Tag: ক্যাব

  • চট্টগ্রামে মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে সমাবেশ অনুষ্ঠিত

    চট্টগ্রামে মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে সমাবেশ অনুষ্ঠিত

    চট্টগ্রামে মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা এবং সমন্বিত বিদুৎ ও জ্বালানি মহাপরিকল্পনা (আইইপিএমপি) বাতিলের দাবিতে যুব সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার ২৪ জুন বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম সিটিকরপোরেশনের বহদ্দারহাট পুলিশ ফাঁড়ি ও কাঁচা বাজার চত্বরে এ যুব সমাবেশর আয়োজন করা হয়েছে। বেসরকারী উন্নয়ন সংগঠন আইএসডিই বাংলাদেশ, ভোক্তা অধিকার সংগঠন ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম মহানগর, উপকূলীয় জীবনযাত্রা ও পরিবেশ কর্মজোট (ক্লিন) ও বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ইকোলোজি এন্ড ডেভেলপমেন্ট (বিডবিøউজিইডি) এর উদ্যোগে এই কর্মসূচি হয়।

    ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইনের সভাপতিত্বে ও ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি আবু হানিফ নোমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্ঠা সভাপতি এম নাসিরুল হক, এডাব চট্টগ্রামের সভাপতি ও বিশিষ্ঠ নারী জেসমিন সুলতানা পারু, প্রশিকার উপ-পরিচালক অজয় মিত্র শংকু, বহ্দ্দারহাট সিটিকরপোরেশন ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজী জানে আলম, সাধারন সম্পাদক হাজী বদিউল আলম, বন গবেষণাগার কলেজের অধ্যাপক একেএম হুমায়ুন কবির, ক্যাব সদরঘাটের সভাপতি শাহীন চৌধুরী, ক্যাব চান্দগাঁও থানা সভাপতি জানে আলম, সাধারন সম্পাদক অধ্যক্ষ ইসমাইল ফারুকী, ক্যাব নেতা অধ্যক্ষ আবু ইউনুচ, অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান দুর্জয়, ক্যাব যুব গ্রুপের যুগ্ন সম্পাদক আমজাদুল হক আয়াজ, সহ-সাংগঠনিক মিশকাত, সহ-অর্থ সম্পাদক ইব্রাহিম ফারুক, আইন সম্পাদক মিনা আকতার, প্রচার সম্পাদক এমদাদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাব যুব গ্রুপের রাব্বি তৌহিদ, তুষার চৌধুরী প্রমুখ।

    সমাবেশে এস এম নাজের হোসাইন বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে জলবায়ু-সহিষ্ণু মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে বাংলাদেশ সরকার ‘মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা’ গ্রহণ করে। এর আলোকে ওই বছরই ডিসেম্বরে জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালের মধ্যে ৪০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিশ্চিত করার অঙ্গিকার পুর্নব্যক্ত করেন। ২০২৩ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রী পরিষদ এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য অনুমোদন দেয়। এতে বাংলাদেশে ২০৩০ সালের মধ্যে ২০ শতাংশ, ২০৪১ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশ এবং ২০৫০ সালের মধ্যে শতভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানি বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করা হয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার বিরুদ্ধে গিয়ে প্রস্তাবিত সমন্বিত বিদুৎ ও জ্বালানি মহাপরিকল্পনা (আইইপিএমপি)’র চতুর্থ খসড়া তৈরি করা হয়েছে। এই খসড়ায় ২০৪১ সালের মধ্যে সবোর্চ্চ ৪০ শতাংশ তথাকথিত ‘পরিছন্ন জ্বালানির’র লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। পরিছন্ন জ্বালানির আওতায় উন্নততর প্রযুক্তির নামে আমদানি-নির্ভর অনির্ভরযোগ্য তরল হাইড্রোজেন, আ্যামোনিয়া ও কার্বন সংরক্ষণ প্রযুক্তি প্রবর্তনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যা দেশের অর্থনীতির ক্ষতিকর হতে পারে।

    তিনি আরও বলেন, এই অবস্থায় বাংলাদেশ সরকারের ভিশন ২০৪১ ও অধীনে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, জ্বালানি নিরাপত্তা ও নিরাপদ পরিবেশ সংরক্ষণে বাংলাদেশ সরকারের কাছে দাবি জাইকার অর্থায়নে জাপানি প্রতিষ্ঠান আইইইজে প্রণীত বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী খসড়া আইইএমপি অবিলম্বে বাতিল করা হোক। পাশাপাশি মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনার’র শতভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানি বাস্তবায়নের জন্য সৌর ও বায়ুবিদ্যুৎ প্রাধান্য দিয়ে দেশজ মালিকানায় দেশের নীতি নির্ধারক ও বিশেষজ্ঞদের নিয়ে সমন্বিত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা দরকার।

    বক্তারা বলেন জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সির (জাইকা) সহযোগিতায় ইনস্টিটিউট অব এনার্জি ইকোনোমিক্স, জাপান (আইইইজে) বাংলাদেশের জন্য আইইপিএমপি প্রণয়ন করছে। এর আগে ২০১০ ও ২০১৬ সালেও জাইকার সহোযোগিতায় বিদুৎ খাত বিষয়ক মহাপরিকল্পনা (পিএসএমপি) প্রণয়ন করা হয়েছিল। এগুলোতে বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছিল আমদানী-নির্ভর কয়লা ও তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি)। করোনা-পরবর্তী অর্থনৈতিক সংকটে এখন বাংলাদেশ আমদানিকৃত জ্বালানির ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ফলে কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা বিনিয়োগ করেও বিদুৎ সমস্যার সমাধান করা যাচ্ছে না। নবায়নযোগ্য জ্বালানি, বিশেষ করে সৌর ও বায়ু বিদুতে বিনিয়োগ করলে বর্তমান সংকট এতটা গভীর হতো না।

    বক্তারা আরও বলেন, আইইপিএমপি প্রনয়ণ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার চরম ঘাটতি রয়েছে। জাইকা বা বাংলাদেশ সরকার-কোন পক্ষই এই প্রকল্পের বাজেট ও কার্য়ক্রমে প্রবেশ করেনি। জাপানের কারিগরি সহায়তার অধীনে গোপনে জাপানি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করে জাইকা এই কাজ করছে যা ওইসিডি ওইসিডিভুক্ত (আন্তর্জাতিক সংস্থা অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) দেশ হিসেবে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

  • করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও সাধারন রোগীদের চিকিৎসায় ভোগান্তি নিরসনে নাগরিক পরিবীক্ষন জোরদারের দাবি

    করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও সাধারন রোগীদের চিকিৎসায় ভোগান্তি নিরসনে নাগরিক পরিবীক্ষন জোরদারের দাবি

    করোনা মহামারী শুরুর পর থেকে করোনায় আক্রান্ত ও আক্রান্ত নয় এমন সব রোগীদের চিকিৎসা সেবা পেতে নানা ভোগান্তির চিত্র ফুটে উঠছে বিভিন্ন মিডিয়ায়। সরকার করোনা আক্রান্তদের জন্য নির্দিষ্ঠ হাসপাতাল নির্ধারন করে দেন।

    কিন্তু পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় পরবর্তীতে সরকারী-বেসরকারী সকল হাসপাতালে সকল রোগীদের সেবা নিশ্চিতের নির্দেশনা দেন। তারপরও কোভিড পরীক্ষার রেজাল্ট আছে কিনা তা প্রদর্শন করতে না পারলে রোগী ভর্তি ও হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। প্রতিদিন কোন না কোন সাধারণ রোগীর চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যুবরণ করার সংবাদ প্রচারিত হচ্ছে।

    এমনকি বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডাঃ হাসান শাহরিয়ারের মা পর্যন্ত চট্টগ্রামে ডায়লসিস করতে ব্যর্থ হয়ে ঢাকায় চিকিৎসা নিতে হচ্ছেন। আবার বেসরকারী হাসপাতালগুলিতে রোগীদের ভোগান্তি নিরসনে বিভাগীয় কমিশনার অফিস ভোক্তাদের প্রতিনিধি ছাড়াই তদারকি কমিটি করলেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও সাধারন রোগীদের চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত হবার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিষয়টি ভোগান্তি নিরসনে নাগরিক পরিবীক্ষন জোরদার ও চিহ্নিতদের বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম।

    সরকারী-বেসরকারী হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা বৃদ্ধির খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করে ০১ জুন ২০২০ সোমবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ন সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান, ক্যাব যুব গ্রুপের সভাপতি চৌধুরী কে এনএম রিয়াদ ও সম্পাদক নিপা দাস উপরোক্ত দাবি জানান।

    বিবৃতিতে ক্যাব নেতৃবৃন্দ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সরকার করোনা মোকাবেলায় বিভাগী ও জেলা পর্যায়ে সমন্বয় কমিটি গঠন, বিভিন্ন অংশীজনদের সাথে প্রতিনিয়ত সমন্বয় সভা করলেও রোগীদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে সক্ষম হয় নি। অধিকন্তু সেবা না পেয়ে জনগন ক্ষুদ্ধ ও অসন্তোষের মাত্রা প্রতিনিয়তই বাড়ছে। যদিও সরকারের এ সমস্ত তদারকিতে নাগরিক সমাজ কতটুকু সম্পৃক্ত, নাকি কিছু সরকারী কর্মকর্তা ও ঐ সেক্টরের লোকজন মিলে সবকিছু হচ্ছে, তা এখন আলোচনার বিষয়।

    নেতৃবৃন্দ আরও বলেন সেবা পেতে রোগীদের ভোগান্তি, হয়রানি, সেবা না পাওয়া, লাগামহীন সেবা মূল্য আদায়, স্বাস্থ্য সেবাপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলিতে নজরদারির অভাব ইত্যাদি সমস্যায় সরকারী-বেসরকারী হাসপাতালগুলির নিত্যদিনকার চিত্র হলেও কার্যত কোন ব্যবস্থা গ্রহনে মন্ত্রনালয় সফল হযনি।

    জেলা-উপজেলা হাসপাতালে রোগীদের প্রতিনিধিত্ব ছাড়া স্থানীয় সাংসদের নেতৃত্বে একটি অকার্যকর উপদেষ্ঠা কমিটি থাকলেও বেসরকারী ক্লিনিক ও হাসপাতালগুলির সেবার মান ও রোগীদের ভোগান্তি নিরসনে ঢাকায় অধিদপ্তর ছাড়া স্থানীয় ভাবে কোন তদারকি নাই। ফলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা চলছে অভিভাবক হীন ও জবাবদিহীতা ছাড়া।

    আবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার অফিস বেসরকারী হাসপাতালগুলিতে রোগীদের ভোগান্তি নিরসনে তদারকি কমিটিতে ভোক্তাদের প্রতিনিধি অর্ন্তভুক্ত করা হয়নি। ফলে সরকারী কর্মকর্তা ও ক্লিনিক মালিকরাই মিলে তাদের মতো করেই রোগীদের ভোগান্তি তদারকি করবেন।

    বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হলে স্বাস্থ্য সেবার সাথে জড়িত সকল পক্ষের প্রতিনিধিত্ব ও অংশগ্রহন নিশ্চিত করে জনঅংশগ্রহনমুলক স্বাস্থ্য সেবা বাস্তবায়ন করতে হবে। সেবা কর্মকান্ডকে নাগরিক পরীবিক্ষনের আওতায় আনতে হবে।

    সরকারী স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর জনগনের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। মন্ত্রী, এমপি ও সরকারী উচ্চ পর্যায়ের চিকিৎসা সেবা দেশীয় সরকারী হাসপাতালে সেবা গ্রহন বাধ্যতামুলক করতে হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর