Tag: কোয়ারেন্টাইন

  • ওসি মহসীন আইসোলেশনে, ড্রাইভার করোনা পজিটিভ

    ওসি মহসীন আইসোলেশনে, ড্রাইভার করোনা পজিটিভ

    ‘হ্যালো ওসি’ কার্যক্রম শুরু করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাওয়া এবং জনবান্ধন পুলিশিংয়ের জন্য দেশজুড়ে আলোচিত চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)’র কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীনের গাড়ির চালক করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন।

    এই ঘটনায় রোববার থেকে থানার নিজ রুমে অফিস না করে হোম কোয়ারান্টাইনে গেছেন কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন। তিনি ১৪ দিনের জন্য থানা কম্পাউন্ডের ভেতর ওসির বাংলোয় কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন এবং থানার যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করবেন তিনি।

    বিষয়টি নিশ্চিত করে ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ‘আমার চালক করোনা পজিটিভ শনাক্ত হওয়ায় সতর্কতার অংশ হিসেবে আমি হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ৪ দিন পর আমার নমুনা পরীক্ষা করাবো। এর আগে সরাসরি কোন কাজে অংশ নিচ্ছি না আমি। তবে আমাদের থানার সকল কার্যক্রম আগের মত চলবে। সরাসরি না থাকলেও বাসায় থেকে মনিটরিং করবো আমি।’

    ওসি মহসীনের গাড়ি চালকের দায়িত্বে থাকা ওই কনস্টেবলের নাম বাহাদুর। ওসি জানিয়েছেন, বাহাদুরের সামান্য গলা ব্যথা ছিল। এছাড়া আগে কোতোয়ালি থানায় করোনা পজিটিভ শনাক্ত হওয়া সদস্যদের যোগাযোগসূত্র ধরে বেশ কয়েকজনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর অংশ হিসেবেই বাহাদুরের নমুনাও পরীক্ষা করা হয়েছিল।

    বাহাদুরসহ কোতোয়ালী থানা ও এর ফাঁড়িগুলোর মোট ৮ সদস্য এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ওসি মহসীন। এর মধ্যে একজন উপ-পরিদর্শক ও একজন সহকারী উপ-পরিদর্শক রয়েছেন। বাকি ৬ জন কনস্টেবল।

    বিভিন্ন সময়ে জনবান্ধন পুলিশিংয়ের নতুন নতুন ধারণা নিয়ে কাজ করা ওসি মহসীন গত কিছুদিন ধরে প্লাজমা ব্যাংক নিয়ে কাজ করছেন। তার এই উদ্যোগে সক্রিয় ভূমিকা ছিলেন চালক বাহাদুরের। কয়েজন প্লাজমা ডোনারকে নিজ গাড়িতে করে হাসপাতালেও নিয়ে গেছেন তিনি। রোগীর রক্তের ব্যবস্থা করেছেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ভারতে রাষ্ট্রপতি ভবনে করোনার হানা, কোয়ারেন্টাইনে শতাধিক ব্যক্তি

    ভারতে রাষ্ট্রপতি ভবনে করোনার হানা, কোয়ারেন্টাইনে শতাধিক ব্যক্তি

    ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া গেছে বলে খবর দিয়েছে দেশটির সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি।

    রাষ্ট্রপতি ভবনের এক পরিচ্ছন্নতা কর্মীর করোনা শনাক্তের পর শতাধিক ব্যক্তিকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

    রাষ্ট্রপতি ভবনের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানায়, সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং তাদের পরিবারকে নিজেদের বাড়িতেই কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়েছে। তবে সেখানকার সাধারণ কর্মীদের দিল্লির একটি কোয়ারান্টাইন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং সেখানেই চিকিৎসা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

    তবে এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত ওই পরিচ্ছন্নতা কর্মী ছাড়া বাকিদের শরীরের নমুনা পরীক্ষার ফলাফল করোনা-নেগেটিভ এসেছে বলে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

    চীনের উহান থেকে জন্ম নেয়া করোনা এখন সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। চীনে করোনা পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসলেও এখন ইউরোপজুড়ে সবচেয়ে বেশি তাণ্ডব চালাচ্ছে প্রাণঘাতী ভাইরাসটি।

    ইতোমধ্যে অচেনা ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে সারা বিশ্বে এক লাখ ৭০ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ২৫ লাখ।

    ভারতে সাড়ে ১৮ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ৫৯২ জন। করোনা বিস্তার রোধে ভারতজুড়ে লকডাউন চলছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • নীলফামারীতে হোম কোয়ারেন্টাইনে ৮২৭৭জন

    নীলফামারীতে হোম কোয়ারেন্টাইনে ৮২৭৭জন

    নীলফামারী প্রতিনিধি॥নীলফামারীর পুরো জেলা লকডাউন ঘোষনার পরেও গত ২৪ ঘন্টায় ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও কুমিল্লা থেকে নীলফামারীর নিজগ্রামে প্রবেশ করেছে ৭ হাজার ১০৫ জন মানুষ। এ নিয়ে জেলায় প্রবেশ করে ৮ হাজার ২৭৭ জন শ্রমজীবি মানুষ।তাদের সকলকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এতে ঝুঁকিতে পড়েছে জেলার ৬ উপজেলার ২০ লাখ মানুষজন।

    এ ছাড়া জেলায় ৬ জন করোনা পজেটিভ হয়ে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

    বুধবার(১৫ এপ্রিল) জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    অপর দিকে ঢাকা, নারায়ানগঞ্জ গাজীপুর ও কুমিল্লা থেকে আসা পাঁচজন ও একজন কমিউনিটি ট্রান্সমিশন কারনে শরীরের করোনা ভাইরাস চিহিৃত হওয়ায় তাদের জেলা জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে।

    জেলা সিভিল সার্জন ডা. রনজিৎ কুমার বর্মন জানান, এ পর্যন্ত ১৭২ জনের নমুনা সংগ্রহ করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে(রমেক) পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে ছয়জনের করোনা রোগের পজেটিভ পাওয়া গেছে।প্রাথমিক ভাবে করোনা সন্দেহে একজনকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। তার নমুনাও রংপুরে প্রেরণ করা হয়েছে।

  • ঠাকুরগাঁওয়ে কোয়েরেন্টাইন না মানায় জরিমানা

    ঠাকুরগাঁওয়ে কোয়েরেন্টাইন না মানায় জরিমানা

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:::ঠাকুরগাঁওয়ে ঢাকার নারায়নগঞ্জ থেকে আসা ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিন তদারকি করছেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন।

    সোমবার (১৩ এপ্রিল) তিনি সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঢাকা থেকে আগতদের হোম কোয়ারেন্টাইন তদারকি করেন।

    এরই ধারাবাহিকতায় সদর উপজেলার চিলারং ইউনিয়নের ভেলাজান মহাজানপাড়া, মাদ্রাসাপাড়া, হাজীপাড়া ও জোড়দারপাড়ায় ঢাকার নারায়নগঞ্জ থেকে আগত ৯ জন ও তাদের পরিবারকে কোয়ারেন্টাইন কঠোরভাবে মেনে চলার নির্দেশনা প্রদান করা হয়। এ সময় রায়হান নামে ব্যক্তি কোয়ারেন্টাইন না মানায় তাকে ৫শ টাকা জরিমানা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।

    এ সময় সকলকে বাড়ির বাইরে বের না হতে নির্দেশনা প্রদান করা হয়। এছাড়াও সরকারী নির্দেশনা অমান্য করায় ভেলাজান বাজারে দোকানদার নিজামুদ্দিনকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

     

  • ব্যাংক এশিয়ার আন্দরকিল্লা শাখা লকডাউন: কোয়ারেন্টাইনে ১৫ জন

    ব্যাংক এশিয়ার আন্দরকিল্লা শাখা লকডাউন: কোয়ারেন্টাইনে ১৫ জন

    করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত এক গার্মেন্ট কর্মকর্তার যাতায়াত ছিল চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লায় অবস্থিত ব্যাংক এশিয়ার শাখায়। এই তথ্য নিশ্চিত হওয়ার পর ব্যাংকের ওই শাখা লকডাউন করা হয়। সেই সঙ্গে ওই শাখায় কর্মরত ১৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে পুলিশের উপস্থিতিতে ব্যাংক এশিয়ার আন্দরকিল্লা শাখা লকডাউনের ঘোষণা দেয় কর্তৃপক্ষ।

    কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, বুধবার চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া তিনজনের একজন গার্টেক্স গার্মেন্টসের কর্মকর্তা। তিনি গত ১ এপ্রিল অফিসের কাজে ওই ব্যাংকে এসেছিলেন। এরপর তার এক সহকর্মীরাও গত ৫ এপ্রিল ওই ব্যাংকে এসেছিলেন। এজন্য পুলিশের পক্ষ থেকে ওই শাখা লকডাউন করে ১৫ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। আগামী ১৪ দিন ব্যাংক এশিয়ার আন্দরকিল্লা শাখা বন্ধ থাকবে।

  • চট্টগ্রামে তিন ডাক্তারসহ ১৮ জন কোয়ারেন্টাইনে

    চট্টগ্রামে তিন ডাক্তারসহ ১৮ জন কোয়ারেন্টাইনে

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ : চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে এক ব্যক্তি আক্রান্তের পর নগরীর মেহেদীবাগে অবস্থিত ন্যাশনাল হাসপাতালের তিন চিকিৎসক ও ১৫ জন নার্স ও ওয়ার্ড বয়কে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।

    এর আগে, গতকাল শুক্রবার (৩ এপ্রিল) ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডিতে ৩১ জনের করোনা পরীক্ষার করে এর মধ্যে একজনের করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়। এ তথ্য জানান চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. শেখ ফজলে রাব্বি।

    তিনি জানান, আক্রান্ত ব্যক্তি পুরুষ এবং তার বয়স ৬৭ বছর। তার বাসা নগরীর দামপাড়া এলাকায়। আক্রান্ত রোগী বর্তমানে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

    সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, করোনা শনাক্ত হওয়া ব্যক্তি গত ৩০ মার্চ সন্ধ্যায় নগরীর ন্যাশনাল হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রথমে তাকে ভর্তি করতে অপারগতা জানায়। পরে স্থানীয় এক যুবলীগ নেতার ধমকে ওই ব্যক্তিকে ভর্তি করাতে বাধ্য হন হাসপাতালটির চিকিৎসক প্রফেসর ডা. শামীম বক্স। ওই রোগী এরপরের দুইদিন ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ছিলেন।

    চট্টগ্রাম বিভাগের স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির বলেন, করোনায় শনাক্ত হওয়া ব্যক্তির মেয়ে ও তার শাশুড়ি ১৩ মার্চ সৌদি আরব থেকে দেশে ফেরেন। তারা ন্যাশনাল হাসপাতালে ওই রোগীতে দেখতে গিয়েছিলেন। তবে তারা তাকে দেখতে পারেননি। এজন্য ন্যাশনাল হাসপাতাল লকডাউন হবে না।

    তিনি বলেন, ওই সময় যে ডাক্তাররা রোগীকে দেখেছেন তাদের আলাদা করে রাখা হয়েছে। আমরা এটাও জেনেছি ডাক্তাররা রোগী দেখার সময় পিপিই পরেছিলেন।

    ডা. হাসান বলেন, তবে ওই রোগী সেখানে অবস্থান করেননি। সেখান থেকে চলে যান পার্কভিউ হাসপাতালে। কিন্তু শ্বাসকষ্ট হচ্ছে শুনে ওখানে তাকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। পরে ১ এপ্রিল তাকে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত তিনদিন যাবত তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন।

    এ বিষয়ে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ন্যাশনাল হাসপাতাল লকডাউন হবে না। বরং যে ডাক্তাররা তাকে চিকিৎসা দিয়েছেন তাদেরকে কোয়ারান্টাইনে পাঠানো হবে। ওইদিন যারা ডিউটিতে ছিলেন তাদের তালিকা নিয়ে গেছে পুলিশ।

    এ বিষয়ে চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দীন জানান, করোনা শনাক্ত হওয়া ব্যক্তি যেদিন ন্যাশনাল হাসপাতালে এসেছে ওইদিনের ডাক্তার, নার্স আর ওয়ার্ডবয়ের তালিকা নেওয়া হয়েছে। আমরা ১৮ জনের তালিকা পেয়েছি। তার মধ্যে তিনজন ডাক্তার আর ১৫ জন নার্স ও ওয়ার্ডবয়।

    ন্যাশনাল হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্স পাশাপাশি অন্য কোনো হাসপাতালে চাকরি করে কি-না এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, তালিকায় দুই-একজন আছেন, যারা ন্যাশনাল হাসপাতালের পাশাপাশি অন্য হাসপাতালেও চাকরি করেন।

    জানা যায়, কোয়ারেন্টাইন তালিকায় থাকা দুই জন ডাক্তার ন্যাশনাল হাসপাতালের পাশাপাশি নগরীর আগ্রাবাদের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালেও চাকরি করেন। এছাড়া একজন নার্সও রয়েছেন যিনি ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে চাকরি করছেন।

    সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ন্যাশনাল হাসাপাতালে কর্মরত ডাক্তার-নার্সরা যদি সংক্রমিত হন, সেক্ষেত্রে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের ডাক্তার-নার্সরাও তাদের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়ে থাকতে পারেন।

    আক্রান্ত রোগীর বাড়ি দামপাড়া এলাকার ছয়টি ভবন ও সাতকানিয়া এলাকার পুরানগড় গ্রামে রোগীর মেয়ের বাড়ি লকডাউন করে দেওয়া হয়।

     

  • সরকার চাইলে মিরপুর স্টেডিয়াম কোয়ারেন্টাইনের জন্য দিবে বিসিবি

    সরকার চাইলে মিরপুর স্টেডিয়াম কোয়ারেন্টাইনের জন্য দিবে বিসিবি

    করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ হয়েছে কি না, তা জানার জন্য সন্দেহভাজনকে প্রথমে রাখা হয় কোয়ারেন্টাইনে। সন্দেহের মাত্রা কম হলে হোম কোয়ারেন্টাইনের কথা বলা হলেও যাদের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি থাকার সম্ভাবনা প্রবল, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লক্ষণ-উপসর্গ দেখা দেওয়ার আগপর্যন্ত তাদের রাখা হয় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে।

    করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে তাই কোয়ারেন্টাইনের বেশ গুরুত্ব রয়েছে। কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য প্রয়োজন যথেষ্ট পরিমাণ আবাসস্থল, সংক্রমণের পরিমাণ বাড়লে যার ঘাটতি দেখা দিতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে এগিয়ে এসেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

    বিসিবি জানিয়েছে, কোয়ারেন্টাইনের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে ‘হোম অব ক্রিকেট’ খ্যাত মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম ও মিরপুর একাডেমি। সরকার চাইলে এই দুই ভবনের সুবিধাদি কোয়ারেন্টাইনের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে কোনো আপত্তি নেই দেশের সবচেয়ে প্রভাবশালী ক্রীড়া সংস্থার।

    করোনাভাইরাসের কারণে বর্তমানে দেশের সব ধরনের ক্রিকেট বন্ধ। আইসিসি আগামী জুন পর্যন্ত তাদের সব ইভেন্ট স্থগিত করেছে। অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগও। যার ফলে মিরপুর স্টেডিয়ামে চিরায়ত ব্যস্ততা নেই। খেলোয়াড়-কোচ, কর্মকর্তা, গণমাধ্যমকর্মীদের আনাগোনা নেই। ফাঁকা পড়ে আছে ক্রিকেটপাড়া।

    আর তাই মিরপুর স্টেডিয়ামকে কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের মাধ্যমে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায় এগিয়ে আসার ব্যাপারে ভাবছেন বিসিবির নীতিনির্ধারকরা। আনুষ্ঠানিকভাবে মিরপুর স্টেডিয়াম ও একাডেমিকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র ঘোষণার জন্য বিসিবি এখন সরকারের প্রয়োজন ও চাহিদার দিকে নজর রাখছে।

    পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে ইডেন গার্ডেনসসহ চারটি স্টেডিয়ামকে কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এবার সেই পথে হাঁটল বিসিবিও। ইতিপূর্বে রাজশাহী বিভাগের তিনটি স্টেডিয়ামকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে, যদিও রাজশাহীতে এখনো করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দৃশ্যমান হয়নি।

  • ফটিকছড়িতে কোয়ারেন্টাইন না মানায় প্রবাসীকে জরিমানা

    ফটিকছড়িতে কোয়ারেন্টাইন না মানায় প্রবাসীকে জরিমানা

    ফটিকছড়ি প্রতিনিধি: হোম কোয়ারেন্টাইনে না থেকে বাইরে ঘুরা-ফেরা করায় ফটিকছড়ি উপজেলার লেলাং ইউনিয়নে ৩ প্রবাসীকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

    শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জানে আলম ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে এ জরিমানা আদায় করেন। এসময় ম্যাজিস্ট্রেট আরো ৩ প্রবাসীকে সতর্ক করেন।

    স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সরোয়ার উদ্দিন চৌধুরী শাহীন জানান,সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক ১৪দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে না থেকে ৩ প্রবাসী স্বাভাবিকভাবে হাট-বাজার সহ বাইরে ঘুরা-ফেরা করছিল।

    খবর পেয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৩জন প্রবাসীকে ১০ হাজার টাকা করে মোট ৩০হাজার টাকা জরিমানা করেন।
    চেয়ারম্যান আরো বলেন- প্রাশাসনের কাছে তথ্য আছে বিদেশ ফেরত কারা হোম কোয়ারেন্টাইনে না থেকে বাইরে চলা-ফেরা করছে।

    সুতারাং এখানে আমাদের করার কিছু নেই।
    আমরা গত ২দিন যাবত বিভিন্ন মাধ্যমে সবাইকে সরকারী নিয়ম মানার জন্য অনুরোধ জানিয়ে আসছি।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সায়েদুল আরেফিন বলেন- হোম কোয়ারেন্টাইন না মানায় কয়েকজন প্রবাসীকে জরিমানা করা হয়েছে।
    মোবাইল কোর্ট চলছে, তারা আসলে বিস্তারিত তথ্য পাব।

  • ঢাকা মেডিকেলের ৪ ডাক্তার হোম কোয়ারেন্টাইনে

    ঢাকা মেডিকেলের ৪ ডাক্তার হোম কোয়ারেন্টাইনে

    বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। বাংলাদেশেও এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত ১৪ রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এদিকে, করোনা সন্দেহে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চার চিকিৎসককে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

    বুধবার (১৮ মার্চ) এক বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান ঢামেক অধ্যক্ষ খান মো. আবুল কালাম আজাদ। চারজনই ঢামেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক।

    পরীক্ষার পর প্রমাণিত হওয়া করোনা আক্রান্ত রোগীদের সংস্পর্শে আসা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চার ডাক্তারকে নিজ দায়িত্বে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে মেডিকেল কর্তৃপক্ষ।

    আবুল কালাম আজাদ বলেন, বাংলাদেশে করোনাভাইরাস ধরা পড়ার পর থেকে ঢামেক হাসপাতালে নিউমোনিয়া, জ্বর, ঠাণ্ডা, কাশি নিয়ে প্রচুর রোগী প্রতিদিন আসছে। এদের মধ্যে ৩ থেকে ৪ জন রোগীর বক্তব্য শোনার পর তাদের ঢামেকের বাইরে সরকারের বরাদ্দ করা হাসপাতলে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছিল। সেখানে ওই রোগীদের করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। আর তাদের যেসব চিকিৎসক চিকিৎসা দিয়েছেন এমন চারজনকে তাই হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

    আবুল কালাম আজাদ বলেন, সামান্য জ্বর, সর্দি-কাশি নিয়ে কোনো রোগীর হাসপাতালে আসার প্রয়োজন নেই। বাসায় হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে তাদের।

    এর আগে, সকালে ঢামেকের অধ্যক্ষসহ বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন এক জরুরি বৈঠকে বসেন। দীর্ঘ দেড় ঘণ্টা বৈঠকে করোনা ভাইরাস নিয়ে আলোচনা হয়।

  • করোনাভাইরাসঃ চবি থেকে কোয়ারেন্টাইনে ৬

    করোনাভাইরাসঃ চবি থেকে কোয়ারেন্টাইনে ৬

    চবি প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শহীদ আব্দুর রব হলের ৩২০ নাম্বার কক্ষ থেকে ইতালি ফেরত একজনসহ করোনাভাইরাসের সংক্রমণের শঙ্কায় ছয় যুবককে উদ্ধার করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি। পরে তাদের তাৎক্ষণিকভাবে ফৌজদারহাটে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়। রোববার দিবাগত রাত ২ টায় তাদের উদ্ধার করা হয়।

    ওই ছয়জন হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা থানার ইতালি ফেরত প্রবাসী দস্তগীর হোসাইন মাহফুজ ও সদর থানার সিরাজাম মুনির দুর্জয়, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের (কুমেক) শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম ও ইব্রাহীম খলীল এবং চবি উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী ১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শাহনেওয়াজ রানা ও একই বিভাগের ১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জয়। জয় ও রানা আব্দুর রব হলের ওই কক্ষে থাকতেন।

    জানা যায়, গত ৫ মার্চ ইতালি থেকে ফেরেন দস্তগীর হোসাইন মাহফুজ নামে ওই যুবক। বিমানবন্দরের কোনো চেকআপ না করিয়ে সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন তিনি। তার সাথে আসে নিজ এলাকার বন্ধুরা। তারা সাজেক ভ্রমণের জন্যই মূলত এখানে এসেছিল। বিগত বেশ কিছুদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবদুর রব হলের ওই কক্ষে অবস্থান করছিলেন তারা। আর তাদের নিয়ে আসেন শাহনেওয়াজ নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থী। প্রায় ২-৩ দিন পর্যন্ত তারা হলে অবস্থান করার পর গতকাল রাতে খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি তাদের উদ্ধার করে তাৎক্ষণিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠায়।

    এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আহসানুল কবির পলাশ বলেন, আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ওই ছয়জনকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়েছি। পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তাদের যাচাই করা হবে। আর যে শিক্ষার্থী তাদের এখানে এনেছে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • করোনা আক্রান্ত দু’জনের সংস্পর্শে আসা ৪০ জন কোয়ারেন্টাইনে

    করোনা আক্রান্ত দু’জনের সংস্পর্শে আসা ৪০ জন কোয়ারেন্টাইনে

    প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ইতালি প্রবাসী সেই দুজনের সংস্পর্শে আসা ৪০ জনকে শনাক্ত করে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম।

    সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

    এর আগে রোববার স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তিনজন রোগী শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে একজন নারী ও দুজন পুরুষ। এর মধ্যে দুজন ইতালি ফেরত। তাদের বয়স ২০ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে।

    করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্ক আছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে আসাদুল ইসলাম জানান, ‘অবশ্যই আছে। এই আশঙ্কা রোধের জন্য আমরা ব্যবস্থাও করেছি। তাদের কন্ট্রাক্ট ট্র্যাকিং করে কোথায় গেছে, কাদের সঙ্গে মিশেছে- সবকিছু করে…আমরা প্রথম জনের জন্য ৪০ জনকে ট্র্যাক করেছি। কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করেছি।’

    তিনি বলেন, ‘বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল অনুযায়ী, তাদেরকে আমরা ফার্স্ট কন্ট্রাক্ট ধরব, এক্সটেন্ডেড কন্ট্রাক্ট ধরব, তাদের কীভাবে কোয়ারেন্টাইল করব- সবকিছু ফলো করেই আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

    স্বাস্থ্যসচিব আরও বলেন, ‘কার সঙ্গে মিশেছে, কোথায় গেছে সে অনুযায়ী তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এটার নির্দিষ্ট সংখ্যা বলতে পারব না। তাদের যতো কন্ট্যাক্ট আইডেন্টিফাই করেছি সবাইকে কোয়ারেন্টাইনে রেখেছি।’

    ইতালি থেকে আসা যারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তারা বিমানবন্দর পেরিয়ে আসল কীভাবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, করোনায় ভাইরাস থাকলে সঙ্গে সঙ্গে জ্বর আসবে বা অন্যকিছু হবে তা নয়। ১৪ দিন পর্যন্ত এটির উপসর্গ হিডেন থাকতে পারে। যখন তিনি এসেছেন তখন কিন্তু তার উপসর্গ ছিল না।

    ‘ফলে আইডেন্টিফাই করার ব্যবস্থা নেই, এমনকি স্ক্যানিংয়ে তার জ্বর ধরা পড়বে না। তাদের একটি লোকটর ফর্ম দেয়া হয়েছে, সেখানে সে কীভাবে থাকবে তার তথ্য নেয়া হয়, আর কোনো উপসর্গ দেখা দিলে চলে আসবেন সেটি বলা হয়।’

    তিনি বলেন, আমরা সে ক্ষেত্রে তাদের মোবাইল ট্র্যাকিং করি। তারা কোথায় থাকলো, কি করেছে এগুলো জানি। আবার তারাও হটলাইনে যোগাগাযোগ করে জ্বর, কাশি হলে। এভাবে ১০০ জনকে আমরা টেস্ট করেছি যাদের এই উপসর্গ ছিল। তাদের মধ্যে এই দুইজন যারা বিদেশ থেকে এসেছিল তাদের শরীরে ধরা পড়ছে।

    বিদেশ থেকে আসার ক্ষেত্রে কোনো বিধি নিষেধ দেয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ‘যেসব দেশে বেশি আক্রান্ত হয়েছে সেসব দেশ থেকে যেন কম আসে। এমনকি আমাদের যারা সে দেশে আছে তাদের যাতায়াত রেস্ট্রিক্টেড করার পরামর্শ দিয়েছিলাম। এদের মধ্যে যেসব দেশে বেশি প্রাদুর্ভাব তাদের অনএরিভাল ভিসা স্থগিত করেছি। স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে আমরা পরামর্শ দিয়েছি।’