Tag: কাতার

  • কাতারে অগ্নিকাণ্ডে ৪ বাংলাদেশি নিহত, দুজনের বাড়ি ফেনী

    কাতারে অগ্নিকাণ্ডে ৪ বাংলাদেশি নিহত, দুজনের বাড়ি ফেনী

    মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারের দোহায় একটি গাড়ির গ্যারেজে অগ্নিকাণ্ডে চার বাংলাদেশিসহ ছয় অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে।

    স্থানীয় সময় রোববার (৫ নভেম্বর) রাতে দোহার ফিরোজ আব্দুল আজিজ এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে পাশের একটি ভবনেও।

    নিহত চার বাংলাদেশির মধ্যে দুজনের বাড়ি ফেনীতে। বাকি দুজনের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। নিহত অন্য দুজন পাকিস্তানি নাগরিক।

    ফেনীর নিহতরা হলেন ফেনী পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দিস মোহাম্মদ ভূঁইয়া বাড়ির বাসিন্দা মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান ও দাগনভূঞার জায়লস্কর ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে মীর হোসেন ফরহাদ।

    নিহত মীর হোসেন ফরহাদের চাচাতো ভাই তৌহিদুল ইসলাম জানান, ফরহাদ পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেছে। তার কাগজপত্র নিয়েও কিছু জটিলতা আছে। পরিবারের পক্ষ থেকে ওই এলাকায় অবস্থানরত বাংলাদেশিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে মরদেহ দেশে আনার চেষ্টা চলছে।

    জায়লস্কর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মামুনুর রশীদ মিলন ও ফেনী পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাহার মিয়া কাতারে ফেনীর দুজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

  • কাতার থেকে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী

    কাতার থেকে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী

    কাতার অর্থনৈতিক ফোরাম (কিউইএফ) ২০২৩-এ যোগদান শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে দেশে ফিরেছেন।

    প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট ভোর ০৫:৫৮ টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

    এর আগে ফ্লাইটটি হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় রাত ১০:২৫ টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ০১:২৫ টায়) ছেড়ে আসে।

    কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল সানির আমন্ত্রণে তৃতীয় কাতার অর্থনৈতিক ফোরামে (কিউইএফ) যোগ দিতে গত ২২ মে শেখ হাসিনা তিন দিনের সরকারী সফরে দোহায় পৌঁছান।

    সফরকারী শেখ হাসিনা কাতার ইকোনমিক ফোরামে যোগদান ছাড়াও আমিরি দিওয়ানে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল সানির সঙ্গে সাক্ষাত, কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জসিম আল সানির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক এবং রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট পল কাগামের সঙ্গে বৈঠক করেন।

    এছাড়াও, কাতারের জ্বালানি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সাদ বিন শেরিদা আল কাবি এবং সৌদি আরবের বিনিয়োগ মন্ত্রী খালিদ এ আল-ফালিহ ও সৌদি অর্থনীতি ও পরিকল্পনা মন্ত্রী ফয়সাল আলিব্রাহিম একসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেন।

    শেখ হাসিনা কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশেও ভাষণ দেন এবং দোহায় কাতার ফাউন্ডেশনের অধীনে পরিচালিত বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জন্য বিশেষায়িত স্কুল আওসাজ একাডেমি পরিদর্শন করেন।

     

  • বাংলাদেশে স্থিতিশীলতার জন্য শেখ হাসিনার প্রশংসা কাতারের প্রধানমন্ত্রীর

    বাংলাদেশে স্থিতিশীলতার জন্য শেখ হাসিনার প্রশংসা কাতারের প্রধানমন্ত্রীর

    বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদার করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জসিম আল সানি। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৩ মে) রাতে দোহার র‌্যাফেলস টাওয়ারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

    পরে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বৈঠকে কাতারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা (কাতার) বাংলাদেশের প্রকৃত বন্ধু এবং বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে চান। বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা আনার জন্য শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ কাতার থেকে বিপুল পরিমাণ জ্বালানি কেনে। আমরা চাই আপনি জ্বালানি দিয়ে আমাদের সহায়তা করুন। জবাবে মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বলেন, তারা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন যে কাতার বাংলাদেশের জন্য যতটা সম্ভব করবে।

    ২০২৩ সালের ফিফা বিশ্বকাপের পর কাতারে বাংলাদেশি শ্রমিকদের চাকরি হারানোর আশঙ্কা সম্পর্কে কাতারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশি কর্মীরা তাদের সম্পদ ও বন্ধু। কাতার যতটা সম্ভব তাদের সে দেশেই রাখবে।

    পরে কাতারের জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী সাদ বিন শেরিদা আল কাবি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার অবস্থানস্থলে সাক্ষাৎ করেন। এসময় বৈঠকে ভবিষ্যতে বাংলাদেশে অতিরিক্ত এলএনজি(তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) সরবরাহের বিষয়ে নতুন চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়টি আলোচনায় আসে।

    প্রেস ব্রিফিং-এ ড. মোমেন বলেন, শেখ হাসিনা কাতার থেকে বৃহত্তর পরিমাণে জ্বালানি সংগ্রহের জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নতুন চুক্তি স্বাক্ষর করতে বলেছেন।

    কাতার থেকে এলএনজি আমদানির জন্য ২০১৭ সালে স্বাক্ষরিত বিদ্যমান ১৫-বছরের চুক্তিটি ২০৩২ সাল পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। তবে ২০২৫ সালের পরে বৃহত্তর পরিমাণে জ্বালানি পেতে একটি নতুন চুক্তি স্বাক্ষর করতে হবে, তিনি বলেন।

    মোমেন বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দরদাম সংক্রান্ত সমস্যা ঠিকঠাক করে অবিলম্বে চুক্তিতে সই করতে বলেছেন।

    বাংলাদেশকে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে বর্ণনা করে এবং যে দেশটি দুঃসময়ে কাতারের পাশে দাঁড়িয়েছিল উল্লেখ করে, তারা (কাতার) প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে চুক্তি স্বাক্ষরের সময় তারা কাতারের পক্ষে যত দূর সম্ভব সব ধরনের ছাড় দেওয়ার কথা বিবেচনা করবে।

  • পরিবর্তনের কারিগর হোন : কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী

    পরিবর্তনের কারিগর হোন : কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নতুন ও ভবিষ্যতকে আলিঙ্গন করার মানসিকতার নিয়ে পরিবর্তনের কারিগর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

    প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য আয়োজিত ‘বাংলাদেশ: একটি উন্নয়ন মডেল: শেখ হাসিনার কাছ থেকে শেখা’ শীর্ষক অধিবেশনে তিনি বলেন, ‘নেতৃত্বের উদাহরণ সৃষ্টি করুন এবং পরিবর্তনের কারিগর হোন।’

    প্রধানমন্ত্রী কাতার ইকোনমিক ফোরাম-২০২৩-এ যোগদানের জন্য দোহায় তিন দিনের সরকারি সফরে রয়েছেন।

    তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘মূল্যবোধের প্রতিনিধিত্ব করুন, আপন দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি মনোনিবেশ করুন এবং দৃষ্টিভঙ্গি বাস্তবায়নের জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা করুন।’

    তিনি আরও বলেন, ‘আপন লোকজন এবং দলের ওপর বিশ্বাস রাখুন। আপনার মাতৃ চেতনাকে জাগ্রত করুন এবং নতুন ও ভবিষ্যতকে আলিঙ্গন করুন।’

    শেখ হাসিনা তার দীর্ঘ বক্তৃতায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সংগ্রামের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেন।

    তিনি বলেন, ‘আমরা একটি জ্ঞানভিত্তিক, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চাই। স্মার্ট বাংলাদেশে একটি স্মার্ট সরকার, একটি স্মার্ট অর্থনীতি, একটি স্মার্ট জনসংখ্যা, একটি স্মার্ট সমাজ এবং স্মার্ট জনশক্তি থাকবে।’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণকে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারে দক্ষ করে তোলা হবে যাতে তারা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে অবদান রাখতে পারে।

    তিনি আরও বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের উদ্দেশ্য হচ্ছে পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, শিল্প উৎপাদন, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সব ক্ষেত্রে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করা।

    শেখ হাসিনা বলেন, ‘লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমরা প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করছি। সারা দেশে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও ইনকিউবেশন সেন্টার এবং হাই-টেক পার্ক স্থাপন করা হচ্ছে।’

    কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের সরকার একটি ন্যানো প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার জন্য আইন পাস করেছে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল ডিভাইস বা প্রযুক্তির ব্যবহার আমাদের সমাজে নারীদের জন্য ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে।

    তিনি বলেন, ‘আজকের বাংলাদেশ একটি পরিবর্তিত বাংলাদেশ। এটিকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। ক্ষুধা, দারিদ্র্য, অপুষ্টি, নিরক্ষরতা ইত্যাদি দ্রুত বিলুপ্ত হচ্ছে,’ তিনি বলেন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে কষ্টার্জিত উন্নয়ন কোনো অলৌকিক ঘটনা নয়। এটা আমাদের নারী-পুরুষের সম্মিলিত কাজ। আমি শুধুমাত্র তাদের কাঙ্খিত পথে পরিচালিত করার চেষ্টা করেছি।’

    শেখ হাসিনা বলেন, তবে আজকের অবস্থানে পৌঁছানো সহজ যাত্রা ছিল না কারণ সারাজীবন তাকে অনেক অগ্নিপরীক্ষা ও নিপীড়ন সহ্য করতে হয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার বাবাকে তার জীবনের প্রায় এক-চতুর্থাংশ সময় কারাগারে কাটাতে হয়েছে। আমরা সন্তানরা তার স্নেহ-ভালবাসা থেকে বঞ্চিত হয়েছি। স্বাধীনতা লাভের পর সাড়ে তিন বছরের মধ্যেই দেশের প্রতিষ্ঠাতা, আমার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আমার মা, তিন ভাই, দুই ভগ্নিপতি এবং এক চাচা সহ আমাদের পরিবারের ১৮ জন সদস্যের সাথে হত্যা করা হয়েছে।’

    শেখ হাসিনা বলেন, তার ছোট ভাইয়ের বয়স ছিল তখন মাত্র দশ বছর।

    তিনি বলেন, ‘সেদিন আমি এবং আমার বোন বিদেশে থাকায় বেঁচে গিয়েছি। আমার বোন এবং আমাকে ছয় বছর ধরে উদ্বাস্তু জীবনযাপন করতে হয়েছে।’

    শেখ হাসিনা বলেন, তার দল আওয়ামী লীগ তাকে সভাপতি নির্বাচিত করার পর ১৯৮১ সালে তিনি দেশে ফিরে আসেন।

    তিনি বলেন, ‘আমি আমার বাবার দারিদ্র্য, ক্ষুধা ও নিরক্ষরতামুক্ত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার অঙ্গীকার নিয়ে দেশে এসেছি।’

    শেখ হাসিনা বলেন, ফিরে এসে তিনি খাদ্য ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করেছেন। আমি বার বার অন্তরীণ ছিলাম।

    তিনি আরো বলেন, ‘আমার জীবন নাশের জন্য কমপক্ষে ১৯বার প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে। সবচেয়ে গুরুতর একটি ছিল ২০০৪ সালের আগস্টে যখন আমাকে হত্যা করার জন্য আমার উপর এক ডজন আর্জেস গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়েছিল। আমি বেঁচে গিয়েছি, কিন্তু আমার দলের ২২ জন নেতা-কর্মী নিহত এবং কয়েক শতাধিক আহত হয়েছেন।’

    শেখ হাসিনা বলেন, সকল প্রতিকূলতা কাটিয়ে তিনি শুধু তার দেশবাসীর ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য তার সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন।

    তিনি অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন, ‘আমি যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন আমি সংগ্রাম চালিয়ে যাব, ইনশাআল্লাহ। আমার স্বপ্ন হল আমাদের ব-দ্বীপকে আবারও সমৃদ্ধির দেশে পরিণত করা।’

    তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বাংলাদেশ পরবর্তী ২১ বছর সামরিক ও আধা-সামরিক শাসনের অধীনে ছিল এবং জনগণের ভাগ্যের খুব একটা পরিবর্তন হয়নি।

    তিনি বলেন, ‘আমার দল, আওয়ামী লীগ, ২১ বছরের দীর্ঘ সংগ্রামের পর ১৯৯৬ সালে নির্বাচিত হয় এবং আমি প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলাম। পাঁচ বছরে, আমরা বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক পরিবর্তনের জন্য একটি শক্ত ভিত্তি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি।’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ২০০১ সালে শান্তিপূর্ণ উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিলাম এবং তারপরে হত্যা, সন্ত্রাস, দুর্নীতি এবং সামরিক হস্তক্ষেপের আরেকটি অন্ধকার সময় অতিক্রম করতে হয়েছিল।

    তিনি বলেন, তাদের দল ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে পুনঃনির্বাচিত হয় এবং তারপর থেকে টানা দুই মেয়াদে সরকার ক্ষমতায় রয়েছে।

    তিনি বলেন, ‘‘গত সাড়ে চৌদ্দ বছরে আমার বাবা যা চেয়েছিলেন- ‘একটি সুখী ও সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ’, তার জন্য আমরা বাংলাদেশকে প্রস্তুত করেছি।’’

    শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৫ সালে বাংলাদেশ একটি নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। সরকার সেই অবস্থা থেকে দেশকে ২০৩১ সালের মধ্যে এটি একটি উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে ও ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উচ্চ-আয়ের দেশে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।

    তিনি আরো বলেন, ‘আমরা এলডিসি অবস্থান থেকে ২০২৬ সালের মধ্যে একটি উন্নয়নশীল দেশে উত্তীর্ণ হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছি।’

    শেখ হাসিনা বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে সমাজের দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অবস্থার অবসান ঘটানোকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে।

    তিনি বলেন, বাংলাদেশ প্রায় সব আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে সন্তোষজনক অগ্রগতি অর্জন করেছে।

    শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতি-যার জিডিপি ৪৬০ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।’

    তিনি আরো বলেন, ২০০৫-০৬ সালে দারিদ্র্যের হার ছিল ৪১ দশমিক ৫ শতাংশ, যেখানে বর্তমানে দারিদ্র্যের হার ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে এবং চরম দারিদ্র্যের হার ৫ দমমিক ৬ শতাংশে নেমে এসেছে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি গত দেড় দশকে গড়ে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং মহামারী আঘাত হানার আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এটি ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

    তিনি আরো বলেন, ‘আমরা খাদ্য নিরাপত্তা, বিনামূল্যে ও সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন, কমিউনিটি স্বাস্থ্যসেবা, বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি, ডিজিটাল পরিষেবা, প্রত্যন্ত এলাকায় বিদ্যুত, দুর্যোগ প্রস্তুতি ও জলবায়ু অভিযোজনে সন্তোষজনক অগ্রগতি অর্জন করেছি।’

    শেখ হাসিনা বলেন, গত এক দশকের প্রচেষ্টার পর সরকার দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষাকে বিনামূল্যে করার পাশাপাশি দেশ এখন লিঙ্গ বৈষম্য কমানোর ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে।

    তিনি বলেন, ‘সরকারের নানা উদ্যোগের কারণে আমরা এখন নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের ব্যাপারে বিশ্বের সেরা দশটি দেশের মধ্যে আছি।’

    প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশই সম্ভবত একমাত্র দেশ যেখানে প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের স্পিকার, সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা ও সংসদ উপনেতার সবাই নারী।

    তিনি বলেন, স্থানীয় সরকারি সংস্থাগুলোতে মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ সংরক্ষিত আসন রয়েছে।

    শেখ হাসিনা বলেন, তিনি আশ্রায়ন নামে একটি প্রকল্প চালু করেছেন-যার মাধ্যমে আধা-পাকা ঘর তৈরি করে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করা হচ্ছে।

    তিনি আরো বলেন, ‘দেশে মোট ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের সংখ্যা ৮ লাখ ৮৫ হাজার ৬২২ টি। এ পর্যন্ত আমরা ৫ লাখ ৫৫ হাজার ২২৮টি পরিবারের মধ্যে ঘর নির্মাণ করে বিতরণ করেছি।’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু তাই নয়, আয়বর্ধক প্রশিক্ষণ ও সুদমুক্ত ঋণ প্রদানের মাধ্যমে তাদের জীবিকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

    তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি প্রান্তে শহরের সুবিধা পৌঁছে দিয়ে বাংলাদেশের গ্রামগুলোকে শহরে পরিণত করা হচ্ছে।

  • প্রধানমন্ত্রী দোহা পৌঁছেছেন

    প্রধানমন্ত্রী দোহা পৌঁছেছেন

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৩-২৫ মে অনুষ্ঠেয় কাতার ইকোনমিক ফোরাম (কিউইএফ) ২০২৩-এ যোগ দিতে তিন দিনের সরকারি সফরে কাতারের রাজধানী দোহা পৌঁছেছেন।

    শেখ হাসিনা ও তাঁর সফরসঙ্গীদের নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট স্থানীয় সময় ৫টা ৩২ মিনিটে হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

    কাতার সরকারের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি এবং কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. নজরুল ইসলাম বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।

    এর আগে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বাসস’কে জানান, শেখ হাসিনা ও তাঁর সফরসঙ্গীদের নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট আজ বিকেল ৩টা ১৩ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।

    মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, চীফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, সেনা, বিমান ও ভারপ্রাপ্ত নৌ বাহিনী প্রধান, মহা পুলিশ পরিদর্শক এবং কূটিনৈতিক কোরের ডীন বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।

    সফরকালে প্রধানমন্ত্রী কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল সানির আমন্ত্রণে ‘তৃতীয় কাতার অর্থনৈতিক ফোরাম : নতুন বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির গল্প’ শীর্ষক ফোরামে যোগ দেবেন।

    কিউইএফ হল মধ্যপপ্রচ্যের শীর্ষস্থানীয় কণ্ঠস্বর যা বিশ্বব্যাপী ব্যবসা এবং বিনিয়োগের জন্য নিবেদিত। এই ফোরামের মূল উদ্দেশ্য হল বিশ্বব্যাপী চলমান বহুমুখী চ্যালেঞ্জ ও সংকট এবং এর ফলে উদ্ভূত বিরূপ অর্থনৈতিক প্রভাব মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সমাধান খুঁজে বের করা।

    শেখ হাসিনা ২৩ মে ৩য় কিউইএফের উদ্বোধনী অধিবেশনে যোগ দেবেন। দোহায় কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ভাষণ দেবেন এবং কাতারের জ্বালানি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সা’দ বিন শেরিদা আল কাবি এবং সৌদি আরবের বিনিয়োগ মন্ত্রী খালিদ এ. আল-ফালিহের সঙ্গে পৃথ বৈঠক করবেন।

    প্রধানমন্ত্রী ২৪ মে কিউইএফ-এ যোগ দেবেন। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল সানির (আমিরি দিওয়ানে) সাথে বৈঠক করবেন এবং আওসাজ একাডেমি (একটি বিশেষায়িত স্কুল) পরিদর্শন করবেন।

    প্রধানমন্ত্রী আগামী ২৫ মে সকালে দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

  • কাতার ইকোনমিক ফোরামে যোগ দিতে দোহার উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা ত্যাগ

    কাতার ইকোনমিক ফোরামে যোগ দিতে দোহার উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা ত্যাগ

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৩-২৫ মে অনুষ্ঠেয় কাতার ইকোনমিক ফোরাম (কিউইএফ) ২০২৩-এ যোগ দিতে তিন দিনের সরকারি সফরে আজ বিকেলে দোহার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন।

    প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান, শেখ হাসিনা ও তাঁর সফরসঙ্গীদের নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট আজ বিকেল ৩টা ১৩ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।

    মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, চীফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, সেনা, বিমান ও ভারপ্রাপ্ত নৌ বাহিনী প্রধান, মহা পুলিশ পরিদর্শক এবং কূটিনৈতিক কোরের ডীন বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।

    ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।

    সফরকালে প্রধানমন্ত্রী কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল থানির আমন্ত্রণে ‘তৃতীয় কাতার অর্থনৈতিক ফোরাম : নতুন বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির গল্প’ শীর্ষক ফোরামে যোগ দেবেন।

    কিউইএফ হল মধ্যপ্রাচ্যের শীর্ষস্থানীয় কণ্ঠস্বর যা বিশ্বব্যাপী ব্যবসা এবং বিনিয়োগের জন্য নিবেদিত। এই ফোরামের মূল উদ্দেশ্য হল বিশ্বব্যাপী চলমান বহুমুখী চ্যালেঞ্জ ও সংকট এবং এর ফলে উদ্ভূত বিরূপ অর্থনৈতিক প্রভাব মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সমাধান খুঁজে বের করা।

    শেখ হাসিনা ২৩ মে ৩য় কিউইএফের উদ্বোধনী অধিবেশনে যোগ দেবেন। দোহায় কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ভাষণ দেবেন এবং কাতারের জ্বালানি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সা’দ বিন শেরিদা আল কাবি এবং সৌদি আরবের বিনিয়োগ মন্ত্রী খালিদ এ. আল-ফালিহের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করবেন।

    প্রধানমন্ত্রী ২৪ মে কিউইএফ-এ যোগ দেবেন। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল সানির (আমিরি দিওয়ানে) সাথে বৈঠক করবেন এবং আওসাজ একাডেমি (একটি বিশেষায়িত স্কুল) পরিদর্শন করবেন।

    প্রধানমন্ত্রী আগামী ২৫ মে সকালে দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

  • কাতার সফর শেষে দেশে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী

    কাতার সফর শেষে দেশে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী

    কাতারে অনুষ্ঠিত স্বল্পোন্নত দেশগুলোর পঞ্চম জাতিসংঘ সম্মেলন শেষে দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    আজ বুধবার (৮ মার্চ) বেলা সাড়ে তিনটার সময় প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট ঢাকায় হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে।

    এর আগে আজ বেলা ১১টায় (স্থানীয় সময় সকাল ৮টায়) কাতারের রাজধানী দোহার হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়।

    কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ বিন খলিফা আল থানি ও জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের আমন্ত্রণে এলডিসি সম্মেলনে যোগ দিতে গত শনিবার (৪ মার্চ) কাতার সফরে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    কাতার সফরকালে প্রধানমন্ত্রী এলডিসি-৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানসহ বেশ কয়েকটি ইভেন্টে যোগ দেন। সেসব অনুষ্ঠানে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর পক্ষে কথা বলেন।

    সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ বিন খলিফা আল থানির সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে কাতার থেকে এলএনজি আমদানি, প্রবাসী শ্রমিকদের ইস্যুসহ দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ বিষয়ে আলাপ করেন।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সফরে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুতেরেস, জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের প্রেসিডেন্ট সাবা কোরোসি, কাতার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শেইখা মোজা বিনতে নাসেরের সঙ্গে বৈঠক করেন। এছাড়া জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থাসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।

  • কাতারের নতুন প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ

    কাতারের নতুন প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ

    কাতারের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল থানি। মঙ্গলবার (৭ মার্চ) আমিরই দেওয়ানে এই শপথ নেন। শেখ খালিদ বিন খলিফা বিন আব্দুল আজিজ আল-থানির স্থলাভিষিক্ত হবেন তিনি। ২০২০ সাল থেকে আব্দুল আজিজ আল-থানি প্রধানমন্ত্রী ও স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালন করেন।

    কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানির উপস্থিতিতে এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৬ সাল থেকে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালন করেন শেখ মোহাম্মদ।

    এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির কাছে বছরে আরও এক মিলিয়ন মেট্রিক টন তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) চেয়েছেন।

    স্থানীয় সময় রোববার (৫ মার্চ) কাতারের দোহায় ন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে (কিউএনসিসি) দেশটির আমিরের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় তিনি এ জ্বালানি চান। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশকে জ্বালানি দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন কাতারের আমির।

    বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। মন্ত্রী জানান, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ক্রমবর্ধমান জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় কাতারের কাছ থেকে আরও বেশি জ্বালানি, বিশেষ করে বছরে আরও এক মিলিয়ন মেট্রিক টন (এমটিএ) তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) চান।

  • দোহার উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী

    দোহার উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বল্পোন্নত দেশগুলোর বিষয়ে ৫ম জাতিসংঘ সম্মেলনে যোগ দিতে কাতারের রাজধানী দোহার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।

    শনিবার বেলা সোয়া ১১টায় তাকে বহনকারী বিমান দোহার উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করে। প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস রানা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    এর আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, সম্মেলনে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে সহজ উত্তরণের জন্য বৈশ্বিক সমর্থন চাইবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ৫-৯ মার্চ দোহায় অনুষ্ঠিতব্য সম্মেলনে এই গ্রুপের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে এটি ঢাকার শেষ অংশগ্রহণ বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ বাংলাদেশ ২০২৬ সালের মধ্যে ফোরাম থেকে উত্তরণ লাভ করতে যাচ্ছে।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মেলনে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন। তিনি এলডিসি ৫ সম্মেলনে তার অংশগ্রহণ ছাড়াও কাতারের আমিরসহ অন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।

    ৮ মার্চ পর্যন্ত কাতারে অবস্থানকালে কাতারের আমিরের সঙ্গে তার বৈঠকের কথা রয়েছে। জ্বালানি খাতে সহযোগিতাসহ দ্বিপাক্ষিক বিষয়গুলো আলোচনায় স্থান পাবে।

    সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৮ মার্চ (বুধবার) সকালে ঢাকার উদ্দেশ্যে দোহা ত্যাগ করবেন।

  • কাতারে সড়ক দুর্ঘটনায় চার বাংলাদেশি নিহত

    কাতারে সড়ক দুর্ঘটনায় চার বাংলাদেশি নিহত

    মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন চার বাংলাদেশি। আহত হয়েছেন আরও দুজন। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) ভোর ৫টায় কাতারের আল শামাল মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

    নিহত প্রবাসীদের মধ্যে মোহাম্মদ শাকিল ও মোহাম্মদ ইউসুফ মাতব্বরের বাড়ি নারায়ণগঞ্জে। আর মোহাম্মদ রাহাতের বাড়ি মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে, অপর নিহত মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়।

    নিহত তিনজনের মরদেহ রাখা হয়েছে স্থানীয় দোহা হামাদ হাসপাতালের মর্গে। আর রাহাতকে শনিবার কাতারের আবু হামুর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

    অন্যদিকে আহত মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন ও হাবিবুর রহমান আপুকে দোহা হামাদ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত এই দুজনের বাড়ি নারায়ণগঞ্জে।

    জানা যায়, আল শামাল মহাসড়কে তাদের গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অপর একটি প্রাইভেটকারকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন দুজন। আর হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও দুজনের মৃত্যু হয়।

    কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, তিনজনের মরদেহ দ্রুত দেশে তাদের পরিবারের কাছে পাঠানো হবে।

  • গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে নকআউটে নেদারল্যান্ডস

    গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে নকআউটে নেদারল্যান্ডস

    প্রথম ম্যাচে সেনেগালের রক্ষণ দেয়াল ভাঙতে পারছিল না ফেবারিট হয়ে বিশ্বকাপে আসা নেদারল্যান্ডস। বরং সাদিও মানেবিহীন আফ্রিকার দলটি ভয় ধরাচ্ছিল রক্ষণে। ওই ম্যাচে ডাচদের ২-০ গোলের জয়ের নায়ক ছিলেন ২৩ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড কোডি গাকপো। ইকুয়েডরের বিপক্ষে ১-১ গোলে সমতার ম্যাচে ছয় মিনিটে গোল করেছিলেন তিনি।

    এবার স্বাগতিক কাতারের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচেও নেদারল্যান্ডসের জয়ের নায়ক তরুণ এই উইঙ্গার। এবারও তিনি দলকে ব্রেক থ্রু এনে দেন। দলকে ২-০ গোলের জয় এনে দিতে পরে জালে বল পাঠিয়েছেন ফ্রেঙ্কি ডি জং। এই জয়ে ‘এ’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে শেষ ষোলোর পা রেখেছে রাশিয়া বিশ্বকাপে জায়াগা না পাওয়া নেদারল্যান্ডস।

    ম্যাচের ২৬ মিনিটে দলের হয়ে প্রথম গোল করেন কোডি গাকপো। ডাচ লিগে খেলা এই তরুণ গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচেই গোল করেছেন। দলের অন্য গোলটি আসে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে। বার্সায় খেলা মিডফিল্ডার ফ্রেঙ্কি ডি জং ৪৯ মিনিটে গোল করে দলকে বড় জয়ের পথে এগিয়ে নেন। পরে স্বাগতিকদের জালে আর বল পাঠাতে পারেনি তিনবার বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলে শিরোপা জিততে না পারা নেদারল্যান্ডস।

    অন্যদিকে এই হারে কাতার গড়েছে লজ্জার এক রেকর্ড। গ্রুপ পর্বে তো বিদায় হয়েছেই, বিশ্বকাপ ইতিহাসের প্রথম স্বতন্ত্র স্বাগতিক হিসেবে গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচেই হারের স্বাদ পেয়েছে তারা। এর আগে ২০১০ বিশ্বকাপের স্বাগতিক ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তারা গ্রুপ পর্ব পার হতে না পারলেও গ্রুপের সব ম্যাচে হারেনি।

  • কাতারকে হারিয়ে টিকে রইলো সেনেগাল

    কাতারকে হারিয়ে টিকে রইলো সেনেগাল

    হারলেই ছিটকে যেতে হতো। এমন সমীকরণের ম্যাচে অনায়াসেই জয় তুলে নিল আফ্রিকান চ্যাম্পিয়নরা। স্বাগতিক কাতারকে ৩-১ গোলে হারিয়ে নক আউট পর্বের আশা বাঁচিয়ে রাখলো সেনেগাল। এই ম্যাচে হারের ফলে বিশ্বকাপ থেকে অনেকটাই ছিটকে গেলো স্বাগতিক কাতার।

    এবারই প্রথম কোনো ফুটবল ম্যাচে মুখোমুখি হলো কাতার ও সেনেগাল। ম্যাচের শুরু থেকেই গোল করার চেষ্টা করেছে সেনেগাল। আর কাতার ব্যস্ত ছিল রক্ষণ সামলাতে। ম্যাচের ২৪ ও ২৮ মিনিটে গোল করার সুযোগ পেলেও গোল করতে পারেনি সেনেগাল। এরপর ম্যাচের ৪১ মিনিটে কাতারের ডিফেন্ডার খৌকি ও গোলকিপার বারশামকে বোকা বানিয়ে দলকে এগিয়ে দেন বৌলায়ে দিয়া।

    বিরতি থেকে ফিরেই আবারও গোলের দেখা পায় সেনেগাল। ম্যাচের ৪৭ মিনিটে কর্নার আদায় করে সেনেগাল। ম্যাচের ৪৮ মিনিটে সেই কর্নার থেকে ভেসে আসা বলে হেড করে কাতারের জালে জড়ান ফামারা ডিইধিউ। সেনেগালের লিড বাড়িয়ে দেন তিনি। দুই গোলের লিড নিয়ে স্বাগতিকদের ওপর আরও চড়াও হয়ে খেলতে থাকে সেনেগাল।

    ম্যাচের ৭৮ মিনিটে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম গোলের দেখা পায় কাতার। মুতারি চমৎকার হেডে ব্যবধান ২-১ এ নামান। ম্যাচে উত্তেজনা ফিরলেও তা বেশিক্ষণ থাকেনি। ৮৪ মিনিটে কাতারের ফেরার সম্ভাবনা উড়িয়ে আবার ব্যবধান দুই গোলে বাড়ান ডিয়েং।

    এরপর একাধিক আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ চালায় দু’দল। শেষ পর্যন্ত আর কোন গোল না হলে ৩-১ গোলের ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সেনেগাল।