Tag: খালেদা জিয়া

  • সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়াকে আনতে পেরে আমরা গর্বিত : প্রধান উপদেষ্টা

    সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়াকে আনতে পেরে আমরা গর্বিত : প্রধান উপদেষ্টা

    অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আনতে পেরে আমরা গর্বিত।

    বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এ কথা বলেন তিনি।

    ড. ইউনূস বলেন, আজ আমরা বিশেষভাবে সৌভাগ্যবান এবং সম্মানিত যে বাংলাদেশের তিন বারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে আমাদের মধ্যে উপস্থিত রয়েছেন। ১২ বছর তিনি আসার সুযোগ পাননি। তাকে এই সুযোগ দিতে পেরে আমরা গর্বিত। দীর্ঘদিনের শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও এই বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি এবং এ অনুষ্ঠানে স্বাগত জানাচ্ছি।

    শেখ হাসিনাকে ফেরানো নিয়ে আলোচনার সুযোগ রয়েছে
    এর আগে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে সেনাকুঞ্জে পৌঁছান খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়া সর্বশেষ ২০১২ সালে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষ্যে সেনাকুঞ্জের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন।

  • সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া

    সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া

    সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে পৌঁছেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সঙ্গে আছেন ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি।

    বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বেলা পৌনে ৪টার দিকে সেনাকুঞ্জে পৌঁছোন খালেদা জিয়া।

    বিএনপির চেয়ারপাসনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার জানান, খালেদা জিয়ার সঙ্গে রয়েছেন তার ছোট ছেলের স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি।

    দিদার জানান, খালেদা জিয়া ছাড়াও সেনাকুঞ্জের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দাকার মোশাররফ, আব্দুল মঈন খান, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী। খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষতের ফজলে এলাহী আকবর, বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাস, খালেদা জিয়ার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এ কে এম শাসমুল ইসলাম প্রমুখ।

    এরআগে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বাসভবন ফিরোজা থেকে নিজের সাদা রঙের প্রাডো গাড়ি করে সেনাকুঞ্জে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রওয়না হন তিনি। সেখানে গিয়ে হুইল চেয়ারে করে অনুষ্ঠানে যোগ দিন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।

    সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি সিলেট সফর করেন খালেদা জিয়া। আর ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে কারাগারে যান। তারপর ২০২০ সালে করোনা ভাইরাসের মধ্যে সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নির্বাহী আদেশে মুক্তি পেলেও কোনো জনসম্মুখে অনুষ্ঠানে যাননি তিনি।

    ফলে, প্রায় ৬ বছর পর কোনো অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া। সর্বশেষ ২০১২ সালে সশস্ত্র বাহিনীর অনুষ্ঠানে তিনি যোগ দিয়েছিলেন।

    ২০১০ সালের নভেম্বরে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে তার সেনানিবাসের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হয়। এর পর থেকে তিনি আর সেনানিবাসে যাননি।

  • ফের হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া

    ফের হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া

    বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    বুধবার গভীর রাতে তাকে ভর্তি করা হয়। তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন একথা জানান।

    তিনি বলেন, ‘মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাতে ম্যাডামকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ম্যাডামকে আনা হয়েছে। বোর্ড উনার বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা দিয়েছেন। সেগুলোর রিপোর্ট পর্যালোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে মেডিকেল বোর্ড।’

    খালেদা জিয়াকে কেবিনে রাখা হয়েছে।

    এরআগে রাত ১টার দিকে তিনি গুলশানের বাসা থেকে প্রাইভেটকারে রওনা হন। ১টা ৪০ মিনিটে হাসপাতালে পৌঁছার পর তাকে কেবিনে নিয়ে যাওয়া হয়।

    হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে তিনি চিকিৎসাধীন আছেন।

    ৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন লিভার সিরোসিস, ‍হৃদরোগ, ফুসফুস ও কিডন জটিলতা, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন।

    লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত বিএনপির চেয়ারপারসনের রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করা হয় গত বছরের ২৭ অক্টোবর। যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এনে খালেদা জিয়ার রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল।

    তার স্বাস্থ্য কিছুটা স্থিতিশীল হলে পাঁচ মাসের বেশি সময় হাসপাতালে তাকে টানা চিকিৎসা নিতে হয়েছিল।

    গত ২৫ জুন এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার ‍হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বাসানো হয়।

  • অসম্ভবকে সম্ভব করা বীর সন্তানদের ধন্যবাদ জানাই : খালেদা জিয়া

    অসম্ভবকে সম্ভব করা বীর সন্তানদের ধন্যবাদ জানাই : খালেদা জিয়া

    বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর আপনাদের সামনে কথা বলতে পেরে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। আমার কারামুক্তি এবং রোগমুক্তির জন্য আপনারা সংগ্রাম করেছেন, দোয়া করেছেন, তার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।

    বুধবার (৭ আগস্ট) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত বিএনপির সমাবেশে দেওয়া ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন তিনি।

    ২০১৮ সালে দুদকের মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার আগে সর্বশেষ তিনি রাজনৈতিক সমাবেশে বক্তব্য রেখেছিলেন। এরপর থেকে তিনি কোনো সমাবেশে প্রকাশ্যে নেতাকর্মীদের সামনে আসতে পারেননি। তিনি দীর্ঘদিন রাজনীতি থেকে নিষ্ক্রিয় ছিলেন। গতকাল তিনি নির্বাহী আদেশে মুক্তি পান।

    দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রাম ও ত্যাগের মধ্যদিয়ে ফ্যাসিবাদী অবৈধ সরকারের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছি উল্লেখ করে ভিডিও বার্তায় খালেদা জিয়া বলেন, আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাতে চাই আমাদের বীর সন্তানদের। যারা মরণপণ সংগ্রাম করে এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন। শত-শত শহীদদের জানাই শ্রদ্ধা। এই বিজয় আমাদের জন্য নতুন সম্ভাবনা নিয়ে এসেছে।

    দুই মিনিট ৫৭ সেকেন্ডের ভিডিও বার্তায় খালেদা জিয়া বলেন, দীর্ঘদিনের নজিরবিহীন দুর্নীতি ও গণতন্ত্রের ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে নির্মাণ করতে হবে এক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।

    তিনি আরও বলেন, এই ছাত্র-তরুণরাই আমাদের ভবিষ্যৎ। তারা যে স্বপ্ন নিয়ে বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছেন তা বাস্তবায়ন করতে মেধা, যোগ্যতা ও জ্ঞানভিত্তিক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। শোষণহীন সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হবে।

    সব ধর্ম ও সম্প্রদায়ের অধিকার নিশ্চিত করতে বলে উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, শান্তি, প্রগতি ও সাম্যের ভিত্তিতে আগামীর বাংলাদেশ নির্মাণে আসুন আমরা তরুণদের হাত শক্তিশালী করি। ধ্বংস, প্রতিশোধ ও প্রতিহিংসা নয়, ভালোবাসা, শান্তি এবং জ্ঞানভিত্তিক সমাজ তৈরি করি।

  • গভীর রাতে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে খালেদা জিয়া

    গভীর রাতে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে খালেদা জিয়া

    শারীরিকভাবে অসুস্থ বোধ করায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

    রোববার (৭ জুলাই) দিবাগত রাত ৪টা ১২ মিনিটে জরুরি ভিত্তিতে অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়।

    বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের বরাতে এক বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার।

    এর আগে মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিকেলে ১২ দিন চিকিৎসা শেষে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতাল থেকে বাসায় নেওয়া হয় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে।

    উল্লেখ, গত ২২ জুন রাত সাড়ে ৩টার দিকে এভার কেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় খালেদা জিয়াকে। ২৩ জুন তার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানো হয়।

    এর আগে গত বছরের ২৭ অক্টোবর লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা ৩ জন চিকিৎসক।

    ৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া ডায়াবেটিস, আর্থারাইটিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনিসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন বলেও বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়।

  • ‘ভোট চুরির কলঙ্ক মাথায় নিয়ে খালেদা জিয়া বিদায় নিয়েছিল’

    ‘ভোট চুরির কলঙ্ক মাথায় নিয়ে খালেদা জিয়া বিদায় নিয়েছিল’

    ভোট চুরির কলঙ্ক মাথায় নিয়ে খালেদা জিয়া পদত্যাগ করে বিদায় নিয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া নির্বাচন করে। সেই নির্বাচনে ভোট চুরি করে। আর এই ভোট চুরির অপরাধে আন্দোলন হয়, সংগ্রাম হয়, জনগণ প্রতিবাদ করে। সেই প্রতিবাদের ফলে ঠিক ৩০ মার্চ খালেদা জিয়া পদত্যাগে বাধ্য হয়। ভোট চুরির কলঙ্ক মাথায় নিয়ে খালেদা জিয়া পদত্যাগ করে বিদায় নিয়েছিল। এরপরে যে নির্বাচন হয় আওয়ামী লীগ জয়লাভ করে।

    শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে মাদারীপুরের কালকিনিতে সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজ মাঠে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

    শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ১৯৯৬ সালের জুনে সরকার গঠন করি। ২০০১ সালের জুলাইতে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করি। এরই মধ্যে খাদ্য ঘাটতি ৪০ লাখ মেট্রিক টন পূরণ করে ২৬ মেট্রিক টন খাদ্য গোলায় মজুত রেখে যাই। বিদ্যুৎ উৎপাদন ১৬০০ মেগাওয়াট থেকে ৪৩০০ মেগাওয়াটে বৃদ্ধি করি। স্বাক্ষরতার হার ৪৫ ভাগ থেকে ৬৫.৫ ভাগে উন্নীত করি। কমিউনিটি ক্লিনিক করে জনগণের দোরগড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেই, বিনামূল্যে ওষুধ দিতে শুরু করি।

    আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, যে আদর্শ নিয়ে বঙ্গবন্ধু দেশ স্বধীন করেছিলেন, মুক্তিযুদ্ধের সেই চেতনা-আদর্শ তাকে হত্যার পর সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেওয়া হয়। সংবিধান লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল এবং হত্যা, ক্যু ষড়যন্ত্রের যে রাজনীতি শুরু হয়েছিল, তার ফলেই এই দেশের মানুষের ভাগ্য বিড়ম্বনা শুরু হয়। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে মিলিটারি ডিক্টেটর জিয়াউর রহমান। শুধু ক্ষমতা দখলই করেনি এই দেশ কে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়। যেখানে স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে এই দেশের মাথাপিছু আয় ছিল ৯১ মার্কিন ডলার। মাত্র তিন বছর সাত মাসের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সেই মাথাপিছু আয় ২৭৭ মার্কিন ডলারে উন্নীত করেছিলেন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭৫ এর পরে জিয়া-এরশাদ যারাই ক্ষমতায় এসেছে, এদেশের মানুষের আয় কিন্তু বাড়েনি, তারা বাড়াতে পারেনি। তারা রাষ্ট্রীয় সমস্ত অর্থ-সম্পদ দিয়ে কিছু লোককে ধনী শ্রেণিতে তৈরি করে, একটা এলিট গোষ্ঠী তৈরি করে তাদের মাধ্যমে জনগণের ভোট চুরি করা, সেই হ্যাঁ না ভোট। একদিকে সেনাপ্রধান আরেকদিকে রাষ্ট্রপতির দুই পদ বেআইনিভাবে, সংবিধানবিরোধীভাবে দখল করে একটা নির্বাচনের প্রহশন করে জনগণের ভোট কেড়ে নেয় এবং তারই পকেট থেকে ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে তৈরি হয় ওই বিএনপি সংগঠন। আর যারা যুদ্ধাপরাধী তাদের জিয়াউর রহমান ফিরিয়ে আনে। তাদেরকে নিয়ে রাজনীতি করে।

    এর আগে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া থেকে সড়কপথে মাদারীপুরের কালকিনিতে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিকেল সাড়ে ৩টায় কালকিনির সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজ মাঠে জনসভাস্থলে তিনি প্রবেশ করেন। এ সময় শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানাও ছিলেন।

    প্রধানমন্ত্রী পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই জনসভাস্থল স্লোগানে মুখর করে তোলেন নেতাকর্মীরা। প্রথমবারের মতো বঙ্গবন্ধুকন্যার কালকিনিতে আগমন ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ দেখা যায়। জনসভায় যোগ দিতে সকাল থেকেই সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজ মাঠে আসতে থাকেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।

  • ঢাকায় পৌঁছেছেন খালেদা জিয়ার ৩ মার্কিন চিকিৎসক

    ঢাকায় পৌঁছেছেন খালেদা জিয়ার ৩ মার্কিন চিকিৎসক

    বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন ৩ মার্কিন চিকিৎসক। যুক্তরাষ্ট্রের এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবেন।

    বুধবার (২৫ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে তারা ঢাকায় এসে পৌঁছান। বেগম জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডাক্তার এ জেড এম জাহিদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ।

    জানা গেছে, বিএনপি চেয়ারপার্সনকে চিকিৎসা দিতে আসা তিন চিকিৎসক হলেন-বিশ্বখ্যাত মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয় জনস হপকিন্সের ডা. হামিদ আহমেদ আব্দুর রব, ডা. ক্রিসটোস স্যাভাস জর্জিয়াডেস ও ডা. জেমস পিটার অ্যাডাম হ্যামিলটন। তাদের মধ্যে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রফেসর হামিদ রব জন হপকিন্স কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট প্রোগ্রামের পরিচালক এবং মেডিসিন বিশেষজ্ঞ। অধ্যাপক ক্রিসটোস স্যাভাস জর্জিয়াডেস ইন্টারভেনশনাল অনকোলজি বিভাগের পরিচালক। তিনি রেডিওলোজি অ্যান্ড রেডিওলোজিকাল বিশেষজ্ঞ। সহযোগী অধ্যাপক জেমস পিটার হ্যামিলটন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের হেপাটোলোজি বিভাগের পরিচালক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ।

    উল্লেখ্য, গত ৯ আগস্ট রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন থেকে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এখন তার লিভার, হৃদযন্ত্র ও কিডনির সমস্যা জটিল অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

    এর আগে দুর্নীতির মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তাকে নির্বাহী আদেশে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেওয়া হয়। এরপর থেকে তার মুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে বাড়িয়ে কারাগারের বাইরে নিজ বাসায় রাখা হচ্ছে তাকে। এপর্যন্ত মোট আটবার তার শর্তসাপেক্ষ মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

     

  • খালেদাকে চিকিৎসায় বিদেশে পাঠাতে আইন মন্ত্রণালয়ের ‘না’

    খালেদাকে চিকিৎসায় বিদেশে পাঠাতে আইন মন্ত্রণালয়ের ‘না’

    চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানো যাবে না বলে মতামত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।

    সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো প্রস্তাবের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় এই মতামত দিয়েছে। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

    রোববার (১ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা জানান। নির্বাহী আদেশে দুটি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত হয়েছে।

    আইনমন্ত্রী বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইনি মতামতের জন্য খালেদা জিয়ার ভাইয়ের সর্বশেষ যে দরখাস্ত সেটা হলো-তার স্থায়ী মুক্তি ও বিদেশ পাঠানোর অনুমতি দেওয়া। সেটা আইনি মতামতের জন্য আমাদের কাছে পাঠানো হয়েছিল। আইনি মতামত দিয়ে সেটা কিছুক্ষণ আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠানো হয়েছে।’

    ‘আপনাদের প্রশ্ন আমরা কী আইনি মতামত দিয়েছি-প্রথম কথা হচ্ছে প্রথম যে দরখাস্তটা ছিল যেটা ২০২০ সালের মার্চ মাসে নিষ্পত্তি হয়। সেই দরখাস্তে ছিল যে, খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ, তাকে কারাগার থেকে মুক্তি দিয়ে তার সুচিকিৎসা যেন হয়, সেই ব্যবস্থা করা। তখন সেই দরখাস্তের ওপর আমরা একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। তখন দুটি শর্তে তার দণ্ডাদেশ ছয় মাসের জন্য স্থগিত রেখে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।’

    আনিসুল হক বলেন, ‘এটা ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা ৪০১(১) এর ক্ষমতাবলে। সেখানে দুটি শর্ত দেওয়া হয়েছিল, সেই দুটো শর্ত হচ্ছে-তিনি বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন ও তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না।’

    মন্ত্রী বলেন, ‘সেই শর্ত মেনে তিনি কারাগার থেকে মুক্ত হন এবং বাসায় ফিরে যান। সেভাবেই দরখাস্তটা নিষ্পত্তি করা হয়। সেখানে শুধু এটুকু জিনিস উন্মুক্ত ছিল, তা হচ্ছে তাকে দেওয়া হয়েছিল ছয় মাসের, ছয় মাস পর বৃদ্ধি করা যাবে কি না সেই ব্যাপারে ছিল। সেটা (দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ) আটবার বৃদ্ধি করা হয়েছে।’

    আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় কোনো দরখাস্ত যদি একবার নিষ্পত্তি করা হয়, সেই নিষ্পত্তিকৃত দরখাস্ত পুনর্বিবেচনা করার কোনো অবকাশ আইনে থাকে না। আমরা সেই ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় উপধারা-১, ২, ৩, ৪, ৫ ও ৬ ব্যাখ্যা করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি।’

    ‘মতামত হচ্ছে- ৪০১ ধারার ক্ষমতাবলে যে দরখাস্ত নিষ্পত্তি করা হয়েছে। সেটা একটা পাস্ট অ্যান্ড ক্লোজ ট্রান্সজেকশন, এটা আর খোলার উপায় নেই।’

    তাহলে বেগম জিয়াকে বিদেশ পাঠাতে তার পরিবারকে কোন প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে-জানতে চাইলে বলেন, ‘যেটা আমি আগেও বলেছি, বারবার বলছি। তাকে যে আদেশবলে ৪০১ ধারার আদেশ বলে দুটি শর্তে সাজা বাতিল করে মুক্তি দেওয়া হয়েছে, সেটা বাতিল করে পুনরায় বিবেচনা করার সুযোগ থাকলে সেটা করা হবে।’

    প্রধানমন্ত্রী বলেছেন বিদেশে চিকিৎসা নিতে খালেদা জিয়াকে আদালতে যেতে হবে-এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আনিসুল হক বলেন, ‘আদালতে যাওয়ার বিষয়টি তো তাদের কাছে সবসময়ই আছে। ব্যাপারটা আরেকটু পরিস্কার করি, আমাদের এ উপমহাদেশে ৪০১ ধারায় সরকার যখন ক্ষমতা প্রয়োগ করে, সেটা আদালতে চ্যালেঞ্জ যায় না বলে সিদ্ধান্ত আছে।’

    ‘প্রধানমন্ত্রী যেটা বলেছেন, এখন যে আদেশ আছে সেটা বাতিল করে তাকে যদি কারাগারে নেওয়া হয়, তাহলে তিনি আদালতে যেতে পারবেন। এ অবস্থায় (দণ্ড স্থগিত থাকা অবস্থায়) তার আদালতে যাওয়ার সুযোগ নেই।’

    দণ্ড স্থগিত বাতিল করবেন নাকি-জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বাতিল করাটা অমানবিক হবে। বাতিল করবো না।’

    দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ ৬ মাস বাড়ানোর প্রজ্ঞাপন জারির সাতদিনের মধ্যে তারা আবার আবেদন করেছেন-এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের সঙ্গে তাদের কোনো আলাপ-আলোচনা নেই, হয়ওনি কোনো সময়।’

    এর আগে খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ চেয়ে তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার গত ২৫ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। এ বিষয়ে মতামতের জন্য আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

    এরপর ভয়েস অব আমেরিকার শতরূপা বড়ুয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করাতে হলে তাকে জেলে যেতে হবে। এরপর আদালতে গিয়ে আবেদন করতে হবে। আদালত যদি অনুমতি দেন তাহলে তিনি বিদেশে যেতে পারবেন।

    রোববার দুপুরে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী জানান, খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে মতামত দিয়েছেন তাই আইনের অবস্থান এবং সেটাই সঠিক।

    তিনি বলেন, আইনগতভাবে খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার সুযোগ নেই। খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে করা আবেদন যাচাই করে আজ মতামত দেওয়া হবে।

    এদিকে, শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া। গত ৯ আগস্ট থেকে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। এর মধ্যে তাকে কয়েক দফা সিসিইউতে নেওয়া হয়। তার লিভার, হৃদযন্ত্র ও কিডনির সমস্যা জটিল অবস্থায় আছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

  • আইনি প্রক্রিয়া মেনেই বিদেশে চিকিৎসা নিতে পারবেন খালেদা জিয়া: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    আইনি প্রক্রিয়া মেনেই বিদেশে চিকিৎসা নিতে পারবেন খালেদা জিয়া: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    আইনি প্রক্রিয়া মোকাবিলা করেই খালেদা জিয়া বিদেশে চিকিৎসা নিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

    শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কাকরাইলে আইডিইবি’র প্রতিনিধি সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

    আইনের বাইরে গিয়ে কিছু করার সুযোগ নেই উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী কথা বলেছেন। তাই এখন কিছু বলা ঠিক হবে না বলেও জানান তিনি।’

    তিনি আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়া কয়েকটি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী আদেশে বাসায় থেকে চিকিৎসা নেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন তিনি।’

    আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘তাকে (খালেদা জিয়া) বিদেশে নিতে তার ভাই একটি আবেদন করেছিলেন। কিন্তু এখানে আইনি জটিলতা রয়েছে। আমরা আমাদের পক্ষ থেকে আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। এরপর কিছু করতে হলে আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থায় যেতে হবে। প্রধানমন্ত্রীও গতকাল (শুক্রবার) এটা নিয়ে ব্রিফ করেছেন।’

     

  • বিদেশ যেতে হলে খালেদা জিয়াকে আবারও জেলে যেতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

    বিদেশ যেতে হলে খালেদা জিয়াকে আবারও জেলে যেতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

    বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে হলে আবার জেলে যেতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    শনিবার যুক্তরাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকার সঙ্গে আলাপকালে প্রধানমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

    বিএনপি প্রধানের বিদেশে পাঠানোর বিষয় নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এখন যদি তাদের বাইরে যেতে হয় তাহলে এখন যে আমি সাজা স্থগিত করেছি, তাকে বাসায় থাকার পারমিশন দিয়েছি সেটা আমাকে উইথড্র করতে হবে। তাকে আবার জেলে যেতে হবে এবং কোর্টে যেতে হবে। কোর্টের কাছে আবেদন করতে হবে। কোর্ট যদি রায় দেয় তখন সে যেতে পারবে। ‘

    প্রধানমন্ত্রী এমন সময় এ কথা বললেন, যখন খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ চেয়ে তার ছোটভাই শামীম ইস্কান্দার সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবারও আবেদন করেন। এ বিষয়ে মতামতের জন্য আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

    এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল গণমাধ্যমকে বলেছিলেন— কয়েক দিন আগে আবেদন করা হয়েছে। যেটা পরে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

    ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের করা মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার সাজা হয়। পরে দুদকের আরও একটি মামলায় তার দণ্ড হয়। সেই সময় থেকে বেশ কিছুদিন পুরান ঢাকার পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। পরবর্তীতে অসুস্থতার কারণে চিকিৎসার জন্য বিএসএমএমইউতে রাখা হয়।

    দেশে করোনার প্রকোপ শুরু হলে সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পান খালেদা জিয়া। এজন্য রাজনীতিতে সক্রিয় না হওয়া এবং চিকিৎসা নিতে বিদেশে না যাওয়ার শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়।

    গত ৯ আগস্ট থেকে গুরুতর অসুস্থ হয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয় বিএনপি চেয়ারপারসন। তখন থেকে তিনি হাসপাতালেই আছেন। খালেদার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা তাকে বিদেশের কোনো এডভ্যান্স সেন্টারে নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। অন্যদিকে পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে বিদেশে নেওয়ার জন্য সরকারের সঙ্গে দেনদরবার করা হচ্ছে। যদিও এ বিষয়ে এখনো কোনো সমাধান হয়নি। ৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার ও হৃদ্‌রোগে ভুগছেন।

    ভয়েস অব আমেরিকার পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হয় শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর বিষয়টি সরকার পুনর্বিবেচনা করবে কি না।

    জবাবে শেখ হাসিনা উপস্থাপককে উল্টো প্রশ্ন করেন- ‘পৃথিবীর কোন দেশে একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে পেরেছে? পৃথিবীর কোনো দেশ দেবে? তাদেরকে যদি চাইতে হয় তাহলে আবার কোর্টে যেতে হবে আদালতের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। এখানে আমাদের কিছু করার নেই। আদালতের কাজের ওপর আমাদের হস্তক্ষেপ করার কোনো সুযোগ নেই।’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তবে হ্যাঁ যতটুকু করতে পেরেছি আমার সরকার হিসেবে যতটুকু করার ক্ষমতা আছে তার সাজাটা স্থগিত রেখে বাড়িতে থাকার পারমিশন দেওয়া হয়েছে। সেখানে সে চিকিৎসাও করাচ্ছেন। দেশের সবচেয়ে দামি হাসপাতালে তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন। ‘

  • খালেদা জিয়ার মুক্তি মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ল

    খালেদা জিয়ার মুক্তি মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ল

    দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ ফের বাড়ল। আগের দুই শর্তেই তার মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে। এনিয়ে ষষ্ঠ দফায় তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ল।

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ রবিবার এই সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, পূর্বের শর্তমতে খালেদা জিয়া ঢাকার নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন এবং এই সময়ে তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না।

    গত ২৪ মার্চ শর্তসাপেক্ষে খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ শেষ হয়। এর আগে ৬ মার্চ খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। আবেদনে খালেদা জিয়ার মুক্তির শর্ত শিথিল করে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার অনুমতি চাওয়া হয়।

    জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজা হলে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাজীবন শুরু হয় খালেদা জিয়ার। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও তার সাজার রায় হয়।

    ২০২০ সালে দেশের মহামারী করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে দুটি শর্তে ছয় মাসের মুক্তি দেয়। শর্ত দুটি হচ্ছে, খালেদা জিয়া বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন দ্বিতীয়ত বিদেশ যেতে পারবেন না।

    ২০২০ সালের ২৫ মার্চ কারাগার থেকে মুক্ত হন খালেদা জিয়া। এরপর পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৬ দফায় ৬ মাস করে তার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ায় সরকার।

    উল্লেখ্য, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। তাকে বিদেশে চিকিৎসার দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি। খালেদা জিয়া বর্তমানে ঢাকার গুলশানের বাসায় রয়েছেন।

  • নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার বিচার শুরু

    নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার বিচার শুরু

    নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মাধ্যমে এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।

    রোববার (১৯ মার্চ) কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার ৯ নম্বর (অস্থায়ী) বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এ অভিযোগ গঠন করেন। একই সঙ্গে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ২৩ মে দিন ধার্য করেন আদালত।

    আজও খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবী মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার হাজিরা দেন।

    আদালতে এ মামলার আসামি খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সি এম ইউছুফ হোসাইন ও ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সেলিম ভূঁইয়া আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

    দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মোশাররফ হোসেন কাজল ও খালেদা জিয়ার আইনজীবী জিয়া উদ্দিন জিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    মামলার বিবরণ-

    ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তৎকালীন সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে এ মামলা করা হয়। ২০১৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এতে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতিসাধনের অভিযোগ আনে দুদক।

    মামলার অন্য সাত আসামি হলেন- তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল করপোরেশনের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

    অপরদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় মামলার দায় হতে তাদের অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

    দুদকের অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে ক্ষমতায় থাকাকালে খালেদা জিয়াসহ বেশ কয়েকজন ব্যক্তি ক্ষমতার অপব্যবহার করে কানাডার কোম্পানিটিকে অবৈধভাবে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের সুবিধা পাইয়ে দেন। অভিযোগপত্রে আসামিদের বিরুদ্ধে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।