Tag: কুচকাওয়াজ

  • বিজয় দিবসে চট্টগ্রামে বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ

    বিজয় দিবসে চট্টগ্রামে বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ

    চট্টগ্রামে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে নগরের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ।

    শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৮টায় নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে কুচকাওয়াজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়।

    এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম।

    বিশেষ অতিথি ছিলেন সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এম শফিউল্লাহ।

    সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।

    বাংলাদেশ পুলিশ, আনসার-ভিডিপি, বিএনসিসি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, কারারক্ষী, নগরীর বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশ স্কাউটস, রোভার স্কাউটস, গার্লস গাইড এবং বিভিন্ন শিশু কিশোর সংগঠন কুচকাওয়াজ ও শারীরিক কসরত প্রদর্শন করেন।

  • জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে কুচকাওয়াজ প্রত্যক্ষ করলেন প্রধানমন্ত্রী

    জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে কুচকাওয়াজ প্রত্যক্ষ করলেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজে যোগদান ও প্রত্যক্ষ করেছেন। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ প্রধান অতিথি হিসেবে অভিবাদন গ্রহণ ও কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন।

    ৫২তম বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্যারেড চত্বরে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী সেখানে আকর্ষণীয় মার্চ পাস্ট, দর্শনীয় ফ্লাই-পাস্ট এবং একরোবেটিক ডিসপ্লে উপভোগ করেন।

    এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কন্যা ও বাংলাদেশের অটিজমবিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি সায়মা ওয়াজেদ ও নাতনী সামা হোসাইন উপস্থিত ছিলেন।

    অনুষ্ঠানে বিভিন্ন কন্টিনজেন্টের মার্চ পাস্টের পর যান্ত্রিক বহরে সুসজ্জিত সশস্ত্র বাহিনীর উল্লেখযোগ্য সমরাস্ত্রসমূহ প্রদর্শন করা হয়।

    এর আগে সকাল ১০টা ২২ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছে মঞ্চের দিকে অগ্রসর হওয়ার সময় আনুষ্ঠানিক একটি মোটর শোভাযাত্রা সহকারে, অশ্বারোহী এবং মিলিটারি পুলিশের দল এস্কর্ট করে তাঁকে মঞ্চে নিয়ে যায়।

    এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল মঞ্চের সামনের দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রীকে সালাম জানায়। তিনি সালাম গ্রহণ করেন।

    মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার এবং মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সচিব প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।

    মুক্তিযুদ্ধে দেশের জন্য জীবন উৎসর্গকারী শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিস্তৃত কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জাতি উদযাপন করছে ৫২তম বিজয় দিবস।

    ১৯৭১ সালের এই গৌরবময় দিনে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ত্রিশ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ এবং দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে বাংলাদেশের বিজয় সূচিত হয়। সেদিন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয় এবং স্বাধীন দেশ হিসেবে বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।

  • চলতি বছর বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ বাতিল

    চলতি বছর বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ বাতিল

    মহামারি করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ধাক্কা আসার শঙ্কার মধ্যে বাতিল করা হয়েছে চলতি বছরের বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ। প্রতি বছর ১৬ ডিসেম্বর রাজধানীর তেজগাঁওয়ে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে সশস্ত্র বাহিনীর সম্মিলিত সামরিক কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবারের কুচকাওয়াজ বাতিল বিষয়ে বিশেষ অনুশাসন দিয়েছেন বলে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের দ্বিতীয় ভার্চুয়াল সভার কার্যপত্র থেকে জানা গেছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

    কার্যপত্রে বলা হয়, বিজয় দিবসসংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয়ের প্রথম সভায় একটি বিস্তারিত কর্মসূচি প্রণয়ন করা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর কাছে কর্মসূচি উপস্থাপন করা হলে করোনাভাইরাসের ঝুঁকি থাকায় বড় ধরনের জনসমাগম হওয়ার কারণে জাতীয় কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান এ বছর রাখা সম্ভব নয় বলে তিনি অনুশাসন দিয়েছেন। অন্য কর্মসূচিগুলো সীমিত আকারে করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন।

    প্রতি বছর বিজয় দিবসের আনুষ্ঠানিকতার অন্যতম হলো জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে সামরিক কুচকাওয়াজ। এতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সদস্যরা যোগ দেন। কুচকাওয়াজের অংশ হিসেবে সালাম গ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি। এ সময় প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, বিচারপতি, তিন বাহিনীর প্রধান, সংসদ সদস্য, কূটনৈতিক ও আমন্ত্রিত বিদেশি অতিথিরা উপস্থিত থাকেন। বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ দেখতে ভিড় করেন অসংখ্য সাধারণ মানুষও।

    গত বছরের মার্চে দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে বাতিল করা হয়েছে অনেকগুলো রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান। মহামারির সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সীমিত করা হয় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকীর নানা আয়োজন। সবশেষ বাতিল হলো বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ।

  • বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজে রাষ্ট্রপতির সালাম গ্রহণ

    বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজে রাষ্ট্রপতির সালাম গ্রহণ

    রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ৪৯তম বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করেছেন।

    রাজধানীর জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে আয়োজিত এ কুচকাওয়াজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নবম পদাতিক ডিভিশন কুচকাওয়াজ পরিচালনা করে।

    রাষ্ট্রপতি নবম পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) মেজর জেনারেল আকবর হোসেনকে নিয়ে একটি খোলা জীপে করে বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন। সর্বস্তরের মানুষ ২ ঘন্টার এই কুচকাওয়াজ প্রত্যক্ষ করেন।

    রাষ্ট্রপতি বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ এবং সেনা ও নৌবাহিনীর বিমানের এবং র‌্যাবের হেলিকপ্টারে এ্যারোবেটিক ডিসপ্লে প্রত্যক্ষ করেন। এছাড়া আকাশ থেকে সেনাবাহিনীর ছত্রি সেনার অবতরণও প্রত্যক্ষ করেন।

    বিমান বাহিনীর এয়ার ভাইস মার্শাল এম সাঈদ হোসেনের নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর মিগ-২৯ বিমানের মনোমুগ্ধকর ফ্লাই পাস্ট এবং বাদ্যযন্ত্রীদের শুভেচ্ছা জ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

    রাষ্ট্রপতি হামিদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণকারী কন্টিনজেন্ট নেতাদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় চার নেতা এবং ৭ বীর শ্রেষ্ঠর প্রতিকৃতি দিয়ে প্যারেড গ্রাউন্ড সাজানো হয়।

    সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে রাষ্ট্রপতি প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এবং তিন বাহিনী প্রধান তাঁকে স্বাগত জানান।

    এর আগে ১০টা ২৮ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সংসদ সদস্য এবং তিন বাহিনী প্রধান তাঁকে স্বাগত জানান।

    অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, মন্ত্রী, কূটনৈতিক, মুক্তিযোদ্ধা এবং বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

    এছাড়া মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী কয়েকজন ভারতীয় যোদ্ধা এবং রুশ সশস্ত্র বাহিনীর একটি প্রতিনিধিদলও কুচকাওয়াজ প্রত্যক্ষ করেন।