Tag: ক্যাব চট্টগ্রাম

  • এইচ টি ইমামের মৃত্যুতে ক্যাব চট্টগ্রামের শোক

    এইচ টি ইমামের মৃত্যুতে ক্যাব চট্টগ্রামের শোক

    প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন দেশের ক্রেতা-ভোক্তাদের জাতীয় প্রতিষ্ঠান কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম নগর ও বিভাগীয় নেতৃবৃন্দ।

    বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) গণমাধ্যমে প্রেরিত শোক বার্তায় ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ম সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম ও ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান শোকবার্তায় মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা, গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।

    শোক বার্তায় নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, বাঙ্গালী জাতির স্বাধীকার আন্দোলন মহান মুক্তিযুদ্ধে মরহুম এইচ টি ইমামের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি স্বাধীনতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশে আজীবন কাজ করে গেছেন। সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে সদ্য স্বাধীন দেশে সরকার পরিচালনায় তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে প্রবাসী সরকারের মন্ত্রিপরিষদ সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনায়ও তিনি গুরুত্ব¡পূর্ণ অবদান রেখেছেন। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ একজন পরীক্ষিত সরকারী কর্মকর্তা ও একজন নিবেদিতপ্রাণ রাজনৈতিক নেতাকে হারালো।

    অপর এক বার্তায় ক্যাব নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ-এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। শোকবার্তায় প্রয়াতের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। শোকবার্তা ক্যাব নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, দেশের ব্যাংকিং সেক্টরে সুশাসন প্রতিষ্ঠান ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ। দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা আধুনিকায়নে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ-এর মৃত্যুতে দেশ জাতির বিবেককে হারালো। যার শুণ্যতা পুরণ হবার নয়।

    এছাড়াও ক্যাব নেতৃবৃন্দ খ্যাতিমান কলামিস্ট, গবেষক, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক ও লেখক এবং ক্যাবের জ্বালানী বিষয়ক অনিয়ম অনুসন্ধান কমিটির আহবায়ক সৈয়দ আবুল মকসুদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ এবং প্রয়াতের আত্মার শান্তি কামনা করেন ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। শোক বার্তায় নেতৃবৃন্দ বলেন প্রয়াত সৈয়দ আবুল মকসুদ আজীবন অহিংঞ্চু আন্দোলনের অবদান রাখার পাশাপাশি ভোক্তা অধিকার সুরক্ষায়ও অবদান রেখেছেন।

  • ভোজ্যতেল সরকারের বেঁধে দেয়া নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি নিশ্চিতে কঠোর নজরদারির দাবি ক্যাবের

    ভোজ্যতেল সরকারের বেঁধে দেয়া নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি নিশ্চিতে কঠোর নজরদারির দাবি ক্যাবের

    বেশ কয়েকমাস ধরে অস্থির ভোজ্যতেলের অস্থিরতা ঠেকাতে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছেন অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিপণন-সংক্রান্ত সরকারি কর্মকতা ও ব্যবসায়ী সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় কমিটি। অত্যাবশ্যকীয় ভোগ্য পণ্যের মূল্য নির্ধারণ সরকারের শীর্ষ মহলের আন্তরিকতার বর্হিপ্রকাশ। কিন্তু নির্ধারিত মূল্য কার্যকরে মাঠ পর্যায়ে যথাযথ নজরদারিতে আন্তরিকতার ঘাটতি হলে এ উদ্যোগের সফলতা নিয়ে সংশয় থেকে যায়। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে একপেশে ও গুটিকয়েক ব্যবসায়ী স্বার্থ সংরক্ষণে করা হয়েছে বলে মত প্রকাশ করে নির্ধারিত দামে ভোজ্যতেলের বিক্রয় নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।

    শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ মাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু ও ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান উপরোক্ত দাবি জানান।

    বিবৃতিতে বলা হয় সরকার নির্ধারিত প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল মিলগেটে ১০৭ টাকা, পরিবেশক পর্যায়ে ১১০ টাকা এবং খুচরা মূল্য ১১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াাবিন তেল মিলগেটে ১২৩ টাকা, পরিবেশক পর্যায়ে ১২৭ টাকা এবং খুচরা বিক্রয় মূল্য ১৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পাঁচ লিটার বোতলজাত সয়াবিন মিলগেটে ৫৯০ টাকা, পরিবেশক পর্যায়ে ৬১০ টাকা এবং খুচরা বিক্রয় মূল্য ৬৩০ টাকা করা হয়েছে। যা ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীরা আর্ন্তজাতিক বাজারের দোহাই দিয়ে দেশীয় ট্যারিফ কমিশনের আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে বর্ধিত মূল্যকে প্রকারান্তরে সরকারি স্বীকৃতি প্রদান বলে মতপ্রকাশ করেন। ভোজ্যতেল একটি আমদানিকৃত পণ্য। ট্যারিফ কমিশনের অনুমতি ব্যতিরেকে মূল্য বাড়ানো যায় না। আর যেহেতু মোড়কে বিক্রি হয়। সেকারনে মোড়কের গায়ের চেয়ে বেশী মূল্যে বিক্রিতে নিষেধ। তারপরও ব্যবসায়ীরা বাড়তি মূল্যে বিক্রি করছে। সরকারের তদারকি সংস্থাগুলি নিরব দর্শক ছিলেন। তাই এই দাম বেঁেধ দেবার কারনে ভোক্তা পর্যায়ে কোন সুফল আসবে না বলে মত প্রকাশ করেন।

    বিবৃতিতে বলা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলা হয় মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর সফল নেতৃত্বে দেশ করোনা মোকাবেলায় অনেকটা সফল। এছাড়াও অনেকগুলি সুচকে অনেক অগ্রগতি লাভ করলেও গুটিকয়েক অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে সরকারের পুরো অর্জন ম্লান হয়ে যাচ্ছে। আবার ব্যবসায়ীরা তাদের অপকর্ম ঢাকতে সরকারি দলে নাম লেখাতেও প্রতিযোগিতায় মেনেছে। ফলে প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন সরকার দলীয় অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি নিয়ন্ত্রণে প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হন। যা দেশে ন্যায্য ব্যবসার প্রসারে বড় বাঁধা।

    বিবৃতিতে আরও বলা হয় ইতিপূর্বে সরকার আলুর দাম বেঁধে দিয়েছিলো কিন্তু বেঁধে দেয়া দামে আলু পাওয়া যায় নি। ২/১টি জায়গায় স্থানীয় প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করলে ব্যবসায়ীরা দোকান পাট বন্ধ করে ধর্মঘট করলে আর কোন ব্যবস্থা নিতে পারে নি। উর্ধ্বমূখী চালের বাজারেও দাম বেঁধে দিয়ে, শুল্ক কমিয়ে, বিদেশ থেকে চাল আমদানি করেও কোন ভাবেই অসাধু ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়নি। চিহ্নিত অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহনে সক্ষম হন নি।

    বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আগামী মাসে পাম ও সয়াাবিন তেল উৎপাদনের মৌসুম। ফলে আর্ন্তজাতিক বাজারে দাম কমতে পারে। আসন্ন পবিত্র রমজানে ভোজ্যতেল নিয়ে যেন কৃত্রিম সংকট তৈরী না করে, সেজন্য এখন থেকে আমদানি, বিতরণ ও ভোক্তা পর্যায়ে বিপণণে কঠোর তদারকি নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়াও পেয়াঁজের মতো কৃষকদের প্রণোদনা নিয়ে সরিষার উৎপাদন বাড়িয়ে সরিষার তেল উৎপাদন ও ভোক্তা পর্যায়ে ব্যবহার বাড়াতে উদ্ভুদ্ধকরণ করে বিকল্প বাজার তৈরীর মত প্রকাশ করেন।

    বিবৃতিতে আরও বলা হয় নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন সরকারের সদিচ্ছা ও আন্তরিকতা। জেলা, উপজেলা প্রশাসন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, সিটি করপোরেশন, ভোক্তা প্রতিনিধি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বিত বাজার তদারিক অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি ও অস্থিরতা ঠেকানো সম্ভব। মজুতদারি ঠেকাতে আইনের কঠোর প্রয়োগ, ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। অসাধু ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে নগদ অর্থ দন্ডের পাশাপাশি প্রয়োজনে জেল-জরিমানা নিশ্চিত করতে হবে। আর এ ধরণের সমাজবিরোধী কাজে জড়িতদের ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর আশ্রয়-প্রশ্রয় বন্ধ করতে হবে। একই সাথে দ্রুততম সময়ের মধ্যে টিসিবির মাধ্যমে আর্ন্তজাতিক উৎস থেকে নিত্যপণ্যের আপৎকালীন মজুত বাড়াতে হবে। টিসিবির মাধ্যমে ন্যায্য মূল্যে পণ্যবিক্রিকে নাগরিক পরীবিক্ষণের আওতায় আনা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়।

  • ট্রান্সফ্যাট নিয়ন্ত্রণে বিধিমালা তৈরী ও বাস্তবায়নের দাবিতে চট্টগ্রামে ক্যাব’র মানববন্ধন

    ট্রান্সফ্যাট নিয়ন্ত্রণে বিধিমালা তৈরী ও বাস্তবায়নের দাবিতে চট্টগ্রামে ক্যাব’র মানববন্ধন

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ : বর্তমান সরকারের নানা উন্নয়ন কর্মকান্ডের কারনে দেশ বিভিন্ন দিকে উন্নয়ন হলেও খাদ্য ব্যবসায় জড়িত কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের কারনে নিরাপদ খাদ্যের বিষয়ে এখনও সেভাবে অগ্রগতি লাভ নাই। সকলের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে খাদ্যে ট্রান্সফ্যাটের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে জরুরি ভাবে বিধিমালা তৈরী না হওয়ায় এাখাতে শৃংখলা আসছে না। ডুবো তেলে ভাজা পুড়া, খাবারে অতিরিক্ত তেল ও চর্বি ব্যবহার, ফাস্ট ফুড, টেস্টিং সল্ট, ডালডা ইত্যাদির অতিরিক্ত ব্যবহারের কারনে চট্টগ্রামে হ্দরোগী ও ক্যান্সারের রোগী অনেক বেশী। অতিরিক্ত তেল, চর্বি ও ডুবো তেলে ভাজাপুড়াই ট্রান্স ফ্যাট। আর খাদ্যে অতিমাত্রায় ট্রান্সফ্যাট মানুষের হৃদরোগ, স্ট্রোকসহ নানা জঠিল রোগের মূল কারন। তাই দ্রুততম সময়ের মধ্যে সবধরনের ফ্যাট, তেল এবং খাদ্যদ্রব্যে ট্রান্সফ্যাটের সর্বোচ্চ সীমা মোট ফ্যাটের ২ শতাংশ নির্ধারণের জন্য বিধিমালা তৈরী ও বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।

    বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্ত্বরে “স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ট্রান্স ফ্যাট নিয়ন্ত্রণে বিধিমালা তৈরী ও বাস্তবায়নের দাবিতে অনুষ্ঠিত মানব বন্ধনে উপরোক্ত দাবি জানানো হয়।

    ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইনের সভাপতিত্বে ও ক্যাব চট্টগ্রাম ডিপিও জহুরুল ইসলাম ও ক্যাব যুব গ্রুপের সংগঠক চৌধুরী জমিসুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ঠ সাংবাদিক ও ক্যাব বিভাগীয় কমিটির সহ-সভাপতি এম নাসিরুল হক, বিশিষ্ট সাংবাদিক গিয়াস উদ্দীন, ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, সাংগঠনিক সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস, দক্ষিন জেলা কৃষক লীগের সভাপতি আতিকুর রহমান চৌধুরী, ক্যাব খুলসীর সভাপতি প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান, ক্যাব চান্দগাও থানা সভাপতি মোহাম্মদ জানে আলম, সদরঘাট থানা সভাপতি শাহীন চৌধুরী, ক্যাব জামাল খানের সভাপতি সালাহ উদ্দীন আহমদ, ক্যাব লালখান বাজারারে ঝর্না বড়ুয়া, ক্যাব পূর্ব ষোল শহরের অধ্যক্ষ কে এম মনিরুজ্জমান, আবু ইউনুচ, ক্যাব দেওয়ান বাজারের পারভীন আকতার, সংস্কৃতি কর্মী সীমা বড়ুয়া, ক্যাব বন্দরের আলমগীর বাদসা, ক্যাব আকবর শাহ থানার সালমা আকতার শিলা, আমেরিকান কর্নার চট্টগ্রামের রুমা দাশ প্রমুখ।

    বক্তারা বলেন, খাদ্যে ট্রান্স ফ্যাটের প্রধান উৎস হচ্ছে পারশিয়ালি হাইড্রোজেনেটেড অয়েল (পিএইচও), যা ডালডা বা বনস্পতি ঘি নামে পরিচিত। ভেজিটেবল অয়েল বা উদ্ভিজ্জ তেল (পাম, সয়াবিন ইত্যাদি) যান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় পারশিয়ালি হাইড্রোজেনেশন করা হলে তেল তরল অবস্থা থেকে মাখনের মতো জমে যায়, এই প্রক্রিয়ায় ট্রান্সফ্যাটও উৎপন্ন হয়। এই শিল্পোৎপাদিত ট্রান্সফ্যাট জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরূপ। মাত্রাতিরিক্ত ট্রান্সফ্যাট গ্রহণ উচ্চহারে হৃদরোগ, হৃদরোগজনিত মৃত্যু, স্মৃতিভ্রংশ (dementia) এবং স্বল্প স্মৃতিহানি (cognitive impairment) জাতীয় রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এর হিসেব অনুযায়ী, বিশ্বে প্রতিবছর ২ লাখ ৫০ হাজার মানুষ ট্রান্সফ্যাট গ্রহণের কারণে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। বাংলাদেশে প্রতিবছর ৫,৭৭৬ জন মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ি ট্রান্সফ্যাট। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রকাশিত “ÒWHO REPORT ON GLOBAL TRANS FAT ELIMINATION ২০২০” শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বিশ্বে ট্রান্সফ্যাট গ্রহণের কারণে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর প্রায় দুই-তৃতীয়াংশই ঘটে ১৫টি দেশে, যার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।

    বক্তাগন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সরকার অনেক নির্দেশনা ও বিধিবিধান জারি করলেও মাঠ পর্যায়ে যথাযথ তদারকির অভাবে সরকারের অনেকগুলি ভালো উদ্যোগের সুফল জনগন পায় না। তাই শুধু বিধিমালা তৈরী করলে হবে না। এর মাঠ পর্যায়ে যথাযথ বাস্তবায়নে ও নাগরিক পরীবিক্ষন জরুরি। তা না হলে কাজীর গরু খাতায় থাকবে গোয়ালে নয়-সে অবস্থা হবে। সরকার ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারন করে দিয়েছে, কিন্তু মাঠ পর্যায়ে যথাযথ নজরদারি না হলে অসাধু ব্যবসায়ীরা এর কার্যকর করবে না। যেরকম সরকার চালের আমদানি শুল্ক কমানোর পরও ভোক্তা পর্যায়ে তার সুফল আসে নি।

  • ‘ভোক্তাদের অধিকার নিশ্চিতে পৃথক ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ মন্ত্রণালয়ের বিকল্প নাই’

    ‘ভোক্তাদের অধিকার নিশ্চিতে পৃথক ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ মন্ত্রণালয়ের বিকল্প নাই’

    জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও সরকারের অতিরিক্ত সচিব বাবলু কুমার সাহা বলেছেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর দীর্ঘদিনের আন্দোলনের ফল জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ভোক্তাদের জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় থাকলেও বাংলাদেশে ভোক্তাদের যে অধিকার আছে তা ক্যাব দীর্ঘদিন ধরে সভা, সেমিনারসহ নানা ভাবে দাবি করে আসলেও বর্তমান সরকারের আমলেই ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইন ২০০৯, অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা, নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করা হয়। তবে ভোক্তাদের জন্য সমন্বিত ভাবে বিএসটিআই, ভোক্তা অধিদপ্তর ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষসহ সকলকে নিয়ে ওয়ান স্টপ সেবা প্রদানে পৃথক মন্ত্রণালয়ের জন্য ক্যাব যে দাবি তুলেছে তা যুক্তিযুক্ত।

    যদি পৃথক মন্ত্রণালয় হয় তাহলে ভোক্তাদের সমস্যাগুলি আরও জোরদার ভাবে সরকারের নজরে আনা সম্ভব হবে। ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদের মাঝে বিদ্যমান বৈষম্যও কিছুটা হ্রাস পাবে। তবে দেশ যেহেতু উন্নয়নশীল থেকে অগ্রগতির দিকে যাচ্ছে, সেক্ষেত্রে দেশের উন্নয়নে বেসরকারী সেক্টরের অবদানও দায়িত্ব ক্রমাগতভাবে বাড়বে। তবে ভোক্তাদের শিক্ষিত ও সচেতন করা না হলে দেশে ন্যায্য ব্যবসার পরিবেশ উন্নয়ন ঘটবে না। আধুনিক, ডিজিটাল প্রযুক্তির সাথে ভোক্তাদের পরিচয় ঘটানো ও এ ক্ষেত্রে তাদের শিক্ষিত করা প্রয়োজন বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।

    শনিবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) বিকালে নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে ক্যাব চট্টগ্রামের সাথে অনুষ্ঠিত সৌজন্য সাক্ষাৎকারে তিনি উপরোক্ত মন্তব্য করেন।

    জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা এক অনানুষ্ঠানিক সফরে চট্টগ্রাম পরিদর্শনে আসলে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম নেতৃবৃন্দ তাঁর সাথে সৌজন্য সাক্ষতে মিলিত হন।

    এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগর সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, ক্যাব দক্ষিন জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান, সাংগঠনিক সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস, ক্যাব সদরঘাট থানা সভাপতি শাহীন চৌধুরী, ক্যাব খুলসী থানা সভাপতি প্রকৌশলী শেখ হাফিজুর রহমান, ক্যাব জামাল খানের সাধারন সম্পাদক নবুয়াত আরা সিদ্দিকী, সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল চৌধুরী, ক্যাব নেতা রেজিয়া বেগম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    এ উপলক্ষে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের বিভাগীয় উপ-পরিচালক ফয়েজ উল্যাহ, সহকারী পরিচালক হাসানুজ্জমান, ক্যাব চট্টগ্রামের ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর তাজমুন নাহার হামিদ, শম্পা কে নাহার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

    ক্যাব চট্টগ্রাম থেকে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ে আরও লোকবল ও লজিস্টিক সুবিধা বৃদ্ধি করা, ভোক্তা শিক্ষা ও সচেতনতায় বরাদ্ধ বাড়ানো, অধিদপ্তরের কার্যালয়টি নগরীর মধ্যস্থলে সহজে জনসমাগম সক্ষম স্থানে স্থানান্তরসহ বেশ কিছু সুপারিশ উপস্থাপন করেন।

    মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা বিষয়গুলি বাস্তবায়নে সরকারের আন্তরিকতার কথা জানান। পরবর্তীতে ধাপে ধাপে বিষয়গুলো বাস্তবায়নের আশ্বাস প্রদান করেন।

  • জীবন ও জীবিকার সাথে জড়িত সবগুলি অধিকারকে সুরক্ষিত করতে ক্যাবকে আরও সোচ্চার হতে হবে:ডিসি মমিনুর

    জীবন ও জীবিকার সাথে জড়িত সবগুলি অধিকারকে সুরক্ষিত করতে ক্যাবকে আরও সোচ্চার হতে হবে:ডিসি মমিনুর

    চট্টগ্রামের নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেছেন মানুষের জীবন ও জীবিকার সাথে জড়িত সবগুলি অধিকারই ভোক্তা অধিকারের আওতাভুক্ত। আর যারা যে কোন পণ্য বা সেবা ভোগ করছেন তারাই ভোক্তা। সেকারনে দেশের ১৭ কোটি মানুষই কোন না কোন ভাবে পন্য বা সেবার ভোক্তা। তাই দেশের ভোক্তাদের জাতীয় প্রতিনিধিত্বকারী প্রতিষ্ঠান হিসাবে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)কে নিত্যপণ্যে কৃত্রিম সংকট, মূল্যবৃদ্ধি, খাদ্যে ভেজালের বিষয়গুলির পাশাপাশি স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ইন্টারনেট, টেলিকম, গণপরিবহন, আর্থিক লেনদেন, তথ্যের অবাধ প্রবাহ, কর্মসংস্থানসহ অন্যান্য নাগরিক অধিকার নিয়ে সোচ্চার হতে হবে।

    বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকালে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ক্যাব চট্টগ্রামের সাথে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় উপরোক্ত মন্তব্য করেন।

    ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরীর সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন। অন্যান্যদের মধ্যে ক্যাব মহানগর সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, ক্যাব বিভাগীয় সহ-সভাপতি এম নাসিরুল হক, ক্যাব দক্ষিন জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান, ক্যাব মহানগরের সহ-সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর আবিদা আজাদ, যুগ্ম সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস, ক্যাব চান্দগাও থানার সভাপতি মোহাম্মদ জানে আলম, ক্যাব সদরঘাট থানা সভাপতি শাহীন চৌধুরী, ক্যাব পাঁচলাইশ থানা সাধারণ সম্পাদক মোঃ সেলিম জাহ্ঙ্গাীর, ক্যাব আকবর শাহ থানা সভাপতি ডাঃ মাসবাহ উদ্দীন তুহিন, ক্যাব খুলসী থানা সভাপতি প্রকৌশলী শেখ হাফিজুর রহমান, ক্যাব হালিশহর থানার সভাপতি এমদাদুল হক সৈকত, ক্যাব বন্দর-পতেঙ্গা’র মোহাম্মদ আলী, আলমগীর বাদসা, ক্যাব জামাল খানের সভাপতি সালাহ উদ্দীন, সাধারন সম্পাদক নবুয়াত আরা সিদ্দিকী, সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল চৌধুরী, ক্যাব পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ডের সভাপতি অধ্যাপক এবিএম হুমায়ুন কবির, ক্যাব পূর্ব ষোলশহরের সভাপতি অধ্যক্ষ মনিরুজ্জমান, ক্যাব রাউজানের মোজাফ্ফর সিকদার, মুক্তিযোদ্ধা ও পরিবেশবিদ ডঃ ইদ্রিস আলী, জেলা পরিষদ সদস্য রেহেনা চৌধুরী, রাউজান উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাউজিয়া খান, চন্দনাইশ উপজেলা সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা আকতার চৌধুরী, ক্যাব নেতা ফয়সল আবদুল্লাহ আদনান, নুর মোহাম্মদ চেয়ারম্যান, হারুন গফুর ভুইয়া, ঝর্ণা বড়ুয়া, সোমাইয়া সালাম, নাসিমা আলম, ফারহানা জসিম, রুবি খান, চীনের পিকিং বিশ^বিদ্যালয়ের পিএইচডি ফেলো ও শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ নাজমুস সাকিব, থানা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ জাকিয়া আকতারসহ বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ডের ক্যাব প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকসহ ক্যাব নেতৃবৃন্দ।

    নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান আরও বলেন প্রতিটি মানুষ খাটি মুসলিম, হিন্দু ও বৌদ্ধ হতে চান। সেজন্য ধর্মীয় আচার আচরণ ও অনুশাসন পালনেও প্রতিযোগিতায় নামেন। আবার কিছু ব্যক্তি নিত্যপণ্যের কৃিত্রম সংকট, খাদ্যে ভেজালে জড়িত হন। অথচ এই খাদ্য ভেজালের কারনে আগামি প্রজন্ম পুরোটাই মেধাশুণ্য ও অসুস্থ হবে। তাই অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে শুধুমাত্র প্রশাসনের মোবাইল কোর্ট নয়, প্রয়োজন তাদেরকে সামাজিক ভাবে বয়কট ও প্রতিরোধ। করপোরেট সেক্টরে সত্যিকারের সুশাসন প্রতিষ্ঠা না হওয়ায় ব্যবসায়ীদের এ ধরনের নৈরাজ্য বন্ধ হচ্ছে না। আর সেক্ষেত্রে ভোক্তা সংগঠন হিসাবে ক্যাবকে আরও শক্তিশালী ও সক্ষমতা বাড়ানো গেলে ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদের মাঝে সমন্বয় জোরদার হবে। সরকারি-বেসরকারী সব সেবাপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠানে মানসম্মত, গুনগত সেবা ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে ভোক্তাদের আরও বেশী শিক্ষা ও সচেতনতা বাড়ানো দরকার।

    ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন শুভেচ্ছা বক্তব্যে বলেন ক্যাব প্রতিনিয়তই ভোক্তাদের ভোগান্তি ও সমস্যাগুলি সরকারি সংস্লিষ্ঠ দপ্তর ও প্রশাসনের দৃষ্ঠি আকর্ষন করেন। সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাঠ পর্যায়ের সেবা প্রদানে ত্রুটি-বিচ্যুতি, অসংগতি, দুর্বলতা ও অস্বচ্ছতা এবং ভোক্তাদের অধিকার ভোগের প্রতিবন্ধকতাগুলি তুলে ধরি। ত্রুটিগুলি সরকারের যে দপ্তরের বিরুদ্ধে যায় তখনই তাঁরা বিষয়গুলিকে ভূল ব্যাখ্যা করে অধিকার নিশ্চিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্ঠি করেন। তিনি আরও বলেন ক্যাব মনে করে জেলা প্রশাসনের সুদীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। জেলায় সরকারের প্রতিনিধি হিসাবে স্থানীয় সমস্যা সমাধান ও সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে বিষয়টি উপস্থাপনের জন্য সফল নেতৃত্ব প্রদান করে আসছে। চট্টগ্রামে ভোক্তা অধিকার সুরক্ষিত করতে সরকারের বিভিন্ন বিভাগ ও দপ্তরের মাঠ পর্যায়ে সেবা নিশ্চিতে জেলা প্রশাসন সফল সমন্বয় ও নেতৃত্ব প্রদান করবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন।

  • করোনার টিকা বিতরণে স্বচ্ছতা নিশ্চিতে ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠনের দাবি ক্যাব’র

    করোনার টিকা বিতরণে স্বচ্ছতা নিশ্চিতে ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠনের দাবি ক্যাব’র

    বৈশ্বিক মহামারী করোনার ভ্যাকসিন বিতরণে স্বচ্ছতা নিশ্চিতে দেশব্যাপী ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা কমিটির গঠন ও এর কার্যক্রমে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, স্থানীয় চাহিদা ভিত্তিতে করনীয় নির্ধারন, ভ্যাকসিন বিতরণের তালিকা প্রনয়ণে স্বচ্ছতা নিশ্চিত এবং কমিটিতে ভোক্তাদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন দেশের ক্রেতা-ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষনকারী জাতীয় প্রতিষ্ঠান কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম।

    শনিবার (১৬ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে প্রেরিত বিবৃতিতে ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ন সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম ও ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান উপরোক্ত দাবি জানান।

    বিবৃতিতে ক্যাব নেতৃবৃন্দ বলেন করোনায় লক ডাউন চলাকালে সরকার জেলা-উপজেলা পর্যায়েও কভিড-১৯ ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠনের নির্দেশ দিলে স্থানীয় প্রশাসন তাদের নিজেদের অনুগত, পোষ্য ও সমর্থকদের নাম দিয়ে কমিটির তালিকা তৈরী করে সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করলেও কার্যত এই কমিটি কাগজে কলমেই সীমাবদ্ধ ছিলো। লকড ডাউন চলাকালীন ত্রাণ, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, চিকিৎসা, প্রণোদনাসহ করোনা মহামারী প্রতিরোধ কার্যক্রমে এই কমিটির কোন তৎপরতা বা কোন কার্যক্রম গ্রহন বা কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিলো কিনা জানা যায়নি। আর কমিটির সভাপতি কর্তৃক বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার লোকজনকে নিয়োগের বিধান হলো কমিটির সভাপতির নিরংকুষ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করা। সেকারনে অনেকে নিজের সন্তান, সন্ত্রী ও আত্মীয়-স্বজনকে এ সমস্ত কমিটিতে বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধি বানিয়ে কমিটি গঠন করেন। যার চুড়ান্ত পরিনতি এই কমিটি কাগজেই সীমিত থাকে।

    বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করে বলেন কোভিড- ১৯ এর চিকিৎসা কার্যক্রমের জন্য প্রয়োজনীয় জরুরি উপকরণ, পিপিই ও অন্যান্য কেনাকাটায় স্বাস্থ্যখাতে অবারিত দুর্নীতির ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে কার্যকর উদ্যোগ দরকার। একই সাথে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী-পিপিই বিতরণে যেরকম হজবরল অবস্থা ও নানারকম অনিয়ম হয়েছিলো, ঠিক একই অবস্থা পিসিআর ল্যাবে করোনা পরীক্ষার সময়। এবারও করোনার ভ্যাকসিন বিতরণে ফ্রন্টলাইনারের তালিকা প্রণয়ন ও যোগ্য প্রকৃতদের হাতে টিকা পৌঁছানো সম্ভব কিনা তা নিয়ে যথেষ্ঠ সন্দেহের অবকাশ রয়েছে। তাই কোন প্রকার স্বজনপ্রীতি, প্রভাবমুক্ত হয়ে প্রকৃতযোগ্যদের হাতে টিকা প্রাপ্তি নিশ্চিতে যে কোনো মূল্যে অনিয়ম ও দুর্নীতি রোধে প্রযোজ্য আইন ও বিধি অনুসরন ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতের দাবি জানান।

    বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন করোনা একটি স্বাস্থ্য সমস্যা হলেও জেলা-উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা বিগত ০১ বছরে কোন সভা অনুষ্ঠান বা এ ব্যপারে কোন কার্যক্রম গৃহিত হবার সংবাদ নেই। সেকারনে জেলা-উপজেলা স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা কমিটি কার্যত মৃত। অথচ জেলা-উপজেলা পর্যায়ে জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা চিহ্নিত করে সমস্যাগুলি সমাধানে স্থানীয় উদ্যোগে করনীয় নির্ধারন ও প্রয়োজনীয় বিষয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে পরামর্শ প্রদানের জন্য এই কমিটি গঠিত হলেও ফলাফল শুন্য। এখন সববিষয়ের জন্য মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর দৃষ্ঠি আকর্ষণ ও হস্তক্ষেপ ছাড়া কোন সমস্যার সমাধান হচ্ছে না।

    বিবৃতিকে ক্যাব নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন ভোক্তা সরক্ষন আইন ২০০৯ অনুসারে ক্যাব দেশের ভোক্তাদের প্রতিনিধিত্ব করছেন এবং এফবিসিসিআই ও ওষুধ শিল্প সমিতি দেশের ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিত্ব করছেন। সরকারের জনস্বার্থ সংস্লিষ্ঠ বিভিন্ন কমিটি গঠনের সময় ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধি হিসাবে বিভিন্ন চেম্বার ও এফবিসিসিআই এর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা হলেও ভোক্তাদের প্রতিনিধি হিসাবে সংস্লিষ্ঠ কমিটির সভাপতির অনুগত ও পোষ্য একজনকে মনোনিত করা হয়। যার কারনে ভোক্তাদের সত্যিকারের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হয় না। অনেক সময় কমিটিগুলি সরকারের বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্বশীল লোকজন ও ব্যবসায়ীদের দেন-দরবারের আসর হিসাবে পরিনত হয়। সাধারন ভোক্তাদের স্বার্থগুলি এখানে চরমভাবে উপেক্ষিত হয়। তাই জনস্বার্থ সংস্লিষ্ঠ কমিটিগুলিতে ভোক্তাদের সত্যিকারের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা না হলে তৃণমূলে জবাবদিহিতা, সুশাসন ও ভোক্তা অধিকার সুরক্ষায় সরকারের মহতী উদ্যোগুলির সুফল সাধারণ জনগন পাবে না।

  • গ্রাহকরা ইচ্ছা করলেই যে কোন সময় পিডিবির প্রি-পেইড মিটারে রূপান্তর করতে পারবেন

    গ্রাহকরা ইচ্ছা করলেই যে কোন সময় পিডিবির প্রি-পেইড মিটারে রূপান্তর করতে পারবেন

    পোস্ট পেইড গ্রাহকদের বিল সংক্রান্ত জটিলতা ও হয়রানি রোধে যে কোন গ্রাহক ইচ্ছা করলে যে কোন সময় প্রি-পেইড মিটারে রূপান্তর করতে পারবেন। গ্রাহককে নিজ উদ্যোগে বাজার থেকে মিটার সংগ্রহ করে স্থানীয় বিদ্যুৎ অফিসকে অবহিত করলে তারা প্রয়োজনীয় আনুসাঙ্গিক ব্যবস্থা নিবেন।

    শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) কালুরঘাট বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে বিদ্যুৎ বিতরণ দক্ষিনাঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইমাম হোসেনের সাথে ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইনের নেতৃত্বে ক্যাব চট্টগ্রাম প্রতিনিধি দলের অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে উপরোক্ত তথ্য জানানো হয়।

    এ উপলক্ষে কালুরঘাট বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী গিয়াস ইবনে আলম, ক্যাব পাঁচলাইশের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম জাহাঙ্গীর, ক্যাব সদস্য নাজিম উদ্দীনসহ বিদ্যুৎ বিভাগের বিভিন্ন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

    সভায় ক্যাব থেকে জানানো হয়, প্রতিনিয়তই গ্রাহকদের বিলের রিডিং নিয়ে নানা সমস্যা হচ্ছে। অনেক সময় বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন মিটার না দেখে রিডিং করে থাকেন। ফলে গ্রাহককে সমস্যায় পড়তে হয়। আর এ সমস্যা থেকে উত্তরণের উপায় হলো প্রি-পেইড মিটার প্রবর্তন। সরকার কিছু কিছু মিটার সরবরাহ করলেও প্রি-পেইড মিটার বিতরণ কার্যক্রম স্থবির হয়ে আছে। ফলে গ্রাহকরা অতিরিক্তি বিলের বাড়তি বোঝা নিয়ে ভোগান্তির শিকার। তার উত্তরে বিদ্যুৎ বিতরণ দক্ষিনাঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইমাম হোসেন বলেন গ্রাহক ইচ্ছা করলেই যে কোন সময় প্রি-পেইড মিটারে রূপান্তরিত করতে পারবেন। তবে গ্রাহককে মিটারটি বাজার থেকে ক্রয় করে বিদ্যুৎ বিভাগকে অবহিত করলেই হবে। বিদ্যুৎ বিভাগ প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করবেন।

    সভায় জানানো হয় বিদ্যুৎ বিভাগের সেবা নিয়ে যে কোন সমস্যা, গ্রাহক ভোগান্তি স্থানীয় বিদ্যুৎ অফিসকে অবহিত করে সমাধান না হলে ক্যাব চট্টগ্রামসহ কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর যে কোন জেলা-উপজেলা কার্যালয় অথবা Consumers Association of Bangladesh (CAB) ফেসবুক পেজেও অবহিত করা যাবে।

  • করোনা মহামারী কালীন মুহুর্তে চসিক নির্বাচনের তারিখ ঘোষনা সরকারের স্বাস্থ্য সুরক্ষার পরিপন্থী

    করোনা মহামারী কালীন মুহুর্তে চসিক নির্বাচনের তারিখ ঘোষনা সরকারের স্বাস্থ্য সুরক্ষার পরিপন্থী

    বৈশ্বিক মহামারী করোনার দ্বিতীয় ঢেউ বর্তমানে দেশে চলমান রয়েছে। সরকার বিভিন্ন স্বাস্থ্য সতর্কবানী ঘোষনা ও প্রচার করলেও নির্বাচন কমিশন কোন দিকে দৃষ্ঠি নিক্ষেপ না করে মহামারীকে উস্কে দেবার মতো কান্ডজ্ঞানহীন আচরণে লিপ্ত। করোনা মহামারীর প্রাদুর্ভাব রোধে সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা বন্ধ রেখেছেন। বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ভর্তি পরীক্ষা বাদ দিয়ে লটারীতে নেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ন পরীক্ষাসমুহ বন্ধ রেখেছেন। গণপরিবহন, হাট-বাজার ও সভা-সমাবেশে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মানা নিশ্চিতে জেলা-উপজেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমান আদালতও পরিচালনা করছেন। সরকারী-বেসরকারী পর্যায়ে অনেকগুলি সভা সরাসরি বাদ দিয়ে অনলাইনে করছেন।

    এ অবস্থায় আগামি ২৭ জানুয়ারি ২০২১ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনসহ বিভিন্ন পৌরসভার নির্বাচনের তারিখ ঘোষনা সরকারের করোনা মহামারী সংক্রান্ত প্রস্তুতি ও সতর্কতার পরিপন্থী বলে মত প্রকাশ করে উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে এই তারিখ পেছানোর দাবি জানিয়েছেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম নগর ও বিভাগীয় নেতৃবৃন্দ।

    মঙ্গলবার গণমাধ্যমে প্রেরিত বিবৃতিতে ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ন সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম ও ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান প্রমুখ উপরোক্ত দাবি জানান।

    বিবৃতিতে ক্যাব নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের কান্ডজ্ঞানহীন আচরণের কারনে সাধারণ জনগনের ভোট অধিকার প্রয়োগ মানুষের কাছে হাস্যকর বিষয়ে পরিনত হয়েছে। সেখানে করোনার স্বাস্থ্য বিধি ও সতর্কতাকে উপেক্ষা করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনসহ বিভিন্ন পৌরসভার ভোট গ্রহনের তারিখ ঘোষনা সাধারণ ভোটারদেরকে করোনার মৃত্যু ঝুঁকিতে নিক্ষেপ করার মতো আত্মঘাতি ও অপরিপক্ষ সিদ্ধান্ত।

    চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন যেহেতু দেশের বৃহত্তম সিটি করপোরেশন। সেকারনে বিপুল সংখ্যক প্রার্থী ও সমর্থকদের ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা, ভোটারদের বাড়ী পরিদর্শন এবং নির্বাচনী সভা, সমাবেশ ও প্রচারণা করবেন বিধায় নগরীর ৭০ লক্ষ নগরবাসী পুরোটাই করোনার প্রবল ঝুঁকিতে পতিত হবেন। তাই অবিলম্বে এই নির্বাচনের তারিখ পেছানো উচিত মন্তব্য করেন।

    নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, যেহেতু সিটি করপোরেশনের নির্বাচন, স্থানীয় সরকারের নির্বাচন, সেকারনে নির্ধারিত সময় পার হলেও সংবিধান লংঘন হবার মতো কোন পরিস্থিতির উৎভব ঘটবে না। আর মানুষের জীবন বাঁচানো প্রথম অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। নির্বাচন কমিশনের এই অপরিপক্ষ সিদ্ধান্ত প্রার্থী, সমর্থক ও ভোটারদেরকে করোনার মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ের মৃত্যু ঝুঁিকতে ফেলানো মতো পরিস্থিতি শুভকর ও যথার্থ নয়। তাই স্বতঃস্পূর্ত ও অংশগ্রহনমুলক নির্বাচনের স্বার্থে এ ধরণের খামখেয়ালীপনা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত।

  • চন্দনাইশে ক্যাব’র উদ্যোগে নিরাপদ খাদ্য ও ভোক্তা অধিকার নিশ্চিতে করণীয় নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত

    চন্দনাইশে ক্যাব’র উদ্যোগে নিরাপদ খাদ্য ও ভোক্তা অধিকার নিশ্চিতে করণীয় নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত

    ব্যবসায়ী হিসাবে সর্বস্তরের ব্যবসায়ীরা সংগঠিত আর ভোক্তারা অসংগঠিত। আর সেকারনে ভোক্তা হিসাবে ১৮ কোটি জনগন প্রতিনিয়তই মূল্য সন্ত্রাশের শিকার এবং প্রতারিত ও ঠকছি। চারদিকে ভেজালের দৌরাত্ম্যে ও অসাধু ব্যবসায়ীদের একছত্র আধিপত্ত্যের কারনে সাধারণ ভোক্তারা ক্রমশঃ অসহায় হয়ে পড়েছে।

    ভেজালের পরিধি এখন আর খাদ্যে ও ভোগ্য পণ্যে সীমাবদ্ধ নাই, জীবনরক্ষাকারী ওষুধ ও স্বাস্থ্য সেবাসহ জীবন-জীবিকা নির্বাহের অন্যান্য অধিকারের বেলায়ও এর বিস্তৃতি ঘটেছে। ভোক্তাদের অধিকার সংরক্ষনের জন্য সরকার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ নামে একটি যুগান্তকারী আইন প্রণয়ন করেছেন। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণসহ জনভোগান্তি নিরসনে অনেকগুলি উদ্ভাবনী উদ্যোগ এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মতো কাঠামো প্রতিষ্ঠা হলেও অধিকাংশ ভোক্তারা অধিকার আদায়ে অসচেতন, ঘুমন্ত ও নিস্ক্রিয় থাকায় এ সমস্ত সরকারি উদ্যোগগুলির সুফল সাধরণ জনগন পাচ্ছে না।

    দেশে কাঁচা মাছ, মাংশ থেকে শুরু করে সকল স্তরের ব্যবসায়ীরা সুসংগঠিত আর ভোক্তা হিসাবে সাধারণ জনগন অসংগঠিত ও সচেতন নয়, বিধায় ব্যবসায়ীরা বারবার বিভিন্ন অযুহাতে জনগনকে জিম্মি করে জনগনের পকেট কাটছে। আর ব্যবসায়ী সংগঠনের চাপে প্রশাসন সেখানে নিরব দর্শক হয়ে থাকছেন। তৃণমূলে সত্যিকারের সুশাসন ও নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় অধিকার ভোগ করার পাশাপাশি নাগরিকদেরকে নিজেদের দায়িত্ব অধিকার ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন ও সক্রিয় হতে হবে। আর এ কাজে দল-মত, জাতি ধর্ম, বর্ন নির্বিশেষে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।

    শনিবার (২৮ নভেম্বর ) সকাল ১১টায় চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার পিপিএস মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে নিরাপদ খাদ্য ও ভোক্তা অধিকার নিশ্চিতে করণীয় নিয়ে এক সেমিনারে বিভিন্ন বক্তাগন উপরোক্ত অভিমত ব্যক্ত করেন।

    কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চন্দনাইশ উপজেলা শাখার আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চন্দনাইশ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল জাব্বার।

    ক্যাব চন্দনাইশ উপজেলা শাখার সভাপতি নুরুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় মুখ্য আলোচক ছিলেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জমান।

    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফয়জুল্যাহ, চন্দনাইশ পৌর সভার মেয়র মাহবুবুল আলম খোকা, চন্দনাইশ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারারম্যান মওলানা সোলাইমান ফারুকী, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল মান্নান।

    আলোচনায় আরো অংশনেন চীনের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি ফেলো ও শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ নাজমুস সাকিব, ক্যাব পাচলাইশ থানার সাধারন সম্পাদক সেলিম জাহাঙ্গীর, ক্যাব চান্দগাও থানা সভাপতি মোহাম্মদ জানে আলম, সাংবাদিক সৈয়দ শিবলী সাদিক কফিল প্রমুখ।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভোক্তা অধিকার সুরক্ষায় সর্বস্তরের জনসচেতনতার পাশাপাশি অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সংগঠিত প্রতিবাদ ও সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। অসাধু ব্যবসায়ীদের সামাজিক ভাবে বয়কট করার আহবান জানান। উপজেলা প্রশাসন থেকে এ কাজে ক্যাবকে সার্বিক সহযোগিতা ও সমর্থন প্রদানের আশ্বাস দেন।

    মুল প্রবন্ধে জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হাসানুজ্জমান বলেন, ক্যাব স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে দেশের মানুষের অধিকার সুরক্ষায় অনেকগুলি যুগান্তকারী আন্দোলনে নেতৃত্ব প্রদান করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় ভোক্তাদের অধিকার সুরক্ষায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ প্রনয়ণেও ক্যাব অগ্রনী ভূমিকা পালন করেছেন। অনেকের ধারনা ভোক্তা হিসাবে প্রতারিত ও ক্ষতিগ্রস্থ হলে অভিযোগ করে প্রতিকার পাওয়া যায় না। ভোক্তা অধিকার আইন অনুযায়ী একজন ভুক্তভোগী ক্ষতিগ্রস্থ ও প্রতারিত হলে সরাসরি অতি সহজে বিনা কোর্ট ফিঃ ও অ্যাডভোকেট নিযুক্ত ছাড়াই মোবাইল, ফেসবুক, ইন্টারনেট, চিঠির মাধ্যমে অভিযোগ দাখিল করতে পারেন। অভিযোগ প্রমানিত হলে জরিমানার ২৫ শতাংশ অভিযোগকারী পাবেন। প্রতি সপ্তাহে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কেন্দ্রিয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়ে গণশুণাণী ও মাঠ পর্যায়ে বাজার তদারকির মাধ্যমে অভিযোগগুলি দ্রুত নিস্পত্তি করা হচ্ছে। কিন্তু সাধারণ জনগণের মাঝে এ বিষয়ে পরিস্কার তথ্য না থাকায় জনগণ ভোক্তা অধিকার সুরক্ষায় সরকারের এই যুগান্তকারী উদ্যোগ থেকে তেমন সুফল পাচ্ছে না। অভিযোগ স্থানীয় ভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে, সরকারী সেবা ১৬১২১, ৩৩৩, ৯৯৯ অথবা ক্যাবের স্থানীয় শাখার মাধ্যমেও অভিযোগ দাখিল করা যাবে। তাই সাধারণ জনগণ ও ভোক্তাদের অধিকার সংরক্ষণে এই যুগান্তকারী আইন ও সুযোগ সম্পর্কে সর্ব সাধারণকে জানানোর জন্য ব্যাপক গণসচেতনতা সৃষ্ঠির উদ্যোগ নেবার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানানো হয়েছে।

  • শনিবার চন্দনাইশে “নিরাপদ খাদ্য ও ভোক্তা অধিকার নিশ্চিতে করণীয়” শীর্ষক সেমিনার

    শনিবার চন্দনাইশে “নিরাপদ খাদ্য ও ভোক্তা অধিকার নিশ্চিতে করণীয়” শীর্ষক সেমিনার

    কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চন্দনাইশ উপজেলার উদ্যোগে আগামি শনিবার (২৮ নভেম্বর) সকালে পিপিএস মডেল ‍উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তন, এ এ ভবন, দীঘির পূর্ব পাড় এ “নিরাপদ খাদ্য ও ভোক্তা অধিকার নিশ্চিতে করণীয়” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।

    স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের পাট ও বস্ত্র সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম চৌধুরী সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন।

    সেমিনারের উদ্বোধন করবেন চন্দনাইশ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল জাব্বার চৌধুরী, মূখ্য আলোচক হিসেবে থাকবেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন।

    বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমতিয়াজ হোসেন, চন্দনাইশ পৌর সভার মেয়র আলহাজ্ব মাহবুবুল আলম খোকা, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ, চন্দনাইশ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মওলানা সোলাইমান ফারুকী, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট কামেলা খানম রূপা, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ শাহীন হোসেন চৌধুরী, চন্দনাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নাসির উদ্দীন সরকার, জেলা পরিষদ সদস্য আলহাজ্ব আবু আহমদ জুনু, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান।

    সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জমান।

  • ভোক্তা স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ট্রান্স ফ্যাট নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা প্রণয়নের দাবি ক্যাব’র

    ভোক্তা স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ট্রান্স ফ্যাট নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা প্রণয়নের দাবি ক্যাব’র

    সকলের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে খাদ্যে ট্রান্স ফ্যাটের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে জরুরি ভাবে নীতিমালা প্রণয়ন করা না হলে চরম হুমকির মুখে পড়বে ভোক্তা স্বাস্থ্য। চট্টগ্রাম অঞ্চলে মানুষ গরুর মাংশ ভুজী মানুষের আধিক্য বেশী থাকায় হ্দৃরোগসহ নানা জঠিল রোগে আক্রান্তের হার বেশী। খাদ্যে অতিমাত্রায় ট্রান্সফ্যাট মানুষের হৃদরোগ ঝুঁকি বাড়ায়। তাই দ্রুততম সময়ের মধ্যে সবধরনের ফ্যাট, তেল এবং খাদ্যদ্রব্যে ট্রান্সফ্যাটের সর্বোচ্চ সীমা মোট ফ্যাটের ২ শতাংশ নির্ধারণ এবং তা কার্যকর করার দাবি জানিয়েছেন কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।

    রবিবার (১৫ নভেম্বর) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে ‘খাদ্যে ট্রান্সফ্যাট, হৃদরোগের ঝুঁকি এবং করণীয়: পরিপ্রেক্ষিত ভোক্তা’ শীর্ষক বিভাগীয় সেমিনারে উপরোক্ত দাবি জানানো হয়।

    চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন)মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে সোমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার এ বি এম আজাদ।

    ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরীর সঞ্চালনায় সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন। সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডাঃ হাসান শাহরিয়া কবীর, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের প্রফেসর ও হ্দরোগ বিভাগের প্রধান ডাঃ প্রফেসর প্রবীপ কুমার দাস, কৃষি সম্প্রসারণ অধিধপ্তরের বিভাগীয় অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মঞ্জুরুল হুদা, আনসার ১৫ ব্যাটেলিয়ানের পরিচালক এস এম আজিম উদ্দীন, বিএসটিআই চট্টগ্রামের আঞ্চলিক পরিচালক প্রকৌশলী সেলিম রেজা, জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ ফয়েজউল্যাহ।

    আলোচনায় অংশনেন চট্টগ্রাম চেম্বারস অব কর্মাসের সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, পরিচালক অহিদ সিরাজ স্বপন, চট্টগ্রাম ইউমেন চেম্বারস অব কর্মাসের ভাইস প্রেসিডেন্ট রেখা আলম চৌধুরী, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সুব্রত কুমার চৌধুরী, চট্টগ্রাম ডায়বেটিস জেনারেল হাসপাতালের প্রধান পুষ্ঠিবিদ হাসিনা আকতার লিপি, অতিরিক্ত জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ফেরদৌসী আকতার, জেলা শিশু কর্মকতা নার্গিস আকতার, জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা নাজমুস সুলতানা শীমা, চট্টগ্রাম সিটিকরপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর আঞ্জুমান আরা বেগম, সরকারী মহসিন কলেজের অধ্যাপক ইদ্রিস আলী, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি এম নাসিরুল হক, সাবেক উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রেহেনা আকতার, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি হাজী সালামত আলী, বাংলাদেশ রেস্তোরা মালিক সমিতি চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি ইলিয়াছ ভুইয়া, ফুলকলির জিএম এম এ সবুর, বনফুলের জিএম আনামুল হক, গ্রীণ গেইনের আসাদুল্লাহ গালিব, সাবেক বিভাগীয় স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা খাইরুল বাশার প্রমুখ।

    সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ এর প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর ডাঃ মোঃ মাহবুবুস সোবহান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করে প্রজ্ঞা’র ট্রান্সফ্যাট বিষয়ক প্রকল্প সমন্বয়ক মাহমুদ আল ইসলাম শিহাব ও ক্যাবের প্রাজেক্ট কো-অর্ডিনেটর খন্দকার তৌফিক আল হোসাইনী।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ বলেন নিরাপদ খাদ্যের বিষয়ে তৃণমূল পর্যায়ে সচেতনতার অভাব আছে। ট্রান্সফ্যাট নিয়ে দেশে এখনও নীতিমালা প্রনীত হয়নি। আর নীতিমালা না হলে এক্ষেত্রে সরকারী বিভিন্ন দপ্তরগুলি কার্যকর উদ্যোগ নিতে সক্ষম হবে না। তাই ট্রান্স ফ্যাট নিয়ে নীতিমালা প্রণয়ণে সরকারের সংস্লিষ্ঠ মহলে বিষয়টি উত্থাপনের বিষয়ে আশ্বাস দেন। তিনি ট্রান্স ফ্যাটসহ নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে চাহিদা ও যোগানের বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্ঠি জরুরী বলে মত প্রকাশ করেন। যদি অনিরাপদ খাদ্য বিষয়ে ভোক্তারা সচেতন হয়, তাহলে ঐ খাদ্যের চাহিদা কমে যাবে এবং ব্যবসায়ীরা ঐ খাদ্য উৎপাদনে অনাগ্রহী হবে। তাই ভোক্তা পর্যায়ে আরও বেশী করে গণসচেতনতামুলক কর্মসুচি গ্রহনে ক্যাবসহ সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতি আহবান জানান।

    সভাপতির বক্তব্যে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে ভোক্তা পর্যায়ে সচেতনতা ও ভোক্তা হিসাবে দায়িত ¡পালনের বিকল্প নাই। ভোক্তারা সচেতন নয় বলে খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলিও দায়িত্বহীন আচরণ করে থাকেন। দায়িত্বশীল ভোক্তারা যদি দায়িত্বপুর্ণ আচরণ করেন তাহলে এখাতে স্বনিয়ন্ত্রিত রেগুলেশন আসতে বাধ্য।

    সেমিনারে জানানো হয়, খাদ্যে ট্রান্স ফ্যাটের প্রধান উৎস হচ্ছে পারশিয়ালি হাইড্রোজেনেটেড অয়েল (পিএইচও), যা ডালডা বা বনস্পতি ঘি নামে পরিচিত। ভেজিটেবল অয়েল বা উদ্ভিজ্জ তেল (পাম, সয়াবিন ইত্যাদি) যান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় পারশিয়ালি হাইড্রোজেনেশন করা হলে তেল তরল অবস্থা থেকে মাখনের মতো জমে যায়, এই প্রক্রিয়ায় ট্রান্সফ্যাটও উৎপন্ন হয়। এই শিল্পোৎপাদিত ট্রান্সফ্যাট জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরূপ। মাত্রাতিরিক্ত ট্রান্সফ্যাট গ্রহণ উচ্চহারে হৃদরোগ, হৃদরোগজনিত মৃত্যু, স্মৃতিভ্রংশ (dementia) এবং স্বল্প স্মৃতিহানি (cognitive impairment) জাতীয় রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এর হিসেব অনুযায়ী, বিশ্বে প্রতিবছর ২ লাখ ৫০ হাজার মানুষ ট্রান্সফ্যাট গ্রহণের কারণে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। বাংলাদেশে প্রতিবছর ৫,৭৭৬ জন মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ি ট্রান্সফ্যাট। ডব্লিএইচও প্রকাশিত “WHO REPORT ON GLOBAL TRANS FAT ELIMINATION 2020” শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বিশ্বে ট্রান্সফ্যাট গ্রহণের কারণে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর প্রায় দুই-তৃতীয়াংশই ঘটে ১৫টি দেশে, যার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।

    অতিসম্প্রতি, ঢাকার শীর্ষস্থানীয় পিএইচও (পারশিয়ালি হাইড্রোজেনেটেড অয়েল) ব্র্যান্ডসমূহের নমুনার ৯২ শতাংশে ডব্লিউএইচও সুপারিশকৃত ২% মাত্রার চেয়ে বেশি ট্রান্সফ্যাট (ট্রান্স ফ্যাটি এসিড) পেয়েছেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউট এর গবেষকগণ। গবেষণায় ঢাকার পিএইচও নমুনা বিশ্লেষণ করে প্রতি ১০০ গ্রাম পিএইচও নমুনায় সর্বোচ্চ ২০.৯ গ্রাম পযন্ত ট্রান্সফ্যাট এর উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে, যা ডব্লিউএইচও এর সুপারিশকৃত মাত্রার তুলনায় ১০ গুণেরও বেশি। বাংলাদেশে ট্রান্সফ্যাট নিয়ন্ত্রণে নীতিমালা না থাকায় মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে জনস্বাস্থ্য। এমতাবস্থায়, দ্রুততম সময়ের মধ্যে সবধরনের ফ্যাট, তেল এবং খাদ্যদ্রব্যে ট্রান্সফ্যাটের সর্বোচ্চ সীমা মোট ফ্যাটের ২ শতাংশ নির্ধারণ এবং তা কার্যকর করার দাবি জানায় ক্যাব। পাশাপাশি সহায়ক পদক্ষেপ হিসেবে মোড়কজাত খাবারের পুষ্টিতথ্য তালিকায় ট্রান্সফ্যাটের সীমা উল্লেখ বাধ্যতামূলক করা, উপকরণ তালিকায় পিএইচও এর মাত্রা উল্লেখ বাধ্যতামূলক করা, ফ্রন্ট অব প্যাকেজ লেবেলস বাধ্যতামূলক করা যা খাদ্যদ্রব্যে ট্রান্সফ্যাটের উপস্থিতি নির্দেশ করবে, এবং “ট্রান্সফ্যাট-মুক্ত” বা “স্বল্পমাত্রার ট্রান্সফ্যাট” এ জাতীয় স্বাস্থ্যবার্তা ব্যবহারে বিধিনিষেধ আরোপসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথা বলা হয়। এ ধরনের পদক্ষেপের ফলে খাদ্যপণ্যের উপাদান সম্পর্কে ভোক্তাদের সচেতনতা বৃদ্ধি পায় বলে আলোচনা সভায় জানানো হয়।

    স্বাগত বক্তব্যে ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন বলেন, ক্যাব দীর্ঘদিন যাবৎ সকলের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে আন্দোলন করে যাচ্ছেন। ট্রান্সফ্যাট নতুন একটি উপসর্গ আর্বিভুত হয়েছে। আর এই ট্রান্সফ্যাটের কারনে হ্দরোগসহ নানা অসংক্রমন রোগের প্রার্দুভাব প্রতিনিয়তই বাড়ছে। আর “ট্রান্সফ্যাট নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশে কোনো নীতি না থাকায় ভোক্তা স্বাস্থ্য চরম হুমকির মধ্যে রয়েছে। ভোক্তা স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ট্রান্সফ্যাট নির্মূল করার জন্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তর, উৎপাদক ও ভোক্তা অধিকার সংগঠনগুলোকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/মোরশেদ

  • ট্রান্স ফ্যাটের কারণে অকাল মৃত্যুঝুঁকি বাড়ছে

    ট্রান্স ফ্যাটের কারণে অকাল মৃত্যুঝুঁকি বাড়ছে

    খাবারের ট্রান্স-ফ্যাট হলো ক্ষতিকর চর্বি জাতীয় খাবার। এটি রক্তের ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয় এবং খারাপ কোলেস্টরেলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। রক্তে অতিরিক্ত মাত্রার খারাপ কোলেস্টেরল হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই, আপনি যত বেশি ট্রান্স-ফ্যাট খাবেন, আপনার হার্ট এবং রক্তনালি রোগের ঝুঁকিও তত বাড়বে। ট্রান্স-ফ্যাট এত অস্বাস্থ্যকর, যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন সংস্থা-এফডিএ সম্প্রতি খাদ্য প্রস্তুতকারীদের খাবার এবং পানীয়তে কৃত্রিম ট্রান্স-ফ্যাটের প্রধান উৎস যোগ করতে নিষেধ করেছে এবং সংস্থাটি আশা করে, এই পদক্ষেপে প্রতি বছর হাজার হাজার হার্ট অ্যাটাক এবং মৃত্যু প্রতিরোধ করবে।

    ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ট্রান্স ফ্যাট প্রজেক্টের কো-অর্ডিনেটর ডা. শেখ মাহবুবুস সোবহান এসব তথ্য জানান।

    শনিবার (১৪ নভেম্বর) ক্যাব, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, প্রজ্ঞা ও গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর নগরের মোটেল সৈকতের সম্মেলন কক্ষে এ ওরিয়েন্টেশন কর্মশালায় ‘খাদ্যে ট্রান্স ফ্যাট, হৃদরোগ ঝুঁকি এবং করণীয়’ শীর্ষক আলোচনায় তিনি রিসোর্স পারসন হিসেবে বক্তব্য দেন।

    ট্রান্স-ফ্যাট কী?

    বেশিরভাগ ট্রান্স-ফ্যাট তৈরি হয় শিল্প প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। এ প্রক্রিয়ায় উদ্ভিজ্জ তেল তৈরির সময় তাতে হাইড্রোজেন যুক্ত হয়। এই আংশিক হাইড্রোজেনযুক্ত উদ্ভিজ্জ তেল যা স্বাভাবিক কক্ষ তাপমাত্রায় শক্ত হয়ে যায় সেটিই হলো ট্রান্স-ফ্যাট। এটি খুব বেশি ক্ষতিকর না হলেও খাবার তৈরির সময় উদ্ভিজ্জ তেল পরিবর্তন না করে, ভাজার জন্য বারবার ব্যবহার করলে তা বেশি বেশি ট্রান্স-ফ্যাটে পরিণত হয়, যা শরীরের জন্য খুব ক্ষতিকর।

    আপনার খাবারে ট্রান্স-ফ্যাট

    নানা রকম বেকারি পণ্য যেমন : কেক, কুকিজ, পিৎজা ট্রান্স-ফ্যাটসমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে অন্যতম। প্রক্রিয়াজাত বিভিন্ন রকমের খাবার, ফ্রোজেন খাবার এবং নানা ভাজা-পোড়া খাবার, ফ্রাইড চিকেন, ফ্রেঞ্চ ফ্রাইও ট্রান্স-ফ্যাটের অন্যতম উৎস।

    ট্রান্স-ফ্যাট কীভাবে আপনার ক্ষতি করে?

    রক্তে যেসব কোলেস্টেরল থাকে, সেগুলোর মধ্যে দু’ধরনের কোলেস্টেরল খুব গুরুত্বপূর্ণ :

    *কম ঘনত্বের কোলেস্টেরলের বা এলডিএল, যা ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল হিসেবে গণ্য। এ ধরনের কোলেস্টেরল হূৎপিণ্ডের রক্তনালির দেওয়ালে চর্বি জমাট বাঁধতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এবং রক্তনালিগুলো সরু হয়ে রক্ত চলাচলে বাধাগ্রস্ত করে। তাতে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে।

    *উচ্চ ঘনত্বের কোলেস্টেরলের বা এইচডিএল, যা ‘ভালো’ কোলেস্টেরল। এই কোলেস্টেরল রক্তের ‘খারাপ’ কোলেস্টেরলকে রক্ত থেকে যকৃতে বয়ে নিয়ে যায় এবং রক্তনালির দেওয়ালে চর্বি জমতে দেয় না। ট্রান্স-ফ্যাট আপনার রক্তে ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল বা এলডিএল কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দেয় এবং ‘ভালো’ কোলেস্টেরল বা এইচডিএল কোলেস্টেরল কমিয়ে দেয়। এভাবে ট্রান্স-ফ্যাট রক্তের স্বাভাবিক কোলেস্টেরলের মাত্রায় অস্বাস্থ্যকর প্রভাব ফেলে এবং ট্রান্স-ফ্যাটসমৃদ্ধ খাবার হার্ট অ্যাটাক, মস্তিস্কের স্ট্রোক, রক্তনালির অসুখ এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়।

    হৃদযন্ত্রের ওপর ট্রান্স ফ্যাটের প্রভাব

    উচ্চমাত্রায় ট্রান্স ফ্যাট (ট্রান্স ফ্যাটি এসিড) গ্রহণ হার্ট অ্যাটাকসহ হৃদরোগজনিত মৃত্যুঝুঁকি বৃদ্ধি করে। ডব্লিওএইচও’র ২০১৯ সালের হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় দুই লাখ ৫০ হাজার মানুষ শিল্পোৎপাদিত ট্রান্স ফ্যাট গ্রহণের কারণে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। ট্রান্স ফ্যাট এক ধরনের অসম্পৃক্ত চর্বি বা আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট যা রক্তে ‘খারাপ কোলেস্টেরল হিসেবে পরিচিত Low Density Lipoprotei বা এলডিএল বৃদ্ধি করে, অপরদিকে High Density Lipoprotein বা এইচডিএল কোলেস্টেরল (ভালো কোলেস্টেরল বলা হয়) কমিয়ে দেয়। এর ফলে রক্তবাহী ধমনীতে কোলেস্টেরল জমা হয়ে রক্তচলাচলে বাধা সৃষ্টি করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

    বাংলাদেশের খাবারে ট্রান্স ফ্যাটের উপস্থিতি

    ঢাকার পিএইচও নমুনার ৯২ শতাংশে ডব্লিউএইচও সুপারিশকৃত দুই শতাংশ মাত্রার চেয়ে বেশি ট্রান্স ফ্যাট (ট্রান্স ফ্যাটি এসিড) পাওয়া গেছে। প্রতি ১০০ গ্রাম পিএইচও নমুনায় সর্বোচ্চ ২০ দশমিক ৯ গ্রাম পর্যন্ত ট্রান্স ফ্যাটের উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে, যা ডব্লিউএইচও’র সুপারিশকৃত মাত্রার তুলনায় ১০ গুণেরও বেশি। ঢাকার শীর্ষস্থানীয় পিএইচও ব্র্যান্ডগুলোর নমুনা বিশ্লেষণ করে এই ফলাফল পেয়েছেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের গবেষকরা। অন্য একটি গবেষণায় ঢাকার স্থানীয় বাজার থেকে দৈবচয়নের ভিত্তিতে সংগৃহীত ১২ ধরনের বেকারি বিস্কুটের নমুনায় পাঁচ শতাংশ থেকে ৩৯ শতাংশ পর্যন্ত ট্রান্স ফ্যাটের উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে।

    বাংলাদেশে ট্রান্স ফ্যাটের স্বাস্থ্যঝুঁকি

    ট্রান্স ফ্যাটজনিত হৃদরোগে মৃত্যুর সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ ১৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। অতিসম্প্রতি ডব্লিউএইচও প্রকাশিত WHO Report on lobal Trans Fat Elimination ২০২০’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশে প্রতিবছর হৃদরোগে যত মানুষ মারা যায়, তার চার দশমিক ৪১ শতাংশের জন্য দায়ী ট্রান্স ফ্যাট। ট্রান্স ফ্যাটের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোনো আইন বা নীতি নেই, তবে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএফএসএ) খাদ্যে ট্রান্স ফ্যাট নিয়ন্ত্রণে নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করেছে। কমিটির আওতায় এরই মধ্যে ট্রান্স ফ্যাটি এসিড নিয়ন্ত্রণে একটি ধারণাপত্র তৈরি করা হয়েছে।

    করণীয়

    বাংলাদেশে হৃদরোগের ঝুঁকি কমিয়ে আনতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ডব্লিউএইচও’র পরামর্শ অনুযায়ী সব ধরনের ফ্যাট, তেল ও খাদ্যদ্রব্যে ট্রান্স ফ্যাটের সর্বোচ্চ সীমা মোট ফ্যাটের দুই শতাংশ নির্ধারণ করে আইন প্রণয়ন এবং কার্যকর করা অত্যন্ত জরুরি। এর পাশাপাশি সহায়ক পদক্ষেপ হিসেবে প্রয়োজন মোড়কজাত খাবারের পুষ্টিতথ্য তালিকায় ট্রান্স ফ্যাটের সীমা উল্লেখ বাধ্যতামূলক করা, উপকরণ তালিকায় পিএইচও’র মাত্রা উল্লেখ বাধ্যতামূলক করা ও ফ্রন্ট অব প্যাকেজ লেবেলস বাধ্যতামূলক করা, যা খাদ্যদ্রব্যে ট্রান্স ফ্যাটের উপস্থিতি নির্দেশ করবে এবং ‘ট্রান্স ফ্যাট-মুক্ত’ বা ‘স্বল্পমাত্রার ট্রান্স ফ্যাট’ এ-জাতীয় স্বাস্থ্যবার্তা ব্যবহারে বিধিনিষেধ আরোপ করতে হবে। এসব পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হলে হৃদরোগজনিত অসুস্থতা ও মৃত্যু কাক্সিক্ষত মাত্রায় হ্রাস পাবে এবং অসংক্রামক রোগ-সংক্রান্ত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা তিন দশমিক চার অর্জন সহজতর হবে।

    বৈশ্বিক অভিজ্ঞতা নিয়ে প্রজ্ঞা’র প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর মাহমুদ আল ইসলাম শিহাব, ভোক্তাদের করণীয় বিষয়ে ক্যাবের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর আহম্মদ একরামুল্লাহ আলোচনা করেন।

    ক্যাব চট্টগ্রামের সভাপতি এসএম নাজের হোসাইনের সভাপতিত্বে উদ্বোধন পর্বে অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম। সঞ্চালনায় ছিলেন ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল বাহার ছাবেরী।

    আলোচনা শেষে সৈয়দ আলমগীর সবুজকে আহ্বায়ক, হামিদ উল্লাহ ও রেজা মুজাম্মেলকে যুগ্ম আহ্বায়ক এবং প্রীতম দাশকে সদস্য সচিব করে ভোক্তা অধিকার মিডিয়া অ্যালায়েন্স গঠন করা হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/মোরশেদ