Tag: ক্রিকেটার

  • মাশরাফিকে ক্রিকেটারদের মাঠে ফেরাতে দায়িত্ব দিলেন প্রধানমন্ত্রী

    মাশরাফিকে ক্রিকেটারদের মাঠে ফেরাতে দায়িত্ব দিলেন প্রধানমন্ত্রী

    বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও ক্রিকেটারদের মাঝে চলমান সংকট নিরসনে ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা এমপিকে দায়িত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    সোমবার বিকেলে বেতন-ভাতাদি বাড়ানোসহ ১১ দফা দাবিতে ধর্মঘট ডাকেন ক্রিকেটাররা। দাবি-দাওয়া না মানা পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানান।

    এ অবস্থায় মাশরাফি বিন মুর্তজাকে মঙ্গলবার তলব করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দায়িত্ব দিয়েছেন ক্রিকেটের চলমান সংকট নিরসনে ভূমিকা রাখতে।

    মাশরাফি এখনও অফিসিয়ালি ওয়ানডে দলের অধিনায়ক। ক্রিকেটের যে কোনো সংকটকালে তার অগ্রণী ভূমিকা থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। যদিও তাকে ছাড়াই দাবি-দাওয়া আদায়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন দেশের প্রথম সারির ক্রিকেটাররা। এ নিয়ে খানিকটা আক্ষেপ আছে তার, সাকিবদের দাবি-দাওয়ার ব্যাপারে সমর্থনও দিয়েছেন তিনি।

    এ বিষয়ে বিসিবির সহ সভাপতি মাহাবুবুল আনাম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাশরাফি বিন মুর্তজাকে ডেকেছিলেন। তার কাছ থেকে ক্রিকেটের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত শুনেছেন। এরপর মাশরাফিকে দায়িত্ব দিয়েছেন ক্রিকেটারদের মাঠে ফিরে আসার বার্তা দিতে।’

    আন্দোলনরত ক্রিকেটারদের কাছে এরইমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর এই বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। বিসিবি আশাবাদী, প্রধানমন্ত্রীর এই বার্তা পেয়ে ক্রিকেটাররা মাঠে ফিরে আসবেন। জাতীয় লিগ এবং ভারত সফরের প্রস্তুতি ক্যাম্পে যোগ দেবেন তারা।

    আপাতত তাই বিসিবি ও ক্রিকেটারদের মধ্যে তৃতীয় পক্ষের ভূমিকা নিতে চলেছেন ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি।

    সাকিব আল হাসান জানিয়েছেন, সবার সঙ্গে কথা বলে আজ একটা সিদ্ধান্ত জানাবেন তারা।

    বোর্ড কর্মকর্তারা এখন চেয়ে আছেন মাশরাফি বিন মুর্তজার দিকে। কয়েক মাস ধরে মাশরাফি নিজেই ক্রিকেট থেকে কিছুটা দূরে আছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ পাওয়ার পর আবারও চেনা আঙিনায় ফিরতে হচ্ছে তাকে। ক্রিকেটারদের বোঝাতে হচ্ছে দেশের স্বার্থে ফিরে আসতে হবে মাঠে।

  • বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনে ক্রিকেটাররা

    বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনে ক্রিকেটাররা

    বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাথে মতের অমিল ও বোর্ডের কাজে ক্রিকেটাররা সন্তুষ্ট না হওয়ায় ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন।

    জাতীয় দল ও ঘরোয়া লিগের ক্রিকেটাররা এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তাদের দাবিদাওয়া তুলে ধরেছেন। যেখানে উঠে এসেছে ঘরোয়া ক্রিকেটে সীমিত ওভারের আরও টুর্নামেন্ট আয়োজনের কথা।

    সোমবার (২১ অক্টোবর) হঠাৎ করেই শোনা যায়, ধর্মঘটের ডাক দিতে যাচ্ছেন ক্রিকেটাররা। আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে সাকিব-মুশফিকদের মতো জাতীয় দলের ক্রিকেটাররাসহ জুনায়েদ-নাইমদের মতো ঘরোয়া লিগের অভিজ্ঞ ও নিয়মিত পারফর্মাররা তাদের দাবি না মেনে নেওয়া পর্যন্ত ক্রিকেটীয় কার্যক্রম থেকে দূরে থাকবেন বলে জানিয়েছেন।

    এখানে তারা লিখিত বিভিন্ন বক্তব্য তুলে ধরেন। যেখানে ক্রিকেটারদের আট (৮) ও নয় (৯) নম্বর দাবির কথা জানান এনামুল হক বিজয় ও নুরুল হাসান সোহান। বিজয়ের বক্তব্যে উঠে এসেছে অন্তত আরও একটি করে ৫০ ওভার ও ২০ টুর্নামেন্ট আয়োজন করা। বিপিএল ছাড়াও শুধু দেশি ক্রিকেটারদের নিয়েই ২০ ওভারের আরেকটি টুর্নামেন্টের দাবি করা হয়েছে।

    বিজয়ের ভাষ্যমতে, ‘ঘরোয়া লিগে আমরা দুইটা চারদিনের টুর্নামেন্ট খেলি, বিসিএল এবং এনসিএল। কিন্তু ৫০ ওভারের সংস্করণে আমরা একটা মাত্র টুর্নামেন্ট পাই। এখানে আমাদের অন্ততপক্ষে আরও একটা টুর্নামেন্ট বাড়ানো দরকার।

    এছাড়া আমরা বিপিএল খেলি, সেটা টি-টোয়েন্টি সংস্করণ। বিপিএল ছাড়া আমাদের আর কোনো টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট হয় না। বিপিএলের শুরুর আগে আমাদের একটা টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট হওয়া জরুরি।’

    তিনি আরও যোগ করেন, ‘ওয়ানডের কথা যেটা বলছিলাম, আমাদের কিন্তু আগে ৫০ ওভারেরও একটা জাতীয় লিগ খেলা হত। পাঁচ বছর আগেও এটা হয়েছে। চারদিনের ম্যাচের পরে আমরা একটা ৫০ ওভারের ম্যাচ খেলতাম। এখন সেটা বন্ধ হয়ে গেছে।

    আমরা চাই, জাতীয় ক্রিকেট লিগে আবারো ওয়ানডে ম্যাচ চালু করা হোক যেন আমরা এই সংস্করণে আরও বেশি খেলার সুযোগ পাই।’

    এছাড়া উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান সোহান ঘরোয়া লিগের সূচি আগে থেকেই নির্দিষ্ট করার আবেদন জানান, ‘ঘরোয়া লিগের জন্য আমাদের একটা নির্দিষ্ট সূচি থাকতে হবে। এটা যদি নির্দিষ্ট করা হয় তাহলে আমরা আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে থাকতে পারি।’

    দেশের ক্রিকেটের স্বার্থেই তারা এই দাবি তুলে ধরেছেন। তাদের দাবি মেনে নেওয়া না পর্যন্ত ক্রিকেট থেকে বিরত থাকার ঘোষণায় সংশয়ের মুখে পড়েছে বাংলাদেশের ভারত সফর।