Tag: খালেদা জিয়া

  • মানহানির ২ মামলায় খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধি

    মানহানির ২ মামলায় খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধি

    মানহানির দুই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ বাড়িয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারিক আদালতে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নড়াইল ও ঢাকার এই দুই মামলায় তিনি জামিনে থাকবেন।

    বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি আমিনুল ইসলামের দ্বৈত বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেন।

    মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের অভিযোগে নড়াইলে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে এ মামলাটি করেন। একই অভিযোগে ২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে আরও একটি মামলা করেন এ বি সিদ্দিকী নামে এক ব্যক্তি।

    দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া সরকারের নির্বাহী আদেশে আড়াই বছর ধরে সাময়িক মুক্ত অবস্থায় রয়েছেন।

    ২৪ঘণ্টা/এনআর

  • বিএনপি বাড়াবাড়ি করলে খালেদাকে আবার জেলে পাঠানো হবে: প্রধানমন্ত্রী

    বিএনপি বাড়াবাড়ি করলে খালেদাকে আবার জেলে পাঠানো হবে: প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকারবিরোধী আন্দোলনের নামে বিএনপি যদি বাড়াবাড়ি করে তাহলে খালেদা জিয়াকে আবারও জেলে পাঠানো হবে।

    তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া অসুস্থ, বয়োবৃদ্ধ। তার ভাই-বোন, বোনের জামাই আমার কাছে এসেছেন, আবেদন করেছেন। আমরা তার সাজাটা স্থগিত করে বাড়িতে থাকার সুযোগ করে দিয়েছি। এটা মানবিক কারণেই দিয়েছি। কিন্তু যদি ওরা বেশি বাড়াবাড়ি করে তাহলে আবার জেলে পাঠিয়ে দেবো।’

    বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, তারা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করলে কোনো কথা নেই। কিন্তু একটা মানুষের গায়ে হাত দিলে ছাড়বো না।

    বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) ‘জেলহত্যা দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এ স্মরণসভার আয়োজন করে।

    শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে তাদের (বিএনপি) কি অবস্থা? আজকে তাদের গণতন্ত্র উদ্ধার করতে হবে। যে দলের জন্ম সামরিক শাসকের পকেট থেকে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীর দ্বারা, তারা আবার গণতন্ত্রের কি উদ্ধার করবে? সেটাই আমার প্রশ্ন। আবার সেই কথা শুনে কিছু লোক তাদের সঙ্গে তাল মেলান। তাদের জ্ঞান-বুদ্ধি কোথায় থাকে? তারা কি বাস্তবটা বুঝতে পারেন না? আর নেতৃত্ব কোথায়? বিএনপি যে লাফালাফি করে তাদের নেতা কই?’

    আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়া সাজাপ্রাপ্ত। তার সাত বছরের সাজা হয়েছে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার কথা যদি বলি, এতিমদের নামে বিদেশ থেকে যে মোটা অঙ্কের টাকা এসেছিল, সেই টাকাও এতিমরা পায়নি। ওই ট্রাস্টের নামে আসা সব টাকা গেছে নিজের নামের অ্যাকাউন্টে। সেখানেও তিনি ধরা খেয়েছেন এবং মামলা হয়েছে।’

    তিনি বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার সেই মামলা দিয়েছে এবং ১০ বছরের জেল হয়েছে। তাদেরই প্রিয় ইয়াজদ্দিন, মইন উদ্দিন ও ফখরুদ্দিন গং এ মামলা দিয়েছিল। অন্যদিকে তারেক রহমান ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি।’

    বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘জাতির পিতার খুনিদের জিয়াউর রহমান বিদেশে চাকরি দিয়ে পুনর্বাসিত করেছিল। ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে তাদের বের করে দেয়। কিন্তু ২০০১ সালে যখন বিচারের রায়ের তারিখ পড়েছে, খুনিরা বিচারের কাঠগড়ায়, সেই সময় খালেদা জিয়া খুনি খায়রুজ্জামানকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চাকরি ও প্রমোশন দেয় এবং মালয়েশিয়ায় হাইাকমিশনার করেও পাঠায়। খুনি পাশাকে বিদেশে মৃত অবস্থায় প্রমোশন দেয় এবং তার ভাতা ও সবধরনের বেনিফিট পরিবারকে দেয়। তাহলে কি করে অস্বীকার করবে এ হতাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউর রহমান জড়িত নয়। ৩ নভেম্বর বা ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়া যে জড়িত নয়, তা কীভাবে তারা অস্বীকার করবে?’

    তিনি আরও বলেন, ‘১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে খুনি রশিদকে ভোট চুরি করে খালেদা জিয়া পার্লামেন্টে বাসানোর মাধ্যমে খুনিদের পৃষ্ঠাপোষকতা করেছে। আর ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় তারেক জিয়া ও খালেদা জিয়া যে সম্পূর্ণভাবে জড়িত তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কারণ সংসদে এ নিয়ে আওয়ামী লীগকে আলোচনাও করতে দেওয়া হয়নি। উল্টো খালেদা জিয়া বলেছিলেন, তিনি (শেখ হাসিনা) ভ্যানিটি ব্যাগে গ্রেনেড নিয়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন। অর্থাৎ একটি অপরাধ করার পর সেই অপরাধটা অন্যের ঘাড়ে চাপানোর ট্রিকসটা তারা ভালভাবেই জানেন।’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সামনে নির্বাচন। আমরা মানুষের মন জয় করে এবং দেশের উন্নয়ন করেই নৌকার পক্ষে ভোট আনবো। দেশের মানুষ আর সেই অশান্ত পরিবেশ চায় না, শান্তির পরিবেশ চায়, দেশের উন্নতি চায়। তাই দেশের জনগণ আওয়ামী লীগকেই চায়, কেননা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা মানে দেশে শান্তি, উন্নয়ন আর অগ্রগতি।’

    স্মরণসভায় উদ্বোধীন বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ।

    অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, সংগঠনের কার্যনির্বাহী সদস্য পারভিন জামান কল্পনা, সৈয়দ নজরুল ইসলামের কন্যা সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফি এবং উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান প্রমুখ।

    ২৪ঘণ্টা/এনআর

  • দুই মামলায় খালেদা জিয়ার স্থায়ী জামিন

    দুই মামলায় খালেদা জিয়ার স্থায়ী জামিন

    মানহানি ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের দুই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে স্থায়ী জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

    বৃহস্পতিবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি সাহেদ নূর উদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

    আদালতে খালেদার পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।

    ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী ২০১৪ সালের ২১ অক্টোবর আদালতে নালিশি মামলা করেন। দণ্ডবিধির ১৫৩ (ক) ও ২৯৫ (ক) ধারায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেন এ বি সিদ্দিকী।

    ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের স্বাধীনতা চান নাই। তিনি চেয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রিত্ব। জেনারেল জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ায় এ দেশের জনগণ যুদ্ধে নেমেছিল।’

    তিনি আরো বলেন, ‘বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে উন্নয়নের নামে চলছে দুর্নীতি ও লুটপাট। দলীয় লোকদের জঙ্গি বানিয়ে নিরীহ লোকজনকে হত্যা করছে, সংখ্যালঘুদের বাড়ি-ঘর ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করে লুটপাট ও হত্যা করছে। পুলিশ বাহিনী দিয়ে বিরোধীদলসহ ভালো ভালো লোককে গ্রেফতার, গুম এবং হত্যা করছে। উন্নয়নের নামে পদ্মাসেতু ও ফ্লাইওভারের কাজ বিলম্ব করে ব্যয়বহুল অর্থ দেখিয়ে লুটপাট করছে। যার বিরুদ্ধে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের হুকুম দিচ্ছি, তোমরা প্রতিটি গ্রামে-গঞ্জে নেমে এ সরকারের বিরুদ্ধে সব জনগণ ও যুবসমাজকে ঐক্যবদ্ধভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ার ব্যবস্থা করো।’

    এ ঘটনায় ২০১৭ সালে ২৫ জানুয়ারি তারিখে এবি সিদ্দিকী আদালতে মামলা দায়ের করেন।

    এদিকে ২০১৪ সালে পুরান ঢাকায় দর্জিকর্মী বিশ্বজিত হত্যাকাণ্ড নিয়ে খালেদার জিয়ার বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ধর্মীয় বিভেদ সৃষ্টির অভিযোগে আরেকটি মামলা করেছিলেন এ বি সিদ্দিকী। এই দুই মামলায় হাইকোর্ট খালেদা জিয়াকে জামিনসহ রুল দিয়েছিলেন। আজ দুই মামলায় স্থায়ী জামিন দিলেন আদালত।

  • খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার পরামর্শ মেডিকেল বোর্ডের

    খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার পরামর্শ মেডিকেল বোর্ডের

    হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা করে যত দ্রুত সম্ভব তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে তার মেডিকেল বোর্ড।

    সোমবার রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে মেডিকেল বোর্ডের বৈঠকে এ পরামর্শ দেওয়া হয়।

    এদিন খালেদা জিয়ার শারীরিক সুরক্ষায় আরও কিছু ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা করেন চিকিৎসকরা। এর মধ্যে আগামী এক সপ্তাহ খালেদা জিয়াকে মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে মঙ্গলবার থেকে তাকে ধীরে ধীরে হাঁটার পরামর্শ দিয়েছেন মেডিকেল বোর্ড চিকিৎসকরা।

    দেশি বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎকদের সমন্বয়ে দেড় ঘণ্টাব্যাপী মেডিকেল বোর্ডের বৈঠক চলে। বোর্ডের বৈঠকে লন্ডন ও আমেরিকা থেকে বিদেশি চিকিৎসকরা জুমে যোগ দেন। বোর্ড সন্বয়ক খালেদা জিয়ার পুত্রবধু ডা. জোবাইদা রহমানও এই সভায় ছিলেন। বৈঠক শেষে দুজন চিকিৎসক এসব তথ্য জানান।

    এক চিকিৎসক বলেন, মেডিকেল বোর্ড পরিবারের কাছে ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) সবশেষ শারীরিক অবস্থা অবহিত করেছেন। সুপারিশ করেছেন যত দ্রুত সম্ভব হাই কেয়ার সেন্টারে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে। সেখানে মাল্টিপল চিকিৎসা সম্ভব। কারণ ম্যাডাম এখন যে সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তা দেশেই চিকিৎসা সম্ভব ছিল, কিন্তু এক চিকিৎসা করতে গিয়ে অন্যগুলো বেড়ে যায়। এতে ঝুঁকি থেকেই যায়। আবার বয়সেরও একটা ব্যাপার আছে। এ পর্যায়ে এসে উনাকে ক্রিটিক্যালও বলা যাচ্ছে না, আবার ভালোও বলা যাবে না।

    আরেকজন চিকিৎসক জানান, সোমবার রাতে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের আরও কিছু পরীক্ষা করা হয়েছে। এভারকেয়ার ছাড়াও ল্যাবএইড হাসপাতালে পরীক্ষা করা হয়। পরে রেজাল্ট বিদেশি চিকিৎসকদের প্রেরণ করা হয়।

    তিনি বলেন, বোর্ডের পরামর্শ মোতাবেক ম্যাডামের জন্য বাসা থেকে বাবুর্চি রান্না করে খাবার নিয়ে আসেন হাসপাতালে। আপাতত সুপসহ তরল খাবারই দেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজন ছাড়া তেমন কথা বলেন না। শরীর স্বাভাবিকভাবেই ক্লান্ত। সালাম ও কুশলাদি বিনিময় হয় আমাদের সঙ্গে।

    এর আগে হঠাৎ অসুস্থ হওয়ায় গত শুক্রবার দিবাগত রাতে খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। গত বছরের এপ্রিলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর এ নিয়ে খালেদা জিয়াকে কয়েক দাফা এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হলো।

    এর আগে গত ৬ এপ্রিল নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাকে একই হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। খালেদা জিয়া পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরণ ও লিভার সিরোসিস রোগে আক্রান্ত। এছাড়াও অনেক দিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিসসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন তিনি।

    জানা গেছে, মেডিকেল বোর্ডে এভারকেয়ার হাসপাতালের ১২ জন চিকিৎসক আছেন। এছাড়া বাইরে থেকে আরও অর্ধডজন চিকিৎসক যুক্ত আছেন। যখন যে বিশেষজ্ঞের প্রয়োজন হয় বোর্ড সমন্বয়ক তাকে কল করেন। বোর্ডের নেতৃত্বে আছেন এভায়কেয়ারের কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান ডা. শাহবুদ্দিন তালুকদার।

  • খালেদা জিয়ার হার্টে একাধিক ব্লক, পরানো হয়েছে রিং

    খালেদা জিয়ার হার্টে একাধিক ব্লক, পরানো হয়েছে রিং

    বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম হয়েছে। এতে তার হার্টে কয়েকটি ব্লক ধরা পড়েছে। ব্লকের একটিতে পরানো হয়েছে রিং।

    খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন শনিবার বিকেলে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

    তিনি জানান, শনিবার দুপুরে জরুরিভিত্তিতে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হয়। বিএনপির চেয়ারপারসন সংকটাপন্ন নন, তবে তার অবস্থা স্থিতিশীলও নয়।

    খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক বলেন, ‘খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম সম্পন্ন হয়েছে। তার হার্টে বেশ কয়েকটি ব্লক ধরা পড়ে। তার মধ্যে একটি ব্লক ছিল ৯৫ শতাংশ। সেটিতে রিং পরানো হয়েছে।’

    এর আগে দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে তিনি বলেছিলেন, ‘ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে তার এনজিওগ্রাম করা হবে। খালেদা জিয়া দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।’

    হঠাৎ অসুস্থ বোধ করায় খালেদা জিয়াকে শুক্রবার রাত ৩টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি করা হয়। সেখানে শনিবার মেডিক্যাল বোর্ডের বৈঠক বসে।

    সে বৈঠক শেষে ডা. জাহিদ বলেছিলেন, ‘প্রয়োজনে এনজিওগ্রাম করানো লাগবে। আরও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা লাগবে। তার পরে গিয়ে বুঝতে পারব।’

  • খালেদা জিয়া আদালতের অনুমতি নিয়ে বিদেশ যেতে পারবেন

    খালেদা জিয়া আদালতের অনুমতি নিয়ে বিদেশ যেতে পারবেন

    চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বিদেশ যেতে চাইলে আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যেতে পারবেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

    শনিবার (১১ জুন) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) হলে প্রতিনিধি সম্মেলন-২০২২ এর উদ্বোধনীয় অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বর্তমানে মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি। কোর্টের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। যদি চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে যেতে হয়, তবে আদালতের মাধ্যমে যেতে হবে।

    সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের ওপর হামলা হয়েছে তা ঠিক নয়। রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ঘটনাটি দুঃখজনক। যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন তাদের সংযত হ‌ওয়া উচিত ছিল। পুলিশের গায়ে হাত তুলবে পুলিশ বসে থাকবে এটা সঠিক নয়।

    তিনি বলেন, পুলিশ তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছে বলেই দেশে নিরাপত্তা রয়েছে। দেশের উন্নয়ন দুর্বার গতিতে সব ঠিকঠাক মতো চলছে।

  • সিসিইউতে ৭২ ঘণ্টার অবজারভেশনে খালেদা জিয়া

    সিসিইউতে ৭২ ঘণ্টার অবজারভেশনে খালেদা জিয়া

    হৃদযন্ত্রের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সিসিইউতে ৭২ ঘণ্টা অবজারভেশনে রাখা সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড। তাকে সিসিইউতে রেখেই এনজিওগ্রামসহ অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে।

    শনিবার (১১ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন এ তথ্য জানান।

    ডা. জাহিদ বলেন, ম্যাডাম এখন সিসিইউতে ৭২ ঘণ্টার অবজারভেশনে আছেন। আমি গুরুত্বপূর্ণ কাজে আছি, পরে বিস্তারিত বলতে পারব।

    বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার বলেন, ম্যাডামকে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে। মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা বৈঠকে বসছেন। কীভাবে ম্যাডামের পরবর্তীতে চিকিৎসা হবে তা ঠিক করতে।

    বিএনপির চেয়ারপারসনের একজন ব্যক্তিগত কর্মকর্তা বলেন, এখনও ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল নয়। আসলে উনার অবস্থা ভালো বা খারাপ কিছুই বলা যাচ্ছে না।

    শুক্রবার (১০ জুন) গভীর রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। পরে দিবাগত রাত ৩টা ২০ মিনিটে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি করা হয়।

  • ‘খালেদার বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দেখা হচ্ছে, অচিরেই সিদ্ধান্ত’

    ‘খালেদার বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দেখা হচ্ছে, অচিরেই সিদ্ধান্ত’

    খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা যেসব সুপারিশ করেছেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।

    বুধবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে গুলশানে তার অফিসে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার হত্যা মামলার রায়ের বিষয়ে কথা বলার সময় এ কথা বলেন তিনি।

    এ সময় মন্ত্রী বলেন, বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের দেওয়া সেই পদ্ধতিতে অন্য কোনো দেশে মুক্তি দেওয়ার নজির আছে কি না সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অচিরেই সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

    এদিকে বেগম খালেদা জিয়াকে বাসায় থেকে চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ দিয়ে সরকার যথেষ্ট সহানুভূতি দেখিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    বুধবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে যুবলীগের ৪৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এতিমের সম্পদ আত্মসাতের সময় মানবিকতা দেখাননি বিএনপি নেত্রী।

    বুধবার দুপুরে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে শুরু হয় যুবলীগের ৪৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভা। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সেখানে যোগ দেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিজ্ঞানমনস্ক যুবসমাজ তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।

    এ সময় প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতায় উঠে আসে জিয়া পরিবারের দুর্নীতি, অন্যায়ের কথা। ১৫ আগস্ট জন্মদিন পালন, যুদ্ধাপরাধীদের রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসানো, ২১ আগস্টের বোমা হামলা, দুর্নীতিসহ বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার অতীত কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন তিনি।

    তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান সম্পূর্ণভাবে জাতির পিতার হত্যার সঙ্গে জড়িত। তাদের ভাষ্য বাংলাদেশের স্বাধীনতাটাই ভুল ছিল। বিএনপি এই দেশে বাংলা ভাই, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদের কারিগর।

    শেখ হাসিনা বলেন, দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত বেগম জিয়ার পরিবারের অনুরোধে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী আদেশে তাকে বাসায় থেকে চিকিৎসার সুযোগ দিয়েছে সরকার।

    তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ১৫ আগস্ট জন্মদিন পালন করেন। আমার কাছ থেকে আর কত আশা করে তারা? কিভাবে আশা করে? সেটাই আমার প্রশ্ন। আমার পিতার হত্যাকারীদের বিচার করতে দেয়নি। তাকে যে বাসায় থাকতে দিয়েছি, হাসপাতালে যেতে দিয়েছি এটাই কি যথেষ্ট না? উনাকে আর কত উদারতা দেখাব?

    এন-কে

  • একমাত্র বেগম জিয়াই দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে পারেন: ফখরুল

    একমাত্র বেগম জিয়াই দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে পারেন: ফখরুল

    বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়ার ছাড়া কেউ দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে পারবে না। তিনিই আমাদের গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে দিতে পারেন। আমাদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে পারেন। সেজন্য আমরা বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানোর দাবি করছি।

    বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে রোববার (২৮ নভেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। স্বেচ্ছাসেবক দল এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে।

    মির্জা ফখরুল বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে শুধু বিএনপির জন্য দরকার নয়, এদেশের ১৮ কোটি মানুষের জন্য তাকে দরকার। তিনি একমাত্র নেত্রী যিনি স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বের অতন্দ্র প্রহরী। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে এই দাবি জানাচ্ছি। আমরা বারবার বলছি তাকে বিদেশে পাঠান চিকিৎসার জন্যে।

    তিনি আরও বলেন, শুধু স্বেচ্ছাসেবক দল নয়, যুবদল নয়, ছাত্রদল নয়, অঙ্গ সংগঠন নয়, বিএনপি নয়, সমগ্র বাংলাদেশ মানুষ আজ কারাগারে বাস করছে। দেশে শান্তি নেই, স্বস্তি নেই, মানুষ হাসিমুখে কথা বলে না। নিরাপদে রাস্তায় বের হতে পারে না। তাদের জীবন-জীবিকা চালাতে পারে না। ভয়াল একটি অবস্থার মধ্যে বাংলাদেশের মানুষ বাস করছে। বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ, অত্যন্ত অসুস্থ। প্রতিদিন চিকিৎসকরা তার জীবন রক্ষার জন্য সংগ্রাম করছেন।

    বিএনপি মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না কেন? তার একটি কারণ। তিনি একমাত্র নেত্রী যিনি জন্ম থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের মানুষের জন্য কাজ করছেন। মানুষের জন্য কথা বলেছেন। তিনি যখন বিরোধী দলীয় নেত্রী ছিলেন তখন নয় বছর গণতন্ত্রের জন্য পথে পথে ঘুরে বেড়িয়েছেন। যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তখন এই দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করেছেন।

    তিনি বলেন, ছেলেমেয়েরা স্কুল-কলেজে পড়ে, বাসভাড়া কমানোর জন্য রাস্তায় নেমেছে। এখন লেখাপড়া করতে খরচ অনেক বেড়ে গেছে, এজন্য তারা বাসভাড়া হাফ করতে বলছে। যারা মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান, তাদের বাবারা সন্তানের লেখাপড়া করাতে হিমশিম খাচ্ছেন। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার জন্য, এই ছেলে মেয়েদের উন্নত ভবিষ্যতের জন্য এই সমাবেশ থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছি। বাসভাড়া কমিয়ে হাফ পাস করা হোক। প্রয়োজনে সরকারকে ভর্তুকি দিতে হবে।

    বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাঁদির ভুঁইয়া জুয়েলের সঞ্চলনায় সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, কৃষকদল সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেত্রী বিথিকা বিনতে প্রমুখ।

    এন-কে

  • মির্জা ফখরুলের ৭ ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠক!

    মির্জা ফখরুলের ৭ ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠক!

    খালেদা জিয়ার মুক্তি ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের বিষয়ে নেতাকর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে নীতিনির্ধারণী ফোরামের বৈঠকে পরবর্তী কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

    বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে নির্বাহী কমিটির সঙ্গে দলের হাইকমান্ডের বৈঠক শেষে এ কথা জানান তিনি।

    বিকেল ৪টায় শুরু হওয়া রুদ্ধদ্বার এ বৈঠক প্রায় সাত ঘণ্টা পর শেষ হয় রাত সাড়ে ১০টায়। এর মধ্য দিয়ে শেষ হলো দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে দুই দফায় ছয় দিনের সিরিজ বৈঠক।

    যেখানে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও সাংগঠনিক বিষয়ে তৃণমূল থেকে শীর্ষপর্যায় পর্যন্ত নেতাদের কাছ থেকে মতামত গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান বিএনপি মহাসচিব। একই সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠকে প্রায় তিনশ’র মতো নেতারা নানা বিষয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেছেন বলেও জানানো হয়।

    গত ১৪ থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর তিন দিন প্রথম ধাপে এবং ২১ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দ্বিতীয় ধাপে সিরিজ বৈঠক করেছে বিএনপি।

    এর আগে মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও রাজনৈতিক পরিকল্পনা নির্ধারণে দলের হাইকমান্ডের সঙ্গে ৫ ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন।

    বৈঠক শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন বিএনপি মহাসচিব। জানান, খালেদা জিয়ার মুক্তি ও পরবর্তী কর্মপরিকল্পনা ঠিক করতেই দলের নেতাদের মতামত জানতে ধারাবাহিক এ বৈঠক করছে বিএনপির হাইকমান্ড।

    বিএনপি মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধার নিয়ে আলোচনা হয়েছে, সাংগঠনিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে এটাই ছিল আমাদের আলোচনার বিষয়বস্তু।

    বৈঠকের আগে মঙ্গলবার দুপুরে একই স্থানে মির্জা ফখরুল ইসলামকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান কৃষকদলের নবগঠিত কমিটির সদস্যরা। এ সময় তিনি, ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।

    এন-কে

  • খনি দুর্নীতি: অভিযোগ গঠনের শুনানি ৩১ অক্টোবর

    খনি দুর্নীতি: অভিযোগ গঠনের শুনানি ৩১ অক্টোবর

    আবারও পিছিয়েছে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতির মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি।

    মামলার আসামি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অনুপস্থিত থাকায় তার আইনজীবীর তারিখ নির্ধারণের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৩১ অক্টোবর পরবর্তী দিন ধার্য করেন আদালত।

    দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে কয়লা উত্তোলন ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণে ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়ম এবং রাষ্ট্রের ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা ক্ষতি এবং আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালে শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করা হয়। আসামি করা হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ আরও ১৩ জনের বিরুদ্ধে। এর মধ্যে ৬ জন মারা যাওয়ায় আসামি নামের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। বর্তমানে আসামির সংখ্যা ৭ জনে দাঁড়িয়েছে।

    পূর্বনির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী কেরানীগঞ্জে অস্থায়ী বিশেষ জজ আদালতে অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ছিল রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর)। দুর্নীতির অন্য দুই মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া এ শুনানিতে উপস্থিত হতে না পারায় আসামিপক্ষের আইনজীবীর আবেদনে পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন আদালত।
    এদিকে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ নাশকতার অভিযোগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলসহ ৩৯ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানিও পিছিয়েছেন আদালত। আগামী ২১ নভেম্বর শুনানির পরবর্তী দিন নির্ধারণ করেন অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত।

    ২০১৫ সালে দায়ের করা নাশকতার এ মামলায় আসামি করা হয় মির্জা ফখরুল ইসলামসহ ৪২জন আসামিকে। পরবর্তীতে এ মামলার আসামি তানভির আদিল বাবু ও শফিউল বারী বাবুসহ তিনজন মারা যান। অভিযোগ গঠন হলে এ মামলায় মির্জা ফখরুলসহ ৩৯ নেতাকর্মীর আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হবে।

  • করোনার টিকা নিলেন খালেদা জিয়া

    করোনার টিকা নিলেন খালেদা জিয়া

    করোনাভাইরাসের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আজ সোমবার বিকেল ৪টার দিকে রাজধানীর মহাখালীর শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল প্রাঙ্গণে তিনি এই টিকা নেন।

    টিকা নেওয়ার উদ্দেশে আজ বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বাসা থেকে বের হন বিএনপির চেয়ারপারসন। বিকেল পৌনে ৪টার দিকে হাসপাতালে পৌঁছান তিনি। গণমাধ্যমকর্মীসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীদের অবস্থান থাকায় তাঁকে হাসপাতালের ভেতরে নিতে বেগ পেতে হয়। প্রায় ২০ মিনিট পর খালেদা জিয়াকে গাড়িতে বসিয়েই টিকা দেওয়া হয়। টিকা নেওয়ার পর বিকেল ৪টা ১০ মিনিটের দিকে বাসার উদ্দেশে রওনা হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী।

    টিকা নেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দর, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদা জিয়ার চিকিৎসক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও হাবিবুন নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, যুবদলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম নিরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা রহমান, বিএনপিনেতা ব্যারিস্টার ইশরাক হোসেন, সাবেক ছাত্রদল নেতা রাজিব আহসান প্রমুখ।

    টিকা দেওয়ার পর খালেদা জিয়ার চিকিৎসক দলের অন্যতম সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন জানান, বিএনপির চেয়ারপারসন মডার্নার টিকা গ্রহণ করেছেন। দেশের একজন আইন মান্যকারী নাগরিক হিসেবে সাধারণ মানুষের কাতারে এসে খালেদা জিয়া করোনার টিকা নিয়েছেন। তিনি জমায়েত অ্যাভয়েড করার জন্য আজকে টিকা নিতে এসেছেন। অন্য সময় এলে হয়তো আরও ভিড় হতো, সে ভিড় এড়ানোর জন্যই তিনি আজ টিকা নিয়েছেন।

    ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, অন্যদের মতো খালেদা জিয়া মডার্নার টিকা নিয়েছেন। উনার কোনও আলাদা ইচ্ছা নেই। আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীকে তিনি ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

    করোনাভাইরাসের টিকা নিতে খালেদা জিয়া গত ৯ জুলাই ‘সুরক্ষা’ ওয়েবসাইটে গিয়ে নিবন্ধন ফরম পূরণ করেন। টিকার কেন্দ্র হিসেবে নির্বাচন করেন শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালকে। এরপর টিকার জন্য এসএমএস পান খালেদা জিয়া। কিন্তু, সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় তাঁকে ঘরের বাইরে নেওয়াটা নিরাপদ মনে করেননি ব্যক্তিগত চিকিৎসকেরা। এজন্য খালেদা জিয়া যেন বাসায় টিকা নিতে পারেন সে চেষ্টা করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা। কিন্তু সেই চেষ্টা সফল হয়নি।

    এর আগে গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। একইসঙ্গে বিএনপির চেয়ারপারসনের বাসভবন ‘ফিরোজা’র আরও আটজন ব্যক্তিগত কর্মীও করোনায় আক্রান্ত হন।

    এরপর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এফ এম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা শুরু হয়। এরপর ২৭ এপ্রিল খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন ২৮ এপ্রিল খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। এর মধ্যে ৩ মে খালেদা জিয়ার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় তাঁকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৬ মে তিনি করোনামুক্ত হন। এরপরও তাঁর শারীরিক জটিলতা থাকায় তিনি হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।

    দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে গত ১৯ জুন এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে নিজ বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া। পরে করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করেন তিনি।

    ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিশেষ আদালতের রায়ে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড নিয়ে কারাবন্দি হন খালেদা জিয়া। তারপর নাজিমউদ্দিন রোডের সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারে শুরু হয় তাঁর কারাজীবন। একই বছরের ৩০ অক্টোবর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা পাঁচ বছর বাড়িয়ে ১০ বছরের আদেশ দেন বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চ।