Tag: ক্ষতিগ্রস্থ

  • বাঁশখালীতে আগুনে পুড়ল ২ বাড়ি, করোনাকালে নিঃস্ব হল ৫ পরিবার

    বাঁশখালীতে আগুনে পুড়ল ২ বাড়ি, করোনাকালে নিঃস্ব হল ৫ পরিবার

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : প্রাণঘাতী করোনা আতংকে মানুষ যখন এমনিতেই দিশেহারা তার মধ্যেও গ্যাস সিলিণ্ডার থেকে সৃষ্ট আগুন গ্রাস করে নিল ৫টি পরিবারের সবকিছুই।

    গতকাল শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রামের বাঁশখালীর ছনুয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড়ের আমির হামজার টেক নামক স্থানে আগুন লাগার ঘটনাটি ঘটে।

    স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকালে মোহাম্মদ রবিউল আলমের বাড়ির রান্নাঘরে থাকা গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। মুহূর্তে
    আগুনের লেলিহান শিখা পাশের আরো একটি বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে।

    খবর পেয়ে বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিস টিম ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগে স্থানীয়দের প্রায় ২ ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ছনুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম. হারুনুর রশিদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাৎক্ষনিক ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন।

    তিনি বলেন, এ ঘটনায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে স্থানীয়দের তৎপরতায় রবিউলের বাড়িতে থাকা একজন প্যারালাইসিস রোগী অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে। তাছাড়া আগুনে ২টি বাড়ির অন্তত ৫ পরিবার খুব ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

    আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ মোহাম্ছমদ রবিউল আলমের পরিবার জানায়, করোনার কারণে এমনিতেই আমরা ঘরবন্দি। খুব কষ্টে ছিলাম। যা কিছু সঞ্চয় ছিল এবং সংগ্রহে ছিলো আগুনে তাও পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল ও বেশ কিছু স্বর্ণালংকার পুড়ে গেলে বলে তারা জানায়।

    অন্যদিকে একই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ অন্য পরিবারের ৪ ভাইয়ের মজুদ করা চলতি বোরো মৌসুমের মোট ৬০০ আঁড়ি ধান আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

    তাছাড়া তাদের ৪ পরিবারের প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র ও নগদ টাকাসহ বিভিন্ন মালামাল আগুনে পুড়ে প্রায় ২৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যরা।

    ২৪ ঘণ্টা/আর এস পি

  • ফটিকছড়িতে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে সহায়তা

    ফটিকছড়িতে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে সহায়তা

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। ফটিকছড়ি প্রতিনিধি : অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ৩ পরিবারকে উপজেলা প্রশাসন ঢেউটিন, টাকা ও কম্বল প্রদান করেছেন।

    ৩ ফেব্রুয়ারী সোমবার বিকেলে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর সহায়তায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সায়েদুল আরেফিন পৌরসভার উত্তর ধুরুং এলাকার বড়ুয়া পাড়ার পিনু বড়ুয়া, রিমন বড়ুয়া ও সনজিত বড়ুয়ার পরিবারকে ঢেউটিন, নগত টাকার চেক ও ৩টি কম্বল প্রদান করেন।

    এসময় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আবুল হোসেন, ফটিকছড়ি প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রফিকুল আলম, কাউন্সিলর ফিরোজা বেগম উপস্থিত ছিলেন।

    উল্লেখ্য, গত ১ ফেব্রুয়ারী বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট হতে আগুন লেগে মুহুর্তের মধ্যে ঘর গুলো ভষ্মিভূত হয়। আগুনে তাদের জমির প্রয়োজনীয় কাগজ,শিক্ষাগত সনদ সহ ঘরের আসবাব পত্র পুড়ে যায়।

  • আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ ১৭২ পরিবারকে মশারি ও মাদুর দিলেন পুলিশ

    আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ ১৭২ পরিবারকে মশারি ও মাদুর দিলেন পুলিশ

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানা এলাকায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ১৭২ পরিবারের পাশে দাড়িয়েছে পুলিশ। ক্ষতিগ্রস্থ প্রত্যক পরিবারের মাঝে পুলিশের পক্ষ থেকে ম্যাজিক মশারি ও মাদুর বিতরণ করা হয়।

    পাঁচলাইশ থানার বিট পুলিশ-৫৩ এবং কমিউনিটি পুলিশিংয়ের যৌথ উদ্যোগে গত রবিবার সন্ধ্যায় থানা এলাকার ডেকোরেশন গলিতে এসব ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

    এসময় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর মো. মোরশেদ আলম, পাঁচলাইশ থানার কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সদস্য সচিব মোহাম্মদ সেলিম, পাঁচলাইশ থানার ৫৩-বিট পুলিশ সমন্বয় কমিটির সভাপতি জসিমুল আনোয়ার খানসহ সংশ্লিষ্ট পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

    এ বিষয়ে পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়া বলেন, ‘মানুষ মানুষের জন্য’ এই স্লোাগানে উদ্বুদ্ধ হয়ে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সহায়তার উদ্দ্যেশে এ আয়োজন। পর্যায়ক্রমে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

    তিনি সমাজের প্রতিটি বিত্তবান লোকদের ক্ষতিগ্রস্থ ও দুঃখী মানুষের সেবায় এগিয়ে আসার জন্য আহবান জানান।

  • আনোয়ারায় বন্য হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্থদের আর্থিক অনুদান প্রদান

    আনোয়ারায় বন্য হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্থদের আর্থিক অনুদান প্রদান

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ।চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বন্য হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্থ ২০ পরিবারের জন্য ৭ লাখ ৫৬ হাজার টাকার আর্তিক অনুদান দিয়েছেন বন বিভাগ।

    শনিবার সকালে ভূমিমন্ত্রীর সার্সন রোডস্থ বাসভবনে ক্ষতিগ্রস্থ এসব পরিবারের হাতে অনুদানের চেক তুলে দেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ।

    গত জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে উপজেলার হাজীগাও বৈরাগ এলাকায় বন্য হাতির আক্রমণে নিহত ও আহত ২০ পরিবারের মাঝে আর্থিক অনুদান প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন বনপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু নাছের, মো. ইয়াছিন নেওয়াজ চৌধুরী, আনোয়ারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জোবায়ের আহমেদ।

    এছাড়াও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক এম.এ মান্নান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক এম.এ মালেক, কর্ণফুলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলী রনি, বাঁশখালী রেঞ্জ বন কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান, জীব বৈচিত্রা কর্মকর্তা নূর জাহান মিল্কী, দীপান্ধিতা ভট্টাচার্জ্য, বনপ্রাণী পরিদর্শক রাজু আহমেদ, ভূমিমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী সচিব এড. ইমরান হোসেন বাবু এসময় উপস্থিত ছিলেন।

  • বোয়ালখালীতে হাতির আক্রমণ : নিহত প্রত্যেক পরিবার পাবে ১ লক্ষ টাকা

    বোয়ালখালীতে হাতির আক্রমণ : নিহত প্রত্যেক পরিবার পাবে ১ লক্ষ টাকা

    বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে হাতির আক্রমণে নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে সরকারিভাবে এক লক্ষ টাকা করে প্রদানের ঘোষণা দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আছিয়া খাতুন। এছাড়া হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্থদেরও ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ করে সরকারি সহায়তা প্রদানে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

    আজ রবিবার দুপুরে পুলিশ নিহতদের লাশ তাদের পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেয়ার পর তিনি সরকারিভাবে আর্থিক সহায়তার কথা জানান।

    আছিয়া খাতুন বলেন, রবিবার হাতির আক্রমণে নিহতদের পরিবারকে ১ লাখ টাকা করে ও যাদের সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তাদের ক্ষতি নিরুপণ করে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ক্ষতি পূরণ দেওয়া হবে।

    এ লক্ষ্যে বন বিভাগের পটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম, বন্য প্রাণী সংরক্ষণ অধিদফতরের বিশেষজ্ঞদল ও বন বিভাগের কর্মকর্তাগণ যৌথভাবে কাজ করছেন। তাছাড়া পুনরায় এ ধরনের দুর্ঘটনা যাতে আর না ঘটে সে ব্যাপারেও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে এমনটাই জানালেন ই্ওএনও। আরো খবর : লোকালয়ে আসা হাতির আক্রমণে নিহত ৩

    বোয়ালখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন ফারুকী বলেন, নিহতদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর আগে রবিবার (২৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার সময় উপজেলার কধুরখীল, সৈয়দনগর ও জ্যৈষ্ঠপুরায় এলাকায় হাতির পৃথক আক্রমণের শিকার হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন হেলাল উদ্দিন ফারুকী।

    নিহতরা হলেন, কধুরখীল শরীফপাড়া আলী আহমদ মিস্ত্রির বাড়ির আবদুল লতিফ মিস্ত্রির সন্তান আবু তাহের মিস্ত্রি (৬০),উপজেলার চরণদ্বীপ ইউনিয়নের পূর্ব সৈয়দনগর জাকের মাস্টারের বাড়ির মৃত আবদুল মোনাফের ছেলে খরণদ্বীপ বিজান বিবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক জাকের হোছাইন (৬৫) ও শ্রীপুর খরণদ্বীপ ইউনিয়নের আমির পাড়ার আলী আহমদের ছেলে কৃষক আবদুল মাবুদ (৬০)। আরো খবর : লোকালয়ে নেমেছে হাতির পাল, উৎসুক জনতার ভীড়

    এ ঘটনায় বোয়ালখালী জুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। নিহতদের পরিবারের মাঝে চলছে শোকের মাতম।

    স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রবিবার সকালে লোকালয়ে তান্ডব চালিয়ে হাতির পালটি জ্যৈষ্ঠপুরা পাহাড়ের দিকে চলে গেছে। গতকাল শনিবার ভোর থেকে সাত থেকে নয়টি হাতির একটি পাল পূর্ব কধুরখীল ইউনিয়নে অবস্থান নিয়েছিল। দিনভর স্থানীয় প্রশাসন, বন বিভাগ, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন হাতিগুলোকে সরানোর চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়নি।

    উল্লেখ্য, গত দুই দিন ধরে বোয়ালখালী উপজেলার জ্যৈষ্ঠপুরা পাহাড় থেকে এক বন্য হাতির পাল পাহাড় থেকে নেমে লোকালয়ে অবস্থান করছিল। এই পালে বাচ্চাসহ নয় হাতি রয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয়রা জানিয়েছে। এই হাতির পাল দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে স্থানীয়দের ওপর হামলা চালায়। এতে পৃথক স্থানে তিনজনের মৃত্যু ঘটে।

    এদিকে হাতি লোকালয়ে নেমে আসার বিষয়টি আগেই স্থানীয় বন বিভাগ এবং উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হলেও তারা কোন প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।

  • পটিয়ায় বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্থ আমন ধান ও সবজী ক্ষেত, কৃষকের মাথায় হাত

    পটিয়ায় বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্থ আমন ধান ও সবজী ক্ষেত, কৃষকের মাথায় হাত

    সনজয় সেন.পটিয়া প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের পটিয়ায় ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি হওয়ায় উপজেলার আমন এবং শীতকালীন সবজি ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে। যদিও পটিয়া কৃষি সম্পাচারণ বিভাগ দাবী করছেন পটিয়ায় ঘূর্নিঝড় বুলবুল তেমন কোন ক্ষতি করতে পারেনি।

    পটিয়া উপজেলায় এই বছর রোপা আমন ধানের চাষ হয়েছে ১৩ হাজার ৩শ ৫০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে কিছু জমির ধান কাটা শুরু হয়েছে আবার কিছু জমির ধানের ফুল আসতে শুরু হয়েছে। আবার কিছু জমির ধান গাছে দানা এখনো কাচাঁ থাকলেও তা বৃষ্টি এবং বাতাসে মাটিতে নুয়ে গেছে।

    গত তিনদিনের বৃষ্টি এবং দমকা বাতাসে পটিয়া উপজেলার ২২টি ইউনিয়নের কৃষকদের বেশ কিছু জমির পাকা ধান বাতাসে নুয়ে পড়ে পানি এবং মাটির সাথে মিশে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। একদিকে নষ্ট হচ্ছে গরুর খড় অন্যদিকে কৃষকের সারা বৎসরের পেটের খাবার।

    পটিয়া কৃষি সম্পাচারন বিভাগের উপ-সহকারী কর্মকর্তা মো. আলী ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, পটিয়ায় এইবার ১৬টি জাতের আমন ধানের চাষ করা হয়েছে। যে পরিমান চাষাবাদ হয়েছে তার মধ্যে এই ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে সৃষ্ট টানা কদিনের বৃষ্টিতে কিছু সংখ্যক রোপা আমান মাটিতে নুয়ে পড়ে ক্ষতি হয়েছে এবং কিছু সংখ্যক কৃষকের সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়েছে।

    তবে এখনও ক্ষতিগ্রস্থ ধানী জমি গুলো থেকে পানি বের করে দিতে পারলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম হবে বলে মতপ্রকাশ করেন এ কর্মকর্তা। তাছাড়া সবজির ক্ষেত ছত্রাকে আক্রমণ হতে পরে। সঠিকভাবে পরিচর্যা করলে এসব সবজি ক্ষেত থেকেও ভাল ফসল পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করছেন তিনি।

    সোমবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, এবার উপজেলার সবচেয়ে বেশি সবজি উৎপাদিত হয়েছে  শ্রীমাই চরে। এ চরে কৃষকরা মুলা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, বরবটি, শসা, ঢেরশ, ধনিয়া পাতা ছাড়াও নানা রকমের শাক সবজির চাষ করেছে। তবে গত তিনদিনের বৃষ্টি এবং বাতাসে কিছু কিছু ক্ষেত পানিতে ঢুবে আছে আবার কিছু ক্ষেত বাতাসে মাটিতে নুয়ে পড়েছে।

    কৃষক রতন দাশ এবং মো. শফিউলের সাথে কথা হলে তারা ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে জানিয়েছেন, এই চরে সবজি উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় পানি শ্রীমাই খালে থাকায় এখানে প্রায় ২শত কৃষক বিভিন্ন রকমের শীতকালীন আগাম সবজি চাষ করেছেন। এমনকি ইতিমধ্যে অনেক ক্ষেতে ভালো ফলনও আসা শুরু করেছে।

    কয়েকজন চাষী কিছু কিছু সবজি উত্তোলন করে বিক্রিও করেছেন। বৃষ্টি এবং বাতাস অনুকুলে থাকলে ভালো লাভ হতো। কিন্তু কয়েকদিনের দমকা বাতাস এবং বৃষ্টিতে কৃষকদের স্বপ্ন ধুলিসাৎ করে দিয়েছে। অনেক ফসল এখন মাটিতে পড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে দুঃস্বপ্ন নিয়ে শ্রীমাই চরের অনেক কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ জমির দিকেই তাকিয়ে আছে।

    জানা যায়, পটিয়ার বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষকরা প্রতি বছর নভেম্বর-ডিসেম্ভর মাসে বিভিন্ন রকমের শীতকালীন সবজি চাষ করে নতুন সবজি বাজারে নিয়ে ভালো দাম পায়। উপজেলার খরনা, কচুয়াই, শ্রীমাই, কেলিশহর, হাইদগাঁও, ধলঘাট এলাকা থেকে প্রতি বছর নভেম্বর মাসে বাজারে নতুন নতুন সবজি নিয়ে বাজার ভরপুর করে এবং ক্রেতাদের নতুন সবজী দিয়ে মন কাড়ে। এই ইউনিয়নের উৎপাদিত সবজিতে পটিয়ার বাজার গুলোতে ভরপুর হয়ে থাকে।

    কিন্তু এবার আগাম শীতকালীন সবজি ক্ষেত করে এই বৃষ্টিতে তাদের বীজতলা এবং আগাম সবজি চারা নষ্ট হয়ে মাথায় হাত ওঠে। ভালো দাম পাওয়ার আশায় চাষাবাদ করলে এই বৃষ্টি বাতাসে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় কৃষকের মুখের হাসি ফোটা বন্ধ হয়ে গেছে।

    কৃষকদের অভিযোগ শ্রীমাই খাল থেকে অপরিকল্পিত ভাবে বালু উত্তোলন এবং খালের পাড় থেকে অবৈধ ভাবে মাটি নিয়ে যাওয়ায় তারা প্রতি বৎসর বরাবরই ক্ষতিসাধিত হয়। যদি অবৈধভাবে মাটি ও বালু উত্তোলন না করে তারা সুন্দর ভাবে চাষা বাদ করে সবজি উৎপাদিত করে তবে ক্রেতাদের চাহিদা মেঠানোর পাশাপাশি তারা স্বচ্ছল থাকবে।