Tag: কানাডা

  • করোনা/কানাডায় মারা গেলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শরীফ, এনিয়ে ৫ বাংলাদেশির মৃত্যু

    করোনা/কানাডায় মারা গেলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শরীফ, এনিয়ে ৫ বাংলাদেশির মৃত্যু

    ২৪ ঘণ্টা প্রবাস ডেস্ক || প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কানাডায় এ রিপোর্ট লেখার সময় ৫ জন বাংলাদেশির মৃত্যুর খবর জানা গেছে।

    সর্বশেষ ১৭ এপ্রিল স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭.৫০ মিনিটে দেশটির সেন্ট মাইকেল হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে বীর মুক্তিযোদ্ধা সালাম শরীফ (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

    মৃত্যুর আগে সালাম শরীফের বয়স হয়েছিলো ৭০ বছর। তিনি টরন্টোর বাংলাদেশি কমিউনিটির অত্যন্ত জনপ্রিয় ব্যক্তি ছিলেন।

    দেশটিতে পঞ্চম বাংলাদেশির মৃত্যুতে গভীর শোকের ছায়া নেমে আসে বাংলাদেশি কমিউনিটিতে।

    মৃত্যুর আগে এ বীর মুক্তিযোদ্ধা স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে এবং অসংখ্য বন্ধু-বান্ধব রেখে যান।

    তার কন্যা সিনথিয়ার বরাতে সালাম শরীফের মারা যাওয়ার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন ব্যারিস্টার কামরুল হাফিজ।

    জানা যায়, মুক্তিযোদ্ধা সালাম শরীফ গোপালগঞ্জের এলাকার অধিবাসী। তিনি অন্টারিও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা, আওয়ামী লীগ অফ কানাডার সভাপতি এবং গ্রেটার ফরিদপুর জেলা সমিতির প্রেসিডেন্ট ছিলেন।

    উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে অটোয়ায় গত ৪ এপ্রিল শরিয়তুল্লাহ এবং গত ৫ এপ্রিল টরন্টোতে হাজী তুতিউর রহমান, ১০ এপ্রিল ওমর শেখ এবং জামাল আলী এই মরণঘাতী ভাইরাসে মারা যান। পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে ১৭ এপ্রিল করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন সালাম শরীফ।

    এই রিপোর্ট লেখার সময় কভিড-১৯’এ পাঁচ জন বাংলাদেশিসহ মারা গেছেন ১ হাজার ৩১০ জন। আক্রান্ত ৩১ হাজার ৬৪২ আর সুস্থ হয়েছেন ১০ হাজার ৩২৮ জন।

    সব চেয়ে বেশি কুইবেক সিটিতে ৬৩০ জন মারা গেছেন। এরপর রয়েছে অন্টারিও প্রভিন্সে ৪৭৮ জন। তবে নোনাভাট এখনো করোনা মুক্ত প্রদেশ!

    ২৪ ঘণ্টা/ আর এস পি

  • করোনায় আক্রান্ত স্ত্রী সোফি ,আইসোলেশনে ট্রুডো

    করোনায় আক্রান্ত স্ত্রী সোফি ,আইসোলেশনে ট্রুডো

    কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর স্ত্রী সোফি গ্রেগরি প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

    জাস্টিন ট্রুডোর যোগাযোগবিষয়ক কর্মকর্তা ক্যামেরন আহমদ এক টুইটবার্তায় বলেন, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সোফি গ্রেগরি কিছু দিনের জন্য আইসোলেশনে (পৃথকীকরণ) থাকবেন।

    সোফির শরীরে রোগের উপসর্গ মৃদুমাত্রায় রয়েছে উল্লেখ করে বলা হয়, বর্তমানে তিনি ভালোই আছেন এবং সব ধরনের প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।

    এদিকে গ্রেগরি ট্রুডোর সংস্পর্শে কারা এসেছেন, তা খুঁজে বের করছেন কানাডার স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। জাস্টিন ট্রুডোর যোগাযোগবিষয়ক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কানাডার প্রধানমন্ত্রী সুস্থ আছেন এবং তার শরীরে (করোনার) কোনো উপসর্গ নেই।

    তিনি আরও বলেন, ‘পূর্বসতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে তিনি (জাস্টিন ট্রুডো) চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ১৪ দিনের জন্য আইসোলেশনে থাকবেন। এ ছাড়া চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী, যেহেতু তার কোনো উপসর্গ নেই, তার করোনার পরীক্ষা করা হবে না।

    আজ শুক্রবার জাস্টিন ট্রুডো কানাডাবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দেবেন বলেও জানান তার যোগাযোগবিষয়ক কর্মকর্তা।

    বৃহস্পতিবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার রাত থেকে জাস্টিন ট্রুডোর স্ত্রী সোফি গ্রেগরির শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দেয়ার পর স্ত্রীকে নিয়ে স্বেচ্ছায় নিজ বাসভবনে কোয়ারেন্টাইনে চলে গেছেন ট্রুডো।

    পরে বিষয়টি নিশ্চিত করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিবৃতিও দেন ট্রুডো।

    গত বুধবার লন্ডনে এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী সোফি গ্রেগরি। দেশে ফেরার পরে ওইদিন রাতে জ্বরসহ ফ্লুতে আক্রান্ত হওয়ার বেশ কিছু লক্ষণ তার মধ্যে দেখা যায়।

    সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হন তিনি। এরপর থেকেই ট্রুডো এবং তার স্ত্রী স্বেচ্ছা আইসোলেশনে যান। পরীক্ষার জন্য কানাডার প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রীর রক্তের নমুনা পাঠানো হয়।

    কানাডায় এখনও পর্যন্ত ১৩০টি নিশ্চিত করোনাভাইরাসে আক্রান্তের ঘটনা সামনে এসেছে। যার জেরে এই ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে সরকারি স্তরে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

    করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসার ফলে সংক্রমণের আশঙ্কায় গত কয়েকদিনে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে একাধিক রাজনৈতিক নেতা স্বেচ্ছায় নিজেদের বন্দি করার পথ বেছে নিয়েছেন।

    এর মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচ জন বর্ষীয়ান রিপাবলিকান নেতা এবং কানাডার পাঁচ জন ক্যাবিনেট মন্ত্রী আছেন।

    এদিকে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় কানাডায় ১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বুধবার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ১ বিলিয়নের বেশি কানাডিয়ান ডলারের প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন।

    এর মধ্যে ৫০০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ রাখা হয়েছে প্রভিন্স ও টেরিটোরির জন্য। করোনাভাইরাস নিয়ে গবেষণা করার জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২৭৫ মিলিয়ন ডলার।

    এ ছাড়া এই ভাইরাসের কারণে যদি কোনো প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে তা হলে তাদের কর্মীদের আর্থিক সাহায্য করার জন্য ১৫০ মিলিয়ন ডলার, জনগণকে এ ভাইরাস নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য ৫০ মিলিয়ন ডলার, পার্সোনাল প্রটেকটিভ ইকুইপমেন্ট কেনার জন্য ৫০ মিলিয়ন ডলার, আন্তর্জাতিক সহযোগিতার জন্য ৫০ মিলিয়ন ডলার, প্রবাসী কানাডিয়ানদের জন্য ৭ মিলিয়ন ডলার, ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনকে ২ মিলিয়ন ডলার এবং অন্যান্য খরচ বাবদ ১৭ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

  • কানাডায় টানা দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ট্রুডো

    কানাডায় টানা দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ট্রুডো

    উত্তর আমেরিকার দেশ কানাডায় ৪৩তম জাতীয় নির্বাচনে টানা দ্বিতীয়বারের মতো জয়লাভের মাধ্যমে ক্ষমতা গ্রহণের পথে রয়েছেন উদারপন্থি রাজনৈতিক জাস্টিন ট্রুডো। যেখানে ১৫৬ আসন পেয়ে জয়ী হয়েছে ট্রুডোর রাজনৈতিক দল লিবারেল পার্টি। যদিও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে আরও ১৪টি আসন প্রয়োজন।

    নির্বাচনে ট্রুডোর প্রধান প্রতিপক্ষ ছিল কনজারভেটিভ দলের নেতা অ্যান্ড্রু শীর। এবারের ভোট পরবর্তী ফলাফল গণনায় তার দল পেয়েছে ১২২ আসন। যেখানে গত নির্বাচনে তারা জয় পেয়েছিল মাত্র ৯৫টি আসনে। সংখ্যাগরিষ্ঠতার মাধ্যমে সরকার গঠন করতে চাইলে পার্লামেন্টের মোট ৩৩৮ আসনের মধ্যে তাদের কমপক্ষে ১৭০টি আসনে জয় পাওয়া প্রয়োজন। যা ট্রুডো কিংবা শীর কেউই পাননি।

    অপর দিকে নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফল প্রকাশের পর আজ মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) এক প্রতিক্রিয়ায় জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, ‘এ বিজয় আমার একার নয়, আপনাদের সবার। আপনারা আমাকে যে সম্মান এবং দায়িত্ব দিয়েছেন; গত চার বছর যেভাবে পালন করেছি, আগামী দিনগুলোতে আরও ভালোভাবে পালন করতে চাই।’ ট্রুডো আরও বলেন, ‘সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করে যাব, আপনাদের সবাইকে আমার প্রাণঢালা অভিনন্দন এবং ধন্যবাদ।’

    টানা পাঁচ সপ্তাহের নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণা শেষে সোমবার (২১ অক্টোবর) দিনভর দেশটিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে মোট ছয়টি রাজনৈতিক দল লিবারেল, কনজারভেটিভ, ব্লক কুবেকুয়া, নিউ ডেমোক্রেটিক, গ্রিন এবং পিপলস পার্টি অব কানাডা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।

  • কানাডার ফেডারেল নির্বাচনে বাংলাদেশি প্রার্থী

    কানাডার ফেডারেল নির্বাচনে বাংলাদেশি প্রার্থী

    আগামী ২১ অক্টোবর ফেডারেল নির্বাচনে স্কারবোরো সেন্টার আসনে এনডিপি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়ন পেয়েছেন বাংলাদেশি-কানাডিয়ান তরুণ ফাইজ কামাল।

    তিনি স্কারবোরো সেন্টার আসনে এনডিপির নোমিনেশন মিটিংয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী জামীর নাদীমকে পরাজিত করে এই মনোনয়ন লাভ করেন।

    ছাত্রাবস্থা থেকেই রাজনীতিতে জড়িত হলেও বাংলাদেশি ইমিগ্র্যান্ট পরিবারের সন্তান ফাইজের রাজনীতিতে অভিষেক হয় ২০১৮ সালের অন্টারিও প্রাদেশিক নির্বাচনে। স্কারবোরো সাউথওয়েস্ট থেকে বিজয়ী বাংলাদেশি এমপিপি ডলি বেগমের নির্বাচনী প্রচারণা দলের সদস্য হিসাবে।

    এবার ফেডারেল নির্বাচনে মনোনয়ন পেয়ে তিনি কানাডার জাতীয় রাজনীতিতে বাংলাদেশি-কানাডিয়ানদের সদর্প পদচারণার আভাস দিলেন।

    তবে এই আসনে তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ এবং লিবারেল পার্টির এমপি সালমা জাহিদ এবং কনজারভেটিভ পার্টির প্রার্থী এরশাদ চৌধুরীর সঙ্গে। কামাল ছাড়া আরও কজন বাংলাদেশি-কানাডিয়ান আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।