Tag: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

  • জোরেশোরেই চলছে কুবি সমাবর্তনের প্রস্তুতি

    জোরেশোরেই চলছে কুবি সমাবর্তনের প্রস্তুতি

    কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) অভিষেক সমাবর্তন আয়োজনের বাকি আর মাত্র চারদিন। শেষ মূহুর্তে সমাবর্তনের প্রস্তুতি পুরোদমে চলছে। সমাবর্তনের আগেই সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে আত্মবিশ্বাস ব্যক্ত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্রফেসর ড. এমরান কবির চৌধুরী।

    বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সমাবর্তনকে সামনে রেখে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

    সমাবর্তনের প্রস্তুতি নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে উপাচার্য বলেন, ‘সমাবর্তনের প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে। পুলিশ প্রশাসন, জেলা প্রশাসন, গোয়েন্দা সংস্থা সবার সাথে নিয়মিত সভা হচ্ছে। সব ধরণের পুর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। আমরা আত্মবিশ্বাসী। সমাবর্তনের আগেই আমরা সব প্রস্তুতি যথাযথভাবে সম্পন্ন করতে পারবো।’

    আগামী ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন। সমাবর্তন উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে বইছে উৎসবের হাওয়া। বিভিন্ন সৌন্দর্যবৃদ্ধির মাধ্যমে প্রস্তুত হচ্ছে ক্যাম্পাসের প্রতিটি অংশ। বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে সমাবর্তন অনুষ্ঠানস্থল নির্মাণের প্রস্তুতিও চলছে পুরোদমে।

    সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর জনাব আবদুল হামিদ। সমাবর্তনে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্রফেসর ড. এমরান কবির চৌধুরী। বাংলাদেশ সরকারের অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য দিবেন। পাশাপাশি বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কাজী শহীদুল্লাহ।

    সমাবর্তনের মাধ্যমে ৫টি অনুষদের মধ্যে মোট ৫৬৪৮ জন শিক্ষার্থীকে মূল সনদ প্রদান করা হবে। তন্মধ্যে স্নাতক পর্যায়ে সনদ পাবেন ৩৫৬১ জন এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে সনদ পাবেন ২০৮৭ জন গ্র্যাজুয়েট। তবে সমাবর্তনে অংশগ্রাহীর সংখ্যা ২৮৮৮ জন। এছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য মোট ১৪ জন শিক্ষার্থীকে দেওয়া হবে চ্যান্সেলর পদক।

  • সাংবাদিক ও শিক্ষার্থী মারধরের পৃথক ঘটনায় কুবির ৩ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

    সাংবাদিক ও শিক্ষার্থী মারধরের পৃথক ঘটনায় কুবির ৩ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

    কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) এক সাংবাদিক ও এক শিক্ষার্থীকে মারধরের পৃথক ঘটনায় এক ছাত্রলীগ নেতাসহ তিনজনকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়াও এক ছাত্রলীগ নেতার কাছে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটানোকল্পে সতর্ক করে মুচলেকা চাওয়া হয়েছে।

    ২২ জানুয়ারি বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের স্বাক্ষরিত পৃথক দুটি অফিস আদেশের মাধ্যমে এসব তথ্য জানা যায়।

    সাংবাদিক মারধরের ঘটনায় বহিষ্কৃতরা হলেন একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের উপ-সমাজসেবা সম্পাদক মুনতাসির হৃদয় এবং একই বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগ কর্মী রাজু আহমেদ। এছাড়া এ বিভাগের একই ব্যাচের আরেক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সদস্য ও ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক মিরাজ খলিফাকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য সতর্ক করা হয়েছে।

    গত ৪ জানুয়ারি রাত ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলে হামলার শিকার হন দৈনিক বিজনেস বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সদস্য সজিব বণিক। এ ঘটনায় ৫ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ঐ সাংবাদিক।

    এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় এক মাসের জন্য বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোঃ নাসির উদ্দিনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়াও এই দুজনকেই সতর্ক করে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মোঃ রুবেলের সম্পূর্ণ চিকিৎসা ব্যয় আগামী দশ দিনের মধ্যে প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীকে।

    গত ১৩ জানুয়ারি নৃবিজ্ঞান বিভাগের সামনে বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নাসির উদ্দীন জিসান ও গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মো: রুবেলের উপর তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারামারি হয়। এতে গুরুতর আহত রুবেলকে পরদিন কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

  • প্রিয় শিক্ষকের পাশে কুবির ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীরা

    প্রিয় শিক্ষকের পাশে কুবির ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীরা

    কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বস্তরের শিক্ষার্থীরা ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান আলী রেজওয়ান তালুকদার স্যারের বিরুদ্ধে আনিত ষড়যন্ত্র মুলক অভিযোগের প্রতিবাদে মানববন্ধনের ডাক দেয়।

    সোমবার(২০ জানুয়ার) কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যের সামনে মানববন্ধনে ইংরেজি বিভাগের সকল শিক্ষার্থীদের সাথে অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীরাও সমবেত হয়ে স্যারের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রণোদিত অভিযোগের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করেন।

    ইংরেজি বিভাগের ৯ম ব্যাচের শিক্ষার্থী টিপু সুলতান উক্ত মানববন্ধনের সঞ্চালনায় বলেন,”স্যারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে সেটা ভিত্তিহীন,বানোয়াট একটা অভিযোগ। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে এতোদিন ধরে আছি কখনও দেখি নি স্যারের কোন ধরনের বাজে অভ্যাস দেখি নি। স্যার কখনও সুন্দরী মেয়েদের ক্লাস প্রতিনিধি করেন নি। স্যারের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

    বিভাগের ৯ম ব্যাচের শিক্ষার্থী ইমরান বলেন,”জাতির পতাকা আজ খামছে ধরেছে শকুনেরা।যারাই দেশের উন্নয়ন করতে চায়, তাদের এভাবেই ধমিয়ে রাখার চেষ্টা করা হয়। স্যার বিভাগে একজন সম্মানিত শিক্ষক তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ মানি না।

    বিভাগের ১০ ব্যাচের শিক্ষার্থী নজরুল বলেন,”বিশ্ববিদ্যায়ের প্রতিটা শিক্ষক আমাদের মাথার তাজ। তাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আমরা মানি না। বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোন শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আসলে সেটা প্রতিরোধ করবো।

    তারা আরও বলেন,তাদের শিক্ষক অপরাজনীতির শিকার হয়েছে।কিছু সুবিধাবাদী মহল স্যারের বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছে নিজেদের হিনো স্বার্থ উদ্ধার করার জন্য।তাদের প্রতিরোধ করার ঘোষনা দেন।

    ইংরেজি বিভাগের ৮ম ব্যাচের (মাস্টার্স) শিক্ষার্থী ও লিভারেল মাইন্ডসের ভিপি হুমায়ুন তালুকদার বলেন,” স্যার আমাদের বিভাগের রত্ন। আমি ৬ বছর এই বিভাগে পড়াশোনা করছি কোন দিন শুনি নি স্যারে কোন বাজে কাজ সম্পর্কে, এখন হঠাৎ করে বাইরের একজন অভিযোগ করলেই তিনি কখনও অপরাধী হতে পারেন না। স্যার বিভাগে আসার পর সেশন জ্যাম অনেক কমিয়েছেন।ইংরেজি বিভাগের নাম উজ্জ্বল করেছেন। তাঁর সুনামে ঈষার্ণিত হয়ে এক মহল স্যারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। আমরা সবাই মিলে এই ষড়যন্ত্রের মোকাবেলা করবো ইনশাল্লাহ। তিনি,সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে স্যার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের সমাধান প্রশাসনকে করার জন্য অনুরোধ করেন।

    উল্লেখ্য, গত ১৫ জানুয়ারি (বুধবার) ইংরেজী বিভাগের অধীনে সন্ধ্যাকালীন স্নাতকোত্তর (ইএমএ) কোর্সের এক শিক্ষার্থী প্রোগ্রাম ডিরেক্টর এবং ওই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এবং যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ সেলের নিকট আলী রেজওয়ান তালুকদার স্যারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা দেন।

  • মারধরের প্রতিবাদে মানববন্ধন; বিচারের দাবি কুবি শিক্ষার্থীদের

    মারধরের প্রতিবাদে মানববন্ধন; বিচারের দাবি কুবি শিক্ষার্থীদের

    কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিঃ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মোঃ রুবেলকে মারধরের বিচার চেয়ে মানববন্ধন করেছে বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

    রোববার (১৯ জানুয়ারী) দুপুর ১২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে মানববন্ধন করে তারা।

    মানববন্ধনে বিভগের শিক্ষার্থীরা মারধরের বিচার চেয়ে ‘ক্যাম্পাসে হামলা আর নয়, আর নয়; মেধাবীদের ক্যাম্পাসে কোনো সন্ত্রাসীর জায়গা নেই; আমার ভাই হাসপাতালে ভর্তি কেন প্রশাসন জবাব চাই’ এমন লিখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়ায়।

    মানববন্ধনে বিভাগের বিভিন্ন ব্যাচের প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন। এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, রুবেলকে মারধরের ৬ দিন পেরিয়ে গেলেও দৃশ্যমান কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। যা খুবই লজ্জাজনক।

    শিক্ষার্থীরা ২৪ ঘন্টার সময় বেঁধে দিয়ে বলেন, ‘আগামীকাল (সোমবার) সকাল ১০ টার মধ্যে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়া হলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়া হবে।’

    বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, আমরা তদন্ত করেছি মারধরের ঘটনার। তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি হয়ে গেছে। রেজিস্ট্রার বরাবর আমরা জমা দেব।

    গত সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেল ৩ টার দিকে কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের নৃবিজ্ঞান বিভাগের সামনে বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নাসির উদ্দীন জিসান গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী রুবেলের উপর তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চড়াও হয়। এসময় তার সঙ্গে অজ্ঞতানামা আরও দুই থেকে তিনজন মারধর করে।

    পরবর্তীতে বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলে চিকিৎসার পাঠায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসায় সুস্থ হয়। পরে গত মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে অচেতন হলে বিশ্ববিদ্যালয় এম্বুল্যান্স যোগে তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

    কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থা খারাপ দেখে মেডিকেল কলেজে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

  • কুবির সমাবর্তনে চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছেন ১৩ শিক্ষার্থী

    কুবির সমাবর্তনে চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছেন ১৩ শিক্ষার্থী

    তাসফিক আব্দুল্লাহ, কুবি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) প্রথমবারের মত সমাবর্তন হতে যাচ্ছে ২৭ জানুয়ারি। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বোচ্চ ফল অর্জনকারী স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের ১৩ জন শিক্ষার্থীকে চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড ও ৫২ জনকে ডিনস অ্যাওয়ার্ড দেয়া হবে।

    চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড পেতে যারা যারা মনোনীত হয়েছেন তারা হলেন- মো. মাসুদ রানা (অর্থনীতি), খাদিজা বেগম (গণিত), পারভিন আক্তার (গণিত), আমেনা বেগম (আইসিটি), সানজিদা হক (পদার্থবিজ্ঞান), মাহিনুর আক্তার (গণিত), মোসাঃ নয়ন তারা (অর্থনীতি), নাসরিন আক্তার ঝুমুর (মার্কেটিং), রাবেয়া জামান (এআইএস), আমেনা বেগম (আইসিটি), মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম (ব্যবস্থাপনা শিক্ষা), মোহাম্মদ কামরুল হাসান (আইসিটি), উম্মুল খায়ের সুমি (পরিসংখ্যান), রিপা আক্তার (ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং)।

    চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড দেয়া হবে ১৩ জনকে কিন্তু অর্থনীতি বিভাগের আমেনা বেগম স্নাতকে একবার এবং স্নাতকোত্তরে আরেকবার স্বর্ণপদক পাচ্ছেন।

    ২৭ জানুয়ারি বেলা ৩ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে সমাবর্তন হবে। এতে অংশ নেয়ার জন্য ২ হাজার ৮৮৮ জন নাম নিবন্ধন করেছে। এতে রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর (আচার্য) মো. আব্দুল হামিদ উপস্থিত থাকবেন।

    এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, রাষ্ট্রপতির হাত থেকে শিক্ষার্থীরা স্বর্ণপদক গ্রহণ করবে এটা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন, এর চেয়ে বড় অর্জন আর হতে পারে না। এটি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যও অনেক বড় প্রাপ্তির জায়গা। আমরা চাই শিক্ষার্থীরা শিক্ষা জীবন শেষ করে সর্বোচ্চ জায়গায় থাকুক।

  • সব জল্পনা কল্পনার অবসান; অর্থমন্ত্রীই কুবির সমার্বতন বক্তা

    সব জল্পনা কল্পনার অবসান; অর্থমন্ত্রীই কুবির সমার্বতন বক্তা

    তাসফিক আব্দুল্লাহ : কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) প্রথম সমাবর্তনের বক্তা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল মহলে নানা জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে আসছেন আইসিসির সাবেক প্রেসিডেন্ট ও অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল এমপি। এমনটাই জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. আবু তাহের।

    সাংবাদিকদের সাথে একান্ত সাক্ষাতকারকালে এমনটাই নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার।

    এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ ও শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. আবু তাহের বলেন, সমাবর্তনের বক্তা হিসেবে আসছেন বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তাফা কামাল। উনাকে আমরা আনতে পারছি এজন্য আমরা খুবই গর্বিত। সম্প্রতি উনাকে গ্লোবাল ফিন্যান্স মিনিস্টার অব দ্য ওয়ার্ল্ডে ভূষিত করা হয়েছে। উনি হচ্ছেন বৈশ্বিক ব্যক্তিত্ব। উনাকে সমাবর্তনে আনতে পারা সৌভাগ্যের ব্যাপার।

    এছাড়াও তিনি বলেন, সমাবর্তনে মাননীয় রাষ্ট্রপতি আসবেন। তাই খুবই গুরুত্বসহকারে সকল কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে। আমরা আশাবাদী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন খুব সুন্দরভাবে সম্পন্ন হবে।

    উল্লেখ্য, আগামী ২৭ জানুয়ারি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে। এ সমাবর্তনে দুই হাজার আটশত পঁয়ত্রিশ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে।

  • প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরও কুবিতে মিললো না কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ বাস

    প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরও কুবিতে মিললো না কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ বাস

    কুবি প্রতিনিধিঃ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) প্রশাসন থেকে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সময় বাস বৃদ্ধির আশ্বাস দিয়ে আসলেও এখনও মিলেনি সেই সোনার হরিণ নামে পরিচিত কুবির বাস।

    প্রয়োজনের তুলনায় কম বাস থাকায় প্রতিদিন সাধারণ শিক্ষার্থীদের পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ।

    বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৯-২০ শিক্ষা বর্ষে ১৯ টি বিভাগে প্রায় ১ হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি হলেও পরিবহণ পুলে যুক্ত হয়নি একটি বাসও। তাই শিক্ষার্থীদের পড়তে হচ্ছে চরম ভোগান্তিতে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছে।

    শিক্ষার্থীরা জানায়, কুবি প্রশাসন শিক্ষার্থীদের সুযোগ সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে পারিনি কখনও। কেন প্রতিবার আন্দোলন করতে হবে বাস বৃদ্ধির জন্য!

    বাসের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে শিক্ষার্থীরা পরিবহন পুলে, বাস সংক্রান্ত মতামতের প্ল্যাটফরম ও ফেইসবুক পেইজে প্রতিনিয়ত অভিযোগ করলেও নিশ্চুপ ভুমিকা পালন করছে কুবি প্রশাসন।

    বিআরটিসি এবং কুবি প্রশাসনের খামখেয়ালি পনায় চলছে কুবির পরিবহন সেক্টর। ফিটনেস বিহীন, নষ্ট গাড়ি পাঠিয়ে দায়সাড়া ভাবে চুক্তি রক্ষা করছে বিআরটিসি আর এ নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থী অভিযোগ করলেও কোন পদক্ষেপ নেয় নি পরিবহন সেক্টর। একে অপরকে দোষারোপ করেই চলেছে। ফলে সাধারণ শিক্ষার্থী তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

    বিআরটিসি বাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম থাকার কথা থাকলেও কয়েকটি ছাড়া বাকি বাসে নামের কোন চিহ্ন নেই। আর এই নামবিহীন বিআরটিসি বাসগুলোই সবচেয়ে বেশি দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।

    ফিটনেস বিহীন বাস জোড়াতালি দিয়েই চলছে কুবির পরিবহন সেক্টর। বিআরটিসির ভাড়ায় চালিত লাল বাস রয়েছে ১১ টি যার বেশির ভাগেরই নেই ফিটনেস, কুবির নিজস্ব বাস রয়েছে ৫ টি তার মধ্যে একটি বাস নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে প্রায় ৩/৪ মাস আগ থেকে।

    লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী এ এম নুর উদ্দীন হোসাইন বলেন, “বাস সংকট কুবিতে দীর্ঘদিনের। এটার জন্য স্বারকলিপি কিংবা আন্দোলনও কম হয়নি। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চরমে গেলে দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল প্রশাসন।

    বিভিন্ন সময় আন্দোলন থামাতে প্রশাসন থেকে বাস বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে কুবিতে আসবে ৮টি দোতলা বাস। কিন্তু আশ্বাস শুধু আশ্বাসেই রয়ে গেছ।

    পরিবহন পুলের প্রশাসনিক কর্মকর্তা জাহিদুল আলম বলেন, “বাসের ট্রীপ ৫৮ থেকে ৭০ টা করা হয়েছে। বাসের সংখ্যা না বাড়লেও ট্রিপ বাড়িয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছি। জনবলের অভাবে আমার একার পক্ষে পুরো দায়িত্বটা পালন করা কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। আমি প্রশাসনকে জনবল বাড়ানোর কথা বলেছি।

    পরিবহন পুলের উপদেষ্টা মো. এমদাদুল হক বলেন,”জানুয়ারি-ফ্রেবুয়ারিতে বাসের উপর অনেক চাপ পড়ে এবং পরবর্তীতে চাপটা কমে যায়। প্রশাসন এই বিষয়টা নজরে রেখেছে। তিনটা বাস কেনার টেন্ডার আহ্বান করার কাজ শেষ হয়েছে। আপদকালীন সমস্যা সমাধানে আমরা আগামী সপ্তাহে আলোচনায় বসবো।

    উল্লেখ্য, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন সেক্টরের সুনিদির্ষ্ট কোন নীতিমালা নেই।

  • তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কুবি শিক্ষার্থীর মধ্যে মারামারি , হাসপাতালে ভর্তি

    তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কুবি শিক্ষার্থীর মধ্যে মারামারি , হাসপাতালে ভর্তি

    কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রুবেলকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নাসির উদ্দিন এর নেতৃত্বে আরো অজ্ঞাতনামা দুই থেকে তিনজন কর্তৃক ভুক্তভোগী রুবেল মারধরের শিকার হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

    এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীর পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগী রুবেলের সহপাঠীরা। অভিযোগের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার সময়ও বেঁধে দিয়েছে তারা।

    অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ জানুয়ারি সোমবার বিকাল ৩ টার দিকে কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের নৃবিজ্ঞান বিভাগের সামনে বাংলা বিভাগের ১৩ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নাসির উদ্দীন জিসান ( ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী রুবেলের উপর তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অতর্কিত চড়াও হয়। এসময় তার সঙ্গে অজ্ঞতানামা আরও দুই থেকে তিনজন মারামারিতে অংশগ্রহণ করে।

    পরবর্তীতে বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসায় সুস্থ হয়।

    তবে গতকাল মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিকালে সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে বিশ্ববিদ্যালয় এম্বুল্যান্স যোগে তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থা খারাপ দেখে মেডিকেল কলেজে ভর্তির পরামর্শ দেন। বর্তমানে সে মেডিকেলের সার্জারী বিভাগে চিকিৎসারত ও ভর্তি আছে।

    এই ঘটনায় অভিযুক্ত নাসির উদ্দিন জিসান বলেন, ‘অামি অামার এক ছোট ভাইয়ের সাথে কথা বলছিলাম। রুবেল আমার সাথে কথা কাটাকাটি করতে এসে আমাকে মেরেছে, পরে আমি প্রতিরোধ করেছি। তখন হয়তো সে ব্যথা পেয়েছে। এখানে আমার কোনো দোষ নাই।’

    অভিযোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী কামাল উদ্দীন বলেন, ‘আমি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টির গুরুত্বের সাথে আমলে নিয়েছি। অতিদ্রুত এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

  • শিক্ষার্থীদের ব্যায়ামাগার ‘পাহারা দেয়’ কুবি ছাত্রলীগ!

    শিক্ষার্থীদের ব্যায়ামাগার ‘পাহারা দেয়’ কুবি ছাত্রলীগ!

    কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যায়ামাগার এখন অনেকটাই শাখা ছাত্রলীগের অঘোষিত ‘দলীয় কার্যালয়’।

    বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সরাসরি কোনো নিয়ন্ত্রণ না থাকায় নিজেদের ইচ্ছেমতো খুলে এখানে বসেই নিয়মিত সাংগঠনিক কার্যক্রম চালান শাখা ছাত্রলীগের নেতারা।

    তবে দলীয় অফিস নয়, বরং ব্যায়ামাগারটি রক্ষণাবেক্ষণ এবং নিয়মিত পাহারা দিয়ে দেখভাল করেন বলে দাবি শাখা ছাত্রলীগ সভাপতির। যদিও ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে যোগদানের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার পূর্বে দেওয়া এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এটিকে ‘দলীয় কার্যালয়’ বলেই উল্লেখ করেছিলেন।

    জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৮ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের উত্তরপাশে অবস্থিত ব্যায়ামাগারটি উদ্বোধন করেন। প্রায় ৪ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা ব্যয়ে ১৭টি ব্যায়ামের যন্ত্র কেনা হয় ব্যায়ামাগারটিতে।

    কিন্তু উদ্বোধনের কিছুদিন পরই শাখা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ ব্যায়ামাগারটিতে নিজেদের দলীয় স্টিকার সম্বলিত টেবিল এবং চেয়ার ঢোকালে ব্যায়ামের জায়গা আরও সংকীর্ণ হয়ে পড়ে।

    ব্যায়ামাগারটি পরিদর্শন করতে গিয়ে দেখা যায়, ব্যায়ামাগারের একপাশে ছাত্রলীগ নেতাদের বসার জন্য চেয়ার-টেবিল পাতা, শাখা ছাত্রলীগের পদধারী কয়েকজন ব্যায়ামাগারের ভেতর বসিয়েছেন আড্ডা, চলে ধূমপানও।

    ব্যায়ামাগারে চেয়ার-টেবিল পেতে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালানোয় ব্যায়ামাগারের জায়গা সংকীর্ণ হয়ে এসেছে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। পাশাপাশি ব্যায়ামাগারে আসতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন বলেও অভিযোগ সাধারণ শিক্ষার্থীদের।

    ব্যায়ামাগারের সুবিধাবঞ্চিত বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী রফিকুল ইসলাম ইনজামাম জানান, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রতি একটি ব্যায়ামাগার খোলা হলেও সেখানে প্রশাসনের সরাসরি নিয়ন্ত্রণ নেই। পর্যাপ্ত জায়গাও নেই ব্যায়ামাগারে। কুবির ব্যায়ামাগার একটি নামমাত্র প্রতিষ্ঠান।’

    এদিকে অভিযোগ উঠেছে ব্যায়ামগারটি প্রায়শই তালাবদ্ধ থাকে। যার চাবি থাকে শুধুমাত্র শাখা ছাত্রলীগ নেতাদের কাছেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা বিভাগের কারও হাতে নেই এর চাবি বা নিয়ন্ত্রণ।

    এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শারীরিক শিক্ষা বিভাগের সহকারী পরিচালক মনিরুল আলম বলেন, ‘প্রশাসন থেকে ব্যায়ামাগার পরিচালনার কোনো নির্দেশনা বা কোনো চাবি আমাকে দেওয়া হয়নি। আমাকে শুধুমাত্র এর জিনিসপত্র কেনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিলো এবং আমি বাজেটের আলোকে তা কিনে দিয়েছি। বাদবাকি কে কিভাবে ব্যায়ামাগার চালাচ্ছে আমার জানা নেই।’

    এমন অবস্থায়, ছাত্রলীগ নেতাদের ইচ্ছামতো এটি খোলা এবং বন্ধ করা হয়। প্রায় সময়ই নেতারা ভেতরে বসে আড্ডা দেন, এবং দলীয় কার্যক্রম করে থাকেন বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। গত ৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং গত ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে ব্যায়ামাগারের সামনে জাতীয় পতাকার পাশাপাশি ছাত্রলীগের দলীয় পতাকা উড়িয়ে আনুষ্ঠানিকতা পালন করে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি থেকে শুরু করে অনেক নেতাকর্মীকে ব্যায়ামাগারটিকে ‘দলীয় কার্যালয়’ উল্লেখ করে প্রচার করতে দেখা গেছে।

    নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের এক শিক্ষার্থী জানান, ‘এমনিতেই গাদাগাদি এবং তার উপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতাদের ব্যায়ামাগারে কর্তৃত্ব দেখে আর ওখানে যাওয়ার আগ্রহ হয় নাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যায়ামাগার কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের অফিস কিভাবে হয় তা আমার বোধগম্য নয়।’

    উপর্যুক্ত অভিযোগ অস্বীকার করে শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, ‘এটা আসলে আমাদের অফিস না, বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেশিয়ামও (ব্যায়ামাগার) না। আমরা কিছু ছেলে আবেদন করে জিমের কিছু জিনিসপত্র আনিয়েছি প্রশাসন থেকে। এটা মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ রাস্তার কাজের লোকদের লেবার শেড হিসেবে তৈরি হয়েছিল। পরে আমরা এটাকে জিম করে দিতে বলেছি। এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সবাই আসে, খেলে, ব্যায়াম করে আর আমরা এটা পর্যায়ক্রমে নিজেদের ছেলেদের দিয়ে পাহারা দিয়ে রাখি। না হয় জিমের জিনিসপত্র চুরি হয়ে যাবে।’

    ব্যায়ামাগারের জিনিসপত্র পাহারার দায়িত্ব ছাত্রলীগের কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এর জন্য লোক দেয় না বলেই আমরা এটা নিজেরা পাহারা দেই। এটি বাংলাদেশের একমাত্র জিমনেশিয়াম যেটা আমাদের পাহারা দেওয়ার জন্য এর কোনো জিনিস হারায়নি। প্রশাসনের লোক না থাকায় আমরা নিজেরা নিজেদের জিনিস দেখে রাখছি।’

    যখন-তখন ব্যায়ামাগার বন্ধ করে রাখেন এবং খুলেন, এতে করে শিক্ষার্থীরা কিভাবে ব্যায়াম করতে পারে?- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি একইসুরে জানান, ‘আমরা ২৪ ঘন্টা খুলে দিয়ে চলে গেলে তো জিনিসপত্র চুরি যাবে।’

    বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের এ বিষয়ে বলেন, ‘ব্যায়ামাগারকে ছাত্রলীগ তাদের অফিস হিসেবে ব্যবহার করতে পারে না। এটা শারিরীক শিক্ষা দপ্তরের দায়িত্বে থাকবে। ব্যায়ামাগার বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীর এবং এটি সবাই ব্যবহার করবে সমভাবে। এর ব্যত্যয় হয়ে থাকলে আমরা খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিবো।’

  • কুবির ১ম সমাবর্তন আয়োজনে সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

    কুবির ১ম সমাবর্তন আয়োজনে সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

    কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম সমাবর্তন আয়োজনের লক্ষ্যে সমন্বয় কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এমরান কবির চৌধুরীর সভাপতিত্বে সোমবার(১৩ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    উপাচার্য প্রফেসর ড. এমরান কবির চৌধুরী সভায় উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভা শুরু করেন এবং সমাবর্তন সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করার লক্ষ্যে সকলের নিকট মতামত চান।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ও ১ম সমাবর্তন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য-সচিব প্রফেসর ড. মোঃ আবু তাহের সভাপতির অনুমতি নিয়ে সমাবর্তন আয়োজনের সকল বিষয় সভায় উপস্থাপন করেন। এরপর সভায় উপস্থিত সকলে সমাবর্তন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সার্বিক সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়ে মতামত প্রদান করেন।

    সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ফাইজার মোহাম্মদ ফারাবী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আজিম-ঊল-আহসান, এনএসআইয়ের উপ-পরিচালক জাফর ইকবাল, সিভিল সার্জন মোঃ মুজিবুর রহমান, ডিজিএফআইয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ আবদুস সায়েমসহ উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তগণ উপস্থিত ছিলেন।

    সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সবাইকে নিয়ে সমাবর্তন আয়োজনের স্থান (কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ) পরিদর্শন করেন।

  • নতুন রূপে কুবির ‘ইভিনিং’ কোর্সের আত্মপ্রকাশ!

    নতুন রূপে কুবির ‘ইভিনিং’ কোর্সের আত্মপ্রকাশ!

    কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) উপাচার্যের সন্ধ্যাকালীন কোর্স বন্ধের ঘোষণার পর এবার নতুন করে চালু করা হয়েছে সপ্তাহান্ত (উইকেন্ড) কোর্স।

    প্রতি শুক্র ও শনিবার দিনের বেলায় এই কোর্সের অধীনে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেয়া হবে বলে জানা গেছে। ‘পুরাতন বোতলে নতুন মদের মতো’ এই প্রাইভেট প্রোগ্রাম চালু থাকলেও বিষয়টি জানা নেই খোদ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

    জানা যায়, গত ১৩ এবং ১৬ ডিসেম্বর বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো: আমজাদ হোসেন সরকার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যায়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অধীনে চারটি বিভাগে ‘উইকেন্ড প্রোগ্রাম’ কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি নেয়া হবে। এই কোর্সে আবেদনের শেষ সময়সীমা জানুয়ারি মাসের ২৮ তারিখ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

    যদিও এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে সন্ধ্যাকালীন কোর্স বন্ধের ঘোষণা আসে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পক্ষ থেকে।

    এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো: আবু তাহের বলেছিলেন, ‘উপাচার্য মহোদয় বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন করে সন্ধ্যাকালীন কোর্সে শিক্ষার্থী বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছেন। তবে বর্তমানে যেসব শিক্ষার্থী ভর্তি আছেন তারা নিয়মানুযায়ী তাদের কোর্স সমাপ্ত করতে পারবেন। কিন্তু নতুন করে আর কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি নেয়া হবে না।’
    তবে সন্ধ্যাকালীন কোর্স বন্ধের ঘোষণা দিয়ে দিনের বেলায় এই উইকেন্ড কোর্স চালু যেন নতুন মোড়কে শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ বলে মতামত অনেক শিক্ষার্থীর।

    এ প্রসঙ্গে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী মোঃ শাহাবুদ্দিন বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি সান্ধ্যকালীন কোর্স বন্ধ করতে বলা মানে আমার মনে হয় তিনি শুধু রাতের বেলা কোর্স বন্ধ করতে বলেছেন এমনটি নয়। বরং আমি মনে করি তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ বন্ধের প্রতিই ইঙ্গিত দিয়েছেন। এখন নাম পাল্টে দিনের বেলায় একই কোর্স চালু রাখা পুরনো পণ্যের মোড়ক পাল্টানো ছাড়া কিছুই নয়।’

    লোক প্রশাসন বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী রিজওয়ান কবির বলেন, ‘নগদ সুবিধা প্রাপ্তির আশায় এই ধরনের কোর্স চালু হলে শিক্ষার পরিবেশের পাশাপাশি সার্বিক পরিবেশ বিঘ্নিত হবে। আমরা চাই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশিষ্ট্য ও ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে এমন কোর্স যাতে নতুন করে চালু না হয়।’

    এই উইকেন্ড কোর্স এর ব্যাপারে জানতে চাইলে ব্যবসা অনুষদের ডিন ড. আমজাদ হোসেন সরকার বলেন, ‘আমরা সন্ধ্যাকালীন কোর্স বন্ধের কোনো অফিসিয়াল নোটিশ পাইনি। আমরা যে কোর্সের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি সেটি সন্ধ্যাকালীন কোর্স নয়। এটি উইকেন্ড প্রোগ্রাম। যেখানে শুধু শুক্র ও শনিবার দিনের বেলায় ক্লাস হবে।’

    এ প্রসঙ্গে রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোঃ আবু তাহের বলেন, ‘এর আগে উপাচার্য মহোদয় বলেছিলেন সন্ধ্যাকালীন কোর্স চলবে না। তবে এখন আবার নতুন করে যে উইকেন্ড কোর্স চালু হয়েছে সেটি আমার জানা নেই। আমি খোঁজ নিয়ে উপাচার্য স্যারের সাথে এ ব্যাপারে কথা বলে বিস্তারিত জানাতে পারবো।’

  • পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে কুবিতে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত

    পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে কুবিতে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত

    কুবি প্রতিনিধিঃ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত হয়েছে।

    শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যরা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে দিবসটি পালন করেন।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. রশিদুল ইসলাম শেখ, সাধারণ সম্পাদক ড.স্বপন চন্দ্র মজুমদারসহ শিক্ষক সমিতির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, হলের প্রভোস্ট, শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীবৃন্দ এবং বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীবৃন্দ।

    পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বক্তারা বলেন, “বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ছিল বাঙালী জাতির জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। কারণ বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে বাঙালী জাতি তাঁর স্বাধীনতার পূর্ণতা পায়।”

    বক্তারা আরও বলেন, “১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ১০ জানুয়ারির এই প্রেক্ষাপট একদিনে রচিত হয়নি। এই প্রেক্ষাপট দীর্ঘ সংগ্রামের। জাতীয় চার নেতার নেতৃত্বে লাখো কোটি বাঙালির মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে এ দেশ যে স্বাধীনতা অর্জন করেছিল সে স্বাধীনতা পূর্ণতা পেয়েছে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে।”

    উল্লেখ্য, আগামী ১২ জানুয়ারি রোববার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছেন।