Tag: খাগড়াছড়ি

  • খাগড়াছড়িতে নিজস্ব রেশন দিয়ে সেনাবাহিনীর ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত

    খাগড়াছড়িতে নিজস্ব রেশন দিয়ে সেনাবাহিনীর ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি::বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিজস্ব রেশন থেকে খাবার দিয়ে খাগড়াছড়ির গরীব, দুস্থ ও প্রান্তিক মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে। চট্টগ্রামের ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি’র উদ্যোগে আজও খাগড়াছড়ির বিভিন্ন উপজেলায় ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন রিজিয়ন, জোন ও ক্যাম্পের সদস্যরা।

    সোমবার (২৭ এপ্রিল) সকাল থেকে খাগড়াছড়ি রিজিয়নের আওতাধীন মহালছড়ি জোনের নুনছড়ি, থলিবাড়ি, হেডম্যানপাড়া, বাহাদুর পাড়া ও দূর্গম পাচ একর এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।

    পাহাড়ের কোন মানুষ না খেয়ে থাকবে না জানিয়ে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সকলকে সচেতন হয়ে সরকারি নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানান সেনা কর্মকর্তারা।

    মহালছড়ি জোনের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মেহেদী হাসান সহ পদস্থ কর্মকর্তারা জোন এলাকার ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/প্রদীপ

  • খাগড়াছড়ি শহরের কর্মহীন মানুষের মুখে তৃপ্তির হাসি ফোটানোর অন্য এক উদ্যোগ

    খাগড়াছড়ি শহরের কর্মহীন মানুষের মুখে তৃপ্তির হাসি ফোটানোর অন্য এক উদ্যোগ

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি॥ করোনার আঘাতে অসহায় ও কর্মহীন ৩ হাজার দুস্থ অসহায় পরিবারের মাঝে ব্যক্তি উদ্যোগে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ শুরু করেছেন জেলা পরিষদ সদস্য পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল।

    বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা আওয়ামীলীগের প্রস্তাবিত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল আনুষ্ঠানিক ভাবে জেলা সদরের শালবন গুচ্ছগ্রামের সোয়া চার’শ পরিবারের মাঝে সামাজিক দূরত্ব সুরক্ষা করে খাগড়াপুর মাঠে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম সূচনা করেন।

    সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে জুয়েল ত্রিপুরার ত্রাণ বিতরণ

    প্রতিটি পরিবারকে জনপ্রতি ৫ কেজি চাল,১ কেজি আলু,আধা কেজি তেল, আধা কেজি ডাল, আধা কেজি লবণ ও আধা কেজি পেঁয়াজ তুলে দেওয়া হয়।

    পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল বলেন, মহামারি করোনা ভাইরাসের বিরুপ প্রভাবে পৌর এলাকার কর্মহীন অসহায় মানুষের সাধ্যমত পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে নিজের ব্যাক্তিগত ভাবে উদ্যোগ নিয়ে মানুষের কষ্ট লাঘবের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান।

    ত্রাণ হাতে পেয়ে শালবনের বাসিন্দারা জানান, কাজ কর্ম না থাকায় আমরা পরিবার নিয়ে যখন খ্বু কষ্টে সময় পার করছিলাম তখন পার্থ ত্রিপুরার ব্যক্তিগত এই সহায়তা আমাদের কষ্টের মাঝে কিছুটা হলে স্বস্তি পেয়েছি মনে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/প্রদীপ

  • খাগড়াছড়িতে বিএনপি’র ত্রাণ বিতরণ

    খাগড়াছড়িতে বিএনপি’র ত্রাণ বিতরণ

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : বৈশ্বিক মহামারি করোনা’র ছোবলে বিশ্ব প্রকম্পিত। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা শর্তে জনপদে চলছে লকডাউন। পার্বত্য জনপদে শ্রমজীবি, কৃষক, ব্যবসায়ী সকলে গৃহবন্দি ও কর্মহীন। ঘরে ঘরে খাদ্য সংকটে ভুগছে মানুষ। ফলে সরকারি-বেসরকারি এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের উদ্যোগে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ চলছে।

    গত ২১ ও ২২ এপ্রিল মানিকছড়ি উপজেলার তৃণমূলে খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপি’র সভাপতি ও সাবেক সাংসদ ওয়াদুদ ভূইঁয়ার অর্থায়নে মানিকছড়ি উপজেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মীর হোসেন ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মো. মাসুদুজ্জামান’র তত্ত্ববধানে উপজেলার তৃণমূলে কর্মহীন ও দুঃস্থ ৭০ পরিবারে ১০ কেজি চাল, ৫ কেজি আলু, ১ কেজি ছোলা, ১কেজি তৈল ও ১ কেজি ডালসহ বিএনপি নেতা ওয়াদুদ ভূইঁয়ার‘উপহার সামগ্রী’ বিতরণ করা হয়।

    আর এসব ত্রাণ সম্বলিত উপহার সামগ্রীগুলো বাড়ি বাড়ি পৌছে দিয়েছেন উপজেলা বিএনপি’র স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মো. আবদুল জলিল, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল আলম প্রমূখ।

    খাগড়াছড়ি জেলা সদরে ১০০ পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন জেলা স্বেচ্ছা সেবক দলের সভাপতি নজরুল ইসলাম ও জেলা ছাত্রদল নেতা নুসরাদ হোসেন বাপ্পী।

    দিঘীনালায় ১০০ পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়ন সহ-সভাপতি মো: জয়নাল আবেদীন। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য উপজেলায়ও ত্রাণ বিতরন করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নজরুল ইসলাম সুজন ।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/হৃদয়

  • কৃষকের ধান কেটে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছে ছাত্রলীগ

    কৃষকের ধান কেটে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছে ছাত্রলীগ

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: কৃষি ক্যালেন্ডার অনুসারে এপ্রিলের শেষ ভাগ ও মে এর প্রথম সপ্তাহ থেকে বোরো ধান কাটার মৌসুম। তবে এ বছর করোনার প্রভাবে শ্রমিক সংকট ও আবহাওয়া সতর্ক বার্তায় বন্যার পূর্বাভাস থাকায় দুশ্চিন্তায় কৃষকরা।

    তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে আসছেন। সে দিক বিবেচনায় দেশের অনেক অঞ্চলে সরকারের পক্ষ থেকে ধান কাটতে শ্রমিকের যোগান দেয়া হচ্ছে।

    তবে ভিন্ন দৃশ্যপট পাহাড়ে। কৃষকের পাশে শ্রমিক নয় দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কর্মীরা।

    খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলায় অনেক কৃষকের মাঠের ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছে ছাত্রলীগের কর্মীরা। করোনা পরিস্থিতির এতো খারাপ সময়ের মধ্যো ইতিবাচক এ কর্মযজ্ঞে সাধুবাদ মিলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

    বুধবার (২২ এপ্রিল) সকাল থেকে পানছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে শুরু হয়েছে স্বেচ্ছাশ্রমে ধান কাটা। উপজেলার মরাটিলা এলাকার মাঠে প্রথম দিনে ৮০ শতক জমির ধান কেটে কৃষকের ঘরে তুলে দেয়া হয়েছে।

    পানছড়িতে কৃষকের ধান কেটে দিচ্ছে ছাত্রলীগ

    পানছড়ি ছাত্রলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম জানান, কোন কৃষকের যেন এক পোয়া ধান মাঠে নষ্ট না হয় সেদিকে সজাগ থাকবে পানছড়ি ছাত্রলীগ। কেউ যদি শ্রমিকের অভাবে ধান কাটতে না পারে আমাদের জানালে আমরা স্বেচ্ছাশ্রমে কৃষকের পাশে দাঁড়াবো। প্রথমদিনে মরাটিলায় ২৫ জন স্বেচ্ছাশ্রমে ৮০ শতক জমির ধান কেটে কৃষকের ঘরে তুলে দিয়েছে। এর ধারাবাহিতা অব্যাহত থাকবে।

    খাগড়াছড়ি জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যমতে খাগড়াছড়িতে এ মৌসুমে বোরোর চাষ হয়েছে ১১ হাজার ৩ শ ৮৯ হেক্টর জমিতে। পানছড়িতে ১ হাজার ৬ শ ৬৫ হেক্টর জমিতে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/প্রদীপ

  • ২৮’শ পরিবারের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেয়ার চ্যালেঞ্জ নিলেন জেলা পরিষদ সদস্য জুয়েল ত্রিপুরা

    ২৮’শ পরিবারের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেয়ার চ্যালেঞ্জ নিলেন জেলা পরিষদ সদস্য জুয়েল ত্রিপুরা

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি॥ দেশের অভাবী জনপদ হিশেবে পরিচিত খাগড়াছড়িতে নানা হাতে নানা মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণ চলছে অব্যাহত গতিতে। সেই গতিতে একেবারে ব্যক্তি অর্থায়নে ও উদ্যোগে বড়ো মাপের ত্রাণ বিতরণের নজির খুবই কম বলা চলে।
    পদ-পদবী অথবা অর্থ-বিত্ত থাকলেও করোনাকালে নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের ব্যক্তি ত্রাণ তৎপরতা একেবারে সীমিত বললেই চলে। সেই আকালে-অকালে সম্পূর্ণ নিজের সামর্থ্যরে সর্বোচ্চ প্রয়োগ করছেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল।

    তিনি পনের লক্ষ টাকা ব্যয়ে খাগড়াছড়ি পৌর এলাকার ২৮’শ পরিবারের কাছে দৈনন্দিন প্রয়োজনের ভোগ্যপণ্য পৌঁছে দেয়ার বিশাল এক কর্মযজ্ঞ শুরু করেছেন খাগড়াপুর কমিউনিটি সেন্টারে।

    সেখানে গত দুইদিন ধরে চল্লিশজন স্বেচ্ছাসেবী ছাত্র-তরুণ ৫ কেজি চাল, ১ কেজি আলু, আধা কেজি মশুর ডাল, আধা কেজি লবন, ১ লিটার সয়াবিন তেল আর ১ কেজি পিঁয়াজের প্যাকেজ তৈরিতে রাতদিন কাজ করে চলেছেন।

    বুধবার বিকেলে সরেজমিনে সেই শুভ তৎপরতার খোঁজ নিতে এসেছিলেন খাগড়াছড়ির তরুণ সাংবাদিক ও বেসরকারি ত্রাণ তৎপরতায় যুক্ত নেতৃস্থানীয় সংগঠক অপু দত্ত এবং ক্যাব-খাগড়াছড়ির জেলা সম্পাদক প্রদীপ চৌধুরী।

    তাঁরা জেলা পরিষদ সদস্য পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল’র উদ্যোগে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, দেশ-জাতির ক্রান্তিকালে এটি নি:সন্দেহে সাহসী পদক্ষেপ। এ ধরনের ইতিবাচক কাজে সবাই সাধ্য অনুযায়ী এগিয়ে আসলে খাগড়াছড়ি জেলার মানুষের আপদকালীন খাদ্য চাহিদা অনেকটা মিটে যাবে। তাতে সাধারণ মানুষের পক্ষে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি এবং সামাজিক (শারীরিক দূরত্ব) সুরক্ষাও নিশ্চিত হবে।

    পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, দৈব-দুর্যোগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে তাঁর এবং সরকারের নামেই এসব ত্রাণ বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে বিতরণ শুরু হবে।

    তিনি জানান, খাগড়াছড়ির সংসদ সদস্য এবং জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা’র পরামর্শমতে ক্রমান্বয়ে জেলার প্রত্যন্ত জনপদেও সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগের সাথে সমন্বয় করে ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/প্রদীপ

  • করোনা পরিস্থিতিতে গুচ্ছগ্রামে রেশন বিতরণে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা

    করোনা পরিস্থিতিতে গুচ্ছগ্রামে রেশন বিতরণে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা

    নূর মোহাম্মদ হৃদয় : করোনা পরিস্থিতিতেও গুচ্ছগ্রামে রেশন বিতরনে অনিয়মের আশংকা করছেন কার্ডধারীগণ। ওজনে কম, বন্ধকী প্রথা, অউপজাতীয় এলাকায় আতপ চাল এবং উপজাতীয় এলাকায় সিদ্ধ চাল বিতরন, চাল ব্যবসায়ী সপন ডিলারের সিন্ডিকেট বাণিজ্যসহ অগণিত অভিযোগ রয়েছে যুগ যুগ ধরে। জেলার ৭২টি গুচ্ছ গ্রামের প্রায় অর্ধেক রেশন কার্ডধারীই বন্ধকী সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি। তাছাড়া অগ্রিম বিক্রি তো রয়েছেই।

    বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে গুচ্ছগ্রামে সরকার কর্তৃক ইস্যুকৃত রেশন সকলে পাবে না বলে জানা গেছে। কারন জেলার প্রায় অর্ধেক রেশন কার্ড বিভিন্ন ব্যক্তি বা ব্যবসায়ীর নিকট বন্ধক রয়েছে। বন্ধক গ্রহীতারা রেশন কখনো দিবে না। সেক্ষেত্রে করোনা পরিস্থিতিতে যাতে প্রকৃত রেশন কার্ডধারীরা তাদের ন্যায্য রেশন নিজেরা পায় সে দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখার জন্য ভুয়াছড়ি গুচ্ছগ্রামের পক্ষে ইদ্রিছ আলী হাওলাদার ও আব্দুল মান্নান উর্ধ্বতন কর্তপক্ষের নিকট আবেদন জানিয়েছেন।

    একই পরিস্থিতি সকল গুচ্ছগ্রামে। যদিও এখন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের তদারকিতে রেশন দেওয়া হয় তবুও অনিয়ম থামছে না।

    তাই সকল গুচ্ছগ্রামবাসীর মনের কান্না, অউপজাতীয় (বাঙ্গালী) এলাকায় সিদ্ধ চাল এবং উপজাতীয় এলাকায় আতপ চাল প্রদান করা। তাছাড়া যে সকল কার্ডধরী বিভিন্ন প্রয়োজনে রেশন কার্ড বন্ধক রেখেছেন অথবা অগ্রিম বিক্রি করেছেন তাদের বন্ধকী বা অগ্রিম বিক্রিত কার্ড এর রেশন যেন এবারের মতো প্রকৃত কার্ডধারীকে দিয়ে দেওয়া হয়। এবারের রেশন বিতরন যদি সেনা বাহিনীর তত্বাবধানে হয় তাহলে কার্ডধারীরা উপকৃত হবে অন্যথায় সপন ডিলারের গোলাই শুধু ভরপুর হবে। অসহায় দরিদ্র মানুষের তেমন কোন উপকারে আসবে না।

  • খাগড়াছড়িতে চাল চুরির সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলা

    খাগড়াছড়িতে চাল চুরির সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলা

    নূর মোহাম্মদ হৃদয় : খাগড়াছড়ির দিঘীনালায় সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন সাংবাদিক আবদুল জলিল। গুরুতর আহত সাংবাদিককে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

    সোমবার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যা আনুমানিক ৭ টার দিকে সাংবাদিক আবদুল জলিলকে নিজ বাসা থেকে ডেকে নিয়ে তার উপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। সাংবাদিক আবদুল জলিল চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত ‘‘সাপ্তাহিক চট্টবাণী’ পত্রিকায় খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

    আহত সাংবাদিক আবদুল জলিল জানান, সোমবার সন্ধ্যায় নিজ বাসায় অবস্থানকালে হাফেজ হামিদুল্লাহ নামে একজন কথা আছে বলে বাহিরে আসতে বলে। বাসা থেকে বাহিরে পুকুর পাড়ে আসলে হঠাৎ আরো কয়েকজন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলার সময় সন্ত্রাসীরা বলে “তুই কতো বড়ো সাংবাদিক হয়েছিস যে মেরুং এর নিউজ করিস, ডিলারের বিরুদ্ধে নিউজ করিস, তোকে মেরে তোর রক্ত দিয়ে গোসল করবো, দেখি তোর পাশে কে দাড়ায়’’? সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের কোপে আমার হাত কেটে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্তাত্ত জখম হয়। আমার আত্ম-চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়”।

    এই সংবাদ প্রকাশের কারণে হামলা করা হয়

    পরে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে দিঘীনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। খবর পেয়ে হাসপাতালে সাংবাদিক আবদুল জলিলকে দেখতে যান বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক এবং অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

    দিঘীনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডাঃ পার্বন চাকমা জানান, আহত সাংবাদিকের বাম হাতের তালুতে কাটা ছিলো সেখানে সেলাই দেয়া হয়েছে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম রয়েছে।

    দিঘীনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উত্তম চন্দ্র দে বলেন, হামলার বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    ফেসবুকে হুমকি

    এ ঘটনায় চট্টগ্রাম অনলাইন প্রেসক্লাব, পার্বত্য প্রেসক্লাব, খাগড়াছড়িসহ বিভিন্ন মহল প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন। এ ব্যপারে চট্টগ্রাম অনলাইন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এ বি এম মুজাহিদুল ইসলাম বলেন,সাংবাদিকদের নির্যাতন করে সত্যকে চাপিয়ে রখতে অতীতে কেউ পারেনাই ভবিষ্যতে ও পারবেনা। অবিলম্বে দোষীদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি চাই।

    উল্লেখ্য যে, ১৩ এপ্রিল সোমবার দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ উল্লাহ’র অভিযানে অবৈধভাবে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ৭০ বস্তা চাল জব্দ করা হয়। এসময় ব্যবসায়ী মোঃ দেলোয়ার হোসেন (দুলু) কে আটক করা হয়। আটক দেলোয়ার হোসেন বলেন ‘’ প্রতি বস্তা ১০০০ টাকা দরে ডিলার মোঃ জহির এর নিকট থেকে উক্ত চাল ক্রয় করেছি । খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি’র মেরুং ইউনিয়ন’র ডিলার মোঃ জহির পলাতক রয়েছে ৷

    এ ঘটনার পর থেকে সাংবাদিকদের ফেইস বুকে একাধিক হুমকি আসে।

  • করোনায় খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের ত্রাণ তৎপরতা

    করোনায় খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের ত্রাণ তৎপরতা

    নূর মোহাম্মদ হৃদয় : মহামারী করোনা ভাইরাস (কেভিড-১৯) এর আতঙ্কে ঘরবন্দী অসহায় দু:স্থ মানুষদের খুদা নিবারণ ও করোনার ভয়াল থাবা থেকে জেলাবাসীকে রক্ষার্থে সারাদেশের ন্যায় অতিশয় তৎপর খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন।

    উপার্জনহীন জেলার অভূক্ত মানুষদের সাহার্যাথে ত্রান ও দুযোর্গ মন্ত্রনালয় হতে প্রাপ্ত খাদ্যশস্য (চাউল), নগদ টাকা ও শিশুখাদ্য বাবদ অর্থ সহায়তা গত ২৫ মার্চ হতে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত উপজেলা ও পৌরসভা ভিত্তিক নিম্নলিখিতহারে বন্টনের তথ্য দিয়েছেন জেলা ত্রান ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা মো: বাহারুল্লাহ।

    এ বরাদ্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং পৌরসভার মেয়রদের অনুকুলে দেয়া হয়েছে। তবে এটি শেষ নয়, এ সহায়তা একটি চলমান প্রক্রিয়া বলেও জানান তিনি।

    উপজেলা/পৌরসভায় বরাদ্দকৃত চাউল>নগদ টাকা>শিশুখাদ্য বাবদ টাকা

    খাগড়াছড়ি সদর ১০৬ টন  ৬.৫০ লক্ষ ২ লক্ষ
    খাগড়াছড়ি পৌরসভা ৪৫ টন ১.২৫ লক্ষ ০০
    মাটিরাংগা উপজেলা ১৩৬.৮০ টন ৬.৩৫ লক্ষ ২ লক্ষ
    মাটিরাংগা পৌরসভা ৩০ টন ৫০ হাজার ০০
    রামগড় উপজেলা ১১৫ টন ৫.৭৫ লক্ষ ১ লক্ষ
    রামগড় পৌরসভা ১০ টন ০০ ০০
    গুইমারা উপজেলা ৭০ টন ৫ লক্ষ ১ লক্ষ
    মানিকছড়ি উপজেলা ৮৫ টন ৪ লক্ষ ১ লক্ষ
    লক্ষীছড়ি উপজেলা ৭০ টন ৩ লক্ষ ১ লক্ষ
    মহালছড়ি উপজেলা ৮০ টন ৩.৫ লক্ষ ১ লক্ষ
    পানছড়ি উপজেলা ৯৫ টন ৫ লক্ষ ১ লক্ষ
    দিঘীনালা উপজেলা ১৪৫.৫ টন ৮৫ হাজার ২ লক্ষ

    এসব বরাদ্ধকৃত ত্রানসমূহ যাতে প্রকৃত গরীব অসহায় মানুষজন পায় সেদিকে সাংবাদিকসহ সচেতন সমাজকে সতর্ক দৃষ্টি রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক ও জেলা ত্রান ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা।

  • খাগড়াছড়িতে আবারও প্রশাসনের কঠোরতা শিথিল, ঢুকছে হাজারো শ্রমিক, বাড়ছে উদ্বেগ

    খাগড়াছড়িতে আবারও প্রশাসনের কঠোরতা শিথিল, ঢুকছে হাজারো শ্রমিক, বাড়ছে উদ্বেগ

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি ::: সারাদেশে গণপরিবহন বন্ধ হলেও বিভিন্ন মাধ্যমে খাগড়াছড়ির দুইটি প্রবেশপথ দিয়ে প্রতিদিন খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গমাটির বিভিন্ন উপজেলায় আসছে হাজারো মানুষ।

    শুক্রবার সকাল থেকে মানিকছড়ির নয়াবাজার আর্মি ক্যাম্প এলাকার চেক পোস্টে উপস্থিত হয়েছে ৫ শতাধিক নারী-পুরুষ। যাদের অধিকাংশ চট্টগ্রামের বিভিন্ন শিল্প-কারখানার শ্রমিক।

    এছাড়া রামড়ের সোনাইপুল দিয়ে প্রবেশ করছে কুমিল্লা, ঢাকা ও সাভারের বিভিন্ন শিল্প-কারখানার শ্রমিকরা।

    গতকাল বৃহস্পতিবার জেলায় কাউকে প্রবেশ করতে না দেয়ার অবস্থানে প্রশাসন কঠোর থাকলেও রাতে তা শিথিল করে। শুক্রবারও তা অব্যাহত রয়েছে। এতে করে উদ্বেগ বাড়ছে খাগড়াছড়ির মানুষের।

    খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি ও রামগড়ের বিভিন্ন চেকপোস্টে আসা শ্রমিকরা জানান, কারখানা মালিকদের অমানবিক সিদ্ধান্তের কারণে আজ তাদের এ পরিণতি। অনেকে কয়েক মাসের বেতন পায়নি। আর বাড়ি ভাড়া না পেয়ে এবং করোনা সংক্রামণের আতঙ্কে অনেককে বের করে দেয়া হচ্ছে।

    মানিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তামান্না মাহমুদ জানান, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে বৃহস্পতিবার সারাদিন কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া না হলেও মানবিক কারণে রাত থেকে খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটির বিভিন্ন উপজেলার ১ হাজার ১৬ জন মানুষ প্রবেশ করে। শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ৫ শতাধিক মানুষ চেক পোস্টে অবস্থান করছে। তাদের নাম পরিচয় সনাক্ত করার পর প্রবেশ করতে দেয়া হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/প্রদীপ

     

  • খাগড়াছড়ির প্রবেশমুখ থেকে ফিরে যাচ্ছে শত শত পোশাক শ্রমিক ॥ পুলিশের লাঠিচার্জে আহত বেশ কয়েকজন

    খাগড়াছড়ির প্রবেশমুখ থেকে ফিরে যাচ্ছে শত শত পোশাক শ্রমিক ॥ পুলিশের লাঠিচার্জে আহত বেশ কয়েকজন

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি॥ করোনা ভাইরাসের সংক্রামণ প্রতিরোধে খাগড়াছড়ি জেলায় জরুরী সেবা প্রতিষ্ঠানের পরিবহন ও ব্যক্তি ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না স্থানীয় প্রশাসন। তাদের মধ্যে বেশীরভাগই পোষাক শ্রমিক। প্রশাসনের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে তাদের ফিরে যেতে বলা হলে একপর্যায়ে মানিকছড়ির নয়াবাজার এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। উত্তেজিত জনগণকে শান্ত করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে দুইজন আহত হয়েছে।

    আহতরা হলো, খাগড়াছড়ির মহালছড়ির মুবাছড়ি ইউনিয়নের সুমিতা দেওয়ান এবং আরেকজনের নাম জানা যায়নি।

    মানবিক দিক বিবেচনায় হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার শর্তে এতোদিন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জিম্মায় চট্টগ্রাম, ঢাকা, কুমিল্লাসহ বিভিন্ন শিল্পনগরীতে কর্মরত শ্রমিকদের জেলায় প্রবেশে প্রশাসন অনুমতি দিলেও এসব শর্ত না মানায় গত বুধবার থেকে জেলায় প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করে স্থানীয় জেলা প্রশাসন।

    জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির জরুরী সভা থেকে কোন শর্তে খাগড়াছড়ি জেলায় কাউকে প্রবেশ করতে না দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তারপরও বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জেলার প্রবেশ পথ মানিকছড়ি উপজেলার নয়াবাজার ও রামগড় উপজেলার সোনাইপুলে জড়ো হতে থাকা শত শত মানুষ।

    প্রত্যক্ষদর্শী তন্টু চাকমা জানান, করোনা পরিস্থিতির কারণে কারখানা বন্ধ দেয়ায় বেতন ভাতা না পেয়ে চট্টগ্রাম হয়ে বাধ্য হয়ে গ্রামের বাড়ি খাগড়াছড়ির মহালছড়ি যাওয়ার জন্য তারা সকালে মানিকছড়ি আসে। এ সময় তারা পুলিশকে অনুরোধ করার পরও তাদের ঢুকতে দেয়া হয়নি। একপর্যায়ে তাদের ওপর লাঠিচার্জ করে তাদের সরিয়ে দেয়। এ সময় তারা দুইজনকে আহত অবস্থায় পায়। চট্টগ্রামে শিল্প কারখানায় কাজ করতো তারা, দুইজনেরই মাথায় আঘাত রয়েছে। তাদের চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির বিবিরহাট বাজারে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়।

    তবে খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ জানান, পুলিশ কাউকে লাঠিচার্জ করেনি। সকাল থেকে প্রশাসনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক নয়াবাজার চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা কেউকে ঢুকতে দেয়নি। এ সময় কিছু লোকজন পুলিশের ওপর উত্তেজিত হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে উস্কানীমূলক মন্তব্য ও অঙ্গভঙ্গি করলেও মানবিক কারণে পুলিশ তাদের বুঝিয়ে ফিরে যেতে অনুরোধ করে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

    খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস জানান, যারা খাগড়াছড়িতে প্রবেশ করতে চাচ্ছে তারা কেউ আমাদের শত্রু নয়। পরিস্থিতির কারণে জেলায় প্রবেশ ও বের হতে নিষেধ করা হচ্ছে। এ কারণে কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। আর স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা যদি বাহির থেকে আগতদের হোম কোয়ারেন্টিনে রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারতো তাহলে কোন সমস্যা ছিলনা। কিন্তু কেউ হোম কোয়ারেন্টিনের বিষয়টি মানছেন না। তাই সাত লক্ষ জেলাবাসীর নিরাপত্তার স্বার্থে জেলা করোনা মোকাবিলা কমিটির যৌথতার ভিত্তিতেই এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। এখান থেকে সরে আসার কোন সুযোগ নেই।

    প্রসঙ্গত, সারাদেশে সাধারণ ছুটি চলাকালীন বিভিন্ন সময়ে খাগড়াছড়িতে আসা ২০৯ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। তাদের বেশীর ভাগই বিভিন্ন পোষাকশিল্প কারখানার শ্রমিক। এখন পর্যন্ত খাগড়াছড়ি জেলা থেকে ২৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। যাদের ২৩ জনের রিপোর্টে করোনা শনাক্ত হয়নি। বাকী ৩ জনের রিপোর্ট এখনও স্বাস্থ্য বিভাগের হাতে আসেনি।

    ২৪ঘণ্টা/এম.আর/প্রদীপ

     

  • মাটিরাঙ্গায় করোনা প্রতিরোধে মাঠে একঝাঁক স্বেচ্ছাসেবী

    মাটিরাঙ্গায় করোনা প্রতিরোধে মাঠে একঝাঁক স্বেচ্ছাসেবী

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি॥ খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলাবাসীকে সুরক্ষা করতে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় মাঠে নেমেছে যুব রেড ক্রিসেন্ট এবং ছাত্র ও যুবলীগের একঝাঁক তরুণ। তাঁরা মানুষকে করোনা প্রতিরোধে সচেতন করে গড়ে তোলাসহ মাটিরাঙ্গা পৌরসভার বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় মাইকিং ও জীবানুনাশক স্প্রে কার্যক্রম চালাচ্ছে।

    কার্যক্রমের অংশ হিসেবে তরুন স্বেচ্ছাসেবীরা মাটিরাঙা উপজেলা পরিষদ চত্বর, মাটিরাঙ্গা বাজার, নতুনপাড়া, ১০ নম্বর এলাকায় সচেতনতামূলক মাইকিং ও জীবাণুনাশক স্প্রে করছে। মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম ও মাটিরাঙা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভীষণ কান্তি দাশ এই কার্যক্রমে সর্বাত্মক সহযোগিতা ও পরামর্শ দিচ্ছেন।

    মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভীষণ কান্তি দাশ জানান ‘করোনা এই মুহূর্তে আমাদের দেশে সবচেয়ে বড় দুর্যোগ। এই দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকারের পাশাপাশি সকলের এগিয়ে আসা প্রয়োজন। জনগণকে সচেতন করার মাধ্যমেই এ দুর্যোগ থেকে সকলকে নিরাপদ রাখা সম্ভব বলে মন্তব্য করেন তিনি।

    মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম তরুনদের ভালো কাজের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, তরুণদের হাত ধরেই মাটিরাঙ্গার সাধারণ মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত হবে। তিনি চিকিৎসা নয়, জনসচেতনতার মাধ্যমেই সম্মিলিতভাবে এ দুর্যোগ মোকাবেলা করার আহ্বান জানান।

  • খাগড়াছড়িতে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে স্বয়ংক্রিয় জীবাণুনাশক বুথ স্থাপন

    খাগড়াছড়িতে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে স্বয়ংক্রিয় জীবাণুনাশক বুথ স্থাপন

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি॥ খাগড়াছড়ি জেলা সদরের প্রবেশ পথে পরিবহন ও বাহির থেকে আগতদের জীবাণু মুক্ত করণে স্বয়ংক্রিয় জীবাণুনাশক স্প্রে’র বুথ স্থাপন করেছে সেনাবাহিনী।

    বুধবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে খাগড়াছড়ি সদর জোনের উদ্যোগে স্থাপিত এ বুথের কার্যক্রম চালু করেন খাগড়াছড়ি রিজিয়নের অধিনায়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফয়জুর রহমান।

    এ সময় সিভিল সার্জন ডা. নুপুর কান্তি দাশ সহ সামরিক বেসামরিক উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

    খাগড়াছড়ি জেলাকে করোনা ভাইরাসের সংক্রামণ থেকে রক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী স্থানীয় প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ ও স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে সমন্বিতভাবে কাজ করছে । জেলার বাহির থেকে যারা আসছেন তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ অন্যান্য কার্যক্রম পর্যাবেক্ষণ করছে সেনাবাহিনী।