Tag: কোতোয়ালি

  • কোতোয়ালিতে ২০২ মোবাইলসহ আটক ১১ চোর ও ছিনতাইকারী

    কোতোয়ালিতে ২০২ মোবাইলসহ আটক ১১ চোর ও ছিনতাইকারী

    নিজস্ব প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১১জনকে আটক করেছে থানা পুলিশ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে দুই শতাধিক চোরাই মোবাইল সেট।

    গতকাল বুধবার দিনব্যাপী সিরিজ অভিযান পরিচালনা করে এসব মোবাইল চোর ও ছিনতাইকারীদের আটক করে পুলিশ।

    পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধারকৃত মোবাইলগুলো নগরীর বিভিন্ন বাসা বাড়ি থেকে, যানজট ও নানান অনুষ্ঠানের ভিড়ে সাধারণ মানুষের প্যান্টের পকেট থেকে, চলমান গাড়ির জানালা থেকে ছোঁ মেরে এবং ছিনতাই করেছে আটককৃতরা।

    আটককৃতরা হলেন- রাজিব হোসেন (২৭), মো. শাহ আলম (৩০), শাকিল (২৪), মহিউদ্দিন (২৭), ইয়াকুব হোসেন সাইমুন (১৯), মো. শাহাদাত (২২), মো. সাজ্জাদ (২২), মিজানুর রহমান রাকিব (২০), দুলাল (২০), রবিন (২৩) ও মো. ফজলুল করিম (৩৫)।

    আজ বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার সময় নগরীর কোতোয়ালি থানায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) পলাশ কান্তি নাথ।

    তিনি বলেন, নগরীর পুরাতন রেল স্টেশন থেকে প্রথমে ২ মোবাইল চোরকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতদের দেওয়া তথ্যমতে বুধবার দিনব্যাপী সিরিজ অভিযান পরিচালনা করে কোতোয়ালি থানা পুলিশের কয়েকটি টিম।

    পুরাতন রেল স্টেশন, নতুন রেল স্টেশন ও নিউমার্কেট এলাকায় এসব সিরিজ অভিযান পরিচালিত হয়। মোট ১১জনকে আটক করে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে মোট ২০২টি চোরাই মোবাইল উদ্ধার করা হয়।

    প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা চট্টগ্রাম শহরে চোরাই মোবাইল বিক্রির সঙ্গে ৫০ জন ব্যবসায়ী জড়িত থাকার তথ্য দিয়েছে। তাছাড়া মোবাইল চুরিতে অন্তত এক ডজনের চাইতেও বেশি গ্রুপ পুরো চট্টগ্রাম শহরজুড়ে সক্রিয় রয়েছে বলেও তারা জানিয়েছে।

    কোতোয়ালি থানার ওসি মো. মহসীন বলেন, আটককৃতরা সকলেই নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে চুরি ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত। জিজ্ঞাসাবাদে তারা মোবাই চুরি ও ছিনতাইয়ের বেশ কয়েকটি কৌশল পুলিশকে জানায় এবং এসব কাজে জড়িত থাকা অনেকের বিষয়ে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে।

    তাদের দেওয়া তথ্যগুলো যাচাই এবং এসব চক্রে জড়িত অপরাধীদের চিহ্নিত করে তাদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হবে বললেন কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন।

    সংবাদ সম্মেলনে কোতেয়ালী জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার নোবেল চাকমাও উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব

  • ইয়াবা পাচারের বিশেষ কৌশলও ব্যর্থ, পুলিশের কাছে ধরা ৩ কারবারি

    ইয়াবা পাচারের বিশেষ কৌশলও ব্যর্থ, পুলিশের কাছে ধরা ৩ কারবারি

    ২৪ ঘণ্টা নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রামে বিশেষ কায়দায় ইয়াবা পাচারের চেষ্টা ব্যর্থ করে ৩ কারবারিকে আটক করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।

    পুলিশ জানায়, আটক তিনজনই পরস্পরের যোগসাজশে কক্সবাজার থেকে কমদামে ইয়াবা ক্রয় করে সেগুলো চট্টগ্রাম হয়ে ট্রেনে করে কিশোরগঞ্জে পাচারের চেষ্টা করছিলো।

    গোপনে তথ্য পেয়ে গতকাল মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) রাত পৌণে ১১টার সময় নগরীর নতুন রেলস্টেশনের প্রবেশ মুখ থেকে ২ জন এবং তাদের জিজ্ঞাসাবাদে খুলশী থানাধীন পশ্চিম বাগঘোনা এ কে খান বাংলোর নিচে ষ্টাফ কোয়ার্টারে অভিযান চালিয়ে আরো একজনকে আটক করে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে ৫ হাজার ২শ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

    আটককৃতরা হলেন, কিশোরগঞ্জ জেলার যশোদল নয়াপাড়া পাটধা গ্রামের মৃত মো. কাইয়ুমের ছেলে মো. ছাইকুল ইসলাম (৫০), কক্সবাজার জেলার টেকনাফ পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডেও মধ্যম জালিয়াপাড়া এলাকার মৃত মো. জাকিরের ছেলে মো. আইয়ুব (৪১) এবং চট্টগ্রামের সাতকানিয়া মাদার্শা এলাকার আলী মিয়া বর বাড়ীর মৃত আলী মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৪৬)।

    কোতোয়ালি থানার ওসি মো.মহসীন তথ্যটি নিশ্চিত করে বলেন, ইয়াবাগুলো পাচারে প্রশাসনের চোঁখ ফাঁকি দিতে আটক তিনজনই অভিনব কৌশল অবলম্বন করেছে। তবে কোতোয়ালি থানা পুলিশের দক্ষতায় তা পুরোপুরি ব্যর্থ হয়ে যায়।

    তিনি বলেন, আটক ছাইকুল ও আইয়ুব ঝুড়ির তলদেশে, বাংলা সাবানের ভেতর এবং ছাতার ভাঙ্গা হাতলের ভেতরে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে ইয়াবাগুলো পাচারের চেষ্টা করেছে।

    তল্লাশীতে বাংলা সাবান থেকে ১ হাজার, ঝুড়ির তলদেশে লুকানো অবস্থায় ৩ হাজার ৮ শ পিস এবং দুজনের হাতে থাকা দুটি ছাতার ভাঙ্গা হাতলে ২শ পিস করে মোট ৫ হাজার ২শ পিস ইয়াবা উদ্ধার হয়।

    আটকের পর তারা ইয়াবা পাচারে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। তিনজনের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে বলে জানান ওসি।

    চখ/আর এস

  • চট্টগ্রামের কোতোয়ালীতে পেশাদার ছিনতাই চক্রের ৮ সদস্য গ্রেফতার

    চট্টগ্রামের কোতোয়ালীতে পেশাদার ছিনতাই চক্রের ৮ সদস্য গ্রেফতার

    চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রামের পুরাতন রেলস্টেশন সংলগ্ন গনশৌচাগারের সামনে থেকে পেশাদার ছিনতাই চক্রের ৮ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।

    সোমবার (৫ অক্টোবর) দিবাগত রাত ২টার সময় ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্রসহ তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে ১টি অস্ত্র সদৃশ্য খেলনা পিস্তল, ৬ টি টিপ ছোরা ও ১টি চাপাতির তথ্য দিয়েছে পুলিশ।

    গ্রেফতারকৃতরা হলো- মো. বদিউল আলম প্রকাশ বদি (২৬), মো.মামুন (২২), মেহেদী হাসান (২৩), মো. সোহেল (২৫), মো. তারেক (২৭), আসিফ হোসেন প্রকাশ সাকিব (২০), রিপন দত্ত (২০) ও জুয়েল দাশ (২৬)।

    গ্রেফতারকৃত ৮ নই পেশাদার ছিনতাইকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন। তিনি বলেন, এরা দীর্ঘদিন ধরে সংঘবদ্ধভাবে নগরীর রেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকা এবং তার আশেপাশের বিভিন্ন এলাকায় পথচারিকে আটকে ভয় দেখিয়ে ছিনতাই করে আসছে।

    মধ্যরাতে ছিনতাইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন গোপন তথ্য পেয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশের একটি টিম পুরাতন রেলস্টেশন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এসময় দেশিয় অস্ত্রসহ তাদেরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

    ওসি বলেন, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে বদেউল আলমের বিরুদ্ধে ৩ টি, মো.মামুনের বিরুদ্ধে ২টি, জুয়েলের বিরুদ্ধে ১টি, আসিফ হোসেনের বিরুদ্ধে ৩টি ও রিপন দত্তের বিরুদ্ধে ২টি মামলা রয়েছে। মামলাগুলোর অধিকাংশই মাদক ও অস্ত্র মামলা। তাদের প্রত্যেককে আদালতে প্রেরণ করা হবে বলে জানান ওসি মহসিন।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব

  • কোতোয়ালি থানার মামলার আসামি আকবরশাহতে গ্রেফতার,অস্ত্র উদ্ধার

    কোতোয়ালি থানার মামলার আসামি আকবরশাহতে গ্রেফতার,অস্ত্র উদ্ধার

    নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম নগরীর আকবরশাহ বিজয় নগর এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিদেশী পিস্তল,গুলি ও ককটেলসহ দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।

    গত ২৪ সেপ্টেম্বর কোতোয়ালি থানায় দায়ের করা একটি মামলার আসামির অবস্থান শনাক্ত করার পর মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত পৌণে ১২টার সময় পুলিশ অভিযানটি পরিচালনা করে। এসময় দুজন গ্রেফতার হয়।

    গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কুমিল্লা জেলার বাংগরা বাজার পূর্বধৈইর মো. আব্দুল খলিল মিয়া প্রকাশ খলিলুর রহমানের ছেলে মো. ওসমান মিয়া প্রকাশ উসমান (২৯) এবং ফেনী জেলার দাগনভুইঁয়া দক্ষিণ করিমপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেন প্রকাশ কাজলের ছেলে মো. আরিফ (১৯)। বর্তমানে দুজনই নগরীর আকবরশাহ বিজয় নগর এলাকার বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

    কোতোয়ালি থানার ওসি মো. মহসীন অস্ত্রসহ দুজনকে গ্রেফতারের তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কোতোয়ালি থানায় দায়ের হওয়া একটি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে আকবরশাহতে আসামির অবস্থান শনাক্ত হয়।

    মঙ্গলবার রাত ১২টার সময় আকবরশাহ থানা এলাকার বিজয় নগর এলাকা থেকে উসমান মিয়া ও মো.আরিফকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ১ টি বিদেশী পিস্তল, ১ রাউন্ড গুলি, ১ টি ককটেল এবং ১১টি রামদা পাওয়া যায়।

    ওসি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত এবং আকবরশাহ থানা এলাকায় অবৈধভাবে জমি দখলে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করে।

    গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে উসমান মিয়ার বিরুদ্ধে নগরীর কোতোয়ালি, খুলশী ও আকবরশাহসহ বিভিন্ন থানায় অন্তত ১০টির অধিক মামলা বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে জানিয়ে গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে আকবরশাহ থানায় নতুন একটি এজাহার দায়ের করার কথা জানিয়েছেন ওসি মহসীন।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব

  • কোতোয়ালিতে জালনোটসহ এক ব্যক্তি আটক

    কোতোয়ালিতে জালনোটসহ এক ব্যক্তি আটক

    চট্টগ্রামের কোতোয়ালির নতুন ফিশারিঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. আনোয়ার হোসেন (৩০) নামে এক যুবককে আটক করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ।

    বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) বিকেলে ৮ হাজার ৬৫০ টাকার জালনোটসহ তাকে আটক করা হয়েছে বলে জানান নগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার (দক্ষিণ) কামরুল ইসলাম।

    তিনি বলেন, নতুন ফিশারিঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে জালনোটসহ মো. আনোয়ার হোসেন নামের এক যুবককে আটক করা হয়েছে। তার কাছ থেকে ৮ হাজার ৬৫০ টাকার জালনোট উদ্ধার করা হয়েছে। কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে এই জাল নোট বাজারের ছাড়ার জন্য সে কাজ করছে বলে জানা গেছে।

    আটক মো. আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের হয়েছে বলে জানান তিনি।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • চট্টগ্রামে টিম কোতোয়ালি’র উদ্দ্যেগে দেশে প্রথম করোনা প্রতিরোধ বান্ধব বাজার বসবে রেলস্টেশনে!

    চট্টগ্রামে টিম কোতোয়ালি’র উদ্দ্যেগে দেশে প্রথম করোনা প্রতিরোধ বান্ধব বাজার বসবে রেলস্টেশনে!

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। নিজস্ব প্রতিনিধি : করোনা ভাইরাস কোভিড-১৯ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ায় মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাত্রা পাল্টে গেছে। সংক্রমণের ভয়ে অধিকাংশ মানুষ নিজেদের ঘরের ভেতর আলাদা করে থাকছেন।

    শুধুমাত্র নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস ক্রয়ের জন্য বাজারে যেতে হয়। কিন্তু যে বাজার থেকে ক্রয় করা জিনিসগুলো ঘরে আনা হচ্ছে তা কি জীবাণুমুক্ত? সেগুলোতে অদৃশ্য জীবাণু লেগে নেই তো? থাকলে কী করা উচিত? এমন নানা প্রশ্নে সবাই উদ্বিগ্ন।

    তবে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো করোনা প্রতিরোধ বান্ধব বাজার করতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানা পুলিশের টিম। নগরীর নতুন রেলস্টেশন সংলগ্ন পার্কিং কর্নারে বসবে এ বাজার।

    চট্টগ্রামের বৃহৎ ও ব্যস্ততম রিয়াজউদ্দিন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সার্বিক সহযোগিতায় এ বাজার স্থাপন করা হয়েছে। আগামীকাল ২৪ এপ্রিল শুক্রবার সকাল ১২টায় দেশে প্রথম ব্যাতিক্রমী এই বাজারের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন স্বরাষ্ট্র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন। উপস্থিত থাকবেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান।

    তথ্যটি নিশ্চিত করে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, করোনা প্রতিরোধে সহায়ক সকল ব্যবস্থা রাখা হয়েছে এই বাজারে। তিনি বলেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে চট্টগ্রামের বৃহৎ বাজারটি স্থানান্তরের জন্য প্রথম দিকে নগরীর পলোগ্রাউন্ড মাঠ বিবেচনায় নেয়া হয়েছিল। পরে ব্যবসায়ীদের সুবিধা হবে ভেবেই নতুন রেল স্টেশনের পার্কিং স্পটটি সিলেক্ট করা হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/ রাজীব প্রিন্স

  • কোতোয়ালির টাইগারপাস এলাকায় অভিযান : দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেফতার ৩

    কোতোয়ালির টাইগারপাস এলাকায় অভিযান : দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেফতার ৩

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানা টাইগারপাস রেলওয়ে পাহাড় সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ।

    আজ ২৩ ডিসেম্বর সোমবার দুপুর দেড়টার সময় পরিচালিত অভিযানে গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে ১টি দেশীয় বন্দুক, ১টি কার্তুজ, ১টি ফোল্ডিং ছুরি ও ১টি চাপাতি উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, জিকু চন্দ্র দাশ (২৬), মো. শোয়েব(৩০) ও মো. সাজ্জাত হোসেন (২৬)।

    তাদের বিরুদ্ধে নগরীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে জানিয়ে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি-উত্তর) মির্জা সায়েম মাহমুদ বলেন, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে নগরীর কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

  • পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ি নাজিম ২ সহযোগীসহ গ্রেফতার

    পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ি নাজিম ২ সহযোগীসহ গ্রেফতার

    ২৪ ঘন্টা চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানা পুলিশের তালিকাভুক্ত ও রেয়াজউদ্দিন বাজারের শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ি মো. নাজিম উদ্দিন (২৮) কে তার দুই সহযোগীসহ গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।

    রবিবার রাত সাড়ে ৯টার সময় নগরীর জুবিলী রোডস্থ তিন পুলের মাথা গোলাম রসুল মার্কেটের মর্ডান প্লাস্টিক হাউসের সামনে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ৩শ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

    গ্রেফতার নাজিম কর্ণফুলি উপজেলার চরলক্ষ্যা দক্ষিণ কুল এলাকার মৃত বাবুল ইসলামের ছেলে। এছাড়া নাজিমের দুই সহযোগী হলেন সাতকানিয়া উপজেলার কাঞ্চনা পন্ডিত বাড়ির মো. জাকারিয়ার ছেলে ইমরানুল হক প্রকাশ নয়ন (২৮) ও লোহাগাড়া উপজেলার চরম্বা ইউনিয়নের মজিদের পাড়ার আবুল হোসেনের ছেলে মো. জাহেদুল ইসলাম (১৯)।

    পুলিশ জানায়, রেয়াজউদ্দিন বাজারে শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ি নাজিমসহ কয়েকজন ইয়াবা কারবারি ইয়াবা বিক্রির উদ্দ্যেশে অবস্থান করছে এমন সংবাদ পেয়ে অভিযান চালানো হয়। এসময় এক ইয়াবা কারবারি পালিয়ে গেলেও শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ি নাজিমকে তার দুই সহযোগীসহ গ্রেফতার করা হয়। অভিযানে নাজিমের পকেট থেকে ১২০, জাহেদের পকেট থেকে ১০০ এবং নয়নের পকেট তল্লাশী করে ৮০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।

    কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. মহসীন ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে নাজিম কোতোয়ালি থানা পুলিশের তালিকাভুক্ত ও রেয়াজউদ্দিন বাজারের শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ি। তার বিরুদ্ধে জেলার লোহাগাড়া থানায় ১টি এবং কোতোয়ালি থানায় ৮টি মাদক আইনে মামলা রয়েছে।

    গ্রেফতার নাজিম ও তার ২ সহযোগীর বিরুদ্ধে নতুন করে মাদক আইনে পৃথক আরেকটি মামলা দায়ের করার কথা জানিয়ে গ্রেফতারকৃতদের সাথে ইয়াবা কারবারে যুক্ত মো. তৌহিদুল ইসলাম (২৯)কে গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বলেন ওসি মহসিন।

  • চট্টগ্রামে মাদকাসক্ত ছেলের বিরুদ্ধে মায়ের মামলা, ছেলে গ্রেফতার

    চট্টগ্রামে মাদকাসক্ত ছেলের বিরুদ্ধে মায়ের মামলা, ছেলে গ্রেফতার

    চট্টগ্রামে মাদকাসক্ত ছেলের বিরুদ্ধে ছিনতাই ও মারধরের অভিযোগ এনে থানায় মামলা দায়ের করেছেন আপন মা।

    আজ সোমবার দুপর দেড়টার সময় নগরীর কোতোয়ালি থানায় মা রাবেয়া খাতুন (৫০) বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় পুলিশ রাবেয়ার মাদকাসক্ত ছেলে মনিরুল ইসলাম (২০)কে গ্রেফতার করেছে।

    গ্রেফতার মনিরুল চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার ৬ নং কাতারিয়া বাজার মাওলানা বাড়ির মৃত শাহ আলমের ছেলে।

    মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মা রাবেয়া বেগম আইনজীবী সহকারী হিসেবে চট্টগ্রাম আদালতে কাজ করেন। তার স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে ছেলেটি মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। মাদক সেবনের জন্য প্রতিনিয়ত মায়ের কাছ থেকে চাঁদা দাবী করে আসছে মনিরুল। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মাকে মারধরও করত মনিরুল।

    সর্বশেষ ৪ অক্টোবর বেলা পৌণে ১টার সময় নারী শিশু আদালতের পাশে কবিরের চায়ের দোকানের সামনে মা রাবেয়া বেগমের কাছে ২ হাজার টাকা দাবী করে মনিরুল। টাকা নাই বললে মনিরুল তার মায়ের হাত ব্যাগ ও মোবাইলটি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।

    বাধা দিলে জনসম্মুখে মাকে গাছের বাটাম দিয়ে এলোপাতাড়ী আঘাত করে। এসময় রাবেয়া চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে ছেলেকে আটক করে। পরে স্থানীয় কোতোয়ালি থানার টহল পুলিশ এসে মনিরুলকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

    পরে এ ঘটনায় মা রাবেয়া বেগম থানায় এসে মামলা দায়ের করলে ছেলে মনিরুলকে গ্রেফতার দেখায় কোতোয়ালি থানা পুলিশ।

    ছেলের বিরুদ্ধে মায়ের মামলা দায়েরে ছেলেকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি থানার ওসি মো. মহসীন।

  • আয়া নার্স ও ডায়গনস্টিক কর্মী হলেও এরা শিশু চোর,৫ মাস পর ধরা

    আয়া নার্স ও ডায়গনস্টিক কর্মী হলেও এরা শিশু চোর,৫ মাস পর ধরা

    চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানা রেয়াজউদ্দিন বাজারের আমতল এলাকা থেকে গত ৫ মাস আগে চুরি হওয়া এক ভিক্ষুকের সাত মাস বয়সি শিশুপুত্রকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় নবজাতক শিশু চোর চক্রের মূলহোতাসহ ওই চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।

    শনিবার দিবাগত রাতে সংঘবদ্ধ এ চোর চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতারের পর তাদের দেওয়া তথ্য মতে রোববার ভোর রাতে নগরীর দামপাড়া পল্টন রোডের এক দম্পতির কাছ থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। দুই মাস বয়স থাকতে শিশুটি চুরি করেছে চোরের দল।

    গ্রেফতার হওয়া শিশু চোর চক্রের তিন সদস্যদের মধ্যে মো. আফসার প্রকাশ জাফর সাদেক (৩৫) এ চোর চক্রের মূল হোতা। পারভীন আক্তার (৩৫) এবং নগরীর ন্যাশনাল হাসপাতাল ও সিগমা ল্যাবে কর্মরত রেডিওলজি বিভাগের টেকনোলজিস্ট সুজিত কুমার নাথ (৪৫) আফসারের সহযোগী। বিভিন্ন হাসপাতালের আয়া,নার্স এবং ডায়াগনস্টিক কর্মী সেজে এরা হতদরিদ্র পরিবারের শিশু পুত্র চুরি করায় এদের মূল পেশা।

    রবিবার বিকেলে কোতোয়ালি থানা প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব তথ্য তুলে ধরেন নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এস এম মেহেদী হাসান।

    তিনি বলেন, ওরা সংঘবদ্ধভাবে নবজাতক শিশু চুরি করে নিঃসন্তান দম্পত্তির কাছে চড়া মূল্যে বিক্রি করে আসছে। এই চোর চক্রের সাথে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের আয়া, নার্স, দারোয়ান ও বিভিন্ন কর্মচারীরা সম্পৃক্ত রয়েছে। এরা সাধারণত হতদরিদ্র পরিবারকে টার্গেট করে তাদের কাছ থেকে শিশু নবজাতক সন্তান চুরি করে। পরবর্তীতে তাদের কোন স্বজনের সন্তান দাবী করে সমাজের নিঃসন্তান পরিবারের হাতে বেশি টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেন।

    তিনি বলেন, গত ২৬ মে নগরীর কাজীর দেউড়ি এলাকা থেকে ভিক্ষুক শেফালীর ২ মাস বয়সী শিশু সন্তান চুরির মামলা তদন্ত করতে গিয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশ এধরনের একটি চক্রের সন্ধান পায়। শনিবার রাতে এক নারীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    মেহেদী হাসান জানান, শেফালির শিশুপুত্রকে চুরি করে নিঃসন্তান পবন কান্তির কাছে ১০০ টাকার স্ট্যাম্পে চুক্তির মাধ্যমে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছে। পুলিশ এ ধরনের চুক্তিপত্রের কপি ও ভুয়া মৃত্যু সনদও জব্দ করেছে বলে জানান তিনি।

    কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, ৫ মাস আগে গত ২৭ মে শেফালি বেগম নামে এক ভিক্ষুক তার শিশুপুত্র চুরির কথা উল্লেখ করে ২৮ মে কোতোয়ালি থানায় একটি চুরির মামলা দায়ের করেন।

    অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, চোর সিন্ডিকেটটি নগরীর কাজির দেউরি এলাকায় গিয়ে তার শিশুকে ভাল জামা কাপড় কিনে দেওয়ার নাম করে রেয়াজউদ্দিন বাজারে তাকে ও তার শিশুকে নিয়ে যায়। সেখান থেকে কৌশলে শিশুটি চুরি করে তারা পালিয়ে যায়। আরো খবর : নবজাতক শিশু চোর চক্রের মূলহোতাসহ ৩ জন গ্রেফতার

    ওই চুরির ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে শেফালি বেগমের শনাক্ত করা মার্কেটটিতে যায়। সেখানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে চোরচক্রকে শনাক্ত করা হয়। এর মধ্যে পুলিশ ইপিজেড থানা এলাকা থেকে শিশু চুরির অভিযোগে ইকবাল নামে একজনকে গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে গ্রেফতার করার পর তাকে ফুটেজ দেখালে সে শেফালির বাচ্চা চুরির বিষয়টি স্বীকার করে নেন। এ সম্পর্কে সে আদালতে জবানবন্দিও দেন।

    তার কাছ থেকে নবজাতক শিশু চোরের মূলহোতা আফসারের তথ্য পাওয়া যায়। শনিবার আফসারের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে কক্সবাজারের কলাতলি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তী সময়ে চট্টগ্রাম নগরীর মেহেদীবাগে ন্যাশনাল হাসপাতালের সামনে থেকে সুজিত এবং নগরীর অক্সিজেন এলাকার সৈয়দপাড়ায় এক বাসা থেকে পারভীনকে গ্রেফতার করা হয়।

    তাদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী নগরীর দামপাড়ায় পল্টন রোডে জনৈক পবন কান্তি নাথের বাসা থেকে চুরি যাওয়া শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।

    উদ্ধার করা শিশুকে আদালতের মাধ্যমে মার কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়ার পাশাপাশি তিন আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।

  • কোতোয়ালি ও বন্দরে পৃথক অভিযানে ইয়াবাসহ ২ জন গ্রেফতার

    কোতোয়ালি ও বন্দরে পৃথক অভিযানে ইয়াবাসহ ২ জন গ্রেফতার

    চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানা ও বন্দর থানা এলাকায় পৃথক দুটি অভিযান চালিয়ে এক হাজার ৭শ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। এসময় দুজন ইয়াবা কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়।

    গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২ নভেম্বর শনিবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার সময় নগরীর কোতোয়ালি থানা আলকরন মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৭শ পিস ইয়াবাসহ শ্যামল দাশ (৪০) নামে এক ইয়াবা কারবারিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    নগর গোয়েন্দা (উত্তর) বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক মুহাম্মদ রুহুল আমীনের নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়। গ্রেফতার শ্যামল মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানার বাগড়া পশ্চিম মালোপাড়ার মৃত জিতেন্দ্র দাশের ছেলে।

    একই দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় নগরীর বন্দর থানা বাকের আলী ফকিরের টেক মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় পৃথক আরেকটি অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশ। নগর গোয়েন্দা (উত্তর) বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) অংসা থোয়াই মারমার নেতৃতে পরিচালিত এ অভিযানে ১ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

    এসময় আব্দুর রহিম (৩৫) নামে অপর এক ইয়াবা কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার রহিম কক্সবাজার জেলার টেকনাফ হ্নীলা দক্ষিণ ফুলের ডেইল মীর কাশেমের ছেলে।

    নগর গোয়েন্দা পুলিশের জনসংযোগ শাখা থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় পৃথক অভিযানে ইয়াবাসহ গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

  • সীতাকুণ্ডে ডা.শাহ আলম হত্যার দুই আসামী কোতোয়ালিতে গ্রেফতার

    সীতাকুণ্ডে ডা.শাহ আলম হত্যার দুই আসামী কোতোয়ালিতে গ্রেফতার

    সীতাকুণ্ডে আলোচিত ডাক্তার শাহ আলম হত্যা মামলার আরো দুই আসামীকে গ্রেফতার করেছে সিএমপির কোতোয়ালী থানা পুলিশ। আজ শনিবার (২ নভেম্বর) ভোর চারটায় নগরীর টাইগারপাস মোড় থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

    গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে সীতাকুণ্ড জলিল টেক্সটাইল কুতুব মেম্বার বাড়ির শো. শফির ছেলে মো. সালাউদ্দিন (২৪) ও নোয়াখালী মাইজদি নালা নগরের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে মো. টিটু (২৫)।

    বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মহসীন। তিনি ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরীতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসস্ত্রসহ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ১১ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের মধ্যে সীতাকুণ্ডের ” গরীবের ডাক্তার ” খ্যাত শাহ আলম হত্যা মামলার আসামী সালাউদ্দিন ও টিপু নামের দুইজন রয়েছে।

    এরা ছোট-বড় প্রায় দুই শতাধিক ডাকাতি ও ছিনিতাই করেছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। এই দলের প্রধান মো. সালাউদ্দিন আগেও জেল খেটেছেন। বের হয়ে আবারও সংঘবদ্ধ হয়ে তারা ডাকাতি শুরু করে। এদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে নগরের বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে বলেও তিনি জানান। আরো খবর : অস্ত্রসহ সংঘবদ্ধ ডাকাতদলের ১১ সদস্য গ্রেফতার

    তাদের কাছ থেকে দুটি দেশীয় এলজি, দুটি কার্তুজ, দুটি টিপ ছুরি, পিকআপ, প্রাইভেট কারসহ দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

    এদিকে আজ শনিবার ভোরে নগরী থেকে ১১জন ডাকাত অস্ত্রসহ গ্রেফতারের পর সীতাকুণ্ড মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ফিরোজ আলম মোল্লা ডা.শাহ আলম হত্যা মামলার আরো দুই আসামী সালাউদ্দদিন ও টিপুকে শনাক্ত করে সিএমপির কোতোয়ালী থানার ওসি মো. মোহসীনকে জানায়। ২৪ ঘন্টা ডট নিউজের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলেও সীতাকুণ্ড থানার ওসিও হত্যা মামলার দুই আসামির কথা স্বীকার করেন।

    উল্লেখ্য যে, এর আগে গত ২৩ অক্টোবর ভোর সাড়ে ৪টার দিকে সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নে ডা, শাহ আলম হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা ডাকাত দলের প্রধান নজির আহমেদ সুমন প্রকাশ কালু (২৬) র‍্যাব ৭ এর টহল দলের সাথে গুলি বিনিময়ে নিহত হয়।