Tag: কেড়ে নিলো

  • প্রাণঘাতী করোনা কেড়ে নিলো আরো ২ পুলিশ সদস্যের প্রাণ

    প্রাণঘাতী করোনা কেড়ে নিলো আরো ২ পুলিশ সদস্যের প্রাণ

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। সারাদেশ ডেস্ক : প্রাণঘাতী করোনা (কোভিড-১৯) এ আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন দেশের আরও দুই পুলিশ সদস্য। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা মহানগর পুলিশ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

    বলা হয় ঢাকা মহানগর পুলিশে (ডিএমপি) কর্মরত এই দুই সদস্য করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর আইসোলেশনে ছিলেন। বুধবার রাতে ও ‍বৃহস্পতিবার ভোরে আইসোলেশনে থাকাবস্থায়ই ২ পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে।

    এর মধ্যে একজনের নাম আব্দুল খালেকের (৩৬)। তিনি ঢাকার মিরপুর পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে কর্মরত পুলিশের এসআই এবং মসজিদের ইমাম ছিলেন। তিনি বরগুনার বেতাগী উপজেলার ঝোপখালী গ্রামের আজিম উদ্দিন মৃধার ছেলে বলে জানা গেছে।

    জানা গেছে, আব্দুল খালেক আজ বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) ভোর রাতে ঢাকা আরামবাগ হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুল খালেক মৃত্যুর স্ত্রী, ১ ছেলে ও ২ মেয়েসহ অসংখ্যক আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন। তাঁর মৃত্যুতে এলাকাবাসী গভীর শোক প্রকাশ করছেন।

    পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ঢাকায় বেলা ১১টায় জানাজা শেষে বেতাগীর উদ্দেশে রওনা দিবেন এবং নিজ বাড়িতে পারিবারিক গোরস্থানে প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী দাফন করা হবে।

    অন্যজনের নাম আশেক মাহমুদ (৪২)। তিনি ট্রাফিক উত্তরের এয়ারপোর্ট এলাকায় কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে মারা গেছেন। আশেক মাহমুদের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।

    এর আগে বুধবার করোনায় দেশে প্রথম পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়। গতকাল করোনা ভাইরাসে মৃতের তালিকায় পুলিশ কনস্টেবল জসিম উদ্দিনের (৪০) নাম ওঠে।

    তিনি কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার বাসিন্দা ছিলেন। তার দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। জসিম উদ্দিন ওয়ারি থানায় পুলিশ বিভাগে কর্মরত ছিলেন। ওয়ারি ফাঁড়িতে দায়িত্ব পালনের সময় তিনি করোনায় সংক্রমিত হন। তিনি পুলিশ সদস্যদের মধ্যে প্রথম করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

    ওয়ারি বিভাগের উপ-কমিশনার শাহ ইফতেখার আহমেদ সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কয়েকদিন আগে জসিম উদ্দিনের শরীরে করোনার লক্ষণ পাওয়া যায়। এরপর করোনা সন্দেহে তাকে ফকিরাপুলের একটি হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। ২৫ এপ্রিল তার নমুনা আইইডিসিআরে পাঠানো হয়।

    এদিকে বুধবার (২৯ এপ্রিল) করোনা ভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন সংবাদ বুলেটিনের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা মোট ১৬৩ জন। এছাড়া দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭১০৩ জনে।

    ২৪ ঘণ্টা/আর এস পি

  • ঘাতক ট্রাক কেড়ে নিলো স্কুলছাত্রীর প্রাণ : নতুন বইয়ের পাতা উল্টানো হলোনা রেশমির!

    ঘাতক ট্রাক কেড়ে নিলো স্কুলছাত্রীর প্রাণ : নতুন বইয়ের পাতা উল্টানো হলোনা রেশমির!

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : নতুন বই হাতে পাওয়ার উচ্ছাসে সকাল সকাল খুশি মনে বাসা থেকে বের হয়েছিলো চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী রেশমি আক্তার হিমু (১০)। ঘাতক ট্রাক তাকে নতুন বইয়ের গ্রাণ গ্রহণ করে বইয়ের পাতা উল্টানোর সুযোগ দেয়নি। স্কুলে যাওয়ার আগেই তাকে ধাক্কা দিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছে পরপারে না ফেরার দেশে।

    বুধবার (১ জানুয়ারি) সকাল ১১টার সময় নগরীর পতেঙ্গা কাটগড় এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় মর্মান্তিক মৃত্যু হয় রেশমির।

    নিহত রেশমি চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা থানা কাঠঘর ডোমপাড়া এলাকার আলী মিয়া সোলতানের বাড়ির দিনমজুর মো. শাহনুরের মেয়ে এবং পতেঙ্গা মীরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী বলে জানা গেছে।

    রেশমির পরিবার জানিয়েছে বুধবার সকালে নতুন বই হাতে পাওয়ার আনন্দ নিয়ে রেশমি স্কুলে যাওয়ার উদ্দ্যেশে ঘর থেকে বের হয়। স্কুলের পশ্চিম পাশে সী-বিচ রোডে একটি ট্রাকের ধাক্কায় রেশমি গুরুতর আহত হয়।

    খবর পেয়ে রেশমির চাচা সাইফুল ঘটনাস্থলে যান এবং আহতাবস্থায় রেশমিকে সিএনজি অটো রিকশাতে তুলে ঘাতক ট্রাক চালকসহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ২৮ নম্বর নিউরো সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। বেলা ১২টার দিকে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক রেশমিকে মৃত ঘোষণা করেন।

    স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যুর তথ্যটি নিশ্চিত করেন চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই শীলব্রত বড়ুয়া। তিনি জানান, বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ট্রাকের ধাক্কায় আহত এক স্কুল শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে আনা হয়। ১২টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, রেশমি ট্রাকের ধাক্কায় মেরুদণ্ড এবং উরুতে আঘাত পেয়েছিল।

    ঘাতক ট্রাক চালককে হাসপাতাল থেকে গ্রেফতার করার তথ্য নিশ্চিত করে পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উৎপল কান্তি বড়ুয়া বলেন, রেশমির পরিবারের পক্ষে অভিযোগ করলে চালকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবো।

    এদিকে নিহত স্কুল ছাত্রী রেশমির পরিবারের আর্তনাথে ভারি হয়ে উঠেছে হাসপাতালের পরিবেশ। বিলাপ করতে করতে রেশমির চাচা সাইফুল বলছেন মা রেশমি তুইতো পড়ালেখায় অনেক ভাল ছিলি, তোকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিলো আমাদের পরিবারের। আল্লাহ তা সহ্য করতে পারেনি। তোর স্বপ্ন ভেঙ্গে দিয়ে তোকে নিয়ে গেছে তার কাছে।