Tag: কেন্দ্র করে

  • সীতাকুণ্ডে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক স্কুল শিক্ষার্থীর উপর হামলা

    সীতাকুণ্ডে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক স্কুল শিক্ষার্থীর উপর হামলা

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ।সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : সীতাকুণ্ডে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আরাফাত (১৩) নামের এক কিশোরের উপর হামলার খবর পাওয়া গেছে। সে বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।

    আরাফাত হযরত খাজা কালুশাহ মাদ্রাসার শিক্ষার্থী এবং এবারের জেএসসি পরিক্ষার্থী। এ ঘটনায় আরাফাতের পিতা মুসলেহ উদ্দিন বাদী হয়ে সীতাকু- মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। (নং ৫৪৩/১৯)।

    সীতাকুণ্ড মডেল থানায় অভিযোগের সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড এলাকায় মহাসড়কের পাশে একটি অটোরিকশা রাখাকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

    জানা যায়, উত্তর সলিমপুর এলাকার মৌলবী ইয়াকুব এর বাড়ির মো. অলি আহমদের পুত্র মো. মোসলেম উদ্দিন এর সাথে একই এলাকার মো. আলাউদ্দিন এর কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে আলউদ্দিন মোসলেম উদ্দিনকে চড় থাপ্পড় ও কিল ঘুষি দিতে থাকে।

    বাজারে থাকা স্থানীয় লোকজন বিষয়টা মীমাংশা করে তাদের উভয় পক্ষকে পাঠিয়ে দেন। তার কিছুক্ষন পর মোসলেম উদ্দিন তার ছেলে আরাফাতকে অটোরিকশাটি আনার জন্য বাজারে পাঠায়। আলাউদ্দিন, ইউসুফ, মাহফুজ, মহিউদ্দিন, তসলিম, লিটন, আলী, তারেকসহ অজ্ঞাত আরো ৫/৭জন ব্যক্তি আরাফাতের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যান।

    স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আরজুর বলেন এই ঘটনায় এলাকায় একটি ছোট সালিশি বৈঠক হয় এবং বৈঠকের সিন্ধান্ত এক পক্ষ মেনে নিলেও অপরপক্ষ মেনে নেননি এরপর ঘটনাটি আরো উত্তপ্ত হয়।

    সীতাকুণ্ড মডেল থানার এ.এস আই রুপন চন্দ্র ঘটনাটির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে উভয় পক্ষকে থানায় বৈঠকের জন্য ডাকা হয়েছে।

    ১০ নং সলিমপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন আজিজ এর সাথে কথা বললে তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন বলে জানান।

    মো. মুসলিম উদ্দিন বলেন, হামলাকারী ব্যক্তিরা প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয় পর্যায়ে সঠিক বিচার না পাওয়ায় আমি চট্টগ্রাম আদালতের শরণাপন্ন হয়। আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের বিচারপতি মো. হেলাল উদ্দিনের আমলে আনলে তিনি ঘটনার বিষয়টি সঠিক তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)কে তদন্তের নির্দেশ দেন।

  • ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে কুবিতে সংঘর্ষ, আহত ১৫

    ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে কুবিতে সংঘর্ষ, আহত ১৫

    কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে কয়েক দফা মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে প্রায় ১৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

    রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এই ঘটনা ঘটে। এদের মধ্যে ৫ জনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

    প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আন্তঃবিভাগ ফুটবল প্রতিযোগিতার ১ম সেমিফাইনালে রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) মুখোমুখি হয় বাংলা ও মার্কেটিং বিভাগ। খেলা চলাকালে রেফারির ভুল সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। ম্যাচ শেষে বাংলা বিভাগের খেলোয়াড়, সমর্থক ও. শিক্ষকরা মাঠ ছাড়ার সময় মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী তাদের উপর চড়াও হোন।

    একপর্যায়ে শাখা ছাত্রলীগের মানব সম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক জুনায়েদ ইসলাম (এআইএস), উপ সমাজসেবা সম্পাদক মুনতাসির হৃদয় (এআইএস) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোয়েব হাসান হিমেল (মার্কেটিং), সাংগঠনিক সম্পাদক মেজবাহুল হক শান্ত (পদার্থবিজ্ঞান), নজরুল হলের ছাত্রলীগকর্মী শাহ ফাহিম (মার্কেটিং), বঙ্গবন্ধু হলের ছাত্রলীগকর্মী সজিব কুমার কর (পরিসংখ্যান), ঐ হলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সত্যজিৎ সাহা সেতু (মার্কেটিং), দত্ত হলের ছাত্রলীগকর্মী সাদমান, রবিনসহ (মার্কেটিং) বিভিন্ন হলের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা মাঠ সংলগ্ন নতুন রোপণ করা বৃক্ষসংযুক্ত বাঁশ তুলে উপর্যুপরি হামলা শুরু করেন।

    এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন সহকারী প্রক্টরসহ বাংলা বিভাগের শাহিদুল ইসলাম বিজয়, তাওহিদ সানি, রাশেদুল ইসলাম, সুপন সূত্রধর, শাহাদত হোসেন হিমেল, আব্দুর রহমান, সফিউর রহমান সাগর, আমীর হামজা তন্ময়, তানভীর, আশাদুজ্জামান শাহেদ, আব্দুল আহাদ, এস কে বিজয়, রবিউল, প্রান্ত, সিফাতসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়। এদের মধ্যে গুরুতর আহত শাহিদুল ইসলাম বিজয়সহ ৫ জন শিক্ষার্থীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

    মারামারির একপর্যায়ে মার্কেটিং বিভাগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা খেলা দেখতে যাওয়া দর্শকদের মধ্যে থাকা ছাত্রীদের দিকে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। এতে ভয়ার্ত ছাত্রীরা মাঠের পেছন দিকে ছুটে বেরিয়ে আসেন।

    এছাড়াও খেলা চলাকালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দায়িত্ব পালনকালে এক বিএনসিসি ক্যাডেট কর্পোরালের কলার চেপে ধরেন বঙ্গবন্ধু হলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সত্যজিৎ সাহা সেতু (মার্কেটিং)। পরে অন্যদের সহযোগিতায় পরিস্থিতি শান্ত হয়।

    এ বিষয়ে অভিযুক্ত জুনায়েদ ইসলাম বলেন, ‘আমি সেখানে ফেরাতে গেছি। তারা উল্টো আমাদের মেরেছে। আমি নিজে কাউকে মারিনি।’

    শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ জানান, ‘দুই বিভাগের ঘটনায় ওখানে উপস্থিত ছাত্রলীগকর্মীরা তাদের ফেরানোর চেষ্টা করে। ছাত্রলীগের কেউ কারও উপর হামলা করেনি। আর যদি এ ঘটনার ছাত্রলীগের কেউ জড়িত থাকে বা পরবর্তীতে ঝামেলা হয় তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

    বাংলা বিভাগের সভাপতি শামসুজ্জামান মিলকী জানান, ‘খেলা চলাকালীন রেফারির কিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্তের কারণে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হলেও খেলা চালিয়ে নেওয়ার স্বার্থে আমরা মেনে নিয়েছি। কিন্তু খেলা শেষে আমরা ফিরে আসার সময় খেলোয়াড়, শিক্ষক, সমর্থকসহ সকলের উপর অতর্কিত হামলা করা হয়। এতে আমাদের অন্তত পনেরোজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং এর প্রতিবাদে সোমবার অনুষ্ঠিতব্য তৃতীয় স্থান নির্ধারনী খেলা আমরা বয়কট করেছি।’

    খেলা পরিচালনা কমিটির প্রধান ড. মো: শামিমুল ইসলাম জানান, ‘এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমরা প্রশাসনের সাথে সার্বিক ঘটনার বিষয়ে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ নিবো।’

    বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই বিভাগের মধ্যকার মারামারিতে যারা আহত হয়েছে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা ও মেডিকেলে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’