Tag: কোটা সংস্কার আন্দোলন

  • দাবি আদায়ে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিলো কোটা আন্দোলনকারীরা

    দাবি আদায়ে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিলো কোটা আন্দোলনকারীরা

    সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ, আবু বাকের মজুমদার এবং ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেনসহ সকল শিক্ষার্থীদের মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও শিক্ষার্থী হত্যার সাথে জড়িত মন্ত্রী পর্যায় থেকে কনস্টেবল পর্যন্ত সকল দোষীদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্লাটফর্ম।

    আজ শনিবার (২৭ জুলাই) রাতে এক অজ্ঞাত স্থান থেকে অনলাইনে গুগল মিট প্লাটফর্মে এ ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসুদ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সমন্বয়ক মাহিন সরকার এবং সহ-সমন্বক রিফাত রশিদ।

    সংবাদ সম্মেলনে সমন্বয়করা বলেন, ভয় ও আতঙ্কে সরাসরি সংবাদ সম্মেলন করতে পারছেন না তারা। তাড়া খেয়ে একটি জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন। সেখান থেকে তারা সংবাদ সম্মেলন করছেন। বেশ কয়েকজন সমন্বয়কের সঙ্গে যোগাযোগও করতে পারছেন না বলে জানান তারা।

    আবদুল হান্নান মাসুদ বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দৃশ্যমান ব্যবস্থা না নিলে সোমবার থেকে তারা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবেন। একইসঙ্গে কোটা সংস্কার নিয়ে সরকারের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাখ্যান করে কমিশন গঠন করে সংসদে আইন পাশের মাধ্যমে স্থায়ী সমাধানের দাবি জানান।

    তিনি বলেন, রবিবার সারা দেশের দেয়ালগুলোতে গ্রাফিতি ও দেয়াললিখন কর্মসূচি পালন করা হবে। এছাড়া গণহত্যার চিত্রগুলো অনলাইন এবং অফলাইনে প্রচার করা হবে এবং জাতিসংঘসহ বিভিন্ন রাষ্ট্র, সংস্থাকে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।

    মাসুদ বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা ২৬৬ জনের হত্যার বিষয়ে নিশ্চিত হতে পেরেছি। তার মধ্যে ৭৮ শতাংশ শিক্ষার্থী। আমরা ধারণা করছি ১ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া শিক্ষার্থীদেরকে অজ্ঞাত ও মিথ্যা হামলায় গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। বাসায় বাসায় এবং মেসে গিয়ে ছাত্র পরিচয় পেলে আটক করা হচ্ছে। প্রায় হাজারের উপর মামলা দেওয়া হয়েছে এবং তিন হাজারের বেশি মামলা দেওয়া হয়েছে শিক্ষার্থীদের।

    সংবাদ সম্মেলনে সহ-সমন্বক রিফাত রশিদ বলেন, প্রজ্ঞাপন দিলেও আমাদের এক দফা দাবি মেনে নেওয়া হয়নি। আমরা প্রজ্ঞাপন প্রজ্ঞাপন খেলা আর চাই না। চেয়েছি স্থায়ী সমাধান, সংসদে আইন পাশ। আমরা এখনো বলছি শিক্ষার্থীদেরসহ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে আইন পাশ করতে হবে।

    রিফাত আরও বলেন, আমাদের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। ডিজটাল ক্র্যাকডাউন এবং সমন্বয়কদের তুলে নেওয়ার কারণে আমরা একসঙ্গে হতে না পারার জন্য ৮ দফা, ৯ দফা এসেছে। তবে সেগুলোর সাথে আমাদের মিল রয়েছে। পরবর্তীতে আমরা একসঙ্গে হয়ে নতুন করে দফা এবং কর্মসূচি ঘোষণা করার চেষ্টা করব। এত মানুষ হত্যা করার পরও সরকার দুঃখ প্রকাশ করছে না এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে না। সে কারণে আমাদের আন্দোলনও চলবে।

    আরেক সমন্বয়ক মাহিন সরকার বলেন, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রীরা উস্কানিমূলক বক্তব্য দিলেও আমরা সে ফাঁদে পা দিই নাই। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানালে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা শুরু হয়ে যায়। অনেক সমন্বয়ক তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। হত্যা চালানো হয়। আমাদের দাবি এখনো পূরণ হয়নি। তাই আমরা প্রতিরোধ চালিয়ে যাব।

  • কোটা সংস্কার আন্দোলনের আরও দুই সমন্বয়ক ডিবি হেফাজতে

    কোটা সংস্কার আন্দোলনের আরও দুই সমন্বয়ক ডিবি হেফাজতে

    কোটা সংস্কার আন্দোলনের আরও দুই সমন্বয়ককে হেফাজতে নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তারা হলেন- সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহ।

    শনিবার (২৭ জুলাই) সন্ধ্যায় তাদের ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিবির অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. জুনায়েদ আলম সরকার।

    তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ব্যক্তিগত নিরাপত্তা দিতে ও সাম্প্রতিক ঘটনাবলি সম্পর্কে তথ্য জানতে আজ সন্ধ্যায় সারজিস ও হাসনাতকে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

    এর আগে গতকাল শুক্রবার (২৬ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদারকে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়। পরে রাতের দিকে ডিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে।

    এ বিষয়ে গত রাত ১১টার দিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ও ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে।

    বর্তমানে নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার ডিবি হেফাজতে আছেন।

    ডিবি হেফাজতে থাকা কোটা সংস্কার আন্দোলনের এই পাঁচ সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। এর মধ্যে নাহিদ ইসলাম সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের; আসিফ মাহমুদ ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের; আবু বাকের ভূতত্ত্ব বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের; সারজিস আলম প্রাণিবিদ্যা বিভাগের আর হাসনাত আবদুল্লাহ ইংরেজি বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র।

    উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ইন্টারনেট চালু, কারফিউ তুলে নেওয়াসহ সরকারকে চার দফা দাবিতে তিন দিন আগে দুই দফায় ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম বেঁধে দিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। শুক্রবার আলটিমেটাম শেষ হয়। এদিন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে সংবাদ সম্মেলনে তাদের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করার কথা ছিল।

  • কোটা আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক ডিবি হেফাজতে

    কোটা আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক ডিবি হেফাজতে

    নাহিদ ইসলামসহ কোটা সংস্কার আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ককে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। অপর দুই সমন্বয়ক হলেন আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার। এঁরা তিনজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

    একদল ব্যক্তি সাদাপোশাকে শুক্রবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ধানমন্ডির ওই হাসপাতাল থেকে তাঁদের তুলে নিয়ে যান। সে সময় ওই ব্যক্তিরা নিজেদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয় দেন। সেখানে উপস্থিত এক সমন্বয়কের স্বজন ও হাসপাতালের চিকিৎসকেরা এ তথ্য জানান।

    পরে রাতে তিনজনকে হেফাজতে নেওয়ার কথা স্বীকার করে ডিবি। ডিবির অতিরিক্ত উপকমিশনার জুনায়েদ আলম রাত সাড়ে ১১টার দিকে বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে তিন সমন্বয়ককে ডিবি হেফাজতে নিয়ে আসা হয়েছে। সহিংসতার বিষয়ে তাঁদের কাছে কোনো তথ্য আছে কি না, তা জানতে চাওয়া হবে।

    এই তিনজনকে এর আগেও একবার তুলে নেওয়া হয়েছিল। কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা দাবি আদায়ে সারা দেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ বা সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি দেওয়ার পর ১৯ জুলাই মধ্যরাতে খিলগাঁওয়ের নন্দীপাড়া থেকে নাহিদকে তুলে নেওয়া হয়। ২১ জুলাই ভোরে পূর্বাচল এলাকায় তাঁকে ফেলে যাওয়া হয়। নাহিদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছিল আঘাতের চিহ্ন। এর পর থেকে তিনি গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। অপর দুই সমন্বয়ক আসিফ ও বাকেরকেও ১৯ জুলাই তুলে নেওয়া হয়েছিল। পাঁচ দিন পর ২৪ জুলাই আসিফকে হাতিরঝিল ও বাকেরকে ধানমন্ডি এলাকায় ফেলে যাওয়া হয়। এর পর থেকে আসিফও গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। হাসপাতালে তাঁর সঙ্গে থাকছিলেন বাকের।

    শুক্রবার তিনজনকে তুলে নেওয়ার খবর জানাজানি হলে গণমাধ্যমকর্মীরা বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে যান। নাহিদ হাসপাতালের ৭০৩ নম্বর কক্ষে এবং আসিফ ৩১১ নম্বর কক্ষে ভর্তি ছিলেন। নাহিদের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী আর আসিফের সঙ্গে বাকের ছিলেন।

    হাসপাতালে উপস্থিত নাহিদের স্বজনেরা জানান, বেলা সাড়ে তিনটার দিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে একদল লোক এসে প্রথমে নাহিদকে তুলে নিয়ে যান। পরে আসিফ ও বাকেরকে নিয়ে যান।

    নাহিদকে তুলে নেওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে তাঁর স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সঙ্গে থাকা তাঁদের স্বজন ফাতিমা তাসনীম বলেন, বিকেলে তিনি নাহিদের কক্ষেই ছিলেন। হাসপাতালের যে ছেলেটি খাবার দিত, তাকে আটক করা হয়েছে, এমন খবর শুনে তিনি নাহিদের কক্ষ থেকে আসিফের কক্ষে যান। তখন চারজন ব্যক্তি আসিফ ও বাকেরকে ধমকাচ্ছিলেন।

    ফাতিমা তাসনীম বলেন, ‘ওই ব্যক্তিরা আসিফ ও বাকেরকে নিয়ে যাওয়ার জন্য টানাহেঁচড়া শুরু করলে আমি ও হাসপাতালের নার্সরা তাঁদের বলি, রোগীদের ডিসচার্জ (ছাড়পত্র) দেওয়া হয়নি। তখন ওই ব্যক্তিরা নার্সদের ইনচার্জকে বলেন, “আমাদের চেনেন? কাউন্টার টেররিজম সম্পর্কে আপনাদের ধারণা আছে?” এরপর কোনো কথা না শুনে তাঁরা আসিফ ও বাকেরকে নিয়ে যান। দুজনের মুঠোফোনও নিয়ে যান। এরপর জানতে পারি, নাহিদকেও তুলে নেওয়া হয়েছে।’

    আসিফ মাহমুদের চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত একজন চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সকাল সাতটার দিকে হাসপাতালে এসে তিনি আসিফ মাহমুদের কক্ষের সামনে অপরিচিত তিন ব্যক্তিকে দেখতে পান। পরে আরও সাত-আট ব্যক্তি আসেন। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ডিবি ও কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সদস্য পরিচয় দিয়ে কয়েকজন এসে আসিফকে তাঁদের সঙ্গে যেতে বলেন। এ সময় চিকিৎসককে সরে যেতে বলেন।

    ওই চিকিৎসক বলেন, ‘আমি তাঁদের বলি, ডিসচার্জ না করে কোনো রোগীকে আমরা ছাড়তে পারি না। আসিফের শারীরিক অবস্থা এতই খারাপ ছিল যে তিনি ডিসচার্জের উপযোগী ছিলেন না। তাঁর শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন না থাকলেও কিছু একটা ইনজেক্ট করা হয়েছিল। তিনি হাসপাতাল থেকে যেতে চাননি। আমরাও ছাড়তে চাইনি। কিন্তু তাঁদের চাপাচাপির কারণে বাধ্য হয়ে তাঁকে ডিসচার্জ অন রিস্ক বন্ড করতে হয়।’

    ওই ব্যক্তিদের চাপের মুখে আসিফের মতো নাহিদ ইসলামকেও তাঁর নিজ দায়িত্বে ছাড়পত্র দেওয়া হয় বলে হাসপাতাল সূত্র জানায়।

  • কোটা আন্দোলন ঘিরে লাশের রাজনীতি করতে চায় বিএনপি-জামায়াত: কাদের

    কোটা আন্দোলন ঘিরে লাশের রাজনীতি করতে চায় বিএনপি-জামায়াত: কাদের

    শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলন ঘিরে বিএনপি-জামায়াত লাশের রাজনীতি করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘গতকাল তাদের ষড়যন্ত্র ও উস্কানির মাধ্যমে ছাত্রদল-ছাত্রশিবির সহিংসতা করে সারাদেশে বিশেষ করে ঢাকায় পরিস্থিতি ঘোলা করে। এর মধ্যে কয়েকটি তাজা প্রাণ ঝরে যায়।’

    বুধবার (১৭ জুলাই) সকালে ঢাকা জেলা ও ঢাকা মহানগর (উত্তর ও দক্ষিণ) আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। তেজগাঁও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এই মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত হয়।

    ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের কর্মী সবুজ, চট্টগ্রাম সন্তোদীপনকে হত্যা করা হয়েছে। শিবিরের সশস্ত্র ক্যাডাররা ছয় তলার ছাদ থেকে ধাক্কা দিতে ফেলে দিয়েছে। এর মধ্যে একজনের প্রাণহানিসহ বেশিরভাগই গুরুতর আহত হয়েছেন। সবার প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।’

    সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এখন কোটা নিয়ে আন্দোলন সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নেই। সন্ত্রাসী দল বিএনপি, জামায়াত, ছাত্রদল, ছাত্রশিবির আন্দোলনকে সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ দিতে চাচ্ছে।’

    আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যেকোনো দাবির প্রতি শেখ হাসিনা সরকার সহনশীল। তরুণ প্রজন্ম সংঘর্ষে লিপ্ত হবে এটা কাম্য নয়। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের প্রতি আঘাত করলে, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করলে, জনগণের ভোগান্তি সৃষ্টি করলে সরকারকে সেখানে কঠোর হতেই হয়।’

    ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে জিম্মি করা হয়েছে। ছাত্রলীগের ওপর বিনা উস্কানিতে হামলা চালানো হয়েছে।’

    সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। এই বর্বর আক্রমণে গণমাধ্যমের অনেক কর্মীও আহত হয়েছেন। মিডিয়ার হেডিং দেখলে মনে হয় সব আক্রমণের আক্রমণকারী ছাত্রলীগ। বেশি আক্রান্তকারী ছাত্রলীগ। সব জায়গায় ছাত্রলীগের নাম। হলে হলে ছাত্রলীগের মেয়েদের বের করে দেয়, হলে হলে ছাত্রলীগের বই-পুস্তক, জামা-কাপড় পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এখনো এই অবস্থা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।’

    সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সহকারী প্রক্টরকে শহীদ মিনার এলাকায় পেটানো হয়েছে, এটা যে কত বর্বর, যা দেখবেন তুলে ধরবেন। ছাত্রলীগের কেউ অপরাধ করলে শেখ হাসিনা ছাড় দেননি৷ অপরাধ করলে দলের লোককেও শাস্তি দেওয়ার সৎ সাহস শেখ হাসিনার আছে।’

    এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, শাজাহান খান, কামরুল ইসলাম, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী মোজাম্মেল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

  • চট্টগ্রামে শিক্ষার্থী-ছাত্রলীগ সংঘর্ষ চলছ, মুহুর্মুহু ককটেল বিস্ফোরণ

    চট্টগ্রামে শিক্ষার্থী-ছাত্রলীগ সংঘর্ষ চলছ, মুহুর্মুহু ককটেল বিস্ফোরণ

    চট্টগ্রামে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ চলছে। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নগরের মুরাদপুরে সংঘর্ষ শুরু হয়।

    সংঘর্ষ চলাকালে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে মুরাদপুর ও আশপাশের এলাকা থেকে মুহুর্মুহু ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে।

    এর আগে দুপুর ১টা থেকে ষোলশহর রেলস্টেশনে অবস্থান নেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বিকেল ৩টার দিকে তারা মুরাদপুরের দিকে মিছিল নিয়ে এগোতে থাকলে সেখানে আগে থেকে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে।

    সর্বশেষ বিকেল ৪টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা আশপাশের বিভিন্ন গলি ও ভবনের ছাদে অবস্থান নিয়ে পাথর ছুড়ছে। শিক্ষার্থীরাও পাল্টা পাথর ছুড়ছেন তাদের দিকে।

  • সীতাকুণ্ডে আইআইইউসি শিক্ষার্থীদের রাজপথ, রেলপথ অবরোধ

    সীতাকুণ্ডে আইআইইউসি শিক্ষার্থীদের রাজপথ, রেলপথ অবরোধ

    সারাদেশে কোটা বিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়িতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেছেন কোটাবিরোধী আন্দোলনের সমর্থনকারী আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

    মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকাল ১০টায় কুমিরাস্থ আইআইইউসির সহস্রাধিক শিক্ষার্থী এ অবরোধ করেন।

    এ সময় তারা সরকারি চাকরিতে কোটার বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করলে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। একই সময় তারা রেল পথ ও অবরোধ করে। সকাল ১০ থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ৪ ঘণ্টা পর শিক্ষার্থীরা সড়ক ও রেলপথ থেকে সরে গেলে পরিস্থিতি স্বভাবিক হয়।

    মহাসড়কে অবরোধ চলাকালে কোট বিরোধী আন্দোলকারীদের সরিয়ে দিতে ছাত্রলীগের কয়েকটি গ্রুপ বাঁধা দিতে আসলে আন্দোলনকারীরা তাদের ধাওয়া দেয়। এসময় দুই ছাত্রলীগ নেতাকে গণ পিটুনি দেয়। বেশ কিছুক্ষণ উভয়ের মধ্যে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। অবরোধ চলাকালে শতাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উপস্থিত ছিলেন।

    এছাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে এম রফিকুল, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: আলাউদ্দিন, সহকারী পুলিশ সুপার (সীতাকুণ্ড সার্কেল), মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ কামাল উদ্দিন পিপিএমসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

    এদিকে অবরোধের ফলে মহাসড়কের উভয় পাশে সৃষ্টি হয়েছে অন্তত ৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

    বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খোকন চন্দ্র ঘোষ বলেন, শিক্ষার্থীদের অবরোধের ফলে মহাসড়কে যানবাহন আটকা পড়ে। দুপুর দেড়টা সময় শিক্ষার্থীরা সরে গেলে পরিস্থিতি স্বভাবিক হয়।

  • মঙ্গলবার বিক্ষোভের ডাক কোটা আন্দোলনকারীদের

    মঙ্গলবার বিক্ষোভের ডাক কোটা আন্দোলনকারীদের

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। আগামীকাল মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকেল ৩টায় দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

    সোমবার (১৫ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বরে কোটাবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

    নাহিদ ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহার ও কোটা বাতিলের এক দফা দাবিতে সারাদেশে আগামীকাল মঙ্গলবার বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এরপরও যদি কোটা বাতিল করা না হয় তবে পরে সারাদেশে অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

    হামলার জন্য সরকারকে দায়ী করে নাহিদ বলেন, আজ পরিকল্পিতভাবে বহিরাগতদের এনে আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর থাকার পরও বহিরাগতরা কীভাবে হামলা করে? সরকার সহিংসভাবে এই আন্দোলনকে দমন করতে চাইছে। কোটা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা বলতে চাই, অবিলম্বে এই বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীকে ছাত্র সমাজের কাছে দুঃখ প্রকাশ করতে হবে।

    এ সময় আরেক সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ বলেন, সারাদেশে মর্মান্তিকভাবে আমাদের ওপর হামলা চালানো হলো। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি এবং প্রক্টর আমাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন।

    গত দুই সপ্তাহ ধরে কোটা সংস্কারের দাবিতে টানা আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। এটি নতুন মোড় নেয় গতকাল রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি বক্তব্যকে কেন্দ্র করে। চীন সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী আন্দোলনকারীদের রাজাকার বলেছেন এমন অভিযোগ তুলে গভীর রাতে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন শিক্ষার্থীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রাতে হল ছেড়ে বাইরে বের হয়ে বিক্ষোভ করেন।

    দিবাগত রাত চারটার দিকে সমন্বয়কদের একজন প্রধানমন্ত্রীকে তার বক্তব্য প্রত্যাহার না করলে সোমবার দুপুরে বিক্ষোভ করবেন বলে ঘোষণা দেন। কেন্দ্রীয়ভাবে তা ঢাবির রাজু ভাস্কর্যে হওয়ার কথা জানানো হয়। এদিকে বিকেলে একই স্থানে বিক্ষোভের ডাক দেয় ছাত্রলীগ। ফলে সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করে। দুপুরে তা সংঘর্ষে রূপ নেয় এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত থেমে থেমে সংঘর্ষ চলে। এতে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

  • শিক্ষার্থী-ছাত্রলীগ সংঘর্ষে রণক্ষেত্র ষোলশহর

    শিক্ষার্থী-ছাত্রলীগ সংঘর্ষে রণক্ষেত্র ষোলশহর

    চট্টগ্রাম নগরে কোটাবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে সাংবাদিক, পুলিশসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।

    সোমবার (১৫ জুলাই) বিকেল ৫টায় নগরীর ষোলশহর এলাকায় এ সংঘর্ষ শুরু হয়। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (বিকেল ৫টা ৩৭ মিনিট) সেখানে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছিল। এ ঘটনায় ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

    সরেজমিনে দেখা যায়, আন্দোলনকারীরা ষোলশহর রেল স্টেশন ও মোড়ে অবস্থান নেন। অন্যদিকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দুই নম্বর গেট ও মুরাদপুর এলাকায় অবস্থান নেন।

    এরপর বিকেল ৫টায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা স্লোগান দিতে দিতে দুই নম্বর গেট থেকে ষোলশহরের দিকে আসেন। এরপর সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় বেশ কয়েকবার বিকট শব্দ শোনা গেছে।

    এসময় আন্দোলনকারীরা রেল লাইন থেকে পাথর নিয়ে নিক্ষেপ করতে থাকেন। তখন তাদের হাতে বাঁশ, লাঠিও দেখা যায়। অন্যদিকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হাতেও পাথর, বাঁশ, লাঠি দেখা যায়।

    এতে দীপ্ত টিভির করেসপন্ডেন্ট লতিফা রুনা পায়ে আঘাত পান। পুলিশের এক সদস্যও রক্তাক্ত হয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে তার পরিচয় পাওয়া যায়নি।

    আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা দাবি করেছেন, তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে ছাত্রলীগ হামলা চালিয়েছে।

    অন্যদিকে পুলিশকে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করতে দেখা গেছে। জানতে চাইলে পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ হয়েছে। আমাদের কয়েকজন আহত হয়েছে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি।

  • তারা কোন চেতনায় বিশ্বাস করে, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

    তারা কোন চেতনায় বিশ্বাস করে, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

    কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে যারা নিজেদের রাজাকার বলতে লজ্জা পায় না তারা কোন চেতনায় বিশ্বাস করে? এমনটাই প্রশ্ন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    সোমবার (১৫ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে মন্ত্রণালয়-বিভাগে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর এবং বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি ও শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে এ প্রশ্ন রাখেন তিনি।

    দুর্নীতিবাজদের ক্ষমা করা হবে না জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সরকারের বদনাম নিয়ে ভাবি না, দুর্নীতি করলেই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    শেখ হাসিনা বলেছেন, দুর্নীতি রোধে সরকারি কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। জবাবদিহিতা না থাকলে কাজ সঠিকভাবে শেষ হয় না। সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে এগোলে লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব।

    তিনি আরও বলেন, সব দিকে নজরদারি রাখতে হবে। সরকারি কাজে দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করলে পুরস্কৃত করা হবে।

  • কোটা আন্দোলনে রাজনৈতিক অপশক্তি ঢুকেছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

    কোটা আন্দোলনে রাজনৈতিক অপশক্তি ঢুকেছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

    কোটা আন্দোলনের মধ্যে রাজনৈতিক অপশক্তি ঢুকেছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

    তিনি বলেন, গতকাল রাতে যে ধরনের স্লোগান দেওয়া হয়েছে, রাষ্ট্রবিরোধী স্লোগান। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে এই দেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। সেই দেশে রাজাকারের পক্ষে স্লোগান, এটি রাষ্ট্রবিরোধী স্লোগান। এটি সরকারবিরোধী নয় এটি রাষ্ট্রবিরোধী স্লোগান। একই সঙ্গে সেখানে সরকারবিরোধী, প্রধানমন্ত্রীবিরোধী স্লোগান দেওয়া হয়েছে। এতে স্পষ্ট, আমরা বলেছিলাম, কোটা আন্দোলনের মধ্যে রাজনৈতিক অপশক্তি ঢুকেছে।

    সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।

    তিনি বলেন, আমরা দেশকে কখনো অস্থিতিশীল করতে দেব না। আমাদের সরকার অনেক শক্তিশালী সরকার। আমরা কোনো রাজনৈতিক অপশক্তিকে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সেন্টিমেন্ট নিয়ে খেলা করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে দেব না।

    হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি-জামায়াতসহ যারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় তারা কোটা আন্দোলনে ঢুকেছে। তাদের ‘প্ল্যান্টেড’ কিছু মানুষ সেখানে নেতৃত্ব দিচ্ছে। আমরা যেটি বলেছিলাম সেটি তারা গতকাল স্পষ্ট করেছে। এটি আসলে কালকের স্লোগান এবং কালকের যে সমস্ত ঔদ্ধত্বপূর্ণ স্লোগান এবং বক্তব্য, এতে প্রমাণিত হয় এটি কোটাবিরোধী আন্দোলন নয়। এটি রাষ্ট্রবিরোধী, সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সেন্টিমেন্টকে ব্যবহার করা হচ্ছে। কিছু নেতা এবং বাইরে থেকে বিএনপি-জামায়াতসহ অন্যরা সেখানে ইন্ধন দিচ্ছে।

    তিনি বলেন, সরকার স্পষ্ট করে বলেছে আদালতে বিচারাধীন কোনো বিষয়ে সরকার সিদ্ধান্ত দিতে পারে না। আদালতে এটি নিষ্পত্তি হওয়ার পর আদালত যেভাবে নিষ্পত্তি করবে সরকারকে সেভাবে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করতে হবে, এটি স্পষ্ট।

    পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এরপরও এ ধরনের স্লোগান দেওয়া এবং আন্দোলন করা এবং কালকের স্লোগান, কালকের বক্তব্য একেবারে দিবালোকের মতো স্পষ্ট করে দিয়েছে এটির মধ্যে রাজনীতি ঢুকেছে এবং রাজনীতিকদের রাজনৈতিক অপশক্তির পরিকল্পনামাফিক কিছু ব্যক্তিবিশেষ এখানে যে নেতৃত্ব দিচ্ছে, ইন্ধন দিচ্ছে সেটি গতকাল স্পষ্ট হয়েছে।

  • তুমি কে, আমি কে- রাজাকার রাজাকার’ স্লোগানে ছাত্রলীগের হামলা

    তুমি কে, আমি কে- রাজাকার রাজাকার’ স্লোগানে ছাত্রলীগের হামলা

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্যেকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা মাঝরাতে ‘তুমি কে, আমি কে- রাজাকার রাজাকার’ স্লোগানে মিছিল করলে ক্যাম্পাসের কাটাপাহাড় সড়কে পেছন থেকে অতর্কিত হামলা করে ছাত্রলীগ। এতে আহত হয় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী।

    রবিবার (১৪ জুলাই) রাত ১১ টায় চবি জিরো পয়েন্টে প্রধানমন্ত্রীর কোটা বিষয়ক মন্তব্যের প্রতিবাদে “চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার”, “তুমি কে? আমি কে? রাজাকার, রাজাকার” স্লোগানে বিক্ষোভ শুরু করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পরে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে তাদেরকে ছাত্র ভঙ্গ করে দেয় ছাত্রলীগ

    বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা জিরো পয়েন্ট থেকে কাটা পাহাড় রোড হয়ে শহিদ মিনারের দিকে যাচ্ছিলেন। এমতাবস্থায়, হামলা করে সে ছাত্রলীগ। হামলায় ছত্রভঙ্গ হয়ে আন্দোলনকারী একদল শিক্ষার্থী বলেন, “আন্দোলনরত অবস্থায় পেছন থেকে ছাত্রলীগ কর্মীরা লাঠি সহ ধাওয়া করে এবং আমাদের মারপিট করে।”

    মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ চবি শাখার সভাপতি ও সিএফসি গ্রুপের অনুসারী শরিফ উদ্দিন, কনকর্ড গ্রুপের অনুসারী আবরার শাহরিয়ারের নেতৃত্বে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালানো হয়।

  • রাতে হঠাৎ উত্তপ্ত ঢাবি ক্যাম্পাস, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের ডাক

    রাতে হঠাৎ উত্তপ্ত ঢাবি ক্যাম্পাস, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের ডাক

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ফের উত্তপ্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাস। এরই জেরে আজ (রোববার) রাত ১১টার দিকে বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়েছে। পরে প্রতিটি হল থেকে ক্যাম্পাসে মিছিল বের করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

    রোববার (১৪ জুলাই) রাত ১১টা থেকে এই মিছিলের সূচনা হয়। মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জড়ো হন।

    সরেজমিনে দেখা যায়, হল পাড়ার প্রায় হাজার শিক্ষার্থী একত্রিত হয়েছেন। এ সময় তারা বিজয় একাত্তর হলে ঢুকতে চাইলে ছাত্রলীগের বাধার সম্মুখীন হন। কিন্তু বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগের বাধা উপেক্ষা করে ভেতরে ঢুকে সমর্থকদের নিয়ে আসেন। পরে তারা মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জড়ো হন।

    মিছিলে তাদের ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, রাষ্ট্র কারো বাপের না’, ‘চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার’, ‘আমার স্বাধীন বাংলায়, একের কথা চলে না’, ‘তুমি কে আমি কে, বাঙালি বাঙালি’, ‘লাখো শহীদের রক্তে কেনা, দেশটা কারো বাপের না’ ইত্যাদি স্লোগানও দিতে দেখা গেছে।

    আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী বলেন, হলের ছাত্রলীগ নেতাদের কাছ থেকে এমন আচরণ অপ্রত্যাশিত। এটা ছাত্রদের অধিকারের লড়াই। এ লড়াইয়ে আমরা আপোসহীন।

    বিজয় একাত্তরের হল ছাত্রলীগের শীর্ষ পদ প্রত্যাশী সাইদুর রহমান শরীফ বলেন, আমরা কাউকে বাধা দেইনি। যারা আন্দোলনে যেতে চায় তারা যাবে আমরা তাদের বাধা দেইনা। কিন্তু আন্দোলনকারীরা হলের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে চাইছে আমরা সেখানেই বাধা দিতে চেয়েছি।

    এর আগে, রাত ৯টা থেকে প্রতিটি হলের শিক্ষার্থীরা সমস্বরে ‘আমি কে তুমি কে, রাজাকার, রাজাকার’ স্লোগান দিতে থাকেন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিতে থাকেন।

    প্রসঙ্গত, চীন সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলন এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনিরা চাকরি পাবে না কি রাজাকারের নাতি-নাতনিরা চাকরি পাবে?