২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। জেলা সংবাদ || করোনা ভাইরাস সন্দেহে মাকে জঙ্গলে রেখে আসার রেশ কাটতে না কাটতেই আরো এক মাকে নদীর পাড়ের খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিতে হয়েছে।
চার মাসের শিশু সন্তানসহ গ্রাম থেকে তাকে বের করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে কলাপাড়ার পার্শ্ববর্তী তালতলী উপজেলার শারিকখালী ইউপির চাউলাপাড়া গ্রামে।
জানা যায় গত ১০ এপ্রিল ভোরে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পোশাককর্মী শিরিনা আক্তার তার শিশুসন্তান আফসানা ও স্বামী মামুনকে নিয়ে শ্বশুড়বাড়িতে ফেরার পর ইউপি সদস্য নিজাম আখনের চাপিয়ে দেওয়া অমানবিক সিদ্ধান্তে বাড়িতে জায়গা হয়নি তার। বের করে দেওয়া হয় গ্রাম থেকে।
ফলে পাশের কলাপাড়া উপজেলার চাকামইয়া ইউপির কাঁঠালপাড়া গ্রামের নির্জন নদীর ধারে খোলা আকাশের নিচে একটি পরিত্যক্ত জায়গায় এখন রাত কাটছে মা ও শিশুটির
পরে শ্বশুরের সহায়তায় একটি মাদুর ও রান্না করে খাওয়ার হাঁড়ি-পাতিলের ব্যবস্থা করেন শিরিনা।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে গত ১০ দিন ধরে মা ও মেয়ের সঙ্গে ঘটে যাওয়া এমন অমানবিক ঘটনার বর্ণনা দেন শিরিনা আক্তার।
তিনি অভিযোগ করেন, তার কোনো ধরনের করোনা উপসর্গ না থাকলেও তাকে মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে শুধু প্রভাবশালী মেম্বারের ভয়ে। কেন তাকে নিজ বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করা হয়নি, সরকারের কাছে এমন প্রশ্ন রেখেছেন তিনি।
এ ব্যাপারে ঐ ইউপি সদস্যের সঙ্গে একাধিক বার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সংযোগ পাওয়া সম্ভব হয়নি।
বিষয়টি অবগত নয় জানিয়ে তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. সেলিম মিয়া বলেন, ‘এমন ঘটনা আমার জানা নেই।
কাউকে করোনা আক্রান্ত সন্দেহ হলে ঐ ইউপি সদস্যের আমাকে জানানোর কথা। তার জন্য সরকারিভাবে চিকিত্সা দেওয়া বা কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা আমরা অবশ্যই করব। কিন্তু সেটা এভাবে নয়।
কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, যেহেতু কলাপাড়ার সীমানায় রয়েছে তারা, অবশ্যই খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
২৪ ঘণ্টা/ আর এস পি