Tag: কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট

  • চট্টগ্রামে পুলিশ বক্সে হামলার ঘটনায় জেএমবির ৬ সদস্য আটক

    চট্টগ্রামে পুলিশ বক্সে হামলার ঘটনায় জেএমবির ৬ সদস্য আটক

    চট্টগ্রাম নগরীর ২ নাম্বার গেইটের পুলিশ বক্সে হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটকৃতরা সবাই জেএমবির সদস্য বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।

    বুধবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে তাদের আটক করা হয়েছে।

    গ্রেফতারকৃতরা হলো- মহিদুল আলম (২৪), মো. জহির উদ্দিন (২৮), মো. মঈন উদ্দিন (২০), মো. আবু সাদেক (১৯), রহমত উল্লাহ প্রকাশ আকিব (২৪) ও মো. আলা উদ্দিন (২৪)।

    পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃতরা নব্য জেএমবির সদস্য। তারা নগরের দুই নম্বর গেইটে ট্রাফিক পুলিশ বক্সে বিস্ফোরণের ঘটনায় অভিযুক্ত। এর আগেও এ হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ইতোমধ্যে গ্রেফতারকৃত ১০ জনেরই বাড়ি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া-সাতকানিয়া উপজেলায়।

    সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আসিফ মহিউদ্দীন বলেন, ‘লোহাগাড়া, কেরানিহাট ও বান্দরবান এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুই নম্বর গেইটে ট্রাফিক পুলিশ বক্সে বিষ্ফোরণের ঘটনায় আরও ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা নব্য জেএমবির সদস্য। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ বক্সে জঙ্গি হামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কথা তারা স্বীকার করেছে।’

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • চট্টগ্রামে ট্রাকে তল্লাশীতে মিলল সাড়ে ২৩ হাজার ইয়াবা : চালক ও হেলপার আটক

    চট্টগ্রামে ট্রাকে তল্লাশীতে মিলল সাড়ে ২৩ হাজার ইয়াবা : চালক ও হেলপার আটক

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম নগরীতে দাড়িয়ে থাকা একটি মিনি ট্রাকে তল্লাশী চালিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে সাড়ে ২৩ হাজার পিস ইয়াবা। এসময় ট্রাক চালক সৈয়দ হোসেন বাদশা (২৮) ও হেলপার আবু তাহের (৩২) কে আটক করা হয়।

    বুধবার ২২ জানুয়ারি রাতে নগরীর খুলশী থানার আমবাগান এলাকা থেকে এসব ইয়াবাসহ তাদের আটক করেছে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। আটক দুজনের বাড়ি কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলায় বলে জানা গেছে।

    তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মঈনুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমবাগান এলাকার ভাঙা পুলের কাছে মেরামতের জন্য দাড়িয়ে ছিলো মিনি ট্রাকটি। এর আগে কক্সবাজার থেকে ঢাকার উদ্দ্যেশে একটি ইয়াবার চালান আসছে খবর ছিলো পুলিশ সদর দপ্তরে।

    সদর দপ্তর থেকে প্রেরিত তথ্যমতে আমবাগান এলাকায় দাড়িয়ে থাকা অবস্থায় ট্রাকটি আটক করে সেখানে তল্লাশী করেন কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। ট্রাকটির চালক ও হেলপারকে চ্যালেঞ্জ করলে একপর্যায়ে ট্রাকের ডেস্ক বোর্ড ও এয়ার ফিল্টারের ভেতরে বিশেষ কৌশলে রাখা সাড়ে ২৩ হাজার পিসের চালনটি দেখিয়ে দেন। পরে ইয়াবাগুলো উদ্ধারের পাশাপাশি দুজনকে আটক করা হয়।

    তিনি বলেন, আটক দুজনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে টেকনাফের বাসিন্দা জনৈক সাইফুল নামে এক ব্যাক্তির কাছ থেকে ইয়াবাগুলো সংগ্রহ করে তারা ঢাকার উদ্দ্যেশে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে ঢাকায় কার কাছে ইয়াবাগুলো হস্তান্তর হবে সে বিষয়ে তারা কিছুই জানাতে পারেনি।

    বিষয়টি তদন্ত করার কথা জানিয়ে আটক দুজনের বিরুদ্ধে নগরীর খুলশী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বললেন এডিসি মঈনুল।

  • অপহরণ নয়, দুই সন্তানসহ প্রেমিকের সাথেই পালিয়েছে গৃহবধু!

    অপহরণ নয়, দুই সন্তানসহ প্রেমিকের সাথেই পালিয়েছে গৃহবধু!

    ২৪ ঘন্টা চট্টগ্রাম ডেস্ক : দুই সন্তান নিয়ে উধাও হয়ে সাতদিন পর ফিরে এসেছে চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর কুয়েত প্রবাসী ফখরুদ্দিন রুবেলের স্ত্রী ফাতেমা আক্তার নিপা।

    এর আগে পরিবারের সন্দেহ ছিলো সন্তানসহ তাকে অপহরণ করা হয়েছে। ওই সন্দেহের জেরে তাদের উদ্ধারে নেমেছিলো পুলিশ। কিন্তু সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের তৎপরতায় ওই নারী সাতদিন পর ফিরে এসেছে।

    মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকালে ওই নারী দুই সন্তান নিয়ে চট্টগ্রাম নগরীতে ফিরে আসার পর কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট তাদের হেফাজতে নেয়। এরপর তাদের জিডিমূলে নগরীর চান্দগাঁও থানায় হস্তান্তর করা হয়।

    হেফাজতে পুলিশের কাছে ওই নারী জানিয়েছে তাকে অপহরণ করা হয়নি। তিনি স্বেচ্ছায় তার আট বছরের প্রেমিক সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারির বাসিন্দা দুবাই প্রবাসী বাবুর সাথে পালিয়ে গিয়েছিলো। পুলিশ জানায়, তার ছেলে আদনান সাইদ অয়ন (৪) ও মেয়ে ফাহমিদা জাহান রিমিকে (২) সাথে নিয়ে প্রেমিক বাবুর সাথে ঢাকায় পালিয়ে গিয়েছিলো। নিপার বাবার বাড়ি এবং শ্বশুর বাড়ি বোয়ালখালী উপজেলায়।

    জানা যায়, গত ১২ নভেম্বর চট্টগ্রাম নগরীর আমান বাজার থেকে সিএনজি অটো রিকশা নিয়ে বোয়ালখালী উপজেলার শাকপুরায় নিজ বাড়িতে যাওয়ার উদ্দ্যেশে রওনা হয়েছিলেন। অটোরিকশাটি কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকায় গেলে দুই সন্তানসহ উধাও হয়ে যান ওই গৃহবধু।

    পরে তাদেরকে অপহরণ করা হয়েছে ভেবে গৃহবধুর মা নগরীর চান্দগাঁও থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন কাপ্তাই রাস্তার মাথায় তিনি অটো রিকশা দাঁড় করিয়ে কাপড় কিনতে নামলে মাত্র দশমিনিটের মধ্যে সিএনজিসহ তার মেয়ে ও নাতনিরা উধাও হয়ে গেছে।

    কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মঈনুল ইসলাম বলেন, দুই শিশু সন্তানসহ গৃহবধু উধাও হওয়ার ঘটনাটি বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম ও পত্রিকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করলে চান্দগাঁও থানায় সাধারণ ডায়েরির উপর ভিত্তি করে মামলাটির তদন্তভার নেয় চট্টগ্রাম নগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।

    তিনি বলেন, অপহরণ ধরেই তদন্ত করতে গিয়ে বাস্তবে ঘটনার চিত্র উঠে আসে ভিন্ন। উধাও হওয়ার ঘটনাস্থলের বিভিন্ন স্থানের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ সংগ্রহ করে নিশ্চিত হয়েছি ওই গৃহবধূ অপহৃত হয়নি।

    ঘটনাটি তদন্তে ইউনিটের বিভিন্ন সদস্যরা যখন ওই নারীকে উদ্ধারে কাজ শুরু করেছে এবং তার প্রেমিক বাবুর সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছিল তখন মঙ্গলবার সকালে সে দুই সন্তানসহ চট্টগ্রামে ফিরে আসে। পরে তাকে পুলিশ হেফাজতে নিলে সে স্বীকার করেন তার দুই সন্তানসহ তার প্রেমিকের সাথেই সে ঢাকায় পালিয়েছিলো। পুলিশ জানায়, সাত বছর আগে বিয়ে হওয়ার এক বছর আগে থেকেই বাবুর সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল গৃহবধুর ফাতেমা আক্তার নিপা (২৫)র।

  • আনসার আল ইসলামের ৪ সদস্য আটক

    আনসার আল ইসলামের ৪ সদস্য আটক

    রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে আনসার আল ইসলামের চার সদস্যকে আটক করেছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।

    শুক্রবার সকালে তাদের আটকের বিষয়টি জানানো হয়। তাৎক্ষণিকভাবে আটককৃতদের পরিচয় জানা যায়নি।

    ডিএমপির উপ-কমিশশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে আনসার আল ইসলামের চার সদস্য আটক করা হয়েছে। শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।