Tag: কারাদণ্ড

  • ইমরান-কুরেশির ১০ বছরের কারাদণ্ড

    ইমরান-কুরেশির ১০ বছরের কারাদণ্ড

    পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি। আর তার মাত্র সপ্তাহখানেক আগেই সাইফার মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশির ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দেশটির সরকারি গোপনীয়তা আইনের অধীনে একটি বিশেষ আদালত এ রায় দেন। কিন্তু কী এই সাইফার মামলা?

    পাকিস্তানে সাইফার মামলা বলতে বোঝায় রাষ্ট্রীয় গোপন বার্তা ফাঁসের মামলাকে। ২০২২ সালের এপ্রিলে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই, এর পিছনে যুক্তরাষ্ট্রের ষড়যন্ত্র রয়েছে- এমন অভিযোগ করে আসছিলেন খান। আর সেই অভিযোগের প্রমাণ দিতে গিয়েই তিনি একটি নথি প্রকাশ্যে আনেন এবং জনসভায় তা প্রদর্শনও করেন। এটি নিয়েই ইমরানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।

    গত বছরের ৫ আগস্ট তোশাখানা মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে তিন বছরের সাজা দিয়েছিলেন নিম্ন আদালত। এর পাশাপাশি ১ লাখ রুপি জরিমানাও করা হয়েছিল তাকে। বলা হয়েছিল, অনাদায়ে আরও ৬ মাস কারাগারে থাকতে হবে তাকে ও পাঁচ বছর কোনো নির্বাচন লড়তে পারবেন না তিনি।

    কিন্তু পরবর্তী সময়ে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট ইমরান খানের সাজা স্থগিত করে জামিনে মুক্তির নির্দেশ দেয়। কিন্তু তোশাখানা মামলার পরপরই দায়ের করা সাইফার মামলায় কারাগারেই থাকতে হয় তাকে। এমনকি, এই মামলার বিচারপ্রক্রিয়া চলতে থাকে কারাগারে। শেষপর্যন্ত এই মামলায় ইমরানকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হলো।

    এদিকে, অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে ইমরানের দল পাকিস্তান তেহেরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) ভাইস চেয়ারম্যান ও দেশটির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশিকেও সাইফার মামলায় অভিযুক্ত করা হয়। শাহ মাহমুদ কুরেশির বিরুদ্ধে এটিই প্রথম সাজার রায়।

    পাকিস্তানের ‘সেনাবাহিনী সমর্থিত’ প্রশাসন অভিযোগ দায়ের করেছিল যে ইমরান খান রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য রক্ষায় দায়িত্বহীনতা দেখিয়েছেন। কূটনৈতিক তারবার্তাটি ইমরান খানের হাতে তুলে দেন সাবেক মুখ্যসচিব আজম খান। পরে তারবার্তাটি কোথায় রেখেছেন, তা জিঞ্জেস করলে- ভুলে গেছেন বলে দাবি করে সেটি আর ফেরত দেননি।

    মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) রায়ের আগে বিশেষ আদালতের বিচারক আবুল হাসনাত জুলকারনাইনও ইমরান খানের কাছে সেই তারবার্তা কোথায় আছে জানতে চান। জবাবে ইমরান বলেন, আমি স্বীকারোক্তিতে আগেও বলেছি, তারবার্তা কোথায় আছে আমি জানি না। সেটি আমার কার্যালয়েই ছিল। ইমরানের এই বক্তব্যের পরেই সাজার রায় ঘোষণা করেন আদালত।

    এদিকে ইমরানের বিরুদ্ধে দেওয়া এই রায়কে জালিয়াতির বিচার বলে আখ্যায়িত করেছে ইমরান খানের দল পিটিআই। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে (পূর্বে টুইটার) পোস্ট করা এক বিবৃতিতে দলটি বলেছে, পুরো পাকিস্তান ইমরান ও কোরেশির সঙ্গে আছে। আল্লাহর রহমতে আমাদের নেতা খব তাড়াতাড়িই আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন ও আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবো।

  • ড. ইউনূসের কারাদণ্ড

    ড. ইউনূসের কারাদণ্ড

    শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে করা মামলায় শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে তাদের ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি ৫ হাজার টাকা মুচলেকায় ড. ইউনূসের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

    সোমবার (১ জানুয়ারি) ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানার আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

    এদিন বেলা ১ টা ৪০ মিনিটে ড. ইউনুস আদালতে উপস্থিত হন। এসময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, তার স্ত্রী একটিভিস্ট রেহনুমা আহমেদ, রাজনীতি-বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ নজরুল, ব্যারিস্টার সারা হোসেন। দুপুর ২ টা ১৩ মিনিটে বিচারক এজলাসে উঠেন। এরপর ২ টা ১৫ মিনিটে ইউনুসের উপস্থিতিতে আদালত ৮৪ পৃষ্ঠার রায় পড়া শুরু করেন।

    রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, আসামিপক্ষ এক নম্বর আসামির বিষয়ে প্রশংসা সূচক বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন। যেখানে তাকে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াই করা নোবেল জয়ী আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু এই আদালতে নোবেল জয়ী ইউনূসের বিচার হচ্ছে না, গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান হিসেবে বিচার হচ্ছে।

    এ মামলার অপর আসামিরা হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।

    এর আগে গত ২১ ডিসেম্বর শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের পক্ষে মামলার আইনগত বিষয়ে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়। আদালতে ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন মামলার আইনগত বিষয়ে যুক্তি উপস্থাপন করেন। ওইদিন যুক্তি উপস্থাপন অসমাপ্ত অবস্থায় পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়। গত ২৪ ডিসেম্বর যুক্তিতর্ক শেষে রায়ের জন্য ১ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।

    ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে ওই মামলা করেন। মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। গত ৬ নভেম্বর এ মামলার বাদীপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। গত ৯ নভেম্বর ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ এ মামলার চারজন আসামির ফৌজদারি কার্যবিধি ৩৪২ ধারায় আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য রাখেন।

    গত ১৬ নভেম্বর এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ তাদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করে।

    এর আগে, গত ৬ জুন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের চার সাক্ষীর জবানবন্দিও রেকর্ড করা হয়।

    ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে মামলাটি করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন বিভাগের শ্রম পরিদর্শক (সাধারণ) এস এম আরিফুজ্জামান।

    মামলার নথি অনুসারে, আইএফইডি কর্মকর্তারা ২০২১ সালের ১৬ আগস্ট ঢাকার মিরপুরে গ্রামীণ টেলিকমের অফিস পরিদর্শন করে শ্রম আইনের বেশকিছু লঙ্ঘন খুঁজে পান।

    সেই বছরের ১৯ আগস্ট গ্রামীণ টেলিকম কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠিয়ে বলা হয়, প্রতিষ্ঠানটির ৬৭ কর্মচারীকে স্থায়ী করার কথা ছিল, কিন্তু তা করা হয়নি।

    এ ছাড়া, কর্মচারীদের পার্টিসিপেশন ও কল্যাণ তহবিল এখনো গঠন করা হয়নি এবং কোম্পানির যে লভ্যাংশ শ্রমিকদের দেওয়ার কথা ছিল তার পাঁচ শতাংশও পরিশোধ করা হয়নি।

  • মানি লন্ডারিং মামলা : জি কে শামীমের ১০ বছরের কারাদণ্ড

    মানি লন্ডারিং মামলা : জি কে শামীমের ১০ বছরের কারাদণ্ড

    মানি লন্ডারিং মামলায় যুবলীগের কথিত নেতা ও আলোচিত ঠিকাদার এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমের ১০ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে বাকি ৭ আসামির প্রত্যেককে চার বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

    সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।

    অন্য সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. মোরাদ হোসেন, মো. জাহিদুল ইসলাম, মো. শহীদুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন, মো. সামসাদ হোসেন ও মো. আনিছুল ইসলাম।

    ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সাত সশস্ত্র দেহরক্ষীসহ জি কে শামীমকে তার কার্যালয় থেকে আটক করে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। তার কার্যালয় থেকে এক কোটি ৮০ লাখ টাকা, ৯ হাজার ইউএস ডলার, ৭৫২ সিঙ্গাপুরের ডলার, ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর, অস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ জব্দ করা হয়।

    এরপর জি কে শামীমের বিরুদ্ধে র‍্যাব বাদী হয়ে তিনটি মামলা করে। অস্ত্র আইনের মামলা নম্বর ২৮(০৯)১৯, মানি লন্ডারিং আইনের মামলা নম্বর ২৯(৯)১৯ ও মাদক আইনের মামলা নম্বর ৩০(৯)১৯।

    মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু সাঈদ তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ৪ আগস্ট আদালতে জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন। ২০২০ সালের ১০ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত। মামলাটিতে চার্জশিটভুক্ত ২৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।

     

  • সু চির আরও ৩ বছরের কারাদণ্ড

    সু চির আরও ৩ বছরের কারাদণ্ড

    মিয়ানমারের এক আদালতে ক্ষমতাচ্যুত নেতা অং সান সু চি ও তার সাবেক অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক শন টারনেলকে আজ ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় নাম না প্রকাশ করার শর্তে একটি সূত্র জানিয়েছে তাকে ৩ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড’ দেওয়া হয়েছে।

    গত বছরের শুরুর দিকে সামরিক বাহিনী ক্যুর মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে দেশের ক্ষমতা দখল করে। সে সময় সামরিক জান্তা সু চি ও টারনেলসহ অসংখ্য রাজনীতিবিদ, আইনপ্রণেতা, আমলা, শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার করে।

    নোবেল পুরস্কার বিজয়ী সু চি ইতোমধ্যে ভিন্ন ভিন্ন মামলায় ১৭ বছরের জেল খাটছেন। তার বিরুদ্ধে বেশিরভাগ অভিযোগই দুর্নীতি সংক্রান্ত। সু চি তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

    বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি রুদ্ধদ্বার আদালতে এই রায় ঘোষিত হয়। রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইনের আওতায় ঠিক কোন অপরাধের জন্য তাদেরকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে, তা নিশ্চিত নয়।

    বৃহস্পতিবার জান্তার মুখপাত্রর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। জান্তার দাবি, মিয়ানমারের আদালত নিরপেক্ষ এবং যারা গ্রেপ্তার হচ্ছেন, তারা যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে বিচারের সম্মুখীন হচ্ছেন।

    এন-কে

  • মানহানির মামলায় তারেক রহমানের দুই বছরের কারাদণ্ড

    মানহানির মামলায় তারেক রহমানের দুই বছরের কারাদণ্ড

    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করায় নড়াইলে এক মুক্তিযোদ্ধার করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় নড়াইল জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট-২ এর বিচারক আমাতুল মোর্শেদা এ রায় ঘোষণা করেন।
    মামলার বাদী ছিলেন কালিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ও আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী বেন্দারচর গ্রামের শাহজাহান বিশ্বাস।

    মামলা সূত্রে জানা গেছে, লন্ডনে অবস্থানরত তারেক রহমান ২০১৪ সালে ১৬ ডিসেম্বর এক সমাবেশে বঙ্গবন্ধুকে রাজাকার আখ্যা দেওয়াসহ নানা অবমাননাকর কটূক্তি করেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ সম্পর্কে অবগত হয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা শাহাজাহান এতে মর্মাহত হন এবং ওই কটূক্তির মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর হাজার কোটি টাকার মানহানি হয়েছে মর্মে বিচারের দাবিতে ২৪ ডিসেম্বর আদালতে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন।

    সেই মামলার দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় আদালত এ দণ্ডাদেশ দেন।

  • কুয়েতে সাংসদ পাপুলের ৪ বছরের কারাদণ্ড

    কুয়েতে সাংসদ পাপুলের ৪ বছরের কারাদণ্ড

    অর্থ ও মানব পাচারের মামলায় কুয়েতে আটক থাকা আলোচিত সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের ৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে সে দেশের একটি আদালত।

    বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) কুয়েতের ফৌজদারি আদালতের বিচারক আবদুল্লাহ আল ওসমান এ রায় ঘোষণা করেন।একইসঙ্গে তাকে ৫৩ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে।খবর আল-কাবাস ও আল-রাইয়ের।

    এছাড়া পাপুলের কাজে সহযোগিতা করায় কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক কর্মকর্তা মাজেন আল জাররাহসহ দেশটির দুই কর্মকর্তাকে ৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।পাশাপাশি প্রত্যেককে ১৯ লাখ কুয়েতি দিনার অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫৩ কোটি টাকা।

    লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য পাপুলকে গত বছরের ৬ জুন রাতে কুয়েতের মুশরিফ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। মারাফি কুয়েতিয়া কোম্পানির অন্যতম মালিক পাপুলের সেখানে বসবাসের অনুমতি রয়েছে।

    পাচারের শিকার পাঁচ বাংলাদেশির অভিযোগের ভিত্তিতে পাপুলের বিরুদ্ধে মানবপাচার, অর্থপাচার ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের শোষণের অভিযোগ এনেছে কুয়েতি প্রসিকিউশন। ১৭ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর এখন তাকে রাখা হয়েছে কুয়েতের কেন্দ্রীয় কারাগারে।

    কুয়েতি কর্মকর্তাদের কীভাবে কত টাকা ঘুষ দিয়েছেন, সে বিষয়ে রিমান্ডে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন পাপুল। যা প্রসিকিউটরদের বরাতে প্রকাশ করছে স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম। সেখানে নাম আসায় কুয়েতের দুই এমপির বিরুদ্ধেও পাপুলকে বেআইনি কাজে সহযোগিতা এবং অর্থপাচারে জড়িত থাকার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা হয়।

    মামলার তদন্তের সময় অভিযুক্ত হিসেবে ১৩ জনের নাম উঠে আসে। এর মধ্য থেকে চারজনকে তদন্তকালে বাদ দেয়া হয়।

    সাধারণ শ্রমিক হিসেবে কুয়েত গিয়ে বিশাল সাম্রাজ্য গড়া পাপুল ২০১৮ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তার মালিকানাধীন মারাফি কুয়েতিয়া কোম্পানি পরিচ্ছন্নতাকর্মী নেয়ার কাজ করলেও কুয়েতে অন্যান্য ব্যবসার কাজও বাগিয়েছিলেন পাপুল।

    এর আগে গালফ নিউজের খবরে বলা হয়েছিল, ‘জেনারেল ট্রেডিং অ্যান্ড কনট্রাক্টিং’ নামক লাইসেন্স ছিল পাপুলের। যার মাধ্যমে শিশুদের খেলনা থেকে শুরু করে অ্যানটিক কার্পেটের ব্যবসাও তিনি করতে পারেন। পাপুল ও তার কোম্পানির ব্যাংক হিসাব ইতোমধ্যে জব্দ করেছে কুয়েত কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশেও তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে।

    রাজনৈতিক অঙ্গনে অনেকটাই অপরিচিত শহিদ ইসলাম পাপুল ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচনে তাক লাগিয়েছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাঁড়িয়ে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের সমর্থন আদায় করে।

    মহাজোটের প্রার্থী সরে দাঁড়িয়েছিলেন পাপুলকে কেন্দ্রীয়ভাবে তার জোট সমর্থন দেয়ায়। নির্বাচনের পর আরেক চমক ছিল পাপুলের স্ত্রীর সংরক্ষিত নারী আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া।

    এর পর দেশের রাজনীতির চমক এই সংসদ সদস্য আবারও আলোচনায় আসেন গত ফেব্রুয়ারিতে কুয়েতের একটি সংবাদপত্রে বাংলাদেশি মানবপাচারকারীদের নিয়ে একটি সংবাদ প্রকাশের পর।

  • অস্ত্র মামলায় পাপিয়া-সুমন দম্পতির ২৭ বছরের কারাদণ্ড

    অস্ত্র মামলায় পাপিয়া-সুমন দম্পতির ২৭ বছরের কারাদণ্ড

    নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়া ওরফে পিউ দম্পতির বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে করা মামলায় ২৭ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

    সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ এ রায় ঘোষণা করেন।

    রায়ের একটি ধারায় পাপিয়া ও তার স্বামী সুমনের ২০ বছর ও অন্য একটি ধারায় ৭ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। তবে দুটি ধারার সাজা একসঙ্গে ভোগ করার কারণে তাদের ২০ বছরই কারাগারে থাকতে হবে বলে রায়ে উল্লেখ করেছেন বিচারক।

    দেশব্যাপী ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের সময় গত ২২ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দেশত্যাগের সময় পাপিয়াসহ চারজনকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

    গ্রেফতার অন্যরা হলেন-পাপিয়ার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমন (৩৮), সাব্বির খন্দকার (২৯) ও শেখ তায়্যিবা (২২)। তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, নগদ দুই লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ টাকার জাল মুদ্রা, ১১ হাজার ৯১ ইউএস ডলারসহ বিভিন্ন দেশের মুদ্রা জব্দ করা হয়।

    পরের দিন ২৩ ফেব্রুয়ারি দুপুরে পাপিয়ার ফার্মগেটের বাসা থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি পিস্তলের ম্যাগাজিন, ২০টি পিস্তলের গুলি, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ ও ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

    ওই ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় অস্ত্র আইনে একটি, বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি এবং বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে আরেকটি মামলা করা হয়।

    গত ২৯ জুন ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাবের উপ-পরিদর্শক আরিফুজ্জামান আদালতে তাদের বিরুদ্ধে এ চার্জশিট দাখিল করেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • অস্ত্র মামলায় প্রতারক সাহেদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

    অস্ত্র মামলায় প্রতারক সাহেদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

    ডেস্ক নিউজ : রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান এবং করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণার হোতা সাহেদ করিম ওরফে মোহাম্মদ সাহেদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে করা একটি মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

    সোমবার দুপুর ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত কে এম ইমরুল কায়েশ এ রায় ঘোষণা করেন। এই আইনের অপর ধারায় সাহেদকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। রায়ে আদালত বলেছেন, উভয় ধারা একসঙ্গে কার্যকর হবে।

    অর্থপাচার, মাদক মামলাসহ সারা দেশে সাহেদের বিরুদ্ধে অর্ধশতাধিক মামলা থাকলেও এই প্রথম তার বিরুদ্ধে কোনো মামলার রায় দিয়েছেন আদালত।

    রায় ঘোষণার আগে বেলা ১১ টার দিকে সাহেদকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। তাকে প্রথমে আদালতের গারদ খানায় রাখা হয়। পরে এজলাসে তোলা হয়। মামলায় ১৪ সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময় ১১ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।

    গত ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় অভিযান চালায় র‌্যাব। অভিযানে ভুয়া করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম উঠে আসে।

    এ ঘটনার পর পালিয়ে যান সাহেদ। ১৫ জুলাই সাহেদকে সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। পরে তাকে হেলিকপ্টারে করে সাতক্ষীরা থেকে ঢাকায় আনা হয়।

    করোনা পরীক্ষার নামে ভুয়া রিপোর্টসহ বিভিন্ন প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ১৬ জুলাই সাহেদকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। এরপর ১৯ জুলাই তাকে নিয়ে উত্তরার বাসার সামনে অভিযান চালায় ডিবি পুলিশ।

    সেখানে সাহেদের নিজস্ব সাদা প্রাইভেটকারে পাঁচ বোতল বিদেশি মদ, ১০ বোতল ফেনসিডিল, একটি পিস্তল এবং একটি গুলি উদ্ধার করা হয়। এরপর উত্তরা পশ্চিম থানায় অস্ত্র ও মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলা করা হয়।

    গোয়েন্দা পুলিশ অস্ত্র মামলায় ৩০ জুলাই আদালতে সাহেদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়। আর ২৭ আগস্ট অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে সাহেদের বিরুদ্ধে বিচার শুরু করেন আদালত।

    ২০ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ২৮ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ। মামলাটির আট কার্যদিবসে বিচারিক কার্যক্রম শেষ করা হয়।

    আদালতে সাহেদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন ১১ জন সাক্ষী। আর রাষ্ট্রপক্ষ আদালতে চেয়েছেন সাহেদের বিরুদ্ধে সবোর্চ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। রাষ্ট্রপক্ষের দাবি, সাহেদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন তারা।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব

  • ঠাকুরগাঁওয়ে ভুয়া চিকিৎসক গ্রেপ্তার তিন মাসের কারাদণ্ড

    ঠাকুরগাঁওয়ে ভুয়া চিকিৎসক গ্রেপ্তার তিন মাসের কারাদণ্ড

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ে এক ভুয়া চিকিৎসককে আটক করে তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

    ডাক্তারি না পড়েই মাত্র ২০ বছর বয়সে তিনি রাতারাতি হয়ে গেছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। চেম্বার খুলে রীতিমতো চিকিৎসা দিচ্ছিলেন জটিল সব রোগের। চমকপ্রদ ভিজিটিং কার্ড বানিয়ে প্রতারণা করছিলেন চিকিৎসা নিতে আসা গরীব-অসহায় রোগীদের। কিন্তু তার এ প্রতারণা আর বেশিদুর অগ্রসর হতে পারলো না, ধরা খেলেন ভ্রাম্যমাণ আদালতে।

    আদালতকে দেখাতে পারেননি কোন বৈধ কাগজপত্র।অবশেষে নিজ মুখে নিজের সকল দোষ স্বীকার করায় আদালত তাকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।

    চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে ঠাকুরগাঁওয়ের বড় খোচাবাড়ী হাট নামক এলাকায়। দন্ডপ্রাপ্ত চিকিৎসক মোঃ সোহাগ ইসলাম বাবু (২০) সদর উপজেলার কিসমত দৌলতপুর এলাকার মৃত-খলিলুর রহমান এর ছেলে।

    জানা যায়, বেশকিছু দিন ধরে সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের বড়খোচাবাড়ী এলাকায় বিশাল সাইনবোর্ড লাগিয়ে নিজেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দাবি করে এলাকার গরীব-অসহায় মানুষদের সাথে প্রতারণা করে আসছিলেন কথিত ডাঃ মোঃ সোহাগ ইসলাম বাবু।

    বিষয়টি জানতে পেরে শনিবার (১৮ জুলাই) সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ-আল-মামুন।

    এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের জেরার মুখে কথিত ডাক্তার বাবু নিজের সকল দোষ স্বীকার করে বলেন, তার ভিজিটিং কার্ডে উল্লেখ করা ডিপ্লোমা ডাক্তারও লেখা থাকলেও তিনি ডিপ্লোমাধারী নন। এমনকি তার উল্লেখ করা ডিগ্রিগুলো পল্লী চিকিৎসকের,তাছাড়া তিনিডিএমএফ ডিগ্রি করেন নি এবং তার নেই কোন ডিগ্রির সার্টিফিকেট।

    এসময় নির্বাহী অফিসার তার ব্যাগ চেক করলে বেড়িয়ে আসে আরও ভয়ানক তথ্য। তার ব্যাগ থেকে বের হয় রোগীর প্রেসক্রিপসনের সেট (কোন রোগ হলে কোন ওষুধ দেওয়া হবে)। সেখানে রোগের লক্ষণ বিবরণ সহ কি ঔষধ দেয়া হবে তার তালিকা লিখা রয়েছে। এই তালিকা তিনি যে ডাক্তারের কম্পাউন্ডার হিসেবে কাজ করেছেন তার করে দেওয়া এবং সে মোতাবেক তিনি রোগীদের চিকিৎসা দিতেন।

    ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ-আল-মামুন জানান, বড় ধরণের কোন অঘটন ঘটার আগেই আমরা অপরাধীকে ধরতে পেরেছি। অপরাধী তার সব দোষ স্বীকার করায় তাকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। জনস্বার্থে এ ধরণের অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/গৌতম

  • রফিকুল আমিনের ৩ বছরের কারাদণ্ড

    রফিকুল আমিনের ৩ বছরের কারাদণ্ড

    জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ১৮ কোটি ২ লাখ ২৯ হাজার টাকার হিসাব বিবরণী না দেয়ায় দুদকের করা মামলায় ডেসটিনির এমডি রফিকুল আমিনের ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।

    মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮ এর বিচারক শামীম আহাম্মদ এ রায় দেন।

    মানি লন্ডারিংয়ের দুই মামলায় ২০১২ সালের অক্টোবর থেকে কারাগারে আছেন রফিকুল আমিন।

    ২০১২ সালের ৩১ জুলাই রফিকুল আমীন ও মোহাম্মদ হোসাইনসহ ডেসটিনি গ্রুপের ২২ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর কলাবাগান থানায় দুটি মামলা করে দুদক। ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ (এমএলএম) ও ট্রি-প্ল্যানটেশন প্রকল্পের নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে তিন হাজার ২৮৫ কোটি ২৫ লাখ ৮৮ হাজার ৫২৪ টাকা আত্মসাৎ করে পাচারের অভিযোগে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা দুটি করা হয়। ওই বছরের ১১ অক্টোবর তারা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

    ২০১৬ সালের ১৬ জুন মামলা দুটির তদন্ত চলাকালে রফিকুল আমীনের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ১৮ কোটি ২ লাখ ২৯ হাজার ৩২৩ টাকার সম্পদের হিসাব চেয়ে দুদক নোটিশ দেয়। তথ্যবিবরণী জমা দেয়ার জন্য সাত দিন সময় দেয়া হয়। ওই সময়ের মধ্যে তথ্যবিবরণী জমা না দিয়ে কারাবন্দী রফিকুল আমীন সময় বাড়ানোর আবেদন করলে তাকে আরো সাতদিন সময় দেয় দুদক। এরপরও সম্পদের তথ্যবিবরণী জমা না দেয়ায় ২০১৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর রমনা থানায় এই মামলা করে দুদক।

    ২০১৭ সালের ৬ জুন রফিকুল আমীনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক। পরের বছরের ১২ মার্চ অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

  • চট্টগ্রামে নিষিদ্ধ যৌন উত্তেজক ওষুধ বিক্রির অপরাধে ১ জনের কারাদণ্ড

    চট্টগ্রামে নিষিদ্ধ যৌন উত্তেজক ওষুধ বিক্রির অপরাধে ১ জনের কারাদণ্ড

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : নিষিদ্ধ যৌন উত্তেজক ওষুধ গোডাউনে মজুদ রেখে বিক্রি করার অপরাধে দুলাল মিয়া (৬০) নামে এক ব্যাক্তিকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

    বুধবার ১৫ জানুয়ারি দুপুরে নগরীর সদরঘাট থানার কদমতলী রওশন মসজিদ লেনে দুলাল স্টোরের গুদামঘরে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ ওষুধ জব্দ করা হয় এবং ওই গুদামের মালিক দুলালকে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

    জেলা প্রসাশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওমর ফারুকের নেতৃত্বে পরিচালিত এ অভিযানে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর চট্টগ্রামের ওষুধ তত্বাবধায়ক হোসাইন মোহাম্মদ ইমরান ও র‌্যাব ৭ এর একটি টিম সহায়তা করেন।

    নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওমর ফারুক জানান, তাদের কাছে আগে থেকে তথ্য ছিলো দুলাল নামের এ ব্যাক্তি রওশন মসজিদ লেনের একটি গুদামে নিষিদ্ধ যৌন উত্তেজক ওষুধসহ বিপুল অবৈধ ওষুধ মজুদ করেছে এবং দীর্ঘদিন ধরে সে ওই গুদাম থেকে চাহিদা মতো ওষুধ নগরীর সিনেমা প্যালেস, নতুন ব্রিজ ও রেল স্টেশনসহ বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বিক্রি করে আসছে।

    এ খবরে বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার সময় র‌্যাবের সহযোগীতায় ওষুধ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে দুলালের গুদামে অভিযান চালানো হয়। এসময় প্রায় ৫ লাখ টাকা মূল্যের বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ যৌন উত্তেজক ওষুধসহ অবৈধ বিপুল পরিমাণ ওষুধ উদ্ধার করে পরে তা ধ্বংস করা হয়।

    তিনি বলেন, অবৈধ ওষুধ বিক্রি করার দায়ে দুলালকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদ- প্রদান করা হয়।

  • নুসরাত হত্যা : ওসি মোয়াজ্জেমের ৮ বছর কারাদণ্ড, সন্তুষ্ট নুসরাতের মা

    নুসরাত হত্যা : ওসি মোয়াজ্জেমের ৮ বছর কারাদণ্ড, সন্তুষ্ট নুসরাতের মা

    ২৪ ঘন্টা ডেস্ক : ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির ভিডিও ফুটেজ সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ায় আইসিটি মামলায় ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনের ৮ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে তাকে ১৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আস-শামস জগলুল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। এর আগে দুপুর ২টা ২৪ মিনিটে মামলার রায় পড়া শুরু করেন বিচারক। বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার প্রথম রায় এটি।

    বিচারক ওসি মোয়াজ্জেমকে মামলার ২৬ নম্বর ধারায় ৫ বছর কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন। এছাড়া ২৯ নম্বর ধারায় ৩ বছরের কারাদণ্ড ও ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। অর্থদণ্ডের এই টাকা ভুক্তভোগী নুসরাতের পরিবারকে দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

    এর আগে ২০ নভেম্বর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ২৮ নভেম্বর দিন ধার্য করেন বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আস-শামস জগলুল হোসেন।

    আজ বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে ওসি মোয়াজ্জেমকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালতে নেওয়া হয়। মামলাটিতে রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্কের দীর্ঘ শুনানি শেষে রায় ঘোষণা করেন বিচারক।

    নুসরাত হত্যা মামলায় ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ নিয়ে বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার প্রথম রায়ে ওসির বিরুদ্ধে শাস্তি প্রদান করায় খুশি নুসরাত জাহান রাফির মা শিরিন আখতার।

    বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) ফেনী সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেমের আট বছরের কারাদণ্ডাদেশ হওয়ায় তিনি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।

    এসময় তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, আজ রায় ঘোষণায় আমি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিচার বিভাগ, মিডিয়া এবং ব্যারিস্টার সুমনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তার প্রতিক্রিয়ায় তিনি রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

    উল্লেখ্য, গত ১৫ এপ্রিল সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ঢাকার সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেন। ওইদিন ট্রাইব্যুনাল মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেয়।

    তদন্ত শেষে গত ২৭ মে পিবিআইর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রীমা সুলতানা ট্রাইব্যুনালে ওসি মোয়াজ্জেমকে অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেন। একই দিন ট্রাইব্যুনাল প্রতিবেদন আমলে নিয়ে আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। মামলায় চলতি বছর ১৬ জুন ওসি মোয়াজ্জেম গ্রেপ্তার হন এবং ১৭ জুন ট্রাইব্যুনাল তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

    গত ১৭ জুলাই বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আস-শামস জগলুল হোসেন ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।