Tag: কাউন্সিলর ইরফান সেলিম

  • হাজী সেলিমের ‘অবৈধ সম্পদের’ সন্ধানে নেমেছে দুদক

    হাজী সেলিমের ‘অবৈধ সম্পদের’ সন্ধানে নেমেছে দুদক

    নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় ছেলে ইরফান সেলিম গ্রেফতার হওয়ার পর ঢাকা-৭ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য হাজী সেলিম ও তার পরিবারের অবৈধ সম্পদের সন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

    বুধবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক প্রধান কার্যালয়ে কমিশনার (অনুসন্ধান) মো. মোজাম্মেল হক খান সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানিয়েছেন।

    দুদক কমিশনার জানান, এমপি হাজী সেলিম ও তার ছেলে ইরফান সেলিমের সম্পদ নিয়ে গণমাধ্যমে আসা তথ্যগুলো খতিয়ে দেখছে দুদক। তাদের অর্জিত ও দখলি সম্পদগুলো যদি দুদকের তফসিলভুক্ত অপরাধে গণ্য হয়, তাহলে আইন অনুযায়ী অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করবে।

    সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দুদকের এই কমিশনার বলেন, হাজী সেলিম ও তার ছেলে ইরফান সেলিমের বিষয়ে আমরা বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সংবাদ দেখেছি। আমরা লক্ষ্য‌ করছি, বিষয়গুলো আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত। এতে অবৈধ সম্পদের সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা- তা পরিষ্কার নয়।

    তিন আরও বলেন, অবৈধ সম্পদের বিষয়গুলো যদি দুদকের তফসিলের সঙ্গে সম্পর্কিত হয় এবং তফসিলভুক্ত অপরাধের শামিল হয়, তাহলে আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখব। সরকারের জায়গা বা সম্পত্তি হোক; যদি দখল হয় এবং দুদক আইনের আওতাভুক্ত হয়, তাহলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    প্রসঙ্গত, রোববার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে ধানমণ্ডিতে কলাবাগান ক্রসিংয়ের কাছে ঢাকা -৭ আস‌নের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সে‌লি‌মের গাড়ির স‌ঙ্গে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ল্যফটেন্যান্ট ওয়া‌সিফ আহ‌মেদ খানের মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কা লেগেছিল। এরপরই গাড়ি থেকে ইরফান সে‌লিমসহ তার লোকজন নেমে লেফটেন্যান্ট ওয়াসিম নামের ওই কর্মকর্তাকে বেদম পেটান।

    রাত সোয়া ১০টার দিকে সংসদ সদস্যের স্টিকার লাগানো গাড়ি ও নৌবাহিনীর কর্মকর্তার মোটরসাইকেল ধানমণ্ডি থানায় জব্দ করা হয়। সোমবার সকাল ৮টায় হত্যা‌চেষ্টার অভি‌যো‌গে ধানম‌ণ্ডি থানায় মামলা দা‌য়ের করা হয়।

    মামলার পরই চকবাজা‌রের ২৬ নম্বর দেবীদাস ঘাট লে‌নে হাজী সেলিমের বাসায় র‍্যাব অভিযান চালায়। ওই ভবন থেকে লাইসেন্সহীন একটি বিদেশি পিস্তল, গুলি, একটি এয়ারগান, ৪০টি ওয়াকিটকি, একটি হাতকড়া এবং বিদেশি মদ ও বিয়ার জব্দ করা হয়। এ সময় ইরফান সেলিম ও তার সহযোগীকে গ্রেফতার করে র‍্যাব। এরপর মঙ্গলবার এমপি হাজী সেলিমের দখল থেকে ২০ শতক জমি উদ্ধার করে অগ্রণী ব্যাংক।

    এদিকে মঙ্গলবার স্থানীয় সরকার এক প্রজ্ঞাপন জারি করে হাজী সেলিমপুত্র ইরফানকে কাউন্সিলর পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • ইরফান সেলিম ও দেহরক্ষী জাহিদ ৩ দিনের রিমান্ডে

    ইরফান সেলিম ও দেহরক্ষী জাহিদ ৩ দিনের রিমান্ডে

    রাজধানীতে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে হত্যা চেষ্টা মামলায় বরখাস্ত ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদকে গ্রেফতার দেখানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে এ মামলায় প্রত্যেককে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।

    বুধবার (২৭ অক্টোবর ) ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নুর শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

    এর আগে সকালে কারাগার থেকে দুই আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় কারাগারের গারদে রাখা হয় তাদের। দুপুর ১২টায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত দুই আসামিকে ধানমন্ডি থানার মামলায় গ্রেফতার দেখান। তারপর একই আদালতে দুই আসামির রিমান্ড শুনানি হয়।

    এ সময় আসামি পক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিলের আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাদের প্রত্যেকের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

    এর আগে মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক (নিরস্ত্র) আশফাক রাজীব হায়দার আসামি ইরফান সেলিম ও জাহিদকে গ্রেফতার দেখানো এবং সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন। পরে আদালত আসামিদের উপস্থিতিতে (শোন অ্যারেস্ট) গ্রেফতার দেখানোর বিষয়ে শুনানির জন্য বুধবার দিন ধার্য করেন।

    এ মামলায় গত সোমবার (২৬ অক্টোবর) এমপি হাজী সেলিমের গাড়িচালক মিজানুর রহমানের একদিন এবং মঙ্গলবার এরফানের ব্যক্তিগত সহকারী এবি সিদ্দিকী দীপুর তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

    গত সোমবার সকালে সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর এরফান সেলিম, তার দেহরক্ষী মোহাম্মদ জাহিদ, এবি সিদ্দিক দীপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাত ২-৩ জনকে আসামি করে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমদ খান বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় হত্যা চেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন।

    নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় মামলায় সোমবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইরফানের বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব। ৮তলা ভবনের প্রতিটি ফ্লোরে অভিযান চলে। ইরফানের বাসা থেকে বেশ কিছু অবৈধ জিনিস উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ছিল একটি আগ্নেয়াস্ত্র, যেটা অবৈধ। সেটির কাগজপত্র দেখাতে পারেননি তিনি। এছাড়া ৫-৬ লিটার মদ ও ৪০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। পাওয়া যায় বেশ কিছু বিয়ারের ক্যান।

    অভিযান চালিয়ে হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান ও তার দেহরক্ষী জাহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করে র‍্যাব। পরে ইরফানকে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে এক বছর ও অবৈধ ওয়াকিটকি রাখার দায়ে আরও ছয় মাস কারাদণ্ডাদেশ দেন র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম। আর জাহিদুলকে অবৈধ ওয়াকিটকি বহনের দায়ে ছয় মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়

    দণ্ডিত হওয়ায় ইরফানকে ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে তাকে বরখাস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ।

    গত ২৫ অক্টোবর রাতে ধানমন্ডিতে ঢাকা-৭ আসনের এমপি হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ‘সংসদ সদস্য’ লেখা সরকারি গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধর করা হয়। রাতে এ ঘটনায় জিডি হলেও ২৬ অক্টোবর ভোরে হাজী সেলিমের ছেলেসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ওয়াসিফ। মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছে।
    মামলায় বলা হয়, ইরফানের গাড়ি ওয়াসিমকে ধাক্কা মারার পর নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিম সড়কের পাশে মোটরসাইকেলটি থামান এবং গাড়ির সামনে দাঁড়ান। নিজের পরিচয় দেন। এরপরই গাড়ি থেকে কয়েকজন বের হয়ে ওয়াসিমকে কিলঘুষি মারেন এবং তার স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। তারা মারধর করে ওয়াসিমকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে যান। পরে তার স্ত্রী, স্থানীয় জনতা এবং পাশে ডিউটিরত ধানমন্ডির ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

     

     

  • কাউন্সিলর ইরফান সেলিম বরখাস্ত

    কাউন্সিলর ইরফান সেলিম বরখাস্ত

    ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইরফান সেলিমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

    মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) রাতে তাকে বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে আদেশ জারি করা হয়।

    নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধর এবং বাড়ি তল্লাশির পর র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত কারাদণ্ড দেয়ায় ইরফানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

    ইরফান সেলিম ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের পুত্র এবং নোয়াখালীর সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর জামাতা।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • বরখাস্ত হচ্ছেন কাউন্সিলর ইরফান সেলিম

    বরখাস্ত হচ্ছেন কাউন্সিলর ইরফান সেলিম

    বরখাস্ত হচ্ছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এরফান আহমেদ সেলিম। সোমবার অবৈধ অস্ত্র ও মাদক রাখার দায়ে দুই মামলায় ৬ মাস করে ১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

    প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী এ ধরনের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে স্থানীয় সরকার বিভাগকে অবহিত করতে হয়। এরপর স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন ২০০৯ (সংশোধীত ২০১১) অনুযায়ী এ ধরনের অপরাধের জন্য মেয়র বা কাউন্সিলররা বরখাস্ত হয়ে থাকেন। এ আইনের ১২ ধারায় মেয়র ও কাউন্সিলরদের বরখাস্ত করার বিষয়ে বলা হয়েছে।

    উপ-ধারা ১২ (১) বলা হয়েছে, যে কোন সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বা কাউন্সিলরের অপসারণের জন্য ধারা ১৩ এর অধীন কার্যক্রম আরম্ভ হয়েছে। অথবা তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার অভিযোগ আদালত কর্তৃক গৃহীত হয়েছে। সে ক্ষেত্রে সরকার লিখিত আদেশের মাধ্যমে ক্ষেত্রমত, মেয়র বা কোন কাউন্সিলরকে বরখাস্ত করতে পারবে।

    এ আইনের ১৩ ধারায় মেয়র এবং কাউন্সিলরগণের অপসারণ সম্পর্কে বলা হয়েছে। ১৩ এর উপধারা ১ এর খ-তে বলা হয়েছে, নৈতিক স্খলজনিত অপরাধে আদালত কর্তৃক দণ্ডিত হলে তিনি অপসারিত হবেন। ১৩ এর ঘ-তে বলা হয়েছে, অসদাচরণ বা ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন তাহলেও তিনি অপসারিত হবেন।

    এ প্রসঙ্গে স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘মেয়র বা কাউন্সিলররা আদালত কর্তৃক দণ্ডপ্রাপ্ত হলে তিনি বরখাস্ত হন। তবে এ প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করতে হলে সংশ্লিষ্ট সিটি কর্পোরেশন থেকে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে হয়।’ একই বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘কোনো মেয়র বা কাউন্সিলর দণ্ডপ্রাপ্ত হলে তিনি বরখাস্ত হন। সেটা কার্যকর করতে হলে সংশ্লিষ্ট সিটি কর্পোরেশন থেকে স্থানীয় সরকার বিভাগে সেটা লিখিতভাবে জানাতে হয়।’

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • হাজী সেলিমের ছেলের ১ বছরের কারাদণ্ড

    হাজী সেলিমের ছেলের ১ বছরের কারাদণ্ড

    ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর এরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী মোহাম্মদ জাহিদকে এক বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

    সোমবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত জানিয়েছেন র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ।

    আশিক বিল্লাহ বলেন, মদ্যপান ও ওয়াকিটকি ব্যবহার করায় তাদের কারাদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া এই দণ্ডের পাশাপাশি দুজনের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে দুটি মামলা দায়ের করা হবে।

    এর আগে সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে র‌্যাবের একটি দল হাজী সেলিমের ছেলেকে গ্রেপ্তার করতে তার বাসা চাঁন সরদার দাদার বাড়িতে তল্লাশি শুরু করে।

    র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে মজুত রাখা বিদেশি মদ ও বিয়ার, ওয়াকিটকি, ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও একটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

    সেসময় র‌্যাবের ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বলেন, ভবনের তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় ইরফান সেলিম থাকেন। সেখানে একটি বিদেশি পিস্তল, গুলি, একটি এয়ারগান, ৩৭টি ওয়াকিটকি, একটি হাতকড়া এবং বিদেশি মদ ও বিয়ার পাওয়া গেছে।

    তিনি আরও বলেন, আগ্নেয়াস্ত্রের কোনও লাইসেন্স নেই। আর ওয়াকিটকিগুলোও অবৈধ, ওয়াকিটকিগুলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ব্যবহার করতে পারেন।

    প্রসঙ্গত, নৌ বাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধরের সংশ্লিষ্ট ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়। এরপরেই অভিযানে নামে র‌্যাব ও পুলিশসহ অন্যান্য গোয়েন্দা বাহিনীগুলো।

    থানায় দাখিল করা অভিযোগে ওয়াসিফ আহমেদ উল্লেখ করেছেন, তিনি ও তার স্ত্রী মোটরসাইকেলে যাচ্ছিলেন। সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের গাড়ি তার মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। ধাক্কা সামলে সড়কের পাশে মোটরসাইকেল থেকে নেমে গাড়িটির সামনে দাঁড়িয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন। এ সময় গাড়ি থেকে জাহিদ ও আবু বক্কর সিদ্দিকসহ আরও ২-৩ জন তাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে, হামলা চালিয়ে দাঁত ফেলে দেয় এবং জখম করে। পরে তাকে ও তার স্ত্রীকে হত্যার হুমকিসহ তুলে নেয়ার হুমকি দেয় তারা। এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মোটরসাইকেল ও গাড়িটি জব্দ করে ধানমন্ডি থানায় নিয়ে রাখে পুলিশ।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • ইরফানের বাসা থেকে অস্ত্র, মদ-বিয়ার ও ৪০টি ওয়া‌কিট‌কি উদ্ধার

    ইরফানের বাসা থেকে অস্ত্র, মদ-বিয়ার ও ৪০টি ওয়া‌কিট‌কি উদ্ধার

    ঢাকা-৭ আস‌নের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের বা‌ড়ি‌তে অভিযান চা‌লি‌য়ে আগ্নেয়াস্ত্র,মদ, বিয়ার ও ওয়া‌কিট‌কিসহ বিপুল প‌রিমান নিরাপত্তা সরঞ্জাম উদ্ধার ক‌রেছে র‌্যাব।

    সোমবার দুপুর ১টা থে‌কে সা‌ড়ে ৩টা পর্যন্ত চকবাজা‌রের ২৬ নম্বর দেবীদাস ঘাট লেনের বা‌ড়ি‌তে অভিযান চা‌লি‌য়ে সাংসদপুত্র মোহাম্মদ এরফান সে‌লিম‌কে আটক করা কা‌লে বা‌ড়ি তল্লা‌শি চা‌লি‌য়ে ওইসব দ্রব্য উদ্ধার করা হয়। অভিযানের নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যা‌জি‌স্ট্রেট স‌রোয়ার আলম।

    স‌রেজ‌মি‌নে দেখা গে‌ছে, চকবাজা‌রের ২৬ নম্বর দেবীদাস ঘাট লে‌নের ওই বা‌ড়ির চতুর্থ ও পঞ্চম তলাটি ডু‌প্লেক্স সি‌স্টে‌মে নির্মাণ করা হ‌য়ে‌ছে। ৪র্থ তলার উত্তর কর্ণা‌রের রুম‌টি‌তে বসবাস কর‌তেন এম‌পি পুত্র এরফান সে‌লিম।

    তার রু‌মের তোশকের নিচে ম্যাগ‌জিন ভ‌র্তি এক‌টি বি‌দেশী পিস্তল পাওয়া গে‌ছে। এছাড়া ৫ম তলায় পূর্ব পা‌শের কর্ন‌ারে ৫‌টি ওয়ারল্যাস এ‌বিএস সি‌স্টেম ও ৪০টি ওয়াকিট‌কি ‌সেট, এক‌টি হ্যান্ডকাপ, এক‌টি বন্দুক, বি‌দেশী ম‌দের বোতল ও বিয়ার মদ পাওয়া গে‌ছে।

    এসব সরঞ্জাম ও আগ্নেয়াস্ত্র ফ‌রেন‌সিক রি‌পো‌র্টের জন্য এখ‌নো যে অবস্থায় ছিল, তেমন‌টি রে‌খে দেয়া হয়‌নি ব‌লে জা‌নি‌য়ে‌ছেন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যা‌জি‌স্ট্রেট স‌রোয়ার আলম।

    র‌্যাব জানায়, আটক এরফান মোহাম্মদ সে‌লিম ঢাকা দ‌ক্ষিণ সি‌টি কর‌পো‌রেশন (ডিএস‌সি‌সি) ৩০ নম্বর ওয়া‌র্ডের কাউ‌ন্সিলর ও নোয়‌াখালী -৪ আস‌নের সংসদ সদস্য একরামুল করীম চৌধুরীরর মে‌য়ের জামাতা। এ রি‌পোর্ট লেখা পর্যন্ত ( সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত) অভিযান শেষ হ‌য়ে সংবাদ স‌ম্মেল‌নের প্রস্তু‌তি নেয়া হ‌চ্ছে ব‌লে জানা গে‌ছে।

    প্রসঙ্গত, রোববার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে ধানমণ্ডিতে কলাবাগান ক্রসিংয়ের কাছে ঢাকা -৭ আস‌নের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সে‌লি‌মের গাড়ির স‌ঙ্গে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ল্যফটেন্যান্ট ওয়া‌সিফ আহ‌মেদ খানের মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কা লেগেছিল। এরপরই গাড়ি থেকে এরফান সে‌লিমসহ তার লোকজন নেমে লেফটেন্যান্ট ওয়াসিম নামের ওই কর্মকর্তাকে বেদম পিটিয়েছেন।

    রাত সোয়া ১০ টার দিকে সংসদ সদস্যের স্টিকার লাগানো গাড়ি ও নৌবাহিনীর কর্মকর্তার মোটরসাইকেল দুইই ধানমণ্ডি থানায় জব্দ করা হয়। সোমবার সকাল ৮টায় হত্যা‌চেষ্টার অভি‌যো‌গে ধানম‌ণ্ডি থানায় মামলা দা‌য়ের করা হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • হাজী সেলিমের ছেলে কাউন্সিলর ইরফান গ্রেপ্তার

    হাজী সেলিমের ছেলে কাউন্সিলর ইরফান গ্রেপ্তার

    ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ এরফান সেলিমকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

    নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট মো. ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধর ও হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা মামলায় আজ সোমবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে সাংসদ হাজী সেলিমের বাসায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

    গতকাল রবিবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যার পর ধানমন্ডির কলাবাগান ক্রসিংয়ের কাছে সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের গাড়ি থেকে কয়েকজন নেমে এসে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধর করেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। ওই ঘটনায় আজ সোমবার (২৬ অক্টোবর) ভোরে থানায় মামলা দায়ের করেন ঘটনার শিকার লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ।

    ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, মামলার এজাহারে সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ এরফান সেলিম, তাঁর বডিগার্ড মোহাম্মদ জাহিদ, হাজি সেলিমের মদিনা গ্রুপের প্রটোকল অফিসার এ বি সিদ্দিক দিপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরো দুই-তিনজনকে আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

    এজাহারে বলা হয়, এরফানের গাড়ি ওয়াসিফকে ধাক্কা মারার পর তিনি (লে. ওয়াসিফ) সড়কের পাশে মোটরসাইকেলটি থামিয়ে গাড়ির সামনে দাঁড়ান এবং নিজের পরিচয় দেন। তখন গাড়ি থেকে আসামিরা একসঙ্গে বলতে থাকেন, ‘তোর নৌবাহিনী/সেনাবাহিনী বের করতেছি, তোর লেফটেন্যান্ট/ক্যাপ্টেন বের করতেছি। তোকে এখনি মেরে ফেলব’ বলে কিল-ঘুষি মারেন এবং তাঁর স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন।

    এজাহারে লে. ওয়াসিফ বলেন, ‘তারা আমাকে মারধর করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে যান। পরে আমার স্ত্রী, স্থানীয় জনতা এবং পাশে ডিউটিরত ধানমন্ডি থানার ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা আমাকে উদ্ধার করে আনোয়ার খান মডেল হাসপাতালে নিয়ে যান।’

    মামলায় মোট পাঁচটি ফৌজদারি অপরাধের ধারার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। অপরাধগুলো হলো দণ্ডবিধি ১৪৩ অনুযায়ী বেআইনি সমাবেশের সদস্য হয়ে কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপরাধমূলকভাবে বল প্রয়োগ করা, ৩৪১ অনুযায়ী কোনো ব্যক্তিকে অবৈধভাবে নিয়ন্ত্রণ করা, ৩৩২ ধারা অনুযায়ী সরকারি কর্মকর্তার কাজে বাধাদানের উদ্দেশ্যে আহত করা, ৩৫৩ ধারা অনুযায়ী সরকারি কর্মকর্তার ওপর বল প্রয়োগ করা এবং ৫০৬ ধারায় প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া।

    আজ সোমবার সকালে মামলা দায়েরের পর ঘটনাস্থলে যান পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান এবং ধানমন্ডি জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) আব্দুল্লাহ হিল কাফি।

    গতকাল রবিবার সন্ধ্যার ওই ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনাস্থলে লোকজন জমে গেলে সংসদ সদস্যের গাড়িটি ফেলে পালিয়ে যান মারধরকারীরা। পরে পুলিশ এসে গাড়ি ও মোটরসাইকেলটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়।

    পুলিশ জানায়, নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তার মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিয়েছিল ‘সংসদ সদস্য’ স্টিকার লাগানো হাজী সেলিমের গাড়ি। এরপর নৌবাহিনীর ওই কর্মকর্তা মোটরসাইকেল থামান এবং নিজের পরিচয় দেন। এসময় হাজী সেলিমের গাড়ি থেকে দুইজন ব্যক্তি নেমে এসে লেফটেন্যান্ট ওয়াসিমকে মারধর করেন। একপর্যায়ে ওই কর্মকর্তা আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন।

    পুলিশ সূত্র মতে, ঘটনার সময় সাংসদ হাজী সেলিম গাড়িতে ছিলেন না। তাঁর ছেলে ও নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন।

    মারধরের কারণে লেফটেন্যান্ট ওয়াসিম বেশ আহত হন। সঙ্গে থাকা তাঁর স্ত্রীর গায়েও হাত দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। ওয়াসিম তাঁর স্ত্রীর বই কিনে মোটরসাইকেলে ফিরছিলেন। গাড়িতে হাজী সেলিমের ছেলে ও তাঁর নিরাপত্তাকর্মীসহ কয়েকজন ছিলেন বলে জানা যায়।

    ওই ঘটনায় একজন প্রত্যক্ষদর্শীর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাওয়া যায়। সেখানে লেফটেন্যান্ট ওয়াসিমের মুখে রক্ত ও আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। ভিডিওটিতে দেখা ও ধানমন্ডি থানার সামনে থাকা জব্দ হাজী সেলিমের গাড়ির নম্বর ছিল ঢাকা মেট্টো– ঘ ১১-৫৭৩৬। গাড়িটির চালককেও থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • সাংসদ হাজী সেলিমের গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধর(ভিডিও)

    সাংসদ হাজী সেলিমের গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধর(ভিডিও)

    ঢাকা-৭ আসনের সাংসদ হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ‘সংসদ সদস্য’ লেখা সরকারি গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিম আহমেদকে মারধর করা হয়েছে।

    রোববার (২৫ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর ধানমন্ডি কলাবাগান সিগন্যালের পাশে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পর গাড়িটি ফেলে এর নম্বরপ্লেট ভেঙে চলে যান হাজী সেলিমের ছেলে ও তার বডিগার্ডরা। গাড়ির নম্বর– ঢাকা মেট্টো- ঘ ১১-৫৭৩৬।

    প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানিয়েছে, মারধর করা ব্যক্তি হাজী সেলিমের ছেলে ও তার বডিগার্ড। তবে হাজী সেলিমের ৩ ছেলের মধ্যে কোন ছেলে এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।

    এ ঘটনায় রাতে ধানমন্ডি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন মো. ওয়াসিফ আহমেদ খান নামে নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট পদমর্যাদার ওই কর্মকর্তা।

    এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে ওয়াসিম আহমেদকে রক্তাক্ত দেখা যায়। ভিডিওতে তাকে মারধর করে তার দাঁত ভেঙে ফেলা হয়েছে দাবি করলেও, জিডিতে এ কথা উল্লেখ করা হয়নি।

    জিডিতে ওয়াসিফ আহমেদ উল্লেখ করেছেন, তিনি ও তার স্ত্রী মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন। সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের গাড়ি তার মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। ধাক্কা সামলে সড়কের পাশে মোটরসাইকেল থেকে নেমে গাড়িটির সামনে দাঁড়ান ওয়াসিম। তাদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করলে গাড়ি থেকে জাহিদ ও আবু বক্কর সিদ্দিকসহ আরও ২-৩ জন তাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। তাকে ও তার স্ত্রীকে হত্যার হুমকিসহ তুলে নেয়ার হুমকি দেয় তারা।

    ধানমন্ডি থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আবদুল্লাহ জাহিদ জানান, সাংসদ হাজী সেলিমের জিপ গাড়ির সঙ্গে নৌবাহিনীর কর্মকর্তার মোটরসাইকেল সামান্য ঘষা লাগায় প্রথমে কথা কাটাকাটি, এরপর হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে মোটরসাইকেল ও গাড়িটি জব্দ করে ধানমন্ডি থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।

    ঘটনার একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, তিনি রাস্তায় জটলা থেকে মুঠোফোনে ভিডিও করেন। তাঁর সামনেই সাংসদের গাড়ি থেকে নেমে এসে একজন নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধর করেন। একপর্যায়ে ওই কর্মকর্তা আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন।

    এই প্রত্যক্ষদর্শী ঘটনার সময়ে মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করেন। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, আহত নৌবাহিনীর কর্মকর্তা নিজেকে লেফটেন্যান্ট ওয়াসিম বলে পরিচয় দেন। তিনি বলেন, বই কিনে স্ত্রীসহ মোটরবাইকে ফিরছিলেন। ওই গাড়িটি তাঁর মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। তিনি তখনই মোটরসাইকেল থামান এবং নিজের পরিচয় দেন। গাড়ি থেকে নেমে দুই ব্যক্তি তাঁকে মারধর শুরু করেন। মারধরের কারণে তাঁর (ওয়াসিম) দাঁত ভেঙে গেছে। তাঁর স্ত্রীর গায়েও হাত দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

    ঘটনাস্থলে লোকজন জমে গেলে সাংসদের গাড়ি ফেলে মারধরকারীরা সরে যান। পরে পুলিশ এসে গাড়ি ও মোটরসাইকেলটি থানায় নিয়ে যায়। ভিডিওতে গাড়ির নম্বর দেখা যায় ঢাকা মেট্টো– ঘ ১১-৫৭৩৬। ঘটনার বিষয়ে বক্তব্য জানতে হাজী সেলিমের মুঠোফোনে কল এবং খুদে বার্তা পাঠানো হলেও তিনি কোনো উত্তর দেননি।

    রাত সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ সূত্র জানায়, দুই পক্ষই থানা থেকে চলে গেছে। রাত পৌনে ১২টায় ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়াঙ বলেন, এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। যেহেতু বিষয়টিতে বাহিনীর সংশ্লিষ্টতা আছে তাই পুলিশ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনার অপেক্ষায় আছেন। গাড়ি ও মোটরসাইকেল থানায় আছে।

    ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ইকরাম আলী মিয়া রাত ১২ টার দিকে বলেন, এ ব্যাপারে এখনো কোনো মামলা হয়নি। যেহেতু বিষয়টিতে বাহিনীর সংশ্লিষ্টতা আছে তাই তাঁরা অপেক্ষা করছেন। গাড়ি ও মোটরসাইকেল থানায় আছে।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম