Tag: কুড়িগ্রাম

  • কুড়িগ্রামে আট’শ অসহায় মানুষকে আমরাই কিংবদন্তী ফাউন্ডেশন’র শীতবস্ত্র বিতরণ

    কুড়িগ্রামে আট’শ অসহায় মানুষকে আমরাই কিংবদন্তী ফাউন্ডেশন’র শীতবস্ত্র বিতরণ

    এসএসসি ২০০০ ও এইচএসসি ২০০২ এর সাবেক শিক্ষার্থীদের দ্বারা পরিচালিত ‘আমরাই কিংবদন্তী ফাউন্ডেশন” এর পক্ষ থেকে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলাস্থ ঘোগাদহ ইউনিয়ন এর খামার রসুলপুর গ্রামে শীতেকাতর, অসহায় মানুষের মাঝে প্রায় আট শতাধিক শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ করা হয়েছে আজ শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে।

    “আমরাই কিংবদন্তী ফাউন্ডেশন” এসএসসি ২০০০ ও এইচএসসি ২০০২ সালের প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রীদের দ্বারা পরিচালিত একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান, যা মানব কল্যাণে কাজ করার প্রত্যয়ে এগিয়ে চলেছে। নিজেদের ব্যাচের পিছিয়ে পড়া সদস্য ছাড়াও সমাজের অবহেলিত মানুষগুলোর জন্য কাজ করাই ফাউন্ডেশন এর অন্যতম লক্ষ্যগুলোর একটি।

    দুধকুমর নদী সংলগ্ন চরাঞ্চলের অসহায় মানুষগুলোর মাঝে প্রচন্ড শীতের এই সময়ে কিছুটা উষ্ণতা দিতেই এই ছোট্ট প্রয়াস নেওয়া হয়েছে। শীতবস্ত্র বিতরণ “আমরাই কিংবদন্তী ফাউন্ডেশন” এর একটি ধারাবাহিক কার্যক্রম। আয়োজনটি সুন্দর ভাবে সম্পন্ন করতে সংগঠনের স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সদস্যরা আগেই প্রত্যন্ত গ্রামগুলো পরিদর্শন করেন এবং অসহায় মানুষগুলোর মাঝে টোকেন বিতরণ করেন। পরবর্তীতে নির্ধারিত দিনে অর্থাৎ আজ সুশৃঙ্খল ভাবে পুরো বিতরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।

     

    উল্লেখিত এই বিতরণ কাজে আমরাই কিংবদন্তী ফাউন্ডেশন এর স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীদের পাশাপাশি ঢাকা, দিনাজপুর ও গাইবান্ধার স্বেচ্ছাসেবীরা এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহন করেন।

    উল্লেখ্যযে “আমরাই কিংবদন্তী ফাউন্ডেশন” ২০১৯ সালের ৫ সেপ্টেম্বর যৌথ মূলধনী কোম্পানী ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর হতে নিবন্ধিত হয়। এর আগে ফেসবুক ভিত্তিক গ্রুপ “এসএসসি ২০০০ ও এইচএসসি ২০০২ (আমরাই কিংবদন্তী)” ২০১৭ সালের ১৫ নভেম্বর থেকে যাত্রা শুরু করে, যার বর্তমানে সদস্য সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার।

    এই ফাউন্ডেশন ও গ্রুপটির এর আগেও সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে বিভিন্ন সামাজিক কাজে নিজেদের নিয়োজিত রেখেছিল; তারমধ্যে অন্যতম হচ্ছে দেশজুড়ে কোভিড-১৯ কালীন বিনামূল্যে অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহ, পরিচ্ছন্নতা ও জনসচেতনতা কার্যক্রম, প্রতিবন্ধী শিশুদের সহায়তা কার্যক্রম, বিনামূল্যে হেলথ ক্যাম্প ও ওষুধ সরবরাহ, অসহায় মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহ ও খাবার বিতরণ, বৃদ্ধাশ্রমে চিকিৎসা ও খাবার সরবরাহ এবং রক্তদান কর্মসূচীসহ বিবিধ কার্যক্রম।
    ধারাবাহিক ভাবে গ্রুপের পিছিয়ে পড়া সদস্যসহ দেশের প্রতিটি অঞ্চলের অসহায় মানুষদের পাশে চিকিৎসা সেবা সহ সকল মৌলিক সেবা পৌঁছে দিতে পরিকল্পনা করছে এই গ্রুপের সদস্যরা।

  • কুড়িগ্রামে চারজনকে হত্যার দায়ে ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড

    কুড়িগ্রামে চারজনকে হত্যার দায়ে ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড

    কুড়িগ্রামে এক পরিবারের চারজনকে হত্যার দায়ে ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আব্দুল মান্নান এ রায় ঘোষণা করেন।

    মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- উপজেলার দিয়াডাঙ্গা গ্রামের মনতাজ উদ্দিন, নজরুল ইসলাম মঞ্জু, আমির হোসেন, জাকির হোসেন, জালাল গাজি ও আজমত আলী শেখ।

    রায় ঘোষণার সাথে সাথে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা আদালত কক্ষের আসামিদের দাঁড়ানোর ডক ভংচুর করে এবং বিভিন্নজনকে উদ্দেশ্য করে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। পুলিশ দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে দণ্ডপ্রাপ্তদের ভ্যানে তুলে জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেন।

    জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর এসএম আব্রাহাম লিংকন বলেন, ২০১৪ সালের ১৪ জানুয়ারি মধ্যরাতে একদল সন্ত্রাসী দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঘরে ঢুকে একই ঘরে অবস্থানরত সুলতান আলী মন্ডল, হাজেরা বেগম, কন্যা নীলিমা আক্তার মৌসুমি, নাতনী রোমানা আকতার এবং আনিকাকে এলোপাতাড়িভাবে কোপ দেয়। এতে সুলতান আলী মন্ডল, রোমানা আকতার আনিকা ঘটনাস্থলে আর হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান হাজেরা বেগম। গুরুতর আহত হওয়ার পরও ভাগ্যক্রমে বেঁচে নীলিমা আক্তার মৌসুমি।

    পাবলিক প্রসিকিউটর বলেন, মামলাটি ছিল ক্লু লেস। ওই এলাকায় সংঘটিত আরেকটি হত্যা মামলার গ্রেফতারকৃত আসামিদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই মামলার জট খুলতে সক্ষম হয় পুলিশ।

    তিনি আরও জানান, মামলায় মোট ৬৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ৬১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। মামলায় রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট।

    মামলার বাদি হাফিজুর রহমান বলেন, মাত্র ১৭ বিঘা জমি নিজের দখলে নেওয়ার জন্য তার পিতার বড় ভাই মনতাজ এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। মামলার রায়ে তিনি সন্তুষ্ট।

  • বরের বাড়িতে দাওয়াত খেয়ে ফেরার পথে ঝড়-বৃষ্টির কবলে কনে পক্ষের নৌকা/নিখোঁজ ৪

    বরের বাড়িতে দাওয়াত খেয়ে ফেরার পথে ঝড়-বৃষ্টির কবলে কনে পক্ষের নৌকা/নিখোঁজ ৪

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। জেলা সংবাদ : বরের বাড়িতে বৌ-ভাতের দাওয়াত খেয়ে কনেপক্ষের ৫০ জন লোক নিয়ে ফেরার পথে ঝড়-বৃষ্টির কবলে পড়ে এক‌টি শ‌্যা‌লো ই‌ঞ্জিন চা‌লিত নৌকা। এক পর্যায়ে নৌকাটি উল্টে গেলে কনের বাবাসহ চারজন নিখোঁজ হয়।

    গতকাল ২৭‌মে বুধবার বিকেলে কুড়িগ্রাম উ‌লিপুর উপ‌জেলার বুড়াবু‌ড়ি ইউ‌নিয়‌নের বকসীগঞ্জ বাজার থে‌কে পূর্বদি‌কে সাত‌ভিটা নামক স্থা‌নে ধরলা নদীর এক‌টি অং‌শে এ ঘটনা ঘ‌টে।

    নিখোঁজরা হলেন- উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের গোড়াই এলাকার কনের বাবা নুরু ইসলাম (৬০), আমেনা খাতুন (৬১), জব্বার আলী (৪৫) ও কমর জামান (৪২)।

    উ‌লিপুর থানার অ‌ফিসার ইন চার্জ (ও‌সি) মোয়া‌জ্জেম হো‌সেন এবং বুড়াবু‌ড়ি ইউ‌নিয়‌নের চেয়ারম‌্যান আবু তা‌লেব এ তথ‌্য নি‌শ্চিত ক‌রে‌ছেন।

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ইউ‌নিয়‌নের কলাকাটারচর নামক স্থা‌নে বৌভাত অনুষ্ঠান থে‌কে এক‌টি শ‌্যা‌লো ই‌ঞ্জিন চা‌লিত নৌকায় ক‌নে প‌ক্ষের প্রায় ৫০ জন যাত্রী বকসীগঞ্জ ঘা‌টে ফির‌ছি‌লেন। সাত‌ভিটা নামক স্থা‌নে নৌকাটি পৌছালে ঝড়বৃ‌ষ্টির কব‌লে প‌ড়ে ডু‌বে যায়। এসময় অ‌নে‌কে সাঁত‌রে তী‌রে উঠ‌তে সক্ষম হ‌লেও কনের পিতা ও আ‌মেনা বেগম না‌মে এক নারীসহ চারজন নি‌খোঁজ হন।

    খবর পে‌য়ে উ‌লিপুর ফায়ার সা‌র্ভিসের উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থ‌লে পৌঁছা‌লেও ডুবু‌রি না থাকায় তারা নি‌খোঁজ‌দের উদ্ধার কর‌তে পা‌রেন‌নি। ত‌বে বৃহস্প‌তিবার সকা‌লে রংপুর থে‌কে ডুবু‌রি দল এ‌সে পুণরায় উদ্ধার কাজ শুরু কর‌বে ব‌লে জানান চেয়ারম‌্যান।

    উ‌লিপুর উপ‌জেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জানান, স্থানীয়ভা‌বে উদ্ধার অ‌ভিযান চালা‌লেও বুধবার রাত পর্যন্ত চারজন নি‌খোঁজ র‌য়ে‌ছেন। ডুবু‌রি দল‌কে খবর দেয়া হ‌য়ে‌ছে। আগামীকাল (বৃহস্প‌তিবার) সকা‌লে তারা উদ্ধার অ‌ভিযা‌নে অংশ নে‌বেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • নামাজে সিজদারত অবস্থায় মাকে কুপিয়ে মারলেন ছেলে

    নামাজে সিজদারত অবস্থায় মাকে কুপিয়ে মারলেন ছেলে

    কুড়িগ্রামে জোহরের নামাজে সিজদারত মাকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছেন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ছেলে।

    শুক্রবার (২০ মার্চ) দুপুরে রাজারহাট উপজেলার উমরমজিদ ইউনিয়নের পান্তাবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

    নিহত মায়ের নাম মিনি আক্তার (৫০), ছেলের নাম মন্তাজুল (২৬)।

    ঘটনার পর মানসিক ভারসাম্যহীন মন্তাজুলকে এলাকাবাসী আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
    পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, সোলায়মান আলী ও মিনি আক্তার দম্পতির সন্তান মন্তাজুল কয়েক বছর আগে মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন। বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা করার পরও সুস্থ না হওয়ায় বাড়িতে বেঁধে রেখে তাকে কবিরাজী চিকিৎসা করানো হচ্ছিল। এ অবস্থায় হাত-পায়ের বাঁধন খোলা পেয়ে নামাজের সিজদারত অবস্থায় মায়ের গলায় কুড়াল দিয়ে কোপ দিলে ঘটনাস্থলে তিনি মারা যান।

    এ প্রসঙ্গে রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ কৃষ্ণ কুমার সরকার জানান, ঘাতককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে নিহতের স্বামী সোলায়মান আলী বাদি হয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
    এছাড়া শনিবার (২১ মার্চ) নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।

  • ‘তুই কলেমা পড়ে ফেল, তোকে এনকাউন্টার দেওয়া হবে’

    ‘তুই কলেমা পড়ে ফেল, তোকে এনকাউন্টার দেওয়া হবে’

    কুড়িগ্রামের বাংলা ট্রিবিউনের প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম জামিনে মুক্ত হওয়ার পর ধরে নেওয়া এবং নির্যাতনের রোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন।

    রবিবার (১৫ মার্চ) দুপুরে কারাগার থেকে মুক্ত হন আরিফ। এরপর তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে।

    ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে আরিফ বলেন, ‘শুক্রবার (১৩ মার্চ) রাত ১২টার পর খেয়ে শুয়ে পড়ি। তখন একজন বাড়ির দরজায় ধাক্কা দেন। পরিচয় জানতে চাইলে কেউ পরিচয় জানাননি। পরে আমি সদর থানার ওসিকে ফোন দেই। ফোন দেওয়ার কথা শুনে বাইরে থাকা আরডিসি (সিনিয়র সহকারী কমিশনার-রাজস্ব) নাজিম উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন লোকজন দরজা ভেঙে বাসায় ঢোকে। ঘরে ঢুকেই আরডিসি নাজিম উদ্দিন আমার মাথায় কিল-ঘুষি মারতে শুরু করেন। মারতে মারতে আমাকে টেনে হিঁচড়ে গাড়িতে তুলে চোখ-হাত-পা বেঁধে ফেলা হয়। এরপর আমাকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে এনকাউন্টার দিতে চায়। আমাকে বারবার বলে, তুই কলেমা পড়ে ফেল, তোকে এনকাউন্টার দেওয়া হবে।’

    আরডিসি নাজিম উদ্দিন

    ভয়াবহ সেই ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, ‘এসময় তাদের আমি অনেক অনুনয় বিনয় করি। আমি আমার প্রাণ ভিক্ষা চাই। বলি, আমার বাবা-মা নেই, আমার দু’টি সন্তান আছে। আমাকে যেন না মেরে ফেলা হয়। তাহলে আমার বাচ্চা দুটি এতিম হয়ে যাবে। পরে তারা আমাকে গাড়িতে করে একটি ভবনে নিয়ে যায়। আমি চোখের কাপড় একটু খুলে বুঝতে পারি এটা ডিসির কার্যালয়। আবার নাজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে আমাকে একটি কক্ষে নিয়ে বিবস্ত্র করে বেধড়ক মারধর করে এবং বলে তোর ভিডিও করে রাখছি। এসময় অকথ্য ভাষায় গালাগালি করা হয়। এসময় নাজিম উদ্দিন বারবার আরেকজনকে বলছিলেন, ডিসি স্যারকে ফোন দাও, মেসেজ দাও। কী করবো সেটা বলতে বলো?’

    তিনি আরও বলেন, “আমি বারবার জানতে চেয়েছি, আমার অপরাধ কী? তখন নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘তুই আমাদের অনেক জ্বালাছিস। তোকে সাংবাদিকতা শেখাবো।’ এরপর চোখ বাঁধা অবস্থায় চারটি কাগজে সিগনেচার নেয়। রাতেই আমাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়। আমাকে কেন কারাগারে পাঠানো হলো এবং কেন ধরে আনা হলো কিছুই বলা হয়নি। এমনকি কারাগারে আমার সঙ্গে এক মাস কেউ যেন সাক্ষাৎ করতে না পারে এবং আমার যেন চিকিৎসা দেওয়া না হয়, এজন্য কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।”

    আরিফ আরও বলেন, ‘শনিবার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যায় কারা কর্তৃপক্ষ একটি কাগজ দিয়ে বলেন, তোমার পরিবার পাঠিয়েছে ওকালতনামা। সেখানে স্বাক্ষর করতে বলে। আমি স্বাক্ষর করেছি। কিন্তু আমি জানি না কে বা কারা ওকালতনামা পাঠিয়েছে। বাইরে এসে জানতে পারলাম আমার পরিবারের সদস্যরা কেউ জামিন আবেদনের জন্য ওকালতনামা পাঠায়নি।’

    আরডিসি নিজাম উদ্দিন ভারপ্রাপ্ত জেল সুপারের দায়িত্বে আছেন।

    আরিফের ওকালতনামা পাঠানো আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেনের কাছে জানতে চাওয়া হয় পরিবারের কেউ কি আপনাকে নিয়োগ করেছে? এই প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়ে বলেন, ‘কুড়িগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি আহসান হাবীব নিলু তার সঙ্গে যোগাযোগ করে দুজনে মিলে ২৫ হাজার টাকা জামানতে জামিন করিয়েছেন।’

    উল্লেখ্য, শুক্রবার (১৩ মার্চ) মধ্যরাতে বাড়িতে হানা দিয়ে মারধর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় আরিফুল ইসলামকে। তার বাসায় আধা বোতল মদ ও দেড়শ’ গ্রাম গাঁজা পাওয়া গেছে বলে অভিযোগ আনা হয়। এরপর গভীর রাতে জেলা প্রশাসকের অফিসে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

  • ডিসি সুলতানা প্রত্যাহার, মামলার সিদ্ধান্ত

    ডিসি সুলতানা প্রত্যাহার, মামলার সিদ্ধান্ত

    গভীর রাতে বাসায় গিয়ে সাংবাদিককে আটকের পর ডিসি অফিসে মোবাইল কোর্ট বসিয়ে কারাদণ্ড দেওয়ার ঘটনায় জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীনকে কুড়িগ্রাম থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

    একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রবিবার দুপুরে এ কথা জানান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

    এর আগে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম রিগ্যানকে জামিন দেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুজাউদ্দৌলা। কারাগার থেকে বের হওয়ার পর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের কারণে তাকে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।

    আরিফুল ইসলামের পক্ষের আইনজীবী অ্যাড. শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ২৫ হাজার টাকা জামানতে আরিফকে জামিন দেওয়া হয়েছে। তবে মামলাটির আপিল চলমান রয়েছে।

    আরিফুল ইসলামের স্ত্রী মোস্তারিমা সরদার বলেন, ‘রাত সাড়ে ১২টার দিকে হঠাৎ করে আমাদের বাড়ির গেটে ধাক্কাধাক্কির শব্দ শুরু হয়। আমরা জানতে চাই কারা ধাক্কাচ্ছে। এ সময় বলা হয়, দরজা খুলুন, না হয় ভেঙে ফেলা হবে। পরে তারা দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে পড়ে। ঢুকেই মারতে শুরু করে আরিফকে। কেন মারছেন জিজ্ঞাসা করতেই তারা আরিফকে বলে, ‘তুই অনেক জ্বালাচ্ছিস।’ মারতে মারতে তাকে নিয়ে যায়।’

    তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীনের বিরুদ্ধে অনিয়মের সংবাদ পরিবেশন এবং ফেসবুকে দুর্নীতি সংক্রান্ত পোস্ট দেওয়ার কারণে উনি ক্ষুব্ধ হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। ’

    তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে ডিসি সুলতানা পারভীন সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘যদি ঐ ঘটনাই হতো, সেটা তো এক বছর আগের কথা। ঐটা যদি কোনো বিষয় হতো, তাহলে তো তখনই আমরা কোনো অ্যাকশনে যেতাম।’ তিনি বলেন, টাস্কফোর্সের নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

    এদিকে গভীর রাতে সাংবাদিকের বাসায় টাস্কফোর্সের অভিযান ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে।

    অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বাসা থেকে জোর করে তুলে নিয়ে মোবাইল কোর্ট সাজা দিতে পারে না। গাঁজা-মদ যদি ঘরে থেকেও থাকে, তবে তা নজরদারিতে রাখবে। এরপর যখন সময় হবে তখন তাকে মাদকসহ আটক করবে। আর এসব মাদকদ্রব্য যদি কেউ লুকিয়ে রাখে, তাহলে আমাদের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর তার নিজস্ব আইনবলে পদক্ষেপ নেবে।’

    উল্লেখ্য, শুক্রবার রাতে নিজ বাড়ি থেকে আরিফুল ইসলামকে মাদকবিরোধী অভিযানের কথা বলে আটক এবং পরে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

    অভিযানের সময় মাদকসহ আরিফুল ইসলাম রিগানকে আটক করা হয় বলে দাবি করেন অভিযান পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিন্টু বিকাশ চাকমা।

  • সাংবাদিক আরিফ জামিনে মুক্ত

    সাংবাদিক আরিফ জামিনে মুক্ত

    মধ্যরাতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের দণ্ডে কারাগারে যাওয়া কুড়িগ্রামের সাংবাদিক আরিফুর রহমান রিগান জামিনে মুক্ত হয়েছেন।

    রবিবার সকালে আদালতের নির্দেশে জামিনের পরপর কারাগার থেকে মুক্ত হন বাংলা ট্রিবিউনের এই জেলা প্রতিনিধি।

    তবে তার এই জামিন নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন স্বজনরা। তাদের দাবি, পরিবারকে না জানিয়ে আরিফুলকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জামিননামায় স্বাক্ষর নেয়া হতে পারে।

    রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তার জামিনের আদেশ দেয় আদালত। এর প্রায় দেড় ঘণ্টা পর কারাগার থেকে মুক্ত করে সাংবাদিক আরিফুলের মামাতো ভাই কাজল তাকে চিকিৎসার জন্য কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেছেন বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে।

    এর আগে আরিফুলের সম্মতিতে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে অ্যাডভোকেট শাখাওয়াত হোসেন জামিনের জন্য আপিল দাখিল করেন বলে জানান। তার আপিল অনুমোদনের পর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এসএম আব্রাহাম লিংকন এবং আরিফুলের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট শাখাওয়াত হোসেন ও অ্যাডভোকেট আহসান হাবীব নীলু।

    আপিল শুনানি শেষে ২৫ হাজার টাকার বন্ডে স্থানীয় প্রেসক্লাবের সভাপতির জিম্মায় আরিফুলকে জামিন দেয়া হয় বলে জানা যায়।

    এর আগে শুক্রবার মধ্যরাতে ফিল্মি কায়দায় আরিফুলকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে বেধড়কভাবে পেটাতে পেটাতে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে নেয়া হয়। সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

    ঘটনাটি দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করে। জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচার করায় এটা ঘটেছে বলে দাবি সাংবাদিকদের। এ ব্যাপারে হাইকোর্টে একটি রিট হয়েছে। শুনানি শেষে আগামীকাল সোমবার এ ব্যাপারে আদেশের কথা রয়েছে।

    আরিফুল ইসলামের বোন রিমা ও মামা নবিদুল জানান, তারা জামিন আবেদন করেননি। তাকে কীভাবে জামিন দেয়া হয়েছে তা তাদের জানানো হয়নি। একই অভিযোগের কথা জানান বাংলা ট্রিবিউনের ন্যাশনাল ডেক্স ইনচার্জ শাহ আলম।

  • ইয়াবাসহ স্কুলশিক্ষক আটক

    ইয়াবাসহ স্কুলশিক্ষক আটক

    কুড়িগ্রামের রাজিবপুরে ইয়াবাসহ মো. রফিকুল ইসলাম(৩৮) নামে এক শিক্ষককে ইয়াবাসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    আটক রফিক সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের কৃষি শিক্ষার শিক্ষক।

    শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পার্শ্ববর্তী জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ডাংধরা ইউনিয়নের সোনাকুড়া এলাকা থেকে সানন্দাবাড়ী ফাঁড়ির পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। রাতে সেখান থেকে দেওয়ানগঞ্জ থানায় আনা হয় এবং শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) তাকে জামালপুর আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে জানিয়েছেন দেওয়ানগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এমএম ময়নুল ইসলাম।

    তিনি আরও জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোনাকুড়া এলাকার একটি ইউক্যালিপটাস গাছের বাগানের ভিতর থেকে ২০০ পিস ইয়াবাসহ মো. রফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়।

    মো. রফিকুল ইসলাম রাজিবপুর উপজেলার বালিয়ামারী ক্যাম্প পাড়ার আব্দুল বারীর ছেলে।

    বিগত ২০১৫ সালে শিক্ষক হিসেবে তিনি ওই বিদ্যালয়ে যোগদান করেছিলেন।

    এ প্রসঙ্গে রাজিবপুর সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়েন প্রধান শিক্ষক আজিম উদ্দিন জানান, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • প্রাথমিকের ৪ লাখ ১০ হাজার শিক্ষার্থী স্কুল ফিডিং’র আওতায়

    প্রাথমিকের ৪ লাখ ১০ হাজার শিক্ষার্থী স্কুল ফিডিং’র আওতায়

    মুজিববর্ষ উপলক্ষে দেশের ৪ লাখ ১০ হাজার ২৩৮ জন শিক্ষার্থী স্কুল ফিডিং-এর আওতায় আনা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে দেশের ১৬টি উপজেলার ২ হাজার ১৬৬ টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এতে সুফলভোগী হবে।

    প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন আজ কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার রৌমারী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দারিদ্র্য পীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং কর্মসূচির আওতায় রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলায় স্কুল ফিডিং-এর উদ্ভোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।

    কুড়িগ্রামের জেলাপ্রশাসক সুলতানা পারভীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম আল হোসেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সোহেল আহমেদ।

    এছাড়া অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব বদরুল হাসান বাবুল ও রতন চন্দ্র পন্ডিত , রাজিবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আকবর হোসেন হিরো,ডব্লিউএফপিএ-এর রংপুর প্রতিনিধি বীথিকা বিশ্বাসসহ রংপুরের উপ-পরিচালক ও কুড়িগ্রামের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবং এই কার্যক্রমের দায়িত্বপ্রাপ্ত বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আরডিআরএস-এর প্রতিনিধি এবং শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা।

    প্রতিমন্ত্রী বলেন, সারাদেশের প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মাঝে দুপুরে রান্না করা খাবার পরিবেশন করা হবে।এ উপলক্ষে জাতীয় মিড ডে- মিল নীতিমালা ২০১৯ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
    তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে দেশের ১৬টি উপজেলার ২ হাজার ১৬৬ টি বিদ্যালয়ের ৪ লাখ ১০ হাজার ২৩৮ জন শিক্ষার্থী এতে সুফলভোগী হবে। আজকেএই রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলাসহ ইতোমধ্যে ১৬ উপজেলায় এ কার্যক্রম চালু হল।এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধ, বিদ্যালয়ে উপস্থিতির হার বৃদ্ধি পাবে বলেও জানান তিনি।

    জাকির হোসেন বলেন, চলতি বছরের মার্চ থেকে স্কুল মিল কার্যক্রম চালু করা হবে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে একদিন অন্তর অন্তর রান্না করা খাবার ও উচ্চ পুষ্টিমান সমৃদ্ধ বিস্কুট সরবরাহ করা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

    তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার ছিল ৫০ ভাগেরও বেশি।এই সরকারের সময়ে এই পরিস্থিতি আমুল বদলে গেছে। শেখ হাসিনার সরকার দেখিয়েছেন বিদ্যালয়ে শিশুদের খাবার নিশ্চিত করা গেলে দেশ আরও এগুবে।

    প্রতিমন্ত্রী বলেন, মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। তাই ২০২৩ সালের মধ্যে সারাদেশের স্কুলগুলো এ কর্মসূচীর আওতায় আসবে।

    উল্লেখ্য, ২০১০ সাল থেকে দারিদ্য্র পীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং কর্মসূচী’ প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। দেশের ১০৪ টি দারিদ্র্য প্রবণ উপজেলা যার মধ্যে কুড়িগ্রাম জেলার সকল উপজেলায় এ কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে। জানা গেছে বর্তমানে সরকারি অর্থায়নে ৯৪টি উপজেলায় এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির অর্থায়নে ১০ টি উপজেলায় এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন চলমান রয়েছে। এ কর্মসূচির আওতায় প্রকল্পভুক্ত ১০৪ টি উপজেলার সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (নতুন জাতীয়করণসহ), শিশুকল্যা ট্রাস্ট পরিচালিত প্রাথমিক বিদ্যালয়, স্বতন্ত্র এবতেদায়ি মাদ্রাসায় এবং এনজিও পরিচালিত বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত প্রত্যেক শিক্ষার্থীদেরকে দৈনন্দিন উপস্থিতির ভিত্তিতে প্রতি স্কুল দিবসে ৭৫ গ্রাম ওজনের পুষ্টিসমৃদ্ধ বিস্কুট সরবরাহ করা হচ্ছে।

    অন্যদিকে স্কুল মিল কার্ষক্রমে রান্নাঘর নিমার্ণ করা হয়েছে। শিশুদের মাঝে রান্না করা গরম খাবার সরবরাহ করার জন্য রাধুনি নিয়োগ করা হয়েছে। যাদের বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট ( বারটান) এ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

    পরে প্রতিমন্ত্রী রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলায় শিক্ষার্থীদের মাঝে খাবার পরিবেশন করে স্কুল ফিডিং কর্মসূচির উদ্ধোধন করেন।