Tag: কুয়েত

  • শেখ হাসিনাকে কুয়েতের প্রধানমন্ত্রীর টেলিফোন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ

    শেখ হাসিনাকে কুয়েতের প্রধানমন্ত্রীর টেলিফোন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী শেখ আহমদ নওয়াফ আল-আহমাদ আল-সাবাহ আজ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন, যা সময়ের সাথে সাথে গভীরতা ও মাত্রায় জোরদার হচ্ছে।

    প্রধানমন্ত্রীর প্রেস শাখার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে উভয় নেতা এ অভিমত ব্যক্ত করেন।

    কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এবং তাঁর মাধ্যমে বাংলাদেশের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণকে তার শুভেচ্ছা জানান।

    দুই নেতা দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেন এবং সন্তোষ প্রকাশ করেন যে, দুটি বন্ধুপ্রতিম দেশের মধ্যেকার সম্পর্ক সময়ের সাথে সাথে গভীরতা ও মাত্রায় বৃদ্ধি পাচ্ছে।

    শেখ হাসিনা টেলিফোন করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ আহমাদ নাওয়াফ আল-আহমাদ আল-সাবাহকে ধন্যবাদ জানান এবং তাকে ও কুয়েতের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানান।

    তিনি আনন্দের সাথে উল্লেখ করেছেন যে কুয়েতে কর্মরত বাংলাদেশীরা এবং কুয়েত সেনাবাহিনীতে ‘বাংলাদেশ কন্টিনজেন্ট’ দীর্ঘদিনের অংশীদারিত্বের উত্তরাধিকার ও শক্তিমত্তারই স্বীকৃতি।

    প্রধানমন্ত্রী আল-সাবাহ আনন্দের সাথে তার দেশের প্রতিরক্ষা পুনর্গঠনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিষ্ঠা ও পরিশ্রমী ভূমিকার উল্লেখ করেন। দুই দেশের উন্নয়নে প্রবাসী বাংলাদেশীদের ভূমিকারও প্রশংসা করেন তিনি।

    উভয় নেতা ব্যাংককে ২০২৩ সালের জুলাইয়ের প্রথম দিকে পরবর্তী সাধারণ পরিষদের বৈঠকে পারস্পরিক প্রত্যাশা নিয়ে অলিম্পিক কাউন্সিল অফ এশিয়া (ওসিএ) তে একসাথে কাজ করতে সম্মত হন।

    দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য নিয়মিত পরামর্শ বা উচ্চ পর্যায়ের সফরের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে দুই নেতা একে অপরকে নিজ নিজ দেশে সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানান।

    দুই নেতা শুভেচ্ছা বিনিময়, পরস্পরের সুস্থ জীবন ও দুই দেশের জনগণের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনার মধ্য দিয়ে টেলিফোন আলাপ শেষ হয়।

  • দ্বি-পাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়ে রোডম্যাপ তৈরির প্রস্তাব কুয়েতের

    দ্বি-পাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়ে রোডম্যাপ তৈরির প্রস্তাব কুয়েতের

    কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী শেখ সাবাহ আল-খালিদ আল-সাবাহ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশেনের ফাঁকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এতে দ্বি-পাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়ে একটি রোডম্যাপ (পথনকশা) তৈরির প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।

    জাতিসংঘ সদরদপ্তরে ঐ বৈঠকের পর নিউইয়র্কে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তারা আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে একটি রোডম্যাপ ও একটি অভিযোগ্য কর্মসূচি প্রস্তুত করতে চাই।’

    ড. মোমেন দুই প্রধানমন্ত্রীর আলোচনা ‘অত্যন্ত ফলপ্রসূ’ হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, উভয় প্রধানমন্ত্রীর আলোচনার সূত্র ধরে তিনি পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট ও সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্র বাছাই করতে কুয়েতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন।

    পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে একটি তেল শোধনাগার স্থাপনের ব্যাপারে তার দেশের আগ্রহের কথাও ব্যক্ত করেন এবং তাদের দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিতে বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতা চান।

    তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী এসব প্রস্তাবকে স্বাগত জানান এবং প্রস্তাবিত তেল শোধনাগারের জন্য প্রয়োজনীয় জমি প্রদানের ব্যাপারে কুয়েতের প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আপনাদের প্রয়োজনীয় সামরিক প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহযোগিতা দিব।’

    ১৯৯১ সালে উপসাগরীয় যুদ্ধ চলাকালে বাংলাদেশ সামরিক বাহিনী পাঠিয়ে কুয়েতের দিকে তাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল এবং এই সহযোগিতার স্বীকৃতিস্বরূপ কুয়েত তাদের একটি সামরিক ইউনিটের নামকরণ করে ‘বাংলাদেশ কন্টিনজেন্ট’।

    পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, কুয়েত তাদের কুয়েত ফান্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশকে পাঁচ কোটি মার্কিন ডলার প্রদান করে এবং বাংলাদেশ সরকার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের আওতায় পৌরসভার অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য ব্যয় করা হয়।

    তিনি বলেন, বাংলাদেশ পাঁচটি মেঘা প্রকল্পের জন্য কুয়েত ফান্ডের মাধ্যমে আরো ১০ কোটি মার্কিন ডলার গ্রহণে কুয়েতের সঙ্গে আলোচনার একে বারে শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

    পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সময় থেকেই কুয়েতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অন্যন্য।’

    এর আগে শেখ হাসিনা সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী স্টিফান লফভেনের সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক করেন। সমসাময়িক বিশ্বে একজন বিখ্যাত শ্রমিক নেতা হওয়ার খ্যাতি অর্জন করেন স্টিফান।

    বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তাঁকে বলেন, তাঁর সরকার কর্মীদের স্বার্থের জন্য আরো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং এ ব্যাপারে তিনি তাঁর পরামর্শ চান। শেখ হাসিনা একই সঙ্গে তাঁকে অবহিত করেন যে প্রণোদনা প্যাকেজের কারণে মহামারি করোনাভাইরাস চলাকালেও কোন বাংলাদেশী গার্মেন্ট শ্রমিক চাকরি হারায়নি।

    পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম ও জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা হোটেল লটে নিউইয়র্ক প্যালেসে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর বিফ্রিংকালে উপস্থিত ছিলেন।

    এন-কে

  • কুয়েতে সাংসদ পাপুলের ৪ বছরের কারাদণ্ড

    কুয়েতে সাংসদ পাপুলের ৪ বছরের কারাদণ্ড

    অর্থ ও মানব পাচারের মামলায় কুয়েতে আটক থাকা আলোচিত সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের ৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে সে দেশের একটি আদালত।

    বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) কুয়েতের ফৌজদারি আদালতের বিচারক আবদুল্লাহ আল ওসমান এ রায় ঘোষণা করেন।একইসঙ্গে তাকে ৫৩ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে।খবর আল-কাবাস ও আল-রাইয়ের।

    এছাড়া পাপুলের কাজে সহযোগিতা করায় কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক কর্মকর্তা মাজেন আল জাররাহসহ দেশটির দুই কর্মকর্তাকে ৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।পাশাপাশি প্রত্যেককে ১৯ লাখ কুয়েতি দিনার অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫৩ কোটি টাকা।

    লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য পাপুলকে গত বছরের ৬ জুন রাতে কুয়েতের মুশরিফ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। মারাফি কুয়েতিয়া কোম্পানির অন্যতম মালিক পাপুলের সেখানে বসবাসের অনুমতি রয়েছে।

    পাচারের শিকার পাঁচ বাংলাদেশির অভিযোগের ভিত্তিতে পাপুলের বিরুদ্ধে মানবপাচার, অর্থপাচার ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের শোষণের অভিযোগ এনেছে কুয়েতি প্রসিকিউশন। ১৭ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর এখন তাকে রাখা হয়েছে কুয়েতের কেন্দ্রীয় কারাগারে।

    কুয়েতি কর্মকর্তাদের কীভাবে কত টাকা ঘুষ দিয়েছেন, সে বিষয়ে রিমান্ডে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন পাপুল। যা প্রসিকিউটরদের বরাতে প্রকাশ করছে স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম। সেখানে নাম আসায় কুয়েতের দুই এমপির বিরুদ্ধেও পাপুলকে বেআইনি কাজে সহযোগিতা এবং অর্থপাচারে জড়িত থাকার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা হয়।

    মামলার তদন্তের সময় অভিযুক্ত হিসেবে ১৩ জনের নাম উঠে আসে। এর মধ্য থেকে চারজনকে তদন্তকালে বাদ দেয়া হয়।

    সাধারণ শ্রমিক হিসেবে কুয়েত গিয়ে বিশাল সাম্রাজ্য গড়া পাপুল ২০১৮ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তার মালিকানাধীন মারাফি কুয়েতিয়া কোম্পানি পরিচ্ছন্নতাকর্মী নেয়ার কাজ করলেও কুয়েতে অন্যান্য ব্যবসার কাজও বাগিয়েছিলেন পাপুল।

    এর আগে গালফ নিউজের খবরে বলা হয়েছিল, ‘জেনারেল ট্রেডিং অ্যান্ড কনট্রাক্টিং’ নামক লাইসেন্স ছিল পাপুলের। যার মাধ্যমে শিশুদের খেলনা থেকে শুরু করে অ্যানটিক কার্পেটের ব্যবসাও তিনি করতে পারেন। পাপুল ও তার কোম্পানির ব্যাংক হিসাব ইতোমধ্যে জব্দ করেছে কুয়েত কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশেও তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে।

    রাজনৈতিক অঙ্গনে অনেকটাই অপরিচিত শহিদ ইসলাম পাপুল ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচনে তাক লাগিয়েছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাঁড়িয়ে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের সমর্থন আদায় করে।

    মহাজোটের প্রার্থী সরে দাঁড়িয়েছিলেন পাপুলকে কেন্দ্রীয়ভাবে তার জোট সমর্থন দেয়ায়। নির্বাচনের পর আরেক চমক ছিল পাপুলের স্ত্রীর সংরক্ষিত নারী আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া।

    এর পর দেশের রাজনীতির চমক এই সংসদ সদস্য আবারও আলোচনায় আসেন গত ফেব্রুয়ারিতে কুয়েতের একটি সংবাদপত্রে বাংলাদেশি মানবপাচারকারীদের নিয়ে একটি সংবাদ প্রকাশের পর।

  • মহানবী (সা.) কে অবমাননা : কুয়েতে ফ্রান্সের পণ্য বয়কটের ডাক

    মহানবী (সা.) কে অবমাননা : কুয়েতে ফ্রান্সের পণ্য বয়কটের ডাক

    শেষ নবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) কে অবমাননার কারণে ফ্রান্সের পন্য বয়কটের ডাক দিয়েছে কুয়েতের অধিবাসীরা।

    ফ্রান্সের পণ্য বয়কটের ডাক দিয়ে হ্যাশ ট্যাগ (#BoycottFrenceProducts) ব্যবহার করছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা। তাদের এ আন্দোলনে ব্যাপক সাড়া মিলেছে বিশ্বব্যাপী।

    ইতিমধ্যে কুয়েতের বিভিন্ন মার্কেট থেকে ফ্রান্সের পণ্য সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। এর নানা ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। অনেকেই হ্যাশ ট্যাগের সঙ্গে জুড়ে দিচ্ছেন এসব ছবি ও ভিডিও।

    আন্দোলনকারীরা ফেসবুক পোস্টে ফ্রান্সের বিভিন্ন কোম্পানির একটি তালিকাও প্রকাশ করছেন। যেখানে ফ্রান্সের মালিকানাধীনা কোম্পানিগুলোর লোগো ও নাম ব্যবহার করা হয়েছে। খবর ডেইলি সাবাহ’র।

    গত ১৬ অক্টোবর ফ্রান্সের প্যারিসের শহরতলী এলাকায় এক স্কুলশিক্ষককে গলা কেটে হত্যা করা হয়।

    পুলিশের উদ্ধৃতি দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, হামলাকারীর বয়স ১৮ বছর। তিনি চেচেন জাতিগোষ্ঠীর এবং জন্ম রাশিয়ার মস্কোতে। নিহত ওই শিক্ষক রাষ্ট্রবিজ্ঞান পড়াতেন।

    ‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতা’ ক্লাসে তিনি শিক্ষার্থীদের মহানবী মুহাম্মদ (সা.)-এর কার্টুন দেখিয়ে ছিলেন। তারপর তাকে হত্যা করা হয়।

    এ ঘটনার পর ফ্রান্সের পুলিশ দেশটির অন্তত ৫০টি মসজিদ ও মুসলিম-অধ্যুষিত এলাকায় ভয়াবহ অভিযান চালায়।

    সাড়ে পাঁচ বছর আগে হজরত মোহাম্মদ (সা.) বিতর্কিত কার্টুন ছাপানোর পর ফ্রান্সের ব্যঙ্গাত্মক ম্যাগাজিন শার্লি এবদোতে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। আবারও সেটি ছাপিয়েছে ম্যাগাজিনটি।

    এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠলেও এর পক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।

    প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, হজরত মুহাম্মদের (সা.) বিতর্কিত কার্টুন ছাপানো নিয়ে নিন্দা জানাবেন না। একই সঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদী ও এসব হামলার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দেন তিনি।

    মোহাম্মদ (সা.)-এর কার্টুন বন্ধে ব্যবস্থা না নেয়া এবং শার্লি এবদোর পক্ষে অবস্থান নেয়ার পর মুসলিম বিশ্বে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ক্ষোভে ফেটে পড়ছে মুসলিম দেশগুলো।

    তারই বহিঃপ্রকাশ হিসেবে ফ্রান্সের সব ধরনের পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছে কুয়েত। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী বিশেষ করে টুইটার ও ফেসবুকে ফ্রান্সের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

    দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেস বার্গের বাসিন্দা ফাতিমা সায়েদ তার প্রতিক্রিয়ায় লেখেন, আমি কুয়েতকে তাদের ন্যায়বিচারের জন্য ভালোবাসি। তারা ইউরোপিয়ান এবং পশ্চিমাদের বাজে কথাবার্তার প্রতিবাদ করার জন্যও সাধুবাদ জানাই।

    ইব্রাহীম মাইনা নামের কেনিয়ার এক নাগরিক লেখেন, তাদের (ইউরোপিয়ান) বিশ্বাস করবেন না। এরা সবাই ইসলামের শত্রু। তাই আপনি কী কিনছেন, সেদিকে খেয়াল রাখুন। তারা খাবারে বিষ প্রয়োগও করতে পারে।

    আয়শা সিদ্দিকা নামে এক বাংলাদেশি প্রতিবাদকারী হ্যাশ ট্যাগ দিয়ে ফেসবুকে লেখেন, ফ্রান্সের দুটো সরকারি বিল্ডিংয়ে নবীজির ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন করা হচ্ছে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, তারা ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন বন্ধ করবে না। এটা তাদের ‘ফ্রিডম অব স্পিচ’ (বাক-স্বাধীনতা)। এই ফ্রান্সেই আবার হিজাব নিষিদ্ধ। কী চমৎকার তাদের নিয়ম! ফ্রান্স রাষ্ট্রীয়ভাবে মুহাম্মদ (সা.)-এর বিরুদ্ধে এমন কুরুচিপূর্ণ প্রচারণা চালাচ্ছে। সারা পৃথিবী চেয়ে চেয়ে দেখছে। সম্প্রতি ফ্রান্স সরকার ৬৮টি মসজিদ ও মাদ্রাসা বন্ধ করে দিয়েছে। আরও অসংখ্য মসজিদ-মাদ্রাসা বন্ধের তালিকায় আছে।

    আন্দোলনকারীরা ফেসবুক পোস্টে ফ্রান্সের বিভিন্ন কোম্পানির একটি তালিকা প্রকাশ করছেন। যেখানে ফ্রান্সের মালিকানাধীনা কোম্পানিগুলোর লোগো ও নাম ব্যবহার করা হয়েছে।

    এরই মধ্যে ফ্রান্সের সরকারি বিভিন্ন সংস্থার দেয়ালে শার্লি এবদোর সেই বিতর্কিত ১২টি কার্টুন প্রদর্শন করা হচ্ছে। দেশটির সরকার এবং কয়েকটি গণমাধ্যমের এমন সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি)।

    ফ্রান্সের কয়েকটি ভবনের সামনে এবং সরকারের সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে ইসলামকে সম্পৃক্ত করা এবং নবী মুহাম্মদকে অপমানজনক প্রচারণার সমালোচনা করেছে সংস্থাটি। ওআইসির বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর অবমাননা, মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে ক্রমাগত আঘাতের নিন্দা জানাই। রাজনৈতিক স্বার্থে ফ্রান্সের নাগরিক ও ইসলামকে মুখোমুখি দাঁড় করানোর ঘৃণ্য চেষ্টা করছেন কতিপয় ফরাসি কর্মকর্তা। বাক-স্বাধীনতার নামে কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। সংস্থাটি ফ্রান্সকে তার বৈষম্যমূলক নীতিগুলো পর্যালোচনা করার আহ্বান জানিয়েছে।

    এদিকে ১৯৪৭ সালের ১০ ডিসেম্বর সবার জন্য মানবাধিকারবিষয়ক একটি ঘোষণাপত্র জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন গৃহীত হয়। এটি গোটা বিশ্বের মানুষের মানবাধিকারের দলিল হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ফ্রান্সের ইসলামবিদ্বেষী এ অবস্থান জাতিসংঘের সেই ঘোষণাপত্রটি সরাসরি লঙ্ঘন করে।

    সেখানে প্রথম অনুচ্ছেদে বলা হয়:
    পৃথিবীর সব মানুষ সমান অধিকার নিয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তাদের অধিকার ও মর্যাদা সমান। প্রত্যেকেই ভ্রাতৃত্বপূর্ণ একটি সম্পর্ক বজায় রাখবে, একে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করবে। কিন্তু ফ্রান্সের ইসলামবিদ্বেষী আচরণ, তার কার্টুন প্রদর্শন সরাসরি জাতিসংঘের এ ঘোষণা লঙ্ঘন করে। এতে কার্যকত জাতিসংঘকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করেছে ফ্রান্স।

    ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী, হজরত মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয় রাসূল এবং সর্বশেষ নবী। তার কোনও ধরনের অবয়ব আঁকা ধর্ম অবমাননা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাই এবারও হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর কার্টুন নিয়ে মুসলিম বিশ্বে চরম সমালোচনা চলছে।

    সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা বলে বিতর্কিত কার্টুনটির পক্ষেই অবস্থানের কথা জানালেন লেবানেন সফররত ফ্রান্স প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ।

    তিনি বলেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট কখনোই সাংবাদিকদের সম্পাদকীয় পছন্দ বা নিউজ রুমের বিচার করার অবস্থানে নেই। কারণ আমাদের সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা রয়েছে।

    ফ্রান্সের রম্য সাময়িকী শার্লি এবদো ২০১৫ সালে নবী মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে একটি কার্টুন প্রকাশ করে। এটি প্রকাশের পর প্যারিসে সন্ত্রাসী হামলায় পত্রিকাটির ১২ সাংবাদিক নিহত হন। তবে কার্টুনটি প্রকাশ বন্ধ করেনি কর্তৃপক্ষ। সেই কার্টুনের ছবি পরে ফরাসি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। সে সময় শার্লি এবদো ৩০ লাখ কপি ছাপানো হয়। এমনিতে প্রতি সপ্তাহে পত্রিকাটি ৬০ হাজার কপি ছাপত। পাঁচ বছর আগের ওই হামলায় জড়িত সন্দেহে ১৪ জন কথিত ষড়যন্ত্রকারীর বিচার শুরু হয় চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের ২ তারিখ। বিচার শুরুর একদিন আগে শার্লি এবদো বহুল বিতর্কিত ওই কার্টুন আবার প্রকাশ করে।

    বিচারের মুখোমুখি করা ওই ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, শার্লি এবদোতে ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি দুই ভাই সাঈদ ও শেরীফ কুয়াচির চালানো বন্দুক হামলায় সহযোগিতা করেছিল তারা। কার্টুন ছাপার পর থেকে ফ্রান্সে ছুরি হামলার ঘটনা বেড়ে যায়। এতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ নিহত হন।

    এ বছর বিচার শুরুর আগে শার্লি এবদোর মলাটে বিতর্কিত সেই ১২টি কার্টুন চিত্র আবার ছাপা হয়। এ কার্টুনগুলো শার্লি এবদোয় প্রকাশের আগে ডেনমার্কের একটি সংবাদপত্রেও ছাপা হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ আর নেই

    কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ আর নেই

    কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ আল-আহমাদ আল-সাবাহ মারা গেছেন। মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত ৮টার দিকে যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

    কাতারভিত্তিক চ্যানেল আল জাজিরার খবরে বলা হয়, মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর।

    শেখ সাবাহ ১৯২৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন।

    তাকে আধুনিক কুয়েতের পররাষ্ট্রনীতির স্থপতি বলা হয়। সে হিসেবেই তিনি সর্বাধিক পরিচিত।
    ১৯৬৩ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত ৪০ বছর তিনি দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৬ সালে থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তিনি কুয়েতের আমিরের দায়িত্ব পালন করেন।

    ২৪ ঘণ্টা

     

  • পাপুল কাণ্ডে কুয়েতের সেনা কর্মকর্তা আটক

    পাপুল কাণ্ডে কুয়েতের সেনা কর্মকর্তা আটক

    মানবপাচারের অভিযোগে কুয়েতে গ্রেফতার লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের সঙ্গে সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেন ও ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে কুয়েতের এক সেনা কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    আরবি ভাষার পত্রিকা আল কাবাসের বরাত দিয়ে গালফ নিউজ জানিয়েছে, দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অ্যাসিসট্যান্ট আন্ডার সেক্রেটারি মেজর জেনারেল মাজেন আল-জারাহকে গ্রেফতার করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।

    খবরে বলা হয়, ঘুষের বিনিময়ে পাপুলের বেশ কিছু কাজ দ্রুত অনুমোদন করিয়ে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে মেজর জেনারেল মাজেন আল-জারাহ । তিনি কুয়েতের নাগরিকত্ব, পাসপোর্ট ও বসবাসের অনুমতি বিষয়ক দপ্তরের অ্যাসিসট্যান্ট আন্ডার সেক্রেটারি ছিলেন।

    বাংলাদেশি এমপি পাপুল রিমান্ডে যাদের নাম বলেছেন তাদের মধ্যে মাজেন আল-জারাহ অন্যতম। ২৩ হাজারের বেশি কর্মীর এন্ট্রি ভিসার অনুমোদনের জন্য ঘুষ দেওয়ার কথা রিমান্ডে জানিয়েছেন এমপি পাপুল।

    এক পর্যায়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অ্যাসিসট্যান্ট আন্ডার সেক্রেটারির পদে থাকা মেজর জেনারেল মাজেন আল-জারাহকে জুনের শেষ দিকে বরখাস্তের আদেশ দেন কুয়েতের উপ-প্রধানমন্ত্রী আনাস আল-সালেহ।

    এরপর গত বৃহস্পতিবার এই সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে কুয়েতের পাবলিক প্রসিকিউশন। ওই পরোয়ানার ভিত্তিতেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

    লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য পাপুলকে গত ৬ জুন রাতে কুয়েতের মুশরিফ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। মারাফি কুয়েতিয়া কোম্পানির অন্যতম মালিক পাপুলের সেখানে বসবাসের অনুমতি রয়েছে।

    পাচারের শিকার ৫ বাংলাদেশির অভিযোগের ভিত্তিতে পাপুলের বিরুদ্ধে মানবপাচার, অর্থপাচার ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের শোষণের অভিযোগ এনেছে কুয়েতি প্রসিকিউশন। ১৭ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর এখন তাকে রাখা হয়েছে কুয়েতের কেন্দ্রীয় কারাগারে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • পাপুলকাণ্ড: কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি বরখাস্ত

    পাপুলকাণ্ড: কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি বরখাস্ত

    বাংলাদেশি এমপি কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলের সঙ্গে সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেন এবং ঘুষ গ্রহণের দায়ে বরখাস্ত করা হয়েছে কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী আন্ডার সেক্রেটারি মেজর জেনারেল মাজেন আল-জারাহকে।

    মঙ্গলবার কুয়েতের উপপ্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আনাস আল-সালেহ এক আদেশ জারি করে তাকে বরখাস্ত করেন।

    গত ৬ জুন সংসদ সদস্য পাপুল কুয়েতে আদম ব্যবসায় অনিয়ম এবং হাজার কোটি টাকার কারবারে জড়িত সন্দেহে দেশটির পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে অর্থ ও মানবপাচার এবং ভিসা জালিয়াতির অভিযোগে কুয়েতে এক বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়।

    ওই ঘটনায় মোট তিনজন জড়িত ছিল বলে তখন খবর পাওয়া যায়।

    সেই সময় বাকি দুজন পালিয়ে যান; যাদের একজন শহীদ ইসলাম পাপুল। রিমান্ডে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সর্বশেষ গত ২৪ জুন তাকে ২১ দিনের জন্য কুয়েতের কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

    কুয়েতে গত ৬ জুন রাতে আটকের পর পাপুলের দফতরের সিসিটিভি ও অন্যান্য কাগজপত্র এবং চেকবই থেকে অনৈতিক লেনদেনের বিষয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে দেশটির অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

    এছাড়া তার মুঠোফোনে কুয়েতের সংসদ সদস্যসহ স্বরাষ্ট্র, সমাজকল্যাণ এবং অন্যান্য কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে পাপুলের যোগাযোগের তথ্য পাওয়া যায়। কুয়েতি এই কর্মকর্তারা অনৈতিক সব কাজে পাপুলকে সহযোগিতা করেছেন।

    কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী আন্ডার সেক্রেটারি মেজর জেনারেল মাজেন আল-জারাহ এমপি শহিদ ইসলামের জন্য ২৩ হাজারের বেশি কর্মীর এন্ট্রি ভিসার অনুমোদনে সহায়তা করেছেন বলে তদন্ত কর্মকর্তারা জানতে পান। সূত্র: আরব টাইমস।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • এবার পাপুলকাণ্ডে কুয়েতের দুই এমপি আটক

    এবার পাপুলকাণ্ডে কুয়েতের দুই এমপি আটক

    অর্থ ও মানবপাচারের অভিযোগ কুয়েতে গ্রেফতার লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলকে সহায়তার অভিযোগে কুয়েতের দুই এমপিকে আটক করা হয়েছে।

    শনিবার (২৭ জুন) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে গাল্ফ নিউজ।

    আটক হওয়া ওই দুই কুয়েতি এমপি পাপুলের ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলে জানা গেছে। এরইমধ্যে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে কুয়েতের গোয়েন্দা বিভাগ। তবে এখনো তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।

    এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মানব পাচার প্রতিবেদনে, কুয়েতি কর্মকর্তাদের বাংলাদেশের সংসদ সদস্যের ঘুষ দেয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • পাপুলের পক্ষ নিয়ে প্রত্যাহার হচ্ছেন কুয়েতের রাষ্ট্রদূত

    পাপুলের পক্ষ নিয়ে প্রত্যাহার হচ্ছেন কুয়েতের রাষ্ট্রদূত

    সংসদ সদস্য কাজী শহীদুল ইসলাম পাপুলের বিরুদ্ধে কুয়েত সরকারের তদন্তে যেখানে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য বের হয়ে আসছে, সেখানে তার পক্ষে সাফাই গেয়েছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তার লেখা এমন একটি চিঠি প্রকাশ পেয়েছে। যেখানে পাপুলের বিরুদ্ধে প্রকাশিত খবরগুলোকে ‌ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যেপ্রনোদিত বলে দাবি করেছেন রাষ্ট্রদূত।

    এর মধ্যে রাষ্ট্রদূত পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, দায়িত্বে না থাকলেও তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ তদন্ত করবে রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলো।

    তদন্তে বের হয়ে আসছে একের পর এক তথ্য। অর্থ পাচার, ঘুষ কেলেঙ্কারিসহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত সংসদ সদস্য কাজী পাপুলের কাছ থেকে অবৈধ সুযোগ নেয়া কুয়েতের বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা, ব্যবসায়ীদের নাম বের হয়ে আসছে দেশটির তদন্তে। শুধু মানবপাচার নয়, গ্রেফতারকৃত পাপুলের বিরুদ্ধে ৫টি অভিযোগের তদন্ত করছে এখন কুয়েতের গোয়েন্দা সংস্থা।

    উল্টো চিত্র বাংলাদেশের পক্ষ থেকে। গ্রেফতারের ১৬ দিন পরও কোন তথ্য নেই, দাবি রাষ্ট্রদূতের। অথচ, চিঠিটিতে দেখা যায়, গত ফেব্রুয়ারি মাসে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর কাছে রাষ্ট্রদূতের পাঠানো চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, পাপুলের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো মিথ্যে।

    কুয়েতের আল কাবাস পত্রিকার সাংবাদিককে দূতাবাসের পক্ষ থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা বলা হয় এ চিঠিতে। একইসঙ্গে কুয়েতের জেনারেল ডিপার্টমেন্ট অব ক্রিমিনাল এভিডেন্স থেকে পাপুলকে গুড কন্ট্রাক সার্টিফিকেট এবং নট কনভিকটেড মর্মে উল্লেখ করার কথাও বলা হয়। এ চিঠিতে মোট ৩ বার সব অভিযোগ মিথ্যে বলে দাবি করেন রাষ্ট্রদূত। গণমাধ্যমের কাছেও তিনি অভিযোগগুলো ‘বাতাসের’ বলে দাবি করেন।

    কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমাদের কাছে কোন তথ্য নেই। তাছাড়া সরকার আমাদের কিছু জানাচ্ছে না। কর্মচারী জড়িত এই সেই, এগুলো মুখরোচক কথা, বাতাসের কথা। কিসের তদন্ত হবে? বাতাসের কথা থেকে কোন তদন্ত হয়?

    চিঠির বিষয়ে অবগত নন জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো তদন্তের আওতায় আনা হবে।

    পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে বোধহয় চিঠি দিয়েছিলেন, এটা হয়তো ব্যক্তি চিঠি, আমি জানি না। অবশ্যই বড় অ্যাকশন হবে। আমরা ইতিমধ্যে নতুন রাষ্ট্রদূত ওখানে কে যাবেন সেটা নির্ধারণ করেছি। বর্তমান বাদ হলেও যদি দেখা যায় যে, এগুলোর সাথে সম্পৃক্ততা আছে, সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আছে, তাহলে তারা এটা দেখবে।

    কুয়েতের গণমাধ্যমের সবশেষ খবরে বলা হচ্ছে, পাপুলের কাছ থেকে ২৮ কোটি টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগে দেশটির পুলিশ আরও দুই ব্যক্তিকে খুঁজছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • পাপুলের কারণে কুয়েতের সংসদে বাঙ্গালীদের গালি(ভিডিওসহ)

    পাপুলের কারণে কুয়েতের সংসদে বাঙ্গালীদের গালি(ভিডিওসহ)

    বাঙালী হারামী! ফ্যাসাদ সৃষ্টিকারী!
    তারা নিজ দেশেও ফ্যাসাদ সৃষ্টি করে এবং আমাদের দেশেটাকেও নষ্ট করছে!

    কুয়েতের সংসদে একজন সাংসদ এমন কটাক্ষ ভাষায় আমাদের সন্মান জানালেন!

    এক পাপলু কারণে ১৭কোটি মানুষ মন্দ ভাষা আর তিরস্কারের ভাগীদার হল!

    উন্নয়নের জোয়ারে দেশ যখন কানাডা, সিঙ্গাপুর জাপানকে পিছে ঠেলে আসমানে উড়ছিল
    ঠিক তখনই আমার দেশের একজন মাননীয় সংসদ সদস্য মানব পাচার ও অর্থ পাচারের অভিযোগে কুয়েতে গ্রেফতার হবার পর কুয়েত সংসদে এ নিয়ে তুমুল ঝড় উঠেছে যার প্রভাব কুয়েত প্রবাসী বাংলাদেশীদের উপর পড়বে নিঃসন্দেহে।

    দেশ জনগনের নামেই শুধু কিন্তু দেশের সফলতা, উন্নয়ন, সুনাম অর্জন যাদের হাতে তারাই অধিকাংশ নষ্ট এটাই জাতির দূর্ভাগ্য।

    মানবপাচার ও অর্থপাচারের অভিযোগে কুয়েতে আটক বাংলাদেশের সাংসদ শহিদ ইসলাম পাপুলকে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা কাজ পাইয়ে দিতেন। কুয়েতের ওই কর্মকর্তা দেশটির একজন সাংসদের হয়ে ঘুষ নেয়ার বিষয়ে মধ্যস্থতা করতেন। রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে বাংলাদেশি সাংসদ কুয়েতের তদন্ত কর্মকর্তাদের কাছে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন।

    কুয়েতের ইংরেজি দৈনিক আরব টাইমসের খবরে বলা হয়, মানবপাচার ও অর্থপাচারের অভিযোগে কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তার সঙ্গে যোগসাজশ করে এসব কাজে সাহায্য করেছেন দেশটির আরও কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা। যাদের মধ্যে কিছু কর্মকর্তা ইতিমধ্যে চাকরির মেয়াদ শেষ করে অবসরে গেছেন। তারা বাংলাদেশের নাগরিকের সন্দেহজনক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় ঘুষ নিতেন বলে কুয়েতি তদন্ত কর্মকর্তাদের কাছে স্বীকার করেছেন সাংসদ পাপুল।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/আলীউর

  • মানব পাচারের অভিযোগে এমপি শহীদ কুয়েতে গ্রেফতার

    মানব পাচারের অভিযোগে এমপি শহীদ কুয়েতে গ্রেফতার

    মানবপাচারে যুক্ত থাকার অভিযোগে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলকে গ্রেফতার করেছে কুয়েত ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট সিআইডি।

    রোববার (৭ জুন) বিকেলে কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এসএম আবুল কালাম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    তার বিরুদ্ধে মানবপাচারের মাধ্যমে হাজার কোটি টাকার কারবারের অভিযোগ রয়েছে।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সময় শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে কুয়েতের মাশরিফ আবাসিক এলাকায় নিজ বাসভবন থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

    কুয়েতের রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালাম ফোনে গণমাধ্যমকে  জানান, কুয়েতের সিআইডি তাকে গ্রেফতার করেছে। তবে এ বিষয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসকে এখন পর্যন্ত কোন তথ্য দেয়া হয় নি। সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে কোন মামলা আছে কিনা খোঁজ নেয়া হচ্ছে।

    একাধিক সূত্রে জানা যায়, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পর কুয়েতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো মানব পাচার ও মানি লন্ডারিংয়ের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন দেশের শতাধিক নাগরিককে গ্রেফতার করেছে। শহীদ ইসলামের নামও ওই তালিকায় ছিল। কুয়েতে তার বড় আকারের ব্যবসা বাণিজ্য রয়েছে বলে জানা যায়।

    এমপি শহীদ আলম গত মার্চ থেকেই কুয়েতে অবস্থান করছেন। গত ফেব্রুয়ারিতে কুয়েতের বিভিন্ন গণমাধ্যমে তার বাংলাদেশ থেকে মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ সম্পর্কিত খবর বের হয়। গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, অবৈধ ভিসা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশী এক সংসদ সদস্যকে খুঁজছে কুয়েতের নিরাপত্তা সংস্থা।

    খবরে আরো বলা হয়, অভিবাসী শ্রমিক আনার সরকারি ঠিকাদারি পেতে তিনি সরকারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের পাঁচটি বিলাসবহুল গাড়ি উপহার দিয়েছেন।

    স্থানীয় পত্রিকা আল কাবাস কুয়েতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাত দিয়ে জানায়, গত ফেব্রুয়ারিতে এক বাংলাদেশীকে মানবপাচার ও মানি লন্ডারিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে আটক করা হয়েছে। তবে তার পরিচয় জানাননি তিনি। শুধু তিনি বলেন, তিন জনের একটি গ্যাং এ কাজ করে। বাকি দুজন দেশ থেকে পালিয়েছে। এরা তিনজনই তিনটি বড় কোম্পানির গুরুত্বপূর্ণ পদে আছেন। তারা বাংলাদেশ থেকে ২০ হাজারেও বেশি শ্রমিক কুয়েতে পাচার করেছেন। বিনিময়ে সব মিলিয়ে ৫ কোটি দিনারেরও বেশি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। আটক ওই বাংলাদেশীই জিজ্ঞাসাবাদে লক্ষ্মীপুরের এমপির নাম বলেছেন বলে জানায় পত্রিকাটি।

    খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মারাফি কুয়েত গ্রুপের একজন অংশীদার, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিই্ও) শহীদ ইসলাম। এ প্রতিষ্ঠানটির কুয়েত ছাড়াও ওমান ও জর্ডানে কার্যক্রম রয়েছে।

    শহীদ ইসলাম প্রথম কুয়েত যান ১৯৯২ সালে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানি ভেক্টর মার্কেটিংয়ে যোগ দেয়ার পরই সেখানে যান তিনি। এরপর তিনি মারাফি কুয়েতিয়া কোম্পানিতে মহাব্যবস্থাপক হিসেবে যোগ দেন, পরে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হন। এ কোম্পানির ভারী যন্ত্রপাতি, সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ, প্রকৌশল থেকে শুরু করে মানবসম্পদ সহায়তা সেবাসহ বিভিন্ন ব্যবসা রয়েছে।

    এ ছাড়া তিনি বেসরকারি খাতের ব্যাংক এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান এবং এনআরবি সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কোম্পানির চেয়ারম্যান। স্বতন্ত্র এই সংসদ আওয়ামী লীগ কুয়েতের প্রধান পৃষ্ঠপোষক, বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটি সদস্য, বাংলাদেশ কমিউনিটি কুয়েতের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। বিগত সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে তিনি স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করে জয়লাভ করেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • কুয়েতে মৃত্যুবরণ করা রাউজানের গোলাম মোহাম্মদের লাশ দেশে আসছে রবিবার

    কুয়েতে মৃত্যুবরণ করা রাউজানের গোলাম মোহাম্মদের লাশ দেশে আসছে রবিবার

    রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:::মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতে স্ট্রোকে মৃত্যুবরণ করা রাউজানের পশ্চিম গুজরা নিবাসী গোলাম মোহাম্মদদের(৬২) লাশ রবিবার দেশে আসছে।

    সম্প্রতি বুকে ব্যাথা অনুভব করার পর প্রবাসী গোলাম মোহাম্মদের এক পরিচিতজন তাকে স্থানীয় আমেরি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ।

    গোলাম মোহাম্মদ রাউজানের ১১ নং পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের উত্তর গুজরা গ্রামের ছমদ আলী সিকদার পাড়ার মরহুম হাজী আব্দুস সাত্তারের কনিষ্ঠ পুত্র। বিবাহিত জীবনে তিনি দুই কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের জনক।

    গোলাম মোহাম্মদের স্বজনরা জানান, তিনি দীর্ঘ ৩৫/৪০ বছর ধরে প্রবাস জীবনে ছিলেন। নগরীর চকবাজার এলাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে থাকতেন।

    গোলাম মোহাম্মদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল মালেক বলেন, গোলাম মোহাম্মদ খুবই শান্ত প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। দীর্ঘ সময় ধরে প্রবাস জীবনে ছিলেন। মৃত্যুর পর তার লাশ কুয়েতের হাসপাতালের হিমাগারে রাখা হয়েছিল। রবিবার কুয়েত থেকে প্রবাসী গোলাম মোহাম্মদের লাশ ফ্লাইটে করে শাহজালাল বিমানবন্দর হয়ে সড়কপথে চট্টগ্রাম আসবে। রবিবার বিকেলে অথবা সন্ধ্যায় গোলাম মোহাম্মদের নামাজে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/রানা