Tag: কালুরঘাট সেতু

  • অক্টোবরেই কালুরঘাট সেতুতে যান চলাচল

    অক্টোবরেই কালুরঘাট সেতুতে যান চলাচল

    সংস্কারকাজ পর্যবেক্ষণ শেষে কালুরঘাট সেতুতে যানবাহন চলার পক্ষে ‘মত’ দিয়েছেন বুয়েট বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) বিশেষজ্ঞদল। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তিন সদস্যের ওই প্রতিনিধিদল সেতু পরিদর্শনে যান। পরে বিকেলে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের দপ্তরে বৈঠকে বসে বাকি সংস্কার কাজ শেষ করে দ্রুত খুলে দেওয়ার পরামর্শ দেন।

    এ বিষয়ে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সেতু প্রকৌশলী জিসান দত্ত বলেন, কালুরঘাট ব্রিজের সংষ্কার কাজের বিষয়ে বিশেষজ্ঞ দল সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তবে এখনো পর্যন্ত অল্প কিছু কাজ বাকি আছে। এসব কাজ এ মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে গাড়ি চলচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

    ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. মেহেদী হাসান বলেন, আজকে রেলওয়ের সাথে বুয়েটের বিশেষজ্ঞ দলের বৈঠকের কালুরঘাট নিয়ে বৈঠক হয়েছে। এখনো পর্যন্ত বিশেষজ্ঞদের এবং রেলওয়ের ফিডব্যাক আসেনি। আগামীকালের মধ্যে আশাকরি করা চলে আসবে।

    ‘এখন পর্যন্ত কালুরঘাট সেতু গাড়ি চলাচলের জন্য উপযোগী। তবে আমাদের অল্পকিছু কাজ বাকি আছে। এর মধ্যে ব্রিজ রং ও স্ট্রিট লাইট বসানোর কাজ বাকি আছে। তবে সেগুলো গাড়ি চলাচলে কোনো সমস্যা পোহাবে না।’ বলেও জানান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের এ কর্মকর্তা।

    বুয়েট বিশেষজ্ঞ টিমের প্রধান বুয়েটেরে পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. সাইফুল আমীন বলেন, ‘সেতুর কিছু কাজ বাকি আছে। আমরা কাজের ধাপ অনুযায়ী তালিকাটি বাংলাদেশ রেলওয়ের কাছে পাঠাবো। ওই কাজগুলো শেষ হলেই সড়ক যানবাহনের জন্য উন্মুক্ত ঘোষণা করা হবে।

    যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে সেতু খুলে দেওয়া না হলেও গত ৬ আগস্ট থেকে সরকার পতনের পর থেকে সেতুতে যানবাহন চলাচল করছে ইচ্ছেমতো। ফেরি বন্ধ হলে কিংবা সময়মতো না পেলে যানবাহন চালকরা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিভিন্ন সময় সেতু পার হন। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সেতুতে উঠে রেলিং ভেঙে দুর্ঘটনাও ঘটেছে কয়েকবার।

  • সংস্কার হচ্ছে কালুরঘাট সেতু, চট্টগ্রাম-দোহাজারী ট্রেন চলাচল বন্ধ

    সংস্কার হচ্ছে কালুরঘাট সেতু, চট্টগ্রাম-দোহাজারী ট্রেন চলাচল বন্ধ

    চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথের নির্মাণ কাজ আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু দ্রুতগতির ওই রেলপথের চট্টগ্রাম-দোহাজারী অংশে রয়েছে মেয়াদোত্তীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ কালুরঘাট সেতু। যার উপর দিয়ে বর্তমানে ১০ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারে ট্রেন। ওই সেতু দিয়ে যেন দ্রুত গতির ট্রেন চলতে পারে, সেজন্য বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী কালুরঘাট সেতুর সংস্কার কাজ শুরু হতে যাচ্ছে।

    বাংলাদেশ রেলওয়ের (পূর্ব) প্রধান প্রকৌশলী আবু জাফর মিয়া জানিয়েছেন, আগামী আগস্ট মাসের এক তারিখ থেকে এই সেতুর সংস্কার কাজ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এতে করে সেতুর উপর দিয়ে ৩ মাস পর্যন্ত ট্রেন ও সব ধরনের গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকবে।

    তিনি বলেন, আমরা সেতুটি ৩ মাসের জন্য বন্ধ রাখার নোটিশ দিয়েছি। তবে আমরা আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে এটি খুলে দেওয়ার চেষ্টা করব। সেতুটি মেরামত করে চালু না হওয়া পর্যন্ত চট্টগ্রাম থেকে দোহাজারী পর্যন্ত রেল চলাচল বন্ধ থাকবে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ ইতোমধ্যে কর্ণফুলীতে ফেরি চলাচলের উদ্যোগ নিয়েছে। সেতুটি মেরামতের জন্য ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডকে ঠিকাদার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

    জানা গেছে, আগামী সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে বা অক্টোবরের শুরুতে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নতুন রেল পরিষেবা চালু করতে যাচ্ছে রেলওয়ে। এ কারণে সেতুটি মেরামত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। বর্তমানে সেতুটি ঢাকা ও কক্সবাজারের মধ্যে রেল চলাচলের জন্য ব্যবহৃত ভারী লোকোমোটিভের বোঝা বহন করতে সক্ষম নয়। সেতুটি সংস্কার হলে এর উপর দিয়ে ৫০-৬০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলতে পারবে।

    এদিকে সেতু দিয়ে যেহেতু ট্রেনের পাশাপাশি বোয়ালখালী ও পটিয়াগামী গাড়ি চলাচল করে, সেহেতু ওই অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হবে। এজন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্ণফুলী নদীর কালুরঘাটে যানবাহন পারাপারের জন্য ৩টি ফেরি চালু করতে যাচ্ছে। এখানে দুটি ফেরি সার্বক্ষণিক চলাচল করবে এবং অন্যটি অতিরিক্ত হিসেবে থাকবে। এই পথে ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপারের জন্য টোল দিতে হবে। ফেরির টোল হারও ইতোমধ্যে অনুমোদন দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

    সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) চট্টগ্রাম অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ জাহেদ হোসেন জানান, কালুরঘাট সেতুতে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হলে তখন ফেরি দিয়ে গাড়ি চলাচল শুরু হবে।

    অনুমোদিত ফেরির টোল হারে দেখা গেছে, রিকশা, ভ্যান, বাইসাইকেল ও ঠেলাগাড়ির জন্য ৫ টাকা, মোটরসাইকেলের জন্য ১০ টাকা, ব্যাটারিচালিত তিন ও চার চাকার গাড়ির জন্য ২৫ টাকা, ব্যক্তিগত গাড়ি (প্রাইভেট কার) ৫৫ টাকা, মাইক্রোবাস ও পিকআপ ৯০ টাকা, মিনিবাস ১১৫ টাকা, কৃষিকাজে ব্যবহৃত যানবাহনের (পাওয়ার টিলার, ট্রাক্টর) জন্য ১৩৫ টাকা, ছোট ট্রাক ১৭০ টাকা, বড় বাস ২০৫ টাকা, মাঝারি ট্রাক ২২৫ টাকা, ভারী ট্রাক বা কাভার্ড ভ্যানের জন্য ৪৫০ টাকা এবং ট্রেইলারের জন্য ৫৬৫ টাকা টোল প্রদান করতে হবে।

    বাংলাদেশ রেলওয়ের তথ্য মতে, বর্তমানে বেশ নাজুক অবস্থায় রয়েছে চট্টগ্রাম-দোহাজারী রেলপথ। ওই পথে বর্তমানে তিনটি ট্রেন চলাচল করত। এর মধ্যে দুটি যাত্রীবাহী ট্রেন ও একটি তেলের ট্যাংকার। রেলপথ অবকাঠামো দুর্বলতার কারণে ওই পথে চলাচল করা ট্রেনগুলো প্রতি ঘণ্টায় গড়ে ৪৮ কিলোমিটার বেগে চলতে পারে। যদিও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথে যেসব টুরিস্ট ট্রেন চালানোর কথা ভাবা হচ্ছে সেগুলোর পরিচালন গতি নির্ধারণ করা হয়েছে ব্রড গেজ ট্রেনের ক্ষেত্রে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার এবং মিটার গেজ ট্রেনের ক্ষেত্রে ৮০ কিলোমিটার।

  • কালুরঘাটে নতুন সেতু হবে ২০২৮ সালে : রেলসচিব

    কালুরঘাটে নতুন সেতু হবে ২০২৮ সালে : রেলসচিব

    রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোঃ হুমায়ুন কবীর বলেছেন, জুন মাসে কালুরঘাট সেতুর সংস্কার কাজ শুরু হবে। পুরো সেতুর সংস্কার শেষ করতে সময় লাগবে ছয় মাস। তবে সেতুর মূল রেল লাইনের সংস্কার কাজ তিন মাসের মধ্যে শেষ করা হবে। সংস্কার কাজ চলাকালীন তিন মাস চট্টগ্রাম-দোহাজারী রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। এসময়ে সেতুর ওপর যান চলাচলও বন্ধ থাকবে। সেতুর বিকল্প হিসেবে যাতায়াতের জন্য ফেরি চালু করা হবে। সেতুতে যান চলাচল বন্ধ থাকলে মানুষের সাময়িক অসুবিধা হবে। তবে সংস্কার কাজ হয়ে গেলে সেই কষ্ট আর থাকবে না। ২০২৮ সালে নতুন সেতু নির্মাণ হলে দুর্ভোগ দূর হয়ে যাবে।

    আজ শনিবার (৬ মে) সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    তিনি বলেন, বর্তমান সরকার রেলপথের উন্নয়নে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এর অংশ হিসেবে দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন হচ্ছে। সেপ্টেম্বরে কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালু হবে। নতুন রেলপথ দিয়ে ১২০ থেকে ১৩০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলাচল করতে পারবে। মানুষ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে দেখতে পর্যটন শহরে পৌঁছে যাবেন।

    মতবিনিময় সভায় কালুরঘাট সেতুর সংস্কার কাজ নিয়ে তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন করেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আবু জাফর মিঞা। তিনি বলেন, কালুরঘাট রেল সেতুর অবস্থা এত খারাপ, সংস্কার ছাড়া কক্সবাজার পর্যন্ত ভারি ইঞ্জিনের ট্রেন নেওয়া সম্ভব নয়। বর্তমানে এই সেতুতে ট্রেনের গতি ১০ কিলোমিটার। সংস্কারের পর ৫০-৬০ কিলোমিটার হবে। বুয়েট পরামর্শক দলের পরামর্শে সেতু সংস্কার করা হবে। ইতিমধ্যে ঠিকাদার নিয়োগের দরপত্র বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। ২০ জুন সংস্কার কাজ শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে। সেপ্টেম্বরে মূল সংস্কার কাজ শেষ হবে। সংস্কার কাজ চলাকালে রেল সেতুতে মানুষের হেঁটে পার হওয়ার জন্য ওয়াকওয়ে রাখা হবে।

    সভায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) প্রকৌশলী রোকন উদ্দিন খালেদ চৌধুরী বলেন, সেতুর বিকল্প হিসেবে নদীতে ফেরি সার্ভিস চালু করা হবে। এজন্য দুটি ফেরি রাখা হয়েছে। এর মধ্যে একটি ফেরি রাখা হয়েছে বিকল্প হিসেবে।
    এসময় বোয়ালখালী পৌরসভার চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম দুটি ফেরির পরিবর্তে চারটি ফেরি চালুর পরামর্শ দেন। তাঁকে সমর্থন করে বক্তব্য দেন বোয়ালখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম।

    চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সঞ্চালনায় সভায় রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, সিএমপি’র অতিরিক্ত কমিশনার আ স ম মাহতাব উদ্দিন, বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক আবিদুর রহমানসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

  • কালুরঘাট সেতুর উচ্চতা প্রতিবন্ধকে ধাক্কা খেয়ে আহত যুবক

    কালুরঘাট সেতুর উচ্চতা প্রতিবন্ধকে ধাক্কা খেয়ে আহত যুবক

    কালুরঘাট সেতুর উচ্চতা প্রতিবন্ধকে ধাক্কা খেয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন মো.দৌলত নামের একযুবক। তিনি মিনি ট্রাকের হেলপার।

    সোমবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে ৪টার দিকে সেতুর পূর্ব প্রান্তে এ দূর্ঘটনা ঘটেছে।

    দৌলত ফটিকছড়ি উপজেলার কাঞ্চন নগর এলাকার মো.মফজল আহমদের ছেলে।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নগরী থেকে সেতু পার হয়ে আসা খালি ট্রাকে দাঁড়িয়ে ছিলেন দৌলত। পূর্বপ্রান্তে উচ্চতা প্রতিবন্ধকে ধাক্কা খেয়ে তিনি ট্রাকে পড়ে যান। গুরুতর আহত অবস্থায় উপজেলা হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়।

    উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. তাসলিম জাহান শোভা বলেন, গুরুতর আহত ওই যুবকের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।

    এর আগে গত ২৯ মার্চ সকাল ৮টার দিকে কালুরঘাট সেতুর পূর্ব প্রান্তের উচ্চতা প্রতিবন্ধকে ধাক্কা খেয়ে আহত হন শেখ সাদি (১৮) নামের এক যাত্রী। তিনি টেম্পুর পেছনে দাঁড়িয়ে নগরীর নিজ কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। গত ১৬ মার্চ সন্ধ্যা ৭টার দিকে ওই একই প্রতিবন্ধকে ধাক্কা খেয়ে পিকআপের শিশুসহ তিনযাত্রী আহত হয়েছিলেন।

  • কালুরঘাট সেতু মেরামতের জন্য দরপত্র আহ্বান মার্চে

    কালুরঘাট সেতু মেরামতের জন্য দরপত্র আহ্বান মার্চে

    চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর ওপর ১৯৩১ সালে নির্মিত কালুরঘাট সেতুতে অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে যানবাহন। নতুন সেতুর কার্যক্রম কিছুটা এগোলেও নকশা জটিলতায় থমকে আছে। দোহাজারী-কক্সবাজার রেল প্রকল্পের কাজ ইতিমধ্যে ৮০ শতাংশেরও বেশি শেষ হয়েছে। প্রায় ৭০ কিলোমিটারেরও বেশি রেললাইন এখন দৃশ্যমান। চলতি বছরের শেষের দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে রেল চালু করার কথা রয়েছে। ফলে জীর্ণ সেতুটিই এখন ভরসা।

    ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার পর্যন্ত ট্রেন চলাচলের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি কীভাবে সংস্কার ও ব্যবহার উপযোগী করা যায়, সে জন্য বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কাছে পরামর্শ চেয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। বুয়েট সেতুর ওপর রেল চলাচলের জন্য সার্ভেও করছে।

    বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, `পরামর্শক দলের স্টাডি প্রায় শেষ পর্যায়ে। তারা প্রতিবেদন দিলেই সেই অনুসারে আগামী মার্চে দরপত্র আহ্বান করা হবে। কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচলের জন্য এটি মেরামত করা জরুরি।’

    এর আগে গত বছরের ২২ এপ্রিল রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি কালুরঘাট সেতু পরির্দশনে পর সাংবাদিকদের বলেছিলেন, বিদ্যমান সেতুটি বুয়েটের পরামর্শে মেরামতের পর আরও শক্তিশালী হবে এবং মেরামতের পর কালুরঘাট সেতু দিয়ে কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচল করতে পারবে। তবে সেতু পার হওয়ার সময় ট্রেনের গতি কম থাকবে।

    গত ১৮ জানুয়ারি রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন জানান, চলতি বছরের জুন-জুলাইয়ের মধ্যে চট্টগ্রাম-দোহাজারী-কক্সবাজার রেল যোগাযোগ প্রকল্পের কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

    রেলওয়ের প্রকৌশল বিভাগের তথ্যমতে, কালুরঘাট সেতুতে ১০ টনের বেশি লোড নেওয়া সম্ভব নয়। কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হলে সেতুতে সর্বোচ্চ লোড ১২ থেকে ১৫ টন পর্যন্ত হতে পারে। যেখানে মিটারগেজ ট্রেন ধীরগতিতে চালানো হলেও, ব্রডগেজ ট্রেন চালানো সম্ভব নয়।

    ২০২১ সালের অক্টোবরে রেলওয়ের প্রকৌশল বিভাগের আমন্ত্রণে বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ও পর্যবেক্ষক দলের প্রধান ড. এ এফ এম সাইফুল আমিন, অধ্যাপক ড. খান মাহমুদ আমানত ও ড. আব্দুল জব্বার খান কালুরঘাট সেতু পরিদর্শন করেন। পরে একই বছরের ডিসেম্বরে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (সেতু) আহসান জাবিরের কাছে পরিদর্শনের প্রাথমিক প্রতিবেদন জমা দেন তারা।

    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী ৭ বছরের মধ্যে যেহেতু নতুন সেতু নির্মাণ সম্ভব নয়, তাই পুরনো এই সেতু দিয়ে কক্সবাজারের ট্রেন নিতে হলে সেতুটিকে সেই উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। পরিদর্শনের সময় জানালিহাট অংশে অ্যাপ্রোচ রোডের সুরক্ষা দেয়ালে ফাটলসহ বড় ধরনের ৬টি ত্রুটি পেয়েছে দলটি।

    ২৪ঘণ্টা/জেআর

  • কালুরঘাট সেতুতে লাইনচ্যুত গার্ড ব্রেক ৩ঘণ্টা পর উদ্ধার, স্বাভাবিক যান চলাচল

    কালুরঘাট সেতুতে লাইনচ্যুত গার্ড ব্রেক ৩ঘণ্টা পর উদ্ধার, স্বাভাবিক যান চলাচল

    বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতুর মাঝে লাইনচ্যুত তেলবাহী ট্রেনের গার্ড ব্রেকটি সরানো পর স্বাভাবিক হয়েছে যানচলাচল। এতে প্রায় সাড়ে তিনঘণ্টা পর দুইপাড়ের আটকে পড়া যানবাহনের যাত্রীদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে।

    সোমবার (২১ নভেম্বর) রাতে পৌণে ৯ টার দিকে উদ্ধারকারী ক্রেন লাইনচ্যুত গার্ড ব্রেকটি সরিয়ে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন গোমদণ্ডী রেলওয়ে ষ্টেশন মাস্টার অনুপম দে।

    এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে সেতুতে লাইনচ্যুত হয় ট্রেনের গার্ড ব্রেকটি। ফলে একমুখী সেতু দিয়ে গাড়ি পারাপার বন্ধ হয়ে যায়। এসময় কর্ণফুলী নদীর দুই পাড়ে আটকা পড়ে শতশত যানবাহন। ভোগান্তিতে যাত্রীরা। অনেক পায়ে হেঁটে সেতু পারাপার করেন।

    রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দোহাজারী পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টে ফার্নেস তেল নিয়ে গিয়েছিলো। সেখান থেকে চট্টগ্রাম ফেরার পথে গার্ড ব্রেক লাইনচ্যুত হয়। লাইনচ্যুত গার্ড ব্রেকটি রেখে ট্রেন অন্যান্য বগি নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এর সাড়ে তিনঘণ্টা পর রাত পৌণে ৯টার দিকে গার্ড ব্রেক উদ্ধার করে রেলওয়ে।

  • জাতীয় স্বার্থে কালুরঘাটে নতুন সেতু অবিলম্বে বাস্তবায়ন করতে হবে-  ব্যারিস্টার মনোয়ার

    জাতীয় স্বার্থে কালুরঘাটে নতুন সেতু অবিলম্বে বাস্তবায়ন করতে হবে-  ব্যারিস্টার মনোয়ার

    চট্টগ্রাম কর্ণফুলীতে প্রস্তাবিত কালুরঘাট নতুন সেতু অবিলম্বে বাস্তবায়ন জাতীয় স্বার্থে জরুরি। কিন্তু রহৎস্যজনক কারণে এ সেতু নির্মাণে নিয়ে গড়িমসি ও দীর্ঘসূত্রিতা চলছে প্রায় দশ বছর যাবত। সার্বিক মূল্যস্ফীতি কারনে যেন এ জনগুরুত্বপূর্ণ সেতু প্রকল্পটি থেকে সরে না আসা হয় সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের চেয়ারম্যান ব্যরিস্টার মনোয়ার হোসেন।

    অনতিবিলম্ব জাতীয় স্বার্থে কালুরঘাটে নতুন সেতু নির্মাণের দবিতে চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামে উদ্যোগে নগরীর আন্দরকিল্লা চত্বরে ৯ নভেম্বর ( বুধবার ) দুপুর ২ টা হতে ৫ টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত গণ-অনশনে গণ অনশন অনুষ্ঠিত হয় ।

    গণ অনশন চলাকালে সমাবেশে চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের চেয়ারম্যান ব্যরিস্টার মনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে ও সংগঠনের মহাসচিব মো কামাল উদ্দীনের পরিচালনায় দলমত নির্বিশেষে পেশাজীবী, রাজনৈতিক, সাংবাদিক, সামাজিক ও ক্রীড়া সংগঠনের প্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অংশ গ্রহণে করেন।

    কর্ণফুলী নদীর ওপর জরাজীর্ণ কালুরঘাট সেতুর কারণে ভোগান্তিতে লাখো মানুষ। সরকারের পক্ষ হতে নতুন করে একটি সেতু নির্মাণের কথা বলা হলেও তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। ব্রিটিশ আমলে নির্মিত হয় কালুরঘাট সেতু। শুরুতে এটি রেল সেতু হিসেবে ব্যবহার হতো। পরে তিরিশের দশকে সেতুটি দিয়ে ট্রেনের পাশাপাশি যানবাহন চলাচল শুরু করে। এরই মধ্যে সেতুটি বয়স ৯০ বছর পার হয়ে গেছে। ভারি যানবাহন চললেই দুলে ওঠে। ট্রেন চলাচলের সময় সেতুটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। মাঝে মাঝে সেতুতে যানবাহন আটকে গেলে চরম দুরবস্থায় পড়েন সেতুর উভয় পাড়ের যাত্রীরা। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার রাতে সেতুর ওপর লাইনচ্যুত হয় তেলবাহী ওয়াগন। এতে অন্তত সাত থেকে আট ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হয়। সেতুর চরম দুরবস্থা থেকে দ্রুত মুক্তি চান বক্তরা।

    ব্যরিস্টার মনোয়ার বলেন কালুরঘাট সেতুর পশ্চিম পাশ তথা শহর এলাকা থেকে বোয়ালখালী সদর গোমদণ্ডির দূরত্ব মাত্র তিন কিলোমিটার। নদীর এক পাড় থেকে অন্য পাড়ে যেতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যাত্রীদের অপেক্ষা করতে হয়। অথচ যানজট ছাড়া মাত্র ১০ মিনিটে এ ৩ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করা যায়। তাছাড়া ২০০১ সালে সেতুটিকে মেয়াদোত্তীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়। সেতুটিতে বিভিন্ন স্থানে ছোট বড় গর্ত, যেখানে নিয়মিত বিভিন্ন যানবাহন ও ট্রাক আটকে পড়ে। অবস্থা এত ভয়াবহ যে বিভিন্ন গর্তের মধ্য দিয়ে নদীর পানি দৃশ্যমান। ঝুঁকি মাথায় নিয়ে দৈনিক প্রায় ১ লাখের অধিক লোক বিভিন্ন যানবাহন ও কয়েকজোড়া ট্রেনে সেতু অতিক্রম করছে। বোয়ালখালী, পূর্ব পটিয়া, দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া, শহরের চান্দগাঁও ও মোহরা এলাকার প্রায় ২০ লাখ মানুষ এই সেতুর ওপর নির্ভরশীল।

    বক্তব্য রাখেন বোয়ালখালী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো সেলিম, নাগরিক ফোরামের ভাইস চেয়ারম্যান শিল্পী শাহরীয়ার খালেদ, কাজী গোলাফ রহমান, কালুরঘাট সেতু বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবদুল মোমিন, কালের কন্ঠের চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান মুস্তফা নঈম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজল আহমেদ, ১৪ দলীয় মহাজোট নেতা ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি(ন্যাপ)’র মিটুল দাশগুপ্ত, নাগরিক ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শেখ জাহেদ, অধক্ষ্য ফরিদ আহমদ, দক্ষিণ জেলা যুব ইউনিয়নের সভাপতি মিলন বড়ুয়া, বন্দর শ্রমিক নেতা মো ফোরকান, এডভোকেট মাসুদুল আলম বাবলু, গ্রেটার চট্টগ্রাম ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি মির্জা ইমতিয়াজ শাওন, যুবনেতা সাজ্জাদ, সংগঠক নোমানুল্লাহ বাহার, বোয়ালখালী প্রেস ক্লাব এর নির্বাহী সদস্য আলমগীর রানা প্রমুখ ।

  • সেতু থেকে নদীতে লাফিয়ে পড়েও প্রাণ রক্ষা তরুণীর

    সেতু থেকে নদীতে লাফিয়ে পড়েও প্রাণ রক্ষা তরুণীর

    বোয়ালখালী প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতু থেকে নদীতে লাফিয়ে পড়েন রোকছা (৩৫) নামের এক তরুণী। নদীর কুলে থাকা মাঝিরা তাকে উদ্ধার করলে প্রাণে বেঁচে যান তিনি।

    শনিবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে কালুরঘাট সেতুর মাঝখান নদীতে লাফিয়ে পড়েছিলেন তিনি। তবে ভাগ্যক্রমে তা দেখে ফেলেছিলেন নৌকার মাঝিরা। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করেন তারা।

    সেতুর রেলওয়ে গেইটম্যান মো. সাইফুল জানান, সেতুর মাঝখান থেকে এক মহিলা নদীতে ঝাঁপ দিলে তাকে নদীতে চলাচলরত একটি নৌকা উদ্ধার করেন।

    সংজ্ঞাহীন অবস্থায় রোকছাকে উদ্ধার উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারি কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার সঞ্চয় সেন।

    তবে চেতনা ফিরে আসায় রোকছা বোনের বাড়িতে চলে গেছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালে নিয়ে আসা মো. তারেক নামের এক ব্যক্তি। তিনি রোকছার বরাত দিয়ে বলেন, স্বামী আরেকটি বিয়ে করায় রোকছা নদীতে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যার চেষ্ঠা করেছিলো। তার স্বামীর বাড়ি উপজেলার পোপাদিয়া ইউনিয়নের সৈয়দনগর গ্রামে।

  • কালুরঘাটের যানজট নিরসনে নদীতে চালু হবে ফেরি- সড়ক পরিবহন সচিব

    কালুরঘাটের যানজট নিরসনে নদীতে চালু হবে ফেরি- সড়ক পরিবহন সচিব

    বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: কালুরঘাটে যানজট নিরসনে কর্ণফুলী নদীতে ফেরি চালুর জন্য সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে স্থান পরিদর্শন করেছেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী।

    তিনি শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে কালুরঘাট সেতুর পশ্চিম পাড় পরিদর্শন করেন।

    এ সময় তিনি বলেন, ‘কালুরঘাটে যানজট নিরসনসহ ভারী যানবাহন পারাপারের জন্য নদীতে ফেরি চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই লক্ষ্যে আগামী এক মাসের মধ্যে ফেরির কাজ শুরু হবে।

    পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন, বোয়ালখালী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল আলম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম সেলিম, আওয়ামী লীগ নেতা বোরহান উদ্দিন এমরান, মো. নুরুল আমিন চৌধুরী, রেজাউল করিম বাবুল, শাহাদাত হোসেন, পৌর মেয়র জহুরুল ইসলাম জহুর ও পৌর প্যানেল মেয়র তারেকুল ইসলাম তারেক।

    ২৪ঘণ্টা/এনআর

  • ৫ ঘণ্টা পর কালুরঘাট সেতুতে যানচলাচল শুরু

    ৫ ঘণ্টা পর কালুরঘাট সেতুতে যানচলাচল শুরু

    বোয়ালখালী প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতুতে ৫ ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

    শুক্রবার (২৭ মে) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উদ্ধারকারী ক্রেন সেতুতে লাইনচ্যুত ওয়াগন ট্রেনের গার্ড ব্রেকটি সরিয়ে নিলে যানচলাচল শুরু হয়।

    এর আগে রাত সাড়ে ৮টার দিকে নগরগামী ওয়াগন ট্রেনের গার্ড ব্রেক সেতুতে লাইনচ্যুত হয়। এতে সেতুতে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সেতুর দুই প্রান্তে আটকা পড়ে শতশত যানবাহন। ফলে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী সাধারণ।

    এসময় অনেকে সেতু দিয়ে পায়ে হেঁটে ও নৌকা যোগে কর্ণফুলী নদী পাড়াপাড় হন।

    রেলওয়ের এক কর্মচারী জানান, নগরমুখী ওয়াগণ ট্রেনের গার্ড ব্রেকটি লাইনচ্যুত হয়ে সেতুতে আটকা পড়েছিলো। নগরীর পাহাড়তলী থেকে আসা উদ্ধারকারী ক্রেন লাইনচ্যুত গার্ড ব্রেকটি সরিয়ে নিলে যানচলাচল শুরু হয়।

  • কালুরঘাট সেতুতে ওয়াগন ট্রেনের বগি লাইন চ্যুত, যানচলাচল বন্ধ

    কালুরঘাট সেতুতে ওয়াগন ট্রেনের বগি লাইন চ্যুত, যানচলাচল বন্ধ

    বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতুতে ওয়াগন ট্রেন লাইন চ্যুত হওয়ায় যানবাহন পারাপার বন্ধ হয়ে গেছে। এতে সেতুপারাকারী জন সাধারণ দুর্ভোগে পড়েছেন।

    শুক্রবার (২৭ মে) দিবাগত রাত সাড়ে ৮টার দিকে নগরগামী ওয়াগন ট্রেনের একটি বগি সেতু মাঝখানে লাইন চ্যুত হয়।

    তবে দূর্ঘটনা কবলিত বগিটি সেতুতে রেখে ইঞ্জিনসহ অন্যান্য বগিগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

    প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিক দেবাশীষ বড়ুয়া রাজু জানান, নগরমুখী ওয়াগণ ট্রেনের শেষ বগিটি সেতু ঠিক মাঝখানে লাইন চ্যুত হয়েছে। ফলে সেতুতে যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। সেতুর দু’প্রান্তে শতশত যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।

    এঘটনায় অনেকে নদী দিয়ে নৌকা ও সেতু হেঁটে পারাপার করছেন বলে জানিয়েছেন নগরগামী বোয়ালখালী বাসিন্দা শ্রীচরণ বিশ্বাস।

    চট্টগ্রাম-দোহাজারী এ রুটে দোহাজারী পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্ট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ফার্নেস তেলবাহী ওয়াগন ট্রেন চলাচল করে। সেটি আজ বিকেলে দোহাজারী পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টের জন্য ফার্নেস তেল নিয়ে যায় এবং নগরে ফেরার পথে এ দূর্ঘটনা ঘটে।

    এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে আজ শুক্রবার ভোর ৬টা পর্যন্ত সেতু বন্ধ রেখে সেতুটি সংস্কার করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার বিকেল ৫টায় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড.মো.হুমায়ুন কবীর সেতুটি পরিদর্শন করেন।

  • কালুরঘাটে নতুন সেতুর ফান্ডিং চলতি বছরের চূড়ান্ত করতে চাইঃ রেলওয়ে সচিব

    কালুরঘাটে নতুন সেতুর ফান্ডিং চলতি বছরের চূড়ান্ত করতে চাইঃ রেলওয়ে সচিব

    বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড.মো.হুমায়ুন কবীর বলেছেন, ‘কর্ণফুলী নদীর ওপর নতুন সেতু নির্মাণে ফান্ডিংয়ের কাজ এই বছরের মধ্যে চূড়ান্ত করতে চাই রেলওয়ে। আগামী বছরের শুরুতে নতুন সেতুর নির্মাণ কাজ যাতে শুরু করা যায়।’

    শুক্রবার (২৭ মে) বিকেল ৫টায় তিনি কালুরঘাট সেতু পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

    এ সময় তিনি জানান, ‘কালুরঘাট সেতু সংস্কারের জন্য বুয়েটের সাথে যে চুক্তির কথা রয়েছে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তা চূড়ান্ত করার আগে বুয়েটের শর্তগুলো যাচাই করে দেখা হচ্ছে।’

    সচিব আরো বলেন, ‘দোহাজারী-কক্সবাজার ঘুমধুম পর্যন্ত নির্মানাধীন রেল লাইন প্রকল্পের কাজ ৭০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী বছরের জুন মাসকে লক্ষ্য রেখেই কাজ চলছে। তাই নতুন সেতু না হওয়া পর্যন্ত টেম্পোরায়িভাবে কালুরঘাট সেতু সংস্কারের পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।’

    বিট্রিশ আমলে নির্মিত মেয়াদ উত্তীর্ণ স্টিল কাঠোমোর কালুরঘাট সেতুটি বার বার সংস্কার ও তালিজোড়া দিয়ে টিকিয়ে রাখা হয়েছে। এ সেতু দিয়ে চট্টগ্রাম-দোহাজারী রুটে ট্রেন ও যানবাহন পারাপার হয়।

    এ সেতুটিকে ২০১১ সালে চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) এর একদল গবেষক ঝুকিপুর্ণ ঘোষণা করেন। সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় নতুন সড়ক কাম রেল সেতুর দাবি জানায় চট্টগ্রামবাসী। দাবির প্রেক্ষিতে নতুন সেতু নির্মাণের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

    এ সেতু নির্মাণের আগেই কালুরঘাট সেতু দিয়ে ঢাকা থেকে কক্সবাজার রেল চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এ মহাযজ্ঞ বাস্তবায়নে দ্রুত কাজ করছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

    গত ২৩ মে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন রেল ভবনে বঙ্গবন্ধু রেলসেতুতে সিগন্যালিং ও টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার চুক্তি সই অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন ‘আগামী বছরের জুন মাসেই ঢাকা থেকে সাগরকন্যা কক্সবাজারে যাত্রীরা ট্রেনে করে যেতে পারবেন।’

    এদিকে সচিব ড.মো. হুমায়ুন কবীর সেতু পরিদর্শন করার কথা থাকায় বৃহস্পতিবার রাত ১০ থেকে শুক্রবার ভোর ৬টা পর্যন্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ রেখে কালুরঘাট সেতুর সংস্কার কাজ করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। হঠাৎ সেতু বন্ধের ঘোষণায় দক্ষিণ চট্টগ্রামের যাত্রী সাধারণ দূর্ভোগে পড়েন।