Tag: কোকেন উদ্ধার

  • শাহ আমানতে ৪ কেজি কোকেনসহ বাহামার নাগরিক আটক

    শাহ আমানতে ৪ কেজি কোকেনসহ বাহামার নাগরিক আটক

    চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রায় ৪ কেজি কোকেনসহ স্টিলা সান্তাই (৩০) নামে বাহামারের এক নাগরিককে আটক করা হয়েছে

    সোমবার (১৫ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিমানবন্দর থেকে ওই কোকেনসহ তাকে আটক করা হয়।

    মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের উপপরিচালক হুমায়ন কবির খন্দকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি বলেন, গত ১২ জুলাই এমিরেটসের ফ্লাইটে ব্রাজিলের সাওপাওলে থেকে রওয়ানা দিয়ে দুবাই ট্রানজিট হয়ে ১৩ জুলাই অত্র বিমানবন্দরে ল্যান্ড করে। তখন থেকেই ওই বাহামার নাগরিক এয়ারপোর্ট সিকিউরিটি, এপিবিএন ও ইন্টেলিজেন্সের নজরদারিতে ছিলেন। কিন্তু সেদিন তার সঙ্গে কোনো লাগেজ ছিলো না।

    আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিমানবন্দরে স্টিলা সান্তাই তার লাগেজ রিসিভ করতে আসেন। এ সময় সন্দেহ হলে তার লাগেজ তল্লাশি করে একটি ইউপিএসের ভিতর থেকে ৩ কেজি ৯ গ্রাম ওজনের কোকেনের প্যাকেট পাওয়া যায়। এ সময় ওই কোকেনসহ বাহামারের ওই নাগরিককে আটক করা হয়।

  • দেশের ইতিহাসে সলিড কোকেনের সবচেয়ে বড় চালান জব্দ

    দেশের ইতিহাসে সলিড কোকেনের সবচেয়ে বড় চালান জব্দ

    দেশের ইতিহাসে সলিড কোকেনের সবচেয়ে বড় চালান জব্দ করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। জব্দ করা মাদকদ্র্রব্যর মূল্য প্রাায় ১০০ কোটি টাকা। আফ্রিকার দেশে মালাও-এর এক নারী ৮ কেজি ৩০০ গ্রামের এই কোকেনের চালানটি বাংলাদেশে নিয়ে আসেন।

    বুধবার রাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নোমথেনডাজো তাওয়েরা সোকোকে (৩৫) কোকেনের এই চালানসহ গ্রেপ্তার করা।

    ডিএনসি জানায়, কোকেনের এই চালানটি আফ্রিকার দেশ মালাও অথবা ইথিওপিয়া থেকে বাংলাদেশে এসেছে। বাংলাদেশকে ট্রানজিট রুট হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল চালানটি পাচার করার জন্য। কারণ এই পরিমাণ কোকেন চাহিদা বাংলাদেশে নেই।

    আজ রাজধানীর তেজগাঁও-এ অবস্থিত ডিএনসির উত্তর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন) তানভীর মমতাজ।

    তানভীর মমতাজ বলেন, কোকেন চোরাচালানের আন্তর্জাতিক সিন্ডিকেটের দেশি ও বিদেশি সক্রিয় কয়েকজন সদস্য বাংলাদেশকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করার উদ্দেশ্যে কোকেনের একটি বৃহৎ চালান আফ্রিকা থেকে কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে একজন আফ্রিকান নাগরিকের মাধ্যমে ঢাকায় আসবে এমন তথ্য পায় আমরা। এরপর আমরা নজরদারি বাড়ায়। এই সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার এপিবিএনকে সঙ্গে নিয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি টিম গঠন করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ৮ নং টার্মিনালের বোর্ডিং ব্রিজ এলাকায় অবস্থান করে। ফ্লাইটটি থেকে নামা সকল বিদেশি যাত্রীকে আমরা ফলো করি।

    এর মধ্যে দেখা যায় নোমথেনডাজো তাওয়েরা সোকো নামে এক বিদেশি নারী বিমানবন্দরের নিচ তলায় ভিসা অন অ্যারাইভাল ডেস্কে দীর্ঘক্ষণ ধরে অবস্থান করছেন। তার গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে সন্দেহজনক হওয়ায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেন লাগেজে অবৈধ মাদকদ্রব্য কোকেন আছে। পরবর্তীতে লাগেজের ভিতরে বিশেষভাবে রক্ষিত ৮ কেজি ৩০০ গ্রাম কোকেন জব্দ করা হয়।

    তিনি বলেন, নোমথেনডাজো তাওয়েরা সোকো আফ্রিকান দেশ মালাও-এর নাগরিক। তিনি প্রথমে মালাও থেকে ইথিওপিয়া যান। পরে তিনি ইথিওপিয়া থেকে যান দোহাতে। পরে তিনি দোহা থেকে কাতারের এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে বাংলাদেশে আসেন। আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি তার বাংলাদেশ থেকে আবারও মালাও যাওয়ার কথা ছিল। কোকেনের এই চালানটি বাংলাদেশকে ট্রানজিট রুট হিসেবে ব্যবহার করার কথা ছিল। পরে বাংলাদেশ থেকে কোকেনের চালানটি অন্য কোনো দেশে চলে যেতো। আমাদের ধারণা তাওয়েরা সোকো কোকেনের এই চালানটি মালাও থেকে নয়তো ইথিওপিয়া থেকে সংগ্রহ করেছে।

    জিজ্ঞাসাবাদে সোকো জানায়, ২০২৩ সালে তিনি বাংলাদেশে একবার এসেছিলেন। গার্মেন্টস ব্যবসার কথা বলে এসেছিলেন তিনি। এবারও তিনি বাংলাদেশের একটি গার্মেন্টসের আমন্ত্রণপত্র নিয়ে আসেন। অন এ্যারাইভাল ভিসা নেওয়ার জন্য তিনি তার পরিচয় লুকিয়ে গার্মেন্টস ব্যবসার নাম করে বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন। সোকো পেশায় একজন নার্স। তিনি মূলত কোকেনের এই চালানের বহনকারী। বাংলাদেশে তিনি আরেক বিদেশি নাগরিকের কাছে এই চালান পৌঁছে দিয়ে নিজ দেশে চলে যাওয়ার কথা ছিল।

    বাংলাদেশে সোকো কার কাছে কোকেন হস্তান্তর করতেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা এ বিষয়ে তদন্ত করছি। তবে বাংলাদেশে অবস্থানরত কয়েক জন বিদেশি নাগরিকের কাছে এই কোকেন যাওয়ার কথা ছিল। আমরা একজন বিদেশিকে সন্দেহ করছি। তদন্তের স্বার্থে এ বিষয়ে বেশি কিছু বলতে চাচ্ছি না। আমরা আশা করি চক্রটিকে ধরতে পারব।

    ২০২৩ সালে সোকো বাংলাদেশে কোকেনের চালান নিয়ে এসেছিলেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, তখন তিনি গার্মেন্টস ব্যবসার নাম করে এসেছিলেন। তিনি আসলে কিসের জন্য এসেছিলেন সে বিষয়ে আমরা তদন্ত করে যাচ্ছি।

    কোকেনের এই আন্তর্জাতিক চক্রের সঙ্গে বাংলাদেশের কেউ জড়িত আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোকেনের চালানের সঙ্গে দেশি এবং বিদেশি চক্র জড়িত আছে। এই চক্রটিকে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি।

  • চট্টগ্রামের টাইগারপাসে ১৫ কোটি টাকার কোকেন উদ্ধার : গ্রেফতার ১

    চট্টগ্রামের টাইগারপাসে ১৫ কোটি টাকার কোকেন উদ্ধার : গ্রেফতার ১

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানা টাইগারপাস এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৫ কোটি টাকা মূল্যের কোকেন উদ্ধার করেছে র‌্যাপিড একশান ব্যাটেলিয়ান (র‌্যাব-৭)। এসময় মো. বখতেয়ার হোসেন (৩২) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে কোকেনসহ তাকে গ্রেফতার করে র‌্যাবের অভিযানিক টিম।

    গ্রেফতার বখতেয়ার চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার জুইপাড়া এলাকার জাফর আহমদের ছেলে। বর্তমানে সে নগরীর আগ্রাবাদ হাজিপাড়া এলাকায় বসবাসের সূত্রে দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছেন বলে র‌্যাব জানায়।

    র‌্যাব-৭’র সহকারি পুলিশ সুপার কাজী মোহাম্মদ তারেক আজিজ বলেন, তাদের কাছে আগে থেকেই গোপন সংবাদ ছিলো নগরীর টাইগার পাস এলাকায় কোকেনের একটি বড় চালান নিয়ে মাদক ব্যবসায়িরা অবস্থান করছে। এ খবরে বুধবার রাতেই সেখানে অবস্থান নেয় র‌্যাবের একটি অভিযানিক টিম।

    তথ্য মতে গভীর রাতে এক ব্যাক্তিকে ওই এলাকায় ব্যাগ হাতে দাড়ানো দেখে তাকে আটক করার পর তার ব্যাগ তল্লাশী করলে প্রায় ১৫ কোটি টাকা মূল্যের ৮২০ গ্রাম কোকেন পাওয়া যায়।

    র‌্যাবের এ কর্মকর্তা জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দীর্ঘদিন ধরে বখতেয়ার মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করলে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

    তার সাথে আর কে কে জড়িত আছে সে ব্যাপারেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নগরীর কোতোয়ালি থানায় উদ্ধারকৃত কোকেনসহ হস্তান্তর করার কথা জানিয়েছেন র‌্যাব-৭’র সহকারি পুলিশ সুপার কাজী মোহাম্মদ তারেক আজিজ।