Tag: কোস্ট গার্ড

  • কোস্ট গার্ডের পাঁচ জাহাজ কমিশনিং করলেন প্রধানমন্ত্রী

    কোস্ট গার্ডের পাঁচ জাহাজ কমিশনিং করলেন প্রধানমন্ত্রী

    দেশীয় শিপইয়ার্ডে তৈরি বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের সমুদ্রগামী পাঁচটি জাহাজের কমিশনিং করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    আজ (বুধবার) সকাল ১০টায় ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে জাহাজগুলোর কমিশনিং করেন তিনি।

    জাহাজ পাঁচটি হলো- বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের দুটি ইনশোর পেট্রোল ভেসেল, দুটি টাগ বোট এবং একটি ফ্লোটিং ক্রেন।

    অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল আশরাফুল হক চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান।

    জাহাজগুলোতে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এর মাধ্যমে বহিঃনোঙ্গরে বাণিজ্যিক জাহাজে চুরি রোধ, সমুদ্রপথে মানব ও মাদক পাচার নিয়ন্ত্রণ, অর্থনৈতিক সমুদ্র সীমানায় টহল প্রদান এবং যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও নৌ যান দুর্ঘটনায় উদ্ধার অভিযান পরিচালনায় সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি কোস্ট গার্ডের অপারেশনাল কার্যক্রম বেগবান হবে।

    বাংলাদেশ নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত সরকারি প্রতিষ্ঠান নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেডে নির্মিত দুটি ইনশোর পেট্রোল ভেসেল বিসিজিএস জয় বাংলা ও বিসিজিএস অপূর্ব বাংলা। আর খুলনা শিপইয়ার্ডে নির্মিত দুইটি টাগ বোট বিসিজিটি প্রত্যয়, বিসিজিটি প্রমত্ত এবং একটি ফ্লোটিং ক্রেন বিসিজিএফসি শক্তি।

    কোস্ট গার্ড সূত্রে জানা যায়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুদূর প্রসারী দৃষ্টিভঙ্গির ফলেই নিজস্ব সমুদ্র এলাকা দাবি সম্বলিত ‘দ্য টেরিটোরিয়াল ওয়াটার্স অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট, ১৯৭৪’ প্রণীত হয়। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড প্রতিষ্ঠার সোপান রচনা করেন। ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৎকালীন বিরোধী দলে থাকা অবস্থায় মহান জাতীয় সংসদে ‘বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড বিল’ উত্থাপন করেন। যার প্রেক্ষিতে ১৯৯৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি এ বাহিনীর যাত্রা শুরু হয়। পরবর্তীতে এ বাহিনীতে নতুন নতুন প্লাটফর্ম ও অবকাঠামো সংযোজিত হয়েছে। এর ফলে বাহিনীর অপারেশনাল কর্মকাণ্ডে ব্যাপক গতি সঞ্চার হয়েছে এবং অর্জিত হয়েছে নানা সাফল্য।

  • আনোয়ারায় কোস্টগার্ডের অভিযানে ১৬ হাজার ইয়াবাসহ আটক ২

    আনোয়ারায় কোস্টগার্ডের অভিযানে ১৬ হাজার ইয়াবাসহ আটক ২

    আনোয়ারা(চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি:আনোয়ারা উপজেলার তালিকাভুক্ত ২ ইয়াবা ব্যবসায়ীকে আটক করেছে কোষ্ট গার্ড।

    বৃহস্পতিবার (২৮ মে) সকালে বিশেষ অভিযানে পতেঙ্গা বীচ এরিয়া হতে তাদেরকে আটক করা হয়। অভিযানে তাদের কাছ থেকে ১৬,০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৬৮ ক্যান বিয়ার, ০৪ বোতল স্মিতনফ ভোডকা, ০৩ বোতল হুইস্কি, ০২ বোতল রেড লেবেল, ০২ বোতল পাসপোর্ট স্কচ, ০৩ বোতল অ্যাবসল্ট সাইট্রন, ০১ বোতল অ্যাবসল্ট ম্যাঙ্গো, ০১ বোতল তারিনা ভোডকা, ০৯ প্যাকেট (মিনি) সিগারেট (৩০৩), ১৯ প্যাকেট (মিনি) সিগারেট (মারবেল), ২৭ টি (ছোট ছোট পুরিয়া) গাঁজা ও ২০০ লিটার বাংলা মদ উদ্ধার করা হয়।

    আটককৃতরা হলেন, আনোয়ারা উপজেলার পশ্চিম রায়পুর ময়না গাজীর বাড়ির আব্দুল সাত্তারের পুত্র মোঃ ওসমান (৩০) এবং মৃত আব্দুল গফুরের পুত্র মোঃ ইকবাল (৩৫)।

    কোস্ট গার্ড পূর্ব জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেঃ শাহ জিয়া রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, জব্দকৃত মাদকদ্রব্যগুলো এক স্থান হতে অন্য স্থানে পাচারের উদ্দেশ্যে তারা নিয়ে যাচ্ছিল। আটককৃত মাদক পাচারকারী ও জব্দকৃত মাদকদ্রব্য পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পতেঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

    আনোয়ারা থানাসূত্রে জানা যায়, ওসমানের বিরুদ্ধে আনোয়ারা থানায় ৪টি মাদক মামলা ও ১টি মানিলন্ডারিং মামলা রয়েছে। তারমধ্যে ২টিতে ওয়ারেন্ট আছে। এবং ইকবাল হোসেনের বিরুদ্ধে ১টি মাদক ও ১টি চুরি মামলা রয়েছে। পতেঙ্গা কোষ্টগার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা শাহরিয়ার জানান,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আটককৃতদের পতেঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আনোয়ারা পারকী এলাকায় মানুষের মুখে মুখে গুঞ্জন উঠেছে করোনা ও ঈদের ফাঁকে একাধিক ইয়াবার বড় চালান খালাস হয়েছে। সচেতন মহল মনে করেন আনোয়ারায় প্রসাশনের চেকপোস্ট বৃদ্ধি করে কঠোর নজরদারীর প্রয়োজন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/জাবেদুল

  • ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে বাঁচলো মালয়েশিয়াগামী ডুবে যাওয়া ৭১ যাত্রী

    ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে বাঁচলো মালয়েশিয়াগামী ডুবে যাওয়া ৭১ যাত্রী

    কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ ৯৯৯ নাম্বারে কল করেই বাঁচলো সেন্টমার্টিনে ডুবে যাওয়া ট্রলারের মালয়েশিয়াগামী ৭১ জন যাত্রী। এসময় ১৫ জন যাত্রী মারা যান। ১১ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে ছেঁড়া দ্বীপের কাছে ডুবো পাথরে ধাক্কা খেয়ে সাগরপথে মালয়েশিয়াগামী ট্রলারটি ডুবে যায়।

    ওই ট্রলারের যাত্রী আবদুল করিমই ৯৯৯ নাম্বারে কল করেন। আবদুল কক্সবাজারের উখিয়ার বাসিন্দা। তার ফোন পেয়ে কোস্টগার্ড উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন।

    করিম বলেন, সোমবার রাতে ১৩৮ মালয়েশিয়াগামী যাত্রীকে টেকনাফের নোয়াখালী পাড়া গ্রাম থেকে ছোট ছোট ট্রলারে করে বড় একটি ট্রলারে নিয়ে যায় দালালরা।

    কক্সবাজারের সেন্টমার্টিনে ট্রলারডুবি

    সেন্টমার্টিনের দক্ষিণের দিকে ছেঁড়া দ্বীপের কাছে পৌঁছালে ট্রলারটি পাথরের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। পরে তলা ফেটে ট্রলার টিতে পানি ঢুকতে শুরু করে। এ সময় দালাল ও মাঝি-মাল্লারা পানিতে ঝাঁপ দিয়ে সাঁতরে পালিয়ে যায়।

    মালয়েশিয়া সেন্টমার্টিনে ট্রলারডুবি

    করিম আরো জানান, তিনি ৯৯৯ নাম্বারে ফোন দিয়ে ঘটনার কথা বলেন। সেখান থেকে টেকনাফের কোস্টগার্ড স্টেশন কমান্ডার লে. কনে. সোহেল রানার নাম্বার দেওয়া হয়।

    কক্সবাজারের সেন্টমার্টিনে ট্রলারডুবি

    পরে তার সঙ্গে ফোনে কথা বলে বিস্তারিত জানান আব্দুল। তারই সূত্র ধরে শাহপরী ও সেন্টমার্টিন থেকে কোস্টগার্ডের দুটি দল খোঁজা শুরু করে। তবে কোস্টগার্ডের অনুসন্ধানী দল খুঁজে পাওয়ার আগে ট্রলারটি ডুবে যায়।

    কোস্টগার্ড জানায়, তাদের সদস্যরা ভাসমান অবস্থায় ১৫টি লাশ উদ্ধার করেন। এর মধ্যে ১২ জন নারী ও তিনটি শিশু। এছাড়া ৭১ জনকে (৪৬ জন নারী, ২১ জন পুরুষ, ৪ শিশু) জীবিত উদ্ধার করা হয়।

  • কোস্ট গার্ডের পৃথক অভিযানে দুই লক্ষ আশি হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার

    কোস্ট গার্ডের পৃথক অভিযানে দুই লক্ষ আশি হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। ডেস্ক নিউজ : কক্সবাজারে পৃথক অভিযান চালিয়ে দুই লক্ষ আশি হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর সকালে গোপন সূত্রের খবরে পৃথক অভিযান দুটি পরিচালিত হয়।

    কোস্টগার্ড পূর্বজোনের কর্মকর্তা লে. (বিএন) এম হায়াত ইবনে সিদ্দিক পৃথক অভিযানের বিষয়ে ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, কক্সবাজারের টেকনাফ থানার আওতাধীন নোয়াখালী পাড়ার মেরিন ড্রাইভ ও শাহপুরী দ্বীপের প্যারাবন এলাকায় অভিযান চালায় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড।

    তবে অভিযানের খবর পেয়ে সংশ্লিষ্ট ইয়াবা কারবারিরা পালিয়ে যাওয়ায় দুটি অভিযানে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।অভিযানস্থল থেকে দুটি বস্তা ও একটি জেরিকেন উদ্ধার করে সেখান থেকে দুই লক্ষ আশি হাজার পিস ইয়াবা পাওয়া যায়।

    ইয়াবাগুলো বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাচারের উদ্দেশ্যে মায়ানমার হতে আনা হয়েছিল বলে ধারণা করছেন কোস্ট গার্ড পূর্ব জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লে. শাহ জিয়া। তিনি বলেন, উদ্ধারকৃত ইয়াবাগুলো পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে।

    বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড এর এখতিয়ারভূক্ত এলাকাসমূহে আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, জননিরাপত্তার পাশাপাশি জলদস্যুতা, ডাকাতি দমন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রনে কোস্ট গার্ডের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।

  • পারকি চরে কোস্ট গার্ডের হানা, ইয়াবাসহ যুবক আটক

    পারকি চরে কোস্ট গার্ডের হানা, ইয়াবাসহ যুবক আটক

    চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার পারকি চরে হানা দিয়ে ইয়াবাসহ এক যুবককে আটক করেছে কোস্ট গার্ড সদস্যরা। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযানটি পরিচালনা করে কোস্টগার্ড পূর্ব জোন।

    আটক যুবকের নাম মো. শহিদুল ইসলাম টিটু (৩০)। তার কাছ থেকে ৫ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধারের তথ্য দিয়েছে কোস্ট গার্ড।

    তথ্যটি নিশ্চিত করে কোস্ট গার্ড পূর্ব জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লে. শাহ জিয়া রহমান বলেন, শহিদুল দীর্ঘদিন ধরে বিনোদন স্পট পারকি বিচে ইয়াবা ও মাদক বিক্রি করে আসছে। বুধবার সকালে গোপন সূত্রে তথ্য পেয়ে তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে অভিযান চালিয়ে শহিদুল ইসলামকে আটক করা হয়।

    পরে তার কাছ থেকে ৫ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আটককৃত ইয়াবা ব্যবসায়ী ও জব্দকৃত মালামাল কর্ণফুলি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান লে. শাহ জিয়া রহমান।