কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া অবৈধভাবে পাহাড় কাটায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনসহ চার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে পনের লক্ষ পঁচিশ হাজার টাকা জরিমানা করে পরিবেশ অধিদপ্তর(চট্টগ্রাম)। চট্টগ্রামের পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ মোয়াজ্জম হোসাইন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাড়পত্র ব্যাতিত পাহাড় কাটায় বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত-২০১০) এর ধারা-৭ অনুযায়ী পরিবেশের ক্ষতি সাধনের জন্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে তিন লক্ষ পাঁচ হাজার টাকা, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স এ রহমান এন্টারপ্রাইজকে ছিয়াত্তর হাজার দুইশত পঞ্চাশ টাকা, স্টারলাইন সার্ভিসেস লিমিটেডকে তিন লক্ষ একাশি হাজার দুইশত পঞ্চাশ টাকা, মেসার্স আব্দুর রাজ্জাক কে তিন লক্ষ পাঁচ হাজার টাকা এবং জাকির এন্টারপ্রাইজ এন্ড খোকন এন্টারপ্রাইজকে চার লক্ষ সাতান্ন হাজার পাঁচশত টাকা সাত কার্যদিবসের মধ্যে পরিশোধ করার জন্য বলা হয়, বলে জানিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
আদেশে আরো বলা হয়,পাহাড়কে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য এবং ভবিষ্যত উন্নয়ন কর্মকান্ডের ক্ষেত্রে পরিবেশ অধিদপ্তরের পূর্বানুমতি গ্রহণ ও এধরনের অপরাধ না করার জন্য অঙ্গীকারনামা দাখিল করার জন্য।
উল্লেখ্য, গত ১৭ ফেব্রুয়ারী ছাড়পত্র না নিয়ে শিক্ষক ক্লাব কাম গেস্ট হাউস নির্মাণের জন্য পাহাড় কাটায় কু্বিপ্রশাসনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম কার্যালয়।
তাসফিক আব্দুল্লাহ চৌধুরী, কুবি প্রতিনিধি: ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাস। নারায়ন আচার্য্যের কিছুদিন ধরে পেটে ব্যথা, কিছু খেতে পারতেন না। হাসপাতালে ভর্তির পর জানা গেল তিনি লিভারের কঠিন রোগে আক্রান্ত। সুস্থ করার জন্য লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে হবে! কিন্তু কে দেবে লিভার? এগিয়ে এলেন মেয়ে উর্মি আচার্য্য। এই সাহসী মেয়েই তার ৬৭ শতাংশ লিভার বাবাকে দান করেছেন।
শর্মী আচার্য্য ও উর্মি আচার্য্য দুইবোন। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থী। বড়বোন শর্মী ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের (৭ম ব্যাচ) গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী। ছোটবোন উর্মি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের (৮ম ব্যাচ) অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস (এআইএস) বিভাগে পড়েন। তাদের বাবা নারায়ন আচার্য্য দীর্ঘদিন যাবৎ লিভার সিরোসিসে ভুগছিলেন।
বাংলাদেশে চিকিৎসকদের পরামর্শে বাবাকে নিয়ে উর্মিরা ভারত যান গেল বছরের ২৬ ডিসেম্বর। ভর্তি হন দিল্লির ম্যাক্স হেলথকেয়ার হসপিটালে।
উর্মি আচার্য্য জানান, ‘১৫ লক্ষ টাকা নিয়ে দিল্লি গিয়েছিলাম। কিন্তু অপারেশনের জন্য দরকার ২৫ লক্ষ টাকা। এরমধ্যে সব পরীক্ষা করাতে প্রায় ২লক্ষ টাকা শেষ। এদিকে বাবার অবস্থা আরো খারাপ হতে লাগল। তাই ৭ জানুয়ারি অপারেশনের তারিখ দিল চিকিৎসকরা। কিন্তু অপারেশনের জন্য পুরো টাকা আগে জমা করতে হবে, আমরা জমা করতে পারিনি। এতে অপারেশনের তারিখ পিছিয়ে গেল। বাবার শরীর খারাপ হতে থাকলো। তখন ইমার্জেন্সি মোট ৬ বার হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয় বাবাকে। এইভাবে আমাদের হাতের টাকা কমতে থাকে। তাছাড়া সেখানে থাকা-খাওয়া অনেক ব্যয়বহুল। সবমিলিয়ে অনেক হতাশায় দিনপার করছিলাম।’
গত ১৭ জানুয়ারি লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্টের অপারেশন হয়। উর্মি দান করেন ৬৭ শতাংশ লিভার। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বাবা নারায়ন আচার্য্যকে নিয়ে দেশে ফেরেন উর্মি।
উর্মি বলেন, দিল্লির চিকিৎসকরা আরো কিছুদিন থাকতে বলেছিলেন। কিন্তু আমাদের টাকা শেষ হওয়ায় আমাদের দেশে চলে আসতে হয়েছে। হাসপাতালে বাবাকে দেখেছেন বিখ্যাত লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট সার্জন ডা. সুভাষ গুপ্তা। তাকে আমাদের আর্থিক ব্যাপারটা বুঝিয়ে বলাতে বাংলাদেশে আসতে দিয়েছেন। দেশে প্রতি সপ্তাহ পর পর সংশ্লিষ্ট পরীক্ষাগুলোর রিপোর্ট ইমেইল পাঠাতে বলেছেন তিনি।
তিনি জানান, পরীক্ষাগুলো অনেক ব্যয়বহুল৷ আর বাবা এখন থেকে সারাজীবন অনেক দামি মেডিসিন নিতে হবে। আমি সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ছিলাম। এখন বাবাকে লিভার দেয়ায় আমিও কোন উপার্জন করতে পারব না। তাই অনেক দুশ্চিন্তায় দিন পার করতে হচ্ছে আমার।
তবে সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে উর্মি আচার্য্য বলেন, ‘সকলের সহযোগিতায় বাবার অপারেশন সম্ভব হয়েছে। কৃতজ্ঞতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বড় ভাই-বোন, সহপাঠী, অন্যান্য শিক্ষার্থীদের প্রতি। দেশের মানুষ যেভাবে এগিয়ে এসেছে তা আমি মুখে বলে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারবোনা।’
নিজেদের সুস্থতার ব্যাপারে উর্মি বলেন, ‘বাবা সুস্থ হতে ছয় মাসের মতো লাগতে পারে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আমার সুস্থ হতে তিন মাসের মতো লাগতে পারে।’
বাবাকে লিভারের অংশ বিশেষ দেয়ার ব্যাপারে উর্মি জানান, ‘বাবাকে লিভার দান ছিল আমার কর্তব্যের অংশ। আর সকলের সহযোগিতা করার আগ্রহ আমার সাহসিকতাকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। সবকিছুর জন্য সৃষ্টিকর্তার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা।’
উল্লেখ্য, গেল বছর বাবার চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা চেয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন উর্মি আচার্য্য। সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, দেশের জনগণ ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা।
কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি বিভাগের ২০১২-১৩ সেশনের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে প্রশাসনের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানবন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বুধবার দুপুরে মূল ফটকের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা এ মানববন্ধন করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২০ ফেব্রুয়ারী দিবাগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে ২১ শে ফেব্রুয়ারীর প্রথম প্রহরের আগে ‘কবর’ নাটক মঞ্চস্থ করতে স্টেজে উঠে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় থিয়েটার। কিন্তু সাড়ে ১১ টার দিকে সময় স্বল্পতার কথা বলে নাটকটি মাঝপথে থামিয়ে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং শুরু হয় আলোচনা সভা। নাটক থামিয়ে আলোচনা সভা করায় অব্যবস্থাপনার অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ জানায় থিয়েটারকর্মীরা। এরই প্রেক্ষিতে থিয়েটারের প্রাক্তন সভাপতি ও আইসিটি বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জড়িয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন।
ফেসবুকে দেওয়া এই স্ট্যাটাসে ক্ষুব্ধ হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন মহল। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি এই স্ট্যাটাসের ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর আবেদন করে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা দপ্তরের সহকারী রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ ছাদেক হোসেন মজুমদার বাদী হয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের ২৯ ও ৩১ নং ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। পাশাপাশি মেহেদীর সনদ সাময়িকভাবে স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এরই প্রেক্ষিতে শাস্তি মওকুফের দাবিতে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ম ব্যাচের শিক্ষার্থী অর্ক গোস্বামী বলেন, ‘মানুষ মাত্রই ভুলের উর্ধ্বে নয়। মেহেদী ভাই ভুল করেছে তার জন্য সে সবার কাছে ক্ষমা চেয়েছে। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্তান ভেবে ক্ষমা করে দিবেন।’
৭ম ব্যাচের শিক্ষার্থী জাবেদ বলেন, ‘মেহেদী যা করেছে আমরা ও মনে করি তা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। কিন্তু অতীতে আমরা দেখেছি মেহেদী সবসময় চেয়েছে দেশের মানুষের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলে ধরতে এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রতিনিধিত্ব করেতে। সে তার ভুলের জন্য অনুতপ্ত। তাই আমরা প্রশাসনের কাছে বিনীত অনুরোধ তার বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছে তা যেন প্রশাসন তুলে নেয় এবং তাকে মানবিক দৃষ্টিতে ক্ষমা করে দেয়।’
মানবন্ধনে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা মেহেদীর পক্ষে ক্ষমা চেয়ে বিভিন্ন পোস্টার নিয়ে অংশ নিয়েছিলেন। এছাড়াও গত দুদিনে মেহেদীর বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের জন্য প্রায় তিন সহস্রাধিক শিক্ষার্থী গণস্বাক্ষর করেন বলে জানা যায়।
কুবি প্রতিনিধি: পাঁচ দফা দাবিতে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ (বিবিএ) ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে তালা লাগিয়ে আন্দোলন করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট অনুষদের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার সকাল থেকে অনুষদের মূল ফটকে তালা লাগিয়ে আন্দোলনে নামে তারা। পরবর্তীতে তারা অনুষদের সামনে থেকে সরে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে অবস্থান নেয়।
শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবিগুলো হচ্ছে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের প্রত্যেকটি বিভাগের জন্য আলাদা ক্লাসরুম, প্রত্যেক বিভাগের জন্য আলাদা ল্যাব ও সেমিনার, শিক্ষকদের জন্য পর্যাপ্ত রুম, নামাজের জন্য আলাদা রুম, মেয়েদের জন্য স্বতন্ত্র আলাদা রুম ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের স্বতন্ত্র পরিচয় যেখানে অন্য কোনো বিভাগ ক্লাস করতে পারবে না।
আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, এতোদিন ক্লাসরুম সংকটে আমাদের ফ্যাকাল্টিতে সিইসি ও আইসিটি বিভাগ ক্লাস করেছে। তাই আমরা তাদের সাথে ক্লাসরুম ভাগাভাগি করেছি। কোনো আন্দোলন করি নাই। কিন্তু এখন এ বিভাগ দুইটি তাদের নিজেদের অনুষদে চলে যাওয়ায় আমাদের ক্লাসরুম ফাঁকা হয়েছে। তাই আমরা এখন আমাদের ক্লাসরুমের দাবীতে আন্দোলনে নেমেছি। আমাদের এ আন্দোলন কোনো বিভাগের বিরুদ্ধে নয়, বরং আমাদের প্রশাসনের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, সম্প্রতি এ অনুষদটিতে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অন্তর্ভুক্ত গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে বেশ কিছু ক্লাসরুম বরাদ্দ দেওয়া হয়।
এদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো: আবু তাহের প্রথমে কথা বলতে আসলেও শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের অনুপস্থিতিতে কোনো সমাধানে আসতে চায়নি।
পরে তিনি জানান, ‘উপাচার্য না থাকায় ব্যাপারটি নিয়ে কোনো সমাধান হয়নি। আগামী রোববার বেলা ১২টায় উপাচার্য ও বিভাগীয় প্রধানদের উপস্থিতিতে সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।’ এ আশ্বাস পেয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করে।
কুবি প্রতিনিধি: রোভার স্কাউটের প্রতিষ্ঠাতা লর্ড ব্যাডেন পাওয়েলের ১৬৩ তম জন্মদিন আজ।কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোভার স্কাউটরা তার জন্মদিনে কেক কেটে উদযাপন করে।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাডমিন্টন কোর্টে এ আয়োজন করা হয়।
এসময় সিনিয়র রোভার মেট আনোয়ার হোসাইন বলেন, স্কাউটের যে তিনটি আইন আছে সেগুলো মেনে আমাদের জীবন পরিচালনা করা উচিত। আমরা প্রত্যেকে এ আইনগুলো মেনে চলবো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং রোভার স্কাউটের আরএসএল (রোভার স্কাউট লিডার) জিয়া উদ্দিন বলেন, লর্ড ব্যাডেন পাওয়েলের চিন্তাভাবনাকে ভিত্তি করে আমরা রোভার স্কাউটকে সাজানোর পরিকল্পনা করছি। তিনি নিজেকে যেভাবে সুনাগরিক হিসেবে তৈরি করতে বলেছেন আমাদের সেভাবে চলতে হবে। মোটকথা, তার মত অনুযায়ী আমাদের চলতে হবে।
সেবাকে মূলমন্ত্র হিসেবে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোভার স্কাউট।
তাসফিক আব্দুল্লাহ চৌধুরী, কুবি প্রতিনিধি: জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে পর্দা নামলো কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগ আয়োজিত ফিন ফেস্টের।
আজ মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দুইদিন ব্যাপী এ অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
গতকাল সোমবার বিভাগটির ফিন্যান্স ক্লাবের উদ্যোগে নানা আয়োজনে ফিন ফেস্ট শুরু হয়। কেক কাটা ও র্যালির মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।
সমাপনী অনুষ্ঠানে ফিন্যান্স ক্লাবের সভাপতি এমদাদুল হকের সভাপতিত্বে ও সরকার উম্মে সালমা জাহান উপমা এবং মোঃ হাফিজ উদ্দিনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এমরান কবীর চৌধুরী। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিভাগটির সভাপতি ফেরদৌসী জাহান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য এমরান কবীর চৌধুরী বলেন, ‘ফিন্যান্স বিভাগ অত্যন্ত সুন্দরভাবে এই অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেছে। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন উৎসবমুখর পরিবেশে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করবে আমি এটাই চাই।
এমন ইতিবাচক কাজের মধ্য দিয়ে সবাইকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রগতিতে কাজ করতে হবে।’
আলোচনা অনুষ্ঠানের পর ফেস্টে আয়োজিত বিভিন্ন সহশিক্ষা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
এরপর বিভাগের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ফেস্টের সমাপ্তি ঘটে।
দুই দিনব্যাপী এই ফিন ফেস্টের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলো সামিকো ইন্টারন্যাশনাল এবং হোটেল গ্রেভারীন ইন্টারন্যাশনাল।
কুবি প্রতিনিধি : কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ফিন্যান্স & ব্যাংকিং বিভাগের উদ্যোগে শুরু হয়েছে দুই দিন ব্যাপী ফিন-ফেস্ট-২০২০। ফিন-ফেস্টের দুই দিনই রয়েছে নানা রকম আয়োজন। তার মধ্যে আজ (১৭ই ফেব্রুয়ারী) ছিল কেক কেটে শুভ উদ্ভোধন, বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, পিঠা উৎসব, ফ্লাশ মুব এবং সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা।
আজ সকাল ১০ টায় কেক কেটে, বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্ভোধন ঘোষণা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এমরান কবির চৌধুরী। এসময় উপস্থিত ছিলেন, ফিন্যান্স & ব্যাংকিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ফেরদৌস জাহান, সহকারী প্রফেসর এমদাদুল হক, সুতপা চৌধুরী, নার্গিস সুলতানা, লেকচারার আল-আমিন হোসাইন, মনজুর হোসাইন, তমা সাহা, ফাহাদ জিয়া সহ বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
কেক কাটার পর শোভাযাত্রা শেষ করে পিঠা উৎসব ঘুরে দেখেন উপাচার্য। তারপর শুরু হয়েছে সবচেয়ে আকর্ষনীয় অংশ ফ্লাস মুব এবং সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা।
১০ম ব্যাচের শিক্ষার্থী ইমন বলেন, এতোদিনে আমাদের স্বপ্ন পুরন হয়েছে। আগে আমরা বলতাম আমাদের এমন একটা প্রোগ্রাম হবে কিন্তু এখন আমরা বলতে পারি যে,এই রকম প্রোগ্রাম আমাদের হয়।”
এই প্রসঙ্গে ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের লেকচারার মনজুর হুসাইন বলেন,” অনেক স্বপ্ন ছিল এই প্রোগ্রাম টি নিয়ে। আমরা চেষ্টা করেছি বিভিন্ন কর্পোরেট হাউজকে যুক্ত করে আমাদের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার জন্য।”
বিভাগের লেকচারার তমা সাহা বলেন, ” প্রথম বারের মতো আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের নতুনত্ব ছিলো থিম সং। যা আগে কখনো ছিলো না এবং এবং এটি ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের নিজেদের তৈরি ।”
শোভাযাত্রার শেষে উপাচার্যসহ সকল শিক্ষকমণ্ডলী পিঠা উৎসবের স্টল পরিদর্শন করেন।
তাসফিক আব্দুল্লাহ চৌধুরী, কুবি প্রতিনিধি:
পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না নিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে কাটা হয়েছে পাহাড়। ‘শিক্ষক ক্লাব কাম গেস্ট হাউস’ নামে ভবনের নির্মাণ কাজের জন্য এই পাহাড় কেটেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, এতে পরিবেশের যেমন ক্ষতি হচ্ছে তেমনি ক্যাম্পাস হারাচ্ছে তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের দক্ষিণে নির্মানাধীন শিক্ষক ক্লাব কাম গেস্ট হাউসের কাজের জন্য উত্তর পাশের পাহাড়ের প্রায় অর্ধেক কেটে ফেলা হয়েছে। এই মাটি দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে নিচু জায়গা। ফলে যেকোন সময় পাহাড় ধ্বসে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের।
বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ (সংশোধন) আইনের ২০১০-এর ৬-এর ‘খ’ ধারা অনুযায়ী পাহাড় বা টিলা কাটার জন্য ছাড়পত্রে নেয়ার বিধান থাকলেও পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে সেই ছাড়পত্র নেয়া হয়নি বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে ছাড়পত্র ছাড়াই পাহাড় কাটা বন্ধে উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবাদী সংগঠন অভয়ারণ্য। আজ সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে উপাচার্য এমরান কবির চৌধুরীর সাথে সাক্ষাৎ করে এই স্মারকলিপি দেন সংগঠনটির সদস্যরা। পাহাড় কাটা বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেয়া ওই স্মারকলিপিতে সংগঠনটি উল্লেখ করে, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামো নির্মাণ করতে গিয়ে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র রক্ষাকারী পাহাড় কাটা হচ্ছে। যা পরিবেশ সংরক্ষণ আইন (সংশোধিত) ২০১০ এর ৬ (খ) এর পরিপন্থী। এভাবে নির্বিচারে পাহাড় কাটা হলে পরিবেশের চরম বিপর্যয় ঘটবে যা নিয়ে শিক্ষার্থীরা চরম উদ্বিগ্ন।
স্মারকলিপি গ্রহণ করে উপাচার্য বলেন, ‘আমরা আজই এই ব্যাপারে মিটিং করেছি৷ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এক কোদাল মাটিও যেন অন্যত্র না সরে সে বাপারে আমি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’
তাসফিক আব্দুল্লাহ চৌধুরী, কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) একমাত্র আবৃত্তি সংগঠন অনুপ্রাস- কণ্ঠ চর্চা কেন্দ্র ৮ম বছরে পদার্পণ করেছে। এ উপলক্ষে ‘মানুষের নিরন্তর নিঃশব্দ ক্রন্দনে উর্বর অনুপ্রাস’- স্লোগানে ৭ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিক অনুষদে সকাল ১০টায় এ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জি. এম. মনিরুজ্জামান, ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহা. হাবিবুর রহমান, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মুর্শেদ রায়হান ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাসেনা বেগম।
এ ছাড়া প্রতিবর্তন, থিয়েটার, বিএনসিসি, সমকাল সুহৃয়-সমাবেশ, সায়েন্স ক্লাবসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহা. হাবিবুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে জ্ঞান সৃষ্টি করার জায়গা। আর জ্ঞান সৃষ্টি হয় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন দ্বারা। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুপ্রাস-কণ্ঠ চর্চা কেন্দ্র জ্ঞান সৃষ্টির অন্যতম সংগঠন।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শুদ্ধ উচ্চারণ, আবৃত্তি, বাচনিক উৎকর্ষ ও উপস্থাপনা নিয়ে কাজ করে আসছে অনুপ্রাস-কণ্ঠ চর্চা কেন্দ্র।
তাসফিক আব্দুল্লাহ চৌধুরী, কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রতিবর্তন কর্তৃক বসন্ত বরণ উৎসব উৎযাপিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) বিকালে মুক্তমঞ্চে এই অনুষ্ঠান উৎযাপিত হয়।
উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের, ফার্মেসি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় প্রধান মো. এনামুল হক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. বেলাল হুসাইন, একই বিভাগের প্রভাষক কাজী এম. আনিসুল ইসলাম, শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল ইসলাম মাজেদসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
এই উৎসবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবৃত্তি সংগঠন অনুপ্রাস কন্ঠচর্চা কেন্দ্রের পক্ষ থেকে কবিতা আবৃত্তি করা হয়। এছাড়াও অনুষ্ঠানে নাচ, গান ও নৃত্যের আয়োজন ছিল।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় মূলত প্রাণবন্ত থাকে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর জন্য। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো অনেক চেষ্টা করে যাচ্ছে। এ সংগঠনগুলোর প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখা হবে।’
কুবি প্রতিনিধি: দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেট ফাইনালে ভারতকে পরাজিত করে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় আনন্দ মিছিল করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ।
বুধবার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি বিভিন্ন অনুষদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য প্রদক্ষিণ করে পুনরায় প্রধান ফটকের সামনে এসে মিছিল শেষ হয়।
আনন্দ মিছিলের নেতৃত্ব দেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইলিয়াস হোসেন সবুজ ও সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল ইসলাম মাজেদ।
মুজিববর্ষে বিশ্বকাপজয়ী যুবা টাইগারদের এই অসাধারণ সাফল্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়। মিছিলে ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে।
কুবি প্রতিনিধি : বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাগ ডে, বিষয়টা সব শিক্ষার্থীদের কাছেই একটু ভিন্ন আমেজ সৃষ্টি করে। কেউবা হয় স্মৃতিকাতর কিংবা কেউ শিক্ষাজীবনের সমাপ্তিতে হয়ে পড়েন আবেগ আপ্লুত।
এই দৃশ্যের বাইরে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ আয়োজন করেন একটু ব্যতিক্রম কিছু, যা সবার কাছে নতুনের বার্তা বহন করে।
অর্থনীতি নবম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা র্যাগ ডে উপলক্ষে এতিম শিক্ষার্থীদের মাঝে খাবার ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করে। এই ভিন্ন ধর্মী আয়োজনকে স্বাগত জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
১২ ই ফেব্রুয়ারি বুধবার সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাডমিন্টন মাঠে অর্থনীতি ২০১৪-১৫ সেশনের র্যাগ ডে কেক কাটার মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়।
এতে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় প্রধান ড. মোঃ শামিমুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মোঃ জাকির ছায়াদুল্লাহ খান, ড.কাজী কামাল উদ্দিন, প্রভাষক সাইফুল ইসলাম সহ বিভাগের সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।
ভিন্ন ধর্মী এমন আয়োজন নিয়ে অর্থনীতি বিভাগের ২০১৪-১৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী ঐশ্বর্য মিম বলেন, “আমাদের কাছেও ভালো লাগছে এতিমদের কিছু দিতে পেরে, আমাদের শিক্ষকদেরও অনুপ্রেরণা ছিলো এতে, আমি চাই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য বিভাগ ও যাতে মানুষের কল্যানে কিছু করে যান বিদায় বেলায়।”