Tag: কারামুক্ত

  • কারামুক্ত হলেন ইভ্যালির রাসেল

    কারামুক্ত হলেন ইভ্যালির রাসেল

    গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন আলোচিত অনলাইন মার্কেট প্লেস ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা মো. রাসেল।

    সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে রাসেল কারাগার থেকে মুক্তি পান। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম।

    কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এর জেলার মো. তরিকুল ইসলাম জানান, মো. রাসেল একাধিক মামলায় কারাগারে বন্দি ছিলেন। সব মামলার জামিনের কাগজপত্র কারাগারে এসে পৌঁছালে যাচাই-বাছাই শেষে গতকাল সোমবার বিকেলে তাকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।

    উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির সিই্ও রাসেল এবং তার স্ত্রী কোম্পানির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এরপর চেক জালিয়াতি, টাকা দিয়ে পণ্য না পাওয়াসহ নানা অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে সারাদেশে অনেক মামলা হয়।

    গত বছরের ৬ এপ্রিল শামীমা নাসরিন জামিনে মুক্ত হলেও রাসেল কারাগারে ছিলেন।

  • ৩২ বছর পর কারামুক্ত ‘জল্লাদ’ শাহজাহান

    ৩২ বছর পর কারামুক্ত ‘জল্লাদ’ শাহজাহান

    ৩২ বছর সাজা ভোগের পর মুক্তি পেলেন জল্লাদ শাহজাহান ভূঁইয়া। রোববার (১৮ জুন) বেলা ১১টা ৪৬ মিনিটে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। দেশের বিভিন্ন কারাগারে ২৬ জনের ফাঁসি কার্যকর করেছেন তিনি।

    কারা সূত্রে জানা গেছে, ‘জল্লাদ’ শাহজাহানের পুরো নাম শাহজাহান ভূঁইয়া। তিনি নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ইছাখালী গ্রামের মৃত হাছেন আলীর ছেলে। ৭৩ বছর বয়সী শাহজাহান ব্যক্তিগত জীবনে অবিবাহিত। তার কয়েদি নম্বর ছিল ২৫৮৯/এ। মুক্তির আগ পর্যন্ত তিনি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান জল্লাদ ছিলেন।

    কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, ১৯৯১ সালে গ্রেপ্তার হয়ে প্রথমে মানিকগঞ্জ জেলা কারাগারে ছিলেন। সর্বশেষ তিনি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের কয়েদি ছিলেন। শাহজাহান ভূঁইয়ার মোট সাজা হয়েছিল ৪২ বছর। তার মধ্যে তিনি ১০ বছর ৫ মাস ২৮ দিন রেয়াত পেয়েছেন। প্রায় ৩২ বছরের সাজা শেষে তিনি মুক্তি পেয়েছেন।

    কিন্তু কারাগারের মধ্যে ভালো কাজ ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ফাঁসির রায় কার্যকর করতে জল্লাদের দায়িত্ব পালনের জন্য তার সাজার মেয়াদ ১০ বছর মওকুফ (রেয়াত) করা হয়। পাশাপাশি শাহজাহানের পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো না হওয়ায় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কারা কর্তৃপক্ষ তার জরিমানার ১০ হাজার টাকা পরিশোধ করেছে।

    ফলে দীর্ঘ ৩১ বছর ৬ মাস ২ দিন কারাগারের চার দেয়ালের মধ্যে বন্দি জীবন কাটানোর পর এখন তিনি মুক্ত।

    কারা সূত্র জানায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৬ ঘাতক, ৬ জন যুদ্ধাপরাধী, কুখ্যাত সন্ত্রাসী এরশাদ শিকদার, জঙ্গি নেতা বাংলাভাই, আতাউর রহমান সানী, শারমীন রীমা হত্যার আসামি মনির, ডেইজি হত্যা মামলার আসামি হাসানসহ বাংলাদেশের আলোচিত ২৬ জনের ফাঁসি কার্যকর করেছেন শাহজাহান।

    ১৯৯১ সালে মানিকগঞ্জের একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে মানিকগঞ্জ জেলা কারাগারে রাখা হয়। এরপর দেশের বিভিন্ন জেলে রাখা হয় তাকে।

    শাহজাহানের দুই মামলার তথ্য

    স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল ১৮/১৯৯২, মানিকগঞ্জ ০৩(১২)৯১, ধারা- অস্ত্র আইন ১৯(এ)। এই মামলায় শাহজাহানের ১২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানার সাজা হয়েছিল। জরিমানার অর্থ অনাদায়ে আরও ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডের রায় হয়েছিল সেই মামলায়। যা কার্যকর শুরু হয় ১৯৯১ সালের ১৭ ডিসেম্বর থেকে।

    অপর মামলাটি হলো দায়রা ৪০/৯২, মানিকগঞ্জ ২(১২)৯১, ধারা-৩৯৬ দণ্ডবিধি। এই মামলায় তার ৩০ বছরের সাজা হয়। পাশাপাশি পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ছয় মাস কারাদণ্ডের রায় হয়। দুই মামলায় তার সাজা মওকুফ (রেয়াত) হয় ১০ বছর ৫ মাস ২৮ দিন।

  • সাংবাদিক কাজল কারামুক্ত

    সাংবাদিক কাজল কারামুক্ত

    দীর্ঘদিন পর জামিনে কারামুক্ত হলেন ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আজ শুক্রবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে তিনি জামিনে মুক্ত হন। সাংবাদিক কাজলের ছেলে মনোরম পলক এ খবর নিশ্চিত করেছেন।

    পলক বলেন, ‘বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে আমার বাবা বাসায় পৌঁছেছেন। তাঁর শরীর বেশ ক্লান্ত ও অসুস্থ থাকায় তিনি এখন বিশ্রামে আছেন। তিনি সুস্থবোধ করলে তাঁর গুম হওয়া থেকে অন্যান্য বিষয়ে কথা বলা যাবে।’

    সাংবাদিক কাজলকে গত ১৭ ডিসেম্বর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দুই মামলায় জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর আগে তাঁকে শেরেবাংলা নগর থানায় করা একই ধারার মামলায় জামিন দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ ওই আদেশ দেন।

    কাজলসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে গত ৯ মার্চ রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর। এরপর ১০ ও ১১ মার্চ রাজধানীর হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর থানায় ডি‌জিটাল নিরাপত্তা আইনে কাজলের বিরুদ্ধে আরো দু‌টি মামলা হয়।

    এর মধ্যে কাজলকে গত ১৮ মার্চ রাতে অপহরণ করা হয়েছে, এমন অভিযোগে চকবাজার থানায় মামলা করেন তাঁর ছেলে মনোরম পলক।

    ঢাকা থেকে নিখোঁজের ৫৩ দিন পর গত ২ মে রাতে যশোরের বেনাপোলের ভারতীয় সীমান্ত সাদিপুর থেকে অনুপ্রবেশের দায়ে ফ‌টোসাংবাদিক ও দৈনিক পক্ষকালের সম্পাদক শফিকুল ইসলাম কাজলকে আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

    এরপর ৩ মে অনুপ্রবেশের দায়ে বিজিবির দায়ের করা মামলায় আদালতে সাংবাদিক কাজলের জামিন মঞ্জুর হলেও পরে কোতোয়ালি মডেল থানায় ৫৪ ধারায় অপর একটি মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। সেই থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন।

  • কারামুক্ত আ’লীগ নেতা দিদারুল আলম মাসুম সংবর্ধিত

    কারামুক্ত আ’লীগ নেতা দিদারুল আলম মাসুম সংবর্ধিত

    লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ এর সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ চট্টগ্রাম সরকারী সিটি কলেজ শাখার সাবেক সভাপতি দিদারুল আলম মাসুমের কারামুক্তি উপলক্ষ্যে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে।

    সুদীপ্ত বিশ্বাস হত্যা মামলায় উচ্চ আদালত থেকে অর্ন্তবর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন দিদারুল আলম মাসুম।

    বুধবার(২৯ জানুয়ারী ) কারামুক্ত হন তিনি। একইসাথে বিচার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাকে কােন ধরনের হয়রানি না করার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।

    কারামুক্তির পর চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলফটকে দিদারুল আলম মাসুমকে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা লীগের হাজার হাজার নেতা কর্মী সংবর্ধনা প্রদান করেন। এ ছাড়াও লালখান বাজার মোড়ে আয়োজিন করা হয় এক অনাড়ম্বর সংবর্ধনা। এতে মহানগর ও ওয়ার্ড নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

    উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ৬ অক্টোবর নগরের সদরঘাট দক্ষিণ নালাপাড়ায় নিজ বাসার সামনে নগর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক সুদীপ্ত বিশ্বাসকে পিটিয়ে খুন করা হয়। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মাসুমকে আসামি করা হয়েছিল।