Tag: ক্যাসিনো

  • বাইরে ক্যারম বোর্ড, ভেতরে ক্যাসিনো:আটক ২১

    বাইরে ক্যারম বোর্ড, ভেতরে ক্যাসিনো:আটক ২১

    ঢাকার আশুলিয়ার কাইচাবাড়ি এলাকার একটি বাড়ির বাইরে প্রতিদিন ক্যারম বোর্ড খেলা চলত। আর এই খেলার আড়ালে বাড়ির ভেতরে চলত ক্যাসিনো বোর্ড বসিয়ে জুয়া খেলা। এতে অংশ নিত নিম্ন আয়ের মানুষ।

    এখানে প্রতিরাতে ১০-১৫ লাখ টাকার জুয়া খেলা হয় হতো। জুয়াড়িদের চাঙ্গা রাখতে ছিল মাদক সেবনের ব্যবস্থা। গত দেড় বছর এভাবেই চলে আসছিল।

    র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-৪) শনিবার রাতে ঝটিকা অভিযান চালিয়ে ওই জুয়ার আসর থেকে ২১ জনকে আটক করে। এ সময় ১০০ পিস ইয়াবা, ১২ ক্যান বিদেশি বিয়ার, ২২টি মোবাইল ফোন ও নগদ ৩৮ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।

    র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনিছুর রহমান ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সাজেদুল ইসলাম সজলের নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়। রোববার দুপুরে রাজধানীর মিরপুর পাইকপাড়ায় র‌্যাব-৪-এর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক এ তথ্য জানান।

    আটক ব্যক্তিরা হল : জামালপুরের মো. বিল্লাল (৩৮), সবুজ মিয়া (২৮) ও শিপন (২০); ঢাকার মো. জুয়েল (২৮), মইদুল ইসলাম (৩২), মো. শরিফ (২৮), মো. এখলাছ (৩৫), মঈন মিয়া (২৮) ও দিয়াজুল ইসলাম (২০); টাঙ্গাইলের মো. লিটন (৪৫), ফরিদপুরের রবিউল মোল­্যা (২৪), গাইবান্ধার আবু তালেব (২০), রংপুরের আবদুল আলিম (৩৫), জয়পুরহাটের আজাদুল ইসলাম (৫০), রাজবাড়ীর সোহেল মোল্যা (৩২), গাইবান্ধার আসাদুল ইসলাম (৩০) ও হাবিবুর রহমান (৪৭); নাটোরের মাসুদ রানা (২০), ময়মনসিংহের রুবেল মিয়া (৩৩), বরিশালের ফজলে রাব্বি (২২) ও নোয়াখালীর রনি ভূঁইয়া (২৫)।

    মোজাম্মেল হক বলেন, ওই আসরে প্রতিরাতে ১০-১৫ লাখ টাকার জুয়া খেলা চলত। খেলতে আসাদের বেশিরভাগই নিম্ন আয়ের মানুষ। বাইরে থেকে দেখে বোঝার উপায় নেই সেখানে জুয়া খেলা হয়। বাইরে ক্যারম বোর্ড প্রদর্শন করে ভেতরে চলত জুয়া খেলা। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালিয়ে জুয়া খেলার সময় হাতেনাতে ২১ জনকে আটক করা হয়।

    র‌্যাবের ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তিরা জানায়, তারা জুয়ার আসরে জনপ্রতি সর্বনিম্ন ১০০ টাকা থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত খেলত।

    রাত গভীর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জুয়ার আসরও জমে উঠত। জুয়ার আসর পরিচালনায় প্লাবন হোসাইন ও ওমর ফারুক নামে দুই ব্যক্তির নাম পাওয়া গেছে। তারা দু’জনই মালিক। দু’জনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • এবার বুবলীর নায়ক নিরব !

    এবার বুবলীর নায়ক নিরব !

    এবার শাকিব খান ছাড়াই চলচ্চিত্রে কাজ করতে যাচ্ছেন চিত্রনায়িকা বুবলী! সৈকত নাসির পরিচালিত নতুন চলচ্চিত্র ”ক্যাসিনো”তে বুবলীর বিপরীত নায়ক হিসেবে থাকছেন মডেল-চিত্রনায়ক নিরব হোসাইন। চলচ্চিত্রটির পরিচালক সৈকত নাসির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আর এর মধ্য দিয়েই ক্যারিয়ারের তিন বছরের মাথায় শাকিব খানের বাইরে প্রথমবার অন্য কোনো নায়কের সঙ্গে কাজ করতে যাচ্ছেন বুবলী।

    এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গত ১০ নভেম্বর নিরব-বুবলী চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। এই দুজন ছাড়াও ”ক্যাসিনো”-তে থাকছেন তাসকিন রহমান। তিনিও এরইমধ্যে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। আগামী ২০ নভেম্বর থেকে ঢাকায় শুরু হবে চলচ্চিত্রটির শুটিং।

    এদিকে এমন ঘোষণার পাশাপাশি রবিবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সৈকত নাসির ও নিরব ফেসবুকে প্রকাশ করেছেন ”ক্যাসিনো”র একটি প্রাথমিক পোস্টারও। জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে তুমুল আলোচনায় আসা ক্যাসিনো-কাণ্ডকে কেন্দ্র করেই চলচ্চিত্রটির গল্প। এটির গল্প লিখছেন আব্দুল্লাহ জহির বাবু। নির্মিত হচ্ছে সিমপ্লেক্স ইন্টারন্যাশনালের ব্যানারে।

    উল্লেখ্য,টেলিভিশনের সংবাদ পাঠিকা থেকে ২০১৬ সালে শাকিব খানের হাত ধরে চলচ্চিত্রে আসেন শবনম বুবলী। এ নায়কের সঙ্গে ”বসগিরি”, ”শুটার”, ”রংবাজ”, ”অহংকার”, ”চিটাগাইঙ্গা পোয়া নোয়াখাইল্যা মাইয়্যা”, ”সুপার হিরো”, ”ক্যাপ্টেন খান”, ”পাসওয়ার্ড”, ”মনের মতো মানুষ পাইলাম না”, ”একটু প্রেম দরকার” (মুক্তির অপেক্ষা), ”বীর” (নির্মাণাধীন) চলচ্চিত্রে জুটি বেঁধেছেন তিনি।

  • ক্যাসিনো খেলছেন পাপন,সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় (ভিডিও)

    ক্যাসিনো খেলছেন পাপন,সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় (ভিডিও)

    ক্যাসিনো অভিযান ও সাকিব ইস্যুতে যখন ক্রিকেট ও রাজনীতির মাঠ গরম, ঠিক তখনই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলো বিসিবি সভাপত নাজমুল হাসান পাপনের একটি ভিডিও।

    আর ভিডিওটি দুই ইস্যুকেই সরগরম করে দিয়েছে।

    ভিডিওতে দেখা গেছে, বিশ্বের আলোচিত মেরিনা বে ক্যাসিনোতে বসে জুয়া খেলছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

    এমন ভিডিও ভাইরাল হওয়াকে বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য নেতিবাচক হিসেবেই দেখছেন সুধীজনরা।

    তারা বলছেন, বর্তমানে সবচেয়ে দুর্যোগময় দিন কাটাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট। দুই বছর আগে ভারতীয় জুয়াড়ির সঙ্গে আলাপের বিষয়টি আইসিসিকে না জানানোয় এক বছর নিষেধাজ্ঞায় পড়েছেন সাকিব আল হাসান।

    স্ত্রীকে সময় দেবেন বলে মাঠের বাইরে রয়েছেন ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল।

    চোটের কারণে খেলা থেকে ছিটকে পড়েছেন অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিনও। অথচ সামনেই রয়েছে ভারত সফর।

    এদিকে সরকারের চলমান শুদ্ধি অভিযানের কারণেও রাজনীতির মাঠে অস্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করছে। ক্যাসিনোকাণ্ডে গ্রেফতারসহ সম্পদের হিসাব তলব চলছে বাঘা বাঘা রাজনীতিবিদদের।

    এমন পরিস্থিতিতেই ফেসবুকসহ বাংলাদেশের সব ধরনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ল বিসিবি বসের এই ক্যাসিনো খেলার ভিডিওটি।

    তবে জানা গেছে, এটি অনেক আগের ভিডিও। সিঙ্গাপুরের সবচেয়ে চাকচিক্যময় ও জাঁকজমকপূর্ণ ক্যাসিনো মেরিনা বে’তে খেলেছিলেন নাজমুল হাসান পাপন।

    ভিডিওটি পুরনো হলেও সিঙ্গাপুরের সেই বিতর্কিত ক্যাসিনোতে যে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি গেছেন এবং খেলেছেন তা অস্বীকার করা যাচ্ছে না।

    যদিও ফেসবুকে প্রচার হচ্ছে, একসময় সিঙ্গাপুরের সেই ক্যাসিনোতে নিয়মিত যাতায়াত ছিল পাপনের।

    তবে এমন তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি। এ ব্যাপারে পাপনের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

    পাপনের এ ক্যাসিনো খেলা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই তার বন্ধু মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের পরিচালক লোকমান হোসেন ভূঁইয়ার প্রসঙ্গ টানছেন।

    ক্যাসিনোবাণিজ্যে জড়িত থাকাসহ বাসায় অনুমোদনহীন বিদেশি মদ রাখার অপরাধে গত ২৫ সেপ্টেম্বর লোকমান হোসেন ভূঁইয়াকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

    তার বিরুদ্ধে র‌্যাবের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ, অবৈধভাবে টাকা উপার্জনের জন্যই তিনি মোহামেডান ক্লাবের কয়েকটি রুম ক্যাসিনোর জন্য ভাড়া দিয়েছিলেন।

    গ্রেফতার করা হলেও এখনও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক পদ থেকে তাকে অপসারিত বা অব্যাহতি দেয়া হয়নি।

    উল্লেখ্য, লোকমান হোসেন ভূঁইয়া ও নাজমুল হাসান পাপনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। লোকমান গ্রেফতারের পর পাপনের বক্তব্য ছিল, তিনি জানতেনই না যে, তার বন্ধু মদ খেতে পারে আর ক্যাসিনোবাণিজ্যে জড়িত।

    নাজমুল হাসান পাপনের ক্যাসিনো খেলার সেই ভিডিওটি দেখুন-

     

  • ক্যাসিনো থেকে মাসে চার লাখ টাকা নিতেন মেনন

    ক্যাসিনো থেকে মাসে চার লাখ টাকা নিতেন মেনন

    ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের কাছ থেকে প্রতি মাসে ক্যাসিনো ব্যবসার টাকা থেকে চাঁদা নিতেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন।

    আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদে এ তথ্য জানিয়েছেন সম্রাট।

    শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাতে র‍্যাব সদর দফতরের লে. কর্ণেল পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    ওই সূত্র আরও জানায়, সম্রাট ও খালেদ মাহমুদ ভুঁইয়া পরিচালিত ক্যাসিনোর টাকার ভাগ পেতেন ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। তাকে প্রতি মাসে ৪ লাখ টাকা করে দিতেন সম্রাট আর খালেদ। সবশেষ এই টাকার অঙ্ক বাড়িয়ে না দেওয়ায় গালাগালিও করেছেন তিনি।

    সম্রাটের মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট র‍্যাবের এই তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, সম্রাটের দেওয়া তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ১০ দিনের রিমান্ডের তৃতীয় দিন শেষে র‌্যাবকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন সম্রাট।

    প্রসঙ্গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার মতিঝিলের ক্লাবপাড়ায় র‌্যাবের অভিযানে অবৈধ ক্যাসিনো চলার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর আত্মগোপনে চলে যান যুবলীগের প্রভাবশালী নেতা সম্রাট। পরে ৭ আগস্ট কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী আরমানকে আটক করে র‌্যাব।

    সবশেষ মঙ্গলবার সম্রাটের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অস্ত্র ও মাদক মামলায় ৫ দিন করে মোট ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার একটি আদালত।

    ক্যাসিনো ও জুয়ার বিরুদ্ধে প্রথম অভিযানটি চালানো হয় ফকিরাপুরের ইয়ংমেনস ক্লাবে। ক্লাবটির চেয়ারম্যান স্থানীয় সাংসদ ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।

    অবশ্য ক্যাসিনোর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন রাশেদ খান মেনন এমপি।

    তিনি বারবারই গণমাধ্যমে বলছেন, ক্লাব পরিচালনা ও ক্যাসিনোর সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তার দাবি, চেয়ারম্যান পদটি আলংকারিক, দায়িত্বের না।

  • ফিরিঙ্গিবাজারে জুয়া, ক্যাসিনো, মাদক ও সন্ত্রাসবিরোধী গন মিছিল

    ফিরিঙ্গিবাজারে জুয়া, ক্যাসিনো, মাদক ও সন্ত্রাসবিরোধী গন মিছিল

    চট্টগ্রাম নগরীর ফিরিঙ্গিবাজারে জুয়া, ক্যাসিনো, মাদক ও সন্ত্রাসবিরোধী গন মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    শুক্রবার বিকেলে অনুষ্ঠিত গণমিছিলে চট্টগ্রাম সিটির ৩৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিকলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগসহ আওয়ামী লীগের অন্যান্য অংগ সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহন করে।

    ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা ও বিশিষ্ট সমাজ সেবক ফারুক আহমেদের নেতৃত্বে গণমিছিলটি ফিরিঙ্গি বাজার মোড় থেকে শুরু হয়ে কোতোয়ালি থানা, জিপিও আলকরনসহ নগরী বিভিন্ন সড়ক পদক্ষিন শেষে ব্রীজঘাট চত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

    এতে উপস্থিত থেকে জুয়া, ক্যাসিনো, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়ে বক্তব্য রাখেন  আওয়ামী লীগ নেতা তারেক সদ্দার, মাসুদ আহম্মেদ, ওসমান গনি, মানিক, ফজলে হাসান, ইয়াছিন আরাফাত, হাসান শাহারিয়ার, সরওয়ার সরকার, ও মো. রাহাত প্রমুখ।

  • ক্যাসিনো সেলিমের বাসা থেকে যা জব্দ করলো র‌্যাব

    ক্যাসিনো সেলিমের বাসা থেকে যা জব্দ করলো র‌্যাব

    দেশে অনলাইন জুয়া ও ক্যাসিনো ব্যবসার মূল হোতা সেলিম প্রধানের বাসা থেকে নগদ ২৯ লাখ টাকা এবং ৭৭ লাখ টাকা সমমানের বিদেশি মুদ্রা জব্দ করা হয়েছে। এছাড়াও তার বাসা থেকে ৮ কোটি টাকার চেক ও ১২টি পাসপোর্ট জব্দ করা হয়।

    মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সেলিম প্রধানের গুলশান-২ ও বনানীর বাসায় অভিযান শেষে র‌্যাব-১-এর সিও সারওয়ার বিন কাশেম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

    সোমবার দুপুরে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট থেকে ব্যবসায়ী সেলিম প্রধানকে আটক করে র‌্যাব-১-এর একটি দল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর সোমবার রাতে তার গুলশান-২ এর বাসায় অভিযানে চালায় র‌্যাব।

    পরে মঙ্গলবার দুপুরে সেলিম প্রধানের বনানীর আরেকটি বাসায় অভিযান চালিয়ে আখতারুজ্জামান নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। ওই বাসা থেকে জব্দ করা হয় প্রায় ২১ লাখ টাকা।

    সারওয়ার বিন কাশেম বলেন, প্রাথমিকভাবে সেলিম প্রধানকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তার গুলশান ও বনানীর বাসায় অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানে তার বাসায় বিদেশি ৪৮টি মদের বোতল, ২৯ লাখ ৫ হাজার ৫০০ টাকা, ৭৭ লাখ ৬৩ হাজার টাকা সমমূল্যের ২৩টি দেশের মুদ্রা, ১৩টি ব্যাংকের ৩২টি চেক ও ১২টি পাসপোর্ট জব্দ করা হয়েছে। একই সঙ্গে জব্দ করা হয়েছে অনলাইন ক্যাসিনোর মূল সার্ভার, ৮টি ল্যাপটপ ও দুটি হরিণের চামড়া।

    র‌্যাব সিও আরও বলেন, সেলিম প্রধান তার ভাইয়ের হাত ধরে ১৯৮৮ সালে জাপান চলে যান। সেখানে গিয়ে তার ভাইয়ের সঙ্গে গাড়ির ব্যবসা শুরু করেন। পরবর্তীতে জাপানিদের সঙ্গে সম্পর্ক হওয়ার পর সেখান থেকে তিনি থাইল্যান্ডে যান। সেখানে শিপইয়ার্ডের একটি ব্যবসা শুরু করেন।

    পরবর্তীতে জাপানিদের মাধ্যমে উত্তর কোরিয়ার এক ব্যক্তির সঙ্গে তার পরিচয় হয়। যার নাম মিস্টার দু। এই মিস্টার দু সেলিমকে বাংলাদেশে একটি কনস্ট্রাকশন সাইট খোলার প্রস্তাব দেন। সেই সঙ্গে বাংলাদেশে একটি অনলাইন ক্যাসিনো খোলার উপদেশ দেন। সেই সূত্র ধরে টি-২১ এবং পি২৪ নামে অনলাইন গেমিং সাইট চালু করেন সেলিম।

    তিনি আরও বলেন, আমরা জব্দকৃত কাগজপত্রসহ সার্ভার পর্যালোচনা করে দেখতে পেয়েছি এই অনলাইন ক্যাসিনোর মাধ্যমে তাদের প্রতি মাসে প্রায় ৯ কোটি টাকা আয় হতো। এসব টাকার অর্ধেক কোরিয়া এবং বাংলাদেশের যারা জড়িত তারা পেতেন।

    হরিণের চামড়া, নগদ টাকা ও মাদকদ্রব্য পাওয়ায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন, মানিলন্ডারিং এবং মাদকদ্রব্য আইনে তিনটি মামলা দায়ের করা হবে। এসব মামলায় সেলিম প্রধান এবং তার দুই সহযোগী আক্তারুজ্জামান ও রহমানকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে বলে জানান র‌্যাব সিও সারওয়ার বিন কাশেম।

  • অনলাইন ক্যাসিনো চলছে নীরবে

    অনলাইন ক্যাসিনো চলছে নীরবে

    মোবাইল ব্যবহারকারীদের প্রায় সবার পকেটে স্মার্টফোন; সঙ্গে ইন্টারনেট সংযোগ। ক্যাসিনো নিয়ে ঢাকায় যখন জোরদার অভিযান চলছে তখন মোবাইল ফোনে নীরবে চলছে অনলাইন ক্যাসিনো। খুব সহজেই যুক্ত হতে পারছেন জুয়ার সঙ্গে। এ যেন হাতের মুঠোয় ক্যাসিনোর সুবিধা। চীন, হংকং, কোরিয়াসহ পাঁচ দেশ থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে বাংলাদেশে অনলাইনে ক্যাসিনো। ওয়েবসাইট বন্ধ করেও ঠেকানো যাচ্ছে না এসব গেমস।

    চলতি বছরের শুরুতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিটিআরসি ১৭৬টি জুয়ার সাইটের গেটওয়ে বন্ধ করে দিলেও অবৈধভাবে অন্য গেটওয়ে ব্যবহার করে চালানো হচ্ছে সেগুলো। চীন, হংকং, কোরিয়া, ফিলিপাইন্স ও ইউক্রেন থেকে নিবন্ধিত বেটিং সাইটগুলোতেই মূলত বাংলাদেশিদের পদচারণ। এ সাইটগুলোতে ক্রিকেট, ফুটবল, রাগবি ম্যাচ চলাকালে লাইভ বাজি ধরার সুযোগ রয়েছে। অনলাইনভিত্তিক এই ভার্চুয়াল জুয়ায় দিন দিন আসক্ত হয়ে পড়ছেন দেশের সব বয়সী মানুষ। এমনই একটি ‘তিন পাত্তি গোল্ড’। এটি মূলত একটি অ্যাপ্লিকেশন। যে কেউ চাইলেই ডাউনলোড করতে পারে। এটি এখন পর্যন্ত ডাউনলোড করেছেন প্রায় ৫০ মিলিয়নের অধিক মানুষ।

    ভারতীয় কয়েকজন নাগরিক বিদেশে বসেই এ খেলা পরিচালনা করেন। তবে বাংলাদেশে রয়েছে তাদের কয়েক’শ ডিলার। রাত-দিন ২৪ ঘণ্টাই চলে ‘তিন পাত্তি গোল্ড’। কারণ এটি খেলতে কোনো ক্লাবে যেতে হয় না। ভার্চুয়াল জুয়াটি ঘরে বসে নিজের মোবাইল ফোনে খেলছে লোকজন। আর খোয়াচ্ছে অর্থকড়ি। প্রাথমিকভাবে কম খরচ হলেও মাস শেষে খোয়া যাওয়া অর্থের পরিমাণ মোটা অঙ্কে পৌঁছে।

    সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, প্রথমে এসব সাইটে জুয়াড়িদের অনলাইনে নিবন্ধন করতে হয়। জুয়ায় অংশ নিতে অর্থ পরিশোধ করতে হয় ক্রেডিট কার্ডে। দেশে এসব জুয়ার সাইট নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এজেন্ট। টাকার বিনিময়ে তারা ডলার কিনে নেয় জুয়াড়িদের কাছ থেকে। সাইবার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অনলাইন গেমসের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে, সাথে সাধারণ মানুষের অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও নিয়ে যাচ্ছে তারা।

    আরো:: ক্যাসিনো ও পেছনের ইতিহাস

  • নারায়ণগঞ্জে মোবাইল ফোনের কারখানায় ক্যাসিনো সামগ্রী

    নারায়ণগঞ্জে মোবাইল ফোনের কারখানায় ক্যাসিনো সামগ্রী

    নারায়ণগঞ্জে অবস্থিত বেস্ট টাইকুন (বিডি) এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড নামের মোবাইল ফোনের কারখানায় অভিযান চালিয়ে ক্যাসিনো সামগ্রী উদ্ধার করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।

    রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের কাঞ্চন ব্রিজ এলাকায় অবস্থিত ওই কারখানা থেকে এসব ক্যাসিনো সামগ্রী উদ্ধার করা হয়।
    বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. সহিদুল ইসলাম।

    শুল্ক গোয়েন্দা জানায়, কারখানার ওয়্যার হাউস থেকে মাহাজং নামক ক্যাসিনো বোর্ড ও অনান্য সামগ্রী জব্দ করে গোয়েন্দা টিম। গোপন সংবাদে জানা যায়, মোবাইল ফোন কারখানার কাঁচামালের সঙ্গে মিথ্যা ঘোষণার মাধ্যমে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে চাইনিজ ক্যাসিনো সামগ্রী (জুয়ার বোর্ড- মাহাজং) আমদানি করা হয়েছে। বিকেল সাড়ে ৪টায় কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক শামীমা আক্তারের নেতৃত্বে একটি গোয়েন্দা দল বেস্ট টাইকুন (বিডি) এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের কারখানা প্রাঙ্গণে অভিযান চালিয়ে ক্যাসিনো সামগ্রী জব্দ করে।

    ক্যাসিনো সামগ্রী তথা মাহাজং মোবাইল ফোন উৎপাদনের কাঁচামাল নয়। তারপরও আমদানিকালে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে কর ও ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা গ্রহণ করে শুল্ক ফাঁকি দেয়া হয়েছে।

    হংকং ও ম্যাকাওয়ের ক্যাসিনোতে জুয়ার জন্য মাহাজংয়ের বহুল প্রচলন রয়েছে।

    বাংলাদেশে এরকম বেশকিছু ক্যাসিনো সামগ্রী (মাহাজং) আমদানির বিষয়টি শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের নজরে এসেছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনানুগ পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।

  • সম্রাটসহ চার জনের লকার-ভল্ট স্থগিতের নির্দেশ

    সম্রাটসহ চার জনের লকার-ভল্ট স্থগিতের নির্দেশ

    মাদক-সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও দুর্নীতিবিরোধী চলমান অভিযানে আটক ও অভিযুক্ত যুবলীগের চার প্রভাবশালী নেতা ও তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ১৩ প্রতিষ্ঠানের অর্থ বা সম্পদ কোনো ব্যাংকের লকার বা ভল্টে থাকলে তাতে নজরদারি করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি তাদের অ্যাকাউন্টগুলো স্থগিত করতে বলা হয়েছে।

    যুবলীগের আলোচিত ওই চার নেতা হলেন- যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট, সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া ও যুবলীগ নেতা টেন্ডার কিং জি কে শামীম এবং যুবলীগ ঢাকা দক্ষিণের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন। তাদের প্রতিষ্ঠানের অর্থ বা সম্পদ ব্যাংকের লকার, ভল্টসহ যেখানে যে অবস্থায় আছে সেভাবেই স্থগিত রাখতে সব বাণিজ্যিক ব্যাংকে নির্দেশ দেয়া হয়।

    এছাড়া তাদের এফডিআর, ক্রেডিট কার্ড ও সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করা অর্থও জব্দ করতে বলেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) গোয়েন্দা সংস্থা সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল (সিআইসি)। ২৩ ও ২৪ সেপ্টেম্বর ব্যাংকগুলোতে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠায় সিআইসি।

    এতে বলা হয়, আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪-এর ১১৬-এ মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এদের কারও যদি সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ থাকে তাও স্থগিত থাকবে। এদিকে বৃহস্পতিবার ঢাকা দক্ষিণ সিটির কাউন্সিলর মমিনুল হক সাঈদের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

    বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে সিআইসির পাঠানো চিঠিতে দেখা যায়, সম্রাটের প্রতিষ্ঠান তিনটি। এগুলো হচ্ছে- মেসার্স শারমিন এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স হিজ মুভিজ ও প্রিন্সিপাল রিয়েল এস্টেট।

    জি কে শামীমের প্রতিষ্ঠান দুটি হল- মেসার্স জি কে বিল্ডার্স ও জি কে বি অ্যান্ড কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড। খালেদের প্রতিষ্ঠান হল মেসার্স অর্পণ প্রপার্টিজ।

    নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের সাতটি প্রতিষ্ঠান আছে। এগুলো হচ্ছে- মেসার্স নাওয়াল কনস্ট্রাকশন, মেসার্স আয়েশা ট্রেডার্স, মেসার্স নাওয়াল কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড বিদ্যানিকেতন প্রি-ক্যাডেট স্কুল, নাওয়াল কনস্ট্রাকশন, মেসার্স ফারজানা বুটিক, মেসার্স ইনটিশার ফিশারিজ ও মেসার্স ডিজিটাল টেক।

    সিআইসির চিঠিতে বলা হয়, এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে পরিচালিত যে কোনো মেয়াদি আমানত (এফডিআর এসটিডি), মেয়াদি সঞ্চয়ী হিসাব, চলতি হিসাব, ফরেন কারেন্সি অ্যাকাউন্ট স্থগিত করতে হবে।

    এছাড়া এসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ক্রেডিট কার্ড, ব্যাংকের লকার বা ভল্টে রাখা যে কোনো সম্পদ, সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ স্থগিত করার পাশাপাশি অন্য যে কোনো ধরনের সেভিং ইনস্ট্রুমেন্ট বা ইনভেস্টমেন্ট স্কিম বা ডিপোজিট থাকলে তাও স্থগিত করতে হবে।

    এর আগে ২২ সেপ্টেম্বর এসব ব্যক্তির সব ধরনের ব্যাংক হিসাব তলব করে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। পরদিন সাত ব্যক্তির ব্যাংক হিসাব স্থগিতের নির্দেশ দেয় সিআইসি।

    শুদ্ধি অভিযানের অংশ হিসেবে ১৮ সেপ্টেম্বর যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, ২০ সেপ্টেম্বর সাত দেহরক্ষী নিয়ে জি কে শামীমসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। অবৈধ ক্যাসিনোসহ নামে-বেনামে নানা ধরনের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত এরা। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা, অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করে র‌্যাব। ঢাকায় ক্লাব ব্যবসার নামে একাধিক ক্যাসিনো পরিচালনার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। জি কে শামীমের বিরুদ্ধে সরকারি প্রায় সব টেন্ডারে ভাগ বসানোর অভিযোগ রয়েছে।

    শুদ্ধি অভিযানে খালেদ ও শামীম গ্রেফতা হলে গা-ঢাকা দেন ক্যাসিনোর হর্তাকর্তা ইসমাইল হোসেন সম্রাট। নুরুন্নবী শাওনও আড়ালে চলে যান। আর দেশত্যাগ করেন সম্রাটের আরেক সহচর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা মমিনুল হক সাঈদ।

  • ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে পুলিশের অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জড়িত

    ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে পুলিশের অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জড়িত

    ক্যাসিনোসহ সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ঢাকা মহানগর যুবলীগের দুই নেতা- খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া ও জি কে শামীম, কৃষক লীগ নেতা শফিকুল আলম ফিরোজ ও বিসিবির পরিচালক লোকমান হোসেনসহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।

    এসব অভিযানে নগদ ১৭ কোটি টাকা, ১৬৫ কোটি টাকার স্থায়ী আমানত (এফডিআর) এবং ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ২০১ জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেয়া হয়েছে।

    রিমান্ডে থাকা ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং একাধিক সংস্থার তদন্তে বেরিয়ে এসেছে বেশকিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসার মূলহোতা ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট। এছাড়া ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে পুলিশের অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জড়িত বলে জিজ্ঞাসাবাদে বলেছেন খালেদ ও শামীম।

    এমন পরিস্থিতিতে তাদের বিরুদ্ধে র‌্যাবের দায়ের করা মামলার তদন্ত করতে বিব্রতবোধ করছেন সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা।

    সম্প্রতি ঢাকা মহানগর পুলিশের ওসিদের নিয়ে বৈঠকও করেছেন কমিশনার। শিগগিরই ওসিদের বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করা হবে।

    একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, চলমান অভিযান নিয়ে ‘জিরো টলারেন্স (শূন্য সহিষ্ণু)’ নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে। যেহেতু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে কঠোর মনোভাব পোষণ করেছেন, এখানে ছাড় দেয়ার সুযোগ নেই।

    এ বিষয়ে সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী এবং অপকর্মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর মনোভাব অত্যন্ত কঠোর।

    এমন পরিস্থিতিতে ক্যাসিনো ব্যবসার হোতা ইসমাইল হোসেন সম্রাটের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করে রোববার বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তার ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

    ভোলার এমপি এবং যুবলীগের উপদেষ্টা নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, সম্রাটের ঘনিষ্ঠ সহযোগী যুবলীগ নেতা এ কে এম মমিনুল হক সাঈদের ব্যাংক হিসাবও তলব করা হয়েছে। এর আগে গ্রেফতার দুই যুবলীগ নেতা খালেদ এবং জি কে শামীমের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করা হয়েছে।

    ক্যাসিনো পরিচালনার সঙ্গে জড়িত নেপালিদের পালাতে সহায়তার অভিযোগে দুই পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

    এদিকে গণপূর্ত অধিদফতরে শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। গণপূর্ত বিভাগের প্রভাবশালী ঠিকাদার শামীমকে বিপুল পরিমাণ টাকাসহ গ্রেফতারের পর তিনি র‌্যাব-পুলিশকে অনেক তথ্য দিয়েছেন।

    গত ১০ বছর ধরে তিনি কীভাবে গণপূর্তে এত দাপটের সঙ্গে সব টেন্ডার বাগিয়ে নিতেন, এ নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।

    আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্র জানায়, জি কে শামীম নিজস্ব ক্যাডার বাহিনীর মাধ্যমে চাঁদাবাজি এবং টেন্ডারবাজি নিয়ন্ত্রণ করতেন। এমনকি তিনি গণপূর্তের প্রভাবশালী কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে কাজ বাগিয়ে নিতেন।

    সাবেক দুই প্রকৌশলীকে তিনি মোটা অঙ্কের ঘুষও দিয়েছেন। তারা হলেন গণপূর্ত বিভাগের সদ্য সাবেক প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম এবং ঢাকা জোনের সাবেক অতিরিক্ত প্রকৌশলী আবদুল হাই।

    গত মঙ্গলবার সচিবালয়ে গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম সাংবাদিকদের বলেন, যে প্রক্রিয়ায় শামীম ঠিকাদারি কাজ পেয়েছে, সেটি নিয়মের অধীনে ছিল নাকি নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে কিছু করা হয়েছিল- সে বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।

    এদিকে মঙ্গলবার রাজধানীতে একটি অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, দেশে ক্যাসিনো চলার সঙ্গে প্রশাসনের কেউ না কেউ জড়িত থাকতে পারে। এজন্য প্রশাসন দায় এড়াতে পারে না।

  • ক্যাসিনোকাণ্ডে ফেঁসে যাচ্ছে শাকিব-মিতুর ‘আগুন’

    ক্যাসিনোকাণ্ডে ফেঁসে যাচ্ছে শাকিব-মিতুর ‘আগুন’

    সরকারের চলমান শুদ্ধি অভিযানের কারণেই এ ঝামেলার মুখোমুখি হয়েছে সিনেমাটির প্রযোজনা সংস্থা। ইতিমধ্যে ছবিটির ৩০ শতাংশের কাজও সম্পন্ন হয়ে গেছে বলে জানা গেছে। আর এরই মধ্যে অনিশ্চয়তার হুমকিতে পড়েছে ছবিটি। সম্প্রতি বেশ ঘটা করে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ের বলরুমে মহরত হয়ে গেল শাকিব-মিতু জুটির ছবি ‘আগুন’।

    জানা গেছে, বদিউল আলম খোকন পরিচালিত ছবিটির প্রযোজনায় রয়েছে দেশবাংলা মাল্টিমিডিয়া। সংস্থাটির মালিকানায় রয়েছেন ঢাকা দক্ষিণের প্রভাবশালী যুবলীগ নেতা এনামুল হক আরমান। ক্যাসিনোবাণিজ্যে যাকে গুরু হিসেবে মানেন যুবলীগ দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল হোসেন সম্রাট।

    সম্রাট ঘনিষ্ঠ যুবলীগের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, আরমানই প্রথম নিজের টাকায় ক্যাসিনোর সরঞ্জাম কিনে আনেন ঢাকায়। এর পর সম্রাটকে মতিঝিল ক্লাবপাড়ার ক্যাসিনোবাণিজ্যে প্রবেশ করান তিনি। সম্রাটকে সামনে রেখে ক্যাসিনোবাণিজ্যের ক্যাশিয়ার হিসেবে কাজ করতে থাকেন।

    সূত্র জানায়, বিএনপি শাসনামলে হাওয়া ভবনে যাতায়াতের কারণে মতিঝিল ক্লাবপাড়ায় প্রভাবশালী হয়ে ওঠেন আরমান। সেই প্রভাব খাটিয়ে বিএনপি আমলেই ফকিরাপুলের কয়েকটি ক্লাবের ক্যাসিনোর নিয়ন্ত্রণ নেন আরমান। এর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে সম্রাটের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়ে ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের সহসভাপতির পদটি বাগিয়ে নেন।

    সূত্র জানায়, দেশবাংলা মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আরমান হলেও এর নেপথ্য মালিক হিসেবে শুরু থেকেই প্রচার হয়েছে যুবলীগ দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল হোসেন সম্রাটের নাম। আর বর্তমানে ক্যাসিনোকাণ্ডে এ দুই যুবলীগ নেতা রয়েছেন গোয়েন্দা নজরদারিতে। এখন ‘আগুন’ ছবির অর্থের জোগান নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। চলচ্চিত্রপাড়ায় ঘুরেফিরে যে প্রশ্ন উঠেছে, ছবিটির প্রযোজনা সংস্থা চলমান শুদ্ধি অভিযানে দেশবাংলা মাল্টিমিডিয়ার কার্যক্রম থাকবে কী? অর্থের জোগান দিয়ে যাবে কী সংস্থাটি? শেষ হবে কী ‘আগুন’ ছবির শুটিং?

    জানা যায়, আরমান প্রযোজিত ‘আগুন’ ছবির মহরত অনুষ্ঠানটি প্যান প্যাসিফিকে বেশ জাঁকজমকপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়। সেই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান।

    ইসমাইল হোসেন সম্রাট ও এনামুল আরমানও উপস্থিত ছিলেন সেখানে। ছবিতে চিত্রনায়ক শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করছেন মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশের প্রথম আসরের রানারআপ জাহারা মিতু। ছবিটি নিয়ে অনেক প্রত্যাশাই তৈরি হয়েছে। কারণ এই ছবি দিয়ে দীর্ঘদিন পর আবারও সিনেমায় ফিরছেন পরিচালক-নায়কের সুপারহিট জুটি খোকন-শাকিব। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত আশাবাদী পরিচালক বদিউল আলম খোকন।

    তিনি বলেন, ‘দেশের পরিস্থিতি যাই থাকুক, ছবিটির শুটিং চলবে। প্রায় ৩০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে ‘আগুন’ ছবির। এবার শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) থেকে কক্সবাজারে একটানা শুটিং চলবে। বাকি থাকবে গানের শুটিং। সেগুলো নতুন তারিখ ঠিক করে দৃশ্যায়ন করা হবে।

    পরিকল্পনামাফিকই কাজ এগিয়ে চলেছে। দেশের চলমান পরিস্থিতির সঙ্গে এর সম্পর্ক নেই।’ প্রসঙ্গত দেশবাংলা মাল্টিমিডিয়ার দ্বিতীয় ছবি ‘আগুন’। ছবিটিতে শাকিব খান ও জাহারা মিতু জুটি ছাড়াও মিশা সওদাগর, আলীরাজ, সুচরিতা, সাদেক বাচ্চু, রেবেকা, আফজাল শরীফ, সুব্রত প্রমুখ অভিনয় করছেন।