Tag: কোভিড-১৯

  • আমি করোনা মুক্ত, ঘোষণা ইতালির তারকা ফুটবলার দিবালা’র

    আমি করোনা মুক্ত, ঘোষণা ইতালির তারকা ফুটবলার দিবালা’র

    ২৪ ঘণ্টা খেলাধুলা ডেস্ক : ইতালির তারকা ফুটবলার পাওলো দিবালা ইনস্টাগ্রামে একটি আনন্দদায়ক ছবি পোস্ট করে লেখেন, ‘আমার মুখটি সব কিছুই বলে দিচ্ছে, আমি শেষ পর্যন্ত প্রাণঘাতী কোভিড-১৯ থেকে মুক্ত হতে পেরেছি।

    তিনি আরও বলেন, কখনই ভাবেননি যে তিনি খেলাটি এতটা মিস করবেন এবং তাঁর বাড়ির সীমানার বাইরে প্রশিক্ষণের জন্য আগ্রহী, যা এখন তা করার সুযোগ পাবেন।

    বুধবার নিজেই এ কথা জানিয়েছেন জুভেন্তাস স্ট্রাইকার। ছয় সপ্তাহেরও বেশি অপেক্ষা করার পরে আর কোয়ারেন্টিনে থাকার প্রয়োজন নেই বলে জানা গেছে।

    এদিকে দিবালা যখন করোনা মুক্ত ঠিক তার আগে থেকেই অনুশীলন শুরু করেছে জুভেন্টাস। করোনা আতঙ্ক কাটিয়ে মঙ্গলবার থেকে প্র্যাকটিস শুরু করে দিয়েছে জুভেন্টাস৷ সামাজিক দুরত্ব মেনেই আলাদা আলাদাভাবে অনুশীলন করছেন ক্লাবটির ফুটবলাররা।

    ক্লাবের ক্লাবের অফিসিয়াল টুইটারে এ খবর দেওয়া হয়েছে। পর্তুগিজ তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ইতালি পৌঁছালেও তাকে রাখা হয়েছে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে। এরপরই অনুশীলনে নামবেন সিআর সেভেন।

    রোনাল্ডো প্র্যাকটিসে না-থাকলেও প্রথম দিন থেকেই অনুশীলনে নেমে পড়লেন অধিনায়ক জর্জিও চিলেনি ও লিওনার্দো বুনুচ্চি। সকলেই ফেস মাস্ক পরেই ক্লাবে পৌঁছন। এই দু’জন ছাড়াও অনুশীলনে যোগ দেন অ্যারন রামসে, জুয়ান কুয়াদ্রাদো, মাতিয়া ডি সিগ্লিও, ফেডারিকো বার্নার্ডেসি এবং ড্যানিয়েল রুগানি৷

    কিছুদিনের মধ্যেই জুভেন্তাসের দুই তারকা ফুটবলার মাঠে নামবেন৷

    গত মার্চ থেকেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এরপর থেকে চারবার পজিটিভ রিপোর্ট আসে পাওলো দিবালার। তবে দেড় মাস পর বুধবার করোনা নেগেটিভ এসেছে আর্জেন্টিনার তারকা এ ফরোয়ার্ডের। ব্যাপারটি নিজেই জানিয়েছেন তিনি।

    এদিকে জুভেন্টাস ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এখন আর দিবালাকে কোয়ারেন্টিনে থাকাতে হবে না। এখন তিনি পুরোপুরি করোনা মুক্ত। প্রটোকল অনুসারে, পাওলো দিবালা কোভিড-১৯ এর জন্য ডায়াগনস্টিক টেস্টের ডাবল চেক হয়েছে। দু’বারই নেগেটিভ এসেছে। সুতরাং দিবালা সুস্থ হয়ে উঠেছে এবং আর তাকে হোম আইসোলেশনে থাকবে হবে না।’

    ২৪ ঘণ্টা/আর এস পি

  • সম্মিলিত বৈশ্বিক অংশীদারিত্বে বৃহত্তর ঐক্যের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

    সম্মিলিত বৈশ্বিক অংশীদারিত্বে বৃহত্তর ঐক্যের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনা ভাইরাস মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অর্থবহ কৌশল উদ্ভাবনসহ তাঁর পেশকৃত পাঁচদফা প্রস্তাবের ভিত্তিতে সম্মিলিত বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব এবং বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ব সম্ভবত বিগত একশ’ বছরের মধ্যে সব থেকে বড় সংকটের মুখোমুখি, কাজেই আমাদের সম্মিলিতভাবেই এই সংকট মোকাবেলা করা প্রয়োজন। আমাদের প্রতিটি সমাজের সম্মিলিত দায়িত্ব এবং অংশীদারিত্বের জন্য একটি পদ্ধতির প্রয়োজন।’

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সন্ধ্যায় কোভিড-১৯ বিষয়ে আয়োজিত ভার্চুয়াল আঞ্চলিক কনফারেন্সে প্রদত্ত ভাষণে একথা বলেন।

    ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ) ‘দক্ষিণ এশিয়ায় করোনাভাইরাস এবং অর্থনীতিতে এ সংক্রান্ত প্রভাব মোকাবেলায় আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধি’ শীর্ষক এই ভার্চুয়াল সম্মেলনের আয়োজন করে।

    প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে সম্মেলনে ‘কোভিড-১৯ মোকাবেলায় বাংলাদেশের আঞ্চলিক স্থিতিস্থাপকতা বিনির্মাণ’ বিষয়ে ভাষণ দেন।

    তিনি ভাষণে বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং জীবনযাত্রায় করোনা ভাইরাসের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় তাঁর সরকারের পদক্ষেপসমূহ তুলে ধরেন। ডব্লিউইএফ প্রেসিডেন্ট বোর্গে ব্রেন্ডে সম্মেলনে স্বাগত ভাষণ দেন।

    শেখ হাসিনা তাঁর ভাষণে বলেন, ‘আমরা জানি না এই মহামারী কতদিন থাকবে। এটা ইতোমধ্যেই অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্থ করেছে। আমাদের অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং সমাজকে সঠিক পথে আনতে হবে, এই ক্ষত এবং ভয় থেকে জনগণকে বেরিয়ে আসায় সহযোগিতা করতে হবে এবং সকল গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলোর পুনরুজ্জীবন ঘটাতে হবে।’

    ‘এই বিশ্ব ইতোমধ্যেই জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে যুদ্ধরত’, উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এখন করোনাভাইরাস আমাদের অস্তিত্বের প্রতিই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে। বিশ্বায়নের এই যুগে বিশ্বেও কোন একটি দেশকে অন্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন করা সম্ভব নয় এবং বিচ্ছিন্নকরণ নীতিও আর কাজে আসবে না।’

    বিশ্ব এমন একটি জটিল অবস্থার মধ্যদিয়ে যাচ্ছে যা মোকাবেলায় তিনি এই পাঁচ দফা প্রস্তাব পেশ করছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাস মহামারীর বিরুদ্ধে আমাদের বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগের প্রয়োজন পড়বে।’

    তাঁর প্রথম প্রস্তাবে শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বের মানবকল্যাণের জন্য নতুন চিন্তার প্রয়োজন পড়বে, অসমতা মোকাবেলা, গরিবদের সহযোগিতা এবং আমাদের অর্থনীতিকে কোভিড-১৯ পূববর্তী অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া, কেননা এই মহামারীর দরুন সমাজগুলোতে দারিদ্র এবং অসমতা দ্রুতলয়ে বেড়ে চলেছে।

    ‘গত এক দশকে আমরা আমাদের অর্ধেক দারিদ্রকে কমিয়ে এনেছি, যাদের অনেককেই আবার পেছনে ফিরে যেতে হতে পারে। কাজেই বিশ্বকে নতুনভাবেই মানব কল্যাণের জন্য চিন্তা করতে হবে, অসমতা মোকাবেলা, দরিদ্রদের সহযোগিতা এবং অর্থনীতিকে কোভিড-১৯ পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া, ’যোগ করেন তিনি।

    দ্বিতীয় প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের জি-৭, জি-২০ এবং ওইসিডি থেকেও শক্তিশালী বৈশ্বিক নেতৃত্ব প্রয়োজন। জাতিসংঘের নেতৃত্বে বহুমুখী ব্যবস্থাটিকে এগিয়ে আসতে হবে।

    তিনি ২০২০ সালের গ্লোবাল রিস্ক রিপোর্টে ‘সংক্রামক রোগ’ কে একটি মূল ঝুঁকি হিসাবে চিহ্নিত করার জন্য ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা এবং নির্বাহী চেয়ারম্যান অধ্যাপক ক্লাউস সোয়াবের প্রশংসা করেন।

    ‘কাজেই এই ফোরাম এবং জাতিসংঘকে সরকার এবং বৈশ্বিক ব্যবসা-বাণিজ্যকে একত্রিত করতে নীতিমালা পর্যালোচনায় নেতৃত্ব দেওয়া উচিত
    সুতরাং, ফোরাম এবং জাতিসংঘকে সরকার এবং বৈশ্বিক ব্যবসা-বাণিজ্যকে একত্রিত করতে নীতিমালা প্রণয়নে মনোযোগী হওয়া এবং নেতৃত্ব দেওয়া উচিত, তিনি এ জাতীয় যে কোনও উদ্যোগে যোগ দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন।

    তৃতীয় প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী বর্তমান কৌশল ও কৌশলগত সহায়তা ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান কেননা বর্তমানে বিশ্বব্যাপী ব্যবসা, কর্ম ও উৎপাদন ব্যবস্থার রূপান্তর প্রত্যক্ষ করছে।

    তিনি বলেন,‘আমরা ইতিমধ্যে প্রত্যক্ষ করেছি সরবরাহ চেইনের মধ্যে থাকা অনেক বৈশ্বিক ব্র্যান্ডগুলো দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করছে না। কাজেই আমাদের কৌশল এবং ব্যবহারিক সমর্থন ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার যাতে বাংলাদেশের মতো দেশগুলো মানিয়ে নিতে পারে।’

    তাঁর চতুর্থ প্রস্তাবে শেখ হাসিনা বলেন, অভিবাসী শ্রমিকদের বোঝা ও দায়িত্ব ভাগ করে নেওয়ার জন্য একটি অর্থবহ বৈশ্বিক কৌশল অবলম্বন করা উচিত।

    তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন, ‘অভিবাসী শ্রমিকরা খুব কঠিন সময় পার করছেন, যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে চাকরী হীনতা যেটা দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতিকেও ঝুঁকির মুখে ফেলছে। কাজেই আমাদের একটি অর্থবহ বৈশ্বিক কৌশল অবলম্বন করা প্রয়োজন যাতে করে এই বোঝা এবং দায়িত্বকে ভাগ করে নেওয়া যায়।’

    পঞ্চম প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী ভবিষ্যতে আরো ভাল প্রস্তুতির জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী সমাধান প্রণয়নের আহবান জানান।

    এই মহামারীকালীন আমরা বিভিন্ন ডিজিটাল যন্ত্রাংশ এবং প্রযুক্তিকে কার্যকরভাবে কাজে লাগিয়েছি, যারমধ্যে রয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং মোবাইল ফোন ব্যবহার করে সংক্রমন খুঁজে বের করা। যাতে করে ভবিষ্যতের জন্য ভালভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করা যায়,আমরা বিভিন্ন উদ্ভাবনীমূলক সমাধানও বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্রুত সংযুক্ত করেছি।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ১ লাখ ৮৩ হাজার ছাড়িয়েছে বিশ্বে করোনায় মৃত্যু

    ১ লাখ ৮৩ হাজার ছাড়িয়েছে বিশ্বে করোনায় মৃত্যু

    বৈশ্বিক মহামারি প্রাণঘাতি নভেল করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত বিশ্বে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ লাখ ৮৩ হাজার ২৮৩ জন।

    জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সারাবিশ্বে এখন পর্যন্ত ২৬ লাখ ২৬ হাজার ৯২৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আর এ মহামারিতে মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৮৩ হাজার ২৮৩ জনের।

    জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তের পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭ লাখ ১০ হাজার ২৮৫ জন।

    করোনা সংক্রমণে শীর্ষ ১০ দেশ হচ্ছে- যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, ইতালি, ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, চীন, তুরস্ক, ইরান ও রাশিয়া।

    এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও বেশি মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৮ লাখ ৪০ হাজার ৮৯৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ৪৬ হাজার ৬৮৮ জন।

    এই ভাইরাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আক্রান্ত স্পেনে। দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ২ লাখ ৮ হাজার ৩৮৯ জন এবং মারা গেছেন ২১ হাজার ৭১৭ জন। এখন পর্যন্ত দেশটিতে সুস্থ হয়েছেন ৮৫ হাজার ৯১৫ জন। তবে মৃতের সংখ্যার দিক দিয়ে তৃতীয় স্পেনে।

    তৃতীয় সর্বোচ্চ আক্রান্ত হয়েছেন ইতালিতে ১ লাখ ৮৭ হাজার ৩২৭ জন এবং মারা গেছেন ২৫ হাজার ৮৫ জন। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন ৫৪ হাজার ৫৪৩ মানুষ।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ১ লাখ ৭৭ হাজার ছাড়াল বিশ্বব্যাপী করোনায় মৃত্যু

    ১ লাখ ৭৭ হাজার ছাড়াল বিশ্বব্যাপী করোনায় মৃত্যু

    বৈশ্বিক মহামারি প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল পৌনে ৯টা পর্যন্ত সারাবিশ্বে ২৫ লাখ ৬৩ হাজার ৩৮৪ জন করোনাআক্রান্ত হয়েছেন। আর এ মহামারিতে মৃত্যু হয়েছে এক লাখ ৭৭ হাজার ৪১৫ জনের।

    জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তের পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬ লাখ ৮১ হাজার ৪৭৭ জন মানুষ।

    করোনা সংক্রমণে শীর্ষ ১০ দেশ হচ্ছে- যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, ইতালি, ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, চীন, তুরস্ক, ইরান ও রাশিয়া।

    এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও বেশি মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্রে। বুধবার পর্যন্ত দেশটিতে ৮ লাখ ২৪ হাজার ৪৩৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং সুস্থ হয়েছেন ৭৫ হাজার ২৮৯ জন।

    এই ভাইরাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আক্রান্ত স্পেনে ২ লাখ ৪ হাজার ১৭৮ জন এবং মারা গেছেন ২১ হাজার ২৮২ জন। এখন পর্যন্ত দেশটিতে সুস্থ হয়েছেন ৮২ হাজার ৫১৪ জন। তবে মৃতের সংখ্যার দিক দিয়ে তৃতীয় স্পেনে।

    তৃতীয় সর্বোচ্চ আক্রান্ত হয়েছেন ইতালিতে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৯৫৭ জন এবং মারা গেছেন ২৪ হাজার ৬৪৮ জন। এ ছাড়া সুস্থ হয়েছেন ৫১ হাজার ৬০০ মানুষ।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • করোনার নতুন নাম “কোভিড-১৯”

    করোনার নতুন নাম “কোভিড-১৯”

    চীনে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস কেড়ে নিচ্ছে একের পর এক প্রাণ। এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে ১১১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এবার এই ঘাতক ভাইরাসের নতুন নামকরণ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

    গতকাল মঙ্গলবার ডব্লিউএইচও’র প্রধান তেদরোস আদহানম বলেন, ‘আমরা রোগটির (করোনাভাইরাসের) নতুন নাম পেয়েছি, এটি কোভিড-১৯।’

    ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের নতুন নামটি ‘করোনা’র co, `ভাইরাস’র vi, ‘ডিজিজ’র d এবং ২০১৯ সালে রোগটি দেখা দিয়েছে বলে ‘2019′ এর ‘19′ থেকে করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

    ডব্লিউএইচও’র প্রধান বলেন, ‘আমরা এমন একটি নাম খুঁজে পেয়েছি যা কোনো নির্দিষ্ট এলাকাকে, প্রাণীকে বা কোনো ব্যক্তিকে বোঝায় না। এটি সহজে উচ্চারণযোগ্য এবং রোগটির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।’

    গত ডিসেম্বরে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়লে চীনের বাসিন্দারা এর উৎপত্তিস্থল উহানের নামে এর নামকরণ করেছিলেন। অনেক দেশ একে চায়না ভাইরাস বলেও ডাকে।

    বিষয়টি উহান শহরবাসী ও চীনের জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর হওয়ায় এ ভাইরাসটিকে ‘নভেল করোনাভাইরাস নিউমোনিয়া’ সংক্ষেপে এনসিপি নাম ডাকার ঘোষণা দেয় চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন।

    তবে নামটি সাময়িক জানিয়ে শিগগিরই নতুন নাম দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করে দেশটি। এবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এটির নতুন নামকরণ করলো।