Tag: কৃষিমন্ত্রী

  • স্যাংশন নিয়ে আওয়ামী লীগ বিচলিত নয় : কৃষিমন্ত্রী

    স্যাংশন নিয়ে আওয়ামী লীগ বিচলিত নয় : কৃষিমন্ত্রী

    কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, স্যাংশন নিয়ে আওয়ামী লীগ মোটেই বিচলিত নয়। কোনো স্যাংশন দিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও গণতন্ত্রকে ব্যাহত করা যাবে না। যত ধরনের স্যাংশনই আসুক না কেন তা মোকাবিলা করার মতো যোগ্যতা বাংলাদেশের রয়েছে।

    শুক্রবার (২ জুন) দুপুরে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার রাণী ভবানী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাজেট বিষয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা গত ১৪ বছর যাবত বলে আসছেন এটা উচ্চাভিলাসী বাজেট, অবাস্তব বাজেট, কল্পনাভিত্তিক বাজেট। কল্পনাভিত্তিক বাজেট হলে দেশের এত উন্নয়ন হলো কীভাবে! বিদেশি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বাংলাদেশেকে ‘অদম্য বাংলাদেশ’ বলছে। সেই অদম্য বাংলাদেশের গতি অপ্রতিরোধ্য। আমরা উন্নয়নের মহাসড়কে রয়েছি। এই গতিকে আমরা আরও বেগবান করবো। এই বাজেটের মাধ্যমে উন্নয়নকে আরও গতিময় করবো।

    তিনি আরও বলেন, এই বাজেট বাস্তবসম্মত। অতীতে আমরা সফল হয়েছি, আগামী দিনেও এই বাজেট প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে সফল হব। এই বছরের বাজেটে কৃষিকে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছি। বিনা মূল্যে না হলেও অনেক সহযোগিতা দিয়ে কৃষির বিভিন্ন যন্ত্রপাতি দিচ্ছি। গ্রামীণ ও পল্লী বাংলাদেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করার জন্য এই বাজেটকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

    অনুষ্ঠানে মধুপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীমা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন পৌর মেয়র সিদ্দিক খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার শফি উদ্দিন মনি, সাবেক পৌর মেয়র মাসুদ পারভেজ প্রমুখ।

    ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে ১০০ জন ডাক্তার দিনব্যাপী প্রায় এক হাজার রোগীকে সেবা প্রদান করবেন।

  • নিষেধাজ্ঞায় সরকার চিন্তিত না, এটি সকলের জন্য সতর্কবার্তা : কৃষিমন্ত্রী

    নিষেধাজ্ঞায় সরকার চিন্তিত না, এটি সকলের জন্য সতর্কবার্তা : কৃষিমন্ত্রী

    সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা দিলে যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নিষেধাজ্ঞার যে হুঁশিয়ারি দিয়েছে সেই বিষয়ে সরকার ভীত ও চিন্তিত না বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, ‘এটি সকলের জন্য সতর্কবার্তা। এটা আলাদা কোনো দল বা ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা নয়। ’

    বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আব্দুর রাজ্জাক এ কথা বলেন।

    কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘ভিসা প্রক্রিয়া পরিবর্তন সব নাগরিকের জন্য সমান। আমার মনে হয় ভিসা প্রক্রিয়ার এই পরিবর্তন বিএনপির জন্যও প্রযোজ্য। তারা মানুষ পুড়িয়েছে, গণপরিবহনে আগুন দিয়েছে ও গর্ভবতী মায়ের অ্যাম্বুলেন্স আটকে রেখেছে। এগুলোর কারণে তাদের ভিসা প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হতে পারে। তবে নির্বাচন সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা প্রক্রিয়া পরিবর্তনে সরকার চাপ অনুভব করছে না। ’

    এর আগে, বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ঘোষিত এই ভিসানীতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে মনে করা যে কোনো বাংলাদেশি নাগরিকের ভিসা প্রদানে বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।

  • বাজার পরিস্থিতি দেখে পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত: কৃষিমন্ত্রী

    বাজার পরিস্থিতি দেখে পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত: কৃষিমন্ত্রী

    দাম কিছুটা কমতির দিকে থাকায় আরও দুই-তিনদিন বাজার পরিস্থিতি দেখে পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

    রোববার (২১ মে) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা জানান।

    কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘মধ্যম আয়ের, সীমিত আয়ের সব মানুষেরই কষ্ট হচ্ছে। ৮০ টাকা কেজি তো পেঁয়াজ হতে পারে না। নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে… আমরা শেষ পর্যন্ত চাষির স্বার্থটা দেখতে চাচ্ছি।’
    তিনি বলেন, ‘আমরা উচ্চ পর্যায়ে, নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনা করেছি। আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। ইনশাআল্লাহ দুই-তিনদিনের মধ্যে আপনারা সিদ্ধান্ত পাবেন- যে আমরা বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করবো কি না।’

    কৃষিমন্ত্রী বলেন, সবকিছুর একটা ধারাবাহিকতা থাকে, কিন্তু গত এক সপ্তাহে পেঁয়াজের দামে সে ধারাবাহিকতা রাখা যায়নি। সাধারণত বাজার সাপ্লাই এবং ডিমান্ডের ওপর নির্ভর করে। গত বছর পর্যাপ্ত পেঁয়াজ থাকা সত্ত্বেও কিছু অসাধু আড়ৎদারের কারণে গুদামে অনেক পেঁয়াজ পঁচে গেছে।

    তিনি বলেন, আমাদের মোট ভূখণ্ডের মোট ৬০ ভাগ জমি আবাদ করা হয়। আবার একই জমিতে একাধিক ফসল হচ্ছে। আমাদের দেশের মোট জনসংখ্যার সঙ্গে প্রতিবছর প্রায় ২০ থেকে ২৪ লাখ মানুষ নতুন করে যোগ হচ্ছে। আমরা দানাদার খাদ্যতে স্বয়ংসম্পূর্ণ থাকলেও প্রতিবছর ক্রমবর্ধমান এই জনসংখ্যার কারণেই বাজারে নিত্যপণ্যের দাম কিছুটা বেশি।

    কৃষিমন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজের দাম ২৫ থেকে ৩০ টাকা হওয়াও কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা বিষয়টা মনিটরিং করছি। আমাদের অফিসারদের মাঠ পর্যায়ে পাঠিয়েছি। তারা পর্যবেক্ষণ করে দেখেছে, কৃষকদের ঘরে পেঁয়াজ থাকলেও দাম বাড়াবে- এমন আশায় তারা অনেকেই মজুদ করে রেখে দিচ্ছেন। এতে দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে।

    মন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজ খুবই পচনশীল ফসল। এটি রাখা কঠিন। ধান কিংবা সরিষা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু পেঁয়াজ রাখা যায় না, শুকিয়ে যায়। শুকিয়ে গেলে ওজন কমে যায়, তখন দাম অনেক কমে যায়।

    আবদুর রাজ্জাক বলেন, পেঁয়াজের শেলফ লাইফ কম। আলুর মতো না। তবে আমরা কিছু প্রযুক্তি নিয়ে এসেছি, কীভাবে গুদামে রাখা যায়। যদি শেলফ লাইফ বাড়ান যেত, তাহলে আমাদের যে উৎপাদন হচ্ছে, তাতে পেঁয়াজ দিয়ে বাজার ভাসিয়ে দেওয়া যেত।

    এর আগে শুক্রবার রংপুরে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানান, দাম না কমলে দু-একদিনের মধ্যে পেঁয়াজ আমদানি করা হবে। তিনি বলেন, পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। আমরা লক্ষ্য রাখছি। আপাতত ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। যদি দু-একদিনের মধ্যে দাম না কমে তাহলে পেঁয়াজ আমদানি করা হবে।

    চিনির দাম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, চিনির দাম নির্ধারণ করে দিলেও বাজারে তার প্রভাব এখনো পড়েনি। সরকার নির্ধারিত দামে চিনি বিক্রি নিশ্চিত করতে ভোক্তা অধিকার কাজ করছে। আশা করছি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে।

    বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কাঁচাবাজারের সবকিছু আমরা নিয়ন্ত্রণ করি না। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় রয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি খুব যে খারাপ তা কিন্তু নয়। দুটোতেই একটুখানি ঝামেলা হয়েছে। গতানুগতিকভাবে গ্লোবাল মার্কেটে দাম বেড়েছে, যেমন ডালের দাম বেড়েছে। কাঁচাবাজারের দাম কখনো বাড়ে আবার কখনো কমে।

  • মুষ্টিচাল সঞ্চয়ের ধারণাটি সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে কৃষিমন্ত্রীকে সুজনের অনুরোধ

    মুষ্টিচাল সঞ্চয়ের ধারণাটি সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে কৃষিমন্ত্রীকে সুজনের অনুরোধ

    কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে সাবেক চসিক প্রশাসক সুজন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার অভূতপূর্ব উন্নয়নে অবদান রাখায় মন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

    শুধু ফসলের মাঠে নয়, ছাদ কৃষিতেও ব্যাপক আগ্রহ ও সফলতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। আর এ সফলতা এসেছে কৃষিমন্ত্রীর সুদক্ষ নেতৃত্বের কারণে। একজন সফল কৃষিবিদ এবং কৃষি গবেষক হওয়ায় কৃষিমন্ত্রী সঠিক সময়ে সঠিক কাজটি করতে পেরেছেন বলেই কৃষিখাতে বাংলাদেশের এ উন্নতি। এমনকি করোনা মহামারীকালীন সময়ে বিশ্বে যখন অস্থির অবস্থা বিরাজ করছে, খাদ্য সংকটের কবলে যখন সারাবিশ্ব, সেই কঠিন মূহুর্তে বাংলাদেশ ছিল ব্যতিক্রম। করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য লকডাউন দেওয়া হলেও কৃষি উৎপাদন একদিনের জন্যও বন্ধ রাখা হয়নি। আর বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যুগান্তকারী এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে করোনাকালেও দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে গেছেন কৃষিমন্ত্রী।

    কৃষিতে বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তির উদ্ভাবন, শ্রমিক সংকট মোকাবেলা করে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজে আধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে সহায়তা করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়। আর এ কারণেই করোনা মোকাবেলা শেষে অদ্যাবধি খাদ্য সংকটে পড়তে হয়নি বাংলাদেশকে।

    সুজন আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সম্ভাব্য খাদ্য সংকটের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দেশবাসীকে অধিক পরিমাণে খাদ্য উৎপাদনের আহ্বান জানিয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আহবানে সাড়া দিয়ে সম্ভাব্য খাদ্য সংকট মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রীর আহবান, দুর্দিনকে রুখে দাড়ান, মুষ্টিচালের সঞ্চয়ে, অভাবে যাবে নির্বাসনে শীর্ষক প্রস্তাবনাটি কৃষিমন্ত্রীর নিকট পেশ করেন সুজন।

    শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এর সাথে তাঁর হেয়ার রোডস্থ বাসভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে সম্ভাব্য খাদ্য সংকটের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় মুষ্টিচাল সঞ্চয়ের ধারণাটি সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানান চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সুজন।

    প্রস্তবনাটি নিম্নরূপ-প্রথমত: বাংলাদেশের জনসংখ্যা যদি ১৬ কোটি ধরা হয় এবং প্রতি পরিবারে সর্বোচ্চ ৫ জন সদস্য হলে প্রায় ৩ কোটি ২০ লক্ষ পরিবার হবে। প্রতি পরিবার যদি একবেলা আহার থেকে ১ মুষ্টি চাল সঞ্চয় করে তাহলে ৩ কোটি ২০ লক্ষ মুষ্টি চাল হবে এবং দুইবেলায় তা হবে ৬ কোটি ৪০ লক্ষ মুষ্টি চাল। যদি ২৫ মুষ্টিতে ১ কেজি চাল ধরা হয় তাহলে ৬ কোটি ৪০ লক্ষ মুষ্টিতে হবে ২৫ লাখ ৬০ হাজার কেজি চাল প্রতিদিন। আর টন হিসেবে তা হবে দৈনিক ২,৫৬০ মেট্রিক টন চাল। মাসে যার পরিমাণ হবে ৭৬,৮০০ মেট্রিক টন চাল। এভাবে যদি সঞ্চয় অব্যাহত থাকে তাহলে বছরে হবে ৯,২১,৬০০ মেট্রিক টন চাল। অর্থাৎ মুষ্টি চাল সঞ্চয়ের মাধ্যমে বছরে প্রায় ১০ লক্ষ মেট্রিক টন চাল সঞ্চয় করা সম্ভব হবে।

    দ্বিতীয়ত: আমরা বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে অতিমাত্রায় খাবারের অপচয় করে থাকি। এ অপচয় রোধে সরকার যদি একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলে এবং সাথে আইনের কঠোর প্রয়োগ করে তাহলে সারা দেশে শুধু খাবারের অপচয় রোধ করে আরো ১০ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্য সঞ্চয় করা সম্ভব হতে পারে।

    তৃতীয়ত: বিভিন্ন তথ্য অনুযায়ী, দেশে পতিত জমির মোট পরিমাণ প্রায় ১০ কোটি ৮৫ লাখ ১৫ হাজার শতক বা ৪৩ লাখ ৯৩৩১ হেক্টর। পতিত জমি সাধারনত দুই ধরনের, অস্থায়ী পতিত এবং স্থায়ী পতিত জমি। দেশে স্থায়ী পতিত জমির সংখ্যাই বেশি। আবার দেখা যাচ্ছে যে চাষাবাদ যোগ্য জমিতে বেশি লাভের আশায় চাষাবাদ বহির্ভূত চাষ হচ্ছে। এসব চাষও আগামী ২ বছরের জন্য বন্ধ রেখে শুধু খাদ্য উৎপাদনের জন্য এসব অস্থায়ী এবং স্থায়ী পতিত জমিকে চাষাবাদের আওতায় নিয়ে আসলে সেসব জমি থেকে আরো ১০ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্য অতিরিক্ত উৎপাদন করা অসম্ভব কিছু নয়। এভাবে যদি আমরা ৩০ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্য অতিরিক্ত সঞ্চয় করতে পারি তাহলে কোন অবস্থাতেই দুর্ভিক্ষ কিংবা খাদ্য সংকট দেশের মানুষকে গ্রাস করতে পারবে না।

    কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে গুরুত্বের সাথে সুজনের প্রস্তাবনাসমূহ শ্রবণ করেন এবং প্রস্তাবনাটি অত্যন্ত বাস্তবসম্মত বলে উল্লেখ করেন। তিনি সুজনের উপস্থাপিত মুষ্টিচাল সঞ্চয়ের ধারণাটি সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান। এভাবে সবাই এগিয়ে আসলে বাংলাদেশ সম্ভব্য খাদ্য সংকট মোকাবেলা করতে সক্ষম হবে বলে আশাবাদ কৃষিমন্ত্রীর।

  • রোববার তথ্যমন্ত্রী’র পিতা’র স্মরণ সভায় আসছেন কৃষিমন্ত্রী ও শিক্ষা উপমন্ত্রী

    রোববার তথ্যমন্ত্রী’র পিতা’র স্মরণ সভায় আসছেন কৃষিমন্ত্রী ও শিক্ষা উপমন্ত্রী

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি’র পিতা মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও সাবেক জেলা পিপি এডভোকেট নুরুচ্ছাফা তালুকদারের ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়েছে। 

    আগামীকাল রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টায় চট্টগ্রাম কোর্ট হিলস্থ আইনজীবী অডিটরিয়ামে এ স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন কৃষি মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখবেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। 

    এছাড়াও অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখবেন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য এডভোকেট মো. দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট সৈয়দ মোক্তার আহমদ, সাধারন সম্পাদক আবুল হোসেন মো. জিয়াউদ্দিন।

    এতে মরহুমের পরিবারের পক্ষে বক্তব্য রাখবেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি। স্মরণ সভায় সকলকে যথা সময়ে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন স্মরণসভা উদ্যাপন পরিষদের আহবায়ক এডভোকেট ইব্রাহীম হোসেন চৌধুরী বাবুল।

    তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের পিতা অ‌্যাডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদার রাঙ্গুনিয়া থানা আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধকালীন ভারপ্রাপ্ত সভাপতিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সুনামের সঙ্গে পালন করে গেছেন। ২০১১ সালের ২ ফেব্রুয়ারি বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

  • এপেক্সিয়ানদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে:কৃষিমন্ত্রী

    এপেক্সিয়ানদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে:কৃষিমন্ত্রী

    কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশকে উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় সম্পৃক্ত করতে হবে।

    তিনি আজ রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘এপেক্স বাংলাদেশ’ জেলা ২-এর ৩৮তম সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।

    এপেক্স জেলা ২-এর গভর্ণর হারুন অর রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন এপেক্স বাংলাদেশের জাতীয় সভাপতি এপেক্সিয়ান এমএ কাইয়ূম চৌধুরী।

    এপেক্স ক্লাব সমাজের কল্যাণ এবং দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে উল্লেখ করে ড. রাজ্জাক বলেন,আজকের সম্মেলনের মধ্যদিয়ে এপেক্স’র কাজকে আরো গতিশীল করবে। এজন্য এপেক্সিয়ানদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

    তিনি বাংলাদেশকে উন্নত দেশের কাতারে পৌঁছাতে এপেক্সকে ভূমিকা রাখারও আহবান জানান।

    কৃষিমন্ত্রী বলেন, আর্তপীড়িত মানুষের কল্যাণে এপেক্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে তিনি দানবীর রনদা প্রসাদ সাহার জীবনের মানবকল্যাণমুখী নানা কর্মকান্ডের কথা উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন।

    ড. রাজ্জাক এপেক্স’র সদস্যদের স্ব-স্ব অবস্থান থেকে দেশের জন্য অবদান রাখার পাশাপাশি সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদসহ নানা অসামাজিক কাজ নির্মূলে সংঘবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।

    অনুষ্ঠানে আরো উপস্থথিত ছিলেন এপেক্স বাংলাদেশের জাতীয় সহসভাপতি নিজাম উদ্দিন পিন্টু, এপেক্স বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মফিজ উদ্দিন কামাল,অতীত জাতীয় সভাপতিবৃন্দ,এলজিবৃন্দ ও লাইফগভর্নরবৃন্দ,এবং জাতীয় বোর্ডের কর্মকর্তাগণ।

    এপেক্সিয়ান রফিকুল ইসলাম জেলা-২ এর গভর্ণর নির্বাচিত হন।

    এপেক্স বাংলাদেশ একটি আন্তর্জাতিক সেবা সংগঠন। ১৯৩১ সালে অস্ট্রেলিয়ার জিলং শহরে তিন তরুণ প্রকৌশলী এই ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেন। অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের আটটি দেশে সেবা, সৌহার্দ্য এবং বন্ধুত্বের মূলমন্ত্র নিয়ে কাজ করে তরুণদের এ সংগঠন।

    বাংলাদেশে ১৯৬১ সালে প্রকৌশলী সুলেমান খান এই সেবা আন্দোলনকে পরিচয় করিয়ে দেন। বর্তমানে সারাদেশে ১৩৫টি ক্লাবের মাধ্যমে ৪ হাজারেরও বেশি সদস্য সমাজের জন্য কল্যাণকর বিভিন্ন বিষয়ে নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন।

  • বুলবুলে ফসলের ক্ষতি ২৬৩ কোটি টাকা : কৃষিমন্ত্রী

    বুলবুলে ফসলের ক্ষতি ২৬৩ কোটি টাকা : কৃষিমন্ত্রী

    ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে উপকূলীয় ১৬ জেলায় ২২ হাজার ৮৩৬ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ২৬৩ কোটি ৫ লাখ টাকা। এ ছাড়া ৫০ হাজার ৫০৩ কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড.আবদুর রাজ্জাক।

    আজ মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

    তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে প্রাথমিকভাবে ১৬টি জেলায় রোপা আমন, শীতকালীন শাকসবজি, সরিষা, খেসারি, মসুর ফসলের আক্রান্তের তথ্য পাওয়া গেছে।

    ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা চলছে জানিয়ে আবদুর রাজ্জাক বলেন, অতিরিক্ত কৃষি পুনর্বাসন কর্মসূচি বাস্তবায়নের প্রস্তুতি চলছে। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ প্রাপ্তির পর যথাসম্ভব দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় কৃষি পুনর্বাসন কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।