Tag: কর্ণফুলী নদী

  • কর্ণফুলী নদী দখলকারীদের তালিকা চেয়েছে হাইকোর্ট

    কর্ণফুলী নদী দখলকারীদের তালিকা চেয়েছে হাইকোর্ট

    চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ ও পূর্বপাশের জায়গা দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণকারীদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ ও পূর্বপাশের জায়গা সিএস ও আরএস অনুযায়ী জরিপ করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ ও পূর্বপাশের জায়গা দখল করে মাটি ভরাট বন্ধে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

    মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

    পরিকল্পনা সচিব, পরিবেশ সচিব, ভূমি সচিব, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

    আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।

    এর আগে গত ১২ নভেম্বর ‘কর্ণফুলী নদী দখল করে তৈরি হচ্ছে ড্রাই ডক’ এই শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে হাইকোর্টে রিট করা হয়।

    মানবাধিকার সংগঠন এইচআরপিবি এ রিট দায়ের করে।

    পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের একাংশে বলা হয়, কর্ণফুলী নদী দখল করে চট্টগ্রাম বন্দর এলাকায় তৈরি হচ্ছে ব্যক্তিমালিকানাধীন ‘ড্রাই ডক’। এতে নদী সংকুচিত হচ্ছে। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন বলছে, নদীসংক্রান্ত আইন ও হাইকোর্টের রায় লঙ্ঘন করে এই স্থাপনা তৈরি হচ্ছে। এখনই সব ধরনের নির্মাণকাজ বন্ধ করা দরকার।

    ড্রাই ডক হচ্ছে বড় বড় জাহাজ বা নৌযান তৈরি, সংস্কার বা রং করার জন্য শুকনো কোনো স্থান। কর্ণফুলী ড্রাই ডক লিমিটেডের মালিক আবদুর রশিদ। ইঞ্জিনিয়ার রশিদ নামে ব্যবসায়ী মহলে তিনি পরিচিত।

    কর্ণফুলী নদীর বাম তীরে আনোয়ারা উপজেলার বদলপুরা মৌজায়, সাগরের মোহনা থেকে দুই কিলোমিটার উজানে এই ড্রাই ডক তৈরি হচ্ছে। যেখানে এই নির্মাণকাজ চলছে, নদীর ঠিক অন্য পারে একইভাবে নদী দখল করে আরও স্থাপনা তৈরি হয়েছে, কিছু স্থাপনা তৈরির প্রস্তুতি চলছে। নদীটি এখানে সংকুচিত হয়ে পড়েছে। বর্তমানে এই স্থানে কর্ণফুলীর প্রস্থ ৪৫০ মিটারের কিছু বেশি, দুই দশক আগেও প্রস্থ ছিল প্রায় এক হাজার মিটার।

  • কর্ণফুলীতে পাথর বোঝাই লাইটার জাহাজ ডুবি

    কর্ণফুলীতে পাথর বোঝাই লাইটার জাহাজ ডুবি

    কর্ণফুলী নদীতে পাথর বোঝাই করা ‘এমভি রুহুল আমিন খান’ নামের একটি লাইটার জাহাজ ডুবে গেছে। এ জাহাজের নাবিকরা নিরাপদে কূলে উঠতে সক্ষম হয়েছেন।

    সোমবার (২১ জুন) সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে জাহাজটি পুরোপুরি ডুবে যায়।

    সদরঘাট নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম মিজানুর রহমান জানান, চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে অপেক্ষমাণ বড় জাহাজ থেকে পাথর খালাস করে এমভি রুহুল আমিন খান নামের লাইটার জাহাজটি কর্ণফুলীর ঘাটে ভেড়ানোর জন্য আনা হচ্ছিল।

    একপর্যায়ে নদীতে নোঙর করা ‘ওটি মিক হৃদয় ১’ নামের একটি খালি অয়েল ট্যাংকারের সঙ্গে ধাক্কা লাগে এমভি রুহুল আমিন খানের। এরপর এমভি রুহুল আমিন খান ক্রমে ডুবে যেতে থাকে।
    সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে জাহাজটি পুরোপুরি ডুবে যায়। নাবিকরা নিরাপদে তীরে উঠতে সক্ষম হয়েছেন।

    ওসি জানান, ডুবে যাওয়া জাহাজের মাস্টার পুলিশকে জানিয়েছেন নদীতে তীব্র স্রোতের ঘূর্ণিতে পড়ায় জাহাজটি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়নি।

    ২৪ ঘণ্টা/পায়েল

  • দখল দূষণে বিবর্ণ কর্ণফুলী বন্দরের অব্যবস্থাপনার ফসল: সাম্পান শোভাযাত্রায় বক্তাদের অভিমত

    দখল দূষণে বিবর্ণ কর্ণফুলী বন্দরের অব্যবস্থাপনার ফসল: সাম্পান শোভাযাত্রায় বক্তাদের অভিমত

    চট্টগ্রাম ডেস্ক : বন্দর মোহনা থেকে হালদা মোহনা পর্যন্ত ষোল কিলোমিটার কর্ণফুলী রক্ষার দায়িত্ব চট্টগ্রাম বন্দরের। বন্দর কতৃপক্ষ নিজেদের খেয়ালখুশি মতো নদীর তীর ও নদী লিজ দিয়েছে। তবে কর্ণফুলী ড্রেজিং ও দখলমুক্ত করেনি।

    বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত সাম্পান শোভাযাত্রায় বক্তারা এভাবেই অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

    কর্ণফুলী ও দেশের নদনদী দখল দূষণমুক্ত করতে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আয়োজিত সাম্পান শোভাযাত্রায় বক্তারা আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু সারা জীবন নদী ও নৌকাকে ভাল বেসেছেন। তার জন্মশতবার্ষিকীর এই শোভাযাত্রায় একটাই দাবী আর তা হলো দখল দূষণমুক্ত হোক কর্ণফুলিসহ দেশের সকল নদ-নদী।

    আজ শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার সময় নগরীর অভয়মিত্রঘাট থেকে শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী।

    তিনি বলেন, মাটি ও মানুষের নেতা ছিলেন। তিনি সব সময় নিজেকে মাঝি কূলি মজুরের সহযোদ্ধা ভাবতেন। এই মহানের জন্মশতবার্ষিকীতে সাম্পান মাঝিদের দাবী তাদের ঘাট ফিরিয়ে দেয়া হোক। সেই সাথে চট্টগ্রাম বন্দরকে অবশ্যই কর্ণফুলী রক্ষায় যথাযথ উদ্যোগ গ্রহন করতে হবে।

    অনুষ্ঠানে প্রধানবক্তা ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। তিনি বলেন, নদী খেকোদের দখল, কলকারখানার শিল্প বর্জ্যের দূষণের কবলে পড়ে কর্ণফুলী, বুড়িগঙ্গাসহ দেশের অসংখ্য নদীর বিপন্ন অবস্থা।

    সাম্পান শোভাযাত্রা

    অস্তিত্ব হারাতে বসেছে কর্ণফুলিসহ দেশের অসংখ্য নদ-নদী। এমন অবস্থায় সাম্পান শোভাযাত্রার মাধ্যমে চট্টগ্রাম থেকেই নদী বাঁচানোর ডাক দিয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ।

    আ জ ম নাছির বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্ণফুলীতে। দখল দূষণে কর্ণফুলী গতিপথ হারালে বন্দর বন্ধ হয়ে যাবে। অর্থনীতি সঞ্চালনের মতো দেশে অন্য বিকল্প বন্দর নাই। তাই কর্ণফুলী রক্ষার সকল আয়োজন চট্টগ্রাম বন্দরকেই করতে হবে।

    তিনি বলেন, জনসাধারণের অসচেতন ও বেপরোয়া ব্যবহারে দিন দিন নদীগুলো অস্তিত্ব হারাতে বসেছে। দখল ও ভরাটের করাল গ্রাসে অনেক নদী মরে গেছে। নদী বাঁচলে জীবন বাঁচবে। নদী বাঁচলে দেশ বাঁচবে। তাই নদীকে বাঁচাতে জনগণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্য নিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ এই কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।

    মহানগর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক লায়ন দিদারুল আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে শোভাযাত্রায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ফোরাম সম্পাদক ও চট্টগ্রাম ইতিহাস সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান আলীউর রহমান, কর্ণফুলী গবেষক প্রফেসর ড. ইদ্রিস আলী।

    মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য সফর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, বন ও পরিবেশ সম্পাদক মশিউর রহমান, ত্রান ও সমাজ কল্যান সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো: আবু তাহের, সদস্য সাইফুদ্দিন বেলাল, হাজী মোহাম্মদ বেলাল, সাবেক কাউন্সিল হাসান মুরাদ বিপ্লব, কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যান সমিতি ফেডারেশন সভাপতি এস এম পেয়ার আলী, সিনিয়র সহ সভাপতি জাফর আহমদ, সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম, ইছানগর বাংলাবাজার সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতির সভাপতি মোহাম্নদ লোকমান দয়াল, সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ ইউসুফ, অর্থ সম্পাদক জসীম উদ্দিন, আবুল হোসেন আবু ইছানগর সদরঘাট সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, অর্থ সম্পাদক ফরিদ হোসেন প্রমুখ।

    জানা যায়, কর্ণফুলীসহ সকল নদনদীর দখল,দূষণ প্রতিরোধে জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে দুই দিন ব্যাপী কর্মসূচি হাতে নিয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ। কর্মসূচির প্রথম পর্ব অভয়মিত্র ঘাট থেকে শাহ আমানত সেতু পর্যন্ত সাম্পান শোভাযাত্রা আজ শুক্রবার ১৬ অক্টোবর সকালে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    নগরীর অভয়মিত্র ঘাট থেকে শুরু হয়ে সাম্পান শোভাযাত্রা কর্ণফুলী ব্রিজ হয়ে পুনরায় অভয়মিত্র ঘাটে সমাপ্ত হয়। শোভাযাত্রায় দুই শতাধিক সাম্পান অংশগ্রহন করে। এই শোভাযাত্রায় নগর আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠন অংশগ্রহণ করে।

    ২৪ ঘণ্টা/মোরশেদ

  • কর্ণফুলী নদীর হালদামুখ থেকে ৫শ’ ঘনফুট সেগুন কাঠ উদ্ধার

    কর্ণফুলী নদীর হালদামুখ থেকে ৫শ’ ঘনফুট সেগুন কাঠ উদ্ধার

    ২৪ ঘণ্টা, ডেস্ক নিউজ : কর্ণফুলী নদীর হালদার মুখ নামক এলাকায় গভীর রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৫শ’ ঘনফুট চোরাই সেগুন কাঠ উদ্ধার করেছে চট্টগ্রাম দক্ষিন বন বিভাগের স্পেশাল টিম।

    মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে চট্টগ্রাম দক্ষিন বন বিভাগীয় কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক শাহ চৌধুরীর নির্দেশনায় স্পেশাল টিমের প্রধান ফরেস্টার সৈকত চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি ইঞ্জিন বোটে তল্লাসী চালিয়ে এই বিপুল পরিমাণ সেগুন কাঠ উদ্ধার করা হয়।

    চট্টগ্রাম দক্ষিন বন বিভাগের শহর রেঞ্জ কর্মকর্তা আরিফুল আলম জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিত অবৈধ কাঠ পাচার প্রতিরোধে কর্ণফুলী নদীতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। রাত প্রায় আড়াইটার দিকে একটি ইঞ্জিন বোট বোঝাই করে সেগুন কাঠ পাচার করার সময় বন বিভাগের স্পেশাল টিমের সদস্যরা ইঞ্জিন বোটটি আটক করে তল্লাসী চালায়। এই সময় উক্ত বোট থেকে ৫শ’ ঘনফুট অবৈধ সেগুন কাঠ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত সেগুন কাঠের আনুমানিক ‍মুল্য প্রায় ৬ লাখ টাকা।

    অভিযানে আরো অংশ নেন স্পেশাল টিমের সদস্য এফজি জসিম উদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম, জাকির হোসেন, সালেহ আহাম্মদ, নুরুল আলম, আবুল হোসেন এবং মাহবুবুল আলম।

    আটক কাঠ ও ইঞ্জিন বোট বন বিভাগের কালুরঘাট ডিপু হেফাজতে জব্দ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • কর্ণফুলী নদীর মাঝখানে অবৈধ বরফকল

    কর্ণফুলী নদীর মাঝখানে অবৈধ বরফকল

    আলীউর রহমান : কর্ণফুলী নদীর মাঝখানে অবৈধ বরফকল তৈরি ও গুদাম নির্মান করেছে সোনালী যান্ত্রিক মৎসজীবি সমবায় সমিতি।কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতুর মাঝ পিলার বরাবর নদীর মাঝখানে উক্ত স্থাপনা নির্মান করা হয়।

    হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা, জেলা প্রশাসন, ভূমি অফিসের নোটিশ কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে করোনার সুযোগে বরফকলটি চালু করতে সম্প্রতি নতুন করে কাজ শুরু করা হয়।

    জানা যায়, কর্ণফুলী নদীর শাখা রাজাখালী ও চাক্তাই খালের মোহনার ১ লক্ষ ৭৩ হাজার ২৬৩ বর্গফুট জেলা প্রশাসনের খাস জায়গা বন্দরের দাবী করে যান্ত্রিক মৎসজীবি সমবায় সমিতি নামের সংগঠনের নামে মাছের আড়ৎ স্থাপন করা হয়।

    অবৈধভাবে গড়ে উঠা মাছের আড়ৎ সংলগ্ন কর্ণফুলী নদী দখল করে ২০০০ বর্গফুটের একটি বরফ কল আরো ২০০০ বর্গফুটের একটি গুদাম স্থাপন করা হয়।

    অবৈধ বরফকলটির নির্মান কাজ বন্ধ করতে পরিবেশ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন, রিট আবেদনকারী এডভোকেট মনজিল মোর্শেদ চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনার, সিডিএ চেয়ারম্যান, বন্দর চেয়ারম্যান চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।

    পরিবেশ অধিদপ্তর পরিচালক বরাবরে হাইকোর্টের রিট মামলার রেফারেন্সসহ উক্ত স্থাপনা বন্ধে সহযোগিতার অনুরোধ জানিয়ে ২০১৬ সালের ৩০ এপ্রিল পত্র দেয়া হয়। এর ধারাবাহিকতায় পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগরীর পরিচালক ২৩ এপ্রিল ২০১৮ সালে সোনালী যান্ত্রিক মৎসজীবি সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদককে পরিবেশ অনুমতি ব্যতিত জলাশয় ভরাট করার অপরাধে পরদিন ২৪ এপ্রিল শুনানীতে হাজির হতে নির্দেশ দেয়া হয়। পরবর্তীতে রহস্যজনক কারণে উক্ত পত্র এবং নোটিশের কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়।

    প্রশাসনের নিরবতার সুযোগে বরফ কলের পাশে তিন হাজার বর্গফুটের আরেকটি গুদাম তৈরি করা হয়। মৎস বন্দর বরফ কল ও গুদাম স্থাপনার কারণে ঐ এলাকায় ৯০০ ফুট দীর্ঘ কর্ণফুলী নদী ৫০০ ফুট হয়ে খাল হয়ে গেছে।

    এই বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগরীর পরিচালক মোহাম্মদ নুরুল্লাহ নুরী বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি দুই একদিনের মধ্যে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

    সোনালী যান্ত্রিক মৎসজীবি সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক সরকার বাবুল বলেন, এইমাত্র আড়ৎ থেকে ফিরলাম। এক ঘন্টা পরে আপনার সাথে এই বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলবো।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • বারইপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত খাল খনন কাজ উদ্বোধন করলেন চসিক মেয়র

    বারইপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত খাল খনন কাজ উদ্বোধন করলেন চসিক মেয়র

    চট্টগ্রাম মহাগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে বহদ্দারহাট বারইপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত খাল খনন কাজ শুরু করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)।

    আজ মঙ্গলবার দুপুরে পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ডস্থ ওয়াইজার পাড়া হাজী ফকির মো. সওদাগরের বাড়ির সামনে ফলক উন্মোচন করে এ কাজের উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র আলহাজ্ব আ.জ.ম.নাছির উদ্দীন।

    এই উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় কাউন্সিলর আলহাজ্ব হারুণ উর রশিদ। এই সময় অন্যান্যের মধ্যে চসিক প্যানেল মেয়র জোবাইরা নার্গিস খান, কাউন্সিলর এম আশরাফুল আলম, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল সোহেল আহমদ, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তির পক্ষে মো. ইউনুচ কোম্পানী, মো. ইলিয়াছ,তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু সালেহ,আনোয়ার হোসেন,মনিরুল হুদাসহ চসিক নির্বাহী প্রকৌশলীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভা সঞ্চালনা করেন চসিকের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নান্দনিক দিক বিবেচনায় খালের দু”পাশে প্রয়োজনীয় বাড়তি জায়গা অধিগ্রহন করে ওয়াকওয়ে নির্মাণের নিদের্শনা দিয়েছেন। তার নির্দেশনানুযায়ি খালটির দৈর্ঘ্য হবে আনুমানিক ২ দশমিক ৯ কিলোমিটার এবং প্রশস্থ ৬৫ফুট। এই নতুন খালের দু”পাশে প্রতিরোধ দেওয়াল নির্মাণ করা হবে। এছাড়া এ খালের দু’পাশে থাকবে ২০ফুট করে সড়ক এবং নির্মাণ করা হবে ৬ফুুট করে ওয়াকওয়ে।

    সিটি মেয়র আরো বলেন, এ খালটি হবে নয়নাভিরাম একটি খাল। যা দেশের অন্য কোথাও দেখা যাবে না। এখন বাকলিয়ার মানুষ অবসর বিনোদনের জন্য নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বেড়াতে যাই। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে তখন হবে উল্টো। নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডের মানুষ ধুলিকণা বিহীন নির্মল বাতাস ও সৌন্দর্য উপভোগের জন্য আসবে এখানেই। এই প্রকল্পটি হবে সেই রকম একটি সৌন্দর্য মন্ডিত প্রকল্প । যা দেশের মানুষ এক নজরে দেখার জন্য শহরতলী এই বাকলিয়াতে ছুঁটে আসবে ।

    মেয়র বলেন, খাল খননের জন্য যে সকল ভূমির মালিকের ভূমি অধিগ্রহন করা হবে তাদের টাকা যথাযথ প্রক্রিয়ায় মৌজা মূল্যের তিনগুণ নির্ধারণ করে পরিশোধ করা হবে। এক্ষেত্রে এক চুল পরিমাণ অনিয়মের কোনো সুযোগ থাকবে না। কোনো ভূমি মালিকের কোনো ভবণ যদি প্রকল্পের প্রস্তাবিত এলাইনন্টের মধ্যে পড়ে,তবে তাদেরকে গণপূর্ত অধিদপ্তরের নিয়মনুসারে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে।

    সিটি মেয়র আরো বলেন, এই প্রকল্পটি পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে পূর্ব-পশ্চিম ষোলশহর, চান্দগাঁও, মোহরা, উত্তর-দক্ষিণ-পূর্ব-পশ্চিম বাকলিয়া ও চকবাজারে জলাবদ্ধতা নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং নতুন যোগাযোগ ব্যবস্থা সৃষ্টির ফলে জনগণের বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

    সিটি মেয়র অধিগ্রহনকৃত ভূমি মালিকদের উদ্দেশ্য বলেন, আপনারা আমার উপর আস্থা রাখুন,আমার নিজের জায়গা হলে যে রকম গুরুত্ব দিতাম, এখন তার চেয়ে অধিক গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছি। ভূমি মালিকেরা যাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে ক্ষতি পূরণের টাকা পায় তার ব্যবস্থা করা হবে। এ প্রকল্পটি এ এলাকার জন্য কত উপকার বয়ে আনবে তা বাস্তবায়িত হওয়ার পর বুঝতে পারবে এলাকাবাসি।তাই এ কাজে যেন কোন ব্যাঘাত না ঘটে সে জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন সিটি মেয়র।

    এই প্রসঙ্গে সিটি মেয়র বলেন, এই নতুন খাল খননের জন্য অধিগ্রহণ যোগ্য জমির পরিমান ২৫.১৬৬২ একর। প্রস্তাবিত খালটি বহদ্দারহাট বারইপাড়া হাইজ্জারপুল থেকে শুরু করে যমুনা স্কয়ার কমিউনিটি সেন্টার সংলগ্ন শাহ আমানত সংযোগ সড়ক অতিক্রম করে নুরনগর হাউজিং হয়ে ওয়াইজের পাড়া মাজার হয়ে বলির হাট বলি মসজিদের উত্তর পাশ দিয়া কর্ণফুলী নদীতে পতিত হবে। এই নতুন খাল খননের জন্য প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ১২৫৬ কোটি ১৫ লক্ষ ৫৬ হাজার টাকা। এর মধ্যে ভূমি অধিগ্রহণ বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১১০৩ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকা।