Tag: কৃষক

  • বোয়ালখালীতে ১২০ জন কৃষক পেলেন রবি প্রণোদনা

    বোয়ালখালীতে ১২০ জন কৃষক পেলেন রবি প্রণোদনা

    বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে ১২০ জন প্রান্তিক কৃষক পেয়েছেন রবি প্রণোদনা।

    বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে ১২০জন কৃষককে রবি প্রণোদনা হিসেবে হাইব্রীড ধান, ভুট্টো, সরিষা, ফেলন, চীনাবাদাম ও শীতকালীন মুগ ডালের বীজ তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আছিয়া খাতুন।

    এ সময় উপজেলার ১০টি কৃষক সংগঠনকে ১০টি সেচ পাম্প ও ৫০০ কৃষককে বিভিন্ন প্রকারের শাক-সবজির বীজ বিতরণ করেন তিনি।

    এ উপলক্ষে নির্বাহী অফিসার আছিয়া খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোছলেম উদ্দিন আহমদ।

    তিনি বক্তব্যে বলেন, করোনাকালীন সময়ে কৃষকদের সহায়তা করা বর্তমান সরকারের প্রশংসনীয় উদ্যোগ। সরকারের উদ্যোগকে কাজে লাগিয়ে কৃষকরা উপকৃত হবেন।

    এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আতিক উল্লাহ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা এসএম সেলিম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যাস শামীম আরা বেগম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নুরুল আমিন চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক রিদুয়ানুল হক টিপু, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মেহেদী হাসান ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তাছলিমা আক্তার।

    ২৪ ঘণ্টা/পূজন

  • ঠাকুরগাঁওয়ে শীতকালীন লাউয়ের ন্যায্য মূল্য পেয়ে কৃষক খুশি

    ঠাকুরগাঁওয়ে শীতকালীন লাউয়ের ন্যায্য মূল্য পেয়ে কৃষক খুশি

    গৌতম চন্দ্র বর্মন,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে গত বছরের তুলনায় এবার লাউয়ের ভাল ফলন হয়েছে। অল্প জমিতে অধিক হারে লাউয়ের চাষ করতে পেরে খুশী কৃষকরা। পোকার আক্রমণ আর নানা রোগবালাইয়ের পরও এবার লাউয়ের বাম্পার ফলন পাচ্ছেন কৃষকরা।

    বর্তমানে শীতকালীন সবজি লাউয়ের দাম বেশি থাকায় লাভবান হওয়ার আশায় মুখ ভরা হাসি নিয়ে মাচা থেকে লাউ সংগ্রহের কাজে ব্যস্ত কৃষকেরা।

    জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় সাড়ে পাঁচ হাজার হেক্টর জমিতে সবজির চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। আর এ পর্যন্ত ৫০০ হেক্টর জমিতে লাউ চাষ করেছে কৃষকেরা।

    সরেজমিনে রবিবার (২২ নভেম্বর) জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মাঠজুড়ে সারি সারি মাচায়-মাচায় ঝুলছে শীতকালীন ফসল লাউ। আর এই লাউ বাজারে ভালো দামে বিক্রির আশায় মাচা থেকে সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট এক স্থানে জমা করছেন চাষীরা।

    জেলার সদর উপজেলার সালন্দর ইউনিয়নের দেওগা গ্রামের মফিজ উদ্দীন জানান,সবজি চাষ করে দূর করেছেন পরিবারের অভাব। এই মৌসুমে এক বিঘা জমিতে লাউয়ের চাষ করে প্রথমবার ছিঁড়েছেন এক হাজার লাউ। বাজারে তা বিক্রি করেছেন প্রতিটি ২০-২৫ টাকায়।

    একই গ্রামের এমামুল হক জানান, এবার দুই বিঘা জমিতে লাউয়ের চাষ করে ১ লক্ষ টাকা আয় করেছেন।

    আরেক কৃষক আসরাফ আলী, জানান, ১৮ শতক জমিতে লাউ চাষ করে এখন পর্যন্ত ৬০ হাজার টাকার লাউ বিক্রি করেছেন। এখনও লাউয়ের গাছ তরতাজা আছে। সেখান থেকে অনেক টাকার লাউ বিক্রি করতে পারবেন। এক বিঘায় ৪০-৫০ হাজার টাকা খরচ করে লক্ষাধিক টাকা আয় করা সম্ভব।

    জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আলতাফ হোসেন বলেন,এবার ঠাকুরগাঁওয়ে লাউয়ের বাম্পার ফলন হয়েছে।এবার দামও ভাল পাচ্ছে কৃষকেরা। আর কৃষকদের মাঠ পর্যায়ে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা।

  • মিরসরাই’তে ১৫শ কৃষক পেল কৃষি প্রণোদনা

    মিরসরাই’তে ১৫শ কৃষক পেল কৃষি প্রণোদনা

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। মিরসরাই প্রতিনিধি : আসন্ন আউশ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে ও আউশের লক্ষমাত্রা অর্জনের আগাম প্রস্তুতি হিসেবে মিরসরাইয়ের ১৫শ কৃষকের মাঝে প্রনোদনা মূলক কৃষি উপকরণ বিতরণ করা হয়েছ। এসব উপকরণের মধ্যে ছিল উপশী আউশ ধানের উন্নতমানের বীজ, ডিএফি ও এমওপি সার।

    বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) মিরসরাই কৃষি অফিসের মাধ্যমে, উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুহুল আমিন এর সভাপতিত্তে উপকরণ বিতরণের উদ্ধোধন করেন উপজেলা পরিষদের চেয়াম্যান জসিম উদ্দিন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন ও কৃষি কর্মকর্তা রঘু নাথ নাহা।

    উদ্ধোধন কালে উপজেলা চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে দেশ খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশ্বময় যে খাদ্য সংকটের আভাস পাওয়া যাচ্ছে, তা মোকাবেলার পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

    আউশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য উপজেলা কৃষি অফিসের সকল কর্মকর্তা মাঠ পর্যায়ে সকল ধরনের কারিগরি মুলক সহায়তা প্রদান করবে।

    উপজেলা কৃষি অফিসার রঘু নাথ নাহা বলেন, আমরা উপজেলার ১৫শ কৃষককে প্রথমিক ভাবে সহায়তা করেছি। প্রতিজন কৃষককে ১ বিঘা জমি চাষের জন্য ৫ কেজি উপশী আউশ ধানের উন্নত মানের বীজ, ২০ কেজি ডিএফি ও ১০ কেজি এমওপি সার বিতরণ করেছি।

    এছাড়া আউশের লক্ষমাত্রা অর্জনে আমাদের কর্মকর্তারা সার্বক্ষনিক মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সাথে কাজ করবে।

    ২৪ ঘণ্টা/ আশরাফ উদ্দিন/আর এস পি

  • কৃষকের ধান কেটে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছে ছাত্রলীগ

    কৃষকের ধান কেটে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছে ছাত্রলীগ

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: কৃষি ক্যালেন্ডার অনুসারে এপ্রিলের শেষ ভাগ ও মে এর প্রথম সপ্তাহ থেকে বোরো ধান কাটার মৌসুম। তবে এ বছর করোনার প্রভাবে শ্রমিক সংকট ও আবহাওয়া সতর্ক বার্তায় বন্যার পূর্বাভাস থাকায় দুশ্চিন্তায় কৃষকরা।

    তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে আসছেন। সে দিক বিবেচনায় দেশের অনেক অঞ্চলে সরকারের পক্ষ থেকে ধান কাটতে শ্রমিকের যোগান দেয়া হচ্ছে।

    তবে ভিন্ন দৃশ্যপট পাহাড়ে। কৃষকের পাশে শ্রমিক নয় দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কর্মীরা।

    খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলায় অনেক কৃষকের মাঠের ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছে ছাত্রলীগের কর্মীরা। করোনা পরিস্থিতির এতো খারাপ সময়ের মধ্যো ইতিবাচক এ কর্মযজ্ঞে সাধুবাদ মিলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

    বুধবার (২২ এপ্রিল) সকাল থেকে পানছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে শুরু হয়েছে স্বেচ্ছাশ্রমে ধান কাটা। উপজেলার মরাটিলা এলাকার মাঠে প্রথম দিনে ৮০ শতক জমির ধান কেটে কৃষকের ঘরে তুলে দেয়া হয়েছে।

    পানছড়িতে কৃষকের ধান কেটে দিচ্ছে ছাত্রলীগ

    পানছড়ি ছাত্রলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম জানান, কোন কৃষকের যেন এক পোয়া ধান মাঠে নষ্ট না হয় সেদিকে সজাগ থাকবে পানছড়ি ছাত্রলীগ। কেউ যদি শ্রমিকের অভাবে ধান কাটতে না পারে আমাদের জানালে আমরা স্বেচ্ছাশ্রমে কৃষকের পাশে দাঁড়াবো। প্রথমদিনে মরাটিলায় ২৫ জন স্বেচ্ছাশ্রমে ৮০ শতক জমির ধান কেটে কৃষকের ঘরে তুলে দিয়েছে। এর ধারাবাহিতা অব্যাহত থাকবে।

    খাগড়াছড়ি জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যমতে খাগড়াছড়িতে এ মৌসুমে বোরোর চাষ হয়েছে ১১ হাজার ৩ শ ৮৯ হেক্টর জমিতে। পানছড়িতে ১ হাজার ৬ শ ৬৫ হেক্টর জমিতে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/প্রদীপ

  • করোনা/ত্রাণের জন্য ৩৩৩ এ ফোন দিয়ে চেয়ারম্যানের মাইর খেলেন কৃষক!

    করোনা/ত্রাণের জন্য ৩৩৩ এ ফোন দিয়ে চেয়ারম্যানের মাইর খেলেন কৃষক!

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। জেলা ডেস্ক || করোনা মহামারীতে রুপ নেওয়ায় সারা বিশ্বের অধিকাংশ দেশ এখন লকডাইনে। তেমনি আমাদের দেশে অনেক জেলা-উপজেলাকেও লকডাউন ঘোষণা করেছে প্রশাসন। তাছাড়া পুরো দেশ লম্বা সাধারণ ছুটিতে।

    এ অবস্থায় জরুরি প্রয়োজনীয় ছাড়া প্রায় সকল কর্মসংস্থান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় দেশের অধিকাংশ মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ে। এ কদিন গৃহবন্দি থেকে অনেকের খাদ্য ভান্ডারও ফুরিয়ে এসেছে।

    তেমনি একজন নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার আঙ্গারিপাড়া গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম। তিনি তার অবস্থার দিক বিবেচনা করে গত ১০ এপ্রিল ৩৩৩ নাম্বারে ফোন করে তার গ্রামের ৩০০ কৃষকের জন্য খাবার চান।

    তবে ৩৩৩ এ ফোন করে খাদ্য সহায়তা চাওয়ায় ওই কৃষককে মারপিট করেছেন অর্জুনপুর-বরমহাটি (এবি) ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার।

    বোববার রাতে ঘটনাটি ঘটলেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওই চেযারম্যানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিলে মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়ে।

    স্থানীয়রা জানায়, করোনা কারণে আঙ্গারিপাড়া গ্রামের অনেকে কর্মহীন হয়ে পড়ে। গত ১০ এপ্রিল ৩৩৩ তে কল করে কৃষক শহিদুল ইসলাম তার সহ ওই গ্রামের ৩শ’ জনের খাদ্য চান।

    এর পরিপ্রেক্ষিতে লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মুল বানীন দ্যুতি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে অর্জুনপুর-বরমহাটি (এবি) ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তারকে নির্দেশ দেন। ১২ এপ্রিল রাতে এবি ইউনিয়ন পরিষদে ওই কৃষককে ডেকে নিয়ে মারপিট করেন।

    স্থানীয়রা সোমবার বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানান।

    কৃষক শহিদুল ইসলাম স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, ত্রাণ চেয়ে মার খেয়েছি। এ ঘটনার তিনি বিচার চান। তবে মারপিটের বিষয়টি অস্বিকার করে এবি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার বলেন, ত্রাণ চাওয়ার বিষয়টি তিনি উত্তেজিত হয়েছিলেন। মারপিট করেননি।

    লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মুল বানীন দ্যুতি জানান, কৃষককে মারপিটের ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন। গতকাল সোমবার অভিযুক্ত চেযারম্যানকে ৩ কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন। নোটিশের জবাব পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • দেশকে রক্ষা করতে হলে কৃষক ও জমি বাঁচাতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

    দেশকে রক্ষা করতে হলে কৃষক ও জমি বাঁচাতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

    এ দেশকে রক্ষা করতে হলে কৃষক ও জমি বাঁচাতে হবে। কৃষিজমি নষ্ট করে কোনো শিল্প কলকারখানা ও ইন্ডাস্ট্রি করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    আজ বুধবার (৬ নভেম্বর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কৃষক লীগের ১০ম সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

    তিনি বলেন, কৃষকের স্বার্থ রক্ষার পাশাপাশি আমরা উন্নত হব, শিল্পায়ন করব, কৃষকদের বাদ দিয়ে নয়, কৃষিকে বাদ দিয়ে নয়। কাজেই আমাদের উন্নয়নে কৃষকদের সবসময় গুরুত্ব দিয়ে থাকি।

    প্রানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ কৃষিনির্ভর দেশ। কৃষকরাই বাংলাদেশকে বাঁচিয়ে রাখে। কৃষক ফসল ফলায়, আমরা খেয়ে বেঁচে থাকি। একটি সমাজ ও দেশের জন্য কৃষক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
    শেখ হাসিনা বলেন, আগে কৃষক ফসল ফলাতো, কিন্তু তার পেটে খাবার ছিল না। তাদের পরনের কাপড় ছিল না। কৃষকের অধিকার সংরক্ষণে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। কৃষক যেন তাদের ন্যায্য অধিকার আদায় করতে পারে, সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।

    তিনি বলেন, আমরা ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করে দিচ্ছি। এটার অর্থ হলো যেন কৃষি জমি নষ্ট না হয়। যারা ইন্ডাস্ট্রি করতে চায়, তাদের ওইসব অঞ্চলে প্লট দেওয়া হবে। এ ছাড়া সব ধরনের সার্ভিস দেওয়া হবে। তারা সেখানে শিল্প গড়ে তুলবে। কারণ আমার কৃষি জমি বাঁচাতে হবে।
    প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ই-কৃষি চালু হয়েছে। কৃষকরা যে কোনো সমস্যার সমাধানে ‘১৬১২৩’ নম্বরে কল করে জানতে পারে। আমাদের কৃষকরাও এখন যথেষ্ট পরিপক্ব। মোট কথা কৃষকদের যত ধরনের সুবিধা দেওয়ার কথা, আমরা তা দিচ্ছি।

    কৃষি খাতে গবেষণার গুরুত্ব দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, গবেষণা ছাড়া কৃষি উন্নয়ন সম্ভব নয়। আমরা গবেষণার মাধ্যমে উন্নতমানের বীজ উৎপাদন করছি। বর্তমানে দেশেই গবেষণার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের সবজি ১২ মাসই উৎপাদন করা যাচ্ছে। আমরা কৃষি উন্নয়নে গুরুত্ব দিচ্ছি।
    তিনি বলেন, আমরা এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। খাদ্য উৎপাদনে সারাবিশ্বে আমরা চতুর্থ অবস্থানে আছি। বাংলাদেশে একটি মানুষও আর গৃহহারা থাকবে না। তাদের প্রত্যেকের যেন মাথা গোঁজার ঠাঁই হয়, আমরা সে ব্যবস্থা করে দিচ্ছি।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমরা কৃষকের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণ করার চিন্তা করছি। এতে খাদ্য উৎপাদন আরও বাড়বে।

    এর আগে বুধবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পৌঁছান আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় সম্মেলন মঞ্চ থেকে স্লোগান দিয়ে তাকে অভিবাদন জানানো হয়।

    অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিদের ফুরের শুভেচ্ছা জানানো হয়। এর পর মঞ্চে উপবিষ্ট অতিথিদের ব্যাজ পরিয়ে দেয়া হয়। কৃষক লীগের প্রকাশনা মোড়ক উম্মেচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    কৃষক লীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন মোল্লার সভাপতিত্বে সম্মেলন পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খন্দকার শামসুল হক রেজা। সম্মেলনে সাংগঠনিক রিপোর্টও পেশ করেন রেজা।

    সম্মেলনে বি‌শেষ অ‌তি‌থির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক প‌রিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কা‌দের এবং সর্বভারতীয় কৃষাণ সভার সাধারণ সম্পাদক অতুল কুমার অঞ্জন। এতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।