Tag: কলকাতা

  • আরেকটি জয় সাকিবের কলকাতার

    আরেকটি জয় সাকিবের কলকাতার

    ভেঙ্কটেশ আইয়ার ও রাহুল ত্রিপাঠির ঝড়ে উড়ে গেল মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। এবার কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারল গতবারের চ্যাম্পিয়নরা।

    আবুধাবিতে প্রথমে ব্যাট করে ১৫৫ রান গড়ে মুম্বাই। সেই রান তাড়া করতে নেমে সাকিব আল হাসানের কলকাতা খরচ করেছে ১৫.১ ওভার। তারা হাতে রেখেছে সাত উইকেট ও ২৯ বল।

    দেড়শোর ওপর রান চেজ করতে নেমে শুভমান গিল ও ভেঙ্কটেশ আইয়ার শুরু থেকেই ঝড় তোলেন। গিল ৯ বলে ১৩ রান বুমরাহর বলে বোল্ড হয়ে ফিরে গেলেও অন্যরা সে ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন। রাহুল ত্রিপাঠি ও ভেঙ্কটেশ আইয়ারের ব্যাটে মুম্বাই একরকম উড়ে যায়। ট্রেন্ট বোল্ট, বুমরাহ ও চাহারদের বল হাতে কিছুই করতে পারেননি। রাহুল ৩৮ বলে ৬৭ ও ভেঙ্কটেশ ৩০ বলে ৫৩ রান করেন।

    টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামে মুম্বাই। বড় সংগ্রহ গড়ার আশা দেখিয়েছিলেন রোহিত শর্মা ও কুইন্টন ডি কক। রোহিত ৩৩ করে ফিরে গেলে সে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি। এরপর নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে আর পারেনি বড় সংগ্রহ গড়তে।

    ডি কক ৪২ বলে ৫৫ করলেও বাকিরা পারেননি ভালো কিছু করতে। শেষদিকে পোলার্ড ১৫ বলে ২১ না করলে দেড়শ-ও করতে পারত না মুম্বাই। কলকাতার হয়ে দুটি করে উইকেট নেন লকি ফার্গুসন ও প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ। এক উইকেট নেন নারিন।

    অবশ্য এই ম্যাচেও উইনিং কম্বিনেশন ভাঙেনি কলকাতা। তাই একাদশে ছিলেন না বাংলাদেশি তারকা সাকিব আল হাসান ।

    এন-কে

  • ম্যাচ জিতেও কলকাতা অধিনায়কের জরিমানা

    ম্যাচ জিতেও কলকাতা অধিনায়কের জরিমানা

    মুম্বাই ইন্ডিয়ানসকে ৭ উইকেটে উড়িয়ে দিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের চার নম্বরে উঠে এসেছে মরগ্যানের দল। মুম্বাইয়ের দেওয়া ১৫৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে সহজ জয় তুলে নেয় কলকাতা। ভেঙ্কটেশ আইয়ার ও রাহুল ত্রিপাঠির ব্যাটিং ঝড়ে ৭ উইকেটের জয় তুলে নেয় কলকাতা।

    ম্যাচ জয় করে মাঠ ছাড়লেও দুঃসংবাদ পিছু ছাড়েনি মরগ্যানদের। ম্যাচ জয়ের আনন্দের সঙ্গে যোগ হয়েছে বিষাদ। আর এই বিষাদ হলো কলকাতা অধিনায়কের জরিমানা। আমিরাতে শুরু হওয়া আইপিএলের দ্বিতীয় পর্বে আবারও স্লো ওভার রেটে ধরা পড়েছে কলকাতা। যে কারণে দ্বিগুণ জরিমানা গুনতে হয়েছে দলের অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যানকে।

    আইপিএলের স্লো ওভার রেটের নীতিমালা অনুযায়ী, একই মৌসুমে প্রথমবার স্লো ওভার রেটে ধরা পড়লে অধিনায়কের জরিমানা করা হয় ১২ লাখ টাকা। দ্বিতীয়বার হওয়ায় এর দ্বিগুণ অর্থাৎ ২৪ লাখ টাকা গুনতে হচ্ছে মরগ্যানকে। পাশাপাশি কলকাতা একাদশের অন্যদের ম্যাচ ফি‌র ২৫ শতাংশ জরিমানা গুনতে হবে।

    উল্লেখ্য, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষ করার জন্য ইনিংসের মাঝে দুই বিরতিসহ মোট ৯০ মিনিট সময় বেঁধে দেওয়া থাকে। এর বাইরে ৫-৭ মিনিট পর্যন্ত মেনে নেন ম্যাচ রেফারিরা। কিন্তু সবশেষ মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের বিপক্ষে ২০ ওভার শেষ করতে কলকাতার সময় লেগেছে প্রায় ১১৫ মিনিট। এ কারণেই মূলত শাস্তির মুখোমুখি হতে হলো অধিনায়ক মরগ্যান ও তার দলকে।

    এর আগে আবুধাবিতে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামে মুম্বাই। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৫ রানে থামে মুম্বাইয়ের ইনিংস।

    জবাব দিতে নেমে কলকাতার হয়ে ঝড় তোলেন ভেঙ্কটেশ আয়ার। ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৩০ বলে ৫৩ রান করেন তিনি। এরপর তিন নম্বরে খেলতে নেমে রাহুল ত্রিপাটিও উইকেটে ঝড় তোলেন। তার ব্যাট থেকে আসে ৭৪ রানের ইনিংস। ৮টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৪২ বলে এই রান করেন তিনি। ফলে ২৯ বল বাকি থাকতেই ৭ উইকেটের সহজ জয় পায় কলকাতা।

    এন-কে

  • ঢাকায় আসছেন কলকাতার কৌশানী

    ঢাকায় আসছেন কলকাতার কৌশানী

    ‘পিয়া রে’ শিরোনামে একটি সিনেমার শুটিংয়ে অংশ নিতে ঢাকায় আসছেন কলকাতার অভিনেত্রী কৌশানী মুখোপাধ্যায়। সিনেমাটিতে উঠতি চিত্রনায়ক শান্ত খানের নায়িকা হিসেবে দেখা যাবে তাঁকে।

    সোমবার দুপুরে সিনেমাটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়ার হেড অব প্রোডাকশন অপূর্ব রায় দাবি করেছেন, ‘২৬ সেপ্টেম্বর ঢাকায় আসছেন কৌশানী। এর পর টানা শুটিংয়ে অংশ নেবেন। মাঝে পূজার একটা ব্রেক দেওয়া হবে। শুধু কৌশানী নয়, কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেতা রজতাভ দত্ত, খরাজ মুখার্জিও এই সিনেমার শুটে অংশ নিতে ঢাকায় আসছেন।’

    দেশে বিদেশি শিল্পীদের শুটিংয়ের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের ‘ওয়ার্ক পারমিট’ এরই মধ্যে পেয়েছেন বলেও দাবি করেন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের এই কর্মকর্তা।

    এর আগে শাপলা মিডিয়া ইন্টারন্যাশনালের প্রযোজনায় কলকাতার দুই সিনেমার শুট শেষ করেছেন কৌশানী মুখোপাধ্যায়। শামীম আহমেদ রনির পরিচালনায় সেই দুই সিনেমায় তাঁর বিপরীতে অভিনয় করেছেন প্রেমিক বনি সেনগুপ্ত।

    এন-কে

  • আম্পানে তছনছ পশ্চিমবঙ্গ,লন্ডভন্ড কলকাতা/মৃত্যু হয়েছে ১০ থেকে ১২ জনের!

    আম্পানে তছনছ পশ্চিমবঙ্গ,লন্ডভন্ড কলকাতা/মৃত্যু হয়েছে ১০ থেকে ১২ জনের!

    ২৪ ঘণ্টা আন্তর্জাতিক সংবাদ : সুপার সাইক্লোন আম্পানের তাণ্ডবলীলায় তছনছ হয়ে গেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ। লন্ডভন্ড কলকাতা। ঘন্টায় ১৩০ কিমি বেগে বয়ে চলা আম্পানের তাণ্ডবলীলায় রাস্তায় একের পর এক ভেঙে পড়েছে গাছ।

    বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে ট্র্যাফিক ব্যবস্থাও। কারণ বিভিন্ন ট্র্যাফিক লাইটগুলি ভেঙে পড়ে বলে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছেন। তাছাড়া ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ১০ থেকে ১২ জন মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    ২০ মে, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ সুন্দরবনে আছড়ে পড়ার পর দক্ষিণে তাণ্ডব চালিয়ে যখন উত্তর ২৪ পরগনায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে প্রবল ঘূর্ণিঝড়, সেইসময় রাত ৯টার দিকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ তথ্য জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, সুপার সাইক্লোন আম্পানের তাণ্ডবলীলায় কলকাতায় গাছ পড়ে মা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার ঝড়ের প্রবল তাণ্ডবেই এই ঘটনা ঘটে। হাওড়ায় ঘরের টিন ভেঙে পড়ে এক তরুণীর মৃত্যু হয়, এছাড়া মিনাখাঁয় এক মহিলার মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

    বসিরহাটে ঝড়ে নারকেল গাছ চাপা পড়ে ৪ জন হতাহতের খবর জানা গেছে। তাছাড়াও মেনকা মিনাখা হিঙ্গলগঞ্জ সন্দেশখালি হাসনাবাদ হাড়োয়া সহ আশেপাশে এলাকার কমপক্ষে ৫ হাজার ২শ টি মাটির তৈরি ঘর ভেঙে গেছে বলে জানিয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনার জেলা প্রশাসক।

    এদিকে ঝড়ের তান্ডব শুরু হওয়ার আগেই বুধবার সকালে দিঘাতে ব্যাপক জলোচ্ছ্বাস শুরু হয়। একেবারে গার্ডওয়াল টপকে আসে জল। বেলা বাড়ার সঙ্গে তা ভয়ঙ্কর চেহারা নেয়। প্রায় ৪ থেকে পাঁচ ফুট চেহারা নেয় ঢেউয়ের। আর তার সঙ্গে বাড়তে থাকে ঝোড়ো হাওয়া। যার কারণে বহু জায়গায় বোল্ডার একেবারে রাস্তার উপরে চলে আসে।

    এরপর যখন ল্যান্ডফল শুরু হয় তখন আরও ভয়াবহ হয়ে উঠে পরিস্থিতি। বিশাল ঢেউ আছড়ে পড়তে থাকে। যার কারণে বেশ কিছু ক্ষতি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে, দিঘায় প্রচুর ঝাউ গাছের উপড়ে পড়েছে বলে জানা যাচ্ছে। রাস্তার দুধারে সেগুলি ভেঙে পড়েছে। বিদ্যুৎ খুঁটিগুলিও ভেঙে পড়েছে বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে দোকানগুলিরও।

    ঝড়ের পর মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে জানিয়েছেন, এলাকার পর এলাকা ধ্বংস। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। প্রশাসন সাধারণ মানুষের সাহায্যে ৫ লক্ষ মানুষকে সরাতে পেরেছি। দঃ ও উত্তর ২৪ পরগণা প্রায় ধ্বংস ঝড়ের দাপটে। গাছ পড়ে মানুষ মারা গেছেন। মোট ক্ষতি এখনও গণনা করা যায়নি।

    অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ নেই, জল নেই। পাথরপ্রতিমা, নামখানা, কাকদ্বীপ, কুলতলি, বারুইপুর, সোনারপুর সব জায়গায় ধ্বংসের ছবি। রাজারহাট, হাসনাবাদ, সন্দেশখালি, গোসাবা, হাবড়া সব জায়গাই বিপর্যস্ত।’

    ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার’এর খবরে বলা হয়, এখন পর্যন্ত পর্যন্ত ১০ থেকে ১২ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে।’ ধ্বংসের হাত থেকে উন্নয়নের পথে আবার সবাইকে শামিল করে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার করেন মূখ্যমন্ত্রী মমতা।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • করোনা রুখতে কলকাতায় গোমূত্র পানের আয়োজন বিজেপি নেতার!

    করোনা রুখতে কলকাতায় গোমূত্র পানের আয়োজন বিজেপি নেতার!

    করোনা সংক্রমণ ঠেকানোর নামে আর এক ‘সংক্রমণ’। গোমূত্র পান করা এবং করানোর হুজুগ ভারতের রাজধানী দিল্লি থেকে সংক্রামিত হল কলকাতাতেও। দিল্লিতে গোমূত্র পার্টির আয়োজন করেছিল হিন্দু মহাসভা, উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রধান চক্রপাণি মহারাজ নিজেও।

    সোমবার কলকাতায় গোমাতার পুজো এবং এবং গোমূত্র পানের আসর বসালেন বিজেপি নেতা।

    করোনার কোনও প্রতিষেধক যে হেতু এখনও আবিষ্কার হয়নি, সে হেতু গোমূত্র পানই বাঁচার একমাত্র উপায়— জোর গলায় বললেন সেই বিজেপি নেতা। তবে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব জানালেন, ওই কর্মসূচির সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই।

    জোড়াসাঁকো এলাকার বিজেপি নেতা নারায়ণ চট্টোপাধ্যায় সোমবার গোমূত্র পান করালেন অনেককে। প্রথমে ধুপ-ধুনো-ফুল-ফল-মিষ্টান্নে গোমাতার পুজো, রুটি খাইয়ে গরু এবং বাছুরের সেবা। তার পরে ঘটিতে করে গোমূত্র বিলি।

    প্রকাশ্যেই স্থানীয় লোকজনের মুখে আলগোছে গোমূত্র ঢেলে দিতে দেখা গিয়েছে ওই বিজেপি নেতাকে। করোনা রোধের নিদান হিসেবে গোমাতার পুজো এবং গোমূত্র পানের ওই আসরে যাঁরা হাজির হয়েছিলেন, তাঁদেরও বেশ অকাতরেই গোমূত্র পান করতে দেখা গিয়েছে। ঘটনাস্থলে হাজির এক পুলিশ কনস্টেবলের হাতেও গোমূত্র ঢেলে দেন বিজেপি নেতা। হাতের তালুতে চুমুক দিয়ে তিনি তা খেয়েও নেন।

    শুধু গোমূত্র অবশ্য নয়, লাড্ডুও ছিল গোমাতার প্রসাদ হিসেবে। তবে লাড্ডু খেতে হলে আগে গোমূত্র পান করতে হবে— এই রকম শর্ত রাখা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।

    করোনা রুখতে গোমূত্র পান! তা-ও কলকাতার বুকে! ঘটনার ছবি সামনে আসতেই প্রবল প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক শিবিরে।

    কলকাতার ডেপুটি মেয়র তথা মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ তীব্র কটাক্ষ ছুড়ে বলেছেন, ‘‘যাঁদের চিড়িয়াখানায় থাকার কথা, তাঁরা বাইরে থাকলে এই রকমই হয়।’’ আর কংগ্রেস বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তীর উদ্বেগ, ‘‘বিজ্ঞানের উল্টো পথে হেঁটে করোনা সংক্রমণ রোখার নামে যে ভাবে গোমূত্র পান করানো হচ্ছে, তার ভয়ঙ্কর ফল হতে পারে।’’ তাঁর প্রশ্ন, ‘‘গ্রামাঞ্চলে মানুষ যদি দলে দলে গোমূত্র পান করে নতুন কোনও সংক্রমণের শিকার হন, তা হলে কে দায়ী থাকবে?’’

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। করোনা মোকাবিলার জন্য তিনি যে প্রশাসনিক বৈঠক ডেকেছিলেন, তা শেষ হওয়ার পরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে ওই সংক্রান্ত প্রশ্নের সম্মুখীন হন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, কোনও বিতর্কিত বিষয়ে তিনি কথা বলতে চান না।

    তবে চিকিৎসকরা এই কাণ্ডের সমালোচনায় সরব। ভায়ারোলজিস্ট অমিতাভ নন্দীর মতে, ‘‘গোমূত্রের মাধ্যমে ভাইরাস ভাল হওয়ার কোনও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আজ পর্যন্ত বিশ্বে পাওয়া যায়নি। এই ভাইরাস আগে কখনও ভারতে আসেনি। এর বয়স মাত্র তিন মাস। তাও ভারতে এসেছে কিছুদিন হল। যাঁরা এ সব প্রচার চালাচ্ছেন, তাঁরা কোন পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করলেন? কী ভাবে নিশ্চিত হলেন যে এতে রোগ সারে? এই অপপ্রচার অবৈজ্ঞানিক ও ভণ্ডামি ছাড়া আর কিচ্ছু নয়।’’

    গোমূত্র পান করানোর হোতা যিনি, সেই নারায়ণ চট্টোপাধ্যায় এ দিন গেরুয়া পোশাক পরে এবং বুকে পদ্মফুলের ব্যাজ লাগিয়ে সবার মুখে গোমূত্র ঢালছিলেন। কিন্তু বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব বলছেন, নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়ের ওই আয়োজনের সঙ্গে বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই। রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, ‘‘ওই কর্মসূচির সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই।

    বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব কারওকে এই রকম কোনও কর্মসূচি আয়োজন করতে বলেননি। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও বলেননি যে, করোনা রুখতে গোমূত্র পান করান। যিনি এ সব করেছেন, তিনি নিজের দায়িত্বে করেছেন।’’ কিন্তু লোককে গোমূত্র পান করানোর সময়ে নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়ের বুকে যে পদ্মফুলের ব্যাজ লাগানো ছিল? সায়ন্তন বলেন, ‘‘পদ্মফুল যে কেউ ব্যবহার করতে পারেন। ওটা জাতীয় ফুল। পদ্মফুল মানেই বিজেপি নয়।’’

    যিনি এই কাণ্ডের প্রধান আয়োজক ছিলেন, সেই নারায়ণ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য বিন্দুমাত্র বিচলিত নন। তিনি জোর গলাতেই বার বার বলেছেন যে, করোনা রুখতে পারে শুধুমাত্র গোমূত্রই।

  • চলে গেলেন অভিনেতা সন্তু মুখোপাধ্যায়

    চলে গেলেন অভিনেতা সন্তু মুখোপাধ্যায়

    কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেতা সন্তু মুখোপাধ্যায় না ফেরার দেশে চলে গেলেন। বুধবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়। তার বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। সন্তুর দুই কন্যার একজন অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। আর এক কন্যার নাম অজপা মুখোপাধ্যায়।

    আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, বেশ কিছু দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন সন্তু। সন্ধ্যায় নিজের দক্ষিণ কলকাতার বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই অভিনেতা। তার ক্যান্সারের চিকিৎসা চলছিল।

    কিছুদিন আগেই শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে অভিনেতাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেসময় বেশকিছুদিন ঢাকুরিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তিও ছিলেন তিনি।
    তখনই তার সুগারের সমস্যা ও ক্যান্সারের চিকিৎসার কথা জানা গিয়েছিল। তবে সেসময় কিছুটা সুস্থ থাকায় হাসপাতাল থেকে বাড়িতে ফিরে যান তিনি।

    বড়পর্দার পাশাপাশি ছোটপর্দাতেও দাপটের সঙ্গে অভিনয় করে গিয়েছেন সন্তু। তার মৃত্যুতে টালিগঞ্জের শিল্পীমহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

    এদিন রাতেই অভিনেতার শেষকৃত্য সম্পন্ন হওয়ার কথা পরিবার সূত্রে জানা গেছে। কয়েক বছর আগে তার স্ত্রী গোপা মুখোপাধ্যায় প্রয়াত হন।

  • ঘন কুয়াশা : আজও চট্টগ্রামের বদলে কলকাতা ফিরে গেল ৩ বিমান

    ঘন কুয়াশা : আজও চট্টগ্রামের বদলে কলকাতা ফিরে গেল ৩ বিমান

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : ঘন কুয়াশার কবলে পড়ে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ না করে কলকাতা ফিরে গেছে ৩টি আন্তর্জাতিক বিমান।

    তাছাড়া মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ১০টা পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ রুটের কোনো ফ্লাইট অবতরণ করেনি বলে জানা গেছে।

    জানা যায়, এ সময়ের মধ্যে দোহা থেকে আসা ইউএস বাংলা, মাসকাট থেকে আসা রিজেন্ট এয়ারওয়েজ ও শারজাহ থেকে আসা এয়ার এরাবিয়ার একটি ফ্লাইট ঘন কুয়াশার কারণে চট্টগ্রামে নামতে না পেরে কলকাতা বিমান বন্দরে অবতরণ করে।

    বিষয়টি নিশ্চিত করেন শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সহকারি ব্যবস্থাপক খাইরুল কবির। তিনি বলেন, মঙ্গলবার ভোর থেকে সকাল পৌণে ১০টা পর্যন্ত ফ্লাইট কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কম থাকায় ৩টি ফ্লাইট চট্টগ্রামে অবতরণ করতে না পেরে কলকাতা বিমান বন্দরে অবতরণ করেন।

    তিনি বলেন, কুয়াশা কেটে যাওয়ার পর এসব ফ্লাইট চট্টগ্রাম নিয়ে আসা হচ্ছে। তাছাড়া কুয়াশা কেটে যাওয়ার পর বিমানবন্দরটিতে আগের শিডিউল অনুযায়ী ফ্লাইট চলাচল করছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

    মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার সময শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপন উইং কমান্ডার সারওয়ার-ই-জাহান জানিয়েছেন কুয়াশা কেটে যাওয়ার পর কলতাকায় ফিরে যাওয়া ফ্লাইটগুলো একে একে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।

    এর মধ্যে সকাল পৌণে ১১টার দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের আবুধাবি থেকে আসা ফ্লাইটটি চট্টগ্রামে অবতরণ করে। তিনি বলেন দুপুর ১টার মধ্যেই বাকি দুটি ফ্লাইটও চট্টগ্রাম বিমান বন্দরে অবতরণ করবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

    এরআগে সোমবার সকালে মাস্কট থেকে আসা বিমান বাংলাদেশের একটি ফ্লাইট ঘন কুয়াশার কারনে চট্টগ্রাম নামতে না পেরে কলকাতায় ফিরে যায়। পরে কুয়াশা কেটে গেলে বিমানটিকে ফের চট্টগ্রাম বিমান বন্দরে নিয়ে আসা হয়।

  • মাসকাট থেকে আসা বিমান শাহ আমানত এ না নেমে ফিরে গেলো কলকাতা

    মাসকাট থেকে আসা বিমান শাহ আমানত এ না নেমে ফিরে গেলো কলকাতা

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : মাসকাট থেকে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামতে না পেরে ফিরে গেছে কলকাতা।

    শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সহকারী ব্যবস্থাপক খায়রুল কবির বলেন, সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে আটটার দিকে বিমানের ১২২ ফ্লাইটটি ঘন কুয়াশার কারনে চট্টগ্রামে নামতে পারেনি। বিমানটি ফিরে গিয়ে কলকাতা বিমান বন্দরে অবতরণ করেছে।

    তবে কুয়াশার কেটে গেলে ফ্লাইটটি আবার চট্টগ্রামে চলে আসবে বলে তিনি জানিয়েছেন। তাছাড়া বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট ছাড়া বাকী সবগুলো ফ্লাইট উঠা-নামায় কোন সমস্যা হয়নি। ঢাকা-চট্টগ্রাম অভ্যন্তরীণ রুটের তিনটি ফ্লাইট চট্টগ্রামে অবতরণ করেছে বলে তিনি জানান।

  • ইডেনে খেলা দেখার আমন্ত্রণ জানিয়ে শেখ হাসিনাকে মোদির চিঠি

    ইডেনে খেলা দেখার আমন্ত্রণ জানিয়ে শেখ হাসিনাকে মোদির চিঠি

    কলকাতার ইডেন গার্ডেনে আগামী ২২ নভেম্বর শুরু হতে যাওয়া বাংলাদেশ-ভারতের দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচে অতিথি হওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    বুধবার (১৩ নভেম্বর) রাতে শেখ হাসিনাকে এ চিঠি দেন মোদি।

    বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

    সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, টেস্ট ম্যাচ শুরুর দিন ২২ নভেম্বর সকালে কলকাতায় যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইডেন গার্ডেনে প্রথম দিনের খেলায় অতিথি হিসেবে থেকে তিনি সন্ধ্যায় চলে আসবেন। তবে এ সফরে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক হবে।

  • প্রধানমন্ত্রীর জন্য সৌরভের ৫০ পদের ভোজ

    প্রধানমন্ত্রীর জন্য সৌরভের ৫০ পদের ভোজ

    বাংলাদেশ-ভারত কলকাতার ইডেন গার্ডেনে প্রথমবারের মতো দিবা-রাত্রির টেস্ট খেলতে নামবে। আগামী ২২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ফ্লাড লাইটের আলোতে বাংলাদেশ-ভারত এর সিরিজের শেষ টেস্ট ম্যাচ। ঐতিহাসিক এই টেস্ট ম্যাচকে নিয়ে জাকজমকপূর্ণ আয়োজন করবে বিসিসিআই নতুুন সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি। যেখানে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। আর তাইতো হরেকরকম ভোজের আয়োজন করবে বিসিসিআই এর সভাপতি দাদাগিরির দাদা সৌরভ গাঙ্গুলী।

    বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর আয়োজনকে বর্ণাঢ্য ও স্মরণীয় করে রাখতে ইডেন টেস্টের প্রথমদিন রাজকীয় মধ্যাহ্নভোজ আয়োজন করতে যাচ্ছে সিএবি। ম্যাচের প্রথমদিন টসের আগে থেকে শুরু করে কয়েক ঘণ্টা ইডেনে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে শেখ হাসিনার। আর এ সময়ের মাঝেই প্রায় ৫০ পদের রাজকীয় মধ্যাহ্নভোজের ব্যবস্থা করা হবে তার জন্য।

    কী থাকবে সেই মধ্যাহ্নভোজে? ভারতীয় দৈনিক এই সময়ের প্রতিবেদন মতে, গঙ্গার ইলিশ, পাবদা সর্ষে, ভেটকি পাতুরি, ডাব চিংড়ি- মাছের এই পদগুলো ছাড়াও দুই বাংলার প্রথামাফিক সবরকম জনপ্রিয় পদই থাকবে অতিথি আপ্যায়নে। যার মধ্যে থাকছে শুক্তো, আলু পোস্ত, ফুলকপির রোস্ট, ছানার ডালনাসহ অন্তত ৫০’র বেশি পদ।

    এছাড়া ভাত, রুটি, পোলাও, পায়েস, চাটনির মতো পদগুলি তো থাকছেই। যেসব অতিথির মাছ পছন্দ নয়, তাদের জন্য থাকবে মুরগি ও খাসির হরেকরকম পদ। মঙ্গলবার সিএবি কর্তাদের সঙ্গে এ নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে শহরের এক পাঁচ তারকা হোটেলের। মধ্যাহ্নভোজের চূড়ান্ত মেন্যু অবশ্য ঠিক করবেন বিসিসিআইয়ের নতুন সভাপতি ও সিএবির সাবেক প্রধান সৌরভ গাঙ্গুলি।

    শুধু মধ্যাহ্নভোজ দিয়েই থামছে না শেখ হাসিনাকে আপ্যায়নের আয়োজন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেয়ার জন্য আন্তর্জাতিক মানের বিশেষ পোশাক প্রস্তুতকারককে দিয়ে ডিজাইনার শাড়ি ও শাল বানাচ্ছে সিএবি। এছাড়া বাংলার ঐতিহ্য মেনে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকেও দেওয়া হবে বিশ্ব বাংলার নানা উপহার।

  • কলকাতার পথে ইলিশের প্রথম চালান

    কলকাতার পথে ইলিশের প্রথম চালান

    দুর্গাপূজা উপলক্ষে শনিবার যশোরের বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ইলিশের প্রথম চালান যাচ্ছে ভারতে।

    পশ্চিমবঙ্গের কলকাতাকে শুভেচ্ছা হিসেবে ভারতে ৫০০ মেট্রিক টন ইলিশ পাঠানোর অনুমোদন দিয়েছে সরকার। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বুধবার ইলিশ পাঠানোর এ অনুমোদন দেয়।

    বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দিন বলেন, ভারতে ৫০০ মেট্রিক টন ইলিশ শুভেচ্ছা হিসেবে পাঠানো হচ্ছে।

    তবে এটি রপ্তানির কোনো বিষয় নয়। শুধু একবারই পাঠানো হবে। পশ্চিমবঙ্গে ৫০০ টন ইলিশ রপ্তানির বিশেষ অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।

    বাণিজ্য সচিব তখন বলেন, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা ভারতের কলকাতায় ইলিশ নিয়ে যাবেন। পরে সেখানকার বাজারে তা শুভেচ্ছা মূল্যে বিক্রি করবেন। মূলত কলকাতার বাজারেই এই ইলিশ বিক্রি হবে। ২০১২ সালের পর থেকে ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ। এরপর থেকে বৈধভাবে বাংলাদেশের ইলিশ আর কলকাতায় যায় না।

    কলকাতায় ইলিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মকসুদ বলেন, ২০১২ সালে বাংলাদেশ সরকার ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়।

    এবার বাংলাদেশ সরকার পশ্চিমবঙ্গে ৫০০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে শুভেচ্ছা হিসেবে।
    প্রথম চালান শনিবার আসবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ছাড়পত্র দেয় ২২ সেপ্টেম্বর। এই ইলিশ কয়েক ধাপে আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে পৌঁছাবে পশ্চিমবঙ্গে।

    বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে ইলিশ যাবে কলকাতায়। এরপর এই ইলিশ চলে যাবে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বাজারে। গত বছর ইলিশ ২০০ রুপি কেজিতে বিক্রি হয়েছিল বলে জানা গেছে।