধা পাইপের গোড়া বাজারের ঘোড়া মার্কেটের সামনে মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এদিকে ভুক্তভোগী পরিবারকে মামলা তুলে নিতে প্রাননাশের হুমকি দিচ্ছে বলে জানা গেছে।

    তবে চাঁদাবাজির কথা অস্বীকার করে অভিযুক্ত শাহনুর বলেন, আব্দুর রহমানের সাথে আমার বড়ভাই আলী আহমদের গরুর ব্যবসা রয়েছে।

    ব্যবসায়িক সূত্রে আব্দুর রহমানের কাছে আমার ভাইয়ের পাওয়া টাকা খুঁজতে গেলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মারামারির ঘটনা ঘটে। ঘটনাকে অন্য দিকে মোড় দিতে আব্দুর রহমান ও তার ভাই এসব রটাচ্ছে।

    এদিকে আসামীদের গ্রেফতারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার। ২ অক্টোবর বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান ব্যবসায়ী আবদুর রহমানের পুত্র রিয়াদ আহমেদ।

    লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার বাবা দীর্ঘদিন ধরে দুগ্ধ ফার্ম ব্যবসা করে আসছেন। বিভিন্ন সময়ে এলাকার কিশোর গ্যাং লিডার আলী আহমদ, মো. মামুন, সাঈদ হোসেন, শাহ নুর ও খোকন বিভিন্ন সময়ে চাঁদা দাবি করে আসছে।

    কিন্তু আমার বাবা আবদুর রহমান চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে শহরে যাওয়ার পথে আমার বাবার উপর হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে। এসময় হামলাকারীরা আমার বাবার কাছ থেকে নগদ ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।

    তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম আদালতে মামলা দায়ের করার পর আসামিরা আরো বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিয়ে আসছে। মামলা তুলে না নিলে পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে এলাকায় মহড়া দিচ্ছে। এমতাবস্থায় আমার বাবা ও আমাদের পরিবার প্রচন্ড নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

    তাই এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী কিশোর গ্যাং লিডারদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে স্থানীয় সংসদ সদস্য ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি, পুলিশ কমিশনার, কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ সংস্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট আবেদন জানাচ্ছি।

    সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন হামলার শিকার ব্যবসায়ী আবদুর রহমান, তার স্ত্রী রোকসানা বেগম রানী, রিজভী আহমদ ও ভাই ইঞ্জিনিয়ার এম এ মালেক প্রমুখ।

    ২৪ঘণ্টা/জেআর

  • কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, ভোট গ্রহণ ২ নভেম্বর

    কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, ভোট গ্রহণ ২ নভেম্বর

    কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি) মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনের উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তফসিল ঘোষণা করেন।

    বিষয়টি নিশ্চিত করে কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবদুল শুক্কুর জানান, এ উপজেলায় চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের লক্ষ্যে তফসিলে আগামী ২ নভেম্বর ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।

    ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ৬ অক্টোবর, বাছাই ১০ অক্টোবর, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিন ১৭ অক্টোবর। এরআগে ২০১৭ সালের ২০ আগস্ট উপজেলা গঠনের প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

    চারটি ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে গঠিত কর্ণফুলী উপজেলাকে গত ১৬ আগস্ট ৮টি ইউনিয়নের রূপান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ৯ মে ২০১৬ কর্ণফুলী উপজেলার পথচলা শুরু। এর আয়তন ৫৫ দশমিক ৩৬ বর্গকিলোমিটার। প্রায় সাড়ে তিনশ কোটি টাকা ব্যয়ে সরকার কর্ণফুলী উপজেলা কমপ্লেক্স নির্মাণ করছে। সরকারের নানা উন্নয়ন নীতি এবং ভূমিমন্ত্রী ও স্থানীয় সাংসদ সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের প্রচেষ্টায় বদলে যাচ্ছে কর্ণফুলী নদীর তীরের এই উপজেলা।

  • হালদা-কর্ণফুলী নদী থেকে ৩ হাজার মিটার জাল জব্দ

    হালদা-কর্ণফুলী নদী থেকে ৩ হাজার মিটার জাল জব্দ

    হালদা-কর্ণফুলী নদীর কালুরঘাটে অভিযান চালিয়ে ৩ হাজার মিটার ভাসান জাল জব্দ করেছে নৌ-পুলিশ।

    গতকাল ১১ আগস্ট, বুধবার সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হয়।

    বিষয়টি নিশ্চিত করে সদরঘাট নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম মিজানুর রহমান বলেন, কালুরঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২টি সুতার ভাসান জাল উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত জাল প্রতিটির দৈর্ঘ্য আনুমানিক দেড় হাজার মিটার করে মোট ৩ হাজার মিটার। ভেজা থাকায় জালগুলো আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা সম্ভব হয়নি। সেগুলো হালদা অস্থায়ী নৌ পুলিশ ক্যাম্পে রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে জালগুলো ধ্বংস করা হবে। হালদার মোহনায় অবৈধ মাছ শিকারের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

    এন-কে

  • কর্ণফুলীতে ইয়াবাসহ পিবিআইয়ের এসআই গ্রেফতার

    কর্ণফুলীতে ইয়াবাসহ পিবিআইয়ের এসআই গ্রেফতার

    চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানা এলাকা থেকে ১১ হাজার ৫৬০ পিস ইয়াবাসহ মো. মাসুদ রানা নামে পুলিশের এক উপ-পরিদর্শককে (এসআই) গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।

    রোববার (২৭ জুন) দুপুরে থানার পটিয়া ক্রসিং ভেল্লাপাড়া এলাকায় একটি প্রাইভেটকারে তল্লাশি করে তাকে ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়।

    মো. মাসুদ রানা কক্সবাজার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) এসআই হিসেবে কর্মরত আছেন। এর আগে তিনি চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশে কর্মরত ছিলেন।

    বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ।

    তিনি বলেন, ‘গতকাল (রোববার) দুপুরে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ভেল্লাপাড়া এলাকায় একটি প্রাইভেটকারে অভিযান চালিয়ে কক্সবাজার পিবিআইয়ে কর্মরত এক এসআইকে ইয়াবাসহ গ্রেফতার করে র‍্যাব। পরে একইদিন রাতে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করে তাকে থানায় হস্তান্তর করে র‍্যাব।’

    ওসি দুলাল মাহমুদ আরও বলেন, ‘আজ (সোমবার) তাকে মাদক মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।’

  • কর্ণফুলীর পাড় লিজ দিয়ে শিল্প-কারখানা নির্মাণ করা যাবে না: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

    কর্ণফুলীর পাড় লিজ দিয়ে শিল্প-কারখানা নির্মাণ করা যাবে না: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

    স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমান বন্দর থেকে মহানগরী পর্যন্ত কর্ণফুলী নদীর পাড় লিজ দিয়ে কোনো ধরনের শিল্প কল-কারখানা নির্মাণ করতে দেয়া হবে না। চট্টগ্রামকে দেশের অর্থনীতির প্রাণ ও চট্টগ্রাম শহরকে নিয়ে অবহেলা করার কোনো সুযোগ নেই । চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে চলমান ৯ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প তদারকির জন্য বিভাগীয় কমিশনারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি চট্টগ্রামের মেয়রসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করবেন।

    শনিবার (২৬ জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন, কর্ণফুলী নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি, দখল ও দূষণ রোধে গৃহীত কার্যক্রম পর্যালোচনার লক্ষ্যে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, নদীর পাড়ে এসব অবকাঠামো নির্মাণ করা হলে নদী দখল ও দূষণ বাড়বে। পরিবেশ এবং কর্ণফুলী নদীর স্বকীয়তা ও সৌন্দর্য নষ্ট হবে। যা কোনো অবস্থাতেই করতে দেয়া হবে না। কারণ এই নদীর সাথে চট্টগ্রাম বন্দর ও দেশের অর্থনীতির স্বার্থ জড়িত। কর্ণফুলী নদীর দখল ও দূষণের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন তিনি।

    মো.তাজুল ইসলাম জানান, চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাধ্যমে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে তা শিগগিরই শেষ হবে। আর কাজ শেষ হলে নগরবাসী এর সুফল পাবে। প্রকল্পে কোনো ত্রুটি থাকলে সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদি পাওয়া যায় তাহলে অবশ্যই সংশোধন করা হবে। এজন্যই একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

    চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতার জন্য নালা-নর্দমা ভরাট, খালে ময়লা আবর্জনা ফেলা এবং মানুষের অসচেতনতা দায়ী উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, যারা এ সমস্ত খাল ও জলাশয় দখল করে অবকাঠামো নির্মাণ করেছেন তাদেরকে সেসব সরিয়ে নিতে হবে। অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সতর্ক করেন।

    চট্টগ্রামে পাহাড় কাটা বন্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের ব্যবস্থা নিতে আহবান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় পাহাড় রক্ষার উপর জোর নজর দিতে হবে। ।

    সেবা সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, অহেতুক কেউ কারো উপর দোষারোপ করার মাধ্যমে সরকারের অর্জন ম্লান করার অধিকার কারো নেই। তিনি সেবা সংস্থারগুলোর সমন্বয়ের মাধ্যমে নগরীর জলাবদ্ধতাসহ অন্যান্য সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।

    তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের উন্নয়নে যথেষ্ট আন্তরিক। মহানগরীর সার্বিক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহে অনেক প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে যা চলমান আছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে চট্টগ্রাম শহর অত্যাধুনিক শহরে রুপান্তরিত হব।

    মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী উপস্থিত সেবা সংস্থার প্রতিনিধিদের কথা শুনেন এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করেন। বিভাগীয় কমিশনার মো.কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালাম, ওয়াসার এমডি প্রকৌশলী এ কে এমন ফজলুল্লাহ, সিডিএ’র চেয়ারম্যান জহিরুল আলমসহ বিভিন্ন সেবা সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ অংশ নেন।

  • কর্ণফুলীতে দুই বাসের সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ১৬

    কর্ণফুলীতে দুই বাসের সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ১৬

    চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই জন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৮ জুন) বিকাল সাড়ে ৩টায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের মইজ্জারটেক এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছেন আরও ১৬ জন।

    নিহত দুজন হলেন পটিয়ার দক্ষিণ মালিয়ারার নুরুল আমিনের ছেলে নুরুল আবসার (৪৮) ও অজ্ঞাত পরিচয়ের ১৮ বছর বয়সী এক তরুণ।

    আহতদের মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে- ডেইজি সর্দার (৩৫), রুবেল (৩২), সুমন দে (২৮), সুমন চৌধুরী (৩০), রিটন দেব (৪৫), রহমত আলী (৪৫), পিল্টু দাশ (৩০), কবির বিশ্বাস (৫০), বেলাল (৩৭), মুজিবুল্লাহ (৫৫), ইরফান (২৩), রিজিয়া বেগম (৩৫), সোহাগ মিয়া (৩২) এবং অজ্ঞাত পরিচয়ের ৩২ ও ২৫ বছর বয়সী ২ জন পুরুষকে। এ ছাড়া ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে মো. ইদ্রিসকে (৫০)।

    বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘পটিয়ামুখী একটি বিআরটিসি বাসের সঙ্গে ও বিপরীত দিক থেকে আসা মিনিবাসের সংঘর্ষ হলে আহতদের ঘটনা ঘটে। আহত অবস্থায় ১৬ জনকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

    ২৪ ঘণ্টা/পায়েল

  • জনগণের ভরসাস্থলে পরিণত হচ্ছে কর্ণফুলীর তিন পুলিশ ফাঁড়ি

    জনগণের ভরসাস্থলে পরিণত হচ্ছে কর্ণফুলীর তিন পুলিশ ফাঁড়ি

    বিশেষ প্রতিনিধি : সঙ্কটে ‘জনগণের বন্ধু’ পুলিশ। এরই ধারাবাহিকতায় কর্ণফুলী থানাধীন তেইশ স্পটের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করে মানুষের সেবায় অবদান রাখছেন তিন পুলিশ ফাঁড়ি-শাহমীরপুর, শিকলবাহা ও বন্দর পুলিশ ফাঁড়ি। থানা থেকে ২৩ কিলোমিটার দুরে বন্দর পুলিশ ফাঁড়ি, ১২ কিলোমিটার দুরে শাহমীরপুর ও অদূরে ইন্ডাস্ট্রিল ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা শিকলবাহায় সীমিত লোকবল নিয়ে চলছে তিন পুলিশ ফাঁড়ির কার্যক্রম।

    যদিও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি ফাঁড়ি পুলিশকেও পালন করতে হয় চেকপোষ্টসহ আরো গুরু দায়িত্ব। কিন্তু দায়িত্ব ও সেবার বিবেচনায় ফাঁড়ি পুলিশের সুযোগ-সুবিধা যথেষ্ট নয়। রয়েছে আবাসন সংকট, প্রশিক্ষণের অভাব, পরিবহন সমস্যাসহ নানা সমস্যায় ভুগলেও সেবা প্রদানে পিছিয়ে নেই কর্ণফুলী থানার তিন পুলিশ ফাঁড়ি।

    সাধারণত থানার আকার, জনবসতি ও অপরাধ প্রবণতার উপর ভিত্তি করে পুলিশি কার্যক্রম নিয়মিত চালিয়ে যাওয়ার জন্য ফাঁড়ি স্থাপন করা হয়। ফাঁড়ি মূলত, মূল পুলিশ স্টেশন থেকে আইন-শৃংখলা রক্ষা করা অসুবিধা হয় বলে, স্থানীয়ভাবে আইন-শৃংখলা রক্ষার জন্য ফাঁড়ি গঠন করা হয়।

    ফাঁড়ি থানার অন্তভুর্ক্ত এবং থানার অফিসার ইনচার্জের অধীনে থাকে। যেখানে থানার অফিসার ইনচার্জের নির্দেশে পুলিশি কার্যক্রম চালাতে হয়। পুলিশ ফাঁড়িতে কোন মামলা রুজু করা যায় না, তবে জিডি করে থানায় প্রেরণ করা হয়। পুলিশ ফাঁড়ির সার্বিক দায়িত্ব পালন করে থাকেন একজন এস.আই অথবা সার্জেন্ট।

    সম্প্রতি, কর্ণফুলী থানাধীন শিকলবাহা, শাহমীরপুর ও বন্দর তিন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ যথাক্রমে উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ আলমগীর হোসেন, উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ নাছির উদ্দিন ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ আব্দু রহিম মিয়া ফাঁড়ি এলাকার সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন কওে চলেছেন। বৃদ্ধি করেছেন পুলিশের সুনামও ভাবমূর্তি।

    কর্ণফুলী থানা পুলিশের পাশাপাশি অপরাধ দমনে ফাঁড়িগুলো প্রতি মাসে মাদক উদ্ধারের পাশাপাশি আয়োজন করেছেন মাদক বিরোধী সমাবেশ। তৃণমূল মানুষের সাথে জনসংযোগ বাড়াতে নিয়মিত অংশ নিচ্ছেন বিট পুলিশিং কার্যক্রমে। সাধারণ মানুষকে অপরাধীদের তথ্য প্রদানে উৎসাহিত ও থানামুখী করতে সামাজিক অনুষ্ঠানেও বাড়িয়েছেন অফিসারদের অংশগ্রহণ।

    এছাড়াও বিভিন্ন মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত ও সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার, ক্রাইম ও মাদক স্পটে অভিযান চালিয়ে অপরাধী আটক, নদীপথে অবৈধ তেলচোর দমন, মাদক পাচার রোধে ব্যাপক অবদান রেখে চলেছে শিকলবাহা, শাহমীরপুর ও বন্দর পুলিশ ফাঁড়ির সদ্যসরা। এমনকি ফাঁড়ি এলাকার চিহ্নিত অপরাধী, মাদক ব্যবসায়ী, ডাকাত ও সন্ত্রাস দমনের মতো একের পর এক দৃষ্টান্তমূলক কর্মকান্ড দেখিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছেন। পাহাড় জঙ্গল আর নদীঘেষা উপজেলা হলেও যথা-সম্ভব আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কর্ণফুলী থানা পুলিশ সক্ষমতা দেখিয়ে যাচ্ছেন। এমনকি শহরের দক্ষিণপাড় হলেও বাদ যায়নি সেবার পরিধিও।

    সিএমপি কমিশনার এর নির্দেশে সাধারণ মানুষ ও শীতার্তদের মাঝে ফাঁড়িতে শীতবস্ত্র বিতরণ, করোনাকালে খাদ্য উপহার, মাস্ক, স্যানিটাইজার ও করোনা রোগীর জন্য ঔষধ ও ফলমূল বিতরণ করে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।

    ২০১৮ সালের ২৬ অক্টোবর সিএমপি’র কর্ণফুলী থানা পুলিশের পরিধি বাড়ে। নতুন করে পটিয়ার অধীনে থাকা শিকলবাহা ইউনিয়নের ৬টি ওর্য়াড, বড়উঠান ইউনিয়নের ৫টি ওর্য়াড মিলে মোট ১১টি ওর্য়াড যুক্ত হয় কর্ণফুলী থানায়। আনুষ্ঠানিকভাবে যা কার্যকরও শুরু হয়।

    ফলে শিকলবাহার পুলিশ ফাঁড়ির অধিক্ষেত্র দাঁড়ায় দ্বীপ কালার মোড়ল, বাংলা পাড়া, মাষ্টারহাট, সেভেন রিংস সিমেন্ট ফ্যাক্টরী, সিডিএর টেক, ওয়াহেদিয়া পাড়া ও তালতলা টাওয়ারের গোরা। শাহমীরপুর পুলিশ ফাঁড়ির অধীন ফকিরনিরহাট, কাঁচাবাজার, খাদ্য ফ্যাক্টরী, শাহমিরপুর মাজার, শাহমীরপুর বড় বাড়ি, কেইপিজেড গেইট ও দৌলতপুর ডাক পাড়া। এছাড়াও বন্দর পুলিশ ফাঁড়ির নজর রাখতে হয় কেইপিজেডের বিভিন্ন অংশসহ জাগিরপাড়া, উত্তর বন্দর, ডিএসি ও ইসিএল এলাকা।

    এরমধ্যে শিকলবাহা পুলিশ ফাঁড়ির দৃষ্টিনন্দন একটি কাজ সাধারণ মানুষের নজর কাড়েন। বহু বছর আগের ঘেরাবেড়াহীন ফাঁড়ির সেমিপাকা ঘরটি ছিলো এক সময় জরাজীর্ণ। এখন চতুর্পাশে সুউচ্চ বাউন্ডারি দেয়াল তুলে সুরক্ষিত করে পুলিশী সেবাঘর হিসেবে তৈরি করেছেন। সংস্কার করেছেন ভেতরের অংশও। যদিও এর আগে বহু পুলিশ অফিসার ফাঁড়ির দায়িত্বে ছিলেন। কিন্তু কেউ সাহস করে কাজটি করতে আগাতে পারেননি আর্থিক বিবেচনায়। অথচ বর্তমান পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সেটি করে দেখিয়েছেন।

    এমনকি শিকলবাহায় মাদকের আস্তানায় হানা, ইছানগর এলাকায় জুয়ার আসর গুড়িয়ে দেয়া, একই গ্রামে জাগির হাজীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় বোয়ালখালি থেকে ডাকাত গ্রেপ্তার ও অস্ত্র উদ্ধার করে প্রশংসায় ভাসেন শিকলবাহা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মোঃ আলমগীর হোসেন। জানা যায়, এই পুলিশ কর্মকর্তা অতীতে তিন সিএমপি কমিশনারের সময়কালে মাদক ও অপরাধ নিয়ন্ত্রণে প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখায় শ্রেষ্ঠ উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) নির্বাচিত হয়েছিলেন।

    এ বিষয়ে এসআই মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন, ‘ভাল কাজের স্বীকৃতি সব সময় আনন্দের। এ কৃতিত্ব আমার একার নয়। থানার অফিসার ইনচার্জ ও দায়িত্বরত সকল পুলিশ ফোর্সদের’। তবে ফাঁড়ির বাউন্ডারি কাজটির সৌন্দর্য বাড়াতে প্রথমে সাহস যুগিয়েছিলেন সিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) এস এম মোস্তাক আহমেদ খাঁন স্যার। মূলত স্যারের সহযোগিতায় কাজে নেমে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও কিছু মানুষের সার্বিক সহযোগীতায় আজকের এ প্রাপ্তি বলে আমি মনে করি।’

    এরপরেও কিছু বহিরাগত লোক এসে এলাকায় নানা ঘটনা ঘটিয়ে যায়। যে সব ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করতে পুলিশকেও হিমশিম খেতে হয়। কিন্তু তিন পুলিশ ফাঁড়ির কিছু কাজ সাধারণ মানুষের আস্থা বাড়িয়ে তুলেছে পুলিশের প্রতি।

    এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনা তুলে ধরছি-গত ১৫ ডিসেম্বর কর্ণফুলী উপজেলার জুলধা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে ফরিদা বেগম (২৮) নামক এক নারীকে গলাটিপে হত্যা করে স্বামী নুরুল ইসলাম (৩২) পালিয়ে যায়। পরে সহকারি পুলিশ কমিশনার মোঃ ইয়াসির আরাফাত এর সুকৌশলে ঘটনা সংগঠিত হওয়ার মাত্র দু’ঘন্টার মাথায় শাহমীরপুর পুলিশ ফাঁড়ি টিম পলাতক স্বামীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন।

    এরআগে গত আগষ্ট মাসে বড়উঠান ইউনিয়নের শাহমীরপুর এলাকার নুরুল আনোয়ারের বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। গভীর রাতে চোরেরা লুটপাট চালিয়ে ২০ভরি স্বর্ণ অলংকার, টাকা পয়সা ও এলইডি টিভি নিয়ে যায়। পরে নাসরিন আক্তার বুলু বাদি হয়ে (অজ্ঞাতনামা আসামি করে) কর্ণফুলী থানায় জিআর ৪/২৭৭ মামলা দায়ের করেন। ক্লুলেজ এই মামলার দায়িত্ব দেয়া হয় শাহমীরপুর পুলিশ ফাঁড়ির আইসি মোঃ নাছির উদ্দিন কে। পরে তিনি তথ্য উপাত্ত যাচাই করে পতেঙ্গাসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোঃ শাহাজাহান (৩৪), মোঃ জাবেদ হোসেন প্রকাশ কালু (২৪) ও রতন সেন (৪২) গ্রেপ্তার করেন। তাদের স্বীকারোক্তিতে চুরি হওয়া মালামাল ও স্বর্ণ উদ্ধার পুর্বক আরো দুজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করেন।

    একই রকম আরেকটি ঘটনা ঘটে গত ডিসেম্বর মাসে বন্দর ফাঁড়িধীন সাহাব উদ্দিনের দোকান চুরি হয়। চোর চক্র দোকানে থাকা মোবাইল ও সিএনজি নিয়ে যায়। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তাৎক্ষনিক সকির আহমেদ নামে এক ড্রাইভারসহ (চট্টমেট্টো-ধ-১১-০০-২৩) সিএনজি আটক করেন। পরে তার স্বীকারোক্তিতে চুরির ঘটনায় জড়িত শুক্কুর ও রিয়াদ নামে দুজনকে আটক করা হয়। দুজনের দেওয়া তথ্যমতে আবার নগরীর বাকোলিয়া থেকে শওকত নামে আরো ১ জনকে আটক করেন। তথ্য দেন এ ঘটনায় আনোয়ারার গহিরা এলাকার মুনছুর আলম জড়িত। পরে পুলিশ তাকেও নিয়ন্ত্রণে নেন। ক্লুলেজ চুরির ঘটনা থেকে পুলিশ একে একে পাঁচ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করে এবং মালামাল উদ্ধার করেন।

    পুলিশী সেবার বিষয়ে কথা হলে শাহমীরপুর পুলিশ ফাঁড়ির উক্ত ইনচার্জ মোঃ নাছির উদ্দিন বলেন, করোনাকালে বাংলাদেশ পুলিশ নিজের জীবন বিপন্ন করে জনগণের সেবায় মাঠে ছিল। পুলিশের এ মানবিকতা শুধুমাত্র দেশের মানুষের জন্য। আমরা জানি দেশের মানুষকে নির্মোহভাবে ভালোবাসতে হবে। সব উপায়ে সর্বোতভাবে পাশে থেকে মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। সিনিয়র স্যারদের নির্দেশে সেটাই করতে চেষ্টা করছি মাত্র।’

    কর্ণফুলী জোনের সহকারি পুলিশ কমিশনার মোঃ ইয়াসির আরাফাত বলেন, সিএমপির কর্ণফুলী থানার অবস্থানটা মূলত একটু প্রত্যন্ত গ্রাম এলাকার ভেতরে। প্রশাসনের অবস্থান জনবহুল ও লোকচক্ষুর সামনে রাখা হলে অপরাধ প্রবণতা কমে আসে সেটা হয়তো সত্য। তবে জননিরাপত্তা নিশ্চিত ও নাগরিক ভোগান্তি কমাতেই তিন পুলিশ ফাঁড়ি ও ক্যাম্প ভালো কাজ করছেন। থানার পরিধি বাড়ায় ভবিষ্যতে আরো পুলিশ স্টেশন হবে। আশা করি জনগণ তাদের কাঙ্খিত সেবা পাবে।’

    প্রসঙ্গত, ১৯৭৮ সালের ৩০ নভেম্বর অধ্যাদেশের মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে বন্দর, পটিয়া ও আনোয়ারা থানা ভেঙে গঠিত হয় চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) আরেকটি স্টেশন কর্ণফুলী থানা। যেটি ২০০০ সালের ২৭ মে চরলক্ষ্যা ইউনিয়ন পরিষদ এর পুরাতন ভবনে কার্যক্রম শুরু করেন।

    ২৪ ঘণ্টা/জে জাহেদ

     

  • কর্ণফুলীর কেইপিজেডে পাওয়া অজ্ঞাত লাশের সন্ধান চায় পুলিশ

    কর্ণফুলীর কেইপিজেডে পাওয়া অজ্ঞাত লাশের সন্ধান চায় পুলিশ

    চট্টগ্রাম কর্ণফুলী থানাধীন কেইপিজেডের লেকে পাওয়া অজ্ঞাত এক লাশের পরিচয় জানতে চায় পুলিশ।

    গত সোমবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে পাওয়া লাশটি বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হলেও এখনো তার পরিচয় সনাক্ত হয়নি।

    এরমধ্যে লাশের ছবিসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছবি প্রকাশিত হলেও কোন ধরনের খোঁজ-খবর কিংবা পরিচয় জানা যায়নি।

    পুলিশ সুত্র জানিয়েছেন, লেকের পানিতে ভাসমান লাশের অনেকাংশ পঁচে গিয়েছিল। মৃত ব্যক্তির আনুমানিক বয়স ২৪ বছর। গায়ের রং কালো, শারীরিক গঠন মাঝারি, উচ্চতা অনুমান ৫ ফুট ৪ইঞ্চি। লাশের পরনে ছিল নীল রঙের অন্তর্বাস এবং বাম হাতে একটি রাবারের ব্রেসলেট ছিল।

    কর্ণফুলী থানা পুলিশ সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে চমেক হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়েছে। ছবি দেখে কেউ লাশের পরিচয় সনাক্ত করতে পারলে কর্ণফুলী থানার ০১৩২০-০৫২৯৭৪, ০১৩২০-০৫২৯৮০, ০১৭৭৭-৫০০৭৭৪ নম্বরে যোগাযোগের অনুরোধ জানিয়েছেন শাহমীরপুর জামতলা পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ মো. নাছির উদ্দিন।

  • কর্ণফুলীতে শিশু নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল

    কর্ণফুলীতে শিশু নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল

    কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটায় ইমতিয়াজ খাঁন (৮) নামক এক শিশুকে পিছন থেকে দৌঁড়ে এসে ধরে পাশবিক নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবক মো. জাকির (২৭) এখনো পুলিশের ধরা ছোয়ার বাহিরে রয়েছে।

    গত বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার সময় উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের মোহছেন আউলিয়া পাড়ায় ঘটনাটি ঘটলেও জানাজানি হয় পরে। কিন্তু ঘটনার পরপরেই থানায় অভিযোগ করেছেন বলে ভুক্তভোগিরা জানান।

    অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী থানার ওসি মো. দুলাল মাহমুদ। কর্ণফুলী জোনের এসি ইয়াসির আরাফাত জানান, ‘ভুক্তভোগি শিশুর পিতা যেহেতু থানায় অভিযোগ করেছেন। অবশ্যই পুলিশ তদন্ত করে দ্রত ব্যবস্থা নেবেন।’

    স্থানীয় লোকজন ও ঘটনা সুত্রে জানা যায়, ঘটনার ৮-১০ দিন আগে একই এলাকার মৃত নজির আহমদের ছেলে মো. জকিরের ভাতিজাসহ কয়েকজন শিশুরা মিলে মাঠে খেলতে যায়। খেলার মাঠে মো. সেলিম খানের ছেলে ইমতিয়াজের সাথে ঝগড়া লাগে। শিশুদের ঝগড়া খেলার মাঠেই শেষ হলেও কিন্তু এর ঘটনার জের ধরে ২৯ ডিসেম্বর সেলিম খানের বাসায় দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করে বসে প্রতিপক্ষরা। এতে বাড়ির গৃহকর্ত্রী ইয়াছমিন আক্তারসহ উভয়পক্ষের কয়েকজন আহত হয়। থানায় অভিযোগ করে দুপক্ষই।

    পরের দিন আবার রাস্তা দিয়ে খেলতে যাওয়ার সময় ছোট শিশু ইমতিয়াজকে ধরে মো. জকির মাথার উপরে তুলে রাস্তায় আছাড় মারেন।

    এমনিক ঘটনাস্থলের অদুরে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজে এ দৃশ্যে দেখা যায়, উপর্যুপরি কিল-ঘুষি-লাথি মারার ভয়ানক দৃশ্য। যা দেখলে গাঁ শিউরে ওঠে। শিশুটিকে মারধরের ফলে তার নাকে মুখে রক্ত ও বমি আসে। একজন শিশুর উপর এ কেমন পাষন্ড নির্যাতন। জানা যায়, আহত শিশু স্থানীয় এক মাদ্রাসার শিক্ষার্থী।

    এদিকে, ভুক্তভোগী শিশুর পিতা মো. সেলিম খান বলেন, আমার স্ত্রী ও ছেলে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি কিন্তু কোন কপি দেয়নি আমাকে। এমনকি কোন ব্যবস্থাও নেওয়া হয়নি।

    সংশ্লিষ্ট এলাকার ইউপি সদস্য মো. ফরিদ জুয়েল বলেন, ‘তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৮ বছরের এক শিশুকে মারধর করা হয়েছে। মারধরের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে এলাকায়। আমার কাছে জানানোর সাথে সাথে থানায় পাঠিয়ে দিয়েছি।

    ঘটনার অভিযোগ তদন্ত কর্মকর্তা কর্ণফুলী থানার এএসআই মোস্তফা সরোয়ার বলেন, ভুক্তভোগীদের পরিবারের সাথে কথা হয়েছে। তাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিষয়টি তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে আটকের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।

    ২৪ ঘণ্টা/জে জাহেদ