Tag: কোভিড-১৯

  • এক দিনে দেশে রেকর্ড করোনা শনাক্ত ৩১৯০, মৃত্যু ৩৭

    এক দিনে দেশে রেকর্ড করোনা শনাক্ত ৩১৯০, মৃত্যু ৩৭

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ: বৈশ্বিক মহামারী প্রাণঘাতী নভেল করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) দেশে এক দিনে নতুন করে ৩১৯০ জনের শরীরে করোনার জীবাণু শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট ৭৪৮৬৫ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হলো বাংলাদেশে।

    এছাড়া এক দিনে দেশে করোনায় আক্রান্ত ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাংলাদেশে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ১০১২ জন।

    বুধবার (১০ জুন) দুপুরে করোনা ভাইরাস নিয়ে নিয়মিত অনলাইন সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা: নাসিমা সুলতানা।

    তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৫৯৬৫ টি এবং নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৬৯৯৪ টি। এছাড়া নতুন করে ৫৬৩ জনসহ মোট ১৫৩৩৬ জন সুস্থ হয়েছেন। মৃত্যুবরণ করা ৩৭ জনের মধ্যে ৩৩ জন পুরুষ ও ৪ জন মহিলা।

    দেশে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত (কোভিড-১৯) প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। তার ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • এক দিনে দেশে করোনায় রেকর্ড মৃত্যু ৪২, শনাক্ত ২৭৩৫, সুস্থ ৬৫৭

    এক দিনে দেশে করোনায় রেকর্ড মৃত্যু ৪২, শনাক্ত ২৭৩৫, সুস্থ ৬৫৭

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ: বৈশ্বিক মহামারী প্রাণঘাতী নভেল করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) দেশে এক দিনে নতুন করে ২৭৩৫ জনের শরীরে করোনার জীবাণু শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট ৬৮৫০৪ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হলো বাংলাদেশে।

    এছাড়া এক দিনে দেশে করোনায় আক্রান্ত ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাংলাদেশে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৯৩০ জন।

    সোমবার (৮ জুন) দুপুরে করোনা ভাইরাস নিয়ে নিয়মিত অনলাইন সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা: নাসিমা সুলতানা।

    তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১২৯৪৪ টি এবং নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৩৯৬১ টি। এছাড়া নতুন করে ৬৫৭ জনসহ মোট ১৪৫৬০ জন সুস্থ হয়েছেন। মৃত্যুবরণ করা ৪২ জনের মধ্যে ৩৩ জন পুরুষ ও ৯ জন মহিলা।

    দেশে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত (কোভিড-১৯) প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। তার ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় রেকর্ড মৃত্যু ৪২, শনাক্ত ২৭৪৩, সুস্থ ৫৭৮

    ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় রেকর্ড মৃত্যু ৪২, শনাক্ত ২৭৪৩, সুস্থ ৫৭৮

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ: বৈশ্বিক মহামারী প্রাণঘাতী নভেল করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) দেশে ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২৭৪৩ জনের শরীরে করোনার জীবাণু শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট ৬৫৭৬৯ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হলো বাংলাদেশে।

    এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাংলাদেশে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৮৮৮ জন।

    রবিবার (৭ জুন) দুপুরে করোনা ভাইরাস নিয়ে নিয়মিত অনলাইন সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা: নাসিমা সুলতানা।

    তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৩১৩৬ টি এবং নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১২৮৪২ টি। এছাড়া নতুন করে ৫৭৮ জনসহ মোট ১৩৯০৩ জন সুস্থ হয়েছেন। মৃত্যুবরণ করা ৪২ জনের মধ্যে ৩৫ জন পুরুষ ও ৭ জন মহিলা।

    দেশে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত (কোভিড-১৯) প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। তার ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • বিশ্বব্যাপী করোনায় মৃত ৪ লাখ ছাড়াল

    বিশ্বব্যাপী করোনায় মৃত ৪ লাখ ছাড়াল

    চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া প্রাণসংহারি ভাইরাস করোনায় মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে। আজ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা চার লাখ ছাড়িয়েছে।

    রবিবার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী এই ভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে চার লাখ দুই হাজার ৯৪ জন।

    করোনা নিয়ে লাইভ আপডেট দেয়া ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটার থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

    সংস্থাটির ওয়েবসাইটে দেখা যায়, করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৯ লাখ ৭৪ হাজার ৭২১ জন। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়েছেন ৩৪ লাখ ১১ হাজার ২২১ জন।

    সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যার দিক থেকে এখনও শীর্ষ আছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৯ লাখ ৮৮ হাজার ৫৪৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে এক লাখ ১২ হাজার ৯৬ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৫১ হাজার ৮৯৪ জন।

    আক্রান্তের দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে চলে এসেছে ব্রাজিল। সেখানে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৬ লাখ ৭৫ হাজার ৮৩০ জন, মৃত্যু হয়েছে ৩৬ হাজার ২৬ জনের। রাশিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৫৮ হাজার ৬৮৯ জন, মৃত্যু হয়েছে ৫৭২৫ জনের। স্পেনে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৮৮ হাজার ৩৯০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২৭ হাজার ১৩৫ জনের।

    মৃত্যুর দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রিটেন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৪০ হাজার ৬৫ জনের, আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৮৪ হাজার ৮৬৮ জন। এছাড়া ইতালিতে নিহত হয়েছেন ৩৩ হাজার ৮৪৬ জন।

    গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে তিনজনের শরীরে করোনা শনান্ত হলেও এখন এই সংখ্যাটা ৬৩ হাজার ২৬ জন। আর মারা গেছেন ৮৪৬ জন।

    গত বছরের ডিসেম্বর মাসে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম এ ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা যায়। এরপর ধীরে ধীরে ভাইরাসটি বৈশ্বক মহামারি আকারে বিশ্বের ২০৫টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। করোনার কারণে গোটা বিশ্বে একটা স্থবিরতা বিরাজ করছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • দেশে ৯৭১ চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত, ১৪ জনের মৃত্যু

    দেশে ৯৭১ চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত, ১৪ জনের মৃত্যু

    বৈশ্বিক মহামারী প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) মোকাবেলায় অগ্রণী ভূমিকা রাখা চিকিৎসক-নার্সরাও এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। দেশে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ৯৭১ জন ডাক্তার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।আর মারা গেছেন ১৪ জন।

    এই তথ্য জানিয়েছে চিকিৎসকদের সংগঠন ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি, রাইটস অ্যান্ড রেস্পন্সিবিলিটিস (এফডিএসআর)।

    এফডিএসআর সূত্র জানায়, ঢাকা বিভাগের ডাক্তার-নার্সরা বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। এর পরপরই রয়েছে সিলেট ও চট্টগ্রাম।

    সংগঠনটির মহাসচিব ডা. শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমাদের তথ্য মোতাবেক সারা বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত চিকিৎসকের সংখ্যা ৯৭১ জন। এছাড়া বুধবার পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন ১৪ জন চিকিৎসক।

    এফডিএসআরের অভিযোগ, নিম্নমানের মাস্ক, ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম বা পিপিই এবং যথাযথ প্রশিক্ষণের অভাবেই স্বাস্থ্যকর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন।

    সংগঠনটির নেতাদের আশঙ্কা, এমতাবস্থায় বৈশ্বিক এ মহামারির সম্মুখ যোদ্ধা চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা সহ যাবতীয় বিষয় গুরুত্বের সঙ্গে নিশ্চিত করা না হলে, সারাদেশের স্বাস্থ্য খাতে চরম বিপর্যয় সৃষ্টি হতে পারে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • জীবন ও জীবিকার মধ্যস্থতাকারী সঠিক রাজনীতি দেখতে চাই

    জীবন ও জীবিকার মধ্যস্থতাকারী সঠিক রাজনীতি দেখতে চাই

    এসএম নুরে এরশাদ সিদ্দিকী:জীবন আছে বলেই জীবিকা নিয়ে এতো টানাটানি। এতো সব প্রশ্ন। মধ্য এশিয়া থেকে একদল লোক উপমহাদেশে এসেই বর্ণবৈষম্যের রাজনীতি শুরু করে দিলো।

    সিন্ধু অঞ্চলে পূর্ব হতে বসবাসকারী হিন্দুস্তানীদেরকে ওরা বললো, তোরা আজ থেকে অনার্য আর আমরা আর্য। শুধু আর্যই না। আমরা কেউ ব্রাহ্মণ—অর্থাৎ নেতা গোছের, কেবল ঘরে বসে গিলবো আর ঈশ্বর আরাধনা ও দেশ পরিচালনা করবো; কেউবা ক্ষত্রিয়—কেবল ব্যারাকে থাকবো; আর কেউবা বৈশ্য— কেবল ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত থাকবো!

    তখন অবশ্য মাস্ক, পিপিই, হ্যান্ড গ্লোভস্, স্যানিটাইজার ইত্যাদির ব্যবসা এতো জমজমাট ছিলো না।

    কিন্তু জগৎশেঠ ও আজকের দরবেশের মতো সরকারি-দরকারী- তরকারী ব্যবসায়ী তখনও ছিলো।

    এদিকে জীবিকার প্রশ্নে মাঠে-ঘাটে কাজ করতো শূদ্র বর্ণের লোক। এক কথায় কাজের লোক! ক্রীতদাস, কৃষক, দিনমজুর, শ্রমিক–চতুর্থ শ্রেণির মনুষ্য প্রাণী।

    তৎকালীন বর্ণ বৈষম্যের ধর্মীয় রাজনীতির নেতা হিসেবে ঠ্যাংগের উপর ঠ্যাং দিয়ে ব্রাহ্মণ গোছের নেতারা অভূক্ত ব্যক্তিগুলোকে কৌশলে জীবিকার দিকে লেলিয়ে দিতো—-বাঘ, সাপের ডর কে জয় করে, যুদ্ধ করে অবচেতন মনে শূদ্ররা বাঁচার লড়াই চালিয়ে যেতে থাকে কালের পর কাল!

    মহাকাল পেরিয়ে, সেই মধ্য এশিয়ার নিকট স্থান চীন থেকে করোনা নামক এক ভাইরাস এলো। কলিকাল পেরিয়ে করোনাকালে পা দিলাম আমরা। ফলে দ্রুত কোভিড-ননকোভিড বিভাজনের শিকার হই।

    কোভিডের ঠেলায় ঠাওর করতে পারছি না আমরা কোন জাতের ননকোভিড—-আক্রান্ত, শনাক্ত, উপসর্গ বহনকারী নাকি টেস্টের রেজাল্ট ঝুলে থাকা নিঃসঙ্গ প্রাণী?

    এমতাবস্থায়, জীবিকার প্রশ্নে যখন অপরিকল্পিতভাবে কেবল প্রজ্ঞাপন দিয়ে জীবন যুদ্ধে আমাদেরকে লেলিয়ে দেয়া হয় তখন বুঝার বাকী রইলো না—আমরা ননকোভিড শূদ্র শ্রেণির কাজের লোক!

    আমরা কেবল ঘামঝরা পরিশ্রম করে নিজে নিজের পেট পুরবো আর রাষ্ট্রীয় কোষাগারে উচ্চবর্গীয় রাজকর্মচারীর বেতন-ভাতার জন্য বহুরূপী ট্যাক্স দিবো! অর্থনীতির চাকা তখন ঘুরতেই থাকিবে। আহা!

    রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত হতে হবে গণজনের কল্যাণে। স্থিতিশীল, দূরদর্শী, পরিকল্পনামাফিক! এমনিতেই পকেটে টাকা নেই। অথচ ভাড়া বাড়ালেন দ্বিগুণ। রাঙা ভাবী সিনেমা দেখেছি।

    এবার দেখছি পরিবহন মালিক রাঙা ভাইয়ের খেলা। সব জেলার সবকিছু একবারে না খুলে ধীরে ধীরে খোলা যেত! চিড়িয়াখানার সব গেইট খুলে দিয়ে ১৫ জুন পর্যন্ত দেখবেন কোন দর্শক পশুর আক্রমণের শিকার হয় কিনা?

    অথচ আড়াই মাস ছিলো। আমরা পরিকল্পনা করতে পারতাম। দেশকে কোভিড-নন কোভিড মানচিত্রে বিভাগ করে লাল, কমলা, নীল ও সবুজ অঞ্চলে ভাগ করে জীবিকার প্রশ্নে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে সবুজ সংকেত দিতে পারতাম! অথচ আমরা কী করলাম?

    জীবন বাঁচাতে জীবিকা লাগবেই! এর সমন্বয়ের জন্যই তো গণজন রাজনৈতিক সরকারকে দায়িত্ব দেয়! ওরা চায় সমন্বয়, পরিকল্পনা ও সঠিক সিদ্ধান্ত!

    গণজন অবুঝ অসচেতন বলেই জীবন ও জীবিকার মধ্যস্থতাকারী রাজনীতিকদের কাছ থেকে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত প্রত্যাশা করে। তাই জনগণের এই চাওয়াটাকে গুরুচন্ডালী দোষ বলে চালিয়ে দেয়া যায় না।

    বরং রাষ্ট্রের জরুরি বিভাগে নিয়োজিত রাজনৈতিক কর্মীদেরকে কোন প্রটোকল ছাড়াই শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জনকাতারে দাড়ানোর বিনীত অনুরোধ করছি। তখন হয়তো এই কাজের লোকগুলো ভরসা পাবে!

    পরিশেষে বলি, আমরা যা আশঙ্কা করছি তা যেনো ভুল প্রমাণিত হয়! (ঠিলো)

    লেখক: আইনজীবী ও বিশ্লেষক

  • ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা শনাক্ত ২৩৮১, মৃত্যু ২২, সুস্থ ৮১৬

    ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা শনাক্ত ২৩৮১, মৃত্যু ২২, সুস্থ ৮১৬

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ।জাতীয় ডেস্ক :প্রাণঘাতী নভেল করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ২৩৮১ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট ৪৯৫৩৪ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হলো বাংলাদেশে।

    এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাংলাদেশে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৬৭২ জন।

    সোমবার (১ জুন) দুপুরে করোনা ভাইরাস নিয়ে নিয়মিত অনলাইন সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা: নাসিমা সুলতানা।

    তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১১৪৩৯ টি এবং নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৩২২৯ টি। এছাড়া নতুন করে ৮১৬ জনসহ মোট ১০৫৯৭ জন সুস্থ হয়েছেন। মৃত্যুবরণ করা ২২ জনের মধ্যে ১৯ জন পুরুষ ও ৩ জন মহিলা।

    দেশে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত (কোভিড-১৯) প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। তার ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় রেকর্ড মৃত্যু ২৮, শনাক্ত ১৭৬৪, সুস্থ ৩৬০

    ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় রেকর্ড মৃত্যু ২৮, শনাক্ত ১৭৬৪, সুস্থ ৩৬০

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ।জাতীয় ডেস্ক :প্রাণঘাতী নভেল করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ১৭৬৪ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট ৪৪৬০৮ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হলো বাংলাদেশে।

    এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাংলাদেশে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৬১০ জন।

    শনিবার (৩০ মে) দুপুরে করোনা ভাইরাস নিয়ে নিয়মিত অনলাইন সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা: নাসিমা সুলতানা।

    তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৯৯৮৭ টি এবং নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৪৪৩ টি। এছাড়া নতুন করে ৩৬০ জনসহ মোট ৯৩৭৫ জন সুস্থ হয়েছেন। মৃত্যুবরণ করা ২৮ জনের মধ্যে ২৫ জন পুরুষ ও ৩ জন মহিলা।

    দেশে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত (কোভিড-১৯) প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। তার ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • বাংলাদেশ কি মৃত্যুপুরীর দিকে অগ্রসর হচ্ছে?

    বাংলাদেশ কি মৃত্যুপুরীর দিকে অগ্রসর হচ্ছে?

    অ আ আবীর আকাশ:খুব দ্রুতই বুঝি বাংলাদেশ মৃত্যুপুরীতে রূপান্তরিত হতে যাচ্ছে? মানুষের হেয়ালিপনায় মহামারী ভাইরাস ঝড়ের বেগে ছুটছে। করোনা জাল বিস্তার লাভ করছে দেশের আনাচে-কানাচে, পল্লী-গ্রাম-গঞ্জের পরতে পরতে,চর- চরাঞ্চল, নদীতে বসবাস করা বেদে সব শ্রেণী-পেশার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। কোন শ্রেণি-পেশার মানুষ বাদ যাচ্ছে না এই ছোঁয়াচে বালাই থেকে। চরম দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে যে ঈদ-উল ফিতরের দিনেই খবর এসেছে একদিনে বহু মানুষের প্রাণহানি হয়েছে এই ঘাতক ভাইরাসের সংক্রমিত হয়ে। মহান আল্লাহর রহমত ছাড়া আর কোন উপায় নেই। করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়েছে মর্মে প্রতিদিনই খবরে আসতে থাকে। এদেশ ওদেশ করে প্রকৃতপক্ষে এখনো চূড়ান্ত প্রতিষেধক কোন দেশেই আবিষ্কৃত হয়নি। তবে আভাস যে হারে আসছে তাতে করে খুব শিগগিরই আশা করা যাচ্ছে যে এ প্রাণঘাতী ভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কৃত হবেই ইনশাল্লাহ।

    অতীতে এরকম বহু প্রাণঘাতী ভাইরাস ছিল, তার সবগুলো ভাইরাস এখন মূল্যহীন হয়ে পড়েছে প্রতিষেধক আবিষ্কারের মাধ্যমে। আল্লাহর রহমতে বিশ্বের সব নামিদামি গবেষণাগারেই রাতদিন করে এই করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কারের নিরন্তর প্রয়াস চলছে।

    সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী প্রশাসনিক নির্দেশনা মেনে চলার মন ও মানসিকতা আমাদের হারিয়ে গেছে। তবে কেন তা বোঝা যায় না। তাহলে কি আমরা চোখের সামনে চরম অবহেলায় আত্মীয়-স্বজনদের মৃত্যু ও মৃত্যু পরবর্তী চরম অবহেলা দেখতে যাচ্ছি? পরম আপন জনের মৃত্যুতে শোক সন্তপ্ত প্রকাশ না করে আতঙ্কের মাধ্যমে দিনযাপন করতে যাচ্ছি? আমাদের মন-মানসিকতা ভালোবাসা স্নেহ মায়া-মমতাকে বিসর্জন দিয়ে দিনকে দিন পাথরে পরিণত হতে যাচ্ছি? তবে কি হবে আমাদের! কি হবে পরিবার-পরিজনের? কি হবে সমাজ ব্যবস্থার? কি হবে রাষ্ট্রব্যবস্থার? এর থেকে উত্তরণের পথ কী আমাদের জানা আছে?

    একদিকে যেমন জনগণ নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করে না, কোন বাধা, নিষেধ মানতে চায় না অপরদিকে সরকার ব্যবস্থায় যেসব নির্দেশনা দেয়া হয় তা জনগণের মাঝে তেমন একটা প্রয়োগ হতে দেখা যায় না। যেমন লকডাউন দিনে কোনরকম থাকলেও রাতে তেমনটা মানা হয়না। হোম কোয়ারেন্টিন মানা হয়না। ঘরে থাকে না, জনগণ দলাদলি-জমায়েত, দোকানপাট, প্রকাশ্যে চলাফেরা, কোনটাই ঠেকানো সম্ভব হচ্ছেনা। আইন-কানুন যেমন মানা হচ্ছে না তেমনি চলাফেরা স্ববিরোধী হওয়াতে নিজের বিপদ, পরিবার-পরিজনের বিপদ, পরম আপনজনের বিপদ হাতে ধরে নিজেরাই আনছে ডেকে। এতে করে অল্প সময়ের মধ্যেই বাংলাদেশে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হবে! স্বাধীনতার সময়ে পশ্চিমাদের হামলায় এদেশে মানুষের মৃত্যু হয়েছিল নির্বিচারে পাখির মতো, লাশের পর লাশ পড়েছিল, কবরস্থ করার কেউ ছিলনা। শেয়াল কুকুরের আহারে পরিণত হয়েছিল মানুষ! আমরা কি সেরকম পরিস্থিতির দিকে অগ্রসর হচ্ছি?

    শপিং মল মার্কেট দোকানপাট খোলার বিষয়ে সরকারি নির্দেশনা শিথিল করার সিদ্ধান্ত খুবই বিপদজনক হয়েছে। যে বা গোষ্ঠীর সুবিধার্থে এমন সিদ্ধান্ত শিথিল করা হয়েছে তা মোটেও সঠিক হয়নি। গার্মেন্টস মালিক সমিতির চাপে হোক বা শিল্পপতিদের চাপেই হোক এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করা সরকারের ঠিক হয়নি। ২৪ ঘন্টায় যেখানে পুরো দেশে প্রায় শ’খানেক করোনা শনাক্ত হতো সেখানে গার্মেন্টস শপিংমল মার্কেট খোলার সাথে সাথেই দুই হাজার ছাড়িয়ে যায় করোনা শনাক্ত রোগী।এ বড় খারাপ খবর নিঃসন্দেহে।

    পুঁজিবাদ সুদি ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের আরো মোটা লাভের জন্য লকডাউন শিথিল করে আপামর জনসাধারণকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে বৈকি। এর প্রতিবাদ করার ক্ষমতা কারোর নেই এই দুঃসময়ে। তবে কেউ কেউ হয়তো বিষয়টি টের পেয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বোধহয়।

    ঈদের ছুটি ঘোষণা করে সরকারি সিদ্ধান্ত এসেছে গণপরিবহন বন্ধ তবে ব্যক্তিগত পরিবহনে মানুষ বাড়ি যেতে পারবে। এ সিদ্ধান্ত একদিকে যেমন হাস্যরসের সৃষ্টি করেছে এইজন্য, যে মন্ত্রী বলেন -‘ নিজস্ব পরিবহনে বাড়ি যাওয়া যাবে তবে গণপরিবহন বন্ধ থাকবে।’ অপরদিকে পুলিশের আইজি বেনজীর আহমেদ বলেছেন -‘ কেউ যেন ঈদের ছুটিতে বাড়ি না যায়। যে যেখানে আছে সেখানেই থাকবে।’ তবে কার নির্দেশনা মানবে জনগণ?

    অপরদিকে বড় দুঃখ জাগিয়েছে মানুষের হৃদয়ে। অর্থাৎ শ্রমজীবী অসহায় মানুষগুলো এসব সরকারি সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য। ধনীরা নিজস্ব গাড়ী হাঁকিয়ে অসহায় মানুষের চোখে মুখে ধুলো উড়িয়ে গ্রামে যাবে শরীর জুড়াতে, ছেলেমেয়ে মা-বাবা ভাই-বোন আত্মীয়-স্বজনের কাছে যেতে না পেরে শ্রমজীবী অসহায় মানুষেরা হাঁসফাঁস করবে, নিজেকে ধিক্কার দেবে ‘কেন তারা গরীব হয়ে জন্মেছে’? এই কি তবে দেশ? এই কি তবে রাষ্ট্রব্যবস্থা? যাদের নিজস্ব গাড়ি আছে তারাই বাড়ী যাবে যাদের নেই তারা যেতে পারবেনা গ্রামে। প্রশ্ন করতে ইচ্ছে হয় সরকারের ভেতরে এমন সিদ্ধান্ত কে দিয়েছেন ও কেমন করে এমন সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন তিনি? সাধারণ মানুষের কথা একটুও ভাবেননি। তিনি কি বাংলাদেশে কতজন মানুষের গাড়ি আছে তার হিসাব রাখেন?

    এই বিষয়ে একটা গল্পের কথা মনে পড়ে। এক রাজ্যের রাজা ও মন্ত্রীর কথার সাথে মিলে যায় এমন সিদ্ধান্তগুলো। রাজা তার মন্ত্রীকে জিজ্ঞেস করেছিলেন -‘মন্ত্রী আপনি তো রাজ্যের সকল কিছুর হিসেব রেখেছেন ঠিকঠাক? মন্ত্রী মাথা নাড়িয়ে জবাব দিলেন -‘জি হুজুর’। রাজা প্রশ্ন করলেন তাহলে বলুনতো -এ রাজ্যে কতগুলো পাখি আছে? মন্ত্রী খানিকটা থ বনে গেলেন। চতুর মন্ত্রী পরক্ষণেই সরব হয়ে বলে উঠলেন -‘সে হিসেবেও আমি দেখেছি হুজুর,আপনার রাজ্যে বেতাল্লিশ হাজার তেতাল্লিশ’শ চোতাল্লিশটি পাখি আছে। এর চেয়ে একটা কম হলে বুঝবেন অন্য এলাকায় বেড়াতে গিয়েছে আর একটা বেশি হলে বুঝবেন অন্য এলাকা থেকে এলাকায় বেড়াতে এসেছে।’

    এমন চতুর মন্ত্রী বাংলাদেশে অনেকেই রয়েছেন। মুক্তমত প্রকাশে সেসব মন্ত্রী সবসময় বাধা হয়ে দাঁড়ান। তারা আইনজারি করেন একের পর এক। গলা টিপে ধরেন মুক্তমনাদের, যেন দ্বিতীয় কেউ আর সাহস না করে মত প্রকাশে।

    হোম কোয়ারেন্টিন ও লকডাউন শব্দ দুটো করোনাভাইরাস এর সাথে নতুন করে বাংলাদেশের মানুষ শুনতে শুরু করেছে। এর আগে বোধ হয় এত প্রচলিত ছিল না। আগে অনেক কলামে আমি এ শব্দদুটো নিয়ে বলেছি। বাঙালি শব্দ-দু’টো তেমন বোঝেনা। না বুঝলে দেশে করোনা ভাইরাস ছড়াবে দ্রুত গতিতে। সত্যিই, তাই হয়েছে। বাঙালিকে বোঝাতে হলে কারফিউ জারি করতে হবে। অনির্দিষ্টকালীন সময়ের জন্য যেমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে তেমনি করে গার্মেন্টস শপিং মল মার্কেট কল কারখানা সব ধরনের জমায়েত নিষিদ্ধ করে দেশে কি পুরো এক মাসের জন্য কারফিউ জারি করা যাবে না? যদি পুরো একমাস কারফিউ জারি করা যায় তাহলে শীঘ্রই করোনা শনাক্ত শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে। এক মাসের আহারের অভাবে কোন ব্যক্তি মারা যাবে না। কমবেশ সবার ঘরেই অন্তত এক মাসের খাদ্য মজুদ আছে। যদি নেহাত প্রয়োজন হয় প্রশাসনকে জানালে তা যদি ব্যবস্থা করা যায়, আমার বিশ্বাস বাংলাদেশ করোনা পূর্বের পরিবেশে ফিরে যেতে পারবে। মানুষ না খেয়ে থাকতে রাজি তবু পুঁজিবাদের লালসায় গার্মেন্টস কলকারখানা শপিং মল খুলে চরম অবহেলায় দুর্ভাগ্য নিয়ে মরতে চায় না।

    লেখক : কবি প্রাবন্ধিক, কলামিস্ট ও সাংবাদিক।
    সম্পাদক : আবীর আকাশ জার্নাল
    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • একদিনে আরও ২২ মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ১৫৪১

    একদিনে আরও ২২ মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ১৫৪১

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ।জাতীয় ডেস্ক :প্রাণঘাতী নভেল করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) এক দিনে দেশে নতুন করে ১৫৪১ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট ৩৮২৯২ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হলো বাংলাদেশে।

    এছাড়া এক দিনে দেশে করোনায় আক্রান্ত ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাংলাদেশে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৫৪৪ জন।

    বুধবার (২৭ মে) দুপুরে করোনা ভাইরাস নিয়ে নিয়মিত অনলাইন সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা: নাসিমা সুলতানা।

    তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৮০১৫ টি এবং নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৭৮৪৩ টি। এছাড়া নতুন করে ৩৪৬ জনসহ মোট ৭৯২৫ জন সুস্থ হয়েছেন। মৃত্যুবরণ করা ২২ জনের মধ্যে ১৬ জন পুরুষ ও ৬ জন মহিলা।

    দেশে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত (কোভিড-১৯) প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। তার ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • মনিরামপুর হাসপাতালের আয়া কোভিড-১৯ পজেটিভ

    মনিরামপুর হাসপাতালের আয়া কোভিড-১৯ পজেটিভ

    যশোর প্রতিনিধি : মণিরামপুর হাসপাতালে আরো ১ জন নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। তিনি হাসপাতালের আয়া (খণ্ডকালীন নিয়োগ)।

    শনিবার (২৩ মে) সকালে যশোর সিভিল সার্জন অফিস থেকে তার করোনা পজেটিভ রিপোর্টের তথ্য জানানো হয়েছে।

    মণিরামপুর হাসপাতালের ইউএইচও ডা. (শুভ্রারানী দেবনাথ) এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    ডা. শুভ্রা বলেছেন, শনিবার সকালে যশোর সিভিল সার্জন অফিস থেকে ওই আয়ার করোনা পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে। তিনি হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

    মণিরামপুর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. অনুপ বসু বলেছেন, আক্রান্ত আয়া অ্যাজমার রোগী। কাশি ছাড়া তার দেহে করোনার অন্য কোনো উপসর্গ নেই। গত ১৮ তারিখ তিনি অ্যাজমা সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। পরে তার নমুনা সংগ্রহ করে সিভিল সার্জন অফিসের মাধ্যমে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনোম সেন্টারে পাঠানো হয়।

    ডা. বসু বলেছেন, শনিবার পর্যন্ত মণিরামপুর হাসপাতাল থেকে ১০৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তার মধ্যে ৮ জনের করোনা পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে। আক্রান্তদের মধ্যে ৪ জন সুস্থ হয়ে পরিবারের কাছে ফিরেছে। বাকি ৪ জন হাসপাতালে এবং বাসায় আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/নিলয়

  • ৩ লাখ ছাড়িয়েছে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা

    ৩ লাখ ছাড়িয়েছে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ:বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারীতে মৃত্যু সংখ্যা ৩ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।

    বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৩ লাখ এক হাজার ৬১৬ জন মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।

    চীনের হুবেইপ্রদেশের উহান শহর থেকে বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত  ৪৪ লাখ ৯০ হাজার ৯৫৮ জন মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন।

    করোনায় মৃতের সংখ্যায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৮৫ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। এদিকে যুক্তরাজ্যে ৩৩ হাজারের বেশি মানুষ মৃত্যুবরণ করেছেন এ মহামারীতে। এছাড়া ইতালিতে ৩১ হাজারেরও বেশি মানুষ, ফ্রান্স ও স্পেনে ২৭ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনাভাইরাসের আক্রমণে মারা গিয়েছেন।

    বাংলাদেশে বৃহস্পতিবার (১৪ মে) পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে ১৮৮৬৩ জন মানুষ আক্রান্ত এবং ২৮৩ জন মানুষ মৃত্যুবরণ করেছেন।

    ২৪ ঘণ্টা/মোরশেদ রনী