Tag: খাগড়াছড়ি

  • পানছড়িতে জমি নিয়ে বিরোধ, প্রতিপক্ষের হামলায় হাসপাতালে কাঁতরাচ্ছেন ২জন

    পানছড়িতে জমি নিয়ে বিরোধ, প্রতিপক্ষের হামলায় হাসপাতালে কাঁতরাচ্ছেন ২জন

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি ::: খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ির আলী নগর গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের আঘাতে আহত ৩ জন। গুরুতর আহত ২জন খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।

    গত ১২ এপ্রিল সন্ধ্যায় পানছড়ির আলী নগরে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, গোলাপী বেগম (৪৫) স্বামী বাহাদুর মিয়া, আরিফ মিয়া (১৪) পিতা-বাহাদুর মিয়া, মোহাম্মদ আলী (৭০)।

    জানা যায়, পানছড়ি উল্টাছড়ির আলীনগর গ্রামের বাহাদুর মিয়া ও রঙ্গু মিয়ার মধ্যে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিল। ঘটনার দিন সন্ধ্যার দিকে রঙ্গু মিয়া তার ছেলে-মানিক মিয়া, আসাদ, তোলামিয়া, ওসমান, মেয়ে মৌজা আক্তারসহ ২০-২৫ জন দলবল নিয়ে প্রতিবেশী বাহাদুর মিয়ার বাড়ীতে হামলা চালায়। দলবল দেখে বাহাদুর মিয়া পালিয়ে পাশের জংগলে আত্মগোপন করেন। এসময় বাহাদুর মিয়ার স্ত্রী গোলাপী বেগম (৪৫),ছেলে আরিফ মিয়া ও প্রতিবেশী আত্মীয় মোহাম্মদ আলী (৭০) কে দা-ছুরি ও লাঠিসোটা দিয়ে উপর্যুপরি আঘাতে গুরুতর আহত করে।

    বাহাদুর মিয়া বলেন, রঙ্গু মিয়া ২০-২৫ জনের দলবল নিয়ে আসায় আমি প্রানের ভয়ে পালিয়ে যায়। রঙ্গু মিয়া গং চলে যাওয়ার পর পানছড়ি থানা পুলিশের সহযোগীতায় আহতদের প্রথমে পানছড়ি হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে রেফার করেন। এখন সদর হাসপাতালের ১৮ নং ও ১৪ নং বেডে আহতদের চিকিৎসা চলছে। রঙ্গু মিয়ার ভয়ে আমি আতংকে আছি।

  • জ্বর, কাশি নিয়ে খাগড়াছড়ি হাসপাতালে ভর্তি রোগী আইসোলেশনে,অতঃপর মৃত্যু

    জ্বর, কাশি নিয়ে খাগড়াছড়ি হাসপাতালে ভর্তি রোগী আইসোলেশনে,অতঃপর মৃত্যু

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত এক রোগী গত ৯ মার্চ ভর্তি হয়েছিলো খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে।

    ২৫ মার্চ বুধবার দুপুর ২টার দিকে শ্বাসকষ্ট, গলা ব্যথাসহ তার শারিরীক অবস্থা নিয়ে সন্দেহজনক হওয়ায় তাকে রাখা হয় হাসপাতালটির আইসোলেশনে। রাত সাড়ে ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

    লক্ষণ দেখে সন্দেহ হওয়ায় তার মৃতদেহ থেকে সংগ্রহ করা নমুনা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হবে জানিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসক।

    খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন নূপুর কান্তি দাশ তথ্যটি নিশ্চিত করে বলেন, জ্বর, কাশিতে আক্রান্ত হয়ে ৩০ বছর বয়সী রোগীটি গত ৯ মার্চ থেকে হাসপাতালে ভর্তি হয়। এরপর তিনি শ্বাসকষ্টে ভুগতে থাকলে সন্দেহ হওয়ায় তাকে দুপুরে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছিল। রাত সাড়ে ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

    তিনি বলেন, তার নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় আইইডিসিআর-এ পাঠানো হবে। রাতেই যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে স্বাস্থ্য বিভাগের তত্ত্বাবধানে মরদেহ মৃত ব্যক্তির গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।

    এদিকে রোগীটির মৃত্যুর পর ওই হাসপাতালে রোগীর চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা ডাক্তার, দুই জন নার্স ও এক আয়াকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।

    ২৪ ঘন্টা/ আর এস পি

  • বিদেশি পর্যটকদের খাগড়াছড়ি ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি

    বিদেশি পর্যটকদের খাগড়াছড়ি ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : করোনা ভাইরাস থেকে নিরাপদ রাখার স্বার্থে খাগড়াছড়ি ভ্রমণে বিদেশি পর্যটকদের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন। একইসঙ্গে দেশি পর্যটকদের খাগড়াছড়িতে ভ্রমণের ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।

    বুধবার (১৮ মার্চ) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস।

    তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস যেহেতু সংক্রামক তাই দেশের সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে এই সময়ে যাতে পর্যটকরা খাগড়াছড়িতে না আসে। জনস্বার্থে এবং নিজেদের সঙ্গে আপাতত ভ্রমণ থেকে বিরত থাকায় উত্তম। আর বিদেশি পর্যটকদের আমরা খাগড়াছড়ি ভ্রমণের অনুমতি আপাতত দিচ্ছি না।

    এদিকে করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় জেলা প্রশাসককে আহ্বায়ক ও সিভিল সার্জনকে সদস্য সচিব করে ১১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

    এই কমিটি করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় জাতীয় কমিটির নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করবে।

    জেলা প্রশাসক আরও বলেন, খাগড়াছড়ির কোনো নাগরিক যদি বিদেশ থেকে আসে তাহলে তাকে অবশ্যই হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। তারা হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকছে কিনা সেটি আমরা মনিটরিং করবো।

    এদিকে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বন্ধের সময় শিশুদের বাসায় রাখার পাশাপাশি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়ার ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করছে স্বাস্থ্য বিভাগ। পুরো জেলায় ৮০টি আইসোলেশন বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এরমধ্যে খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে ৩০ বেড এবং অন্য উপজেলাগুলোতে মোট ৫০ বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।

    এদিকে ভারত ফেরত পাঁচজনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

    খাগড়াছড়ির ডেপুটি সিভিল সার্জন মিটন চাকমা বলেন, একদিকে পর্যটন এলাকা। তাছাড়া ঢাকা, চট্টগ্রাম থেকেও মানুষ যাতায়াত করছে তাই খাগড়াছড়ির করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়াটা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। একমাত্র স্থানীয়দের সচেতনা করোনা থেকে নিরাপদ রাখতে পারে। বিদেশ থেকে আসা খাগড়াছড়ির নাগরিকদের প্রথমে হাসপাতালে আসার আহ্বান জানান তিনি।

  • খাগড়াছড়িতে করোনা আতঙ্কে কমে গেছে পর্যটক

    খাগড়াছড়িতে করোনা আতঙ্কে কমে গেছে পর্যটক

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : খাগড়াছড়িতে করোনা ভাইরাস সনাক্তকরণ পরীক্ষার কোন সরঞ্জাম নেই। তবে সন্দেহজনক রোগীদের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে নারী ও পুরুষের জন্য আলাদা ওয়ার্ড করে ৩০ বেডের আইসোলেশনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সদর উপজেলা ছাড়াও বাকী উপজেলার ক্ষেত্রে ৫০ বেডের আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. নুপুর কান্তি দাশ।

    খাগড়াছড়িতে এখনও পর্যন্ত সন্দেহজনক কোন রোগী পাওয়া যায়নি জানিয়ে সিভিল সার্জন আরও বলেন, জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ যৌথভাবে বৈঠক করে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। জনগণকে সচেতন করতে বিভিন্ন প্রচারাভিযান চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি ৮ টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। সন্দেহজনক কোন ব্যক্তিকে পাওয়া গেলে মেডিকেল টিম আইসোলেশনের মাধ্যমে তাকে মনিটরিং করবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তার নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষার জন্য কেন্দ্রীয় মেডিকেল টিমের হটলাইনে কল দিয়ে সহযোগীতা নেয়ার নির্দেশনাও রয়েছে জেলা উপজেলা পর্যায়ে।

    এদিকে, বাংলাদেশে করোনা আক্রান্ত ৩ ব্যক্তি সনাক্ত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর পাহাড়ী জেলা খাগড়াছড়ির মানুষের মাঝে ভীতি কাজ করছে। খাগড়াছড়ি ও সাজেকগামী পযর্টকদের ওপর প্রভাব পড়েছে এ আতঙ্ক। সাজেক ও খাগড়াছড়ির পযর্টন সংশ্লিষ্ট ব্যবাস প্রতিষ্ঠানে বাতিল হচ্ছে অগ্রীম বুকিং।

    সাজেকের খাবার হোটেলের ব্যবসায়ী মো. দেলোয়ার জানান, আগামী ২৬ ও ২৭ তারিখের অগ্রীম বুকিং ছিল। করোনা ভাইরাস আতঙ্কে গত সপ্তাহ থেকে বুকিং বাতিল হতে শুরু করেছে। এতে আনুমানিক ৫/৭ লক্ষাধিক টাকা ক্ষতির কথা জানান তিনি।

    খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস জানান, করোনা মোকাবেলায় কেন্দ্র থেকে যে নির্দেশনা এসেছে তা অনুসরণ করে কাজ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে মেডিকেল টিম ও আইসোলেশন ইউনিট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পযর্টকদের আসা যাওয়া নিষেধ কিংবা সীমিত করার বিষয়ে এখনও কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। কেন্দ্রীয়ভাবে সিদ্ধান্ত আসলে তা অনুসরণ করা হবে।

  • মাটিরাঙ্গার ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত: বিজিবি

    মাটিরাঙ্গার ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত: বিজিবি

    খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলায় স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত বলে জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। স্থানীয়রা বিজিবির অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে অনিয়ন্ত্রিতভাবে গুলিবর্ষণ করে বলেও জানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনী।

    মঙ্গলবার রাতে বিজিবির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অবৈধ কাঠ পাচাররোধে মঙ্গলবার বেলা ১১:৪৫ মিনিটে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার গাজীনগর বাজার এলাকায় টহলে যায় বিজিবির একটি দল। এসময় বিজিবির উপস্থিতি দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা টহল দলকে ঘিরে ফেলে। এতে উভয়পক্ষ্যের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিজিবি এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এসময় উভয়পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি শুরু হলে স্থানীয়রা বিজিবির অস্ত্র ছিনিয়ে নেয় এবং অনিয়ন্ত্রিতভাবে গুলি বর্ষণ শুরু করে। এতে বিজিবির সিপাহী শাওন ও স্থানীয় পাঁচজনের গায়ে গুলি লাগলে বিজিবি সদস্যসহ চারজন মৃত্যুবরণ করে।

    ঘটনার পর বিজিবি-সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এই ঘটনায় পৃথক তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    এই ঘটনায় নিহতরা হলেন মাটিরাঙ্গা উপজেলার গাজীনগর এলাকার সাহাব মিয়া, তার স্ত্রী রঞ্জু বেগম, তাদের বড় ছেলে আকবর আলী, ছোট ছেলে আহমদ আলী, একই এলাকার সিরাজ মিস্ত্রির ছেলে মফিজ মিয়া এবং বিজিবি সদস্য শাওন।

    এদিকে স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে বৈদ্যুতিক তার টানার জন্য কয়েকটি গাছ কাটা হয়। এ সময় ট্রাক্টরে সাহাব মিয়া ও তার ছেলে আহামদ আলী কয়েক টুকরা গাছ গাজীনগর বাজারের একটি কাঠের মিলে নিয়ে যাওয়ার পথে বাধা দেয় বিজিবি। একপর্যায়ে বিজিবির সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন সাহাব মিয়া ও তার ছেলে। বিষয়টি দেখে এগিয়ে আসে গ্রামবাসী। এরপরই বিজিবির সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে গ্রামবাসী।

    সংঘর্ষের সময় বিজিবি সদস্যরা গুলি করলে ঘটনাস্থলেই সাহাব মিয়া ও তার ছেলে আকবর আলী নিহত হন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বিজিবি সদস্য শাওন, আহমদ আলী, মফিজ মিয়া এবং হানিফ মিয়াকে মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে বিজিবি সদস্য শাওন ও আহাম্মদ আলীর মৃত্যু হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান মফিজ মিয়া। স্বামী ও দুই ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে মারা যান রঞ্জু বেগম।

  • র‍্যাবের অভিযানে খাগড়াছড়িতে অস্ত্র ব্যবসায়ী আটক

    র‍্যাবের অভিযানে খাগড়াছড়িতে অস্ত্র ব্যবসায়ী আটক

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:- খাগড়াছড়িতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে অবৈধ ৩টি (৭.৫ এমএম) বিদেশী পিস্তল, ৫টি ম্যাগজিন ও ৪৬ রাউন্ড বুলেটসহ এক অস্ত্র ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র‍্যাব-৭।

    বুধবার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খাগড়াছড়ি জেলা শহরের স্টেডিয়াম (সিঙ্গিনালা) এলাকায় পানছড়িগামী মোটর সাইকেল তল্লাশি চালিয়ে র‍্যাব-৭ এর দলটি রবিউল ইসলাম কে আটক করে।

    সে পানছড়ি উপজেলার দমদম এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে। র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‍্যাব-৭ এর একটি চৌকস দল এর অভিযানকালে ৩টি রাউন্ড বিদেশী পিস্তল, ৫টি ম্যাগজিন ও ৪৬ রাউন্ড তাজা বুলেটসহ তাকে আটক করে।

    এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলা প্রক্রিয়াধীন
    রয়েছে বলে জানান,খাগড়াছড়ি সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রশিদ।

  • খাগড়াছড়িতে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে বৃত্তি প্রদান

    খাগড়াছড়িতে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে বৃত্তি প্রদান

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : খাগড়াছড়িতে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে গরীব ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়েছে।

    সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে খাগড়াছড়ি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত মহা-পুলিশ পরিদর্শক নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা ‘‘পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তি প্রদান” শীর্ষক স্কিমের আওতায় ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা বৃত্তি তুলে দেন।

    এ সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য (পরিকল্পনা) ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী’র সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যানের সহধর্মিনী বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী, সুরকার ও গীতিকার অনামিকা ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক (অব.) মধু মঙ্গল চাকমা, খাগড়াছড়ি পৌর মেয়র রফিকুল আলম, খাগড়াছড়ি ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ লে. কর্নেল কামরুজ্জামান, পাচউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো: মুজিবুল আলম এবং বোর্ডের উপ-সচিব মংছেন লাইন রাখাইন।

    অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ির সচেতন নাগরিক কমিটির সদস্য ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ধর্মরাজ বড়ুয়া, খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক অরণ্য বার্তার সম্পাদক চৌধুরী আতাউর রহমান রান্না, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট’র উপ-পরিচালক (ভাব:) জীতেন চাকমা, দৈনিক আলোকিত পাহাড় পত্রিকার সম্পাদক মোহাম্মদ সাজুসহ উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সাংবাদিক, অভিভাবক উপস্থিত ছিলেন।

  • চাঞ্চল্যকর মাহিন্দ্র চালক খুনের রহস্য ভেদ করল পুলিশ

    চাঞ্চল্যকর মাহিন্দ্র চালক খুনের রহস্য ভেদ করল পুলিশ

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:- মাত্র ১ লক্ষ টাকা মূল্যের মাহিন্দ্র ছিনতাইয়ের উদ্দ্যেশ্যে খুন করা হয়েছিল খাগড়াছড়ির মহালছড়ির ভাড়ায় চালিত মাহিন্দ্র চালক ফারুক হোসেনকে।

    ঘটনার পাঁচ দিনের মাথায় পুলিশের হাতে আটকের পর এমনটাই জানিয়েছে হত্যাকান্ডের মুল পরিকল্পনাকারী মাসুম (২৮)।

    খাগড়াছড়িতে চাঞ্চল্যকর মাহিন্দ্র চালক ফারুক হত্যাকান্ডের পাঁচ দিনের মাথায় (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালের দিকে রাঙ্গামাটির লংগদু থেকে হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারী মো. মাসুমকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    গ্রেফতারকৃত মাসুম রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলার ইয়াংছড়ির মো. আবদুস ছাত্তারের ছেলে। পরে তার দেয়া তথ্যমতে চট্টগ্রামের ইপিজেড এলাকা থেকে আটক করা হয় মো. হামিদুল ইসলাম ওরফে সাইদুল ও ফরিদ হোসেনকে। একই সাথে ছিনতাই হওয়া মাহিন্দ্রটি উদ্ধার করে পুলিশ।

    এদিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মো. মাসুম, মো. হামিদুল ইসলাম ও ফরিদ হোসেনকে আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত তাদেরকে কারাগারে প্রেরণ করে।

    এদিকে হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে হত্যাকান্ডের মুল পরিকল্পনাকারী মো. মাসুম খাগড়াছড়ির জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সামিউল আলমের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছে জানিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শাহনুর আলম বলেন, আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।

    আসামীদের জবানবন্দীর সুত্র ধরে পুলিশ জানায়, মাহিন্দ্র ছিনতাইয়ের উদ্দ্যেশে রাঙ্গামাটির লংগদুর বাসিন্দা মো. মাসুম, রাঙ্গামাটির লঙ্গদু উপজেলার করল্যাছড়ির বাসিন্দা মো. আবু মুছা এবং তার স্ত্রী
    শাহনাজ আক্তার ১ ফেব্রুয়ারি ফারুকের মাহেন্দ্রটি রিজার্ভ করে খাগড়াছড়ির বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে ঘুরে বেড়ায়।

    ঘটনার দিন (১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র ঘুরে মানিকছড়ি নামিয়ে দিয়ে আসার কথা ছিল। মানিকছড়ি যাওয়ার পথে মাটিরাঙ্গার অদুরে ১০ নম্বর এলাকায় আসলে প্রস্রাব করার কথা বলে মাহিন্দ্র থামায়।

    মাহিন্দ্র থামানোর পর তারা শ্বাসরোধ করে ফারুককে হত্যা করে মাহিন্দ্র নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে তাদেরপুর্বপরিচিত গ্যারেজ মেকানিক মো. শাকিলেরমাধ্যমে চট্টগ্রামের ইপিজেড এলাকার মো. হামিদুল ইসলাম ওরফে সাইদুল ও ফরিদ হোসেনের কাছে এক লক্ষ টাকায় বিক্রি করে।

    মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামসুদ্দিন ভুইয়া জানান, খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের দিকনির্দেশনায় তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার ও নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাঙ্গামাটির লংগদু ও চট্টগ্রামের ইপিজেড এলাকা থেকে আসামীদের গ্রেফতারসহ মাহিন্দ্রটি উদ্ধার করা হয়।

    হত্যাকান্ডের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত রাঙ্গামাটির লঙগদু উপজেলার করল্যাছড়ির বাসিন্দা মো. আবু মুছা এবং তার স্ত্রী শাহনাজ আক্তারকে গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানান তিনি।

    প্রসঙ্গত, গত ১ ফেব্রুয়ারি খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার অদুরে ১০ নম্বর এলাকায় মো. ফারুক (২০) নামে এক মাহিন্দ্র চালককে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।ঘটনার একদিন পর রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে মাটিরাঙ্গার অদুরে খাগড়াছড়ি-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে ১০ নম্বর এলাকায় ধলিয়া খালের গভীর ঢালু থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

    এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মো. আমজাদ হোসেন বাদী হয়ে মাটিরাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।

    নিহত মো. ফারুক খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলার চোংড়াছড়ি এলাকার মৃত শাহ আলমের ছেলে। সে পেশায় একজন ভাড়ায় চালিত মাহিন্দ্র চালক। নিহত ফারুক
    এক সন্তানের জনক।

  • খাগড়াছড়িতে মাহেন্দ্র চালক হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবীতে মানববন্ধন

    খাগড়াছড়িতে মাহেন্দ্র চালক হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবীতে মানববন্ধন

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : খাগড়াছড়িতে মাহেন্দ্র গাড়ির চালক ফারুক মিয়ার হত্যাকারীদের গ্রেফতারে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিয়েছে মাহেন্দ্র-সিএনজি মালিক ও চালক সমিতি। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচী ঘোষণার হুমকি দেওয়া হয়েছে।

    আজ মঙ্গলবার(৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে খাগড়াছড়ি সিএনজি মাহেন্দ্র মালিক এবং শ্রমিক সংগঠনের ব্যানারে শহরের শাপলা চত্বর এলাকায় মানববন্ধন থেকে এ আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। নিখোঁজের একদিন পর জেলার মহালছড়ির মাহেন্দ্র চালক ফারুক মিয়ার লাশ ২ ফেব্রুয়ারি মাটিরাঙ্গা খালের পার থেকে পুলিশ উদ্বার করে।

    মানববন্ধনে খাগড়াছড়ি জেলা সিএনজি কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন, মাহেন্দ্র চালক কল্যাণ সমিতির আহ্বায়ক জয়েস চাকমা, সাধারণ সম্পাদক মো. মামুন,মহালছড়ি সিএনজি ও মাহেন্দ্র সমিতির সভাপতি বিপুল চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।

    গত ১ ফেব্রুয়ারি সকালে মহালছড়ি থেকে যাত্রী নিয়ে আলুটিলা পর্যটনে কেন্দ্রে আসেন ফারুক মিয়া। এরপর থেকে তার কোন খোঁজ ছিলনা। এই নিয়ে পরিবার থেকে মহালছড়ি ও খাগড়াছড়ি থানায় মৌখিকভাবে জানানো হয়।

    পরে গত ২ ফেব্রুয়ারি খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার ১০ নাম্বার ভাঙ্গাব্রীজ এলাকায় খালের পার থেকে মাহেন্দ্র চালক ফারুকের মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

  • খাগড়াছড়ির নানা বাড়িতে বেড়াতে এসে আগুনে পুড়ে নিহত ভাই-বোন

    খাগড়াছড়ির নানা বাড়িতে বেড়াতে এসে আগুনে পুড়ে নিহত ভাই-বোন

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। ডেস্ক : খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়িতে নানা বাড়ি বেড়াতে এসে আগুনে পুড়ে মারা গেছে দুই ভাই বোন। গতকাল বুধবার রাত সাড়ে দশটার দিকে উপজেলার লিখেয়াপাড়ায় আগুনের ঘটনাটি ঘটে। আগুনে রান্নাঘরসহ একটি টিনের ঘর সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে।

    রান্নার চুলা থেকে সৃষ্ট অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ঘুমন্ত অবস্থায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। নিহতরা হলেন মানিকছড়ির বাটনাতলীর লিখেয়াপাড়ার মেম্যাং মারমার সন্তান মংসালো মারমা (১২) উম্রা মারমা (৬)।

    স্থানীয় ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন ওই গ্রামে নানার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছেল মংসালো মারমা ও উম্রা মারমা। রাতের খাওয়া ধাওয়া শেষ করে তাদের এক মাসির সাথে ঘুম পাড়িয়ে নানা ও নানি পাশের একটি চায়ের দোকানে টেলিভিশন দেখতে যান।

    কিছুক্ষণ পরে তাদের ঘরের রান্না ঘরে আগুন দেখতে পেয়ে ছুটে আসেন। ততক্ষনে ঘুমন্ত অবস্থায় পুড়ে মারা যায় তাদের দুই নাতনি। আগুন লাগার পর থেকে নিখোঁজ রয়েছেন ওই মাসি।

    এলাকাটি দুর্গম এলাকায় হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছাতে পারেননি বলে জানা গেছে।

    মানিকছড়ি থানার ওসি (তদন্ত) আমজাদ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বুধবার রাতে রান্নার চুলার আগুন থেকে তাদের ঘরে আগুন লাগে। এ সময় ঘুমন্ত অবস্থায় দুই ভাইবোনের মৃত্যু হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই ভাইবোনের লাশ উদ্ধার করে।

  • খাগড়াছড়ি শহরে সরকারি গাড়ীর ধাক্কায় শিশু’র মৃত্যু

    খাগড়াছড়ি শহরে সরকারি গাড়ীর ধাক্কায় শিশু’র মৃত্যু

    খাগড়াছড়ি শহরের টিএন্ডটি এলাকায় একটি সরকারি গাড়ীর ধাক্কায় রোকসানা আকতার রাফি নামের ২০ মাস বয়সী এক শিশু’র মৃত্যু হয়েছে।

    রোববার সকাল ৯টার দিকে বিচারিক বিভাগের একটি গাড়ি মোড় ঘোরানোর সময় রাস্তায় খেলার সময় শিশুটির গায়ে ধাক্কা লাগে। সাথে সাথেই রক্তাত্ব শিশুটি রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে। এলাকার লোকজন শিশুটিকে কাছের জেলাসদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একজন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের একজন ম্যাজিস্ট্রট ওই এলাকায় ভাড়া থাকেন। ঘনবসতিপুর্ন এলাকা হওয়ায় বেশিরভাগ শিশুই রাস্তার ওপরই খেলাধুলা করেন। চালকের অসর্তকার কারণেই শিশু রাফি’র মৃত্যু হয়েছে।
    খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শিশুটির বাবা বাদল মিয়া মাস দুয়েক আগে বরিশাল থেকে ওই এলাকায় ভাড়া বাসা নেন। তিনি পেশায় একজন চটপটি বিক্রেতা।

    খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশের ডিআইআইও আব্দুস সামাদ মোড়ল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেছেন, মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তে চালকের অসর্তকতার প্রমাণ মিললে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • উপজাতী সন্ত্রাসী ও সেনাবাহিনীর সংঘর্ষে ১ সেনা গুলিবিদ্ধ

    উপজাতী সন্ত্রাসী ও সেনাবাহিনীর সংঘর্ষে ১ সেনা গুলিবিদ্ধ

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলার গহীণ অরণ্যে লক্ষ্মীছড়ি জোনের সেনাবাহিনী ও উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের সাথে গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে।

    ২৫ সেপ্টেম্বর বিকালে কুমারী, বটটিলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়।

    লক্ষ্মীছড়ি জোনের উপ-অধিনায়ক মেজর মো. আনিসুর রহমান গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাকে মানিকছড়ি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। ঘটনাস্থল থেকে এক উপজাতীয় সন্ত্রাসীর গুলিবিদ্ধ লাশ, একটি এসএমজি, বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারদ উদ্ধার করা হয়েছে বলে সূত্রে জানা গেছে। নাম জানা না গেলেও একজন সন্ত্রাসীকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।

    জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরে অবস্থান নিশ্চিত হলে লক্ষ্মীছড়ি জোনের উপ-অধিনায়ক মেজর আনিস ও ক্যাপ্টেন নাসির এর নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর সদস্যরা এলাকাটি ঘিরে ফেলে। সন্ত্রাসীরা সেনাবাহিনীর উপস্থিত টের পেয়ে এলোপাতারি গুলি বর্ষন করে সেনাবাহিনীর উপর।

    সন্ত্রাসীদের গুলিতে লক্ষ্মীছড়ি জোনের উপ-অধিনায়ক মেজর আনিস আহত হয়। তিনি ডান পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়। পরে সেনাবাহিনীও পাল্টা গুলি চালায়। ঘটনাস্থল থেকে উপজাতীয় সন্ত্রাসীর গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। তাৎক্ষনিকভাবে তার নাম ও পরিচয় জানা যায় নি। এছাড়াও ঘটনাস্থল থেকে একটি এসএমজি, গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে মানিকছড়ি থানার অফিসার(তদন্ত) মো. মাসুদ করীম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় একজন সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মানিকছড়ি হাসপাতালে আনা হয়েছে। হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মো. মহিউদ্দীন আহত সেনা কর্মকর্তার চিকিৎসা দেন।

    এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সংঘর্ষ থেমে গেলেও ঘটনাস্থলে সেনা অভিযান চলছে। তবে এ ঘটনায় সেনাবাহিনীর পক্ষ হতে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায় নি।

    আরো:: চকরিয়ার মালুমঘাটে অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার

    ২৪ ঘন্টা/আলমগীর হোসেন/রাজীব..