Tag: খাগড়াছড়ি

  • ফলদ বৃক্ষরোপণে উদ্বুদ্ধ করতে ৫’শ ১২ কি:মি: পায়ে হেঁটে খাগড়াছড়িতে ত্রিশালের সাহসী পদযাত্রীরা

    ফলদ বৃক্ষরোপণে উদ্বুদ্ধ করতে ৫’শ ১২ কি:মি: পায়ে হেঁটে খাগড়াছড়িতে ত্রিশালের সাহসী পদযাত্রীরা

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : ফলদ বৃক্ষরোপনে উদ্বুদ্ধ এবং পরিবেশ বিরোধী বৃক্ষ রোপনে নিরুৎসাহিত করতে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘ফলদ বাংলাদেশ’ এর ৫’শ ১২ কিলোমিটার পদযাত্রা (পায়ে হেঁটে) খাগড়াছড়িতে শেষ হয়েছে। পদযাত্রার ১৬তম দিনে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় খাগড়াছড়ি শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে পদযাত্রার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

    এরআগে জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে একদল শিক্ষক-শিক্ষার্থী শহীদ মিনারে প্রবেশ করেন এবং সম্মিলিতভাবে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়।
    ১৬ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশালের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছিল এই পদযাত্রা। পথে তাঁরা ৭টি জেলা এবং ২৪টি উপজেলাসহ দেড় শতাধিক বাজারে ক্যাম্পেইন করেন।

    বুধবার দুপুর ২টায় খাগড়াছড়ি এসে পৌঁছালে পদযাত্রাকারীদের বরণ করে নেন জেলার পরিবেশকর্মী ও ফলদবাগান মালিকরা।

    পদযাত্রাকারী দলের মিডিয়া সমন্বয়ক হুমায়ুন কবির টুটুল জানান, বিজয় দিবস উপলক্ষে ১৬ ডিসেম্বর ময়মনসিংহের ত্রিশাল জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাঁরা খাগড়াছড়ি অভিমুখে যাত্রা শুরু করেন। ৭ জেলা ও ২৬ উপজেলার ৫১২ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে তারা খাগড়াছড়িতে এসেছেন। আগামীকাল সকাল ১১ টায় খাগড়াছড়ির কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন ও প্রতীকী বৃক্ষ রোপণের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে পদযাত্রার।

    গাছের গুরুত্ব, উপকারিতা ও পরিবেশ সুরক্ষায় বৃক্ষের অবদান সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে ২০১০ সাল থেকে ব্যতিক্রমী এ কার্যক্রম করে যাচ্ছে সংগঠনটি। প্রতিবছর বর্ষার আগে পদযাত্রা করে বৃক্ষরোপণে উদ্বুদ্ধ করা হলেও এবছর করোনা পরিস্থিতির কারণে তা এ সময়ে করা হয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/প্রদীপ চৌধুরী

  • সাধারণ পাহাড়িদের ইচ্ছের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সংগঠনে নাম ব্যবহার করছে প্রসিতপন্থী ইউপিডিএফ

    সাধারণ পাহাড়িদের ইচ্ছের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সংগঠনে নাম ব্যবহার করছে প্রসিতপন্থী ইউপিডিএফ

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : খাগড়াছড়ি জেলা ও আশেপাশের এলাকায় প্রসিত খীসা’র নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফ কর্তৃক সাধারণ পাহাড়িদের ইচ্ছের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ভূইফোঁড় সংগঠনে নাম ব্যহারের মাধ্যমে অশান্তি ও অস্বস্থিকর পরিবেশ সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে।

    বৃহস্পতিবার দুপুর (২ টায়) খাগড়াছড়ি শহরের প্লেংসা রেস্টুরেন্টে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, প্রসিত খীসা’র নেতৃত্বাধীন ‘ইউপিডিএফ’ গত ১২ ডিসেম্বর বিভিন্ন এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বার-হেডম্যান-কার্বারি এবং বিভিন্ন স্তরের পাহাড়িদের অজান্তে বিভিন্ন সংগঠনে নাম ব্যবহার করছেন।

    এতে এসব মানুষ পাহাড়ের চারভাগে বিভক্ত বিভিন্ন আঞ্চলিক সংগঠনের চাপে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। ‘ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত প্রতিরোধ কমিটি’ গঠনের নামে কারো কোন মতামত না নিয়ে কমিটি গঠন ও বিভিন্ন মিডিয়ায় তা প্রকাশের ফলে তাঁরা সামাজিক ও প্রশাসনিকভাবে ঝুঁকিতে পড়ছেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ব্যক্তিবর্গ অভিযোগ তোলেন।

    সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত জনপ্রতিনিধি ও প্রথাগত নেতারা বলেন, পাহাড়ে শান্তির জন্য ভ্রাতিঘাতী সংঘাত বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু সেটি প্রত্যন্ত এলাকার তৃণমূল জনপ্রতিনিধি ও প্রথাগত নেতাদের মাধ্যমে অসম্ভব। এজন্য প্রয়োজন তিন পার্বত্য জেলার সর্বোচ্চ পর্যায়ের গণমান্য বিশিষ্ঠ ব্যক্তিদের।

    প্রেস ব্রিফ্রিংয়ে উপস্থিত ছিলেন সাজেক ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান অতুলাল লাল চাকমা, ইউপি মেম্বার পরিচয় চাকমা, হীরানন্দ ত্রিপুরা ও সুশীলা চাকমা, পাড়া পাড়া প্রধান বিশ্ব মনি চাকমা এবং ব্যবসায়ী খগেন্দ্র চাকমা।

    ২৪ ঘণ্টা/প্রদীপ চৌধুরী

  • আর্থিক সামর্থ্য ও এলাকাভিত্তিক পৌরকর নির্ধারণের প্রতিশ্রুতি দিলেন বিএনপি প্রার্থী ইব্রাহীম খলিল

    আর্থিক সামর্থ্য ও এলাকাভিত্তিক পৌরকর নির্ধারণের প্রতিশ্রুতি দিলেন বিএনপি প্রার্থী ইব্রাহীম খলিল

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : খাগড়াছড়ি পৌরসভায় আর্থিক সামর্থ্য এবং এলাকাভেদে পৌরকর নির্ধারণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিএনপি মপ্রার্থী ইব্রাহীম খলিল। বেকারদের কর্মসংস্থানে যোগ্যতা ও মেধাভিত্তিক চাহিদা অনুযায়ী প্রশিক্ষণ এবং বিনিয়োগ নির্ভর সমাজ গঠনে ভূমিকা গ্রহণ এবং অসাম্প্রদায়িক পৌর এলাকা গড়তে দৃঢ় অবস্থানের জানান দিয়েছেন তিনি।

    বিগত সময়ে ১০ বছরে পৌর সভার অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন জায়গায় নাগরিকদের চাহিদা মতো উন্নয়নের বিপরীতে মেয়রের ইচ্ছে মতো বিভিন্ন উন্নয়ন এবং নিজের পছন্দের লোকদেও সুবিধা দেয়া অভিযোগও করেছেন বিএনপি প্রার্থী ইব্রাহীম খলিল।

    বৃহস্পতিবার দুপুরে কলাবাগানে বিএনপি’র অস্থায়ী কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। আহবান জানান।

    এসময় বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রবীন চন্দ্র চাকমা, জেলা বিএনপি’র সা: সম্পাদক এম. এন. আফছার, সহ-সভাপতি মংসুথোয়াই চৌধুরী ও হেডম্যান ক্ষেত্রমোহন রোয়াজা, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রব রাজা, কোষাধ্যক্ষ মফিজুর রহমান, পৌর বিএনপি’র সভাপতি জহির আহম্মদ, জেলা যুবদলের সভাপতি মাহাবুবুল আলম সবুজ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সা: সম্পাদক নজরুল ইসলাম, দীঘিনালা উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি মোশারফ হোসেন, পানছড়ি উপজেলা বিএনপি সভাপতি বেলাল হোসেন, জেলা ছাত্রদল সভাপতি শাহেদ সুমনসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

    ইব্রাহিম খলিল বর্তমান পৌর মেয়র রফিকুল আলমকে ইঙ্গিত করে বিএনপি প্রার্থী বলেন, ব্যক্তি বিশেষ পৌরসভার উন্নয়নমূলক সকল কাজ নিয়ে যাচ্ছেন। এতে সাধারণ ঠিকাদাররা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। বিশেষ মহলের ইন্ধনে পৌর শহর এখন মাদকে সয়লাব। শহরের বাইরে এলাকাগুলোতে তেমন উন্নয়ন নেই। নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারলে স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতাসহ মাদকমুক্ত, জনবান্ধব আধুনিক পৌরসভা গড়া হবে বলে জানান তিনি।

    তিনি ১৬ জানুয়ারির নির্বাচন যদি অবাধ-সুষ্ঠু ও প্রভাবমুক্ত হয় তাহলে নিজের জয়ের বিষয়েও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

    উল্লেখ্য, খাগড়াছড়ি পৌরসভার আসন্ন নির্বাচনে সবচেয়ে কম বয়সী এই প্রার্থী শিক্ষা-দীক্ষা যেমন অন্য প্রার্থীদের চেয়ে এগিয়ে তেমনি সর্বসাধারণের কাছেও তাঁর অন্যরকম গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/প্রদীপ চৌধুরী

  • স্বেচ্ছাচারিতার বিপরীতে জবাবদিহিতাপূর্ন পৌরসভা গঠনে সচেষ্ট থাকবো: নির্মলেন্দু চৌধুরী

    স্বেচ্ছাচারিতার বিপরীতে জবাবদিহিতাপূর্ন পৌরসভা গঠনে সচেষ্ট থাকবো: নির্মলেন্দু চৌধুরী

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের সা: সম্পাদক ও পৌর নির্বাচনে ‘নৌকা’র প্রার্থী নির্মলেন্দু চৌধুরী বলেছেন, ঐতিহ্যবাহী খাগড়াছড়ি পৌরসভাকে মেয়র রফিক স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়মের জনগণের আকাঙ্খার সাথে প্রতারণা করেছেন। দফায় দফায় হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ানো হলেও শহরের অধিকাংশ জনগুরুত্বপূর্ন সড়ক অলিগলি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ঠিকাদারদের পাওনা প্রদানে অহেতুক গড়িমসির কারণে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। তাই জনবান্ধব পৌরসভা গঠন এবং অংশগ্রহণমূলক নেতৃত্ব গড়ে তুলতে পরিবর্তনের বিকল্প নেই।

    বুধবার দুপুরে খাগড়াছড়ি শহরের নারিকেল বাগান সড়কে জেলা আওয়ামীলীগের নিজস্ব কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

    সভায় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও বর্ষীয়াণ রাজনীতিক বীর মুক্তিযোদ্ধা রণ বিক্রম ত্রিপুরা বলেন, খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের প্রস্তাবিত কমিটির সদস্য ও মেয়র রফিকুল আলম কেন্দ্র থেকে দলের মনোনয়ন ফরম কিনে তা জমাও দিয়েছেন। বিভিন্ন মিডিয়ায় দলের প্রতীক পাবার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী ভঙ্গিতে সাক্ষাতকারও দিয়েছেন। প্রতীক না পেয়ে তিনি নানারকম মিথ্যাচার করছেন। দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে যেহেতু অবস্থান নিয়েছেন, সেহেতু অতি শিগগির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য-সচিব ও জেলা আওয়ামীলীগের অন্যতম সহ-সভাপতি কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া বলেন, রফিকুল আলম পৌর এলাকায় উন্নয়নের ক্ষেত্রে ব্যাপক বৈষম্যের আশ্রয় নিয়েছেন। নিজের এবং কাছের মানুষদের সুবিধা দিতে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করেছেন। জোর করে মানুষের রেকর্ডিয় জায়গায় সড়ক নির্মাণ করেছেন। কিন্তু কাউকে কোন ক্ষতিপূরণ দেন নি।

    মতবিনিময় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মনির হোসেন খান, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো: দিদারুল আলম ও পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো: শানে আলম, মাটিরাঙা উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি হুমায়ুন মোরশেদ খান এবং রামগড় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ ত্রিপুরা।

    ২৪ ঘণ্টা/প্রদীপ

  • খাগড়াছড়িতে পাঁচদফা দাবিতে বেসরকারী স্কুলের কর্মচারিদের মানববন্ধন

    খাগড়াছড়িতে পাঁচদফা দাবিতে বেসরকারী স্কুলের কর্মচারিদের মানববন্ধন

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : পাঁচদফা দাবিতে মানববন্ধন ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে বাংলাদেশ বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী পরিষদ।

    মঙ্গলবার দুপুরে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিষদের সামনে খাগড়াছড়ি-পানছড়ি সড়কে এ মানববন্ধন করেন বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীরা। মানববন্ধন শেষে সরকারের কাছে ৫ দফা দাবীতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেন।

    স্মারকলিপিতে তুলে ধরা দাবির মধ্যে রয়েছে তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারীদের নুন্যতম ১১ গ্রেডের বেতন প্রদান এবং শিক্ষার্থী অনুপাতে কর্মচারী বৃদ্ধি, পদের নাম পরিবর্তন করে অফিস সুপার বা প্রশাসনিক কর্মকর্তা করা, পেশাগত উন্নয়নে কম্পিউটারসহ উচ্চতর প্রশিক্ষণ প্রদান করা, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রণীত চাকুরিবিধি-২১২-এর দ্রুত বাস্তবায়ন ও প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ম্যানেজিং কমিটিতে কর্মচারী একজন সদস্য রাখা, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে দ্রুত উচ্চতর পদে পদোন্নতি এবং সকল এমপিও ভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয় করণ করা।

    মানববন্ধনে বাংলাদেশ বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী পরিষদ খাগড়াছড়ি শাখা , খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারিরা অংশগ্রহণ করে।

  • বৃক্ষরোপনে উদ্বুদ্ধ করতে ত্রিশাল থেকে পদযাত্রা শেষ হবে বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়িতে

    বৃক্ষরোপনে উদ্বুদ্ধ করতে ত্রিশাল থেকে পদযাত্রা শেষ হবে বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়িতে

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : বৃক্ষরোপনে উদ্বুদ্ধ করতে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘ফলদ বাংলাদেশ’ ত্রিশাল থেকে পায়ে হেঁটে বৃহস্পতিবার বিকেলে খাগড়াছড়ি পৌঁছাবে।

    গত ১৬ ডিসেম্বর গাছের গুরুত্ব, উপকারিতা এবং পরিবেশ ও বাসস্থানের জন্য ক্ষতিকারক বৃক্ষের প্রভাব সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ৪’শ কিলোমিটার পদযাত্রার সমাপ্তি ঘটবে খাগড়াছড়িতে।

    ১৬ ডিসেম্বর ত্রিশালের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে এই পদযাত্রা। পথে তারা ৭টি জেলাসহ ২৪টি উপজেলাসহ দেড় শতাধিক বাজারে ক্যাম্পেইন করবে।

    এই ১৬ দিনে দলটি সারাদিন পদযাত্রা করে ময়মনসিংহের গফুরগাঁও, কিশোরগঞ্জ, কটিয়াদী, ভৈরব, ব্রাম্মণবাড়িয়া, কসবা, ব্রাহ্মণপাড়া, কুমিল্লা, চৌদ্দগ্রাম, ফেনী, চট্টগ্রামের বারৈয়ারহাট, রামগড়, জালিয়াপাড়া, খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা হয়ে খাগড়াছড়ি শহর পর্যন্ত ৪০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেবে।

    এই আয়োজনের অগ্রভাগে রয়েছেন কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক দ্রাবিড় সৈকত, সেকশন অফিসার মাহমুদুল আহসান লিমন, নাট্যকলা ও পরিবেশনা বিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী রাতুল মুন্সি, হুমায়ুন কবির টুটুল, শাহীন আলম, সুজালো চাকমা, স্থানীয় সরকার ও নগর উন্নয়ন বিভাগের শিক্ষার্থী নিউটন চাকমা, ফোকলোর বিভাগের শিক্ষার্থী রঞ্জিত কুমার ও ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের শিক্ষার্থী ছাব্বির আনাম রেজা। ক্যাম্পেইনকালে এ ৯ সদস্যের সঙ্গে যুক্ত হবেন সংগঠনের স্থানীয় সদস্যরা।

    সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক দ্রাবিড় সৈকত বলেন, বাংলাদেশে অপরিকল্পিতভাবে বৃক্ষরোপণ হচ্ছে। বিদেশি দাতা সংস্থাগুলো তাদের বাণিজ্যিক স্বার্থে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনাকে কাজে লাগাচ্ছে। সার, বীজের ব্যবসাকে পাকাপোক্ত করার জন্য পরিবেশের জন্য বিপর্যয়কর জেনেও ক্ষতিকর বৃক্ষরোপণ করছে। এভাবে চলতে থাকলে দেশের তথা পরিবেশের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। তাই আমরা মাঠে নেমেছি।

    বৃক্ষপদযাত্রার টিমলিডার মাহমুদুল আহসান লিমন বলেন, পরিবেশের জন্য বৃক্ষ অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু বৃক্ষকে ব্যবসার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এসব অনিয়মের প্রতিবাদ ও জনসচেতনতার জন্যই মূলত আমরা এ কর্মসূচি নিয়েছি।

    তিনি জানান, ২০১২ সাল থেকে ফলদ বৃক্ষরোপণের প্রয়োজনীয়তার ওপর কাজ করছেন তারা। এ পর্যন্ত তারা দেশের নানা প্রান্তে দুই লাখ ৭৫ হাজার ফলদ বৃক্ষরোপণ করেছেন। সেগুলোর ৯৫ ভাগই টিকে আছে।

    খাগড়াছড়ি পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলন-এর সভাপতি প্রদীপ চৌধুরী ও সা: সম্পাদক মুহাম্মদ আবু দাউদ জানান, ‘ফলদ বাংলাদেশ’-এর এই পদযাত্রা পরিবেশ-প্রকৃতি সংরক্ষণে একটি সময় উপযোগী সাহসী উদ্যোগ। খাগড়াছড়ি এসে পৌঁছানোর প্রাক্কালে বুধবার বিকেলে তাঁদের শহর সংলগ্ন সুবিধাজনক স্থানে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হবে।

    ‘ফলদ বাংলাদেশ’ পদযাত্রীরা বৃহস্পতিবার সকালে খাগড়াছড়ি শহীদ দেীতে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন, ফলদ বাগানীদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত, সাংবাদিকদের সাথে অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং পরিবেশকর্মীদের সাথে সভা করবেন।

    ২৪ ঘণ্টা/প্রদীপ

  • হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলায় সরকারের সম্পৃক্ততা নেই: খাগড়াছড়িতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলায় সরকারের সম্পৃক্ততা নেই: খাগড়াছড়িতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : হেফাজতে ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা আল্লামা আহমদ শফীর মৃত্যুর ঘটনায় স্বজনের করা মামলায় সরকারের কোন সম্পৃক্ততা নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, এমপি।

    তিনি বলেন, যেকেউ যদি সংক্ষুব্ধ বা মনে করেন অধিকার ক্ষুণ্ন হয়েছে তাহলে মামলা করতে পারেন। বিচার বিভাগ স্বাধীন বলে সরকার বিশ্বাস করে। বিচার বিভাগ নিজেদের মতো করে কার্যক্রম চালিয়ে নিচ্ছে।

    বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক পার্সপোট কার্যালয়ে তিন পার্বত্য জেলা, কক্সবাজার, চাঁদপুর ও নারায়ণগঞ্জ জেলার সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের সেবা উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ৬ জেলার ই-পাসপোর্ট সেবা চালুর মাধ্যমে সারাদেশে এ কার্যক্রমের আওতা চলে এসেছে। মুজিব জন্মশতবার্ষিকীকে ঘিরে প্রধানমন্ত্রীর যে প্রতিশ্রুতি ছিল সেটি বাস্তবায়ন করেছে সরকার। দক্ষিণ এশিয়া সর্বপ্রথম ও বিশ্বের ১১৯ তম দেশ হিসেবে ই-পাসপোর্ট সেবার মধ্যদিয়ে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ অনন্য এক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। ১ লক্ষ গ্রাহক ই-পাসপোর্ট সেবা গ্রহণ করেছেন এবং আরও ২ লক্ষ গ্রাহককে এ সেবা দেয়ার প্রস্তুতি চলছেও বলেও জানান মন্ত্রী।

    ই-পাসপোর্ট সেবা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে খাগড়াছড়ির সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. শহিদুজ্জামান, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ূব চৌধুরী অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ প্রসঙ্গে বলেন, ২০০৮ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে ই-পাসপোট কার্যক্রম চালু করেছেন। যা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রথম এবং সারা বিশ্বের মধ্যে ১১৯ তম দেশ। ই-পাসপোট যেন বিশ্বমানের হয় সে লক্ষে সরকার কাজ করেছে। ই-পাসপোট সারা বিশ্বে বিশ্বাসযোগ্য, নিরাপদ। ই-পাসপোট ইস্যু করা হবে ১০ বছরের জন্য। ই-পাসপোট পেতে যাতে হয়রানির শিকার হতে না হয়, সেদিকে নজর রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
    তিনি বলেন, ই-পাসপোটের জন্য ঘরে বসে আবেদন করা যাবে। পরবর্তীতে ফিংগার প্রিন্ট, আই প্রিন্ট অফিসে গিয়ে আসতে হবে। ই-পাসপোর্টের পাশাপাশি এমআরপি পাসপোর্টও ব্যবহৃত হবে।

    পার্বত্য শান্তিচুক্তি বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, চুক্তির কিছু কিছু বিষয় অসম্পূর্ণ রয়েছে। এ ব্যাপারে কাজ চলছে। আমরা আর এই এলাকায় রক্তপাত চাই না। দেশ অনেক এগিয়েছে, নতুন নতুন সম্ভাবনার সৃষ্টি হচ্ছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের এই বাংলাদেশে কোন অংশ অন্ধকারে থাকবে প্রধানমন্ত্রী তা কখনো চিন্তা করেন না।
    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী খাগড়াছড়ি ছাড়াও ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, কক্সবাজার, নারায়ণগঞ্জ ও চাঁদপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের ই-পাসপোর্ট সেবা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

    শেষ বিকেলে মন্ত্রী খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিশেষ আইন-শৃঙ্খলা সভায় যোগ দেন।

    ২৪ ঘণ্টা/প্রদীপ চৌধুরী

  • খাগড়াছড়ি পৌরসভা নির্বাচন: চ্যালেঞ্জের মুখে ‘আলম পরিবার’

    খাগড়াছড়ি পৌরসভা নির্বাচন: চ্যালেঞ্জের মুখে ‘আলম পরিবার’

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : খাগড়াছড়ি শহরে প্রায় দুই দশক ধরেই চলে আসছে, প্রভাবশালী ‘আলম পরিবার’-এর নানামুখী কর্তৃত্ব। রাজনীতি থেকে পরিবহন খাত, টেন্ডার-টোল নিয়ন্ত্রণ থেকে নিলাম আবার আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সকল পর্যায়ের কমিটি গঠনের প্রভাব বলয়। এর বাইরে জেলাশহর ছাপিয়ে উপজেলা পর্যায়ের যেকোন লাভজনক সংগঠনের নেতৃত্ব নির্বাচনেও এই পরিবারের ঈশারা প্রতিফলিত হতো।

    এই প্রভাবের সূচনা হয় এই পরিবারের অন্যতম সদস্য মো: জাহেদুল আলম; জেলা আওয়ামীলীগের সা: সম্পাদক নির্বাচিত হবার সূত্র ধরেই। একই সাথে জাহেদুল আলম, খাগড়াছড়ি পৌরসভার প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান এবং ১৯৯১ সালে আওয়ামীলীগের কল্পরঞ্জন চাকমা এমপি নির্বাচিত হলে ‘আলম পরিবার’-এর প্রতিপত্তি তড়তড় করে বাড়তে থাকে। ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসীন হলে খাগড়াছড়ি জেলায় এই পরিবারের প্রাধান্য অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠে।

    এমনকি ‘২০০১ টু ২০০৬’ সালে বিএনপি-জামাত শাসনামলে এই পরিবার এলাকার বাইরে থেকেও যথাসম্ভব নিয়ন্ত্রণ করেছে সবকিছু। এরমধ্যে ‘ওয়ান-ইলেভেন’ সরকারের সময়ে পরিবারটির তিন সহোদর জেল-জুলুমও খাটেন। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে বিএনপি’র হাতে তাঁরা নিমর্ম নির্যাতনের মুখোমুখি হয়েছেন। কিন্তু ক্ষমতা এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের কর্তৃত্ব থেকে তাঁদেরকে খুব বেশি টলাতে পারেনি কেউই।

    খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের সংসদ সদস্য প্রার্থী যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরা’র বিপরীতে বিদ্রোহী প্রার্থী হন ‘আলম পরিবার’-এর প্রধানতম ব্যক্তি ও জেলা আওয়ামীলীগের সা: সম্পাদক মো: জাহেদুল আলম। নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি ‘জাতির জনক’ এবং ‘আওয়ামীলীগ ও দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা’ সর্ম্পকে নানা বিরুপ মন্তব্য করে সমালোচিত হন। দলের শৃঙ্খলা এবং নীতি-আদর্শ পরিপন্থী ভূমিকার দায়ে তিনি প্রথমবার দল থেকে বহিস্কৃত হন। পরে আবার নানা বাস্তবতায় তিনি স্বপদে বহাল হলে আবারও আগের মতোই পরিবারটির প্রভাব উদ্যম নিয়ে প্রকাশিত হতে থাকে। কিন্তু ২০১৫ সালের পৌর নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান না নেয়ার দায়ে তিনি এবং তাঁর ছোট ভাই দিদারুল আলমসহ দল থেকে দ্বিতীয়বারের মতো বহিস্কৃত হন। এরপর জেলাশহর এবং বেশ কয়েকটি উপজেলায় সরকারি দলের নেতাকর্মীদের সাথে প্রকাশ্য বিরোধে জড়িয়ে পড়েন। টানা প্রায় তিন বছরের রক্তক্ষয়ী হামলা-মামলায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেন।

    ২০১৭ সালে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে।
    খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা ২০১৮ সালের নির্বাচনে দ্বিতীয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মী ‘আলম পরিবার’-এর দিক থেকে আস্তে আস্তে মুখ ফিরিয়ে নিতে থাকে। ২০১৯ সালের ২৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত জেলা আওয়ামীলীগ সম্মেলনে সা: সম্পাদকের পদ হারান মো: জাহেদুল আলম। সর্বশেষ গত ১৪ ডিসেম্বর পুর্নগঠিত ‘পার্বত্য জেলা পরিষদ’-এর ১৪ সদস্যের মধ্যেও ওই পরিবারের কারো স্থান মেলেনি। সেই ধারাবাহিকতায় আগামী ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য খাগড়াছড়ি পৌরসভা নির্বাচনে ‘আলম পরিবার’-এর সদস্য এবং দুইবারের নির্বাচিত পৌর মেয়র রফিকুল আলম আওয়ামীলীগের মনোয়নবঞ্চিত হন।

    দুইবারের মেয়র এবং ‘আলম পরিবার’-এর সর্বশেষ ক্ষমতাধর ব্যক্তি মো: রফিকুল আলম আওয়ামীলীগের মনোনয়ন বঞ্চিত হবার খবর জানাজানি হলে সামাজিত যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার ঝড় উঠে। খাগড়াছড়ি শহরের সর্বস্তরের মানুষের মাঝেও এই খবরের নানামুখী প্রতিক্রিয়া চাউর হয়।

    সবার ধারণা ছিল, ‘আলম পরিবার’ অতীতের মতো আর মূল দলের বিপরীতে আর অবস্থান নেবেন না। এমন বদ্ধমূল বিশ্বাস ছিল জেলা আওয়ামীলীগের হাইকমান্ডেরও।

    তাঁর কারণ হিশেবে জেলা আওয়ামীলীগের অন্যতম সহ-সভাপতি মনির হোসেন খান জানান, জেলা সভাপতি এমপি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা’র নির্দেশনায় কেন্দ্রে প্রস্তাবিত তিন প্রার্থীর তালিকায় মেয়র রফিকের নাম এব নম্বরে দেয়া হয়েছিল। রফিকুল আলম কেন্দ্র থেকে মনোনয়ন ফরমও কিনেছেন। কিন্তু মনোনয়ন না পেয়ে অতীতের মতো দলের নীতি-আদর্শের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। যা তাঁদের দীর্ঘদিনের পারিবারিক ঐতিহ্য।

    আগামী ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য খাগড়াছড়ি পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদটি কোনভাবেই হাতছাড়া করতে চান না ‘আলম পরিবার’। ওই পরিবারের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী ও রাজনীতিকরা জানান, জেলা আওয়ামীলীগ থেকে জেলা পরিষদ; সবখানে নেতৃত্ব-কর্তৃত্ব সীমিত হয়ে এসেছে। এখন যদি পৌর মেয়রের পদটিও হাতছাড়া হয় তাহলে পরিবারটি নানামুখী চাপে পড়তে পারে। সে আশংকা থেকেই রফিকুল আলম সরকারি দলের প্রার্থীকে চ্যালেঞ্জ করে প্রার্থী হয়েছেন।

    মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় আওয়ামীলীগ প্রার্থী নির্মলেন্দু চৌধুরী নিজের জয়ের ক্ষেত্রে শতভাগ আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, পৌর এলাকার ‘পাহাড়ি-বাঙালি’ সকল সম্প্রদায়ের মধ্যকার শান্তি ও সহাবস্থানকে আরো সুদৃঢ় এবং আধুনিক পৌরশহর বিনির্মাণে ভূমিকা রাখবেন।

    বর্তমান মেয়র মো: রফিকুল আলমের বিদ্রোহী প্রার্থী হিশেবে মনোনয়ন দাখিলের প্রতিক্রিয়ায় তিনি জানান, যিনি বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন তার দায়, তাঁর নিজেরই; দল কোন বিদ্রোহী প্রার্থীর দায় বহন করবে না।

    বিএনপি প্রার্থী ইব্রাহিম খলিল বলেন, ইভিএম পদ্ধতি নিয়ে ভোটারদের অনাস্থা রয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে ‘লেভেল প্লেয়িং’ ফিল্ড প্রয়োজন। নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হলে তিনি জয়ী হবার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

    সকালে আওয়ামীলীগের মনোয়ন জমা দেয়ার সময় বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর খন্ড খন্ড মিছিলে পুরো শহর লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। স্বতস্ফুর্ত মিছিল আর শ্লোগানে নেতাকর্মীরা দৃঢ়তার সাথে জানান, স্বেচ্ছাচারিতা ও নীরব লুঠপাটের বিপরীতে এবারের নির্বাচনে খাগড়াছড়ি পৌরবাসী নির্মলেন্দু চৌধুরী’র মতো সজ্জন নেতাকেই জয়ী করতে ঐক্যবদ্ধ।

    ২৪ ঘণ্টা/প্রদীপ চৌধুরী

  • পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগোষ্ঠির রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে সরকারকে সহযোগিতা প্রয়োজন: কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা

    পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগোষ্ঠির রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে সরকারকে সহযোগিতা প্রয়োজন: কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : খাগড়াছড়ি সদরের ছয়টি প্রত্যন্ত পাহাড়ি গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ উদ্বোধন করেছেন, খাগড়াছড়ির সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। এর ফলে চেলাছড়া, লারমা পাড়া, পল্টনজয় পাড়া, হাপং পাড়া, খামার পাড়া ও বেলতলী পাড়ার প্রায় ছয়’শ পরিবার বিদ্যুৎ সংযোগের আওতায় এসেছে।

    এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী পদ-মর্যাদায় শরণার্থী টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগোষ্ঠির রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে। বাঙালি জনগোষ্ঠির প্রতি হিংসার মনোভাব পরিহার করে নিজেদের সার্বিক উন্নয়নে মনোযোগী হওয়াটাই বাঞ্চনীয়।

    শনিবার দুপুরে চেলাছড়া গ্রামে গ্রামবাসীর উপস্থিতিতে আয়োজিত বিদ্যুৎ সংযোগ উদ্বোধনী সভায় সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা আরো বলেন, বর্তমান সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষমতায় আসার আগে দেশের বেশিরভাগ এলাকা বিদ্যুৎ সংযোগের আওতার বাইরে ছিল। গত এক দশকে দেশের পাহাড়-সমতল সব এলাকায় সমভাবে উন্নয়ন সম্প্রসারিত হচ্ছে। তারই আওতায় খাগড়াছড়ি জেলার প্রায় সব এলাকায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাবে।

    তিনি জাতির পিতার জন্ম শতবর্ষ উপলক্ষে সরকার প্রধানের অঙ্গীকার বাস্তবায়নে সমৃদ্ধ পার্বত্য চট্টগ্রাম বিনির্মাণে ‘পাহাড়ি-বাঙালি’ সকল মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হবারও আহ্বান জানান।

    পেরাছড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তপন বিকাশ ত্রিপুরা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো: শানে আলম, পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য অধ্যাপক নীলোৎপল খীসা, বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী স্বাগত সরকার এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিদ্যুৎ সম্প্রসারণ প্রকল্পে-এর সহকারি প্রকৌশলী যত্ন মানিক চাকমা।

    সমাজকর্মী ও শিক্ষক আশাপ্রিয় ত্রিপুরা’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যদের মধ্যে সংসদ সদস্যের সহধর্মীনি মল্লিকা ত্রিপুরা, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি কল্যাণ মিত্র, জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি এড. আশুতোষ চাকমা, বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক দীনময় রোয়াজা, জেলা পরিষদ সদস্য শুভমঙ্গল চাকমা, শতরুপা চাকমা ও খোকনেশ^র ত্রিপুরা উপস্থিত ছিলেন।

    প্রধান অতিথি সভা শুরু হবার আগে বৈদ্যুতিক সুইচ টিপে বাতি জ্বালানোর মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগের উদ্বোধন করেন।

    ২৪ ঘণ্টা/প্রদীপ চৌধুরী

  • খাগড়াছড়ি পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন ইব্রাহীম খলিল

    খাগড়াছড়ি পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন ইব্রাহীম খলিল

    খাগড়াছড়ি সদর পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন খাগড়াছড়ি জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো.ইব্রাহীম খলিল।

    কেন্দ্রীয় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    আজ শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বিএনপি। বিজ্ঞপ্তিতে আগামী ১৬ জানুয়ারি খাগড়াছড়ি সদর পৌর নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দেওয়া হয় জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো.ইব্রাহীম খলিলকে।

    উল্লেখ্য যে,আগামী ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে ৬১টি পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ২০ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই ২২ ডিসেম্বর মঙ্গলবার। আর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৯ ডিসেম্বর।

    ২৪ ঘণ্টা/আকতার

     

  • খাগড়াছড়িতে প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণ মামলায় ৯ আসামীর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট

    খাগড়াছড়িতে প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণ মামলায় ৯ আসামীর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : খাগড়াছড়ি সদরের বলপাইয়া আদাম এলাকায় ডাকাতি করতে ঢুকে প্রতিবন্ধী নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার চার্জশীট আদালতে প্রদান করেছে পুলিশ।

    শুক্রবার সকালে খাগড়াছড়ির কোর্ট পরিদর্শক আব্দুল জব্বারের কাছে আলোচিত এ মামলার চার্জশীট ও আলামত প্রদান করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা গোলাম আপছার।

    খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার আব্দুল আজিজ।

    সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, অজ্ঞাত আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা হলেও পুলিশ সবাইকে শনাক্ত করে ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে। অপর দুই আসামীকে ধরতেও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

    গ্রেফতারকৃত আসামীদের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী ও তদন্তে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ৯ আসামীর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট প্রদান করা হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাতে খাগড়াছড়ি সদরের বলপাইয়া আদাম এলাকায় ডাকাতি করতে ঢুকে প্রতিবন্ধী এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে ডাকাত দল। এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৯ জনকে আসামী করে সদর থানায় মামলা করেন। চট্টগ্রাম ও খাগড়াছড়ির বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পুলিশ ৭ জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার হওয়া ৭ আসামী কারাগারে রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

    ২৪ ঘণ্টা/প্রদীপ চৌধুরী

  • খাগড়াছড়িতে কিশোরীকে ধর্ষনের পর হত্যার অভিযোগে তিন যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত

    খাগড়াছড়িতে কিশোরীকে ধর্ষনের পর হত্যার অভিযোগে তিন যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: খাগড়াছড়িতে কিশোরী ধনিতা ত্রিপুরাকে ধর্ষনের পর হত্যার অভিযোগে তিন যুবককে মৃত্যুদন্ড ও প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে অর্থদন্ড দিয়েছে আদালত।

    আজ সোমবার দুপরে খাগড়াছড়ি নারী ও শিশু দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মহাং আবু তাহের এর আদালত এ রায় দেন।

    দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, রুমেন্দ্র ত্রিপুরা ওরফে রুমেন, ত্রিরন ত্রিপুরা ও কম্বল ত্রিপুরা। তবে তিন আসামীর মধ্যে কম্বল ত্রিপুরা পলাতক রয়েছে।

    খাগড়াছড়ির পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট বিধান কানুনগো জানান, ২০১৯ সালের ১৩ মে খাগড়াছড়ি সদরের ভাইবোনছড়ার বড় পাড়ার বাসিন্দা মন মোহন ত্রিপুরা ও স্বরলেখা ত্রিপুরা তাদের কিশোরী মেয়ে ধনিতা ত্রিপুরা (১৭) কে বাসায় একা রেখে দীঘিনালায় বেড়াতে গিয়েছিল। এই সুযোগে একই ইউনিয়নের বেজাচন্দ্র পাড়ার তিন যুবক মদ্যপ অবস্থায় ঘরে ঢুকে উপর্যপুরি তাকে ধর্ষন করে এবং হত্যাকান্ড ঘটায়। পর দিন সকালে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় পুলিশ তিন যুবককে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় কিশোরীর মা স্বরলেখা ত্রিপুরা তিন জনকে আসামী করে মামলা করে। পুলিশ একই বছর ২৮ আগষ্ট আদালতে চার্জশীট দাখিল করে। মামলায় ২২ জন স্বাক্ষী আদালতে স্বাক্ষ্য দেন।

    খাগড়াছড়ির পাবলিক প্রসিকিউটর রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত দণ্ডবিধি ৩০২/৩৪ ধারায় প্রত্যেক আসামীকে মৃত্যুদণ্ড ও প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/প্রদীপ চৌধুরী