Tag: কারফিউ

  • রোববার থেকে ঢাকাসহ ৪ জেলায় কারফিউ শিথিল ১৫ ঘণ্টা

    রোববার থেকে ঢাকাসহ ৪ জেলায় কারফিউ শিথিল ১৫ ঘণ্টা

    আগামীকাল রোববার থেকে ঢাকা, নারায়নগঞ্জ, নরসিংদী ও গাজীপুরে কারফিউ ১৫ ঘণ্টা শিথিল থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

    রাত ১০টায় গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলেন তিনি জানান, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সকাল ছয়টা থেকে এ কারফিউ রাত ৯টা পর্যন্ত শিথিল থাকবে।

    মন্ত্রী বলেন, এখন চলছে শোকের মাস। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাস। মাসটিকে শোকের মাস হিসেবে পালন করি। বঙ্গবন্ধু শাহাদতবরণ করার পর থেকে এটা চলছে।

    জামায়াত-বিএনপি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, দল দুটি সবসময় ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত ছিল। তারা দেশকে অকার্যকর করতে চায়। ছাত্রদের কাছে আহ্বান, তারা যাতে লেখাপড়ায় ফিরে যান। কারণ তাদের সব দাবি পূরণ করা হয়েছে। এরপরেও যদি তাদের কোনো দাবি থাকে তাহলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দরজা সবসময় খোলা আছে।

  • চট্টগ্রামে রবিবার কারফিউ ১৫ ঘণ্টা শিথিল

    চট্টগ্রামে রবিবার কারফিউ ১৫ ঘণ্টা শিথিল

    চট্টগ্রাম মহানগরী ও জেলায় চলমান কারফিউ রবিবার আরও এক ঘণ্টা বাড়িয়ে মোট ১৫ ঘণ্টা শিথিল করেছে প্রশাসন। এদিন সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বিরতি দিয়ে আবারও কারফিউ বলবৎ হবে বলে প্রশাসনের বার্তায় বলা হয়েছে।

    শনিবার (২৭ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) এবং জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

    সিএমপির অতিরিক্ত উপ কমিশনার (মিডিয়া) কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, আগামীকাল রবিবার আরও এক ঘণ্টা বেশি অর্থাৎ পনেরো ঘণ্টা শিথিল থাকবে। রাত নয়টার পর কারফিউ বলবৎ হবে।

    চট্টগ্রাম জেলায়ও রবিবার সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসকের স্টাফ অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমুন নবী।

  • পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হলে কারফিউ তুলে নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হলে কারফিউ তুলে নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হলে কারফিউ তুলে নেওয়া হবে। সে পর্যন্ত সবাইকে একটু অপেক্ষা করতে বলেছেন তিনি।

    শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে নিজ বাসভবনে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    আসাদুজ্জামান খান বলেন, কারফিউ শিথিল করা যায় কিনা আমরা দেখছি। পুলিশ বিজিবি, সেনাবাহিনী কাজ করছে। জনজীবন স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত একটু অপেক্ষা করতে হবে। জনগণকে ধৈর্য্য ধরতে হবে। এ বিষয়ে শনিবার (২৭ জুলাই) আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত আতে পারে বলেও জানান তিনি।

    এ সময় আন্দোলনের নামে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, দেশের এই ক্ষতির দায় কে নেবে? বিএনপি বলছে সহিংসতার মধ্যে তারা নেই। তাহলে কে করেছে? এটা জনগণের প্রশ্ন।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান এ সময় কোটা আন্দোলনের সমন্বয়কদের আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি বলেও জানান।

    তিনি বলেন, কোটা আন্দোলনকারী নেতারা নিজেরাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাদের নিরাপত্তার জন্যই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ডাকা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সারাদেশে সহিংসতার জেরে গত ১৯ জুলাই দিবাগত রাত ১২টা থেকে সেনাবাহিনী মোতায়েন করে কারফিউ জারি করে সরকার। এ সময় গত শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির পর রোববার, সোমবার ও মঙ্গলবার পর্যন্ত ৩ দিন নির্বাহী আদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়।

  • শনিবার চট্টগ্রাম নগরীতে সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল

    শনিবার চট্টগ্রাম নগরীতে সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল

    শনিবার চট্টগ্রাম নগরীতে সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ১৪ ঘণ্টা কারফিউ শিথিল করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ।

    শুক্রবার (২৬ জুলাই) সন্ধ্যায় এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) কাজী মোহাম্মদ তারেক আজিজ ।

    তিনি জানান, কারফিউ চলাকালীন সময়ে পাস ছাড়া বের হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।

  • আসামে কারফিউ উপেক্ষা করে বিক্ষোভ:পুলিশের গুলিতে নিহত ৩

    আসামে কারফিউ উপেক্ষা করে বিক্ষোভ:পুলিশের গুলিতে নিহত ৩

    ভারতের সংসদে বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে পাসের প্রতিবাদে আসামে কারফিউ উপেক্ষা করে হাজার হাজার জনতা রাস্তায় বিক্ষোভ করছে। ইতিমধ্যে পুলিশের গুলিতে তিন আন্দোলনকারী নিহত হয়েছে। আর আহত হয়েছে পাঁচজন। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

    ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের অনলাইন প্রতিবেদনে বলা হয়, আসামের রাজধানী গুয়াহাটির লালুঙ গাঁও-তে বিক্ষোভ সামাল দিতে গিয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় পুলিশের। পরে উত্তেজিত জনতাকে থামাতে গিয়ে গুলি চালাতে বাধ্য হয় পুলিশ। পাঁচজন গুলিবদ্ধ হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনজন মারা যায়।

    বিতর্কিত নাগরিকত্ব বিল সংশোধনীর প্রতিবাদে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের রাজধানী গুয়াহাটিতে বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে কারফিউ জারি করেছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু কারফিউ অমান্য করে রাস্তায় নেমেছে হাজার হাজার জনতা।

    বৃহস্পতিবার সকালে গুয়াহাটিতে কারফিউ ভেঙে রাস্তায় নেমে আসে হাজার হাজার জনতা। আসামের ছাত্র সংগঠন এএএসইউ ও কেএমএসএস রাস্তায় নেমে আসার জন্য লোকজনকে আহ্বান জানায়।

    গত সোমবার দেশটির লোকসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলটি পাস হয়। তারপর বুধবার বিলটি রাজ্যসভায়ও পাশ হয়। বিলে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করা অমুসলিমদের নাগরিকত্ব দেয়ার কথা বলা হয়েছে।

    বিল পাস হওয়ার পর পুরো রাজ্যে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে যায়। প্রতিবাদ চলতে থাকায় আসাম ও প্রতিবেশী ত্রিপুরায় সব ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়। গুয়াহাটি ও ডিব্রুগড়গামী বহু ফ্লাইট বাতিল করা হয়।

    আসামজুড়ে ব্যাপক প্রতিবাদের মুখে বৃহস্পতিবার সকালে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে আসামের জনগণকে আশ্বস্ত করে টুইট করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

    “আপনাদের অধিকার কেউ কেড়ে নিতে পারবে না,” টুইটে বলেন তিনি।

    পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৫ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়। সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘ডিব্রুগড়ের লাহোওয়ালে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। তারা পুলিশ ও প্রশাসনের সঙ্গে সহায়তা করবে। শান্তি বজায় রাখতে বাহিনী এলাকায় ফ্ল্যাগ মার্চ করবে।’

    এদিকে আন্দোলনকারীদের শান্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি উত্তর-পূর্বের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে বুঝিয়েছেন, এই বিল প্রায় গোটা উত্তর-পূর্ব ভারতে প্রযোজ্য হবে না।

    মঙ্গলবার ত্রিপুরা সরকার ৪৮ ঘণ্টার জন্য রাজ্যে মোবাইল ইন্টারনেট ও এসএমএস পরিষেবা বন্ধ করে দেয়। সেপাহিজালায় এক দু’মাসের অসুস্থ শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তা অবরোধ হলে শিশুটি মারা যায়।

    আগরতলায় বহু বিক্ষোভকারীকে স্রোগান দিতে দেখা যায়। তারা দাবি জানায়, বিলকে তাদের রাজ্যে প্রযোজ্য করলে হবে না।

    আসমের গুয়াহাটি সহ উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন জায়গার জনজীবন থমকে যায়, বিলের প্রতিবাদে উত্তর-পূর্বের ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে বনধ ডাকা হয়। মূল রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদে সামিল হন বিক্ষোভকারীরা, উত্তর-পূর্ব ফ্রন্টিয়ার রেলের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অবরোধ করার কারণে, বহু ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। বন্ধ রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যাঙ্ক, বাজার ইত্যাদি।