Tag: কুবি

  • প্রধানমন্ত্রীর মানবতার আহ্বানে সাড়া দিলেন কুবির ছাত্রলীগ নেতা এ এম নূর উদ্দীন হোসাইন

    প্রধানমন্ত্রীর মানবতার আহ্বানে সাড়া দিলেন কুবির ছাত্রলীগ নেতা এ এম নূর উদ্দীন হোসাইন

    কুবি প্রতিনিধি: বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের প্রকোপে অচল হয়ে গেছে স্বাভাবিক জনজীবন। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে লকডাউন। ভাইরাসের সংক্রমণ ও বিস্তার ঠেকাতে সবাইকে সরকারের পক্ষ থেকে নিজ নিজ ঘরে অবস্থানের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন দেশের সীমিত আয়ের জনগোষ্ঠী।

    দেশের এই দুঃসময়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) লোক প্রশাসন বিভাগের ২০১৬-১৭ বর্ষের শিক্ষার্থী এ এম নূর উদ্দীন হোসাইন মানবতার ডাকে সাড়া দিয়ে নিজ উদ্যোগে চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার অসচ্ছল ও দুর্ভোগে পড়া জনসাধারণের সহায়তায় এগিয়ে আসল।

    এ এম নূর উদ্দীন হোসাইনের উদ্যােগে এই তৃতীয় বারের মতো অসচ্ছল ও দুর্ভোগে পড়া মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে এগিয়ে আসলেন। এর আগেও তিনি সমাজের বিভিন্ন জনহিত কাজের সাথে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি সবসময় মানবতার অগ্রদূত হিসেবে সকলের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন।

    নিজ অর্থায়নে, নিজ প্রচেষ্টায় পবিত্র রমজান উপলক্ষে চাউল, ছোলা, মুড়ি, সয়াবিন তেল, পিয়াজ, আলু, চিড়া, চিনি, লবন, ডেটল সাবান, টিস্যু পেপার সামগ্রী বিতরণ করে করোনা মোকাবেলায় দায়িত্বশীলদের উৎসাহ প্রদান করেছেন।

    এসময় এন হোসাইন জানান, করোনা ভাইরাসে লকডাউনে সমাজে দিনমজুররা মানবেতর জীবন-যাপন করছে। সরকারি নির্দেশনা মানতে গিয়ে দিন দিন সাংসারিক জীবনযাত্রা আরো অবনতি হচ্ছে। এসময়ে সরকারের সহযোগীতার পাশাপাশি সামর্থ্যবান হিসেবে প্রতিবেশী এবং এলাকার অসহায়দের খোজ নেওয়া দায়িত্ব মনে করছি। আমি আশাবাদী আমার এ ক্ষুদ্র প্রয়াস এই অমানিশায় তাদের মনোবল যোগাবে, এবং, সর্বোপরি মানবতার জয় হবে।”

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/তাসফিক

  • ‘করোনা’ ঠেকাতে মুজিব বর্ষে কুবির ফার্মেসি বিভাগের হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ

    ‘করোনা’ ঠেকাতে মুজিব বর্ষে কুবির ফার্মেসি বিভাগের হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ

    কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ফার্মেসি বিভাগ মুজিব বর্ষের প্রথমদিনে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থেকে বাঁচার লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের মাঝে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করেছে ।

    মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবসে মাত্র ২৫ টাকা শুভেচ্ছা মূল্যে প্রতিটি হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করা হয়।

    মঙ্গলবার সকাল ১১.০০ টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী স্যানিটাইজার বিতরণপর্ব উদ্বোধন করেন । এসময় তিনি বলেন, ফার্মেসি বিভাগের জনকল্যাণকর এমন উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই। হ্যান্ড স্যানিটাইজার প্রস্তুতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা আর্থিক সহযোগিতা করেছি। এটা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের জন্য সৌভাগ্যের বিষয়।

    ফার্মেসি বিভাগের ল্যাবে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও ল্যাব সহকারীর সহযোগিতায় গভীর রাত পর্যন্ত প্রায় ১০০০ হ্যান্ড স্যানিটাইজার প্রস্তুত করা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া বিধি মেনে প্রতিটি হ্যান্ড স্যানিটাইজার বোতলে ৫০ মি. লি. স্যানিটাইজার মিশ্রণ সরবরাহ করে এর নামমাত্র শুভেচ্ছা মূল্য ধরা হয়েছে ২৫ টাকা, যা বাজারের যেকোনো কোম্পানির স্যানিটাইজার পণ্যের তুলনায় অনেক কম। এসব প্রস্তুতে নেতৃত্ব দিয়েছেন বিভাগটির শিক্ষকবৃন্দ। এতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ৫০ হাজার টাকা অনুদান দিয়েছে।

    এর আগে ১৫ মার্চ রাতেও বিভাগটি নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় ৩০০টি হ্যান্ড সেনিটাইজার প্রস্তুত করেছিল। পরদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে হ্যান্ড সেনিটাইজারগুলো সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বিতরণ করে তারা।

    প্রস্তুতকৃত এই স্যানিটাইজার ব্যাবহারে করোনাভাইরাসসহ যেকোনো ধরনের ভাইরাস থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব বলে জানিয়ে ফার্মেসি বিভাগের প্রধান সৈয়দ কৌশিক আহমেদ বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী হ্যান্ড স্যানিটাইজারের দাম বৃদ্ধি করে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছে। ফার্মেসি হেলথ রিলেটেড সাবজেক্ট হওয়ায় দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে জনস্বার্থে আমরা স্বল্পমূল্যের স্যানিটাইজার প্রস্তুত করেছি। প্রয়োজনীয় আর্থিক সহযোগিতা পেলে আরও বৃহৎ পরিসরে স্যানিটাইজার তৈরি সম্ভব হবে।

  • কুবির কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় নেই বিশুদ্ধ পানির সু-ব্যবস্থা

    কুবির কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় নেই বিশুদ্ধ পানির সু-ব্যবস্থা

    তাসফিক আব্দুল্লাহ চৌধুরী, কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রায় ১৪ বছর পার হলেও কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ করার ব্যবস্থা গ্রহন করেনি ক্যাফেটেরিয়া কর্তৃপক্ষ বা কুবি প্রশাসন। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে শিক্ষার্থীদের পানির চাহিদা পূরন করে চলেছে কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া।

    প্রতিদিন কয়েক হাজার শিক্ষার্থী এই পানি পান করছে। যার ফলে পানি বাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনাও বাড়ছে প্রতিদিন।

    সরেজমিনে দেখা যায়, পানি বিশুদ্ধ করনের কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি ক্যাফেটেরিয়া কর্তৃপক্ষ। সাধারণ পানির লাইন থেকে পানির চাহিদা পূরন করছে। পানিতে আয়রনের উপস্থিতিও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পানি পরিবেশনের বোতল গুলোও অনেক দিনের পুরাতন। তাছাড়া যে জায়গায় পানি বোতলজাত করা হয় সেই জায়গাটিও নোংরা। টিস্যু, ময়লার বাক্স, স্যাতঁসেঁতে অবস্থার ছাড়াছড়ি। পানি সংরক্ষণ করে রাখার ট্যাঙ্কটির চারপাশে শেওলা জমে নোংরা পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।

    কুবির ইংরেজি বিভাগের ১২ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আসিফ আফ্রিদি রিয়াদ বলেন,’ ক্যাফেটেরিয়ার পানি পান করতে বিব্রতবোধ করি।অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পানি সরবরাহ করা। অন্য উপায় না থাকলে তখনই এই পানি পান করি। এই পানি পানে স্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্ভাবনা আছে।’

    এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া পরিচালক মান্নু মজুমদার বলেন, ‘পানিতে আয়রনের পরিমান বেশি। তাছাড়া প্রশাসন থেকে আমাকে পানির ফিল্টার দিবে বলে জানিয়েছিল যখন আমি দায়িত্ব নিচ্ছিলাম। যেহেতু প্রশাসন থেকে এখনও দেয় নি সেহেতু আমি দায়িত্ব নিয়ে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পানির ফিল্টার বসানোর ব্যবস্থা করব।’

  • বহিরাগত দ্বারা কুবি ছাত্রী হয়রানির শিকার

    বহিরাগত দ্বারা কুবি ছাত্রী হয়রানির শিকার

    কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে বাস পার্কিং মাঠে এক বহিরাগত দুর্বৃত্ত কর্তৃক ছাত্রীকে খালি বাসে উঠিয়ে হয়রানির চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী ছাত্রী অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী। হয়রানির চেষ্টাকালীন ওই ছাত্রীকে দুর্বৃত্ত মাথায়ও আঘাত করে বলে জানিয়েছেন ওই ছাত্রী।

    বৃহস্পতিবার সকালে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন ওই ছাত্রী।

    ওই ছাত্রীর বিভাগের শিক্ষার্থী আবির জানান, ‘ভুক্তভোগী আমার বিভাগের জুনিয়র। তাকে দুপুরে ফ্যাকাল্টির নিচে কান্নাকাটি করতে দেখে জানতে চাই কি হয়েছে। সে আমাকে জানায়, সকাল ৮ টার বাসে শহর থেকে ১০ নম্বর বাসে ক্যাম্পাসে আসে সে। কিন্তু বাস থেকে নেমে সে বুঝতে পারে তার মোবাইলটি সাথে নেই। তাই সে মোবাইলটি খুঁজতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস পার্কিং এর মাঠে যায় বাসে মোবাইলটি আছে কিনা দেখতে। সব শিক্ষার্থী নেমে যাওয়ায় বাস তখন খালি ছিল। বাসে উঠার সময় আচমকা এক ছেলে অন্য দিক থেকে এসে তার হাত ধরে বাসে উঠানোর জন্য টানা হেঁচড়া শুরু করে। একপর্যায়ে তার মাথায়ও আঘাত করে ওই বখাটে। মাঠের পাশের রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী কয়েকজন ছাত্র ঘটনাটি দেখে ফেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তর দিকের অরক্ষিত পাহাড়ের দিক দিয়ে দৌঁড়ে পালিয়ে যায় ওই ছেলে। ঘটনার আকস্মিকতা ও মাথায় আঘাতে অজ্ঞান হয়ে যায় ভুক্তভোগী ছাত্রী।’

    ভুক্তভোগী ছাত্রীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘হামলাকারীকে দেখে আমার টোকাইয়ের মতো মনে হয়েছে। সে আমাকে আঘাত করার পর আমি অজ্ঞান হয়ে বাসেই ছিলাম। জ্ঞান আসলে আমি দেখি আমি শহরে। বাসটি আবার ১০টার শিডিউল এর জন্য শহরে চলে এসেছে। আমি তখন কি করবো বুঝতে না পেরে আবার ক্যাম্পাসে আসি।’ এছাড়াও ঘটনার ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর লিখিত অভিযোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন বাস মাঠটি বর্তমানে ক্যাম্পাসের প্রান্তে খেলার মাঠের পাশে অবস্থিত। যার তিন দিকই অরক্ষিত। সেদিকে ক্লাসের সময়ে বাসে উঠানামার সময় ব্যতীত শিক্ষার্থীদের চলাচল কম থাকে। আর তিন দিক অরক্ষিত হওয়ায় সেদিক দিয়ে অবাধে চলাচল করতে পারে বহিরাগতরা।

    ঘটনার ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, ‘ঘটনার ব্যাপারে শুনে আমি মেডিকেল সেন্টারে গিয়ে তাকে দেখেছি। সে বলছে ঘটনার পর সে তার বন্ধুবান্ধবদের জানিয়েছে, তার স্বামীকেও জানিয়েছে। যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরের ঘটনা তাই এ ব্যাপারে উপাচার্য স্যারের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নিবো। ক্যাম্পাসের ওদিকটা অরক্ষিত হওয়ায় বহিরাগতদের রুখতে নিরাপত্তাকর্মী দিতে বলবো।’

  • পাঁচ দফা দাবিতে কুবির বিবিএ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন

    পাঁচ দফা দাবিতে কুবির বিবিএ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন

    কুবি প্রতিনিধি: পাঁচ দফা দাবিতে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ (বিবিএ) ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে তালা লাগিয়ে আন্দোলন করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট অনুষদের শিক্ষার্থীরা।

    মঙ্গলবার সকাল থেকে অনুষদের মূল ফটকে তালা লাগিয়ে আন্দোলনে নামে তারা। পরবর্তীতে তারা অনুষদের সামনে থেকে সরে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে অবস্থান নেয়।

    শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবিগুলো হচ্ছে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের প্রত্যেকটি বিভাগের জন্য আলাদা ক্লাসরুম, প্রত্যেক বিভাগের জন্য আলাদা ল্যাব ও সেমিনার, শিক্ষকদের জন্য পর্যাপ্ত রুম, নামাজের জন্য আলাদা রুম, মেয়েদের জন্য স্বতন্ত্র আলাদা রুম ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের স্বতন্ত্র পরিচয় যেখানে অন্য কোনো বিভাগ ক্লাস করতে পারবে না।

    আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, এতোদিন ক্লাসরুম সংকটে আমাদের ফ্যাকাল্টিতে সিইসি ও আইসিটি বিভাগ ক্লাস করেছে। তাই আমরা তাদের সাথে ক্লাসরুম ভাগাভাগি করেছি। কোনো আন্দোলন করি নাই। কিন্তু এখন এ বিভাগ দুইটি তাদের নিজেদের অনুষদে চলে যাওয়ায় আমাদের ক্লাসরুম ফাঁকা হয়েছে। তাই আমরা এখন আমাদের ক্লাসরুমের দাবীতে আন্দোলনে নেমেছি। আমাদের এ আন্দোলন কোনো বিভাগের বিরুদ্ধে নয়, বরং আমাদের প্রশাসনের বিরুদ্ধে।

    জানা যায়, সম্প্রতি এ অনুষদটিতে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অন্তর্ভুক্ত গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে বেশ কিছু ক্লাসরুম বরাদ্দ দেওয়া হয়।

    এদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো: আবু তাহের প্রথমে কথা বলতে আসলেও শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের অনুপস্থিতিতে কোনো সমাধানে আসতে চায়নি।

    পরে তিনি জানান, ‘উপাচার্য না থাকায় ব্যাপারটি নিয়ে কোনো সমাধান হয়নি। আগামী রোববার বেলা ১২টায় উপাচার্য ও বিভাগীয় প্রধানদের উপস্থিতিতে সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।’ এ আশ্বাস পেয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করে।

  • মুজিববর্ষে হবে কি রিডিং রুমের সমাধান! কুবি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল

    মুজিববর্ষে হবে কি রিডিং রুমের সমাধান! কুবি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল

    কুবি প্রতিনিধি : কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে নেই কোনো রিডিং রুম। হল প্রতিষ্ঠার প্রায় ৭ বছর পরেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সুন্দর পরিবেশের নিমিত্তে তৈরি করতে পারেনি একটি রিডিং রুমও। রিডিং রুম না থাকায় হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার আগে ভাল প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষা দিতে পারছেনা বলে অভিযোগ রয়েছে।

    সরেজমিনে দেখা যায়, ৫ম তলা বিশিষ্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে ৪১ টি কক্ষে প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী থাকে। হলটিতে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা গণরুমে থাকে। একরুমে থাকে প্রায় ৪০ জন। গাদাগাদি করে এক বেডে দুইজন থাকা শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার ভাল প্রস্তুতি নিতে পারছেনা। নানা শব্দের মাঝেই পড়াশোনা করে পরীক্ষা দিতে হচ্ছে।

    হলে গান-বাজনা ও প্রতিদিন কারো না কারো জন্মদিন উৎযাপন করায় সবসময় হৈচৈ বিরাজ করে। কারো পরীক্ষা থাকলে রিডিং রুমে গিয়ে পড়াশোনা করবে এ ব্যবস্থাও নেই। রিডিং রুম না থাকায় শিক্ষার্থীরা মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করতে পারছেনা।

    এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪টি হল রয়েছে। এখানে কাজী নজরুল ইসলাম এবং নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী হলে রিডিং রুম থাকলেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলে কোনো রিডিং রুমের ব্যবস্থা নেই।

    বঙ্গবন্ধু হলের ১ম বর্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী জাহিদ হাসান বলেন, “আমার মিডটার্ম পরীক্ষা চলছে, গণরুমে পড়াশোনা করতে পারি না। সামনে সেমিস্টারের জন্য কীভাবে পড়াশোনা করবো তা নিয়ে আমি চিন্তিত।”

    বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক শিক্ষার্থী শাহাবুদ্দিন আহমেদ বলেন, “একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে কীভাবে রিডিং রুম থাকে না তা আমার জানা নেই। এই হলটিতে রিডিং রুম খুবই দরকার। মুজিব বর্ষে বঙ্গবন্ধু হলে রিডিং রুম সময়ের দাবি। মুজিববর্ষ শুরু হওয়ার আগেই একটি রিডিং রুম প্রতিষ্ঠা করার দাবি জানাচ্ছি।”

    হলের প্রভোস্ট মো. জিয়া উদ্দিন বলেন, “আমি হলের দায়িত্বে আসার আগে হলে রিডিং রুমের জন্য কোনো জায়গা বরাদ্দ ছিল না, আমি হলের দায়িত্বে আসার পর প্রথমেই রিডিং রুমের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা ঠিক করেছি। রিডিং রুমের জন্য আসবাবপত্র প্রয়োজন, আমি এটা প্রশাসনকে জানিয়েছি। আসবাবপত্রের ব্যবস্থা হলেই রিডিং রুম চালু করা হবে।”

  • ভাষা শহীদদের স্মরণে কুবির ইংরেজি বিভাগে মোমবাতি প্রজ্বলন

    ভাষা শহীদদের স্মরণে কুবির ইংরেজি বিভাগে মোমবাতি প্রজ্বলন

    কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ইংরেজি বিভাগের আয়োজনে ভাষা শহীদদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়েছে।

    শুক্রবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়য়ের কলা ও মানবিক অনুষদের ইংরেজি বিভাগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ড. বনানী বিশ্বাস, ড. মোহাঃ হাবিবুর রহমান ও সহকারী অধ্যাপক শারমিন সুলতানাসহ বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

    ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ড. বনানী বিশ্বাস বলেন, “শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করছি ভাষা শহীদদের। এই আলোয় সিক্ত হোক প্রতিটি মানুষ। ভাষার শুদ্ধা চর্চা হোক প্রতিটি ঘরে ঘরে।”

    আলোচনা সভার অংশ হিসেবে উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতা ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।

  • যথাযোগ্য মর্যাদায় কুবিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপিত

    যথাযোগ্য মর্যাদায় কুবিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপিত

    তাসফিক আব্দুল্লাহ চৌধুরী, কুবি প্রতিনিধি: যথাযোগ্য শ্রদ্ধা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে নানা কর্মসূচি আয়োজন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটি।

    ২০ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ মিনারে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ১১টায় কালো ব্যাজ ধারণ ও শোকর‌্যালি, পরবর্তী সময়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ২১ ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়।

    রাত ১২টা ১মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদদের উদ্দেশে শ্রদ্ধা নিবেদন ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী। পরে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, কুবি ছাত্রলীগ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, কর্মকর্তা-কর্মচারী সমিতি, আবাসিক হল, বিভাগসমূহ, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক, সামাজিক সংগঠন, ক্লাব ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

    উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরীর সভাপতিত্বে সাংস্কৃতিক ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভাষাসৈনিক শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের দৌহিত্রী সংসদ সদস্য আরমা দত্ত।

    প্রধান অতিথি আরমা দত্ত ভাষাসৈনিকদের শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ‘অনেক শ্রদ্ধা আর ভালবাসার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি একুশের প্রথম প্রহরে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাবে। ভাষা শহীদদের রক্তে লেখা মাতৃভাষা ভিত্তিক বাংলাদেশ রাষ্ট্র আমরা পেয়েছি। আমরা সেই ভাষাসৈনিকদের কখনোই ভুলবোনা। আজকের এই একুশে লগ্নে আপনারা শহীদদের বুকে ধারণ করবেন, বঙ্গবন্ধুকে ধারণ করবেন এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবেন।’

    তিনি আরো বলেন, ‘আমরা গর্বিত জাতি। বাঙালিরা প্রাণ দিতে জানে, মাথা নত করতে জানে না।’

    ২১ ফেব্রুয়ারি জুম্মার নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে ভাষাশহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়ার ব্যবস্থা করা হয়।

  • পর্দা নামলো কুবির জমকালো ফিন ফেস্টের

    পর্দা নামলো কুবির জমকালো ফিন ফেস্টের

    তাসফিক আব্দুল্লাহ চৌধুরী, কুবি প্রতিনিধি: জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে পর্দা নামলো কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগ আয়োজিত ফিন ফেস্টের।

    আজ মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দুইদিন ব্যাপী এ অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

    গতকাল সোমবার বিভাগটির ফিন্যান্স ক্লাবের উদ্যোগে নানা আয়োজনে ফিন ফেস্ট শুরু হয়। কেক কাটা ও র‍্যালির মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।

    সমাপনী অনুষ্ঠানে ফিন্যান্স ক্লাবের সভাপতি এমদাদুল হকের সভাপতিত্বে ও সরকার উম্মে সালমা জাহান উপমা এবং মোঃ হাফিজ উদ্দিনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এমরান কবীর চৌধুরী। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিভাগটির সভাপতি ফেরদৌসী জাহান।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য এমরান কবীর চৌধুরী বলেন, ‘ফিন্যান্স বিভাগ অত্যন্ত সুন্দরভাবে এই অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেছে। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন উৎসবমুখর পরিবেশে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করবে আমি এটাই চাই।

    এমন ইতিবাচক কাজের মধ্য দিয়ে সবাইকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রগতিতে কাজ করতে হবে।’

    আলোচনা অনুষ্ঠানের পর ফেস্টে আয়োজিত বিভিন্ন সহশিক্ষা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

    এরপর বিভাগের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ফেস্টের সমাপ্তি ঘটে।

    দুই দিনব্যাপী এই ফিন ফেস্টের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলো সামিকো ইন্টারন্যাশনাল এবং হোটেল গ্রেভারীন ইন্টারন্যাশনাল।

  • ফিন ফেস্টে উৎসবমুখর কুবি

    ফিন ফেস্টে উৎসবমুখর কুবি

    কুবি প্রতিনিধি : কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ফিন্যান্স & ব্যাংকিং বিভাগের উদ্যোগে শুরু হয়েছে দুই দিন ব্যাপী ফিন-ফেস্ট-২০২০। ফিন-ফেস্টের দুই দিনই রয়েছে নানা রকম আয়োজন। তার মধ্যে আজ (১৭ই ফেব্রুয়ারী) ছিল কেক কেটে শুভ উদ্ভোধন, বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, পিঠা উৎসব, ফ্লাশ মুব এবং সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা।

    আজ সকাল ১০ টায় কেক কেটে, বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্ভোধন ঘোষণা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এমরান কবির চৌধুরী। এসময় উপস্থিত ছিলেন, ফিন্যান্স & ব্যাংকিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ফেরদৌস জাহান, সহকারী প্রফেসর এমদাদুল হক, সুতপা চৌধুরী, নার্গিস সুলতানা, লেকচারার আল-আমিন হোসাইন, মনজুর হোসাইন, তমা সাহা, ফাহাদ জিয়া সহ বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

    কেক কাটার পর শোভাযাত্রা শেষ করে পিঠা উৎসব ঘুরে দেখেন উপাচার্য। তারপর শুরু হয়েছে সবচেয়ে আকর্ষনীয় অংশ ফ্লাস মুব এবং সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা।

    ১০ম ব্যাচের শিক্ষার্থী ইমন বলেন, এতোদিনে আমাদের স্বপ্ন পুরন হয়েছে। আগে আমরা বলতাম আমাদের এমন একটা প্রোগ্রাম হবে কিন্তু এখন আমরা বলতে পারি যে,এই রকম প্রোগ্রাম আমাদের হয়।”

    এই প্রসঙ্গে ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের লেকচারার মনজুর হুসাইন বলেন,” অনেক স্বপ্ন ছিল এই প্রোগ্রাম টি নিয়ে। আমরা চেষ্টা করেছি বিভিন্ন কর্পোরেট হাউজকে যুক্ত করে আমাদের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার জন্য।”

    বিভাগের লেকচারার তমা সাহা বলেন, ” প্রথম বারের মতো আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের নতুনত্ব ছিলো থিম সং। যা আগে কখনো ছিলো না এবং এবং এটি ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের নিজেদের তৈরি ।”

    শোভাযাত্রার শেষে উপাচার্যসহ সকল শিক্ষকমণ্ডলী পিঠা উৎসবের স্টল পরিদর্শন করেন।

  • ৭ থেকে ৮ কুবির অনুপ্রাস!

    ৭ থেকে ৮ কুবির অনুপ্রাস!

    তাসফিক আব্দুল্লাহ চৌধুরী, কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) একমাত্র আবৃত্তি সংগঠন অনুপ্রাস- কণ্ঠ চর্চা কেন্দ্র ৮ম বছরে পদার্পণ করেছে। এ উপলক্ষে ‘মানুষের নিরন্তর নিঃশব্দ ক্রন্দনে উর্বর অনুপ্রাস’- স্লোগানে ৭ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়।

    শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিক অনুষদে সকাল ১০টায় এ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে।

    অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জি. এম. মনিরুজ্জামান, ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহা. হাবিবুর রহমান, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মুর্শেদ রায়হান ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাসেনা বেগম।

    এ ছাড়া প্রতিবর্তন, থিয়েটার, বিএনসিসি, সমকাল সুহৃয়-সমাবেশ, সায়েন্স ক্লাবসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

    অনুষ্ঠানে সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহা. হাবিবুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে জ্ঞান সৃষ্টি করার জায়গা। আর জ্ঞান সৃষ্টি হয় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন দ্বারা। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুপ্রাস-কণ্ঠ চর্চা কেন্দ্র জ্ঞান সৃষ্টির অন্যতম সংগঠন।

    উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শুদ্ধ উচ্চারণ, আবৃত্তি, বাচনিক উৎকর্ষ ও উপস্থাপনা নিয়ে কাজ করে আসছে অনুপ্রাস-কণ্ঠ চর্চা কেন্দ্র।

  • কুবিতে লেগেছে বসন্তের ছোঁয়া

    কুবিতে লেগেছে বসন্তের ছোঁয়া

    তাসফিক আব্দুল্লাহ চৌধুরী, কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রতিবর্তন কর্তৃক বসন্ত বরণ উৎসব উৎযাপিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) বিকালে মুক্তমঞ্চে এই অনুষ্ঠান উৎযাপিত হয়।

    উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের, ফার্মেসি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় প্রধান মো. এনামুল হক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. বেলাল হুসাইন, একই বিভাগের প্রভাষক কাজী এম. আনিসুল ইসলাম, শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল ইসলাম মাজেদসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

    এই উৎসবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবৃত্তি সংগঠন অনুপ্রাস কন্ঠচর্চা কেন্দ্রের পক্ষ থেকে কবিতা আবৃত্তি করা হয়। এছাড়াও অনুষ্ঠানে নাচ, গান ও নৃত্যের আয়োজন ছিল।

    অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় মূলত প্রাণবন্ত থাকে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর জন্য। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো অনেক চেষ্টা করে যাচ্ছে। এ সংগঠনগুলোর প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখা হবে।’