Tag: কর্মবিরতি

  • তিন দফা দাবিতে বেসরকারি পোস্টগ্রাজুয়েট প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকদের কর্মবিরতি

    তিন দফা দাবিতে বেসরকারি পোস্টগ্রাজুয়েট প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকদের কর্মবিরতি

    ভাতা বৃদ্ধিসহ তিন দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছেন বেসরকারি পোস্টগ্রাজুয়েট প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকরা।

    শনিবার (৮ জুলাই) থেকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পোস্টগ্রাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনও কর্মবিরতি শুরু করেন।

    দীর্ঘদিন ধরে ভাতা বৃদ্ধিসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন বেসরকারি পোস্টগ্রাজুয়েট প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকরা। তাঁদের দাবিগুলো হলো- মাসিক ভাতা ৫০ হাজার টাকা করা, নিয়মিত প্রদান এবং সকল ট্রেইনি চিকিৎসকদের বকেয়া দ্রুততম সময়ে পরিশোধ করা।

    সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বেসরকারি পোস্ট গ্রাজুয়েশন ট্রেইনি চিকিৎসকদের বেতন ভাতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত ন্যায্য দাবির বিষয়ে বারবার কর্তৃপক্ষ সমর্থন দিয়ে এলেও তাদের আশ্বাস বরাবরের মতোই মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। সম্প্রতি স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রাইভেট ট্রেইনিদের ব্যাপারে যে মন্তব্য করেছেন সেটা থেকে প্রতীয়মান হয়, মন্ত্ৰী ট্রেইনি চিকিৎসকদের কাজের পরিধি এবং মানবেতর জীবন সম্পর্কে মোটেও অবগত নন।দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এই বাজারে ২০ হাজার টাকায় একজন চিকিৎসক কীভাবে তার সংসার চালাবে?

    পোস্ট গ্রাজুয়েশন ট্রেইনি চিকিৎসক রাকিব আদনান চৌধুরী বলেন, গত অর্থবছরে বাজেটের ৬ হাজার ৫৫৮ কোটি টাকা ফেরত দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। অথচ ভাতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে না এবং নিয়মিতও প্রদান করা হচ্ছে না। এটি স্বাস্থ্যখাতের জন্য লজ্জার বিষয়।

    চমেক হাসপাতাল পোস্টগ্রাজুয়েট ট্রেইনি ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ডা.সাইফুল ইসলাম বাদল বলেন, চমেক হাসপাতালে প্রায় তিনশ জন বেসরকারি পোস্ট গ্রাজুয়েশন ট্রেইনি চিকিৎসক রয়েছে। তারা শনিবার সকাল থেকে ওয়ার্ডে আসেননি, কর্মবিরতি পালন করছেন।

    পোস্টগ্রাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসক হাবিবুর রহমান সোহাগ বলেন, আমরা ওয়ার্ডের কাজ ছেড়ে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কর্মবিরতি পালন করছি। এই দাবির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করেছেন এফসিপিএস, এমডি, এমএস, ডিপ্লোমা কোর্সের সকল প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসকরা।

  • বেতন বৈষম্য’র প্রতিবাদে সীতাকুণ্ডে হেলথ অ্যাসিসটেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কর্মবিরতি পালন শুরু

    বেতন বৈষম্য’র প্রতিবাদে সীতাকুণ্ডে হেলথ অ্যাসিসটেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কর্মবিরতি পালন শুরু

    কামরুল ইসলাম দুলু, সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : কেন্দ্রীয় কর্মসুচীর অংশ হিসেবে সারা দেশের ন্যায় সীতাকুণ্ডেও নিয়োগবিধি সংশোধন করে বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবিতে বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিসটেন্ট অ্যাসোসিয়েশন এর স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীবৃন্দ ২৬ নভেম্বর থেকে লাগাতার কর্মবিরতি শুরু করেছে।

    বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সীতাকুণ্ড উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে কাজে যোগ না দিয়ে তারা অবস্থান কর্মসূচী পালন করছেন।

    এসময় তারা জানান, বেতন বৈষম্য দূর করতে দাবি মেনে নেয়ার ব্যাপারে অনেক আগে ঘোষণা দেয়া হলেও এখন পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন হয়নি। আমরা চাকরির প্রারম্ভিককাল হতে অবহেলিত, বঞ্চিত ও চরম বৈষম্যোর শিকার। অথচ টিকাদান কর্মসূচীতে বাংলাদেশ বিশ্বের রোল মডেল। শুধু টিকাদানে সাফল্য নয় এর ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আমরা কাজ করে চলেছি।

    তারা আরো বলেন, চলিত বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি আমরা হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইন এর কার্যক্রম বর্জন করলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব দাবীগুলো মেনে নিয়ে লিখিত সমঝোতা পত্রে স্বাক্ষর করেন। দুঃখজনক হলেও সত্যি আজো তা বাস্তবায়ন হয়নি। মহামারী করোনাভাইরাস এর সময় অন্যান্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঘরে মধ্যেই ছিল আর আমরা নিজেদেরকে চরম ঝুঁকির মধ্যে ফেলে মাঠে কাজ করে গেছি। এমন অবস্থায় দাবি পূরণে ২৬ নভেম্বর থেকে দাবী পুরণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করা হবে। এতে দেশে ইপিআই কার্যক্রম ও ৫ই ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইন সহ দেশের এক লাখ বিশ হাজার আউটরিচ রুটিন টিকাদান কেন্দ্রের টিকাদান কার্যক্রম ব্যাহত হবে। এবং সংশ্লিষ্ট সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

    কর্ম বিরতি পালনকালে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিসটেন্ট অ্যাসোসিয়েশন সীতাকুণ্ড শাখার সভাপতি- বাবু সুরেশ চন্দ্র দাশ, সহ সভাপতি আনোয়ারা বেগম, নুরুল করিম, সাধারণ সম্পাদক কাজী আরিফ উদ্দীন, সাংগঠিক সম্পাদক মহিউদ্দীন ও শান্তা চৌধুরী, কাউছার তৈয়বা, সাকিয়া আকতার প্রমূূখ।

  • বৃহস্পতিবার সারা দেশে মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের কর্মবিরতির ঘোষণা

    বৃহস্পতিবার সারা দেশে মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের কর্মবিরতির ঘোষণা

    বিভিন্ন হাসপাতাল ও চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কয়েক হাজার মেডিকেল টেকনোলজিস্ট এবং বেকার মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা মহাখালীর স্বাস্থ্য ভবনে সমবেত হয়ে অবস্থান ধর্মঘট পালন করেছে।

    রোববার (৫ জুলাই) সকালে তারা এ ধর্মঘট পালন করেন।

    এদিকে দাবি আদায় না হলে আগামী বৃহস্পতিবার সরকারি হাসপাতালে কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা।

    তাদের অভিযোগ, স্বাস্থ্য বিভাগের গাফিলতির কারণে বয়সোত্তীর্ণ বেকার মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের বয়স প্রমার্জনা করে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী আদেশে ২০ হাজার বেকার মেডিকেল টেকনোলজিস্টকে অবিলম্বে নিয়োগ, মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের বেতন স্কেল দশম গ্রেডে উন্নীতকরণ, ডিপ্লোমা মেডিকেল এডুকেশন বোর্ড অবিলম্বে চালুকরণ, স্বেচ্ছাসেবক/অস্থায়ী ভিত্তিতে/ মাস্টাররোল এর মাধ্যমে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পদে নিয়োগ বন্ধকরণ, সুপ্রিমকোর্টের আদেশ এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির সুপারিশ মোতাবেক ওয়ান আমব্রেলা কনসেপ্ট বাস্তবায়ন এবং কারিগরি সংশ্লিষ্টদের মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কারিগরি শিক্ষাবোর্ড থেকে পাশ করাদেরকে স্বাস্থ্য বিভাগে নিয়োগ না দেওয়া, অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় ১৮৩ জন মেডিকেল টেকনোলজিষ্টের স্থায়ী নিয়োগের সুপারিশের আলোকে ১৪৫ জনের নিয়োগপত্র বাতিল এবং এ অনিয়মের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

    তাদের দাবিসমূহঅবিলম্বে বাস্তবায়ন না হলে জরুরি সেবা অব্যাহত রেখে আগামী ৯ জুলাই (বৃহস্পতিবার) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সারাদেশের সব সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে দুই ঘন্টার কর্মবিরতি পালনের কর্মসূচির ঘোষণা দেন।

    সমাবেশে বক্তারা বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগ মেডিকেল টেকনোলজিস্টদেরকে যথাযথভাবে মূল্যায়ন করছে না এমনকি অনেকাংশে তাদের কাজেরও স্বীকৃতি প্রদান করছে না।
    এক যুগেও মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের নিয়োগের উদ্যোগ গ্রহণ না করায় ইতিমধ্যে কয়েক হাজার মেডিকেল টেকনোলজিস্টের চাকরিতে প্রবেশের বয়স চলে গেছে।

    মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের সমস্যার সমাধানে কর্তৃপক্ষ কখনোই আন্তরিক ছিল না বলে তারা অভিযোগ করে বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগ মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের নিয়োগবিধি সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পদে অযোগ্যদেরকে নিয়োগ দিয়েছেন।

    বক্তারা আরও বলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের উদাসীনতার কারণে হাসপাতালে কর্মরত মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছেন।

    অবস্থান ধর্মঘটে সভাপতিত্ব করেন বিএমটিএ’র সভাপতি মোঃ আলমাছ আলী খান। বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মোশাররফ হোসেন খান, জহিরুল ইসলাম সরকার, সেলিম মোল্লা, আব্দুর রব, আওলাদ হোসেন খান, মহব্বত হোসেন খান, সমীর কুমার বেপারী, জাহিদুল ইসলাম শাহিন, শফিকুল ইসলাম, হেদায়েতুল ইসলাম শিবলী, সিরাজুল ইসলাম, মাহবুব হাসান, শহিদুল ইসলাম, তাহমিনা, ইকরা, রাজিবুল হাসান রাজা প্রমুখ।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • বোয়ালখালীতে হেলথ এ্যাসিস্টেন্ট এসোসিয়েশনের কর্মবিরতি পালন

    বোয়ালখালীতে হেলথ এ্যাসিস্টেন্ট এসোসিয়েশনের কর্মবিরতি পালন

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। বোয়ালখালী প্রতিনিধি : বোয়ালখালীতে হেলথ এ্যাসিস্টেন্ট এসোসিয়েশন হিসেবে কর্মরতরা কর্মবিরতি পালন করেছেন। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে এ কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপজেলায় কর্মরত স্বাস্থ্য পরিদর্শকবৃন্দ একাত্বতা প্রকাশ করেন।

    টেকনিক্যাল পদমর্যাদা ও গ্রেড পরিবর্তনের দাবীতে হাম রুবেলা ক্যাম্পেইন বর্জনসহ কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষিত এ কর্মসূচী হেলথ এ্যাসিস্টেন্ট এসোসিয়েশন বোয়ালখালী শাখার উদ্যোগে পালন করা হয়।

    এ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন হেলথ এ্যাসিস্টেন্ট এসোসিয়েশন বোয়ালখালী শাখার সভাপতি সুমন কান্তি ঘোষ, সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. ইফতিকার উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক আমীর হোসেন, অর্থ সম্পাদক রুমী আকতার, স্বাস্থ্য সহকারি দিদারুল আলম, অর্পিতা চৌধুরী, রহিমা বেগম, ববি বোস, রুমী সুলতানা, কামরুনেছা বেগম, জয়নাব বেগম, টিটু কুমার শীল, নেভী ঘোষ, অজিত দত্ত ও করিমুন্নেছা।

    এ সময় নেতৃবৃন্দরা বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষিত এ দাবী আদায় না হলে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতি পালন করা হবে।

  • লাইটারেজ শ্রমিকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারে ব্যবস্থা নিতে নৌ প্রতিমন্ত্রীর প্রতি চেম্বার সভাপতির আহবান

    লাইটারেজ শ্রমিকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারে ব্যবস্থা নিতে নৌ প্রতিমন্ত্রীর প্রতি চেম্বার সভাপতির আহবান

    ২৪ ঘন্টা চট্টগ্রাম ডেস্ক : দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র সভাপতি মাহবুবুল আলম লাইটারেজ শ্রমিকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী এমপি’র প্রতি ২৭ নভেম্বর এক পত্রের মাধ্যমে আহবান জানিয়েছেন।

    পত্রে তিনি বলেন-বাংলাদেশ লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়ন ২৭ নভেম্বর ২০১৯ ইং রাত ১২.০১ মিনিট থেকে কর্মবিরতি পালন করছে। এই কর্মবিরতি চলাকালীনসময়ে লাইটারেজ জাহাজ শ্রমিকরা চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে মাদার ভেসেল থেকে পণ্য খালাস বন্ধ রাখার পাশাপাশি সারাদেশে নৌ-পথে লাইটারেজ জাহাজ, কার্গো ট্রলার, বাল্ক হেড ইত্যাদি চলাচল বন্ধ রেখেছে।

    ফলশ্রুতিতে মাদার ভেসেল, লাইটারেজ জাহাজ ও বন্দরের ডেমারেজ চার্জসহ আমদানিকারকরা প্রচুর আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।

    পত্রে তিনি উল্লেখ করেন-নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য ও ভোগ্যপণ্য এবং শিল্পের আমদানিকৃত কাঁচামাল খালাস বন্ধ থাকার কারণে একদিকে যেমন বাজার অস্থিতিশীল হবে, অন্যদিকে তেমনি শিল্প মালিকগণ যথাসময়ে পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানি করতে ব্যর্থ হবেন। ব্যবসায়ী ও শিল্প মালিকদের কস্ট অব ডুয়িং বিজনেস অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে। ফলে সামগ্রিক অর্থনীতিতে অত্যন্ত নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

    সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সাথে কোন ধরণের আলোচনা না করে শ্রমিকদের এ ধরণের কর্মবিরতি অনাকাঙ্খিত ও অর্থনীতির জন্য হুমকিস্বরূপ। এতে সরকারের ভাবমূর্তিও ক্ষুন্ন হতে পারে বলে মনে করেন চেম্বার সভাপতি।

    দেশের অর্থনীতিকে অস্থিতিশীল হওয়া থেকে রক্ষা করতে লাইটারেজ শ্রমিকদের এ কর্মবিরতি প্রত্যাহারে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ব্যবসায়ী সমাজের পক্ষ থেকে নৌ প্রতিমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানান মাহবুবুল আলম।

  • নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার

    নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার

    পনেরো দফা দাবিতে ডাকা যাত্রীবাহী লঞ্চে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছে নৌযান শ্রমিক অধিকার সংরক্ষণ ঐক্য পরিষদ।

    নৌযান শ্রমিক অধিকার সংরক্ষণ ঐক্য পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ মো. ওমর ফারুক কর্মবিরতি প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

    তিনি বলেন, বরিশালে চরমোনাই পীরের মাহফিলে অংশ গ্রহণে সুবিধা এবং শ্রম মন্ত্রণালয় থেকে দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাসে আমরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছি। যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল করবে, তবে মালবাহী নৌযানে কর্মবিরতি চলবে।

    কর্মবিরতির কারণে বুধবার সকাল থেকে সদরঘাটে কোনো লঞ্চ চলাচল করেনি। এতে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।

    ১৫ দফা দাবি আদায়ে বাংলাদেশ লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক লীগ, বাংলাদেশ কার্গো ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ বাল্কহেড, ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়ন মিলে ঐক্য পরিষদ গঠন করে। গত ২৪ নভেম্বর সংবাদ সম্মেলনে তারা ২৭ নভেম্বর থেকে সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ঘোষণা করে ঐক্য পরিষদ।

    ঢাকা নদীবন্দরের (সদরঘাট) যুগ্ম পরিচালক (নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা) আলমগীর কবির বলেন, সদরঘাট থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ ছিল, কর্মবিরতি প্রত্যাহার ঘোষণার পর লঞ্চ ঘাটে আসতে শুরু করেছে।

  • কর্মবিরতিতে নৌযান শ্রমিকরা,লঞ্চ চলাচল বন্ধ

    কর্মবিরতিতে নৌযান শ্রমিকরা,লঞ্চ চলাচল বন্ধ

    নৌযান শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে কর্মবিরতি শুরু করেছে। শতভাগ খাদ্যভাতা ও সুপেয় পানির খরচ আদায়সহ ১৫ দফা দাবিতে তাদের এই কর্মবিরত।

    এর ফলে বুধবার সকাল থেকে ঢাকার সদরঘাট থেকে কোন যাত্রীবাহী লঞ্চ ছেড়ে যায়নি বলে সদরঘাটসূত্রে খবর পাওয়া গেছে।

    গত ২০ নভেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শ্রমিক অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়। এর আওতায় সব শ্রেণির জাহাজ, ট্রলার ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানায় তারা।

    মানববন্ধন থেকে শ্রমিকরা নৌ শ্রমিকদের খোরাকি ভাতা চালু, জ্বালানি তেল সরবরাহের পাইপলাইন স্থাপনের সিদ্ধান্ত বাতিল, ডিজি শিপিংয়ের হয়রানি বন্ধ, সুনামগঞ্জের ছাতকের ভুয়া ইজারা বাতিল এবং নৌপথে চাঁদাবাজি বন্ধসহ ১৫ দফা দাবি জানান।