Tag: কুমিল্লা

  • কুমিল্লায় বাস খাদে পড়ে নিহত ৩

    কুমিল্লায় বাস খাদে পড়ে নিহত ৩

    কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের জিংলাতলী এলাকায় যাত্রীবাহী একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের খাদে পদে গেছে।

    এতে বাসটির তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

    শনিবার সকাল সাতটার দিকে দাউদকান্দি উপজেলার জিংলাতলী এলাকায় ঢাকাগামী খাদিজা পরিবহনের একটি বাস সড়কের পাশে খাদে পড়ে গেলে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

    নিহতরা হলেন- রমজান, সফিকুল ও শাহিন মোল্লা। তাদের সবার বাড়ি ঢাকায়। তবে তাদের বিস্তারিত পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

    দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট আলমগীর হোসেন জানান, খাতিজা পরিবহনের একটি বাস চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা যাচ্ছিল। সকাল সাতটার দিকে বাসটি দাউদকান্দির জিংলাতলী এলাকায় পৌঁছার পর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের খাদে পড়ে যায়।

    পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধারের পর দুর্ঘটনাকবলিত বাসটিকে উদ্ধার করছে।

  • কুমিল্লার দুর্গাপুরে আপন বড়ভাই ও ভাতিজাকে ফাঁসাতে পুকুরে বিষ!!

    কুমিল্লার দুর্গাপুরে আপন বড়ভাই ও ভাতিজাকে ফাঁসাতে পুকুরে বিষ!!

    নিজস্ব প্রতিবেদক : কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার ২নং উত্তর দুর্গাপুর কৃষ্ণনগর ঘোড়ামারা এলাকার আঃ জলিল মিয়ার ছেলে জসিম উদ্দিন জানান, তিনি পেশায় একজন মোটর পার্টস ব্যাবসায়ী। আলেখারচর মোড়ে জসিম মবিল হাউজ নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারী। অল্প পুঁজির ব্যবসা বেশী বাকী দেয়ার সামর্থ্য নেই তার। আর নিজেকে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের নেতা দাবীকারী আলমগীর হোসেন তারই আপন চাচা। যিনি এর আগেই ২০হাজার টাকা দোকান বাকী নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া টাকা না দিয়েই নতুন করে বাকী চেয়েছেন। এতে অপারগতা প্রকাশ করে জসিম। ভাতিজার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে চাচা আলমগীর। কিছুদিন পর চাচা আলমগীর আবারো পৈতৃক জমির কয়েকটি কাগজ চায় জসিমের দোকানে গিয়ে তার কাছে । পিতার অনুমতি ছাড়া কাগজ দিতে পারবে না জানিয়ে দেয় সে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে দোকানের সামনে গালাগাল করে জসিম কে মারতে উদ্যত হয় কয়েকবার, এরপর প্রকাশ্যেই হুমকি দিয়ে আসে ভাতিজাকে দেখে নেয়ার।

    পরে গত ২৬ ডিসেম্বর ২০১৯ রাত আনুমানিক ১০টায় ব্যবসায়ীক কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের সড়কে চাচা আলমগীর ও তার মেয়ের জামাই রহম আলীসহ ৭/৮ জনের একটি দল লোহার পাইপ, চাপাতি ও হকিষ্টিকসহ কালো হাইচ গাড়ি থেকে নেমে পথরোধ করে দাড়ায় জসিমের। কিছু বুঝে ওঠার আগেই শুরু করে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে ও মারধর করে রক্তাক্ত করে মৃত ভেবে তাকে রাস্তায় ফেলে চলে যায়। পথচারীরা গুরুতর আহত অবস্থায় জসিম কে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। খবর পেয়ে পরিবার ও বাড়ির লোকজন হাসপাতাল যায়। এঘটনায় জসিমের মাথায়, পিঠে এবং বাহুতে বেশকয়েকটি সেলাই দেয়া হয়।

    এর ৩দিন পর ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে জসিমের স্ত্রী মরিয়মের নেসা বাদী হয়ে চাচা শশুর আলমগীর, রহম আলী, পারভেজ, ফাহিম ও জাহিদ সহ অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করে (মামলা নং-৫৫/১২, ২০১৯ইং)।

    এরপর গত ১ জানুয়ারি দুপুরে এ মামলার ২নং স্বাক্ষি দুর্গাপুর চৌধুরী বাড়ির আবদুল মান্নান এর ছেলে রাসেলের উপর হামলা করে আলমগীর ও তার বাহিনী। মামলায় স্বাক্ষী হওয়ার কারনে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করা হয় রাসেলকে।

    এ ঘটনায় ভুক্তভোগী রাসেল বাদী হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে কোতোয়ালি মডেল থানায়।

    সুস্থ হয়ে বাড়ি আসার পর থেকে নানা ভাবে হুমকি ধমকি দিতে থাকে বড় ভাই জলিল ও ভাতিজা জসিমকে, তার বিরুদ্ধে করা মামলা তুলে নেয়ার জন্য চাচা আলমগীর হোসেন। প্রকাশ্যে হুমকি দিতে থাকে আবারো হামলা, হত্যা নচেৎ মাদক অস্ত্র বা অন্য কোন মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর।

    মুর্তিমান আতংক ছোট ভাই আলমগীরের ভয়ে চরম নিরাপত্তা হীনতায় ভুক্তভোগী পরিবারটি স্থানীয় গন্যমান্যদের সাথে আলোচনা করে, তাদের পরামর্শে একটি জিডি করেন।

    জসিমের পিতা জলিল মিয়া বাদী হয়ে গত ১ ফেব্রুয়ারী কোতোয়ালি থানায় এ সাধারণ ডাইরিটি করেন। যাতে স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করা হয় ছোট ভাই আলমগীর ও তার লোকজন হুমকি দিচ্ছে তাকে ও তার ছেলেকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর এবং হামলার । এছাড়াও এসকল মামলা ও জিডির অনুলিপি জেলা পুলিশ সুপার কুমিল্লা, রেঞ্জ ডিআইজি চট্টগ্রাম এবং আইজিপি ও র‌্যাব-১১ বরাবরেও প্রেরণ করা হয় বলে জানান ভুক্তভোগীরা।

    ভুক্তভোগী জসিম কান্নারত কন্ঠে আরো জানায়, এত কিছুর পরেও চাচার চক্রান্তের হাত থেকে শেষ রক্ষা পেলাম না। শুধু সেই নয়, বয়োবৃদ্ধ অসহায় পিতা সহ চাচার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা, অভিযোগ ও জিডির স্বাক্ষীরাও মিথ্যা মামলা ও হয়রানির শিকার হচ্ছে । সামান্য কারনে স্থানীয় প্রভাবশালী আপন চাচা আলমগীরের কুটকৌশল চক্রান্ত আর হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে নিরপরাধ নির্দোষ বিচারপ্রার্থী মানুষগুলোকেই!

    ভুক্তভোগীদের দাবী, চাক্রান্তের পরিকল্পনা সফল করতে, গত ১৩ ফেব্রুয়ারী ও এর আগের রাতে চাচা আলমগীর হোসেন দুর্গাপুর ইউপির শংকরপুরে তার নিজ ফিসারী তানভীর মৎস খামারের পুকুরটি থেকে বেশীর ভাগ মাছই ধরে তা বিক্রি করে দেন। যা স্থানীয় কয়েকজন সচক্ষে দেখেছেন। আর ঐ রাতে মাছ ধরা ও বিক্রির কাজে সহযোগীতা করে কৃষ্ণপুর ঘোড়ামারা এলাকার ফজলুর রহমানের ছেলে সেলিম ওরফে সেইল্লা, জামাই রহম আলী, ছেলে তানভীর হোসেন, দুর্গাপুর এলাকার মাছ ব্যবসায়ী তাজু মিয়া সহ কয়েকজন। পরদিন ১৪ইফেব্রুয়ারী আনুমানিক মধ্য রাতে বা ভোর রাতে অল্পকিছু (আনুমানিক ৪-৫ মোন) মাছ অবশিষ্ট থাকা পুকুরটিতে দু’বোতল বিষ দেয়া হয়। যে বোতল দু’টো সহ উদ্ধার করা হয়েছে। সকালে মাছ মরে ভেসে ওঠে পানিতে, হৈচৈ শুরু হয় পুকুরপাড়ে। খামার মালিক আলমগীর, জামাই রহম আলী, সেলিম, ও আলমগীরের ছেলে তানভীর সহ কয়েকজন পুকুর পাড়ে মরা মাছগুলো তুলে রাখেন। স্থানীয় ফাঁড়ি কিংবা থানা পুলিশকে জানানোর আগেই খবর দেয়া হয় সাংবাদিকদের।

    সকাল আনুমানিক ১০টায় আলমগীর হোসেন ও উপস্থিত স্বাক্ষীদের কয়েকজনের বরাত দিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের জানানো হয় খামার কর্মচারী ও মালিকের ছেলে তানভীরসহ স্বাক্ষীগন নিজ চোখে দেখেছেন আসামীদের। বাদীর দাবী পূর্ব শত্রুতার জেরে ১৪ফেব্রুয়ারি ভোর ৫টায় পুকুরে বিষ দিয়েছে খামার মালিক আলমগীরের বড় ভাই জলিল, ভাতিজা জসিম, সুজন দাশ, রাসেল ও বাবুল সহ ৪/৫জন। পরে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন নাজিরা বাজার ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মাহমুদ হাসান রুবেল সহ সঙ্গীয় পুলিশ।

    এ ঘটনায় ঐ দিন বিকেলে খামার মালিকের মেয়ের জামাই রহম আলী বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় উল্লেখিত আসামীদের নামে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ২২ থেকে পঁচিশ লক্ষ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে মর্মে। বিভিন্ন পত্রিকা ও মিডিয়ায় ফলাও করে প্রচার হয় খবরটি। এরপর থানায় মামলাটি রেকর্ডও করা হয়।

    অনুসন্ধানে জানা যায়, অভিযোগে বর্নিত সময় অনুসারে ঐ রাতে নাজিরা বাজার ফাঁড়ির ট্রহল পুলিশের ব্যবহৃত পিকাপ গাড়িটি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় পুকুরের অদুরেই সামনে মহাসড়কে সকাল সারে ৮টা পর্যন্ত অবস্থান করেন। এসময় ফোর্সসহ এস আই মাহবুব ও এসআই দয়াল হরি গাড়িতেই অবস্থান করছিলেন। পুকুর পাড়ে খামারের লোকজন পুলিশকে দেখলেও পুলিশকে কিছুই জানানো হয় নি। পরে গাড়ি ঠিক করিয়ে ফাঁড়িতে আসার ঘন্টা খানেক পর জানতে পারেন পুকুরে বিষ দেয়ার ঘটনা। এসব কথা নিজেরাই প্রতিবেদকের সামনে বলাবলি করছিলেন নাজিরা বাজার ফাঁড়ি পুলিশের সদস্যরা।

    ভুক্তভোগী জলিল মিয়া, জসিম, রাছেল, সুজন দাশ সহ তাদের পরিবারের সদস্যরা বলেন, মামলা রেকর্ড হওয়ার পর থেকেই আসামীদের পুলিশের হাতে ধরিয়ে দিতে, আলমগীর ও তার বাহিনীর লোকজন সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে এলাকায় ট্রহল দিতে থাকে। নিজেরাই মরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়ার হুমকি দিতে থাকে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের। ভয়ে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে উল্লখিত ভুক্তভোগীরা। আদালতে হাজির হয়ে মিথ্যা মামলায় জামিন নিতেও পারছেন না, পথে বা আদালত গেইটের বাইরে সন্ত্রাসী হামলার আশংকায়। এমন ভয়ংকর চক্রান্ত ও উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে স্থানীয় এমপি ও জেলা সুপার সহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে সহায়তা প্রার্থনা করে আকুতি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা।

    এসব বিষয়ে জানতে মামলার বাদী রহম আলীকে ফোন দিলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন, ‘কোথায় আছেন আমি দিঘীরপাড় আছি আসুন আপনার সাথে সাক্ষাতে কথা বলবো’। পরে রহম আলী ও আলমগীর হোসেন সহ আরো দু’জন ক্যান্টনমেন্ট মার্কেটের কফি হাউজে এসে ঐ প্রতিবেদককে ফোন দেন। এসময় সাংবাদিকের সাথে আরো দু’জন সিনিয়র সাংবাদিক সহ কফি হাউজে সাক্ষাৎ করেন। ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে আলমগীর হোসেন পুকুরে বিষ প্রয়োগের বিষয়টি এড়িয়ে যান বারবার। তিনি বড়ভাই ও ভাতিজা বৌ ও রাছেলের দায়েরকৃত পূর্বের মামলা ও অভিযোগ গুলো মিথ্যা বলে দাবী করেন। এসময় সেখানে উপস্থিত এক প্রতিবেদক কে তিনি প্রস্তাব করেন, তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা ও অভিযোগ গুলো তুলে নিলে এ বিষয়টিও সমাধান করার জন্য রাজি আছেন তিনি। এসময় পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ মারার ঘটনায় সঠিক সংবাদ প্রকাশ না করতে অনুরোধ জানিয়ে অনৈতিক আর্থিক লেনদেনের প্রস্তাব ও করেন তিনি। এসব আলোচনার অডিও রেকর্ড সহ রেষ্টুরেন্টের সিসি টিভি ফুটেজও এর প্রমাণ রয়েছে।

    মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নাজিরা বাজার ফাঁড়ি পুলিশের এসআই মাহবুবুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়েছি আনুমানিক ৪-৫মোন মরা মাছ পুকুরপাড়ে পরে ছিলো। তাৎক্ষণিক ভাবে স্বাক্ষীদের দেয়া তথ্যের যথেষ্ট গড়মিল রয়েছে। পরিক্ষা নিরিক্ষার জন্য মরা মাছের নমুনা, পানি ও দুটো খালি কাচের বোতল উদ্ধার করে ফরেনসিক রিপোর্টের জন্য পাঠানো হয়েছে। তদন্ত চলছে, অন্য কোন রহস্য থাকলে তা তদন্তে বেড়িয়ে আসবে।

    উল্লেখিত ঘটনার দিন গভীর রাত থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত পুকুরের সামান্য দুরে পুলিশ ভ্যানটি খারাপ হওয়া ও সেখানে সকাল ৮টা পর্যন্ত অবস্থানের বিষয়টিও নিশ্চিত করেন তিনিসহ এসআই দয়াল হরি।

  • বৌভাতের দিন সড়ক দুর্ঘটনায় বরের মৃত্যু

    বৌভাতের দিন সড়ক দুর্ঘটনায় বরের মৃত্যু

    কুমিল্লার চান্দিনার মহিচাইল ইউনিয়নের মহিচাইল উত্তরপাড়া গ্রামে বিয়ে বাড়ির আনন্দ নিমিষেই পরিণত হলো বিষাদে। বৌভাতের দিন বাড়িতে মেহমান রেখে বাজারে গিয়ে আর জীবিত ফেরা হয়নি বরের। আসার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তার।

    স্থানীয়রা জানান, শনিবার ইমরানের বাড়িতে বৌভাতের আয়োজন করা হয়। কন্যাপক্ষের ফেরানি যাত্রীরাও ইমরানের বাড়িতে আসেন। বৌভাতের খাওয়া দাওয়াও শুরু হয়। খাওয়া অবস্থায় মাংসের ঘাটতি দেখা দিলে বর ইমরান বন্ধুর মোটরসাইকেল নিয়ে চান্দিনা বাজারে যান মাংস আনতে। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ বিয়ে বাড়িতে খবর এলো মাংস নিয়ে ফেরার পথে মহিচাইল-বাড়েরা রোডের ভারভাঙ্গা এলাকায় চলন্ত ট্রাকের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়েছেন ইমরান। ইমরানকে বহনকারী মোটরসাইকেলটি ওভারটেক করতে গিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে। আহত ইমরানকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

    ইমরান হোসেনের চান্দিনা মহিচাইল উত্তরপাড়া গ্রামের মনু মিয়ার ছেলে। তার সঙ্গে একই গ্রামের মোল্লা বাড়ির জসিম উদ্দিনের মেয়ে শিউলি আক্তারের বিয়ে হয় গত শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি)। ইমরান পাঁচ বোন ও তিন ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট ছিলেন। পেশায় সিএনজিচালক। ইমরানের মৃত্যুতে এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

    নিহত ইমরানের বড় ভাই জুয়েল জানান, একই গ্রামের শিউলী নামে এক মেয়েকে ভালোবাসে আমার ভাই ইমরান। তাদের ভালোবাসা দেখে ভালোবাসার দিবসেই (শুক্রবার) তাদের বিয়ে দিই। আর বৌভাতের দিনই এমন শোক সইতে হবে তা আমাদের জানা ছিল না।

    চান্দিনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবুল ফয়সল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমরা ট্রাকটি আটক করেছি। চালক পলাতক রয়েছে। নিহতের ইমরানের পরিবারকে বলেছি থানায় অভিযোগ দিতে। কিন্তু তার পরিবার থানায় অভিযোগ দিতে রাজি হচ্ছে না।

  • কুমিল্লায় অবৈধ ইটভাটা ধ্বংস করলো জেলা প্রশাসন

    কুমিল্লায় অবৈধ ইটভাটা ধ্বংস করলো জেলা প্রশাসন

    মাহফুজ বাবু : অনুমোদনহীন সনাতন পদ্ধতিতে তৈরি অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদে সাড়াশি অভিযান শুরু করেছে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর।

    এরই ধারাবাহিকতায় প্রথম দিন কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার আমড়াতলী ইউনিয়নের কালখারপাড় মোড়ে জিয়াউর রহমান টিটুর মালিকানাধীন এনএসবি ব্রিকসে অভিযান পরিচালিত হয়।

    কুমিল্লা জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন প্রকার অনুমতি না থাকায় ইটভাটাটি গুড়িয়ে দেয়া হয়।

    পরিবেশ অধিদপ্তর কর্মকর্তারা জানায়, পরিবেশ অধিদপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী ১২০ফিট তথা সনাতন পদ্ধতির সকল ধরনের ইটভাটার কার্যক্রম ২০১১সাল থেকে স্থগিত করেছে সরকার। সরকারী নির্দেশনা অমান্য করে কুমিল্লা সদরের কালখারপাড় এনএসবি ব্রিকস নামের এ ইটভাটাটি কোন প্রকার অনুমতি ব্যাতীতই কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। বারবার তাগদা ও নোটিশ দেয়ার পরও কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় বুধবার সকাল ১০টায় ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় এক্সেভেটর দিয়ে ইটভাটাটি গুড়িয়ে দেয়া হয়। এসময় জলন্ত ভাটায় পানি দিয়ে চুল্লিগুলো নেভানো হয়।

    এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী ইসলাম ও অমিত দত্ত জানান, অবৈধ কার্যক্রমের অভিযোগে ইটভাটাটি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

    পরিবেশ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক শওকত আরা কলি বলেন, সনাতন চুল্লি পরিবেশের জন্য মারাত্বক ক্ষতিকর, কুমিল্লার সবগুলো ইটভাটাই জিগজাগ প্রকৃতির চুল্লিতে চলছে। একমাত্র এনএসবি ইট ভাটাটি সনাতন পদ্ধতির। এছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তরে কোন প্রকার অনুমতি না থাকায় একাধিকবার নোটিশ দিয়ে ও কার্যকর কোন ব্যবস্থা গ্রহন না করায় ইটভাটাটি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে।

    অভিযানে সহযোগিতা করেন জেলা প্রশাসন ফায়ার সার্ভিস, র‌্যাব ১১ সিপিসি-২ কুমিল্লার একাধিক টিম।

    এসময় জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের ইন্সপেক্টর নজরুল ইসলাম, আমির হোসেনসহ পরিবেশ অধিদপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

  • স্কুল ছুটির পর বাড়ি ফেরা হলো না সাকিবার

    স্কুল ছুটির পর বাড়ি ফেরা হলো না সাকিবার

    নিজস্ব প্রতিবেদক : কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার রামপুরে স্কুল ছুটির পর বাড়ি ফেরা হলো না প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী শিশু সাকিবা আক্তার (৬) এর।

    সোমবার (২৭ জানুয়ারী) স্কুল ছুটির পর দুপুর পৌনে ১২ টায় রামপুর সারকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী সাকিবা আক্তার রাস্তা পারাপারের সময় যাত্রীবাহী তিশা বাসের চাপায় ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। সে উপজেলার রামপুর গ্রামের অটোরিকশা চালক শাহজাহান মিয়ার একমাত্র মেয়ে।

    বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ইয়াসমিন আক্তার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, স্কুল ছুটির পর সহপাঠীদের সাথে রাস্তা পার হওয়ার সময় কোম্পানীগঞ্জগামী দ্রুত গতির একটি বেপরোয়া তিশা প্লাস বাসের চাপায় তার মৃত্যু হয়।

    স্থানীয় এলাকাবাসী ধাওয়া করে বাসটি আটক করলেও ঘাতক চালক পালিয়ে যায়। পরে খবর দিলে ময়নামতি হাইওয়ে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।

    এবিষয়ে ময়নামতি হাইওয়ে পুলিশের সেকেন্ড অফিসার এসআই টিপু রয় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থলে হাইওয়ে পুলিশ উপস্থিত রয়েছে। এ বিষয়ে আইনানুগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

  • প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখল কুমিল্লা

    প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখল কুমিল্লা

    বঙ্গবন্ধু বিপিএলের চলতি আসরের সময় যত ঘনিয়ে আসছে, ততই যেন বাড়ছে উত্তেজনার রসদ। টুর্নামেন্টে এখনো পর্যন্ত দুই দলের প্লে-অফ নিশ্চিত হলেও এখনো বাকি দুই দল। সেই লক্ষ্যে নিজেদের টিকিয়ে রাখতে আজ সিলেট থান্ডারের বিপক্ষে ৫ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স।

    এদিন টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নামে সিলেট। দলের হয়ে ইনিংসের গোড়াপত্তন করত এসে ধীরগতির শুরু করেন অধিনায়ক আন্দ্রে ফ্লেচার ও আব্দুল মাজিদ। ওপেনিং জুটিতে ৩২ বলে ২৭ রান যোগ করেন দুজন। যেখানে ২৫ বলে ফ্লেচারে অবদান ২২ রান।

    জনসন চার্লসকে নিয়ে রান প্যাডেলে পা দেন মাজিদ। দ্বিতীয় উইকেটে দুজনের ৩৭ রানের পার্টনারশিপের মাথায় আল-আমিনের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন চার্লস। আউট হওয়ার আগে ১৫ বলে ২৬ রান করে যান ক্যারিবিয়ান এ ব্যাটসম্যান। পরে মাজিদের ৪০ বলে ৪৫ রানের সাথে মোহাম্মদ মিঠুনের ব্যাট থেকে আসে ২৫ বলে ১৮ রান।

    শেষদিকে জীবন মেন্ডিসের ১১ বলে ২৩ রানের ছোটখাট ঝড়ে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ১৪১ রনের পুঁজি পায় সিলেট থান্ডার। ম্যাচে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের হয়ে আল-আমিন হোসেন ও ডেভিড উইজ নেন ২টি করে উইকেট।

    ১৪২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা সুখকর হয়নি কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের। ইনিংসের দ্বিতীয় ও চতুর্থ ওভারেই তারা হারিয়ে বসে দুই ওপেনার উপুল থারাঙ্গা ও ফারদীন হাসানকে। স্পিনার নাঈম হাসানের জোড়া শিকার হওয়ার আগে থারাঙ্গা করেন ১৪ বলে ৪ রান, ফারদীনের ব্যাট থেকে আসে ৪ বলে ১ রান।

    শুরুর এই ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে বেশ সময় লাগে কুমিল্লার। মাঝে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ১১ রান করে আউট হলে ইনিংসের প্রথম ১০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৪৩ রানের বেশি তুলতে পারেনি তারা। এবার সৌম্য সরকারকে নিয়ে দলের হাল ধরেন দলীয় অধিনায়ক ডেভিড মালান, তুলে নেন চলতি বিপিএলে নিজের তৃতীয় ফিফটি।

    ৪৯ বলে ৫৮ রান করে মালান আউট হলে ভাঙে চতুর্থ উইকেটে দুজনের ৭২ রানের রানের জুটি। শেষদিকে সৌম্যর দুর্দান্ত অর্ধশতকে ৫ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। সৌম্য ৩০ বলে ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন। সিলেট থান্ডারের হয়ে নাঈম হাসান নেন ৩ উইকেট।

    কুমিল্লার এই জয়ের ফলে অনেকটা জমে গেল বিপিএলের পয়ন্ট টেবিল। ১০ ম্যাচে ৫ জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে প্লে-অফের আশা এখনো বাঁচিয়ে রাখল কুমিল্লা। এদিকে হার দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করা সিলেট বিপিএলের সপ্তম আসর শেষ করলো হার দিয়েই। ১২ ম্যাচে মোটে ১টি হয়ের স্বাদ পেয়েছে দলটি।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    সিলেট থান্ডার: ১৪১/৫ (২০ ওভার)
    মজিদ ৪৫, চার্লস ২৬, মেন্ডিস ২৩; আল-আমিন ২/৩০, উইজ ২/৩২।

    কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স: ১৪২/৫ (১৯.১ ওভার)
    মালান ৫৮, সৌম্য ৫৩*, উইজ ১৩; নাঈম ৩/২১, এবাদত ১/২৬।

    ফল: কুমিল্লা ৫ উইকেটে জয়ী।

  • কুমিল্লা সদরের পাঁচথুবিতে বাঁধ ও সড়কের গাছ চুরির হিড়িক! জড়িত স্থানীয় নেতা ও প্রভাবশালীরা

    কুমিল্লা সদরের পাঁচথুবিতে বাঁধ ও সড়কের গাছ চুরির হিড়িক! জড়িত স্থানীয় নেতা ও প্রভাবশালীরা

    নিজস্ব প্রতিবেদক: কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার পাঁচথুবি গোমতী বেড়িবাঁধের ওপর থেকে এবং বামইল সমিতির সামনের সড়কের পাশ থেকে অবৈধভাবে সরকারি জায়গার ১৫ লক্ষাধিক টাকার গাছ কেটে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ৪মাস ধরেই পাঁচথুবি ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের নেতা, সাবেক চেয়ারম্যান, স’মিল মালিক ও কিন্ডারগার্টেন পরিচালক সহ কয়েকেজন বিভিন্ন সময় পুরোনো ও বড় সাইজের প্রায় ২০-২৫টি একাশী ও মেহগনি গাছ কেটে নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় এলাকাবাসী।

    পাঁচথুবি এলাকার জালুয়াপাড়া ও ঝাকুনি পাড়া স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গোমতী বাঁধের জালুয়াপাড়া মোড় থেকে ঝাঁকুনি পাড়া পর্যন্ত এক কিলোমিটার জায়গা থেকে দিনে ও রাতে বিভিন্ন সময় প্রায় ২০টি মূল্যবান গাছ কাটা হয়।

    স্থানীয়দের মাঝে একজন জালুয়াপাড়া এলাকার লাল মিয়া, বাঁধের ওপরের চা দোকানী আলামিন, শিহাব সহ এলাকার কয়েকজন বলেন, পাঁচথুবি ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের সাবেক সভাপতি স’মিল মালিক সেলিম এবং সাদেক মিয়ার নির্দেশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা ও বাঁধের ওপর থেকে লাল মিয়া নিজে সহ আরো কয়েকজন শ্রমিক হিসেবে এসব গাছ কেটেছেন বলে স্বীকার করেন।

    লাল মিয়া বলেন, বাধেঁর ওপরের সরকারি জমির গাছ তারা কিনেছেন জানিয়ে আমাকে কাটার জন্য চুক্তি দিলে আমি মজুরির বিনিময়ে কিছু গাছ কেটে দিয়েছি। এসময় বাধেঁর নিচের দ্বিতীয় ধাপের প্রায় ১কি মি এলাকা ঘুরে বেশকিছু মোটা গাছের কাটা গুঁড়িও দেখা যায়। এছাড়াও কিন্ডারগার্টেন নির্মাণের কথা বলে গত একমাস ধরে ইউনিয়নের বামইল সমিতির সামনের শিবেরবাজার- নিশ্চিন্তপুর সড়কের পাশ থেকে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি জাকির হোসেন রতন, আব্দুল জলিল জুয়েল, এনায়েতুল সহ একটি চক্র সরকারি ২০-২৫ টি গাছ কেটে নিয়েছে রাতের আঁধারে।

    এলাকাবাসী প্রতিবাদ করে সরকারি গাছ কাটতে বাঁধা দিলে, ফরেস্ট অফিসকে ম্যানেজ করে অনুমতি নিয়েই গাছ কাটছেন বলে জানায় তারা ।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন প্রতিবেদককে জানান, এভাবে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে বনবিভাগের লোকজন গোপনে অনুমতি কিংবা অবৈধ সুবিধা নিয়ে দুঃষ্কৃতিকারীদের সহায়তা করলে আর কোন গাছই থাকবে না।

    সাংবাদিকদের স্থানীয় সচেতন নাগরিকগন বলেন, এভাবে বৃক্ষ নিধন করা হলে জলবায়ু ও পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পরবে। ভারত সীমান্তবর্তী পাঁচথুবি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় যেভাবে সরকারি সম্পদ চুরি ও মূল্যবান গাছ কাটার হিরিক পরেছে তা দ্রুত বন্ধ করা সহ সরকারি সম্পদ লোপাটকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান।

    গেমতী বাঁধের ওপরের সরকারি গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে পাঁচথুবি ইউপি আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও থানা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি গাংচরের খাগড়াছড়ি স’মিল মালিক সেলিমের কাছে ফোন দিলে, তিনি ফোনে কথা বলবেন না জানিয়ে প্রতিবেদককে সরাসরি তার স’মিলে আসতে অনুরোধ করেন। সেখানে গেলে তিনি জানান, এসব বিষয়ে কিছুই জানেন না তিনি কোন গাছ কাটেন নি। এসব তার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হচ্ছে বলে দাবী করেন তিনি । এলাকায় গাছ কাটা নিয়ে সাদেক ও জামিলের মধ্যে বিবাদ রয়েছে এ নিয়ে একটি মামলাও চলমান রয়েছে বলে জানান তিনি।

    পরে এলাকাবাসীর বক্তব্যের ভিডিও দেখালে তিনি তা অস্বীকার করে সাংবাদিকের বলেন “আমি কে চেনেন আপনি” ভিডিওগুলো দেখার কথা বলে তার সাথে থাকা অপর একজন ফোন থেকে কয়েকটি ভিডিও ডিলেট করে দেন। এসময় প্রতিবেদককে ফোন সহ সাথে সবগুলো ডিভাইস বন্ধ করতে বাধ্য করা সহ হুমকি ধমকিও দেন।

    এবিষয়ে জালুয়াপাড়া গোলদার বাড়ি এলাকার অভিযুক্ত সাদেক হোসেন সরকারি জমির গাছ কাটার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এসব বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না এবং সরকারি জমি বা বাঁধের কোন গাছ তিনি কাটেন নি।

    এ বিষয়ে পাঁচথুবি ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ইকবাল হোসেন বাহালুল বলেন, নিয়ম অনুযায়ি ইউনিয়ন এলাকায় সরকারি জমি, সামাজিক বানায়ন কিংবা বন বিভাগের গাছ বিক্রির একটি অংশ (রেভিনিউ) ইউনিয়ন পরিষদের পাওয়া কথা রয়েছে। নিয়ম বহির্ভূত ভাবে বা টেন্ডার ছাড়া এসব গাছ কেউ কাটার কথাও নয়। আমরা জানা মতে কোন টেন্ডার হয়েছে বলেও শুনিনি। আমার কাছে এমন কোন তথ্য নেই। কবে কারা এসব গাছ কেটেছে সেটাও জানি না। কেউ বেআইনি ভাবে কেটে থাকলে আশাকরি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

    এ বিষয়ে জেলা বন কর্মকর্তা মোঃ নুরুল করিম বলেন, “গাছ কাটার এমন কোন তথ্য আমার জানা নেই। জালুয়াপাড়া বেড়িবাঁধের জায়গাটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন। এলাকাটির বন বিভাগ দেখাশোনার দায়িত্বে রয়েছেন রয়েছেন দিলিপ কুমার তার সাথে কথা বলুন”।

    এবিষয়ে দিলিপ কুমারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, কিছুদিন আগে অভিযোগ পেয়ে সরেজমিনে গিয়েছিলাম । সরকারি জমি থেকে কোন গাছ কাটা হয়ছে এমন কোন আলামত পাওয়া যায় নি। তবে বাঁধের পাশের কয়েকটি গাছ উপরে পরায় স্থানীরা তা কেটে নিয়েছেন বলে শুনেছি।

    এ বিষয়ে আদর্শ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকিয়া আফরিন বলেন, প্রতিরক্ষা বাঁধটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন হওয়ায় গাছগুলো সরকারি বন বিভাগ অথবা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সম্পত্তি। কেউ অবৈধ ভাবে কেটে থাকলে খোঁজ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ কনস্টেবল নিহত

    কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ কনস্টেবল নিহত

    কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় নূর হোসেন (৪২) নামে এক পুলিশ কনস্টেবল নিহত হয়েছেন। এ সময় এক এএসআইসহ আহত হয়েছেন আরও ৩ জন।

    মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সদর দক্ষিণ উপজেলার সুয়াগাজী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নূর হোসেন লক্ষ্মীপুর জেলা সদরের ওয়াহেদপুর গ্রামের মৃত আবদুল হকের ছেলে।

    পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাতে মাইক্রোবাসে টহল ডিউটি পালন করছিল সদর দক্ষিণ মডেল থানা পুলিশের একটি দল। এ সময় পেছন দিক থেকে পুলিশের ব্যবহৃত ওই মাইক্রোবাসকে একটি ট্রাক ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে কনস্টেবল নূর হোসেন নিহত হন। এ সময় সদর দক্ষিণ মডেল থানার এএসআই মহসিন (৩৮), কনস্টেবল ইসমাইল হোসেন (৩৩) ও মাইক্রোবাস চালক এরশাদ (৩৫) গুরুতর আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।

    সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম জানান, কনস্টেবল নূর হোসেনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। আর আহতরা ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। দুর্ঘটনাকবলিত মাইক্রোবাসটি উদ্ধার করা হয়েছে এবং ঘাতক ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে।

  • মাইক্রোবাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত ৩

    মাইক্রোবাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত ৩

    কুমিল্লায় বাস ও ট্রাকের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আগুনে পুড়ে নারী ও শিশুসহ তিন যাত্রী নিহত হয়েছে।

    রবিবার ভোরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চান্দিনা গোবিন্দপুর এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

    নিহত ও আহত মাইক্রোবাসের যাত্রীরা কুমিল্লা আদর্শ সদর ও সদর দক্ষিণ উপজেলার বাসিন্দা। তবে মধ্যে নিহতদের মধ্যে শিশু রবজা (৭) কুমিল্লা নগরীর অশোকতলা এলাকার মকবুল হোসেনের মেয়ে। বাকি একজন পুরুষ এবং একজন নারীর পরিচয় পাওয়া যায়নি।

    কুমিল্লা ময়নামতি হাইওয়ে পুলিশের ওসি আলমগীর হোসেন জানান, রবিবার ভোর সাড়ে ৫টায় স্থানীয় যাত্রী পরিবহনকারী মাইক্রোবাস কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট যাওয়ার সময় মহাসড়কের গোবিন্দপুর পৌঁছলে চট্টগ্রামমুখী একটি যাত্রীবাহী বাস ধাক্কা দেয়। ঠিক একই সময় চট্টগ্রামমুখী একটি ট্রাক ওই মাইক্রোবাসটি ধাক্কা দিলে উল্টে গিয়ে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে গাড়িতে আগুন ধরে যায়। মাইক্রোবাসে থাকা যাত্রীদের মধ্যে একজন শিশু, একজন নারী ও একজন পুরুষ আগুনে পুড়ে মারা যায়। আহত হয় আরও পাঁচ যাত্রী। তাদের উদ্ধার করে চারজনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ ও একজনকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তী সময়ে অবস্থার অবনতি দেখে পাঁচজনকেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

    মরদেহ এবং দুর্ঘটনা কবলিত মাইক্রোবাস উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে।

    আহতরা হলেন, নিহত শিশু রবজার মা হালিমা বেগম (৪৫), কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার দৌলতপুর এলাকার আবুল কাশেম (৫০), জসিম উদ্দিন (৪৮), সজিব (২০), সদর দক্ষিণ উপজেলার ধনপুর এলাকার দুলাল মিয়া (৪৫) ও বলরামপুর এলাকার মজনু মিয়া (৫০)। তাদের সবার ২৫ থেকে ৫০ শতাংশ পুড়ে গেছে।

  • কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪, আহত ৪০

    কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪, আহত ৪০

    ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানা সংলগ্ন দয়াপুর (লইপুরা) নামক স্থানে শুক্রবার সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪ এ দাঁড়িয়েছে।

    শুক্রবার বিকালে তিনটি বাস ও ড্রাম ট্রাকের মুখোমুখী সংর্ঘষে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে একজন স্কুলশিক্ষক, এক শিশু এবং দুই বাসের হেলপার রয়েছে। এছাড়া ৪০ জন বাসযাত্রী আহত হয়েছেন এ ঘটনায়।

    খবর পেয়ে সদর দক্ষিণ ফায়ার সার্ভিস, সদর দক্ষিণ মডেল থানা ও হাইওয়ে পুলিশ হতাহতদের উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। পুলিশ দুর্ঘটনার শিকার তিনটি বাস ও ড্রাম ট্রাকটি উদ্ধার করেছে।

    স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, শুক্রবার বিকাল সোয়া চারটায় কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানা সংলগ্ন ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের দয়াপুর (লইপুরা) নামক স্থানে শহীদ আব্দুল মতিন সড়ক থেকে একটি ড্রাম ট্রাক ডানে-বায়ে না দেখে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ইউটার্ন দিয়ে দক্ষিণ পাশে যাওয়ার জন্য উঠে পড়ে। এ সময় চট্রগ্রামগামী হানিফ পরিবহণের বাস (ঢাকা মেট্রো-ব-১৪-৮৩০৩) ড্রাম ট্রাকটিকে রক্ষা করতে ফোরলেন সড়কের দক্ষিণ পাশে মোড় নেয়।

    একই সময় ঢাকাগামী শাপলা পরিবহনের বাস (ঢাকা মেট্রো-ব-১৪-৪৪৭৭) ও শান্তি পরিবহনের বাস (ঢাকা মেট্রো-ব-১১-০৮০৮) এর মুখোমুখী সংঘর্ষ হয়। এতে সদর দক্ষিণ উপজেলার মধ্যম বিজয়পুর গ্রামের আব্দুল মান্নানের পুত্র ও বাগিচাগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাজেদুর রহমান (৪৮) ও চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড উপজেলার বারইয়াডালা গ্রামের মৃত ছলিম উল্লাহর পুত্র বাসের হেলপার রহিম উদ্দিন মানিক (৪২) নিহত হয়েছেন।

    পরে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অজ্ঞাত পরিচয় একশিশু ও অপর বাসের আরেক হেলপার নিহত হয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে নিহত ঐ শিশু ও হেলপার এবং আহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে নিহতদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।

    কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল খানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন-উর-রশিদ পিপিএম সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।