Tag: কলেজছাত্রী

  • পিবিআই ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

    পিবিআই ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

    খুলনার ছোট মির্জাপুরের একটি জাতীয় পত্রিকার স্থানীয় অফিসে বিএল কলেজের শিক্ষার্থীকে পিবিআই ইন্সপেক্টর মঞ্জুরুল আহসান মাসুদ ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর থেকেই ইন্সপেক্টর মাসুদ পলাতক রয়েছেন।

    ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী এ ঘটনার পর ৯৯৯ এবং খুলনা সদর থানার ওসির নম্বরে ফোন করে সহযোগিতা চায়। পরবর্তীতে পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে।

    পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। ভিকটিমকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে।

    খুলনা সদর থানার ওসি হাসান আল মামুন জানান, ভিকটিম একটি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার ছবি প্রচারণা নিয়ে একটি সমস্যা হয়েছিল। সেই সূত্রে পিবিআইয়ের ইন্সপেক্টর মঞ্জুরুল আহসান মাসুদের সঙ্গে ভিকটিমের কয়েক দিন আগে পরিচয় হয়। রোববার দুপুরের দিকে মির্জাপুরের একটি পত্রিকা অফিসে ইন্সপেক্টর মাসুদ ভিকটিমকে নিয়ে এসে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

    তিনি বলেন, ঘটনার সময় অফিসে একজন স্টাফও ছিল। অফিসের ভিতরের একটি কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ ভিকটিমের। এ ঘটনার পর ভিকটিম নিজেই দুপুর ২টার পর আমাকে ফোন দিয়েছিল। পাশাপাশি সে ৯৯৯-এ ফোন করেছিল। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।

    তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর কেএমপি পুলিশের ঊর্ধ্বতন একটি টিম প্লেস অব ওকারেন্সে গিয়ে পরিদর্শন করেন।

    কেএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার সোনালী সেন বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ার সমস্যার সমাধানের জন্য ভিকটিমকে মির্জাপুরের একটি অফিসে নিয়ে আসে পিবিআইয়ের ইন্সপেক্টর। এরপর তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। ভিকটিম খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে আছে। ঘটনার পর থেকে ইন্সপেক্টর মাসুদ পলাতক। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করবে ভিকটিমের পরিবার।

    পিবিআইয়ের সূত্র জানায়, ইন্সপেক্টর মঞ্জুরুল আহসান মাসুদ প্রায় দেড় বছর আগে খুলনায় যোগদান করেছেন। তার স্ত্রীসহ দুটি সন্তানও রয়েছে।

    এদিকে সাংবাদিক আবু হেনা মুক্তি এ প্রতিবেদককে জানান, এটা আমার আগের অফিস। সেখানে দৈনিক ইনকিলাবের একটি পুরোনো সাইনবোর্ড আছে। অফিসে সাবলেট হিসেবে মাছ ব্যবসায়ী জাকির থাকত। সেই পুলিশকে নিয়ে এমন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানতে পেরেছি।

    দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার খুলনা ব্যুরোপ্রধান ডিএম রেজা সোহাগ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, আবু হেনা মুক্তি এবং মাসুদ রানাকে ইনকিলাব কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন অভিযোগে অব্যাহতি প্রদান করেছে। এ ঘটনার সঙ্গে দৈনিক ইনকিলাব কর্তৃপক্ষের কোনো দায়বদ্ধতা নেই।

  • চলন্ত বাসে ধর্ষণচেষ্টা, সম্ভ্রম বাঁচাতে গাড়ি থেকে লাফ কলেজছাত্রীর

    চলন্ত বাসে ধর্ষণচেষ্টা, সম্ভ্রম বাঁচাতে গাড়ি থেকে লাফ কলেজছাত্রীর

    বাসের চালক-হেলপার কতৃক ধর্ষণচেষ্টার পর সম্ভ্রম বাঁচাতে চলন্ত বাস থেকে লাফ দিয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন এক কলেজছাত্রী।

    শনিবার সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার সুজানগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

    পুলিশ জানায়, শনিবার সন্ধ্যায় সিলেট থেকে ছেড়ে আসা একটি যাত্রীবাহী বাসে করে দিরাই আসছিলেন ওই কলেজছাত্রী। দিরাই পৌরসভার সুজানগর এলাকায় আসার পর তিনি ছাড়া বাকি যাত্রীরা নেমে যান।

    কোনো যাত্রী না থাকায় বাসের ড্রাইভার ও হেলপার মিলে তাকে উত্ত্যক্ত করার এক পর্যায়ে ধর্ষণেরচেষ্টা চালায়। সম্ভ্রম বাঁচতে একপর্যায়ে চলন্ত বাস থেকে লাফ দিয়ে সড়কের পাশে পড়ে যান ওই শিক্ষার্থী।

    এ ঘটনায় গ্রামবাসী ওই কলেজছাত্রীকে আহত অবস্থায় দিরাই হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।

    দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ আশরাফুল ইসলাম জানান, বাসটি জব্দ করা হয়েছে।

    চালক ও হেলপারকে ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।

  • সৈয়দপুরে বিয়ের পর ঘর সংসার করেও স্ত্রীর স্বীকৃতি থেকে বঞ্চিত কলেজছাত্রী কেয়া

    সৈয়দপুরে বিয়ের পর ঘর সংসার করেও স্ত্রীর স্বীকৃতি থেকে বঞ্চিত কলেজছাত্রী কেয়া

    অষ্টম শ্রেনীতে পড়াকালীন সময়ে প্রতিবেশী প্রাইভেট টিউটরের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরপর নোটারী পাবলিকের কার্যালয়ে এভিডেভিট, কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে এবং দীর্ঘ প্রায় ১ বছর সংসার করার পরও স্ত্রীর স্বীকৃতি থেকে বঞ্চিত কেয়া।

    প্রেমিক ও স্বামী যৌতুকের দাবিতে প্রেম বা বিয়ে সব অস্বীকার করে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছে কেয়াকে। এতে অসহায় কেয়া চরম বিপদে পড়ে জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন স্থানে ধর্ণা দিচ্ছে স্ত্রীর স্বীকৃতি আদায়ে। ঘটনাটি ঘটেছে নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের কয়া বাঁশবাড়ী জামে রিজভিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকায়।

    সরেজমিনে গেলে ওই এলাকার মোঃ ফারুক ও মোছাঃ আঁখি বেগমের মেয়ে কলেজ পড়ুয়া মোছাঃ রাহাত আঞ্জুম কেয়া (২০) জানান, প্রাইভেট পড়ার সুবাদে বিয়ে করার প্রলোভনে প্রতিবেশী ব্যবসায়ী মোঃ আখতার হোসেনের ছেলে মোঃ ওয়াসিম আকরাম (২৭) তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর দীর্ঘদিন চুটিয়ে প্রেম করে তারা। কিন্তু হঠাৎ করে জানতে পারি ওয়াসিম অন্যত্র বিয়ে করছে।

    এমতাবস্থায় বিয়ের জন্য চাপ দিলে ওয়াসিম পরিবারের অসম্মতিতে বিয়ে করবেনা বলে জানায় এবং বাবা-মাকে ম্যানেজ করে কিছু দিনের মধ্যেই বিয়ে করবে বলে আস্বস্ত করে। কিন্তু পরিবারের লোকজন সম্মত না হওয়ায় এক পর্যায়ে বিগত ২০১৭ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারী ওয়াসিম ও কেয়া নোটারী পাবলিকের কার্যালয়ে গিয়ে এভিডেভিট করে এবং স্থানীয় কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে সম্পন্ন করে।

    পরে ওয়াসিমের পরিবার বিষয়টি জানতে পেরে তাদের বিয়ে মেনে নিয়ে বাড়িতে তোলে। শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার পর থেকেই কেয়াকে বিভিন্নভাবে যৌতুকের জন্য মানসিক নির্যাতন করতে থাকে। এভাবে দীর্ঘ প্রায় ১ বছর কেয়া নির্যাতন সহ্য করেই সেখানে ঘর সংসারও করে। কিন্ত হঠাৎ করে ওয়াসিমের পরিবারের লোকজন কেয়াকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয় এবং ওয়াসিম ও কেয়ার বিয়ে হয়নি বলে প্রচার করতে থাকে। কেয়া বাবার বাড়িতে যাওয়ার পর থেকে ওয়াসিম তার সাথে যোগাযোগ সম্পূর্ণরুপে বন্ধ করে দেয়। এখন কোনভাবেই এ বিয়ে মেনে নেয়া হবেনা বলে ওয়াসিমের পরিবার থেকে সাফ জানিয়ে দেয়া হয়েছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছে কেয়া ও তার পরিবার।

    এ ব্যাপারে কেয়ার মা আঁখি বেগম জানান, আমরা নিম্ন আয়ের মানুষ। কোন রকমে সংসার চালাই। তার উপর মেয়েকে নিয়ে এমন বিপদে পড়েছি যে কোন সুরাহা করতে পারছিনা। ওয়াসিম আমার মেয়ের সরলতার সুযোগ নিয়ে তাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেও এখন অস্বীকার করছে। এমনকি ওয়াসিম তার এক প্রভাবশালী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আত্মীয়কে দিয়ে কাজী অফিস থেকে বিয়ের কাবিন নামা গায়েব করে দিয়েছে। কিন্তু ঘটনাক্রমে এভিডেভিটের কাগজটি থাকায় মুখে অস্বীকার করলেও প্রমাণ রয়ে গেছে।

    মেয়ের বিয়ের স্বীকৃতির জন্য ওয়াসিমের পরিবারের কাছে সঙ্গত দাবি জানানোয় তারা যৌতুক চায়। যৌতুক দিতে অস্বীকার করায় এবং বিয়ে করে কেন এমন প্রতারণা করা হচ্ছে জানতে চাইলে তারা উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে থানায় ডায়েরি করেছে।

    এদিকে ওয়াসিম আকরামের সাথে কথা হলে কেয়ার সাথে সম্পর্ক ও বিয়ের কথা প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে এভিডেভিট দেখানো হলে বলে, এটা আমার সাথে প্রতারণা করা হয়েছে। মূলতঃ আমাকে ধোকা দিয়ে ওই স্ট্যাম্প পেপারে সই নেয়া হয়েছে। কাজী অফিসে যাওয়ার কথা স্বীকার করলেও বিয়ে হয়নি বলে জানায় সে। তাছাড়া কেয়ার সাথে এমন কোন শারীরিক সম্পর্ক গড়ে উঠেনি বা এর কোন প্রমান নেই।

    এভাবে প্রেম, বিয়ে এবং সংসার করার পরও স্ত্রীকে অস্বীকার করার ঘটনায় শহর জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

  • নলডাঙ্গায় কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা

    নলডাঙ্গায় কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা

    রাজশাহীর বাগমারার তামান্না আক্তার টিয়া (১৭) নামের এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

    হত্যাকাণ্ডের শিকার ওই কলেজছাত্রী উপজেলার গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের সমষপাড়া গ্রামের রশিদ উদ্দিনের মেয়ে। সে সাধনপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের এইচএসসি প্রথমবর্ষের ছাত্রী ছিল।

    গতকাল শুক্রবার রাতে তামান্না আক্তার টিয়াকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে নিহত টিয়ার পরিবারের লোকজন।

    নিহত টিয়ার বাড়ির থেকে পাঁচশ গজ দূরে নলডাঙ্গা উপজেলার সরকুতিয়া দক্ষিণপাড়ার আমবাগান থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করেছে নলডাঙ্গা থানা পুলিশ। মেয়েকে হারিয়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারে।

    নিহতের টিয়ায় বাবা রশিদ উদ্দিন বলেন, গতকাল শুক্রবার রাত ১১টার দিকে সাধনপুরের খিদিরপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে শান্ত ইসলাম (২১) বাড়িতে এসে তাঁর মেয়েকে হুমকির মুখে তুলে নিয়ে যায়। সকালে ঝুলন্ত অবস্থায় টিয়ার লাশ ঝুলতে দেখে স্থানীয়রা তার বাড়িতে খবর দেয়।

    বিষয়টি শোনার পর এলাকার লোকজন টিয়াকে দেখতে ভিড় জমায়। মেয়ের মা নিলুফা সাংবাদিকদের বলেন, টিয়া ও শান্ত একই কলেজে পড়তো। কলেজে গেলে শান্ত মাঝে মাধ্যে টিয়াকে ইভটিজিং করতো বলেও জানান।

    এ ঘটনায় সন্ধ্যায় থানায় একটি হত্যা মামলা করবে বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলছেন ঝুলন্ত অবস্থায় লাশের পা সম্পূর্ণ মাটিতে ছিলো এবং লাশ নামানোর সময় সাহায্যকারী স্থানীয় মহিলারা নিহতের যৌনাঙ্গে বেশ আঘাতের চিহ্ন দেখতে পায়।

    এ ব্যাপারে নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) উজ্বল হোসেন বলেন, ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে প্রকৃত ঘটনা।