Tag: কুপিয়ে হত্যা

  • মুন্সিগঞ্জে নৌকা সমর্থককে কুপিয়ে হত্যা

    মুন্সিগঞ্জে নৌকা সমর্থককে কুপিয়ে হত্যা

    মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনে সদরের মিরকাদিম এলাকায় ভোটকেন্দ্রের সামনে প্রতিপক্ষের হামলায় জিল্লুর রহমান (৪০) নামে এক নৌকা সমর্থক নিহত হয়েছেন। রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার মিরকাদিম পৌরসভার টেঙ্গর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

    নিহতের পরিবারের অভিযোগ, একই আসনের স্বতন্ত্র কাঁচি প্রতীকের প্রার্থী মো. ফয়সাল বিপ্লবের সমর্থকরা তাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেছে।

    এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিরকাদিম পৌরসভা এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি ও পুলিশের অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। নিহত জিল্লুরের বাড়ি স্থানীয় নৈঘীগিরপাথর এলাকায়।

    এদিকে এরইমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা রিটার্নিং অফিসার মো. আবু জাফর রিপন ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান।

    নিহতের স্ত্রী রেহেনা বেগমের দাবি, সকালে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হন জিল্লুর। পথে
    স্বতন্ত্র প্রার্থী কাঁচি প্রতীকের সমর্থক মিরকাদিম পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. শহিদুল ইসল শাহীন ও পৌর কাউন্সিলর মো. লিটনের নেতৃত্বে কয়েকজন তাকে ঘিরে ধরে। এ সময় তাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবি জানান তিনি।

    দুঃখ প্রকাশ করে জেলা রিটার্নিং অফিসার মো. আবু জাফর রিপন বলেন, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক না কেন তদন্ত করে সবাইকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।

  • কুষ্টিয়ায় এমপির ভাইকে কুপিয়ে হত্যা

    কুষ্টিয়ায় এমপির ভাইকে কুপিয়ে হত্যা

    বিবাদমান দ্বন্দ্বের জের ধরে কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য অ্যাড. আ.কা.ম সারওয়ার জাহান বাদশার ফুপাতো ভাই হাসিনুর রহমানকে (৫০) প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

    শনিবার সকাল ৭টার দিকে দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

    নিহত হাসিনুর রহমান দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর এলাকার মৃত ডা. জাকির হোসেনের ছেলে। তিনি কুষ্টিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এলাকা পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

    স্থানীয়রা জানান, কয়েকবছর আগে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উক্ত এলাকায় ঈদের দিন কুপিয়ে শাহাবুল নামের এক যুবককে হত্যা করে প্রতিপক্ষরা।

    শাহাবুলের হত্যার পরে দ্বন্দ্ব আরও প্রকোট রূপ নেয়।

    শনিবার সকালে হাসিনুর রহমান বাজারে মাছ ক্রয় করছিলেন। এসময় পিছন দিক থেকে নিহত শাহাবুলের বাবা মজিবর রহমান (৪০) তাকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।

    এসময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন থেকে সকাল পৌনে ৯টার দিকে তিনি মারা যান।

    স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে, একটি খুনের ঘটনা মীমাংসার মধ্যস্থতার চেষ্টা করছিলেন হাসিনুর। এর জের ধরে তাকে খুন করা হতে পারে।

    পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানায়, হাসিনুর রহমান সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সাংসদের অবর্তমানে তার ব্যক্তিগত ও দলীয় কাজকর্ম হাসিনুর দেখভাল করতেন। শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে জব্বার নামে একজনের মোটরসাইকেলে চড়ে নিজ বাড়ি থেকে স্থানীয় বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। এ সময় বাড়ির পাশেই একটি দোকানের কাছে পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা মজিবুর রহমান বয়াতি তার ওপর আচমকা হামলা চালায়।

    এ সময় রমদা দিয়ে হাসিনুরের শরীরে বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকলে এক পর্যায়ে তিনি মোটরসাইকেল থেকে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। পরে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু নিশ্চিত করে হামলাকারী পালিয়ে যায়। আহত হন মোটরসাইকেলের চালক জব্বার আলী।

    জানা গেছে, বছরখানেক আগে মজিবুর রহমান বয়াতির এক বছর বয়সী ছেলে খুন হয়। সে সময় মজিবর এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করে দৌলতপুর থানায়। মামলার আসামিরা সবাই আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত। স্থানীয়রা জানায়, সাংসদের প্রতিনিধি হিসেবে হাসিনুর রহমান এই হত্যা মামলাটি মীমাংসার চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মজিবুর এই খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা।

    এদিকে হত্যার খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় শোকের ছাঁয়া নেমে আসে। উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নেতাকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীরা তার বাড়িতে ভিড় করছেন। এলাকায় যে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

    স্থানীয় স্কুলের শিক্ষক মাহবুবুর রহমান জানান, ‘নিহত হাসিনুর রহমান সাদাসিধে জীবনযাপন করতেন। তিনি মানুষের সঙ্গে মিলেমিশে থাকতে পছন্দ করতেন। মানুষের প্রয়োজনে পাশে থাকতেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি অবিবাহিত ছিলেন।’

    দৌলতপুর থানার ওসি নিশিকান্ত জানান, ‘ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনার পরপরই হামলাকারী মজিবর রয়াতিকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।’

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • নীলফামারীতে ভ্যান ছিনতাইয়ের উদ্যেশ্যেই চালককে কুপিয়ে হত্যা:সংবাদ সম্মেলনে এসপি

    নীলফামারীতে ভ্যান ছিনতাইয়ের উদ্যেশ্যেই চালককে কুপিয়ে হত্যা:সংবাদ সম্মেলনে এসপি

    নীলফামারী প্রতিনিধি:নীলফামারীতে ছুরিকাঘাতে জিয়াউর রহমান (৪০) নামে এক ব্যাটারী চালিত ভ্যানচালক হত্যার মুল রহস্য উৎঘাটন করেছে পুলিশ।

    ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আটক ফজলে রাব্বি (২৪) ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দিও দিয়েছেন। নিহত জিয়াউর রহমান জেলা সদরের কচুকাটা ইউনিয়নের ভরতপাড়া গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে।

    শনিবার (২০ জুন) দুপুরে নীলফামারী পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ সুপার(এসপি) মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান(বিপিএম,পিপিএম)।

    সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, জিয়াউর রহমানের ব্যাটারী চালিত অটো ভ্যানটি ছিনতাইয়ের জন্য জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার রূপালী কেসবা মাষ্টারপাড়া গ্রামের মৃত মাজু মিয়ার ছেলে ফজলে রাব্বিসহ পাঁচজন ব্যক্তি এ পরিকল্পনা করেন।

    পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গত বৃহস্পতিবার(১৯ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলা শহরের আনন্দ বাবুর পুল এলাকা থেকে ৩০০ টাকায় ভ্যানটি ভাড়া করেন পাঁচজন। পাঁচজনে ওই ভ্যানে করে রামনগর ইউনিয়নের বাহালীপাড়া পর্যন্ত যান। সেখানে পৌঁছে উপর্যপুরি ছুরিকাঘাত করে জিয়াউর রহমানকে সড়কের পাশে ফেলে রেখে ভ্যানটি নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন।

    এসময় জিয়াউর রহমানের আত্মচিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে আসলে হত্যাকারীরা ভ্যানটি রেখে পালিয়ে যান।

    পরে পুলিশ খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে জিয়াউর রহমানকে উদ্ধার করে সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন। রাতেই আশ পাশের থানাসহ হত্যাকারীদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ অভিযানে নেমে পরলে ফজলে রাব্বি জলঢাকা উপজেলার পাঠানপাড়া বাজারে পুলিশের হাতে আটক হন।

    শুক্রবার(১৯ জুন) রাত আটটার দিকে ফজলে রাব্বি ঘটনার দায় স্বীকার করে নীলফামারী জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেন।

    নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মমিনুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই শাহজাহান আলী বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতেই নীলফামারী সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। রাতে লাশ উদ্ধার করে গত শুক্রবার সকালে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়।

    সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান বলেন, অপরাধীদের জন্য নীলফামারী হবে খুব খারাপ জায়গা এটাই আমরা বুঝাতে চাই। আমরা শুধু চার্জশীট নয়, তাদের শাস্তি নিশ্চিত করতে চাই। এজন্য আসামীর আদালতের জবানবন্দি নিশ্চিত করেছি।ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা গোয়েন্দা পুলিশসহ সকল চেক পোষ্টকে সতর্ক করি। পুলিশ টিম তল্লাশী শুরু করে। ওই তল্লাসীতে সন্দেহভাজন হিসেবে ফজলে রাব্বি রাতেই আটক হয়। শুক্রবার রাত আটটার দিকে ফজলে রাব্বি ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেন।

    এর আগে তার দেয়া তথ্য মতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরিসহ আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। তার দেয়া তথ্য মতে অপর চারজনকে গ্রেপ্তারেও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

    সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(প্রশাসন)আবুল বাশার মোহাম্মদ আতিকুর রহমান,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নীলফামারী সার্কেল)রুহুল আমিন, সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহমুদ উন নবী, ডিআইও-ওয়ান লাইছুর রহমান, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ(ডিবি) ওসি কেএম আজমিরুজ্জামান প্রমুখ।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/সুজন

  • নীলফামারীতে ইজিবাইক চালককে কুপিয়ে হত্যা

    নীলফামারীতে ইজিবাইক চালককে কুপিয়ে হত্যা

    নীলফামারী প্রতিনিধি:নীলফামারী সদর উপজেলার রামনগর বাহালিপাড়া তিস্তা ক্যানেল এলাকায় জিয়া (৪০) নামে এক ইজিবাইক চালককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

    শুক্রবার(১৯ জুন) সকালে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করে।

    হত্যার শিকার জিয়া জেলা সদরের কচুকাটা ইউনিয়নের ভরতপাড়া গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে।

    নীলফামারী থানার ওসি (তদন্ত) মাহমুদ উন নবী জানান, স্থানীয়রা গত বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) রাত ১১টার দিকে খবর দেয় এক ইজিবাইক চালককে দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে পালিয়ে গেছে।

    পরে পুলিশ সহ এলাকাবাসী জখম ও রক্তাত্ব অবস্থায় তাকে জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে। পরে নিহত ব্যাক্তির পরিচয় পাওয়া যায়। তার শরীরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

    এ ঘটনায় সন্দেহভাজন একজন কে পুলিশের অভিযানে আটক করা হয়েছে। জড়িতদের দ্রুত চিহিৃত করে গ্রেফতারে অভিযান চলমান রয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/সুজন

  • খাগড়াছড়ির দীঘিনানালায় এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা

    খাগড়াছড়ির দীঘিনানালায় এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:খাগড়াছড়ির দীঘিনানালায় ইমরান হোসেন নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা। সে দীঘিনালা থানার বাজারের মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে।

    পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শনিবার (২৩ মে) সকাল ৭টার দিকে দীঘিনালার উত্তর কবাখালীর মিলন কার্বারী পাড়া এলাকায় স্থানীয়রা ইমরান হোসেনের লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়।

    ইমরান হোসেনের শরীরের চার জায়গায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহৃ রয়েছে।

    দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উত্তম কুমার দেব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এখনো এ ঘটনায় মামলা হয়নি। ঘটনায় জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/প্রদীপ

     

  • বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে মেসে ঢুকে কুপিয়ে হত্যা

    বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে মেসে ঢুকে কুপিয়ে হত্যা

    ময়মনসিংহ মহানগরীর তিনকোনা পুকুরপাড় এলাকার ছাত্রদের মেসে ঢুকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহত শিক্ষার্থী ত্রিশালের কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

    শুক্রবার (১ মে) ভোরে সেহরি খাওয়ার পর মেসে দুর্বৃত্তরা ঢুকে তৌহিদুল ইসলামকে ছুরিকাঘাত করে।

    গুরুতর অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়।

    নিহত তৌহিদুল ইসলাম খান নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া থানার রামেশ্বর এলাকার সাইদুল ইসলাম খানের ছেলে। তিনি তিনকোনা পুকুর পাড় এলাকায় মেসে থেকে লেখাপড়া করতেন।

    পুলিশ জানায়, ময়মনসিংহ নগরীর তিনকোনা পুকুরপাড় এলাকায় জনৈক আদিলের বাসায় ভাড়া থাকতেন ওই শিক্ষার্থী। ভোরে কক্ষে ঢুকে দুর্বৃত্তরা তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে শিক্ষার্থীর ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।

    হাসপাতালে নেয়ার পর ভোর সাড়ে চারটার দিকে ওই শিক্ষার্থী মারা যান। মৃত্যুর আগে দেয়া জবানবন্দি মতে, আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানায় পুলিশ।

    মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লাশ ঘরে রাখা হয়েছে।

    এদিকে তৌহিদের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে তার পরিবার ও এলাকায়। সন্তানের এমন মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না।

    নিহতের ছোট ভাই শহিদুল ইসলাম খান ও চাচা সায়েদ আহমেদ খান জানান, রাত দুইটার দিকে সে বাড়িতে ফোন দিয়ে তার বাবার সাথে কথা বলেছে। কিছুক্ষণ পরেই সে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে খবর পেয়ে এসে দেখি মারা গেছে। তার হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান তারা।

    নিহত শিক্ষার্থীর সহপাঠী হামিদুর রহমান সুমন বলেন, ওকে হত্যা করার মতো কোনো শত্রু থাকতে পারে তা আমাদের কখনো মনে হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সবার সাথে তার সুসম্পর্ক ছিল। আগে সে ত্রিশালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের একটি মেসে থাকতো। মাস খানেক আগে ময়মনসিংহে এসেছে। তৌহিদের হত্যাকারীদের দ্রুত খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি জানাই।

    এদিকে অতিরিক্ত পূলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর জানান, মৃত্যুর আগে তৌহিদ জবানবন্দি দিয়ে গেছেন। সে অনুযায়ী কাজ চলছে। হত্যার প্রকৃত কারণ উদঘাটন ও জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। সিআইডির ক্রাইমসিন ইউনিট ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করেছে। শিগগিরই জড়িতরা ধরা পড়বে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • একই পরিবারের ৩ জনসহ ৫ জনকে কুপিয়ে হত্যা

    একই পরিবারের ৩ জনসহ ৫ জনকে কুপিয়ে হত্যা

    মৌলভীবাজারের বড়লেখার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের পাল্লাতল চা বাগানে একই পরিবারের তিনজনসহ মোট পাঁচজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

    গতকাল শনিবার মধ্য রাতে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তবে নিহতদের নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

    বিষয়টি নিশ্চিত করে আজ রোববার সকালে মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেন, হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি আমরা জেনেছি। ঘটনাস্থলটি আমাদের এখান থেকে অনেক দূরে, সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।

    এদিকে পাল্লাতল চা বাগানের ম্যানেজার এবিএম মাহবুবুর রহমান জানান, পারিবারিক কলহের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে শুনেছি। বিস্তারিত এখনো জানি না।

  • কুমিল্লায় নিজ ঘরেই খুন হলেন পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিন

    কুমিল্লায় নিজ ঘরেই খুন হলেন পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিন

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। সারাদেশ ডেস্ক : কুমিল্লার বরুড়ায় পল্লী বিদ্যুৎ এর এক কর্মকর্তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার গভীর রাতে উপজেলার আড্ডা গ্রামে ওই কর্মকর্তার ঘরে ঢুকে এ হত্যাকাণ্ড ঘটায় দুর্বৃত্তরা।

    নিহতের নাম শরীফ উদ্দিন খান (৪৫)। তিনি সিরাজগঞ্জ জেলা সদরের মধ্য ভদ্রঘাট এলাকার সাইফ উদ্দিন খানের ছেলে। তিনি পল্লী বিদ্যুত সমিতি-১ এর অধীন আড্ডা অভিযোগ কেন্দ্রের ইনচার্জ ছিলেন বলে জানা গেছে।

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি আড্ডা অভিযোগ কেন্দ্রের পাশে একটি ভাড়া বাসায় অন্যদিনের মতোই বুধবার রাতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে শরীফ উদ্দিন খান ঘুমিয়ে ছিলেন।

    রাত দেড়টার দিকে দুর্বৃত্তরা ঘরের দুর্বল জানালার রড ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে তাকে মাথায় কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এসময় তার আত্মচিৎকারে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।

    পরে আশংকাজনক অবস্থায় তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক শরীফ উদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়।

    বরুড়া থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) ইকবাল বাহার গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কি কারণে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখছি। সহসাই ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।

    এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থলে যান কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর জিএম মোস্তাফিজুর রহমান।

  • ফেনীতে যুবলীগ নেতাকে বাড়ির সামনে কুপিয়ে হত্যা

    ফেনীতে যুবলীগ নেতাকে বাড়ির সামনে কুপিয়ে হত্যা

    ফেনীতে এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার ফাজিলপুর ইউনিয়নে তার বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।

    নিহত রবিউল হক মানিক ফাজিলপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নুরুল হকের ছেলে। ফাজিলপুর ইউনিয়ন যুবলীগের কার্যকরী কমিটির এ সদস্য পেশায় রংমিস্ত্রি ছিলেন।

    জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফাজিলপুর বাজারের পাশে রবিউলের বাড়ির সামনে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা।

    সেখান থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে ফেনী সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান তিনি।

    খবরটি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ফাজিলপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) ওমর হায়দার। তবে এ ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত জানা যায়নি।

    রবিউলের লাশ ফেনী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

  • মাকে কুপিয়ে হত্যা করলো মেয়ে

    মাকে কুপিয়ে হত্যা করলো মেয়ে

    মোমেনার সঙ্গে খালাতো ভাই সাজ্জাদের প্রেমের সম্পর্কে রাজি ছিলেন না তার মা নাজমিন আক্তার।

    রাজবাড়ীতে প্রেমিকের সঙ্গে কথা বলা নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে নিজের মা’কে ধারালো বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে মোমেনা খাতুন (১৪) নামে নবম শ্রেণীর এক ছাত্রী।

    শুক্রবার রাতে জেলা সদরের দাদশী ইউনিয়নের আগমাড়াই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম নাজমিন আক্তার (৪০)। তিনি আগমাড়াই গ্রামের আব্দুল মান্নান মৃধার স্ত্রী।

    রাজবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ স্বপন কুমার মজুমদার জানান, ‘মোমেনার সঙ্গে তার খালাতো ভাই সাজ্জাদের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। কিন্তু, এতে রাজি ছিলেন না মোমেনার মা নাজমিন আক্তার। শুক্রবার সন্ধ্যায় মোবাইল ফোনে কথা বলাকে কেন্দ্র করে মায়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে, মোমেনা ঘরে থাকা ধারালো বটি দিয়ে তার মাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। গুরুতর অবস্থায় ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাজমিন মারা যায়।

    তিনি আরও জানান, ‘মোমেনাকে আদালতে হাজির করা হলে আদালত তার জবানবন্দী রেকর্ড করেন। পরে, আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।’