Tag: কাতার

  • কাতারকে হারিয়ে বিশ্বকাপ শুরু ইকুয়েডরের

    কাতারকে হারিয়ে বিশ্বকাপ শুরু ইকুয়েডরের

    বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিক কাতারকে ২-০ গোলে হারিয়েছে ইকুয়েডর। এর মাধ্যমে ফুটবলের সবচেয়ে বড় মঞ্চে শুভসূচনা করল লাতিন আমেরিকার দেশটি।

    রোববার (২১ নভেম্বর) আল বায়াত স্টেডিয়ামের ৫০ হাজারের বেশি দর্শককে শুরু থেকেই হতাশ করেছে কাতার ফুটবল দল। তৃতীয় মিনিটে গোলরক্ষকের ভুলে প্রথমবার কাতারের জালে বল জড়ায় ইকুয়েডর। তবে অফসাইডের কারণে সেবার কোনো রকমে বেঁচে যায় স্বাগতিক দল।

    গোল পেতে অবশ্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি ইকুয়েডরকে। যদিও সুযোগটা করে দিয়েছে কাতারই। ১৬তম মিনিটে ইকুয়েডরের ফরোয়ার্ড এনার ভ্যালেন্সিয়াকে পেনাল্টি বক্সের মধ্যে বাজেভাবে ফাউল করেন কাতারের গোলরক্ষক সাদ আল শিব। আর তাতেই বাঁশি বাজান রেফারি। স্বাগতিক গোলরক্ষক সাদকে হলুদ কার্ড দেওয়ার পাশাপাশি এবারের বিশ্বকাপে প্রথম পেনাল্টি দেন অনফিল্ড রেফারি।

    স্পটকিক থেকে গোল করতে ভুল করেননি এনার ভ্যালেন্সিয়া। আর তাতে কাতার বিশ্বকাপের প্রথম গোলদাতার হওয়ার কৃতিত্ব গড়েন ইকুয়েডরের অধিনায়ক। কাতারের জালে অবশ্য শুরুতেই বল জড়িয়েছিলেন ভ্যালেন্সিয়া। তবে তৃতীয় মিনিটের সেই গোলটি শেষমেষ অফসাইডের কারণে বাতিল ঘোষণা করেন রেফারি।

    ম্যাচের ৩৫ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ভ্যালেন্সিয়াই। ডান প্রান্ত থেকে ভেসে আসা ক্রসে বক্সের ভেতরে লাফিয়ে হেডে গোল করেন। এই গোলের পর ম্যাচে অনেক পিছিয়ে পড়ে কাতার। বল পজিশন, আক্রমণ সব দিক থেকেই এগিয়ে ছিল ইকুয়েডর। স্কিল ও ট্যাকটিসে এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন দল যে পেছনে সেটাও দেখিয়েছে তারা।

    প্রথমার্ধের শেষদিকে একটা সুযোগ আসে কাতারের। তবে গোলের সামনে বল পেয়েও হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি আলময়েজ আলী। ২-০ গোলে শেষ হয় প্রথমার্ধ। বিরতির পরে কোনো দলই গোল করতে পারেনি। এতে প্রথমার্ধে করা ওই দুই গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইকুয়েডর।

  • অনলাইনে প্রকাশ হল কাতার প্রবাসী কবি এম এ হাসনাত মানিকের কবিতা “নারী তুমি আমার মা”

    অনলাইনে প্রকাশ হল কাতার প্রবাসী কবি এম এ হাসনাত মানিকের কবিতা “নারী তুমি আমার মা”

    সাহিত্য ডেস্ক : কবি এম এ হাসনাত মানিক একজন কাতার প্রবাসী। বাড়ি চট্টগ্রাম শহরে। লিখছেন দীর্ঘদিন ধরে।

    বর্তমানে কাতারে থেকেও তিনি বাংলাদেশের সাহিত্য সংস্কৃতি তুলে ধরছেন তার কবিতা ও লেখনির মাধ্যমে। তিনি চান বিদেশের মাটিতে নিজের দেশের সাহিত্য-সংস্কৃতি গড়ে উঠুক।

    দীর্ঘদিন থেকে তার লেখা কবিতাগুলো বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে প্রকাশিত হয়ে আসছে। অনলাইনে অনেক গুণীজন তার কবিতাগুলো পড়ে তাকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি তার শুভ কামনা জানিয়েছেন।

    সম্প্রতি কাতার প্রবাসি এ কবি অনলাইনে মাকে নিয়ে নতুন করে আরো একটি চমৎকার কবিতা উপহার দিয়েছেন অনলাইন পাঠকদের জন্য। তার এবারের কবিতার নাম করণ করা হয় “নারী তুমি আমার মা”।

    তার এবারের কবিতাটি তিনি উৎসর্গ করেন বিশিষ্ট মানবাধিকার নেত্রী ও লাকী জাগরণ ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান লাকী আহমেদকে।

    মাকে নিয়ে লেখা অসাধারণ কবিতাটি ইতিমধ্যে পাঠকের মন জয় করে নিয়েছে। তার কবিতাটি পড়ে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেছেন সাংবাদিক রাজীব সেন প্রিন্স, বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক শাম্মী তুলতুল, কবি ও রন্ধনশিল্পী তানজিন তিপিয়া ও কবি শেখ তাহরীম তাহসীর।

    এম এ হাসনাত মানিকের কবিতাটি পাঠকদের জন্য নিম্নে প্রকাশিত হলো :

    “নারী তুমি আমার মা”
    -এম এ হাসনাত মানিক

    নারী তুমি তো মা, আর আমি তোমার নারী ছেড়া ধন,
    নারী তুমি তো সেই মায়ের কন্যা
    যে মায়ের গর্ভে আমার জন্ম হয়েছে।

    নারী তুমি আমার মায়ের কষ্টে লালন করা, আদরের ঘরের দুলালী,
    নারী তুমি তো সেই নারী
    ক্ষুদার্থ তৃষ্ণা নিবারণে
    যে মায়ের বুকের স্তন,
    তুমি আর আমি একি সাথে পান করেছি।

    নারী তুমি তো পিতা-মাতার স্নেহ ছেড়ে,
    আজ আমার ঘরের আদর্শ, একজন শিশুর মা,
    নারী তুমি বীরঙ্গনা, স্বাধীনতা যুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর ডাকে
    মুক্তিকামী মানুষের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে
    দেখেছি তোমার আত্মত্যাগ।

    নারী তোমার কারনে আজ পৃথিবীর বিশ্বব্রহ্মাণ্ড ভালো লাগা,
    অগণিত সুখের পরশ তুমি
    সবই যদি নারী তুমি হও
    কেন আজ গৃহহীন তুমি?
    সবই আছে তোমার, কেন আজ পরিবার নামক বিবেকহীন মানুষগুলো পাঠালো তোমাকে বৃদ্ধাশ্রমে?

    বিবেক কেন আজ পদদলিত
    কেন আজ নারী হয় বারবার ধর্ষিতা!
    নারী তোমার ছোট্ট ঘর বে যদি আমার,
    দশ মাস দশ দিন লালন হয়
    আজ কেন শহরের বড় অট্টালিকা আর ফ্ল্যাট এ তোমার
    স্থানের বড্ড অভাব?

    নারী কেন আজ তোমার প্রতি হিংস্র বর্বরতা,
    বারবার ধর্ষিতা তুমি কেন আজ পথে ঘাটে!
    কোথায় গেল আজ বড় বড় বিবেক গুলি,
    মৃত্যুর পরও লাশকাটা ঘরে শুনি তোমার আত্মনাদ?
    আজ কি বলবে?

    সেখানে পোশাকের অপরাধ।
    হায়রে বিবেক বিকারগ্রস্থ মস্তিস্ক!
    একটু ভাবুন নারী আমার মা,
    নারী আমার বোন, নারী আমার ভালোলাগা, নারী আমার সহধর্মিনী,
    নারী একজন শিশুর আদর্শ মা।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব

  • কাতারে সন্ধ্যার পর শুধু খাবারের দোকান খোলা রাখা যাবে

    কাতারে সন্ধ্যার পর শুধু খাবারের দোকান খোলা রাখা যাবে

    কাতার থেকে আবু শাঈদ মিশু : করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য সবরকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কাতার সরকার। তারপরও ঠেকানো যাচ্ছে না আক্রান্তের সংখ্যা। নতুন করে শনিবার আক্রান্ত হয়েছেন ২৮ জন। এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৫৯০ জনে দাঁড়িয়েছে। করোনা বিস্তার ঠেকাতে এরইমধ্যে বন্ধ করা হয়েছে মসজিদ, স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়, সেলুন, সিসার দোকান, শপিংমল, সিনেমাহল। বন্ধ আছে গণপরিবহন, মেট্রোরেল ও বিমান চলাচল। লকডাউন করে দেয়া হয়েছে সানাইয়া শিল্পাঞ্চল।বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে চলাচলে, আইন না মানলে করা হচ্ছে গ্রেফতার। এ অবস্থায় চিন্তিত হয়ে পড়েছেন কর্মহীন প্রবাসীরা। প্রয়োজন ছাড়া ঘোরাঘুরি না করার পরামর্শ প্রবাসীদের।

    এদিকে শুক্রবার রাত থেকে কার্যকর করা হয়েছে নতুন নিয়ম। সন্ধ্যা ৭টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত শুধু খাবারের দোকান ছাড়া অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রতিদিন বন্ধ থাকবে সকল দোকানপাট।করোনাভাইরাস সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে বাংলা ভাষায় একটি রেডিও চালু করেছে কাতার সরকার।

    এখনও পর্যন্ত কতজন বাংলাদেশি আক্রান্ত হয়েছে জানা জাইনি, এই দিকে কোয়ারেন্টাইনে থাকা একজন বাংলাদেশি মোবাইলে জানিয়েছেন,চার হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি কোয়ারেন্টাইন আছেন। তবে সবাই ভালো আছেন।

    আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন প্রবাসীরা, কাতারে এ পর্যন্ত ১৬ হাজারের মতো মানুষের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। করোনায় আক্রান্তদের অন্তত ৪৫ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

    শনিবার প্রথম কাতারে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ৫৭ বছর বয়সী একজন বাংলাদেশী মৃত্যুবরন করেছেন, এটিই কাতারে করোনা ভাইরাস জনিত কারণে প্রথম মৃত্যু। দিলীপ কুমার দেব (৫৭) নামের ওই ব্যক্তির বাড়ি মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলে।

     

  • কাতারে বাংলাদেশিসহ অভিবাসী শ্রমিকদের ‘জেলজীবন’

    কাতারে বাংলাদেশিসহ অভিবাসী শ্রমিকদের ‘জেলজীবন’

    কাতার থেকে মিশু : কাতারের সবচেয়ে বড় লেবার ক্যাম্প বা শ্রমিকদের আশ্রয়শিবির লকডাউনের কারণে কার্যত এক বন্দিশিবিরে পরিণত হয়েছে।

    বাংলাদেশি, নেপালিসহ এখানে বসবাসকারীদের বেশির ভাগই অভিবাসী শ্রমিক। সেখানে অবকাঠামো খাতে কাজ করতে তারা গিয়েছেন বিভিন্ন দেশ থেকে।

    সেখানে কয়েক শত শ্রমিক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর ওই শিবিরটি লকডাউন বা অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। ফলে অভিবাসী এসব শ্রমিক তাদের অবস্থাকে জেলখানার জীবনের সঙ্গে তুলনা করেছেন।

    বাংলাদেশি একজন শ্রমিক বলেছেন, প্রতিদিনই এখানকার পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। এক নম্বর ক্যাম্প থেকে ৩২ নম্বর ক্যাম্প পর্যন্ত সবটাই এখন লকডাউন করা হয়েছে। এর ভিতর আমার যেসব বন্ধুরা বসবাস করছেন তারা এক কঠিন পীড়ার মধ্যে রয়েছেন। আতঙ্কে রীতিমতো কাঁপছেন তারা।

    এতে বলা হয়েছে শ্রমিকদের ওই শিবিরটি দোহা’র ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়া’তে বা শিল্প এলাকায়। এর ভিতরে অবস্থান করেন কয়েক হাজার শ্রমিক। তার ভিতরের অবস্থা একেবারে নাজুক। এর মধ্যেই গাদাগাদি করে অবস্থান করেন তারা। ফলে এই শিবিরের মধ্যে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের দ্রুত বিস্তার ঘটার আশঙ্কা করছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

    শিবিরটির চারপাশে পাহারা বাসিয়েছে পুলিশ, যাতে কেউ বাইরে যেতে না পারেন। একেবারে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে তাদেরকে। এমন পরিস্থিতিতে এর ভিতরে যেসব শ্রমিক অবস্থান করছেন তাদের বেশির ভাগই ২০২২ বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজনের জন্য স্টেডিয়াম নির্মাণ সহ যেসব অবকাঠামোগত প্রকল্প রয়েছে তাতে কাজ করেন।

    গত মঙ্গলবার কাতার কর্তৃপক্ষ ওই শিল্প এলাকার কয়েক বর্গকিলোমিটার এলাকাকে অবরুদ্ধ ঘোষণা করেছে। ফলে এর ভিতরে অবস্থানরত শ্রমিকরা তাদের অনিশ্চিত ভবিষ্যত নিয়ে আতঙ্কে বসবাস করছেন।