Tag: কোপা আমেরিকা

  • আর্জেন্টিনার কোপা জয়

    আর্জেন্টিনার কোপা জয়

    ২০২১ সালের আসরে ব্রাজিলকে ১-০ গোলে হারিয়ে ১৫তম কোপা আমেরিকা শিরোপা জিতেছিল আর্জেন্টিনা। এবার কলম্বিয়াকেও ম্যাচের একমাত্র গোলে হারিয়ে শিরোপা ধরে রাখলো লিওনেল মেসিরা। এতে কোপায় সর্বকালের সবচেয়ে সফল দলের তকমা পেয়েছে আলবিসেলেস্তারা। এটি আর্জেন্টিনার ১৬তম শিরোপা। এর আগে আর্জেন্টিনার সমান ১৫টি শিরোপা জিতেছিল উরুগুয়ে।

    কিছুতেই কিছু হচ্ছিল না। ফাইনালে খেলার মূল সময়ে অনেক চেষ্টা করেও গোল করতে পারেনি আর্জেন্টিনা-কলম্বিয়া। অতিরিক্ত সময়েরও ২২ মিনিট শেষ হয়ে গেছে। ততক্ষণে সবাই টাইব্রেকারের প্রহর গুনছিল। অবশেষে ১১২ মিনিটে গোলের মুখ দেখলো চলতি কোপার ফাইনাল। আর্জেন্টিনাকে গোল উপহার দিলেন লাউতারো মার্টিনেজ। এতে ১-০ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত হয়ে গেছে আর্জেন্টিনার।

    আজ সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামে খেলার মূল সময় শেষেও পরিসংখানে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ও বর্তমান কোপা চ্যাম্পিয়নদের মতো খেলতে পারেনি আর্জেন্টিনা। ম্যাচে বল দখল, আক্রমণ ও লক্ষ্যে শট নেওয়ায় এগিয়ে কলম্বিয়া।

    এদিন টিকিট ছাড়াই দর্শকদের মাঠে ঢুকে পড়ার কারণে সময় মতো খেলা শুরু করতে পারেনি আয়োজকরা। প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় দর্শকদের নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে তারা। অবশেষে সকাল ৬টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ম্যাচটি শুরু হয় ৭টা ২৫ মিনিটে।

    শুরুতেই আক্রমণে যায় আর্জেন্টিনা। ম্যাচের প্রথম মিনিটে গঞ্জেলো মনটিয়েলের ক্রস থেকে হুলিয়ান আলভারেজের হেড গোলবারের বাঁপাশ মিস করে বাইরে দিয়ে চলে যায়। এরপর ৫ মিনিটে লুইস দিয়াজ ও ১৩ মিনিট কার্লোস কুয়েস্টা কলম্বিয়ার হয়ে দুটি আক্রমণ করে।

    ২০ মিনিটে ডি মারিয়ার ক্রস থেকে বাঁপায়ের শট নেন লিওনেল মেসি। তবে মেসির শট সেভ করেন কলম্বিয়ার গোলরক্ষক কামিলো ভারগাস।

    ৩২ মিনিটে দারুণ একটি আক্রমণ করে কলম্বিয়া। আর্জেন্টিনার ডিফেন্ডাররা সেটি ব্লক করে দিলেও কর্নার পেয়ে যায় কলম্বিয়া। তবে কর্নার কিক থেকে বল তালুবন্দি করে নেন আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ।

    এর ৩ মিনিট পর ফের আক্রমণে আসে আর্জেন্টিনা। ডি-বক্সের ভেতরে কলম্বিয়ার ডিফেন্ডারদের ড্রিবলিং করে বল নিয়ে আগানোর চেষ্টা করছিলেন মেসি। শেষ পর্যন্ত আর লক্ষ্যে শট নিতে পারেননি। বল চলে যায় মাঠের বাইরে। চোটও পেতে হয় মেসিকে। তবে মাঠ ছেড়ে যাননি তিনি।

    ৪০ মিনিটে রড্রিগেজের ক্রস থেকে হেড নেন কলম্বিয়ার জন অ্যারিয়াস। তবে ডানপাশ দিয়ে বল চলে যায়। ৪২ মিনিটে ফ্রি-কিক পায় আর্জেন্টিনা। সেখান থেকে কিক নেন মেসি। ডি-বক্সের ভেতর আর্জেন্টিনার নিকোলাস ত্যাগলিয়াফিকোর হেড চলে যায় গোলবারের উপর দিয়ে। অবশেষে গোল না করেই বিরতিতে যেতে হয় দুই দলকে।

    দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে নেমেই আক্রমণ কলম্বিয়ার। ৪৭ মিনিটে সান্তিয়াগো অ্যারিয়াসের ডান পায়ের দ্রুতগতির শট গোলবারের ডানপাশ দিয়ে চলে যায়। এরপর কাউন্টার অ্যাটাকে যায় আর্জেন্টিনা। অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টারের অ্যাসিস্ট থেকে ডি মারিয়ার করা বাঁপায়ের শট সেভ দেন কলম্বিয়ার গোলরক্ষক।

    ৫৪ মিনিটে গোল করার আরেকটি সুযোগ তৈরি করে কলম্বিয়া। ডেভিনসন সানচেজের হেড চলে যায় গোলবারের উপর দিয়ে। কর্নার কিক থেকে হেড করে তাকে অ্যাসিস্ট করেছিলেন জন কর্ডোবা।

    ৬৪ মিনিটের ঘটনা হয়তো আর্জেন্টিনা ফুটবলের জন্য দুঃসহ স্মৃতি হয়ে থাকবে। আক্রমণভাগে যখন দলের বিশৃঙ্খল অবস্থা তখনই ইনজুরিতে পড়তে হয়েছে আর্জেন্টিনার প্রাণভোমরা লিওনেল মেসিকে। নিজেই দৌড়াতে গিয়ে ইনজুরি হয়েছেন। তারকা এই ফুটবলারের চোট এতটাই ভয়াবহ ছিল যে, তার চোখ দিয়ে অশ্রু প্রায় বেরিয়ে আসছিল।

    মেসিকে অবশ্য কেউ ফাউল করেনি। এরপর আর তাকে মাঠেই রাখতে পারেননি আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি। বদলি হিসেবে নিকোলাস গঞ্জালেজকে মাঠে নামান তিনি।

  • ২৮ বছরের খরা কাটিয়ে কোপা জিতল আর্জেন্টিনা

    ২৮ বছরের খরা কাটিয়ে কোপা জিতল আর্জেন্টিনা

    শেষ বাঁশি বাজতেই আর্জেন্টিনা ফেটে পড়ল উল্লাসে। আনহেল ডি মারিয়ার একমাত্র গোলে ব্রাজিলকে ১-০ গোলে হারানো হয়ে গেছে, কোপা আমেরিকা জেতা হয়ে গেছে যে।

    ২৮ বছর, সেই ২৮ বছর আগে সর্বশেষ শিরোপাটা উঠেছিল আর্জেন্টিনার ঘরে। এরপর থেকে বছর আসে বছর যায়, আর্জেন্টিনার ট্রফিকেস পড়ে থাকে শূন্য। সে শূন্যতা কাটানোর মাহেন্দ্রক্ষণ অবশেষে হাজির। চলতি শতাব্দিতে প্রথম শিরোপা, যেটা আলবিসেলেস্তেদের সোনালি প্রজন্ম করে দেখাতে পারেনি সেটাই করলো লিওনেল স্ক্যালোনির প্রায় আনকোরা দলটা। আর্জেন্টিনার তো আজ আনন্দে-উল্লাসে ফেটে পড়ারই কথা!

    সেই রিও ডি জেনিরো। আবার সেই মারাকানা। দুইদিন পরই আরও একটা জন্মদিন যে ‘প্রিয় অসুখের’ তার জন্মভূমি মারাকানাতেই খরাটা কাটাল আর্জেন্টিনা, তাও আবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলকে হারিয়ে। ঈশ্বর কি আর্জেন্টিনার, লিওনেল মেসির, কিংবা আজকের জয়ের নায়ক আনহেল ডি মারিয়ার চিত্রনাট্যটা এর চেয়ে ভালো কোনোভাবে লিখতে পারতেন? হয়তো, হয়তো না!

    অথচ ফাইনালে ব্রাজিল আর্জেন্টিনা মহারণের আগে কু গাইছিল সেই আসরের প্যারানয়া। ফাইনালের আগ পর্যন্ত সেবারের সঙ্গে এবারের মিলটা দেখুন। সেবার সেমিফাইনালে পেনাল্টি শুটআউটে নায়ক বনে গিয়েছিলেন সার্জিও রোমেরো, এবার বনলেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। সেবারের ফাইনাল মারাকানায়, এবারেরটাও। ২০১৪ বিশ্বকাপ ফাইনালের স্মৃতি এবার ফিরে আসে না কী করে?

    সেবারের সঙ্গে এবারের অমিলও আছে বৈকি। সেবার আর্জেন্টিনার আফসোস বাড়িয়ে ফাইনালে খেলতে পারেননি আনহেল ডি মারিয়া। এবারও শুরুর একাদশে থাকার কথা ছিল না, অন্তত টুর্নামেন্টজুড়ে দলের প্রথম একাদশ দেখলে, বিরতির পর মাঠে নেমেই তার প্রভাব দেখলে তেমনই মনে হওয়ার কথা। সেই ডি মারিয়াকেই কোচ লিওনেল স্ক্যালোনি নামিয়ে দিলেন শুরুর একাদশে।

    চমক ছিল তার অবস্থানেও। ভাবা হচ্ছিল, দলে জায়গা পেলেও হয়তো ফরোয়ার্ড লাইনে নিকো গঞ্জালেসের পরিবর্তে লেফট উইংয়ে হবে তার জায়গা, কিন্তু ম্যাচে দেখা যায় তিনি খেলছেন রাইট উইংয়ে। স্ক্যালোনির এই কৌশলের ফায়দাও পেয়েছে আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসির রাইট উইং থেকে ভেতরে চলে আসেন পিচের ভেতরের দিকে, সঙ্গে টেনে আনেন তাকে মার্ক করা ডিফেন্ডারকেও। ফলে ডি মারিয়া বেশ কবার ফাঁকায় বল পেয়েছেন, আক্রমণে ত্রাস ছড়িয়েছেন ব্রাজিল রক্ষণে।

    এ দশকেই আর্জেন্টিনা ফাইনাল খেলেছে আরও তিনটে। তার সব আসরেই আলবিসেলেস্তেদের এ যাত্রার প্রধান কুশীলব ছিলেন মেসি। কিন্তু ফাইনালের চাপ সামলাতে যেন আর একজনের সাহায্য চাই তার। আগের তিন ফাইনালে ছিলেন সাহায্য ছাড়া। ফল, অবধারিত হার।

    এবার পেলেন। আনহেল ডি মারিয়ার। তবে সাহায্য বলা চলে কিনা তা নিয়ে একটা আলোচনা হতেই পারে। একমাত্র গোলে যে নেই মেসির বিন্দুমাত্র অবদানও! ২১ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে রদ্রিগো দি পলের করা লম্বা বল ডান প্রান্তে থাকা রেনান লোডিকে বিট করে চলে যায় ডি মারিয়ার কাছে। এরপর সামনে থাকা গোলরক্ষক এডারসনকে দারুণ এক চিপে বোকা বানিয়ে গোলটি করেন মারিয়া। আর্জেন্টিনা পেয়ে যায় মহামূল্য, পরম আরাধ্য সে গোল। যার অপেক্ষায় দলটা থেকেছে প্রায় ১৬ বছর। ২০০৫ সালের কনফেডারেশন্স কাপের ফাইনালে গোলের পর থেকে যে আর গোলের দেখা পায়নি আকাশী সাদারা!

    সে খরা কাটল। কিন্তু শিরোপার? তা নিয়ে সংশয় ছিল। শুরু থেকেই তো। একের পর এক ব্রাজিলীয় আক্রমণ এসে আছড়ে পড়ছিল আর্জেন্টাইন রক্ষণে। গোলের আগ পর্যন্ত অন্তত। সফলতা অবশ্য পায়নি কিন্তু তখন সেসব আক্রমণ ভয় ধরিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল।

    ২১ মিনিটে ডি মারিয়ার সে গোল আর্জেন্টিনাকে ধাতস্থ করেছে ম্যাচে, দিয়েছে স্নায়ু ধরে রাখার সঞ্জীবনী সুধা। বেশ কিছু আক্রমণেও উঠেছে বিরতির আগে। তাতেও মেলেনি সফলতা। তবে ক্ষতিও হয়নি খুব একটা, ডি মারিয়ার গোলে পাওয়া লিডটা যে ছিল অক্ষত!

    পুরো টুর্নামেন্টে যেমন হয়েছে, এক গোলের লিডের পর রক্ষণাত্মক হয়ে পড়ার কৌশলে চলে গেছে আর্জেন্টিনা। মহারণের পরের অর্ধে তাই হয়েছে। ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো, নিকলাস অটামেন্ডিরা ব্যস্ত ছিলেন নেইমার, রিশার্লিসন, ফিরমিনোদের আক্রমণ সামলাতেই। একটা গোল তো হজম করেই ফেলেছিল। লাইন্সম্যানের বাঁশি বেজেছিল বলে বাঁচোয়া।

    কিন্তু এরপরও ব্রাজিলের আক্রমণ থামেনি, আর্জেন্টাইন দেয়াল অবশ্য সেসব সামলাচ্ছিল ভালোভাবেই। ৭৫ মিনিটে ম্যাচের সবচেয়ে বড় সুযোগটা পেয়েছিল ব্রাজিল। সেটা গোল হয়ে গেলে সমতাও চলে আসত ম্যাচে। কিন্তু রিশার্লিসনের সেই শট দারুণভাবে ঠেকিয়ে আর্জেন্টিনার জাল অক্ষত রাখেন সেমিফাইনালের নায়ক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ।

    প্রতি আক্রমণে আর্জেন্টিনাও কম ত্রাস ছড়াচ্ছিল না ব্রাজিল রক্ষণে। ৮৮ মিনিটে মেসির গোলটা হয়ে গেলে আরও মিনিট সাতেকের অপেক্ষাটাই থাকত না আর্জেন্টিনার। কিন্তু রদ্রিগো ডি পলের বাড়ানো বলটা আয়ত্বে নিয়েও গোল করতে পারেননি মেসি। এরপর কেটেছে একে একে আরও সাত মিনিট। আর্জেন্টিনা চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞায় সামলেছে সব আক্রমণ। এরপর বাজল শেষ বাঁশি, এল সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। অবিশ্বাস্য সে মুহূর্ত। যার অভাব আর্জেন্টিনাকে ২৮ আর মেসিকে পুরো ক্যারিয়ারজুড়েই উপহার দিয়েছে হতাশা, সে অভাব ঘুচল। আর্জেন্টিনা বনে গেল কোপা আমেরিকার চ্যাম্পিয়ন।

  • কোপা আমেরিকার ফাইনালে ব্রাজিল

    কোপা আমেরিকার ফাইনালে ব্রাজিল

    ফেভারিটের মতোই প্রথমার্ধে খেলল ব্রাজিল। আগের ম্যাচে জয়ের দুই কুশীলবই গড়ে দিলেন ব্রাজিলের ভাগ্য। কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে নেইমারের বাড়ানো বলে লুকাস পাকেতার লক্ষ্যভেদ। দ্বিতীয়ার্ধে কিছুক্ষণ ধুঁকল বটে, কিন্তু হজম করেনি কোনো গোল। তাতে পেরুকে ১-০ গোলে হারিয়েছে সেলেসাওরা। তাতে টানা দ্বিতীয়বারের মতো উঠে গেছে প্রতিযোগিতার ফাইনালেও।

    ম্যাচের প্রথম থেকেই পেরুর রক্ষণে কড়া নাড়ছিলেন নেইমার, এভারটনরা। ৭ মিনিটে সুযোগও পেয়েছিলেন। কিন্তু রিশার্লিসনের সে কাটব্যাক থেকে শটটা জোরাল ছিল না তেমন, সহজ সেভে পেরুকে বিপদমুক্ত করেন গোলরক্ষক গালেসে।

    ১৯ মিনিটে প্রথম বড় সুযোগটা পায় ব্রাজিল। সে যাত্রায় গোলরক্ষক গালেসের কল্যাণে গোল হজম করেনি পেরু। ক্যাসেমিরোর থ্রু বল থেকে লুকাস পাকেতা বাইলাইনের কাছে পেয়ে যান বল, তার কাটব্যাক থেকে নেইমারের জোরালো শট ঠেকিয়ে দেন গালেসে। রিশার্লিসনের ফিরতি চেষ্টাটাও এরপর শেষ হয়েছে গালেসের সেভ থেকেই।

    ২৫ মিনিটে অবশ্য ভজকট পাকিয়ে বসেন সেই গালেসেই। লং বলে ব্রাজিলের একটা আক্রমণ রুখতে গোলমুখ থেকে সরে অনেকটা বক্সের মুখেই চলে এসেছিলেন তিনি। সেখান থেকে এভারটন রিবেরিও ক্রস করেন মাঝে, তখনো গোলমুখে ফেরেননি পেরু গোলরক্ষক। তার অনুপস্থিতিতে ব্রাজিলের দুটো শট দারুণভাবেই রুখেছে পেরুভিয়ানরা, ফলে আরও একবার সেলেসাওদের ফিরতে হয় শূন্য হাতে।

    এর মিনিট পাঁচেক পর আবারও আক্রমণ নেইমারের। তবে তার শট রক্ষণভাগে দিক বদলে অনেকটাই দুর্বল হয়ে হাতে জমা পড়ে পেরু গোলরক্ষকের হাতে।

    তবে ম্যাচের অচলাবস্থা ভাঙে খেলার ৩৪ মিনিটে। নেইমার দারুণ এক আক্রমণের শেষ দিকে ঢুকে পড়েন পেরু রক্ষণে। ততক্ষণে চার পেরুভিয়ান ডিফেন্ডার ছেঁকে ধরেছেন তাকে, নেইমার বল হারাননি তাতে, দারুণ ক্লোজ কন্ট্রোলে বল দখলে রেখে শেষে বাড়ান সতীর্থ লুকাস পাকেতাকে। তার প্রথম ছোঁয়াতেই করা দারুণ শটে ব্রাজিল এগিয়ে যায় ১-০ গোলে। এই সবেধন নীলমণি গোলে এগিয়েই বিরতিতে গেছে কোচ তিতের শিষ্যরা।

    ম্যাচের চিত্র বদলে গেল বিরতির পর। প্রথমার্ধে বিবর্ণ পেরু আক্রমণভাগে রঙ ফিরল যেন দ্বিতীয়ার্ধে। চলতি আসরে যিনি পেরুর হয়ে গোল করেছেন সবচেয়ে বেশি সেই জিয়ানলুকা লাপাদুলাই যেন ছিলেন সবচেয়ে বেশি সপ্রতিভ। ৪৮ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে কাট ইন করে ঢুকলেন তিনি। করলেন জোরালো এক শট, এডারসনের দারুণ সেভ সে যাত্রায় ম্যাচে সমতা ফেরানো থেকে ঠেকায় পেরুকে।

    এর মিনিট দুয়েক পর লাপাদুলার ছেড়ে দেওয়া বল থেকে রাজিয়েল গার্সিয়ার শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। তবে ব্রাজিল রক্ষণে পেরুর ত্রাসটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল ততক্ষণে। ৬০ মিনিটে আবারও সেই রাজিয়েলের শট, এবার সেটা গেল লক্ষ্যেই, তবে গোলমুখে থাকা এডারসন রুটিন সেভ দিয়ে গোল হজম করা থেকে রক্ষা করেন ব্রাজিলকে।

    এরপর ঘাত প্রতিঘাতে ম্যাচ এগিয়েছে। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে দুই দলের রক্ষণই এরপর পোক্ত হয়েছে পাল্লা দিয়ে, তবে ক্ষুরধার আক্রমণেরও যেন অভাব ছিল বেশ। তাতে গোলের দেখা আর পায়নি কোনো দল। কোনো রকম অঘটন ছাড়াই ব্রাজিল নিশ্চিত করে ফাইনাল।

    দ্বিতীয়ার্ধের পারফর্ম্যান্স কোচ তিতেকে কিছুটা ভাবনায় রাখবে বটে। তবে একটা তথ্য তিতেকে তো বটেই, আশা দেখাতে পারে খেলোয়াড় থেকে শুরু করে সমর্থকদেরও। এর আগে ব্রাজিল আর পেরু দুইবার মুখোমুখি হয়েছিল সেমিফাইনালে। ১৯৭৫ এ জিতেছিল পেরু আর ১৯৯৭ এ শেষ হাসি ছিল ব্রাজিলের। সে দুই আসরের শিরোপাজয়ী দল ছিল ব্রাজিল-পেরু সেমিফাইনালে জেতা দলই। আগের দুইবার হয়েছিল, তবে কি এবারও?

  • শেষ আটের লড়াইয়ে ব্রাজিল-চিলির একাদশ

    শেষ আটের লড়াইয়ে ব্রাজিল-চিলির একাদশ

    গ্রুপপর্ব শেষে শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার-ফাইনাল পর্ব। যে লড়াইয়ে হারলেই বাদ। প্রতিটি দলই জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নামবে।

    এমন সমীকরণে শনিবার বাংলাদেশ সময় ভোর ছয়টায় চিলির মুখোমুখি শিরোপার অন্যতম দাবিদার ব্রাজিল।

    শেষ আটের লড়াইয়ে ফেবারিট ব্রাজিলই। শক্তিমত্তায় চিলির থেকে সব দিকেই এগিয়ে নেইমাররা।

    মুখোমুখি লড়াইয়ে এ পর্যন্ত ৭২ বার দেখা হয়েছে ব্রাজিল-চিলির। যেখানে ৫১ ম্যাচে জয় পেয়েছে ব্রাজিল আর চিলির জয় সেখানে মাত্র ৮টি। ১৩টি ম্যাচ অমীমাংসিত।

    আর কোপা আমেরিকার পরিসংখ্যানে ২১ বারের লড়াইয়ে ব্রাজিল জিতেছে ১৬ ম্যাচ। চিলি জিতেছে মাত্র ৩টিতে। ড্র হয়েছে বাকি দুটি।

    এমন হেড টু হেড পরিসংখ্যানে শেষ আটের লড়াইয়ে সবচাইতে শক্তিশালী প্রতিপক্ষের সামনে চিলি। তবে চিলিকে খাটো করে দেখতে রাজি নন কোচ তিতে।

    কোনো ঝুঁকি নিতে চান না তিনি। কারণ একটু ভুল হলেও ছিটকে পড়তে হবে টুর্নামেন্ট থেকে। পূর্ণশক্তি নিয়েই মাঠে নামবেন তিতে।

    এরইমধ্যে দুই দলের একাদশ কেমন হতে পারে তা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ হয়ে গেছে। গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে বিশ্রামে ছিলেন নেইমার। চিলির বিপক্ষে সব ক্লান্তি হটিয়ে মাঠে নামবেন তিনি। ইকুয়েডরের বিপক্ষে মাঝমাঠে খেলা ফাবিনহো ও ডগলাস লুইসের পরিবর্তে খেলতে পারেন ফ্রেড ও কাসেমিরো।

    আক্রমণে থাকবেন নেইমার, রিচারলিসন ও গ্যাব্রিয়েল জেসুস। গোলরক্ষক এলিসন বেকারের বিকল্প দেখছেন না তিতে।

    সম্ভাব্য একাদশ ব্রাজিল-

    এলিসন বেকার (গোলরক্ষক), ইডার মিলিটাও, মারকুইনহোস, অ্যালেক্স স্যান্ড্রো, লুকাস পাকুয়েটা, ক্যাসিমোরা, ফ্রেড, রিচারলিসন, দানিলো, গ্যাব্রিয়েল জেসুস, রবার্তো ফিরমিনো ও নেইমার।

    সম্ভাব্য একাদশ চিলি-

    ব্রাভো, মৌরিসিও ইসলা, গ্যারি মেডেল, গিলারমো মেরিপান, ইউজিনিও মেনা, ভিদাল, এরিক পালগার, সানচেজ, জিন মেনেসিস, ফিলিপ মোরা ও এডওয়ার্ড ভার্গাস।

  • পেরুর বিরুদ্ধে ব্রাজিল দলে হতে পারে একাধিক পরিবর্তন, জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী নেইমাররা

    পেরুর বিরুদ্ধে ব্রাজিল দলে হতে পারে একাধিক পরিবর্তন, জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী নেইমাররা

    কোপার শুরু থেকেই দুরন্ত ছন্দে রয়েছে ব্রাজিল। প্রথম ম্যাচেই ভেনেজুয়েলাকে ৩-০ গোলে হারিয়ে দুরন্ত শুরু করেছে ৫ বারের বিশ্বজয়ীরা। গোল পেয়েছিলেন মার্কুইনহোস, নেইমার, গ্যাব্রিয়েল বার্বোসারা। শুক্রবার ভোর রাতে গ্রুপ লিগের ম্যাচে পেরুর বিরুদ্ধে নামছে তিতের দল। দ্বিতীয় ম্যাচেও জয় পাওয়ার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী সেলেকাওরা। অপরদিকে ব্রাজিলের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে নিজেদের কোপা অভিযান শুরু করতে চলেছে পেরু। লড়াই দিতে প্রস্তুত গুস্তাভো আলফারোর দল।

    পেরুর বিরুদ্ধে ম্যাচে একাধিক পরিবর্তন করার ইঙ্গিত দিয়েছেন ব্রাজিল কোচ তিতে। আক্রণম থেকে রক্ষণ সব বিভাগেই রিজার্ভ বেঞ্চের প্লেয়ারদের দেখে নিতে পারেন তিতে। পেরুর বিরুদ্ধে নামার আগে অনুশীলনে এটাকিং লাইনের জন্য এভার্টন রিবেইরো, এভার্টন এবং গ্যাব্রিয়েল বারবোসাকে দেখে নিয়েছেন ব্রাজিল কোচ। ফির্মিনোকে দেখা যায়নি অনুশীলনে। ডিফেন্সে খেলানো হতে পারে থিয়াগো সিলভাকে। কাতার বিশ্বকাপের আগে পুরো দলকে দেখে নিতে চাইছে তিতে। তবে বেশি পরিবর্তন করলে হিতে বিপরীত না হয় সেই কথা বলেছেন ফুটবল বিশেষজ্ঞরা।

    অপরদিকে, নিজেদের শেষ ৫টি ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটিতে জয় পেয়েছে পেরু। ব্রাজিলের বিরুদ্ধেই বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচে ৪-২ গোলে হারতে হয়েছিল গুস্তাভো আলফারোর দলকে। তাই ব্রাজিলের বিরুদ্ধে এক পয়েন্ট পাওয়াই প্রধান লক্ষ্য হতে চলেছে পেরুর। তাই রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলে প্রতি আক্রমণে যাওয়ার রণনীতিই নিতে চলেছেন পেরু কোচ। ব্রাজিলের বিরুদ্ধে লাপাডুলা, কুয়েভা, পেনা ও কারিলোদের উপরই ভরসা রাখছেন আলফারো।

    ম্যাচ প্রেডিকশন-
    একদিকে দুরন্ত ছন্দে থাকা ব্রাজিল, অপরদিকে ছন্দহীন পেরু। ব্রাজিল দলে একাধিক পরিবর্তন করলেও, সেই দল শক্তির বিচারে পেরুরল থেকে অনেক বেশি এগিয়ে থাকবে। ফলে শুক্রবার ভোর রাতের ম্যাচে ব্রাজিলকেই একশো শতাংশ ফেভারিট তকমা দিচ্ছেন ফুটবল বিশেষজ্ঞরা।

    ২৪ ঘণ্টা/পায়েল

  • চিলির বিপক্ষে আর্জেন্টিনার ড্র

    চিলির বিপক্ষে আর্জেন্টিনার ড্র

    লাতিন অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে টানা দুই ম্যাচে শুরুতে এগিয়ে থেকেও শেষে খেই হারিয়ে পয়েন্ট খুইয়েছে আর্জেন্টিনা। কোপা আমেরিকার মিশনে নেমেও একই চক্রে আটকে থাকল লিওনেল মেসিরা। চিলির বিপক্ষে ড্র করে মাঠ ছেড়েছে স্কালোনির শিষ্যরা।

    বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার ভোররাতে রিও ডি জেনিরোতে কোপার গ্রুপ ‘বি’র ম্যাচে চিলির বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করেছে আর্জেন্টিনা। দারুণ এক ফ্রি কিকে গোল করেছেন মেসি।

    মাঠের খেলায় দাপট ছিল আর্জেন্টিনারই। আক্রমণের পর আক্রমণ শানিয়েছে তারা। মেসির বানিয়ে দেয়া বলে মার্টিনেজ, গঞ্জালেসরা একাধিক সুযোগ হাতছাড়া করেছেন। চিলি পোস্টে প্রাচীর হয়েছেন অভিজ্ঞ গোলরক্ষক ক্লদিও ব্রাভো।

    কিন্তু ম্যাচের ৩৩ মিনিটে আর মেসিকে আটকাতে পারেননি ব্রাভো। বক্সের সামান্য বাইরে থেকে বাঁকানো দর্শণীয় ফ্রি কিকে লিড আনেন আর্জেন্টিনা আধিনায়ক। জাতীয় দল জার্সিতে তার ৭৩তম গোল।

    প্রথমার্ধে আরও দুটি সুযোগ হাতছাড়া করে বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা। মার্টিনেজের পর গঞ্জালেস একাধিক সহজ সুযোগ নষ্ট করেছেন।

    মধ্যবিরতির পর ফিরে সমতা টানে চিলি। ম্যাচের ৫৭ মিনিটে পেনাল্টিতে গোল আনে তারা। ভিদালকে বক্সে ফাউল করেছিলেন তাগলিয়াফিকো, ভিএআরের স্পট কিকের বাঁশি বাজান রেফারি।

    পেনাল্টির সময় একদফা নাটক হয়। আর্তুরো ভিদাল নিয়েছিলেন শট, সেটি ঠেকিয়ে দেন আর্জেন্টিনা গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। কিন্তু বলের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেননি। ফিরতি শটে জাল খুঁজে নেন ওঁত পেতে থাকা এডুয়ার্দো ভার্গাস।

    ম্যাচের ৭১ মিনিটে মেসির শটে ফের দেয়াল হন ব্রাভো। ৮০ মিনিটে মেসির বানিয়ে দেয়া বলে সুযোগ নষ্ট করেন গঞ্জালেস। যোগ করা সময়েও মেসিকে একটুর জন্য হতাশ করে চিলি, তার হেড গোলের খুব কাছে থেকে ফেরান ডিফেন্ডার রোকো।

    তাতে এক সপ্তাহ আগে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে চিলির বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করা ফলেই ফের আটকে যেতে হয় আর্জেন্টিনাকে। হারাতে হয় পয়েন্ট।

  • নেইমারের নৈপুণ্যে জয় পেল ব্রাজিল

    নেইমারের নৈপুণ্যে জয় পেল ব্রাজিল

    ক্রীড়া ডেস্ক : নেইমার নৈপুণ্যে দাপুটে জয় দিয়ে আসর শুরু করেছে ব্রাজিল। বি গ্রুপের প্রতিপক্ষ ভেনেজুয়েলাকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে সেলেসাওরা। পেনাল্টি থেকে গোল আদায়ের পাশাপাশি একটি অ্যাসিস্ট করেছেন নেইমার। একটি করে গোল করেছেন মারকুইনহোস আর বারবোসা।

    করোনায় প্রায় ভেস্তে যাওয়া আসরটা অবশেষে আলোর মুখ দেখল। মাঠে গড়াল কোপা আমেরিকা। আসর নিয়ে আশঙ্কা থাকলেও শেষ মুহূর্তে আয়োজক হয়ে যাওয়া ব্রাজিলের জয়টা ছিল প্রত্যাশিত।

    ব্রাসিলিয়ার মানে গারিঞ্জায় ভেনেজুয়েলাকে নিয়ে ছেলে খেলা করতে না পারলেও আধিপত্য ঠিকই বিস্তার করেছে সেলেসাওরা। নেইমারের নৈপুণ্যে ব্রাজিল ৩-০ গোলে হারিয়েছে ভেনেজুয়েলাকে। তিন গোলের একটি নেইমার করেছেন। অন্য দুটির পেছনে অবদান এই পিএসজি তারকার।

    বি গ্রুপের প্রথম ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল ৪-৩-৩ ছকে মাঠে নেমেছিল। বিপরীতে ভেনেজুয়েলা ৫-৪-১ ছকে নিজেদের রক্ষণ সামলাতে ব্যস্ত থেকেছে। যদিও গোল হজম থেকে নিজেদের দূরে রাখতে পারেনি।

    ম্যাচের শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ব্রাজিল। একের পর এক আক্রমণ করে তটস্থ রেখেছে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের। কিন্তু প্রথমার্ধে তাদের এক গোল নিয়ে থাকতে হয়েছে। তবে প্রথমার্ধে যেভাবে আক্রমণ হয়েছে, তাতে করে গোল সংখ্যা আরও বাড়লে অবাক হওয়ার কিছু ছিল না।

    ম্যাচের ৯ মিনিটে গোলকিপারকে একা পেয়ে নেইমার লক্ষ্যে শট নিতে পারেনি। একটু পর মিলিতাওর হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। যদিও সেলেসাওদের প্রথম গোল পেতে বেশি সময় অপেক্ষায় থাকতে হয়নি।

    ২৩ মিনিটে প্রথম গোল হয়। নেইমারের বা প্রান্তের কর্নার থেকে মারকুইনহোস ৬ গজের মধ্যে থেকে লক্ষ্যভেদ করে দলকে এগিয়ে নেন। ২৫ মিনিটে বল জালে জড়ালেও অফসাইডের কারণে ব্রাজিল গোল পায়নি। ৩০ মিনিটে নেইমারের আরও একটি প্রচেষ্টা পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়।

    বিরতির পর ব্রাজিল আরও দুর্বার। ৫৩ মিনিটে গ্যাব্রিয়েল জেসাসের ক্রসে নেইমার পোস্টের সামনে ফাঁকায় পা ছোঁয়াতে পারেননি। ৬২ মিনিটে দানিলোকে ফেলে দেয় ভেনেজুয়েলার এক ডিফেন্ডার। পেনাল্টি থেকে দেখে শুনে নেইমার গোলকিপারের বিপরীত দিক দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন।

    নেইমারের ঝলক তখনও শেষ হয়নি। ৮৯ মিনিটে ব্রাজিল তৃতীয় ও শেষ গোল পায়। সেখানেও অবদান নেইমারের। বা প্রান্ত থেকে গোলকিপারকে কাটিয়ে নেইমারের নেওয়া ক্রসে গাব্রিয়েল বারবোসা ৩-০ করেন।

    কোচ তিতের মুখে তখন চওড়া হাসি। দল যে হেসে-খেলে কোপা আমেরিকা অভিযান শুরু করেছে।

    ২৪ ঘণ্টা/পায়েল