Tag: ক্যাব চট্টগ্রাম

  • “সিন্ডিকেট থামাও, জীবন বাঁচাও” খাতুনগঞ্জ অভিমুখে ক্যাব’র পদযাত্রা

    “সিন্ডিকেট থামাও, জীবন বাঁচাও” খাতুনগঞ্জ অভিমুখে ক্যাব’র পদযাত্রা

    “সিন্ডিকেট থামাও, জীবন বাঁচাও” খাতুনগঞ্জ অভিমুখী পদযাত্রায় ক্যাব চট্টগ্রাম নেতৃবৃন্দ
    পেয়াঁজসহ নিত্যপণ্যের কৃত্রিম সংকটের অপকর্মের হোতাদের বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তির পরিবর্তে জামাই আদরের কারনে তারা বারবার অপকর্ম করছে আইন প্রয়োগে শিথিলতা ও স্থানীয় প্রশাসনের আশ্রয়-প্রশ্রয়ের কারনে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী বারবার পেয়াঁজসহ নিত্যপণ্যের বাজারে কারসাজি, মজুত ও অতিমুনাফাসহ নানা কারসাজি করছেন। আর যারা এগুলো দেখার দায়িত্ব তাঁরা দেখেনি বা কোন অভিযোগ পাই নাই এভাবে নানা অজুহাতে বিষয়টিকে পাশকাটানোর কারনে ব্যবসায়ীরা বেপরোয়া হয়ে ভোক্তাদের পকেট কাটছে। ব্যবসায়ীরা একবার পেয়াঁজ, একবার আলু, একবার আদা-মসলা, আরেকবার স্যালাইন আবার ডাবের মতো পণ্য নিয়ে কারসাজি করে মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাত্রাকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। আবার আইন প্রয়োগে চেহারা ও রাজনৈতিক পরিচয় দেখে ব্যবস্থা নেবার কারনে আইনের স্বাভাবিক গতি বারবার ব্যহত হচ্ছে। যার কারনে পুরো বছর জুড়ে কোন না কোন পণ্যের কৃত্রিম কারসাজি লেগেই থাকে। আর সংকট হলেই প্রশাসন বলেই বেড়ান সাড়াশি অভিযান হবে বলে হুংকার দিলেও শেষ পর্যন্ত খুচরা দোকানে লোক দেখানো কিছু অভিযান পরিচালনা করে বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের সদিচ্ছাকে কার্যত ব্যর্থ করে দিচ্ছেন। যার কারনে বানিজ্য মন্ত্রী স্থানীয় প্রশাসনকে বারবার বাজার তদারকিতে সম্পৃক্ততা বাড়ানোর নির্দেশনা দিলেও সেগুলো কাগজে কলমেই থেকে যাচ্ছে। মাঠ পর্যায়ে তার কোন সুফল আসছে না।

    ১৩ ডিসেম্বর ক্যাব চট্টগ্রামের উদ্যোগে দেশের বৃহত্তম পাইকারী বাজার খাতুনগঞ্জ অভিমুখি “সিন্ডিকেট থামাও, জীবন বাঁচাও” শীর্ষক পদযাত্রায় ক্যাব চট্টগ্রাম নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত অভিযোগ করেন।

    ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম মহনগরের সভাপতি আবু হানিফ নোমানের সঞ্চালনায় পদযাত্রায় সংহতি জানান ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ন্যাপ কেন্দ্রিয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিটুল দাস গুপ্ত, ক্যাব সদরঘাটের শাহীন চৌধুরী, ক্যাব পাঁচলইশের সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম জাহাঙ্গীর, প্রশিকার গীতা রানী দত্ত, ক্যাব জামালখানের সালাহউদ্দীন, ক্যাব পাহাড়তলীর হারুন গফুর ভুইয়া, ক্যাব কোতোয়ালীর ডাঃ ফজলুল হক সিদ্দিকী, ক্যাব মোহরার রুবি খান, ক্যাব চকবাজারের আবদুল আলীম, তৃণমূল জনসগঠনের আবুদল মোতালেব মাস্টার, ক্যাব যুব গ্রুপের রাসেল উদ্দীন, মোহাম্মদ রায়হান, নিলয় বিশ্বাস, আবরারুল করিম নেহাল, আশফাকুর রহমান, খালেদ সাইফুল্লাহ, রাইসুল ইসলাম, আরাফাত চৌধুরী, সালমান রুশদি, সাইমন হোসেন প্রমুখ।

    বক্তারা বলেন, কোন কারন ছাড়াই কিছু দিন পর পর বৈধ আমদানির ছাড়পত্র, এলসি খোলার কাগজপত্র ছাড়া আমদানিকারকের কমিশন এজেন্ট, আড়তদার পরিচয়ে কিছু পেঁয়াজসহ ভোগ্যপণ্য ব্যবসায়ীরা জনগনকে জিম্মি করে বাজারে অস্থিরতা সৃষ্ঠি করছেন। দেশের চাহিদার সিংহভাগ দেশীয় উৎপাদন দিয়ে মেটানো সম্ভব হলেও ব্যবসায়ীরা আমদানিকৃত পেঁয়াজ বিক্রিতে স্বাচ্ছ্যন্দ। কারন পেপারলেস ব্যবসা হবার কারনে আমদানিকৃত পেয়াঁজ নিয়ে ক্রেতাদের সহজেই বোকা বানানো যায়। ২০১৯ সালেও এ সমস্ত ব্যবসায়ীরা একই কায়দায় পেয়াঁজের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছিলো। এবারও তারা একই কায়দায় ক্রেতাদের পকেট কাটছে। প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করলেই ধর্মঘটসহ নানা হুমকি প্রদান করছে। অপকর্মের হোতাদের বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তির পরিবর্তে জামাই আদরের কারনে তারা বার বার এ ধরনের অপকর্ম করে যাচ্ছে।

    নেতৃবৃন্দ আরও বলেন মানুষের জনদুর্ভোগ লাগবে কার্যকরী ও বিকল্প ব্যবস্থা হিসাবে ভ্রাম্যমান আদালত, সমন্বিত বাজার তদারকি কার্যক্রম একটি উদ্ভাবনী মডেল চলমান ছিলো। যেখানে জেলা-উপজেলা প্রশাসন সফল ভাবে নেতৃত্ব প্রদান করলেও বর্তমানে এধারাটি আর নিত্যভোগ্য পণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখা, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতের মতো অতিজনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিতে না নিয়ে ভিন্নখাতে প্রভাহিত হচ্ছে। ফলে সাধারন মানুষের জীবন-জীবিকায় দুর্ভোগ লাগবের বিষয়গুলি গৌণ হয়ে যাচ্ছে। ফলে সরকারের অনেক উদ্ভাবনী উদ্যোগের সফল তৃণমূল মানষ উপভোগে সম্ভব হচ্ছে না।

    বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, গুটিকয়েক অসাধু ব্যবসায়ী খাদ্য সিন্ডিকেট করে মানুষের খাদ্য নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছেন। মানুষরূপী এসমস্ত মূল্য সন্ত্রাসীদেরকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে বয়কটে সংঘবদ্ধ হওয়া দরকার। মানুষ সচেতন হলে এভাবে জনগনের পকেট কেটে, আবার তারা দানবীর সাজার জন্য সমাজের মুল স্রোতধারায় চলে আসা বন্ধ হবে। রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ মাদ্রাসায় অনুদান দিয়ে বাহবা খুড়াঁয়। বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও মিডিয়াগুলো তাকে আবার সাদা মনের মানুষ বলে প্রচার করেন। অথচ তার আয়ের উৎস কি কেউ জানার চেষ্টা করেও না। একারনে তারা একবার জনগনের পকেট কাটার জন্য খাদ্যপণ্যসহ বিভিন্ন ব্যবসায় লগ্নি করেন। আবার দলীয় এমপি, নেতা হবার জন্য আরেকবার লগ্নি করেন। তাদেরকে আশ্রয় পশ্রয় না দিলে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা এভাবে বিষফোড়া হয়ে জাতির জন্য হুমকি হতে পারতো না। তাই এখন সময় এসেছে জনগনকে সংগঠিত হয়ে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ে তোলা।

    বক্তারা আরও বলেন, দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন একটি পক্ষ ক্ষমতায় থাকা, অপর পক্ষ ক্ষমতায় যেতে মরিয়া হলেও সাধারন মানুষের দুঃখ দুর্দশা ও ভোগান্তির বিষয়ে কোন টু-শব্দ পর্যন্ত নেই। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় টিসিবি ও খাদ্যবিভাগের ওএমএস এর পণ্য সংগ্রেহে লম্বা লাইনে ঘন্টার পর ঘন্টা দাড়িয়ে রীতিমতো যদ্ধে লিপ্ত থাকলেও জনদরদী নেতাদের ও তথা কথিত ব্যবসায়ী রাজনীতিবিদদের তাদের কথা ভাববার সময় নেই। ফলে ভোটের আগেই এক পক্ষ নির্বাচিত হবার গ্যারান্টি নিয়ে মাঠে নামতে চরম প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। সেখানে সাধারন মানুষের জীবন জীবিকার নিশ্চিয়তার দাবি তাদের কানে পৌঁছায় না। সাধারন মানুষ এখন রাজনীতির মুল নিয়ামক নয়, একটা সময় গুন্ডা, মটর সাইকেল রাজনীতির নিয়ামক হলেও বর্তমানে সরকারের প্রশাসনিক যন্ত্রই মুল চালিকা শক্তিতে পরিনত হওয়ায় সাধারন মানুষের স্বার্থ বারবার জলাঞ্জলিতে যাচ্ছে। যার কারনে ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সংরক্ষনের দায়িত্বে নিয়োজিত বানিজ্য মন্ত্রণালয়কে ভোক্তা স্বার্থের বিষয়টি দেখভাল করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। বিষয়গুলি অনেকটাই বিড়ালকে মাছ পাহারা দেবার মতো। ফলে ব্যবসায়ীরা মুক্ত বাজার অর্থনীতির নামে একবার পেঁয়াজ, একবার চাল, একবার মসলা, একবার সয়াবিন এভাবে পুরো বছর জুড়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্য পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরী করে জনগনের পকেট কাটছে। দেশের ভোক্তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের বার্ষিক চাহিদা নিরুপণ, উৎপাদন, যোগান, বাজারজাতকরণে প্রতিবন্ধকতা নিয়ে অনুসন্ধান, ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণে চিন্তা করার সময় বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের থাকে না।

  • ভোক্তাদের অধিকার সুরক্ষায় পৃথক ভোক্তা অধিকার মন্ত্রণালয়ের দাবি

    ভোক্তাদের অধিকার সুরক্ষায় পৃথক ভোক্তা অধিকার মন্ত্রণালয়ের দাবি

    পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ভোক্তাদের জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় থাকলেও বাংলাদেশে ভোক্তাদের জন্য পৃথক কোন মন্ত্রনালয় নেই। ভোক্তার অধিকার নিয়ে ক্যাব দীর্ঘদিন ধরে সভা, সেমিনার, মানববন্ধনসহ নানা ভাবে দাবি করে আসলেও বর্তমান সরকারের আমলেই ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইন ২০০৯, ভোক্তা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা, নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করা হয়। নিত্যপণ্যের বাজারে চলমান সিন্ডিকেট ও অস্থিরতা ঠেকাতে ভোক্তাদের জন্য সমন্বিত ভাবে বিএসটিআই, ভোক্তা অধিদপ্তর ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষসহ সকলকে নিয়ে ওয়ান স্টপ সেবা প্রদানে পৃথক ভোক্তা অধিকার মন্ত্রণালয়ের বিকল্প নাই। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রধান ভূমিকা ও কাজ হলো ব্যবসা সম্প্রসারণ ও ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সুরক্ষা দেয়া। দেশে শিল্প বানিজ্য, আমদানি-রপ্তানির যারা চালিকা শক্তি, তাদের প্রতি অধিকতর সহানুভূতিশীল থাকা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জন্য স্বাভাবিক বিষয়। দেশে ন্যায্য ব্যবসার চর্চা থাকলে হয়তো ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি ব্যবসা-বানিজ্যের অন্যতম অংশীজন ভোক্তাদের বিষয়টি বিবেচনায় থাকতো। কিন্তু বর্তমান বাস্তবতায় বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষে এই দায়িত্ব পালন করে সব পরিস্থিতিতে ভোক্তা স্বার্থ সংরক্ষণ করা সম্ভব হচ্ছে না। যদি পৃথক মন্ত্রণালয় হয় তাহলে ১৮ কোটি ভোক্তার সমস্যাগুলি আরও দ্রুত সরকারের নীতি নির্ধারকদের দৃষ্ঠিগোছর করাা সম্ভব হবে। ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদের মাঝে বিদ্যমান বৈষম্যও কিছুটা হ্রাস পাবে এবং সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে।

    ১১ নভেম্বর চট্টগ্রাম সিটিকরপোরেশন বহদ্দারহাট কাঁচাবাজার সম্মুখে পুলিশবক্স চত্ত্বরে “সিন্ডিকেট থামাও, জীবন বাঁচাও” ও পৃথক ভোক্তা অধিকার মন্ত্রনালয়ের দাবিতে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদী মানববন্ধনে উপরোক্ত দাবি জানানো হয়।

    কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম মহানগর ও বিভাগ এবং ক্যাব যুব গ্রুপের আয়োজনে আয়োজিত প্রতিবাদী মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি এম নাসিরুল হক, ন্যাপ কেন্দ্রিয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মিটুল দাস গুপ্ত, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরেরর যুগ্ম সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, ক্যাব সদরঘাট থানা সভাপতি শাহীন চৌধুরী, ক্যাব চান্দগাঁও থানা সভাপতি মোহাম্মদ জানে আলম, সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আবু ইউনুচ, সাধারন সম্পাদক ইসমাইল ফারুকী, ক্যাব বায়েজিদ থানা সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা এবিএম হুমায়ুন কবির, ক্যাব ৬নং পুর্ব ষোল শহর ওয়ার্ড সভাপতি অধ্যক্ষ মনিরুজ্জমান, নারী নেত্রী রুহি দাস, ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি আবু হানিফ নোমান, সদস্য খালেদ সাইফুল্লাহ, মহারাজ চৌধুরী ও ওমর করিম প্র্রমুখ।

    বক্তারা বলেন, ভোক্তারা দেশের বৃহত্তম অর্থনৈতিক গোষ্ঠি হলেও তাদের স্বার্থ ও অধিকার সুরক্ষায় কোন পৃথক মন্ত্রণালয় নাই। ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি ক্ষুদ্র অধিদপ্তরের মাধ্যমে কিছু উদ্যোগ নেয়া হলেও এটিও প্রয়োজনের তুলনায় খুবই নগন্য। আর ভোক্তাদের অধিকার ও সুবিধা প্রদানের জন্য সবকিছুর ভার দেয়া হয়েছে ব্যবসায়ীদের ওপর। ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সংরক্ষনের দায়িত্বে নিয়োজিত বানিজ্য মন্ত্রণালয় ভোক্তা স্বার্থের বিষয়টি দেখভাল করার কারনে ভোক্তা স্বার্থ বারবার উপেক্ষিত ও ভুলন্টিত হচ্ছে। বিষয়গুলি অনেকটাই বিড়ালকে মাছ পাহারা দেবার মতো। ফলে ব্যবসায়ীরা মুক্ত বাজার অর্থনীতির নামে একবার পেঁয়াজ, একবার চাল, একবার মসলা, একবার সয়াবিন এভাবে পুরো বছর জুড়ে নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্য পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরী করে জনগনের পকেট কাটছে। দেশের ভোক্তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের বার্ষিক চাহিদা নিরুপণ, উৎপাদন, যোগান, বাজারজাত করণে প্রতিবন্ধকতা নিয়ে অনুসন্ধান, ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণে চিন্তা করার সময় বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের থাকে না।

    বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ভারতীয় নীতিনির্ধারকেরা রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা লগ্নে ১৯৪৭ সালেই ভোক্তা বিষয়ক পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রণালয় গঠন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। ভারত শুরুতেই অন্তত কাঠামোগত দিক থেকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছিল। তার কারনে ভারতে মুল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা সব সময় সম্ভব হচ্ছে। তাই দ্রুত পৃথক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করে ভোক্তাদের প্রতি দীর্ঘদিনের অবহেলার পরিসমাপ্তির দাবি জানান।

  • ক্যাব’র দাবির প্রেক্ষিতে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিকের আশ্বাস কেজিডিসিএলের

    ক্যাব’র দাবির প্রেক্ষিতে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিকের আশ্বাস কেজিডিসিএলের

    ঘুর্নীঝড় মোখার ক্ষয় ক্ষতি কমাতে বিগত দুই দিন ধরে চট্টগ্রাম মহানগরীর বাসাবাড়ী, সিএসজি স্টেশন ও শিল্পকারখানায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেন কর্নফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানাী লিঃ(কেজিডিসিএল)। ফলে বাসাবাড়ীতে খাবারের সংকট প্রকট হয়ে যায়, খাবার কিনতে হোটেল রেস্তোরায় ভিড় করলেও সেখানেও গ্যাস সরবরাহ না থাকায় নাকাল এবং বাড়তি টাকায় খাবার কিনতে বাধ্য হয়েছেন। এসুযোগে এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডিারের মূল্যবৃদ্ধি করে ১২শত টাকার সিলিন্ডার ৩ হাজার টাকার, রাইস কুকার, স্টোভ ও কেরেসিনের তেলের দাম আকাশুচম্বি করে একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী প্রচুর টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় গণপরিবহন, সিএনজিও টেক্সিগুলোও বাড়তি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এ অবস্থায় নগরবাসীর এই দুঃখ দুদর্শা লাগবে ক্যাব চট্টগ্রামের নেতৃবৃন্দ দ্রুত ছুটে যান কর্নফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানাী লিঃ (কেজিডিসিএল) কর্তৃপক্ষের কাছে।

    সোমবার (১৫ মে) কেজিডিসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সাথে জরুরি সভা করে গ্রাহকদের উদ্বেগ জানান এবং দ্রুত গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক করার দাবি জানান দেশের ক্রেতা-ভোক্তাদের স্বার্থসংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগ ও নগর কমিটির নেতৃবৃন্দ।

    কেজিডিসিএল এর ব্যবস্থ্পানা পরিচালক প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামের সাথে অনুষ্ঠিত জরুরি সভায় অংশনেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের যুগ্ন সম্পাদক মোঃ সেলিম জাহাঙ্গীর, ক্যাব চান্দগাও থানা সভাপতি মোঃ জানে আলম, ক্যাব যুব গ্রুপ বিভাগীয় সভাপতি চৌধুরী কে এন রিয়াদ, ক্যাব যুব গ্রুপ মহানগর সভাপতি আবু হানিফ নোমান প্রমুখ। কেজিডিএল ইঞ্জিনিয়ারিং সাভিসেস এর মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মুহাম্মদ রইস উদ্দীন আহমদ এ উপলক্ষে উপস্থিত ছিলেন।

    ক্যাব চট্টগ্রাম নেতৃবৃন্দের উদ্বেগ ও উৎকন্ঠার প্রেক্ষিতে কেজিডিসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম জানান অতিদ্রুত চট্টগ্রাম নগরে বাসাবাড়ীতে ও সিএনজি স্টেশনে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হবে। ইতিমধ্যেই গ্যাস সংযোগ স্বাভাবিক করা হচ্ছে। ঘুর্নীঝড় মোখার ক্ষয়ক্ষতি কমাতে মহ্শেখালীতে অবস্থিত এলএনজি টার্মিনালগুলো নিরাপদে সরানো হয়। যার কারনে চট্টগ্রামে গ্যাস সংযোগ বন্ধ করা হয় এবং গ্রাহকদেরকে অবহিত করা হয়। পত্রপত্রিকা ও সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচার করা হয়।

    ক্যাব নেতৃবৃন্দ চট্টগ্রাম মহানগরে এলএনজি নির্ভর গ্যাস সরবরাহ ব্যবস্থার কারনে যে কোন ভাবে আমদানিতে সংকট হলেই চট্টগ্রামে গ্যাস সংকট প্রকট হয়ে যায়। এ অবস্থায় বিকল্প ব্যবস্থায় গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ন্যাশনাল গ্রীড থেকে বাখরাবাদ বা দেশীয় মজুত থেকে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার দাবি জানান। একই সাথে যে কোন প্রাকৃতিক বিপর্যয় বা যে কোন সংকট মোকাবেলায় বিকল্প ব্যবস্থায় বাসাবাড়ী ও সিএনজি স্টেশনে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা এবং দেশীয় গ্যাসে চট্টগ্রামের হিস্যা নিশ্চিত করার দাবি জানান।

    নেতৃবৃন্দ আরও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন কর্নফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানাী লিঃ(কেজিডিসিএল) এর বসতবাড়ীতে ৫ লক্ষ ৯৭ হাজার সংযোগ আছে, যেখানে গ্যাসের চাহিদা প্রায় দৈনিক ৫০ মিলিয়ন ঘনমিটার। ঘুর্নীঝড় মোখার কারনে বাসাবাড়ীতে গ্যাস সংযোগ বন্ধ থাকায় প্রতি পরিবারে ২ দিনে প্রায় ৪ হাজার টাকার মতো অতিরিক্ত অর্থ করতে বাধ্য হয়েছেন। এছাড়াও মন্ত্রী ও কেজিডিসিএল এর মধ্যে কার্যকর সমন্বয় না থাকায় গ্যাস সংকট স্বাভাবিক নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্যের কারনে গ্রাহক পর্যায়ে বিভ্রান্তি সৃষ্ঠি হয়। তাই সুষ্ঠু সমন্বয় নিশ্চিত করার দাবি জানান।

  • চট্টগ্রামে ওয়াসার পানির হাহাকার ও লবনাক্তাতা দূরীকরণে কার্যকর উদ্যোগ না থাকায় ক্যাব’র ক্ষোভ

    চট্টগ্রামে ওয়াসার পানির হাহাকার ও লবনাক্তাতা দূরীকরণে কার্যকর উদ্যোগ না থাকায় ক্যাব’র ক্ষোভ

    প্রচন্ড তাপদাহে যখন দেশ পুড়ে যাচ্ছে, পানির চাহিদা যখন বেড়ে গেল তখন চট্টগ্রাম ওয়াসায় উৎপাদন কমে যাওয়ায় তীব্র পানির সংকট দেখা দিয়েছে। নগরের প্রায় অর্ধেক এলাকায় চট্টগ্রাম ওয়াসার সরবরাহ করা পানিতে মাত্রাতিরিক্ত লবণ পাওয়া যাচ্ছে। ওয়াসার দাবি, কাপ্তাই হ্রদে পানির স্তর অনেক নেমে গেছে। এ কারণে হ্রদের পানি ছাড়া হচ্ছে না। এর প্রভাবে হালদার পানিতে লবণাক্তা বেড়েছে। কর্ণফুলী নদীতে শেওলা জমা, কাপ্তাই হ্রদে পানি কমে যাওয়া, কর্ণফুলী ও হালদা নদীতে সমুদ্রের পানি প্রবেশের কারণে এতে ওয়াসার পানির উৎপাদন কমে গেছে। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত এ সংকটের সমাধান হবে না। এ ছাড়া হালদার পানিতে লবণাক্ততার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় শেখ রাসেল ও মোহরা পানি শোধনাগার থেকে চট্টগ্রাম ওয়াসার উৎপাদন অস্বাভাবিকভাবে হ্রাস পেয়েছে। এমতাব্স্থায় একদিকে পানির জন্য হাহাকার, অন্যদিকে মানুষ সুপেয় পানি পাচ্ছে না। সুপেয় পানির জন্য মানুষকে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে বেসরকারী পানি উৎপাদনকারীদের কাছ থেকে পানি কিনে পান করতে হচ্ছে। গৃহস্থলির কাজসহ দৈনন্দিন কাজে পানি প্রাপ্যতা না থাকায় মানুষের ভোগান্তির মাত্রা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। তাই জরুরিভাবে চট্টগ্রাম নগরীতে সুপেয় পানির প্রাপ্যতা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন দেশের ক্রেতা-ভোক্তাদের স্বার্থসংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগ ও নগর কমিটি। চট্টগ্রামে সুেপয় পানির ভয়াবহ সংকটে অতিষ্ঠ জনজীবন মারাত্মকভাবে ব্যহত হবার কারনে ক্ষোভ প্রকাশ করে এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ উপরেক্ত দাবি জানান।

    রবিবার (৭ মে) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, সহ-সভাপতি সাংবাদিক এম নাসিরুল হক, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান প্রমুখ।

    নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, শুরু থেকেই ওয়াসা লবণাক্ততার বিষয়টি গোপন করে এসেছে। শুষ্ক মৌসুমে চট্টগ্রামের ওয়াসার পানিতে লবণের বিষয়টি আরো দু-এক বছর আগেই আঁচ করা গিয়েছিল। কিন্তু চট্টগ্রাম ওয়াসা সতর্ক হয়নি, যার খেসারত এখন জনগণকে দিতে হচ্ছে। চট্টগ্রাম ওয়াসা লবণাক্ততা ও পানির সংকটের কারণে নগরের এক-তৃতীয়াংশ মানুষ ভোগান্তিতে আছে বললেও প্রকৃত অর্থে এই সংকটে অর্ধেকের বেশি নগরবাসী কষ্ট পাচ্ছে।

    নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, নগরবাসী বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে ওয়াসার লবণাক্ত পানি নিয়ে ভোগান্তিতে আছেন। পানি পরিশোধন করলেও লবণ যাচ্ছে না। অনেক জায়গায় নালার দুর্গন্ধযুক্ত, ময়লা ও কালো পানি পাচ্ছেন নগরবাসী। কেউ দূরদূরান্তের পুকুর ও গভীর নলকূপ থেকে পানি সংগ্রহ করে আনছেন। কেউ পানি কিনে রান্না ও খাওয়ার কাজ সারছেন। গোসলসহ অন্যান্য কাজ করতে পারছেন না। ওয়াসার বেশির ভাগ লাইন পুরোনো হওয়ার কারণে এমনিতেই সংকটে থাকতে হয় গ্রাহকদের। লাইনে লিকেজ বা ছিদ্রের কারণে পানি নষ্ট হয়। এখন সংকট আরও প্রকট হয়েছে। সেখানে ওয়াসা পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়েই ক্ষাান্ত। কার্যকর কোন উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি। অধিকন্তু নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহন ও পানির মূল্য বাড়াতে নতুন পরিকল্পনায় ব্যস্ত। ওয়াসার পরিচালনা পর্ষদ, ও সরকারের পক্ষে তদারকি মন্ত্রণালয়ের ভূমিকাও রহস্য জনক। সংকটে কারও তৎপরতা দৃশ্যমান না হওয়ায় হতাশা জনক।

    নেতৃবৃন্দ বলেন, এমন নাজুক পানি সরবরাহ ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে, যেখানে নগরবাসী চরমভাবে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েছে। মানুষ ওয়াসার পানি সরবরাহ নিয়ে চরম ভাবে ভুক্তভোগী হচ্ছে। নিরাপদ পানি সংগ্রহে বাড়তি অর্থ খরচ করতে হচ্ছে। এমনিতে বিভিন্ন এলাকায় পানির সরবরাহ কমে গেছে। যেটুকু আসছে, তা-ও লবণের কারণে মুখে নেওয়া যাচ্ছে না। এ পানি পান করে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। প্রতিবছর ঘুরতে না ঘুরাতেই পানির দাম বাড়ে, উন্নয়ন প্রকল্পেও হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ হয়, কিন্তু নগরবাসীকে নিরাপদ পানি সরবরাহের জন্য বৃষ্টির অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এর চেয়ে দুঃখজনক ঘটনা আর কী হতে পারে। কতৃপক্ষ আগে থেকেই লবনাক্ততা পরিশোধনে ব্যবস্থা গ্রহন করলে এ ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি থেকে রেহাই পেতো।

  • রমজানের বাজার একসাথে না করার আহ্বান ক্যাব’র

    রমজানের বাজার একসাথে না করার আহ্বান ক্যাব’র

    পবিত্র রমজান মাসে পণ্য-দ্রব্য ক্রয়ে সংযমের পরিচয় প্রদানের জন্য মাসের বাজার একসাথে না করে সপ্তাহের বাজার করা, দরিদ্রদের মাঝে নিত্যপণ্যের বাজার যোগান ও সরবরাহ ঠিক রাখতে ইফতার সামগ্রী বিতরণের পরিবর্তে নগদ অর্থ বিতরণ করা হলে পণ্যের সরবরাহ ও যোগানে ঘাটতি হবে না। বাজারের দোকানগুলিতে মূল্য তালিকা না থাকলে, কেউ অতিমুনাফা করলে বা হয়রানি করলে, অবৈধভাবে মজুত করলে ভোক্তা অধিদপ্তরের হটলাইন নাম্বার ১৬১২১, জেলা প্রশাসন ও ক্যাব এর নাম্বারে জানানোর আহবান জানানো হয়।

    অন্যদিকে পবিত্র মাহে রমজান মাস এলেই আমাদের দেশের কিছু ধনাঢ্য ব্যক্তি, ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান প্রতিযোগিতা আকারে ইফতার সামগ্রী বিতরন করে থাকেন। কিন্তু পুরো রমজান মাস জুড়ে সাধারন দরিদ্র মানুষ যেন ইফতার ও সেহেরী স্বাশ্রয়ী মূল্যে খেতে পারেন তার জন্য কিছু করার আহবান জানান। এ সমস্ত আয়োজনে সাধারন মানুষের একবেলা ইফতার জুটলেও পুরো মাসে রমজানে ইফতার সামগ্রীসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্য পণ্যের চরম উর্ধ্বগতিতে জনজীবন অতিষ্ঠ, সেখানে এ ধরনের ইফতার সামগ্রী বিতরনের আয়োজন সাধারন মানুষের জীবন যাত্রায় সহায়ক না হয়ে দুর্দশার কারন হয়ে দাড়িয়েছে। দান হিসাবে ইফতার সামগ্রী প্রদান করার কারনে এ সমস্ত সামগ্রীর যোগান ও সরবরাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্ঠি হচ্ছে এবং সামগ্রী পরিবর্তে নগদ অর্থ প্রদান করা হলে দরিদ্র মানুষ তার নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী কেনা-কাটা করতে পারতেন। ইফতার সামগ্রী বিতরণকালে অনেক সময় অপচয়ও ও চুরি হয়। তাই আসন্ন পবিত্র রমজানে নিত্যপণ্য মূল্যে মূল্য স্থিতিশীল রাখতে ইফতার সামগ্রী বিতরণের পরিবর্তে নগদ অর্থ প্রদান, মাসের বাজার একসাথে না করে সপ্তাহে করা ও ব্যবসায়ীদের অতিমুনাফা আদায় থেকে সংযম প্রদর্শন ও ইফতারে ভাজাপোড়া বাদ দিয়ে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের আহবান জানিয়েছে বক্তাগন।

    বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) সকালে দেশের বৃহত্তম পাইকারী বাজার খাতুনগঞ্জ বাজার, টেরিবাজার ও বক্সিরহাট বাজারে অনুষ্ঠিত বাজার ভিত্তিক প্রচারণা কর্মসূচিতে উপরোক্ত আহবান জানান।

    কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম ও ক্যাব যুব গ্রুপ এর উদ্যোগে গণঅবস্থান ও বাজার ভিত্তিক প্রচারণা কর্মসুচির অংশহিসাবে এ কর্মসূচিতে অংশনেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন।

    ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি আবু হানিফ নোমানের সঞ্চালনায় গণঅবস্থান কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস, ক্যাব মহানগরের যুগ্ন সম্পাদক মোহাম্মদ জানে আলম, ক্যাব পাহাড়তলীর হারুন গফুর ভুইয়া, মহানগর নির্মান শ্রমিক লীগের সভাপতি এম এ আলিম রানা, ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি চৌধুরী কে এনএম রিয়াদ, ক্যাব যুব গ্রæপ মহানগরের ইমদাদুল ইসলাম, ওমর করিম, করিমুল ইসলাম, সালমান রশিদ অভি, নাঈম মোহাম্মদ নিশান প্রমুখ।

    বক্তারা বলেন, ব্যবসায়ীরা ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধ, আর্ন্তজাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধি, ডলার ও এলসির সংকটসহ নানা অজুহাত দেখালেও সবগুলির সাথে সত্যতা খুঁজে পাওয়া দুস্কর। সবধরণের ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্যের অধিক মুনাফা আদায়ে মরিয়া হবার কারনে লাভের এই বিশাল পাহাড় শুধু ব্রয়লার মুরগি নয় বাজারে এভাবে অতি মুনাফার কারনে সাধারন মানুষের জীবন জীবিকা কঠিন বাস্তবতার সম্মুখীন। সেকারণে অতিমুনাফার এখন সামাজিক ব্যাধিতে পরিনত হয়েছে। এসুযোগে ব্যবসায়ীরা একবার সয়াবিন, একবার পেয়াঁজ, একবার ডাল, আটা-ময়দা এভাবে প্রতিটি পণ্যের বাজারে অস্থিরতা তৈরী করছেন। গুটিকয়েক অসাধু ব্যবসায়ীদের এধরনের কারসাজি ও অতিমুনাফা এবং তাদের নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ঠদের কালক্ষেপনে সরকারের সব অর্জনকে ম্লান করে দিচ্ছে।

    প্রচারাভিযানকালে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ইফতারীতে অধিক ভাজাপোড়া, বিদেশী ফলমুল দিয়ে ইফতার করার রীতির কারনে ইফতারে প্লেটভর্তি ছোলা, পেঁয়াজু, বেগুনি, চপ, জিলাপি ও মুড়ি ছাড়া হয় না। কিন্তু রোজাদারের স্বাস্থ্যের পক্ষে এসব খাবার কতটুকু উপকারী? স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন সারাদিন পানাহার থেকে বিরত থাকার পর সন্ধ্যায় ইফতারিতে ভাজাপোড়া খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। ডায়েবেটিস বা বহুমূত্র রোগে আক্রান্ত রোগীদের অবশ্যই সাহরি ও ইফতারিতে দুধ, ওটস এবং বাদামের মতো হালকা খাবার খাওয়া উচিত। ভাজাপোড়া ও মিষ্টান্নজাতীয় খাবার শরীরে ক্যালরির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাই যেসব খাবারে তেল ও শর্করাজাতীয় উপাদান থাকে সেসব খাবার পরিহার করাই শ্রেয়। একইভাবে উচ্চ রক্তচাপের রোগীদেরও ভাজাপোড়া খাবার খাওয়া উচিত নয়। বিকল্প হিসাবে খিচুরীও শরীরের জন্য ফলদায়ক।

    এছাড়াও দেশীয় ফলমুল দিয়ে ইফতারী করে রমজানে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করা হলে রোজাদারদের জন্য উপকারী হবে বলে মত প্রকাশ করা হয়।

  • ইফতারে ভাজা পোড়া বাদ দিয়ে খিচুড়ি খাওয়ার আহ্বান ক্যাব’র

    ইফতারে ভাজা পোড়া বাদ দিয়ে খিচুড়ি খাওয়ার আহ্বান ক্যাব’র

    আসন্ন পবিত্র রমজানে নিত্যপণ্য মূল্যে মূল্য স্থিতিশীল রাখতে ব্যবসায়ীদের অতিমুনাফা আদায়ে সংযম প্রদর্শন ও ইফতারে ভাজা পোড়া বাদ দিয়ে খিচুরি খাওয়ার দাবিতে বাজার ভিত্তিক প্রচারণা কর্মসূচি শনিবার (১৮ মার্চ) নগরীর বহদ্দারহাট বাজারে অনুষ্ঠিত হয়।

    কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম ও ক্যাব যুব গ্রুপ এর উদ্যোগে গণঅবস্থান ও বাজার ভিত্তিক প্রচারণা কর্মসুচির অংশহিসাবে এ কর্মসূচিতে অংশনেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ আনিসুর রহমান ও রানা দেব নাথ। ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি আবু হানিফ নোমানের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের সাধারন সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, বহদ্দারহাট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজী জানে আলম, ক্যাব চান্দগাঁও থানা সভাপতি মোহাম্মদ জানে আলম, সাধারন সম্পাদক ইসমাইল ফারুক, সহ-সভাপতি আবু ইউনুচ, সদস্য মাহবুবুর রহমান দুর্জয়, ক্যাব পাঁচলাইশের সাধারন সম্পাদক সেলিম জাহাঙ্গীর, ক্যাব পাহাড়তলীর হারুন গফুর ভুইয়া, মহানগর নির্মান শ্রমিক লীগের সভাপতি এম এ আলিম রানা, সুজন বুড়য়া, ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম মহানগরের আমজাদুল হক আয়েজ, ইমদাদুল ইসলাম, রাসেল উদ্দীন, খালেদ সাইফুল্লাহ, ইব্রাহিম ফারুক, মিশকাত, আবরার আয়ান সুজন প্রমুখ।

    বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গুটিকয়েক ব্যবসায়ী নানা অজুহাতে করোনার লকডডাউন পরবর্তী সময় থেকে নিত্যপণ্যের বাজারে অতিমুনাফা করে অস্থির করে আছেন। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অনুসন্থানে তাদেতর নাম ও পরিচয় বের হয়ে আসলেও এসমস্ত অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে দৃষ্ঠান্তমুলক শাস্তি নিশ্চিত হয়নি। সেকারনে অতিমুনাফার এখন সামাজিক সংক্রমন ঘটেছে। এসুযোগে ব্যবসায়ীরা একবার আলু, একবার পেয়াঁজ, একবার ডাল, আটা-ময়দা এভাবে প্রতিটি পণ্যের বাজারে অস্থিরতা তৈরী করছেন। গুটিকয়েক অসাধু ব্যবসায়ীদের নিত্যপণ্য মূল্যের বাজারে আগুন ও নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ঠদের কালক্ষেপনে সরকারের সব অর্জনকে ¤øান করে দিচ্ছে। আর এভাবে বিষয়টিকে অবজ্ঞার ফল দীর্ঘমেয়াদে সরকারের জনপ্রিয়াতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলবে।

    বক্তাগন বলেন, সাধারন জনগনের দুঃখ দুুুর্দশা লাগবে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী আন্তরিক হলেও তাঁর অধিনস্তদের আন্তরিকতা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠছে। সেকারনে ১ কোটি পরিবারের জন্য টিসিবির রেশন কার্ড প্রদান, টিসিবির ট্রাক সেল, ওএমএস ও ১০ টাকায় চাল বিক্রির মতো জনহিতকর কর্মসুচি পরিচালনা করা হচ্ছে। করোনা পরবর্তী সময় থেকে একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী নিত্যপণ্যের বাজারে কারসাজি করে বাজারে আগুন ধরাচ্ছেন। যার কারনে চালের দাম দীর্ঘ দুই বছর ধরেই অস্থির। সরকারের সং¯িøষ্ট সংস্থার লোকজন অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি বন্ধের পরিবর্তে এসমস্ত অসাধু ব্যবসায়ীদের কর্মকান্ডকে বৈধতা প্রদানে সাধারন মানুষের ওপর নানা অভিযোগ তুলছেন। রমজানকে সামনে রেখে দাম বাড়েনি এমন পণ্যের তালিকা খুঁজে পাওয়া কঠিন। এ অবস্থায় অতিমুনাফালোভী গুটিকয়েক অসাধু ব্যবসায়ীদেরকে সামাজিক ও রাজনৈতিক ভাবে বর্জনের আহবান জানান।

    বক্তাগন পবিত্র রমজান মাসে পণ্য-দ্রব্য ক্রয়ে সংযমের পরিচয় প্রদান, দরিদ্রদের মাঝে নিত্যপণ্যের বাজার যোগান ও সরবরাহ ঠিক রাখতে ইফতার সামগ্রী বিতরণের পরিবর্তে নগদ অর্থ বিতরণের আহবান জানান। একই সাথে মাসের বাজার একসাথে না করে সপ্তাহের বাজার করার জন্য ভোক্তাদের প্রতি আহবান জানান।

    সমাবেশে বক্তারা বলেন দেশে ইফতারে প্লেটভর্তি ছোলা, পেঁয়াজু, বেগুনি, চপ, জিলাপি ও মুড়ি ছাড়া হয় না। কিন্তু রোজাদারের স্বাস্থ্যের পক্ষে এসব খাবার কতটুকু উপকারী? স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন সারাদিন পানাহার থেকে বিরত থাকার পর সন্ধ্যায় ইফতারিতে ভাজাপোড়া খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। ডায়েবেটিস বা বহুমূত্র রোগে আক্রান্ত রোগীদের অবশ্যই সাহরি ও ইফতারিতে দুধ, ওটস এবং বাদামের মতো হালকা খাবার খাওয়া উচিত। ভাজাপোড়া ও মিষ্টান্নজাতীয় খাবার শরীরে ক্যালরির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাই যেসব খাবারে তেল ও শর্করাজাতীয় উপাদান থাকে সেসব খাবার পরিহার করাই শ্রেয়। একইভাবে উচ্চ রক্তচাপের রোগীদেরও ভাজাপোড়া খাবার খাওয়া উচিত নয়। বিকল্প হিসাবে খিচুরীও শরীরের জন্য ফলদায়ক বলে মত প্রকাশ করা হয়।

  • চট্টগ্রামে রমজান মাসে নিত্যপণ্য নিয়ে কারসাজি ও অনিরাপদ খাদ্যের বিপনন বন্ধ করা হবে-জেলা প্রশাসক

    চট্টগ্রামে রমজান মাসে নিত্যপণ্য নিয়ে কারসাজি ও অনিরাপদ খাদ্যের বিপনন বন্ধ করা হবে-জেলা প্রশাসক

    চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জমান বলেছেন আসন্ন পবিত্র রমজানে নিত্যপণ্য নিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীকে কোন প্রকার কারসাজি করতে দেয়া হবে না। সেজন্য আমদানিকারক ও উৎপাদককে তাদের পণ্যের সরবরাহ ও বিতরনের দৈনিক তথ্য জেলা প্রশাসনকে প্রদান করতে হবে এবং জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রটরা এগুলো মাঠ পর্যায়ে যাচাই করবে। এছাড়াও জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান মোবাইল কোর্টের চলমান কার্যক্রম আরও জোরদার করে চট্টগ্রামে অনিরাপদ খাদ্যের বিপনন বন্ধ, স্বাস্থ্য সেবার ভোগান্তি ও নিত্যপণ্যের অতিরিক্ত মূল্য আদায়ের মতো ভোক্তা অধিকার লংগনের বিষয়গুলো কঠোরভাবে দমন করা হবে। আর এ কাজে জেলা প্রশাসন ক্যাবসহ ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর সার্বিক সহযোগিতা ও সমর্থন কামনা করেন। একই সাথে পরিবেশ বিধ্বংসী পলিথিনের বিরুদ্ধেও সর্বাত্মক সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।

    মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) নগরীর চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন পবিত্র মাহে রমজানে বানিজ্যিক রাজধানীখ্যাত চট্টগ্রামে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের বাজার দর স্থিতিশীল রাখা, নিরাপদ খাদ্য ও ভোক্তা অধিকার সুরক্ষায় করনীয় নিয়ে ক্যাব চট্টগ্রামের নেতৃবৃন্দের সাথে, চট্টগ্রামের নবাগত জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জমান এর মতবিনিময় সভায় উপরোক্ত মন্তব্য করেন।

    মতবিনিময় সভায় ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, সহ-সভাপতি সাংবাদিক এম নাসিরুল হক, ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, দক্ষিন জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান, মহানগরের যুগ্ন সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস, ক্যাব চান্দগাও থানা সভাপতি মোহাম্মদ জানে আলম, আকবর শাহ থানা সভাপতি ডাঃ মাসবাহ উদ্দীন তুহিন, সদরঘাট থানা সভাপতি শাহীন চৌধুরী, জামালখান ওয়ার্ড সভাপতি সালাহউদ্দীন আহমদ, পাহাড়তলী থানার হারুন গফুর ভইয়া, পাঁচলাইশ থানার সাধারন সম্পাদক মোঃ সেলিম জাহাঙ্গীর, ক্যাব যুব গ্রুপের সভাপতি আবু হানিফ নোমান, জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাকিব হাসান ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।

    জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জমান জানান দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকে ভোক্তা অধিকার লংগনের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট জোরদার করা হয়েছে। নগরবাসীর যে কোন ভোগান্তি নিরসনে মোবাইল কোর্ট সার্বক্ষনিকভাবে সচল থাকছে। জেলা প্রশাসন ভোক্তা অধিকার লংগন বা যে কোন নাগরিক ভোগান্তি নিরসনে একটি হটলাইন চালু করবে।

    তিনি আরও জানান বিগত জানুয়ারি মাসে খাদ্যে ভেজাল আইনে ৩৯টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৬৭টি মামলায় ১৫,৮৭,০০০ টাকা, ওষুধ আইনে ৫টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ২৩টি মামলায় ২,২৩,০০০ টাকা, হোটেল অ্যান্ড রেস্টেুরেন্ট আইনে ০৭টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ১টি মামলায় ২,৬৬,০০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। আগামি মাসগুলোতে এ অভিযান আরও জোরদার করা হবে।

    মতবিনিময় সভায় ক্যাব এর পক্ষ থেকে আসন্ন পবিত্র মাহে রমজানে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে ও ভোক্তা অধিকার সুরক্ষায় নিত্যপণ্যের বাজার তদারকিতে ০৫জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে সার্বক্ষনিক দায়িত্ব প্রদান, একটি হটলাইন চালু, মোবাইল কোর্টে নির্বাহী ম্যাসিজস্ট্রেটদের সময়কাল বাড়ানো, অবৈধ পানি, ঘি, বেকারী, মুড়ির ফ্যাক্টরীগুলিতে অভিযান জোরদার করা, পাইকারী ও খুচরা বাজারে বিক্রয় রশিদ প্রদান ও দর যাচাই করা, কাপড়ের দোকানে মূল্য তালিকা লাগানো, ওজনে কম দেয়া রোধে বিএসটিআই এর ভ্রাম্যমান স্কেল দিয়ে ওজন পরিমাপক যন্ত্রগুলো নিয়মিত পরীক্ষা করা, মোবাইল কোর্টে দোকানের কর্মচারীর পরিবর্তে মালিককে শাস্তির আওতায় আনা, রমজানে বৃহৎ আমদানিকারক ও উৎপাদকদের সহযোগিতায় নগরীর গুরুত্বপূর্ন বাজারগুলিতে ন্যায্যমূল্যের দোকান খোলার উদ্যোগ নেবার সুপারিশ করা হয়। জেলা প্রশাসক সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন ও চট্টগ্রামকে ভোক্তা বান্ধব জেলায় পরিনত করতে সকলের সহযোগিতা ও সমর্থন কামনা করেন।

  • নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে ব্যবসায়ী, সরকারি দপ্তর ও ভোক্তাদের সমন্বিত উদ্যোগের তাগিদ

    নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে ব্যবসায়ী, সরকারি দপ্তর ও ভোক্তাদের সমন্বিত উদ্যোগের তাগিদ

    বর্তমান সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে মূলভিত্তি নির্ধারণ করা হয়েছে স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট এবং স্মার্ট সোসাইটি। আর স্মার্ট সিটিজেন তৈরীতে নিরাপদ খাদ্য ও ভোক্তা অধিকার সুরক্ষিত না হলে বর্তমান সরকার তাদের ঘোষিত রূপকল্প ২০৪১ কর্মসূচি সোনার বাংলা বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। কারন খাদ্যে ভেজালের কারনে মেধাবী ও বৃদ্ধিমত্তাসম্পন্ন নেতৃত্ব পাওয়া যাবে না। আবার খাদ্য-পণ্যের দাম অতিরিক্ত হলে মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা এবং পুষ্টিহীনতার সম্মুখীন হবে। ফলে কর্মক্ষম জাতি পাওয়া সম্ভব হবে না। তাই নিরাপদ খাদ্য ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে ব্যবসায়ী, সরকারি দপ্তর ও ভোক্তাদের সমন্বিত উদ্যোগের ওপর জোর দিয়েছেন বিশিষ্ঠ জনেরা। শুধু আইন প্রয়োগের মাধ্যমে এই সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়। সকলের সচেতনতা বৃদ্ধি, যেরকম দরকার তেমনি সরকারি সেবা ও আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলিকে আরও জনমূখি করা দরকার।

    সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) নগরীর চট্টগ্রাম সিটিকরপোরেশন এর কেবি আবদুস সাত্তার মিলনায়তনে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম এর উদ্যোগে নিরাপদ খাদ্য ও ভোক্তা অধিকার সুরক্ষায় অংশীজনের ভূমিকা বিষয়ক বিভাগীয় পরামর্শ সভায় বিভিন্ন বক্তাগন উপরোক্ত মন্তব্য করেন।

    ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইনের সভাপতিত্বে পরামর্শ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরী। মূখ্য আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) ডঃ প্রকাশ কান্তি চৌধুরী, বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মোঃ তৌহিদুল ইসলাম, জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক বদিউল আলম, চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক অহিদ সিরাজ স্বপন।

    ক্যাব বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী ও ক্যাব যুব গ্রুপের সদস্য মিনা আক্তারের সঞ্চালনায় পরামর্শ সভায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর এর বিভাগীয় উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজউল্যাহ, জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা নাজমুস সুলতানা সীমা।

    আলোচনায় অংশনেন সমাজ সেবা অধিদপ্তদরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহী নেওয়াজ, জেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের ডাঃ শরমিন আক্তার, বাংলাদেশ রেস্তোরা মালিক সমিতি চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি ইলিয়াছ ভুইয়া, সাধারন সম্পাদক আবদুল হান্নান বাবু, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি, চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি হাজী ছালামত আলী, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি, চট্টগ্রাম জেলা সভাপতি আলহাজ্ব সালে আহমদ সুলেমান, ট্টগ্রাম ড্রিংকিং ওয়াটার ম্যানুফ্যাক্চার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফয়সল আবদুল্লাহ আদনান, ফুলকলি গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক, আলহাজ্ব এম এ সবুর প্রমুখ।

    ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম বলেন পবিত্র মাহে রমজান আসন্ন। এই মাসে ব্যবসায়ী ও খাদ্য বিক্রেতারা ভেজাল ও মানহীন পণ্য বিক্রয়ে বিরত থাকবেন এবং পণ্যমূল্য সহনীয় মাত্রায় রাখবেন এ প্রত্যাশা করি। দাম বাড়িয়ে ও মানহীন পণ্য বিক্রি করে মানুষের দুদর্শা বাড়ানো কোন সুস্থ ও বিবেকবান মানুষের কাজ হতে পারে না বলে মন্তব্য করেন। সিটি করপোরেশন নগরবাসীর নাগরিক সুবিধা বাড়াতে প্রতিনিয়তই কাজ করছে নিরাপদ খাদ্য ও ভোক্তা অধিকার সুরক্ষায় ক্যাবসহ সরকারের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বিতভাবে কাজ করবে। সাধারন মানুষ যাতে স্বল্পমূল্যে পণ্য ক্রয় করতে পারেন সে জন্য হলিডে মার্কেট ও ইফতারী মার্কেট তৈরীর চিন্তা করা হচ্ছে। নিরাপদ খাদ্য নগরী গড়ে তুলতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

    মূখ্য আলোচক অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ডঃ প্রকাশ কান্তি চৌধুরী আইন প্রয়োগের পাশাপাশি সর্বসাধারনের মাঝে শিক্ষা ও সচেতনতা সৃষ্ঠিতে একযোগে কাজ করার ওপর গুরুত্বআরোপ করেন। কারন যারা ব্যবসায়ী, খাদ্য উৎপাদক, যোগানদাতা ও আইন প্রয়োগকারী, দিন শেষে তারাও ভোক্তা। তাই ভোক্তা হিসাবে সচেতন হলেই তারা খাদ্যে ভেজাল মিশ্রন ও মানহীন খাবার বিক্রি করা অথবা অন্য ভোক্তার অধিকার খর্ব করতে পারেন না।

    পরামর্শ সভায় বক্তারা নিরাপদ খাদ্য ও ভোক্তা অধিকার সুরক্ষায় তরুন প্রজন্মকে বিষয়গুলি শিক্ষা ও সচেতনতায় আরও রাস্ট্রীয় বিনিয়োগ বাড়ানোর আহবান জানান। পবিত্র মাহে রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য-পণ্য মূল্য স্থিতিশীল রাখতে সরকারের সমন্বিত বাজার তদারকি জোরদার করার আহবান জানান। গুটিকয়েক অসাধুব্যবসায়ীর কারনে পুরো ব্যবসায়ী সমাজের সুনাম ও মর্যদা ক্ষুন্ন হচ্ছেন বলে দাবি করে এসমস্ত গুটিকয়েক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে কঠোর ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানান। প্রয়োজনে এসমস্তগুটি কয়েক অসাধু ব্যবসায়ীদের সামাজিকভাবে বয়কটের আহবান জানান।

    পরামর্শ সভায় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, সিটিকর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিভাগ, চট্টগ্রাম চেম্বার, মেট্রোপলিটন, ওমেন চেম্বার, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, প্রাণী সম্পদ বিভাগ, মৎস্য, কৃষি সম্প্রসারণ, বিএসটিআই, পরিবেশ অধিদপ্তর, সিভিল সার্জন, হোটেল ও রেস্তোরা মালিক সমিতি, দোকান মালিক সমিতি, চট্টগ্রাম সিটিকর্পোরেশন এলাকার গুরুত্বপুর্ন বাজার সমিতির প্রতিনিধি ও ক্যাব সদস্য/সদস্যাসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার প্রতিনিধিরা অংশগ্রহন করেন।

  • যাত্রী দুর্ভোগ ও সেবা না বাড়িয়ে ভাড়া বৃদ্ধি গ্রহনযোগ্য নয়-ক্যাব চট্টগ্রাম

    যাত্রী দুর্ভোগ ও সেবা না বাড়িয়ে ভাড়া বৃদ্ধি গ্রহনযোগ্য নয়-ক্যাব চট্টগ্রাম

    বাংলাদেশ রেলওয়ে নিরাপদ ও সহজ গণপরিবহন হলেও বিগত সরকারগুলোর রেলওয়ের উন্নয়নে মনোযোগ না থাকায় রেলপথ যেভাবে উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ হবার দরকার ছিলো তা হয়নি। অন্যদিকে বিপুল পরিমান যাত্রীর চাহিদা থাকা সত্বেও টিকেট না পাওয়া, মন্ত্রনালয়ের লোকজন যাত্রী/ভোক্তাদের ভোগান্তি, হয়রানি ও অনিয়মের কথা শুনার সময় পাচ্ছে না। সেকারণে মান্দাতার আমলের গ্রাহক অভিযোগ পদ্ধতি, গ্রাহক সেবা কেন্দ্রগুলির দুরাবস্থা, অকার্যকর, টিকেট কালোবাজারীদের সাথে রেল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আতাঁতের কারনে যাত্রী হয়রানি বন্ধ হচ্ছে না। অন্যদিকে সাধারন জনগন যখন নিত্যপণ্য ও সেবার মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে চরমভাবে জর্জরিত সেখানে রেলওয়ের সেবা না বাড়িয়ে ও ভোগান্তি নিরসন না করে ২৫ জানুয়ারি থেকে শোভন চেয়ার শ্রেণির ৩৮০ টাকার ভাড়া নতুন করে নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০৫ টাকা, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) কোচে আসনপ্রতি ভাড়া ৭০ টাকা বাড়িয়ে ৬৩০ টাকার ভাড়া হয়েছে ৭০০ টাকা করার সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়েছেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম নেতৃবৃন্দ। সম্প্রতি বাংলাদেশ রেলওয়ে সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত দাবি জানান।

    শনিবার (২৮ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, সহ-সভাপতি সাংবাদিক এম নাসিরুল হক, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান, প্রমুখ।

    বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, রেলপথ যোগাযোগের একটি গুরুত্বপুর্ন মাধ্যম হলেও রেল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা, যাত্রীর স্বার্থ রক্ষায় চরম উদাসীনতা, অনীহা, রেল বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সীমাহীন অনিয়ম-দুনীর্তিকে অব্যাহত রাখার জন্য রেল বিভাগ যাত্রী সেবার মান উন্নয়নে আন্তরিক নয়। যার কারনে রেলের ভাড়া দ্বিগুন করা হলেও সেবার মান বাড়েনি। আর রেল ব্যবস্থাপনায় ভোক্তাদের কোন অংশগ্রহন গুরুত্বই পায়নি। অভিযোগ প্রতিকারে ঢাবি’র শিক্ষার্থীদের লাগাতর ধর্মঘট ডাকলেও পরিস্থিতির কোন উন্নয়ন হয়নি। এমনকি মান্দাতার আমলের সেই কোটা পদ্ধতি, টিকেট বিক্রয়ে সিন্ডিকেট প্রথা অব্যাহত আছে। যার কারনে রেলের টিকেট যাত্রীদের জন্য সোনার হরিন হলেও কালোবাজারীদের কাছে অতিসহজলভ্য হয়ে আছে। অনলাইনে টিকেট ছাড়ার পর সবগুলো বিক্রি দেখালেও ট্রেন ছাড়ার পর অনেক সীট খালি থাকে এবং লোকসানের সব দায়ভার রেলওয়ের ঘাঁড়ে যায়।

    নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করে বলেন, সরকারের সদিচ্ছার কারনে রেলপথ মন্ত্রনালয় পৃথক মন্ত্রী পেলেও কাংখিত সেবা নিশ্চিত হয় নি। তাই অবিলম্বে রেলপথে যাত্রী হয়রানি, ভোগান্তি ও অনিয়ম রোধে তাক্ষনিক প্রতিকারের ডিজিটেল গ্রাহক সেবা কেন্দ্র (প্রয়োজনে প্রতিকার না পেলে ডিজি, মন্ত্রী, সচিবকে অবহিত করা যায় এমন ব্যবস্থা), বর্তমান টিকেট বিক্রয় ব্যবস্থাকে আরও আধুনিকায়ন ও ঢেলে সাজানো, কোটাপদ্ধতি বাতিল, যাত্রীদের জন্য টিকেট প্রাপ্তি সহজলভ্য করা, যাত্রী সেবার অনিয়ম রোধে রেলে তাৎক্ষনিক গ্রাহক সেবা কেন্দ্র/হেলপ লাইন চালু, সিদ্ধান্ত প্রদানে সক্ষম ও যোগ্য প্রতিনিধিকে রেলস্টেশনে অবস্থান নিশ্চিত করে সপ্তাহে অন্তত ১দিন গণশুনানীর আয়োজন করে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা গ্রহন এবং রেলপথের সেবা ও ব্যবস্থাপনায় নীতি নির্ধারনী পর্যায়ে ভোক্তা প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার দাবি জানান।

  • চমেকে ডায়ালিসিস মূল্যবৃদ্ধি আত্মঘাতি, বাতিল করার দাবি ক্যাব চট্টগ্রাম’র

    চমেকে ডায়ালিসিস মূল্যবৃদ্ধি আত্মঘাতি, বাতিল করার দাবি ক্যাব চট্টগ্রাম’র

    চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে (চমেক) হঠাৎ করে কিডনি ডায়ালিসিসের মূল্যবৃদ্ধি ও এর প্রতিবাদে অংশগ্রহনকারীদের ওপর আইন শৃংখলা বাহিনীর হামলায় ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিপুল সংখ্যক মৃত্যপথযাত্রী কিডনী রোগীদের ডায়ালিসিস ফিস বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত আত্মঘাতি এবং প্রতিবাদকারীদের ওপর আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হামলাকে ন্যাক্কারজনক বলে মন্তব্য করে অবিলম্বে এধরনে ঘৃনিত ও জঘন্য সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার এবং হামলার মদদদাতাদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি করেছেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম। সম্প্রতি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে (চমেক) এ কিডনি ডায়ালিসিসের মূল্যবৃদ্ধি ও এর প্রতিবাদে অংশগ্রহনকারীদের ওপর আইন শৃংখলা বাহিনীর হামলার ঘটনায় এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত দাবি জানান।

    ১৫ জানুয়ারি ২০২৩ গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, সহ-সভাপতি সাংবাদিক এম নাসিরুল হক, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান প্রমুখ।

    বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, মৃত্যপথ যাত্রী কিডনীরোগীদের কিডনি ডায়ালিসিস একটি অত্যন্ত মানবিক ও জীবনরক্ষাকারী মানবিক স্বাস্থ্যসেবা। কিডনি মানবদেহের জন্য একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। কিডনি বিকল হলে শরীর ফোলা, বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, খিঁচুনি, দুর্বলতা, রক্তশূন্যতাসহ নানা উপসর্গ দেখা দেয়ার পাশাপাশি দ্রæত মৃত্যবরণ হয়। কিন্তু কিডনী রোগীরা নিয়মিত ডায়ালাইসিস করতে না পারলে দ্রুত মৃত্য বরণে বাধ্য হন। যেখানে অনেক দরিদ্র রোগীদের পক্ষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে (চমেক) গিয়ে কিডনি ডায়ালিসিসের মূল্য পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। সেখানে কিডনি ডায়ালিসিসের মূল্য একলাফে ৫-৭ গুনবৃদ্ধি করা কোন সুস্থ ও শুভ বৃদ্ধিসম্পন্ন মানুষের কাজ হতে পারে না। বর্তমান সরকার, বিশেষ করে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী একজন মানবিক প্রধানমন্ত্রী হিসাবে বিশে^ সমাদ্রিত হয়েছেন, সেখানে দরিদ্র কিডনী রোগীদের ডায়ালিসিস ফিস এভাবে একলাফে ৫-৭গুন বাড়ানোর মানবিক প্রধান মন্ত্রীর প্রতি অবজ্ঞার সামিল। সরকার অনেক অপ্রয়োজনীয় খাতে ভর্তুকি প্রদান করছেন, দরিদ্র কিডনী রোগীদের এই জীবনরক্ষাকারী মানবিক সেবাটি অব্যাহত রাখতে এখাতে প্রয়োজনে ভর্তুতি অব্যাহত রাখাতে বাঁধা কোথায়?

    নেতৃবৃন্দ ডায়ালিসিসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে অংশগ্রহনকারীদের ওপর আইন শৃংখলা বাহিনীর হামলাকে ন্যাক্কারজনক বলে মন্তব্য করে বলেন, জনগনের করের টাকায় তাদের বেতন-ভাতা হয়। আর একটি মানবিক দাবি জানাতে যদি তাদের ওপর আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন চড়াও হয়, তাহলে তার চেয়ে দুঃখজনক ঘটনা আর কিছু হতে পারে না। বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি, নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির যন্ত্রনায় মানুষ একদিকে নিঃস্ব হয়ে আছে। সেখানে চিকিৎসাসহ অনেক মধ্যবিত্ত পরিবার ডায়ালিসিসের খরচ যোগাতে গিয়ে একেবারে ফতুর হয়ে গিয়েছে। তাই চট্টগ্রাম মেডেকেল কলেজ ও হাসপাতালে কিডনি ডায়ালিসিস সেবার পরিধি বৃদ্ধির জন্য সরকারকে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহনের আহবান জানান। একই সাথে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজনকে মানবাধিকার ও মানবিক বিষয়ের ওপর শুন্য সহনশীলতা প্রদর্শনের দাবি জানান।

    নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে(চমেক) এতদাঞ্চলের ৫ কোটি মানুষের উচ্চতর চিকিৎসার ক্ষেত্রে একমাত্র নির্ভরযোগ্য চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান হলেও প্রতি পদে পদে অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা, দায়িত্বরত নিরাপত্তা কর্মকর্তা, তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অপেশাদার আচরণ, নার্স ও চিকিৎসকগনের দায়িত্বপালনে অবহেলা, সেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে নানা প্রতিবন্ধকতার কথা নানা সময় গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচারিত হলেও প্রতিকারের দৃষ্ঠান্ত কম। ইতিপুর্বে দুদক কয়েকবার গণশুনানী করেও পরিস্থিতির উন্নয়ন করতে পারে নি। একটি সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এধরনের আচরণ কাংখিত নয়। নেতৃবৃন্দ কম খরচে ডায়ালিসিসের সুবিধা নিশ্চিতসহ রোগীদের প্রতি মানবিক আচরণ ও সত্যিকারের মানবিক সেবা নিশ্চিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান।

  • সেবা সংস্থাগুলিতে নাগরিক ভোগান্তি, অনিয়ম ও দুর্নীতি ঠেকাতে দুদক এবং নাগরিক নজরদারি নিশ্চিতের দাবি ক্যাব’র

    সেবা সংস্থাগুলিতে নাগরিক ভোগান্তি, অনিয়ম ও দুর্নীতি ঠেকাতে দুদক এবং নাগরিক নজরদারি নিশ্চিতের দাবি ক্যাব’র

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাধারণ জনগনের মাঝে সরকারি সেবা সহজে পৌঁঁছানোর জন্য দিনে ২০ ঘণ্টা অবিরাম পরিশ্রম করছেন। একই সাথে সরকারি সেবা সংস্থাগুলিতে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সুশাসন নিশ্চিত ও নাগরিকদের ভোগান্তি, অনিয়ম ও দুর্নীতি ঠেকাতে গণশুনানী, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি সম্পাদন, জেলা-উপজেলা পর্যায়ে উন্নয়ন সমন্বয়সভাসহ নানা কামিটি গঠন করে সমন্বয় জোরদার, সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন ভাতা বৃদ্ধি, সরকারি উদ্যাগে দুর্নীতি প্রতিরোধে দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি গঠনসহ নানা উদ্যোগ গ্রহন করার পরেও অবস্থার সামগ্রিক উন্নয়ন হয়নি। অধিকন্তু অনিয়ম ও দুর্নীতির নিত্যনতুন কলাকৌশলে আরও অধিক মাত্রায় চলছে। এ অবস্থায় সরকারি সেবা সংস্থা বিশেষ করে গ্যাস, পানি, বিদ্যুত, হাসপাতাল, ভূমি, পার্সপোর্ট অফিস, রেলওয়ে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের নাগরিক সেবা সংক্রান্ত নাগরিক ভোগান্তি ও দুর্নীতি ঠেকাতে দুর্নীতি দমন কমিশন ও স্বপ্রণোদিত নাগরিকদের নিয়ে নাগরিক পরীবিক্ষন জোরদার করার দাবি করেছেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম।

    ১০ নভেম্বর বিএসটিআই চট্টগ্রাম কার্যালয়ে “ঘুষ ছাড়া মানসনদ মেলে না” বিষয়ে দুদকের অভিযানে প্রাথমিক সত্যতার খবরে এক বিবৃতিতে উপরোক্ত দাবি জানান।

    ১৪ নভেম্বর গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, সহ-সভাপতি সাংবাদিক এম নাসিরুল হক, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান, প্রমুখ।

    বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, অনিয়ম ও ভোগান্তির মাত্রা এভাবে বেড়েছে যেখানে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী জন্মনিবন্ধন ও নাগরিক সনদের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ ও সিটি করপোরেশনে ৫০ টাকা নেবার কথা থাকলেও পদে পদে বিভিন্ন উপায়ে একহাজার থেকে পনের শত টাকা পর্যন্ত নিচ্ছে। একটি জন্মনিবন্ধন সনদের জন্য মাসের পর মাস অপেক্ষো করতে হচ্ছে। আর এনআইডি ও পার্সপোটে’র নাম সংশোধনে সেই টাকার পরিমান দ্বিগুন নিচ্ছে। এছাড়াও অন্যান্য সেবাসংস্থাগুলিতে চলছে চরম নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি। বিষয়গুলি নিয়ে কিছু গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও মানুষের দুর্ভোগ কমছে না। অধিকন্তু সেবাপ্রার্থীদের ভোগান্তির নিত্যনতুন মাত্রা যোগ হচ্ছে। দুর্নীতি ও নিয়ম ঠেকাতে দুর্নীতি দমন কমিশন নিজে ও সরকারি উদ্যোগে গঠিত দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা হলেও কার্যত এসমস্ত কমিটি শুধুমাত্র কমিটিতে পদ পদবী প্রাপ্তিতে প্রতিযোগিতা ছাড়া অন্য কোন কার্যক্রম দৃশ্যমান নয়।

    বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, সরকারি সেবা সংস্থা বিশেষ করে গ্যাস, পানি, বিদ্যুত, হাসপাতাল, ভূমি, পার্সপোর্ট অফিস, রেলওয়ে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নাগরিক সেবা প্রাপ্তিতে সিটিজেন চার্টার, গণশুনানীর আয়োজন, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি সম্পাদন, তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা, ফ্রন্ট ডেস্কসহ নানা উদ্যোগ নেয়া হলেও ভোগান্তি ও অনিয়মের মাত্রা কমেনি। অধিকন্তু সরকারি কর্মকর্তাদের বেতনভাতা বৃদ্ধির পরে ঘুষের পরিমানও দ্বিগুন হয়ে গেছে। সরকার এসমস্ত অনিয়ম বন্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) প্রতিষ্ঠা করলেও দুদকে স্বপ্রনোদিত হয়ে অভিযোগ দাখিল করা, অভিযোগের স্বপক্ষে প্রমান দাখিল করা অনেক সময় সাধারন নাগরিকদের পক্ষে সম্ভব হয় না। আবার ঘুষের মতো বিষয়গুলোর প্রমান রাখাও সহজসাধ্য নয়। এ সুযোগে ভোগান্তি ও দুর্নীতির মাত্রা ক্রমাগতই বাড়ছে। যদি দুদক স্বপ্রণোদিত হয়ে সেখানে সার্বক্ষনিক নজরদারি রাখতে সক্ষম হয় তাহলে এসমস্ত ক্ষেত্রে ভোগান্তির মাত্রা কিছুটা হলেও কমবে।

    নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, বিএসটিআই চট্টগ্রাম কার্যালয়ে মানসনদসহ যে কোন সেবা পেতে ঘুষের ছড়াছড়ি ও ভোগান্তির মাত্রা নিয়ে ক্যাব থেকে বারবার বিএসটিআই প্রধান কার্যালয় ও দুদকে ঘুষ গ্রহনের ভিডিওসহ দাখিল করার পরও অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। যার কারনে ঘুষ প্রদান করে মান সনদ নিয়ে ব্যবসায়ীরা মানহীন পণ্যের ব্যবসা করলেও ঘুষসহ অন্যান্য খরচের দায়ভার ভোক্তাদের ঘাড়েই পড়ছে। এছাড়াও অনেকেই মাসিক মাসোহারায় আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে মানসনদ ছাড়া ব্যবসা করে যাচ্ছেন। ফলে চট্টগ্রাম অঞ্চলে মানহীন খাদ্য-পণ্যে ভরপুর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, যা সাধারন ভোক্তাদের জন্য উৎকন্ঠার অন্যতম কারণ।

    বিবৃতিতে ক্যাব নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সুশাসনের চর্চার ঘাটতির কারনে মানুষ সরকারের বিপুল বিনিয়োগে কাংখিত সেবাটি পাচ্ছে না। সরকারের তৃণমূলে কোন দপ্তরের সুশাসনে ঘাটতির চিত্র তুলে ধরাকে সরকার বিরোধী বলে অ্যাখ্যা দিয়ে একটি মহল মূল বিষয়কে পাশকাটানোর কারনে প্রকৃত সত্যটি বের হয় না। আর যে দপ্তরে অনিয়মটি ঘটছে সেখানেও হয়তো সব কর্মকর্তারাই সমান দায়ী নয়। বিষয়গুলো তুলে ধরা দেশপ্রেমের অংশও বলে মনে করেন ক্যাব নেতৃবৃন্দ।

  • চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে ভোক্তাবান্ধব নগরীতে পরিনত করতে ক্যাব’র স্মারকলিপি প্রদান

    চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে ভোক্তাবান্ধব নগরীতে পরিনত করতে ক্যাব’র স্মারকলিপি প্রদান

    দেশের বানিজ্যিক রাজধানীখ্যাত চট্টগ্রাম নগরীকে বসবাসযোগ্য ও ভোক্তাবান্ধব নগরীতে পরিনত করতে আজ মঙ্গলবার (৯ মার্চ) চট্টগ্রাম সিটিকরপোরেশন নগর ভবনে মেয়র কার্যালয়ে চট্টগ্রাম সিটিকর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব রেজাউল করিমের কাছে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগীয় ও মহানগর কমিটির নেতৃবৃন্দ ১২ দফা সুপারিশমালা সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করেছেন।

    ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইনের নেতৃত্বে স্মারকলিপি প্রদানকালে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সভাপতি এম নাসিরুল হক, ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারন সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান, ক্যাব মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস, চান্দগাঁও থানার সভাপতি মোঃ জানে আলম, কর্নেলহাট থানা সভাপতি ডাঃ মাসবাহ উদ্দীন তুহিন, সদরঘাট থানার সভাপতি শাহীন চৌধুরী, ক্যাব জামালখানের সভাপতি সালাহ উদ্দীন, সাধারন সম্পাদক নবুয়াত আরা সিদ্দিকী, সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল চৌধুরী, ক্যাব পাঁচলাইশের সাধারন সম্পাদক সেলিম জাহাঙ্গীর, ক্যাব কোতোয়ালীর আবদুল হালিম দোভাষ, ক্যাব যুব গ্রুপের সমন্বয়ক চৌধুরী জসিমুল হক, ক্যাব এফসি তাজমুন্নাহার হামিদ, প্রকল্প কর্মকর্তা শম্পা কে নাহার প্রমুখ। মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

    ক্যাব চট্টগ্রাম কর্তৃক উপস্থাপিত ১২ দফা প্রস্তাবনার মধ্যে আছে, নগরীতে ভেজালমুক্ত খাদ্য, পণ্য, শাক-শবজি, ফলমুল, মাছ, মাংশ নিশ্চিত করতে সিটিকর্পোরেশনের নজরদারি জোরদার করা, স্বাস্থ্য বিভাগের আওতায় স্যানিটারী ইনেসপেক্টদের নগরীর খাদ্য-পণ্যের দোকানগুলি নিয়মিত পরিদর্শন করা, পশু জবাই করার পূর্বে ভেটেনারী সার্জন কর্তৃক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা নিশ্চিত করা। নগরীর বাজারগুলির নোংরা, অস্বাস্থ্যকর ও পরিবেশ উন্নত করা, স্লাটার হাউজ গুলির পরিস্কার, পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্য সম্মত নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা, যত্রতত্র ফুটপাত ও রাস্তায় খাবারের দোকান, হোটেলগুলির খাবার বিক্রি বন্ধ করা।

    চট্টগ্রাম সিটিকর্পোরেশন এর আওতাধীন ১৭ টি বাজারগুলিকে নিয়মিত ভাবে নিত্যপণ্যের বাজার দর মনিটরিং, সিটিকর্পোরেশনের কাউন্সিলর, পুলিশ, চেম্বার, ক্যাব প্রতিনিধি, সাংবাদিক প্রতিনিধি সমন্বয়ে বাজার ভিত্তিক মনিটরিং কমিটি গঠন করা। মশক নিধন কর্মসূচিকে নাগরিক পরীবিক্ষনের আওতায় আনা, ভোর হবার পুর্বেই রাস্তার পার্শ্বের ডাস্টবিনগুলির ময়লা পরিস্কার নিশ্চিত করা, নগরীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নাগরিক তদারকি ও নজরদারির আওতায় আনা। নালার উপর দোকান, অবৈধ স্থাপনা, নালা-নর্দমগুলি ঠিকমতো পরিস্কার করা, বাড়ীঘর তৈরীতে পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা রাখার নিশ্চিত করা। উন্নত রাস্ট্রগুলির আদলে বৃষ্টি বাদল হলেই পানি নিস্কাষনের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কেনার উদ্যোগ নেয়া।

    চট্টগ্রাম নগরীতে যানজট নিরসনে যত্র তত্র পাকিং, গণপরিবহনের সংখ্যা বৃদ্ধি, গণপরিবহনগুলির অব্যবস্থাপনা দূর, নগরে যাত্রী পরিবহনে মেট্রো রেল চালু, আবাসিক ও বানিজ্যিক ভবনগুলিতে পার্কিং সুবিধা নিশ্চিত করা, লক্কর যক্কর বাস ও গণপরিবহন গুলির আধুনিকায়ন, ট্রাফিক বিভাগ ও বিআরটিএর সাথে স্ষ্টুু সমম্বয়, পর্যাপ্ত বাস স্ট্যান্ড তৈরীর উদ্যোগ নেয়া। নগরীতে বাড়ীভাড়া বিঢম্বনার রোধে সিটিকর্পোরেশন এর কাউন্সিলরদের মাধ্যমে স্থানীয় ভাবে বাড়ী ভাড়া নিয়ে জটিলতা নিরসনে সালিশী বোর্ড গঠন করা, এলাকা অনুযায়ী বাড়ী ভাড়ার তালিকা তৈরী করা এবং সীমিত আয়ের ভাড়াটিয়াদের দীর্ঘ মেয়াদী কিস্তির ভিত্তিতে বহুতল ভবন ও ফ্লাট তৈরী করে আবাসনের ব্যবস্থা গ্রহন করা।

    সিটিকর্পোরেশন নিজস্ব উদ্যোগে আরো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন ও নগরীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির গুনগত মান নিশ্চিত করতে শিক্ষা মন্ত্রনালয়, জেলা প্রশাসনকে নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে মানসস্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা। নগরীর সকল বাড়ী, স্থাপনার তালিকা হালনাগাদ ও ডাটাবেস করা, হোল্ডিং ট্যাক্স নিয়ে ভোগান্তি নিরসনে ত্রিপাক্ষিক গণশুনাণীর আয়োজন করা। নগরীতে যথেষ্ঠ পায়ে হাটার পথ যা ওর্য়াকওয়ে নিশ্চিত করার জন্য ফুটপাতগুলি হর্কারসদের দখলমুক্ত, রাস্তা বা মার্কেটগুলির সামনের অংশে হকার্সদের বসানো বন্ধ করে নগরীর সৌন্দয্য বৃদ্ধি করা, হকার্সদের বিকল্প পুর্নবার্সনের উদ্যোগ নিতে হবে। প্রয়োজনে নগরীর উন্মুক্ত স্থানে হলিডে মার্কেট স্থাপন ও ভাসমান হকার্সদের স্থায়ী পুনর্বাসন করা।

    সিটিকর্পোরেশনের আওতাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে ভোক্তা অধিকার বিষয়ে ছাত্র/ছাত্রী, অভিভাবক ও শিক্ষক/শিক্ষিকা এবং সিটিকর্পোরেশনের আওতাধীন বাজারগুলিতেও সর্বসাধারনকে ভোক্তা অধিকার, নিরাপদ খাদ্য ও ব্যক্তিগত পয়ঃ প্রনালী বিষয়ে গণসচেতনতা ও শিক্ষা মুলক কর্মসুচির আয়োজন করা। সরকারী প্রশাসন ও সেবাদানকারী সংস্থায় ভোক্তাদের প্রতিনিধিত্ব বিশেষ করে গ্যাস, ওয়াসা, বিদ্যুৎ, টিএন্ডটি, হাসপাতাল, সিডিএ, রেল, বিআরটিএ, কারা পরিদর্শক, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ সকল সংস্থা গুলিতে মনোনিত প্রতিনিধিরা প্রাহক স্বার্থ বা জনস্বার্থ রক্ষায় জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক ভাবে স্বীকৃতি প্রাপ্ত ভোক্তা সংগঠনের প্রতিনিধিকে অর্ন্তভুক্ত করা। নগরে সেবাদানকারী সরকারী সেবাদানকারী সংস্থাগুলির স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত ও তাদের প্রশাসনিক এবং আর্থিক জবাবদিহিতাকে নাগরিক পরীবিক্ষনের আওতায় আনা। গ্যাস, পানি, বিদ্যুত, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বাড়ীভাড়া, হোর্ল্ডিং ট্যাক্স, গণপরিবহন, বজ্য ও নগর ব্যবস্থাপনা, শিল্প এবং বানিজ্য ইত্যাদি বিষয়ে নাগরিক ভোগান্তি নিরসনে গ্রাহক, সেবাদানকারী সংস্থা ও ভোক্তা প্রতিনিধি, জেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে ত্রিপাক্ষিক গণশুনাণীর ব্যবস্থা করা।