Tag: কাসেম সোলাইমানি

  • সোলেইমানির জানাজায় পদদলিত হয়ে নিহত ৩৫

    সোলেইমানির জানাজায় পদদলিত হয়ে নিহত ৩৫

    মার্কিন হামলায় নিহত ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর অভিজাত শাখা কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলাইমানির জানাজা পরবর্তী শোক মিছিলে পদদলিত হয়ে তার নিজশহর কেরমানে ৩৫ ইরানির মৃত্যু হয়েছে।

    দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বলছে, তার দাফনানুষ্ঠানে লাখ লাখ শোকার্ত মানুষের ঢল নেমেছে। এতে আরও ৪৫জন আহত হয়েছেন।

    ঘটনাস্থলের ভিডিওতে দেখা গেছে, শোকার্ত লোকজন অবসন্ন হয়ে ফ্লোরে পড়ে আছেন। অন্যরা তাদের বুকে ঘষামাজা করছেন। মাটিতে পড়ে থাকা কারো কারো মুখ জ্যাকেট ও কাপড় দিয়ে ঢাকা অবস্থায় দেখা গেছে। ব্রিটিশ গণমাধ্যম গার্ডিয়ানের খবরে এমন তথ্য জানা গেছে।

    দেশটির জরুরি সেবা বিভাগের প্রধান পীর হোসেন কলিভান্দ বলেন, শোকমিছিলে অংশ নিয়ে বেশ কিছু লোক আহত হয়েছেন। অনেকে প্রাণ হারিয়েছেন।

    কেরমানে এএফপির প্রতিনিধি বলেন, দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় শহরের রাস্তায় লোকে লোকারণ্য। নিহত জেনারেলের প্রতি শোক জানাতে তারা মিছিল নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে এসেছেন।

    শোকমিছিলের পদদলিত হয়ে এই হতাহতের আগে বিপ্লবী গার্ডসের কমান্ডার মেজর জেনারেল হোসাইন সালামি বলেন, শহীদ সোলাইমানি ছিলেন খুব ক্ষমতাবান। এখন তিনি মৃত। শত্রুরা অন্যায়ভাবে তাকে হত্যা করেছে।

    মঙ্গলবার সকাল থেকেই সোলাইমানির নিজ শহরে হাজার হাজার শোকার্ত মানুষকে রাস্তায় বেরিয়ে আসতে দেখা গেছে। এছাড়া তেহরান, কুয়াম, মাশহাদ ও আহভাজ শহরেও মানুষের ঢল নেমেছে।

    এর আগে সোমাবার তার জানাজা উপলক্ষে রাজধানী তেহরানের সড়কগুলো লোকে লোকারণ্য হয়ে উঠেছিল। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে শুক্রবার ভোরে বাগদাদে ড্রোন হামলা চালিয়ে সোলাইমানিকে হত্যা করে মার্কিন বাহিনী।

    রোববার সোলেমানির মৃতদেহ ইরাক থেকে ইরানে নিয়ে যাওয়া হয়। সোমবার ইরানের স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টায় তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের জুমার নামাজ চত্বরে তার জানাজা হয়।

    ইরানি গণমাধ্যম জানিয়েছে, এখানে সোলেমানিসহ তার সঙ্গে নিহত সবার জানাজা হয়।

    ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি জানাজায় ইমামতি করেন, এর এক পর্যায়ে তাকে কাঁদতে দেখা গেছে।

    জানাজায় যোগ দিতে তেহরানে ব্যাপক লোক সমাগম হয়েছিল। তাদের অনেককেই কাঁদতে দেখা গেছে। কেউ কেউ নিহত কমান্ডারের ছবি নিয়ে জানাজায় যোগ দিতে এসেছিলেন।

    গত শতকের ইরান-ইরাক যুদ্ধের সময় থেকে যুদ্ধের ময়দানে থাকা সোলাইমানিকে জাতীয় বীর হিসেবে দেখে ইরানিরা। দেশটির সর্বোচ্চ নেতা খামেনির পর তিনিই ইরানের সবচেয়ে ক্ষমতাবান লোক ছিলেন বলে ধারণা করা হয়।

  • ট্রাম্পের মাথার দাম ৮ কোটি ডলার ঘোষণা ইরানের

    ট্রাম্পের মাথার দাম ৮ কোটি ডলার ঘোষণা ইরানের

    ইরাকের রাজধানী বাগদাদে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হয়েছেন ইরানের ইরানি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর এলিট কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলায়মানিসহ কয়েকজন শীর্ষ সেনা। এনিয়ে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে। এমতাবস্থায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মাথার দাম ৮০ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ৮ কোটি ডলার ঘোষণা দিয়েছে ইরানের শীর্ষ নেতারা।

    রবিবার দেশটির মাশহাদ শহরে সোলায়মানির শ্রদ্ধা অনুষ্ঠানে অংশ নেন হাজার হাজার মানুষ। সেই জনসমুদ্রের সামনে ইরানের শীর্ষ নেতারা ভাষণ দেয়ার সময় এই ঘোষণা দেন। দেশটির বেশ কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেল ওই ঘোষণা প্রচার করে।

    ইরানের মাশহাদ শহরে জানাজা ও শ্রদ্ধা অনুষ্ঠানে দেশটির এক শীর্ষ নেতা বলেন, এদেশের প্রায় ৮০ মিলিয়ন জনসংখ্যা রয়েছে। প্রত্যেকে যদি এক ডলার করে দেয় তাহলে ৮০ মিলিয়ন হবে। আর যে ব্যক্তি ট্রাম্পের মাথা এনে দিতে পারবে তাকে ওই ৮০ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হবে।

    সোলায়মানিকে হত্যার প্রতিবাদে ইরানে চার দিনের শোক ঘোষণা করা হয়েছে। আর তার মরদেহ শিয়া মুসলমানদের ৫টি পবিত্র স্থানে নেওয়া হবে। এর মধ্যে একটি মাশহাদ।

    বৃহস্পতিবার রাতে বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মার্কিন হামলায় নিহত হন ইরানি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর এলিট কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলায়মানি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে সোলায়মানিকে হত্যা করা হয় বলে নিশ্চিত করে পেন্টাগন।

    ইতিমধ্যে ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তির সীমা আর মেনে চলবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে তেহরান। রোববার এক বিবৃতিতে দেশটি বলেছে, তারা আর ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তির সীমা মেনে চলবে না। পরমাণু উপকরণ সমৃদ্ধকরণ, মজুদ, গবেষণা ও উন্নয়নের কাজে আর কোনো সীমাবদ্ধতা তারা রাখবে না।

  • সোলাইমানির জানাযায় কোটি মানুষের ঢল

    সোলাইমানির জানাযায় কোটি মানুষের ঢল

    যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসী হামলায় নিহত লেঃ জেনারেল কাসেম সোলাইমানিসহ সব শহীদের নামাজে জানাযা ইরানের রাজধানী তেহরানে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী শহীদদের জানাযার নামাজে ইমামতি করেন।

    তেহরানের স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টায় অনুষ্ঠিত এ নামাজের সময় সর্বোচ্চ নেতার চোখে পানি দেখা যায়।

    এর আগে আজকের নামাজে জানাযায় অংশ নিতে ভোররাত থেকে সারা তেহরান থেকে লাখ লাখ মানুষ তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের জুমার নামাজের চত্বরে আসতে থাকেন। এ সময় জনতার হাতে শহীদ জেনারেল সোলাইমানি ও আবু মাহদি আল-মুহানদিসের ছবি শোভা পাচ্ছিল। তারা ‘আমেরিকা ধ্বংস হোক’, ‘ইসরাইল নিপাত যাক’, ‘আমার ভাইকে যারা মেরেছে তাদেরকে হত্যা করব’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

    প্রচণ্ড শীত উপেক্ষা করে অনেকে নিজেদের শিশুসন্তান নিয়ে নামাজে জানাযায় অংশ নেন। আজকের জানাযার নামাজে অংশগ্রহণের জন্য কতো মানুষ সমবেত হয়েছেন তা হেলিকপ্টার থেকে ছবি গ্রহণ করেও ধারণা করা সম্ভব হচ্ছে না।

    একজন প্রত্যক্ষদর্শী তেহরান থেকে জানিয়েছেন, আজকের জানাযার নামাজে অংশগ্রহণকারী জনতার পরিমাণ হয়তো ইসলামি ইরানের স্থপতি ইমাম খোমেনী (রহ.)’র নামাজে জানাযায় অংশগ্রহণকারীদের চেয়ে বেশি হবে। এখন থেকে ৩০ বছর আগে ১৯৮৯ সালে ইমামের জানাযার নামাজে ৫০ লাখের বেশি মুসল্লি অংশ নিয়েছিলেন বলে ধারনা করা হয়।

    তেহরান বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে জানাযা শেষে শহীদ সোলাইমানিসহ মার্কিন সন্ত্রাসী হামলায় শহীদ বাকি যোদ্ধাদের লাশ তেহরানের ইনকিলাব চত্বর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার পশ্চিমে আযাদি স্কয়ারে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখান থেকে এই বীর কমান্ডারের মরদেহ ইরানের দক্ষিণে ধর্মীয় নগরী কোমে নেয়া হবে।

    কোম নগরীতে নামাজে জানাযা শেষে জেনারেল সোলাইমানির লাশ আগামীকাল (মঙ্গলবার) তার জন্মস্থান কেরমান প্রদেশে নেয়া হবে এবং সেখানে শেষ জানাযার নামাজান্তে তার ইচ্ছে অনুযায়ী সেখানেই তাকে দাফন করা হবে।

    এর আগে গতরাতে শহীদ সোলাইমানির মরদেহ মাশহাদ থেকে তেহরানে এসে পৌঁছায়।

    গত শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) ভোররাতে ইরাকের রাজধানী বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে বিমান হামলা চালিয়ে জেনারেল সোলাইমানিকে হত্যা করে সন্ত্রাসী ও দখলদার মার্কিন সেনারা। ওই হামলায় ইরাকের জনপ্রিয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হাশদ আশ-শাবি’র উপ প্রধান আবু মাহদি আল-মুহানদিস’সহ মোট ১০ জন শহীদ হন।

    এসব বীর শহীদের মরদেহ শনিবার ইরাকের কাজেমাইন, বাগদাদ, কারবালা ও নাজাফ শহরে নিয়ে যাওয়া হয় এবং আলাদা আলাদা নামাজে জানাযায় অংশগ্রহণ করেন লাখ লাখ ইরাকি নাগরিক। এরপর এসব শহীদের মরদেহ রোববার ভোররাতে ইরানে আনা হয়। প্রথমে ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর আহওয়াজ এবং এরপর উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় মাশহাদ শহরে জানাযা শেষে তাদের লাশ গতরাতে তেহরানে পৌঁছায়।প্রতিটি শহরের জানাযার নামাজে লাখ লাখ মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।

  • মসজিদের চূড়ায় ‘যুদ্ধের লাল ঝাণ্ডা’ ওড়াল ইরান

    মসজিদের চূড়ায় ‘যুদ্ধের লাল ঝাণ্ডা’ ওড়াল ইরান

    ইরান জুড়ে একটাই স্লোগান প্রতিশোধ চাই। দেশের মানুষ মার্কিন হামলায় নিহত জেনারেল কাসেম সোলাইমানির জয়গান গাইছেন, স্লোগান দিচ্ছেন এবং মার্কিন পতাকা পুড়িয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। ইরানের সামরিক বাহিনী যোগ্য জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন। আমেরিকাও পাল্টা প্রত্যাঘাতের হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এই অবস্থায় ক্রমশ বাড়ছে উত্তেজনার পারদ। যে কোনও মুহূর্তে বেঁধে যেতে পারে আমেরিকা এবং ইরানের মধ্যে ভয়ঙ্কর যুদ্ধ। যখন গোটা বিশ্ব যুদ্ধের প্রহর গুণছে, ঠিক সেই সময় ইরানের মসজিদের চূড়ায় ‘যুদ্ধের লাল ঝাণ্ডা’ ওড়াল ইরান। যুদ্ধের জন্যে আমরা প্রস্তুত…লাল ঝান্ডা উড়িয়ে আমেরিকাকে সতর্ক বার্তা তেহরানের।

    গত শনিবার ইরাকের বাগদাদে মার্কিন দূতাবাস ও সালাহউদ্দিন প্রদেশে মার্কিন সেনাদের বালাদ বিমান ঘাঁটিতে রকেট হামলার ঘটনা ঘটে। এর কয়েক ঘণ্টা পর ইরানের কম প্রদেশের পবিত্র মসজিদ জামকারান’র সর্ব্বোচ্চ গম্বুজে রক্তলাল পতাকা ওড়ায় ইরান। যদিও বাগদাদের মার্কিন ঘাঁটিতে কারা হামলা চালিয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। ওই হামলায় একযোগে ৫টি রকেট ছোঁড়া হয়। এতে এখনও পর্যন্ত ৫ জন আহত বলে জানা গিয়েছে। একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো ইরান জামকারান মসজিদে রক্তলাল পতাকা ওড়ালো। পতাকাটিতে লেখা, ‘যারা হোসেনের রক্তের বদলা নিতে চায়’।

    এই পতাকা ওড়ানোকে সোলেমানি হত্যার দায়ে আমেরিকার ওপর ইরানের বদলা নেওয়ার অঙ্গীকার হিসেবে দেখা হচ্ছে। সম্ভাব্য যুদ্ধের হুঁশিয়ারি হিসেবেও দেখা হচ্ছে এই পতাকাকে। শিয়া সংস্কৃতিতে লাল পতাকা দিয়ে অন্যায় রক্তপাতের বদলা নেওয়ার প্রতীক।

    বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মার্কিন হামলায় নিহত হন ইরানি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর এলিট কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলাইমানি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে সোলাইমানিকে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে পেন্টাগন।

    ওই ঘটনায় ইরানের সর্ব্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেনি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আমির হাতামি, ইরানি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর প্রাক্তন কমান্ডার মোহসেন রেজায়িসহ ইরানের উর্ধ্বতন পর্যায়ের বিভিন্ন নেতা সোলাইমানি হত্যার ঘটনায় আমেরিকাকে চড়া মূল্য দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি জানিয়েছেন।

    সার্বিক পরিস্থিতিতে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা ছড়িয়ে পড়েছে অনেকের মাঝেই। সোশ্যাল মিডিয়াতে একের পর এক পোস্টে সাধারণ মানুষও এই আশঙ্কা করছেন। লাখ লাখ মানুষ হ্যাশট্যাগ দিয়ে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। এরই মাঝে সোলাইমানি হত্যায় ক্ষুব্ধ ইরানের জেনারেল গোলাম আলি আবু হামজাহ হরমুজ প্রণালীতে গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন ঘাঁটিগুলিতে হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তার বাহিনী ডেস্ট্রয়ার ও যুদ্ধজাহাজসহ পারস্য উপসাগর ও ইজরায়েলের নিকটবর্তী প্রায় ৩৫টি মার্কিন ঘাঁটির দিকে তাক করে আছে বলে জানান তিনি।

  • সোলাইমানির মরদেহ ইরানে পৌঁছেছে

    সোলাইমানির মরদেহ ইরানে পৌঁছেছে

    যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় নিহত ইরানের কুদস ফোর্সের কমান্ডার শহীদ লেঃ জেনারেল কাসেম সোলাইলমানির মরদেহ ইরানে পৌঁছেছে।

    আজ (রোববার) ভোররাতে ইরাক থেকে ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় আহওয়াজ বিমানবন্দরে তার লাশ পৌঁছায়।এ সময় আহওয়াজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইরানের শীর্ষস্থানীয় শত শত সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

    এর আগে গতকাল (শনিবার) ইরাকের কাজেমাইন, বাগদাদ, কারবালা ও নাজাফ শহরে জেনারেল সোলাইমানি ও তার সহযোদ্ধাদের নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। ইরাকের লাখ লাখ মানুষ এসব জানাযার নামাজে অংশগ্রহণ করেন।

    ঘোষিত পরিকল্পনা অনুযায়ী, আজ (রোববার) স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় খুজিস্তান প্রদেশের কেন্দ্রীয় শহর আহওয়াজে জেনারেল সোলাইমানির জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে ইরানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় মাশহাদ নগরীতে। সেখানে দুপুরে ইমাম রেজা (আ.)’র মাজার প্রাঙ্গণে আরেক দফা জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।

    এরপর যথাক্রমে তেহরান, কোম ও জেনারেল সোলায়মানির জন্মস্থান দক্ষিণ ইরানের কেরমান শহরে তার নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর জেনারেলের ওসিয়ত অনুযায়ী কেরমানেই তার দাফন সম্পন্ন হবে।

    শুক্রবার ভোররাতে ইরাকের রাজধানী বাগদাদে মার্কিন সন্ত্রাসী বাহিনীর বিমান হামলায় ইরানের কুদস ফোর্সের কমান্ডার লেঃ জেনারেল কাসেম সোলাইমানি শাহাদাৎবরণ করেন। ওই হামলায় জেনারেল সোলাইমানির সঙ্গে ইরাকের জনপ্রিয় সরকার-পন্থি স্বেচ্ছাসেবী বাহিনী হাশদ আশ-শাবি’র উপ প্রধান আবু মাহদি আল-মুহানদিস’সহ দু’দেশের মোট ১০ জওয়ান ও কমান্ডার শহীদ হন।

    শাহাদাতপ্রাপ্ত এসব যোদ্ধা ইরাক ও সিরিয়া থেকে উগ্র জঙ্গি গোষ্ঠী দায়েশ (আইএস) উৎখাতে প্রধান ভূমিকা পালন করেছিলেন। ওই দুই দেশে সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে একজন সফল জেনারেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন লেঃ জেনারেল কাসেম সোলাইমানি যা সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষক আমেরিকা মেনে নিতে পারেনি।

    মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্যক্তিগতভাবে জেনারেল সোলাইমানিকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন বলে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বা পেন্টাগন জানিয়েছে। আমেরিকার এ ঘৃণ্য পদক্ষেপের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় উঠেছে।

  • সোলাইমানি হত্যার প্রতিশোধ নেবে ইরান, হুঙ্কার আয়াতুল্লাহ খামেনির

    সোলাইমানি হত্যার প্রতিশোধ নেবে ইরান, হুঙ্কার আয়াতুল্লাহ খামেনির

    ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেছেন, যেসব অপরাধী তাদের নোংরা হাত দিয়ে কুদস ফোর্সের প্রধান লেঃ জেনারেল সোলাইমানির রক্ত ঝরিয়েছে তাদের জন্য কঠোর প্রতিশোধ অপেক্ষা করছে।

    তিনি (শুক্রবার) কুদস ব্রিগেডের কমান্ডার মেজর জেনারেল কাসেম সোলাইমানির শাহাদাতে এক শোকবার্তায় এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। সর্বোচ্চ নেতা ইরানে তিনদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেন।

    ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, বিশ্বের কুচক্রি ও শয়তানি শক্তিগুলোর বিরুদ্ধে বহু বছর ধরে একনিষ্ঠ ও বীরোচিত জিহাদ চালিয়ে গেছেন জেনারেল সোলাইমানি। তিনি দীর্ঘদিন ধরে শাহাদাতের অমীয় সুধা পান করার যে আকাঙ্ক্ষা পোষণ করতেন শেষ পর্যন্ত সেই উচ্চ মর্যাদায় তিনি অধিষ্টিত হয়েছেন; তবে তার রক্ত ঝরেছে মানবতার সবচেয়ে বড় দুশমন ও সবচেয়ে জালিম শাসক আমেরিকার হাতে।

    আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেন, বিগত বছরগুলোতে জেনারেল সোলাইমানি যে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তার পুরস্কার হিসেবে তিনি শাহাদাতপ্রাপ্ত হয়েছেন এবং তাঁর চলে যাওয়ায় তাঁর রেখে যাওয়া পথ বন্ধ হবে না।

    ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, শহীদ সোলাইমানি প্রতিরোধ আন্দোলনের একজন আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন বলে এই আন্দোলনের নিবেদিতপ্রাণ প্রতিটি কর্মী তাঁর শাহাদাতের বদলা নিতে প্রস্তু রয়েছেন। কাজেই সকল বন্ধু ও শত্রুর জেনে রাখা উচিত জেনারেল সোলাইমানির শাহাদাতের পর দ্বিগুণ উৎসাহে প্রতিরোধ আন্দোলন এগিয়ে যাবে এবং এই আন্দোলনের বিজয় অনিবার্য। এই প্রিয় আত্মোৎর্গকারী শহীদের অনুপস্থিতি আমাদের জন্য কষ্টকর হলেও তাঁর রেখে যাওয়া আন্দোলনের চূড়ান্ত বিজয় তার হত্যাকারী ও অপরাধীদের জন্য হবে আরো বেশি তিক্ত।

  • যুদ্ধবিমানের মহড়া, যুদ্ধের প্রস্তুতি ইরানের

    যুদ্ধবিমানের মহড়া, যুদ্ধের প্রস্তুতি ইরানের

    ইরানের সবচেয়ে প্রভাবশালী সামরিক কমান্ডার এবং ইসলামি বিপ্লবী গার্ডের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের মধ্যে নতুন করে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।

    দেশ দু’টির মধ্যকার উত্তেজনার মধ্যেই নিজেদের যুদ্ধবিমানের মহড়া শুরু করে দিয়েছে ইরান। দেশটির পশ্চিম আকাশে যুদ্ধবিমান উড়তে দেখা গেছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে যুদ্ধবিমান উড়ানোর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। যুদ্ধবিমান সতর্ক অবস্থানে থেকে পাহারা দিচ্ছে।

    ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রামাজান শরিফ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের ক্ষণিকের এই আনন্দ-উল্লাস শোকে পরিণত হবে। শুক্রবার ইরাকের একটি বিমানবন্দরে মার্কিন হামলায় অভিজাত এই বাহিনীর কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল সোলাইমানি নিহত হন।

    এদিকে, ইরান যেভাবে যুদ্ধবিমান উড়াতে শুরু করেছে তাতে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে ইরাকের রাজধানী বাগদাদে শুক্রবার ড্রোন হামলা চালিয়ে সোলাইমানিকে হত্যা করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে পেন্টাগন।

    পেন্টাগন জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশেই ওই হামলা চালানো হয়েছে। ইরানের ভবিষ্যত হামলা প্রতিহত করতেই এই অভিযান চালানো হয়েছে। পেন্টাগন বলছে, জেনারেল সোলেইমানি ইরাকে মার্কিন কূটনীতিক এবং কর্মকর্তাদের ওপর হামলার পরিকল্পনা করছিলেন। জেনারেল সোলেইমানি এবং তার কুর্দস বাহিনী শত শত মার্কিনি এবং জোটের সদস্যের হতাহতের পেছনে দায়ী বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

    ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ এক টুইট বার্তায় বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের হঠকারিতার পরিণতি ভোগ করতে হবে।

    ওয়াশিংটন এক বিবৃতিতে জেনারেল সোলাইমানির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, চলতি সপ্তাহে বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসে হামলার অনুমোদন দিয়েছিলেন জেনারেল সোলাইমানি।

    ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির পর দেশটির সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে আলোচিত নাম মেজর জেনারেল কাসেম সোলাইমানি।

    তিনি ছিলেন বিপ্লবী গার্ডস বাহিনীর এলিট ইউনিট কুদস ফোর্সের প্রধান। বলা হচ্ছে, দেশের বাইরে ইরানের সামরিক ও রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের চেষ্টায় সোলাইমানি ছিলেন মূল ব্যক্তি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরানের পররাষ্ট্র নীতি নির্ধারণেও তার ভূমিকা ছিল।

    বিবিসি লিখেছে, গত দুই দশক ধরে ইরাক, ইয়েমেন, সিরিয়া ও লেবাননের মতো দেশে শিয়া মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলোর শক্তিশালী হয়ে ওঠার পেছনে তিনিই ছিলেন প্রধান রূপকার। এর মোকাবিলায় তেহরানের আঞ্চলিক শত্রু সৌদি আরব, ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রকে বেগ পেতে হয়েছে। ফলে বহুদিন ধরেই তিনি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের ‘টার্গেট’।

     

  • সোলাইমানির পদে নিয়োগ পেলেন ইসমাইল কায়ানি

    সোলাইমানির পদে নিয়োগ পেলেন ইসমাইল কায়ানি

    ইরানের শহীদ জেনারেল কাসেম সোলাইমানির পদে নিয়োগ পেয়েছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইসমাইল কায়ানি। ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী আইআরজিসি’র কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল সোলাইমানি শহীদ হওয়ার পর ইরানের সর্বোচ্চ নেতা কায়ানিকে এই পদে নিয়োগ দিলেন।

    সর্বোচ্চ নেতার নিয়োগপত্রে বলা হয়েছে, আইআরজিসি শীর্ষস্থানীয় কমান্ডারদের একজন হচ্ছেন ইসমাইল কায়ানি। তিনি ইরাকের চাপিয়ে দেওয়া প্রতিরোধ যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন এবং বহু বছর ধরে কুদস ফোর্সে শহীদ জেনারেল সোলাইমানির পাশে থেকে গোটা অঞ্চলে সেবা দিয়েছেন।

    কুদস ফোর্সের কর্মসূচি অপরিবর্তিত থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেছেন। সর্বোচ্চ নেতা নয়া কমান্ডার ইসমাইল কায়ানির সঙ্গে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

    আজ (শুক্রবার) ভোর একটায় ইরাকের বাগদাদ বিমান বন্দরের কাছে আমেরিকার সন্ত্রাসী সেনাবাহিনীর হামলায় জেনারেল সুলাইমানি শাহাদৎবরণ করেছেন।