Tag: কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস

  • ‘কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস’ ট্রেন উদ্বোধন

    ‘কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস’ ট্রেন উদ্বোধন

    কুড়িগ্রামবাসীর বহুল প্রত্যাশিত ‘কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস’ আন্তঃনগর ট্রেন উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    এর ফলে যাতায়াতে দীর্ঘদিনের বিড়ম্বনা থেকে মুক্তি মিলছে উত্তরের এই জেলার বাসিন্দাদের।

    বুধবার দুপুরে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ট্রেনটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। সবুজ পতাকা নেড়ে ও বাঁশিতে হুইসেল দিয়ে নতুন ট্রেনটির উদ্বোধন করেন সরকারপ্রধান।

    ট্রেনটি উদ্বোধনের আগে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কুড়িগ্রামকে আমি মজা করে বলতাম কুইড়্যা গ্রাম। এখন আর কুইড়্যা গ্রাম নেই। অনেক উন্নত হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার সঙ্গে সঙ্গে অর্থনৈতিক উন্নতিটাও প্রয়োজন। আর যেন উত্তরবঙ্গবাসীকে মঙ্গা শব্দটা শুনতে না হয় সে ব্যবস্থা আমরা করেছি।’

    প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য শেষ করে কুড়িগ্রোমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ‘ও কি গাড়ি ভাই’ ভাওয়াইয়া গান পরিবেশ করা হয়। গান শোনার পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রেলের উন্নয়নের ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হবে। এতে এলাকারও উন্নয়ন হবে। কুড়িগ্রামের আগামী অনেক উন্নয়ন হবে। ও কি গাড়িয়াল ভাই গানের রেশ ধরেই আমি বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে।’

    ট্রেনটি আজ উদ্বোধন করা হলেও বৃহস্পতিবার থেকে বাণিজ্যিকভাবে কার্যক্রম শুরু হবে ‘কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস’ ট্রেনের। কুড়িগ্রামবাসী প্রথমবারের মতো নতুন এই আন্তঃনগর ট্রেন পাওয়ায় জেলাজুড়ে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ।

    জানা গেছে, ট্রেনটি সপ্তাহের প্রতি বুধবার ছাড়া ছয় দিনই সকাল ৭টা ২০ মিনিটে কুড়িগ্রাম রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে বিকাল ৫টা ২৫ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছাবে। আর ঢাকার কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে ছেড়ে ৬টা ২০ মিনিটে কুড়িগ্রাম স্টেশনে পৌঁছাবে। ট্রেনটি ১৪টি বগি নিয়ে যাতায়াতে রংপুর-বদরগঞ্জ, পার্বতীপুর-জয়পুরহাট, সান্তাহার-নাটোর, মাধনগর-টাঙ্গাইল, মৌচাক-বিমানবন্দর এই ১০টি স্টেশনে যাত্রী ওঠানামায় বিরতি থাকবে।

    রেলওয়ের লালমনিরহাট বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা মো. সাজ্জাত হোসেন জানান, ট্রেনটি প্রতিদিন ঢাকা-কুড়িগ্রামের ২৮৬.৮ মাইল পথ পাড়ি দেবে। কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকায় যাত্রাকালে মোট ৬৫৭টি আসন সুবিধা এবং ঢাকা থেকে কুড়িগ্রাম যাত্রাকালে ৬৩৮টি আসন সুবিধা থাকবে। শোভন চেয়ার ৫১০ টাকা, এসি চেয়ার ৯৭২ টাকা, এসি সিট ১১৬৮ টাকা এবং এসি বাথ ১৮০৪ টাকা আসন ভাড়া নির্ধারিত হয়েছে।

  • কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসের উদ্বোধন ১৬ অক্টোবর

    কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসের উদ্বোধন ১৬ অক্টোবর

    কুড়িগ্রামের বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে অবশেষে আগামী ১৬ অক্টোবর ঢাকা-কুড়িগ্রাম রুটে প্রথম আন্তঃনগর ট্রেনের উদ্বোধন হতে যাচ্ছে।

    ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই নতুন ট্রেনের উদ্বোধন করবেন। সম্ভাব্য কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস নামের এই ট্রেনটি চালু করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে কুড়িগ্রামের বাসিন্দাদের দাবি ছিল। সেই দাবির প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ি এই ট্রেনটি চালু হচ্ছে।

    বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (পশ্চিমাঞ্চল) হারুন অর রশীদ জানান, ‘পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেন উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী সুস্পষ্টভাবে কুড়িগ্রাম থেকে নতুন ট্রেন চালু করতে বলেছিলেন। আমরা সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিয়েছি।’

    কুড়িগ্রামবাসীর বহুল প্রত্যাশিত এ ট্রেনটির নাম এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে রেল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, নতুন এ ট্রেনটি ‘কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস’ নাম হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী ট্রেনটির নাম চূড়ান্ত করবেন।

    রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের লালমনিরহাট বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসে ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা পিটি ইনকা এমজি কোচ সংযোগ করা হবে।

    যাত্রী পরিবহনের জন্য এতে ১১ টি কোচ থাকবে। এই ট্রেনটি চালু হওয়ার পাশাপাশি রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের জন্য বরাদ্দকৃত কুড়িগ্রামের শাটল ট্রেনটিও চলমান থাকবে।

    ফলে কুড়িগ্রামবাসী দুটি আন্তঃনগর ট্রেনের সুবিধা পাবেন। ট্রেনটি কুড়িগ্রাম-রংপুর-পার্বতীপুর-সান্তাহার-ঢাকা রুটে চলাচল করবে।

    সপ্তাহে ৬ দিন সকাল ৭টা ২০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে কুড়িগ্রাম রেলস্টেশন ত্যাগ করবে। আর ঢাকা থেকে কুড়িগ্রামের উদ্দেশে ছাড়বে রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে। বুধবার এটি বন্ধ থাকবে।

    প্রস্তাবিত এ ট্রেনটির বিরতি থাকছে (উভয় পথে) রংপুর-বদরগঞ্জ-পার্বতীপুর-জয়পুরহাট-সান্তাহার-মাধবনগর-ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশন-ঢাকা।

    কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকা যাত্রাকালীন এতে মোট ৬২৬ টি আসন থাকবে। আর ঢাকা থেকে কুড়িগ্রাম ফেরার সময় এতে ৫৯৬টি আসন থাকবে। এর মধ্যে শোভন চেয়ার ৫১০ টাকা, এসি চেয়ার ৯৭২ টাকা, এসি সিট ১১৬৮ টাকা এবং এসি বার্থ ১৭৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে কুড়িগ্রামের জন্য ৪০ ভাগ আসন এবং রংপুরের জন্য ৩০ ভাগ আসন বরাদ্দ থাকবে।

    রেল অধিদপ্তরের সূত্র জানায়, কুড়িগ্রাম-তিস্তা জংশন রেলপথের সিঙ্গারডাবরি থেকে রাজারহাট রেলস্টেশন পর্যন্ত রেলপথের পাশ দিয়ে সড়ক বিভাগের রাস্তা তৈরির ফলে রেলপথের এই অংশটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এই রেলপথ দিয়ে ট্রেন চালানো নিরাপদ নয়। তারপরও সংস্কার ছাড়াই নতুন আন্তঃনগর ট্রেন চালু হচ্ছে। তবে তিস্তা জংশন-কুড়িগ্রাম রেলপথ সংস্কারের পরিকল্পনা নিয়েছে রেল মন্ত্রণালয়।